আইজাক আসিমভের ফাউন্ডেশন

শামীম এর ছবি
লিখেছেন শামীম (তারিখ: শুক্র, ০৭/১১/২০০৮ - ১:৪৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আইজাক আসিমভ (১৯২০-১৯৯২) নামে আমেরিকান-ইহুদী একজন বায়োকেমিস্ট্রির প্রফেসর ফাউন্ডেশন নামক একটা বিখ্যাত সায়েন্স ফিকশন লিখেন। উইকিপিডিয়ায় Issac Asimov শিরোনামে খুঁজলেই এই প্রতিভাবান বিজ্ঞান লেখকের কীর্তি জানতে পারবেন। অধুনা আই.রোবট সিনেমাটাও ওনার গল্প।

ফাউন্ডেশন এত জনপ্রিয় হয় যে, এটার অনেকগুলো সিকুয়েল বেরিয়েছে। একটা সায়েন্স ফিকশন হওয়া সত্ত্বেও এটার কাহিনী (বাংলা অনুবাদ) আমার মনে দাগ কেটে গিয়েছিল ভিন্ন কারণে। প্রতিটি লেখকের মনেই একটি বক্তব্য থাকে যেটা প্রকাশ করার জন্য উনি বেছে নেন একটি কাহিনী, যেখানে কাহিনীর পরতে পরতে তাঁর দর্শনটা বিকাশ লাভ করে। সায়েন্স ফিকশনের লেখক এ জন্য বেছে নেন কাল্পনিক একটা জগত, অনেকটা রূপকথার মতই। আমাদের ধর্মগ্রন্থগুলোর মধ্যেও অনেক দর্শন রূপক গল্পের আকারে প্রকাশিত হয়েছে, যেটা না বুঝে অনেকেই সারফেসের অর্থ নিয়ে লম্ফঝম্ফ করেন দেখা যায়।

ফাউন্ডেশনের প্রায় ৪০০ বছর বিস্তৃত এই কাহিনীতে একদল অত্যন্ত প্রতিভাবান বিজ্ঞানীকে প্রচলিত শাসকদের বিরোধীতা করায় গ্যালাক্সীর প্রান্তে একটি বিবর্ন গ্রহে নির্বাসন দেয়া হয়। গ্রহটিতে খনিজ পদার্থের আকাল ... ফলে বিজ্ঞানীরা বাধ্য হয়েই এমন সব জিনিষপাতি আবিষ্কার করেন যেগুলো কম রিসোর্স ব্যবহার করে তৈরী হয়। যেমন- প্রচলিত দুই তলা ভবনের সমান নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টরের ক্ষমতা ওরা হাতের তালুতে এঁটে যায় - এমন আকারের যন্ত্রে নিয়ে আসেন।

এই গ্রহের প্রতিবেশি ৩টি গ্রহগুলোও গ্যালাক্সীর কেন্দ্র থেকে বহুদুরে হওয়াতে অনুন্নত (অজ পাড়া গাঁ)। চমৎকার কাহিনীর মধ্যে দেখা যায় যে বিজ্ঞানীদের গ্রহ থেকে অন্য গ্রহগুলোতে প্রযুক্তির পণ্য সরবরাহ করা হয় - কিন্তু বলা হয় যে ওগুলো দেবতাদের গ্রহ থেকে এসেছে ঐশ্বরিক শক্তি নিয়ে। লোকজনও সেগুলো বিশ্বাস করে, এদের নিযুক্ত ধর্মনেতারা সেই ধর্মের বাণী ছড়ায়, শাসকরা প্রযুক্তির সুবিধা একটু বেশি পায়। মাঝে মাঝে ধর্ম নেতাদের সর্বোচ্চ সম্মান জানানোর জন্য দেবতাদের গ্রহে এনে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। একবার তাঁদের গ্রহ দখল করতে পাঠানো যুদ্ধজাহাজ (স্পেস-শাটল)ও সেটার চালক ফিরিয়ে নিয়ে উল্টা নিজেদের উপর আক্রমন করে .... কারণ সেটার চালকও ছিল দেবতাদের গ্রহে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, আর সেই স্পেসশাটলটাও দেবতাদের গ্রহেই মেরামত করে দেয়া হয়েছিল। আক্রমণের নির্দেশ পেয়ে শাটলের ক্যাপ্টেন অবাক হয়ে যায়, বিদ্রোহ করে .... যেই দেবতারা তাঁকে এ্যাত সম্মান খ্যাতি দিয়েছে, রাজা কিনা তাদেরই আক্রমণ করতে বলে! কাহিনী এগোতে থাকে। এভাবে সফলভাবে অন্য গ্রহগুলোর মধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে রেখে চলেছিল প্রায় একশতক।

এরপর, উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরী দূর্দান্ত দ্রব্যগুলো বাণিজ্যিক ভাবে বিভিন্ন দুরবর্তী গ্রহে এবং কেন্দ্রে অবস্থিত শাসকগোষ্ঠির কাছাকাছি জায়গাতেও বিভিন্ন রিসোর্সের বিনিময়ে বিক্রি শুরু করে। যেমন, জ্বলজ্বল করে তিনমাস জ্বলবে এমন পুতির মালার বা আংটির বিনিময়ে সোনা বা অন্য দামী খনিজ দ্রব্য ইত্যাদি নিয়ে আসা শুরু হয়। এই ব্যবসায়ীরা এতই শক্তিশালী হয়ে উঠে যে এক পর্যায়ে বিজ্ঞানী গ্রহের শাসনক্ষমতাও এদের হাতে চলে আসে। বিভিন্ন কুট কৌশলে এরা অন্য গ্রহ থেকে সম্পদ নিজেদের গ্রহে আনা শুরু করে। কাহিনী এমন পর্যায়েই শেষ হয়ে যায়।

এই কাহিনীতে রূপকের মাধ্যমে একটা দারুন দর্শন তুলে ধরেছেন লেখক। সেটা হল এই দুনিয়ার রাজনীতি কীভাবে চলে তার সরলীকৃত চিত্র বা মূলনীতি। পেশিশক্তি দিয়ে দখলের যুগ শেষ হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ ও শোষণের অস্ত্র বা উপায় ছিল ধর্ম। ধর্ম আনুগত্য আনে .. ফলে অনেক বেশি অনায্য সুবিধা আদায় করা সহজ হয়। পরবর্তী পর্যায়ে এটার বদলে শোষনের মূল শক্তি হয়ে যায় বাণিজ্য। কাহিনীটার দর্শনটা বুঝলে অনেকগুলো জিনিষ মনের মধ্যে ফকফকা হয়ে যায়।

আমরাও দেখে আসছি যে ধর্মকে শোষণের বা নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসতে .... ইউরোপে চার্চের ক্ষমতা ছিল অসাধারণ, যে কোন ফতোয়া চার্চ থেকে বের হলে সেটা সকলে অন্ধ বিশ্বাসে পালন করতো। শাসকরা চার্চ নিয়ন্ত্রণ করতো /করে। দ্যভিঞ্চিকোড সিনেমায় চার্চের একজন ধর্মোন্মাদ খুনি ছিল (সাদা চুল) ... ওর ভয়ংকর পতিত অবস্থা দেখলে মনে হয় বাংলাদেশর এরকম ধর্মোন্মাদ কর্মীরাও এর ব্যতিক্রম নয়।

ধর্ম মানুষকে উন্নত সত্ত্বার কাছে সারেন্ডার করতে শিখায়, বিনা প্রশ্নে কমান্ড পালন করতে শিখায়। নিয়ন্ত্রন করার জন্য এটা খুবই জরুরী। তাই বিনাবাক্য ব্যয়ে বা যৌক্তিকতার প্রশ্ন করাকে ইদানিং ধর্মে নিরূৎসাহিত করা হয়। নিরূৎসাহিত হয় জ্ঞান চর্চা। ইবনে সিনার যুগে সম্ভবত ধর্মকে নিয়ন্ত্রনের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়নি। তাই তখন ছিল জ্ঞানচর্চা ... আর এখন যে কোন আবিষ্কারের পরে - ওটা ১৪০০ বছর আগেই কোরআনে বলা আছে বলে পাশ কাটানোর চেষ্টা দেখা যায়; তারপর ঐ তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হলে হুজুরদের টিকিটিও দেখা যায় না। জ্ঞানচর্চা করলে যে মানুষ নত হবে না ... তাই জ্ঞান চর্চা এখন নিষিদ্ধ। কোন প্রশ্ন করা যাবে না - এটাই এখন ধর্মের চর্চা।

বিনাবাক্য ব্যয়ে নির্দেশ পালন শিখায় আর কোথায়? সেটা সেনাবাহিনীতে। তাই নিয়ন্ত্রন করতে চাইলে ধর্ম আর সেনাবাহিনীর উপর সওয়ার হওয়াই সবচেয়ে সুবিধাজনক। জানেন তো, দেশের রাজনীতিতে বেসিক এই কৌশলগুলোই সফলভাবে প্রয়োগ করে জামাত। অন্য দলগুলো যখন পেশীশক্তি আর আদর্শের কথা বলে, জামাত তখন পেশীশক্তির পাশাপাশি ধর্মের আনুগত্যও দখলে নেয়ার চেষ্টা করেছে, সফলও হয়েছে অনেকদুর। তাইতো মুক্তচিন্তা নিরূৎসাহিত হয়, মওদুদী হাদিস নিয়ে প্রশ্ন করা নাজায়েজ হয়।

উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠিগুলোর মত শুধু প্রাথমিক দুটো উপায়েই খেলছে না সকলে। শেষ এবং সবচেয়ে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করছে বর্তমানে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো - অসম বাণিজ্য করে, IMF, WTO ইত্যাদি বিভিন্ন বাণিজ্যিক সংগঠন করে কীভাবে শোষন করছে সেটা অন্য কিছু বিশ্লেষনে দেখেছেন, বিশেষ করে দিনমজুর ভাইয়ের বিশ্লেষনটা খুবই চমৎকার মনে হয়েছে।

তাই দেশের অবস্থায় ঘুরে ফিরে ফাউন্ডেশনের কাহিনীরই সফল মঞ্চায়ন বলে মনে হয়। শুধু সেখানে কামিয়াবীরা ছিল নায়ক, আর এখানে ভিলেন।


মন্তব্য

তুলিরেখা [অতিথি] এর ছবি

প্রথম ফাউন্ডেশন পড়তে গিয়ে গিবন সাহেবের লেখা রোমান সাম্রাজ্যের পতনের বিরাট ইতিহাস মনে পড়ছিলো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধর্ম মানুষের মজ্জার সাথে এতই মিশে গেছে যে এসব নিয়ে যে প্রশ্ন করা যায় বা প্রশ্ন হতে পারে তাই তো মানুষ ভাবে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শামীম এর ছবি

প্রশ্ন করা কেন যায় না?
সেটার আসল কারণ মনে হয় আসিমভ সাহেবের কথাই ঠিক। মগজ ধোলাই করা হচ্ছে সুকৌশলে। তাই না?

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

খেকশিয়াল এর ছবি

অবশ্যই ! যন্তর-মন্তর ঘরে মস্তিষ্ক প্রক্ষালণ ।

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

শামীম এর ছবি

হুঁ ... হীরক রাজার দেশে - .....
তাইতো ... এখানেও একই মূলনীতি দেখানোর চেষ্টা করেছিল!

লেজেহোমো এরশাদও আটরশির রশি ধরে টানাটানি করেছিল।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

জন্মের পর থেকেই মানুষের হাত পা মাথার মতো ধর্মকেও একটা অঙ্গ হিসাবে ধরিয়ে দেওয়া হয়। আমার হাত কেন দুইটা পা না থাকলে কি হইতো এইটা যেমন প্রশ্নাতীত... ধর্মের বিষয়টারেও সেইভাবেই ট্রিট করা হয়। একটা মানুষ তার নিজস্ব চিন্তায় যাইতে যাইতে সে ধর্মের কিছু কিছু ব্যাপারে দারুণ অভ্যস্থ হয়ে পরে।

ইসলামকে একেবারে নির্মোহভাবে দেখলে সেইটা একটা দেখার মতো বিষয় হবে। ধ্রুবপদ পত্রিকার বুদ্ধিজীবির নোটবই সংখ্যায় ইসলাম ধর্ম আর মুহাম্মদকে নিয়ে লেখা ভুক্তিদুটো পড়ে মজা পেয়েছিলাম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শামীম এর ছবি

খৃষ্টধর্মের মিথের উপরে ভিত্তি করে তৈরী দ্যভিঞ্চিকোড সিনেমাটায় কিন্তু প্রায় একই জিনিষ দেখিয়েছে। তাঁদের নবীর ব্লাড-লাইন বা বংশ নির্বংশ করা এবং সেটা রক্ষা করার নিয়েই কাহিনী। শাসকরা যারা ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায় তারাই যীশুখৃষ্টকে ঈশ্বরের পুত্র বানাতে চায়, ওনার স্ত্রী-কন্যাকে অস্বীকার করে বাইবেলের মূল গসপেলগুলোতে। স্ত্রী-কন্যাকে মেরে ফেলার জন্যই হলি গ্রেইল উদ্ধারে যায় ধর্মযোদ্ধারা। আবার একই কারণে ডাইনি বলে হাজার হাজার নারীকে পুড়িয়ে বা পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলা হয়। ইত্যাদি। নবী-রাসুলগণের বংশধর বেঁচে থাকলে তো ক্ষমতাধরদের সমস্যা - আনুগত্য পাওয়া যাবে না।

এদিকে আমাদের রাসুল (রঃ)এর বংশও কিন্তু সফলভাবে নির্বংশ করা হয়েছে কারবালাতে। রাসুল (রঃ) কে যতদুর জানি স্লো-পয়েজনিং করে মৃত্যূমুখে ঠেলে দেয়া হয়েছিল। ওদিকে যীশুখৃষ্টকেও কিন্তু শাসক প্রজাতি ক্রুশবিদ্ধ করেছিল।

যখনই কোন ধর্ম ভাল উপায়ে মানুষকে অনুসারী করেছে, নত হতে শিখিয়েছে.. তখনই সেটা শোষকগোষ্ঠী কব্জা করেছে নিজেদের অনুকুলে ব্যবহার করার জন্য।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বিশ্লেষণটা চমৎকার লাগল। ফাউন্ডেশন পড়ার সুযোগ হয়নি। দেখি পড়ব সময় করে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

শামীম এর ছবি

ধন্যবাদ।

কিছু লেখা কয়েকদিন/কয়েক-সপ্তাহ লাগিয়ে লিখি ... বারবার এডিট করে, সিকোয়েন্স, সহজবোধ্যতা ইত্যাদি নীরিক্ষা করে তারপর পোস্ট করি। এই লেখাটা সেরকম নয়, এক বসাতে লিখে পোস্ট করে দিয়েছি ... তাই হয়তো পঠনযোগ্যতা কিছুটা কম এবং যেগুলো বলতে চেয়েছি তা পুরাপুরি সুন্দর করে বলতে পারিনি।

বাংলায় ফাউন্ডেশন সিরিজ পাওয়া যায়। চাইলে সেখান থেকেও পড়তে পারেন। বইমেলার ফরিদ ভাইকে বললে জোগাড় করে দিতে পারবে। গত বইমেলায় আমার ছোটভাবই দেড় হাজার টাকা খরচ করে পুরা ১১খন্ডের সিকুয়েল (বাংলা অনুবাদ) কিনে নিয়ে এসেছিল -- আমি অবশ্য পড়িনি। আমি শুধু মূল গল্পটার অনুবাদ পড়েছিলাম অনেক আগে।

কেন যে সহজপাচ্য লেখা লিখতে পারি না .... ওঁয়া ওঁয়া
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

s-s এর ছবি

ফাউন্ডেশন বাংলায় পড়লে রসাস্বাদন ব্যহত হবে বলে মনে করি। ইংরেজীতেই পড়া শ্রেয়তর। আপনার লেখার বিষয় নির্বাচনের জন্যই পাঁচ তারকা।

শামীম এর ছবি

কথা সত্য বলেই মনে হয়। তবে বাংলা পড়তেই মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে ... ইংরেজি দেখলেই পড়ার বইপত্রের কথা মনে পড়ে .. তাই বিকর্ষন অনুভব করি ইয়ে, মানে...
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।

মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা এর ছবি

আইজ্যাক আজিমভের ছোটগল্প কয়েকটা পড়েছি ইংরেজিতেই। ভালোই লেগেছে। ফাউন্ডেশনও ডাউনলোড করে রেখেছি তবে উপন্যাসের সাইজ দেখে পড়ার সাহস করে উঠতে পারিনি।

একটা বিষয় লক্ষ করলাম আপনি লিখেছে রাসুল (রঃ), এটা আসলে রাসূল (স) হবে। (রঃ) ব্যবহৃত হয় সাহাবীদের বা (সম্ভবত) বুজুর্গ ধরনের ব্যক্তিদের পরে। অন্যান্য নবীদের পরে বসে (রা)। আর শেষ নবীর পরে (স)।

সাদাচোখ [অতিথি] এর ছবি

পুরানো কথা মনে করিয়ে দিলেন। মন্তব্য না করে আর পারলাম না।

আসিমভের অসাধারন সৃষ্টি হল এই ফাউন্ডেশন। এটার কাছে তার বাকি লেখাগুলো মনে হয় ম্রিয়মান। একটা কাহিনী এতবড় বিস্তৃতি নিয়ে যে লেখা হতে পারে, তা আমার কল্পনারও বাইরে ছিল। আমাদের দূর্ভাগ্য তার মৃত্যুর কারনে আমরা পুরো এক হাজার বছরের কাহিনীটা পাইনি।

বাংলায় অনুবাদই আমি পড়েছিলাম। খুব সম্ভবত সন্দেশের অনুবাদ ছিল সেটা। বেশ ভাল অনুবাদ ছিল। বিশ্বসাহিত্যকেন্দ্রের লাইব্রেরীতে আরও কয়েকটা ভিন্ন প্রকাশনীর অনুবাদ দেখেছি। তবে খুব একটা ভাল বলে মনে হয়নি।

ইংরেজিতে আসিমভের লেখার একটা ভাল কালেকশন পিডিএফ ফরম্যাটে আমার কাছে আছে। বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝে শেয়ার করি।

পোস্টটা খুবই ভাল লাগল।
ভাল থাকবেন।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।