সচলায়তন ও আমরা কতিপয়

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি
লিখেছেন জুলিয়ান সিদ্দিকী (তারিখ: শুক্র, ২৯/০৮/২০০৮ - ১১:৫২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আরেকজন প্রিয় ব্লগার ঘোষনা দিলেন যে, তিনি সচলায়তন ছেড়ে যাবেন। পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার আগে প্রিভিউ দেখে সংরক্ষণ করবো তখনই দেখি আমার সময় শেষ। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে ইন্টারনেট কানেকশন। পারলাম না। মনজাউরুলের পোস্টে আমার মন্তব্যটি গেল না। মনজাউরুলের কাছে অনুরোধ ছিলো তিনি যেন সচলায়তন ছেড়ে না যান। এখনও অনুরোধ করছি আপনি সচলায়তনের সঙ্গে সংযুক্ত থাকুন। আমি জানি লেখকরা খুবই অভিমানী হন এবং প্রতিবাদে তাঁরা সর্বদাই উচ্চকন্ঠ।

এই পোস্টটি আমার ৩৯তম পোস্ট।

বিভিন্ন ভাবেই আমরা সচলায়তন নামের অনলাইন রাইটার্স কমিউনিটিতে এসে ভিড় জমিয়েছি। আমরা পরস্পর পরস্পরকে জানতে পারছি কেবল ব্লগের মাধ্যমেই। এতেই আস্তেধীরে সবার মাঝে তৈরী হয়েছে এবং হচ্ছে একটি অদৃশ্য বন্ধন। কেউ দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই আমরা কেউ না কেউ উদ্বিগ্ন হই। কারো কারো ব্যক্তিগত দুঃখ-আনন্দের সঙ্গেই কোনো না কোনোভাবে জড়িয়ে যাই। এই সচলায়তনেই আমরা কখনো ব্যথিত হই, কখনো আনন্দে উদ্বেল হয়ে উঠি। কারো কারো অভিমান, ক্ষোভ আমাদেরও ছুঁয়ে যায়। ছুঁয়ে যায় কারো ব্যক্তিগত অনুভূতিও। আমাদের হাসি-আনন্দ-দুঃখ-বেদনার সব ভার এসে পড়ে এই সচলায়তনে। আমরা হই সহযাত্রী। কেউ যদি দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে ছেড়ে যেতে চান এই সচলায়তনের প্রাঙ্গণ, আমরা ব্যথিত হই।

দীর্ঘদিন লেখার পরও যদি কেউ পূর্ন সচল না হতে পারেন, তাহলে তাঁর দুঃখ পাওয়া বোধকরি অসঙ্গত নয়। সচলায়তনের মডারেটরবৃন্দ যে ভয় থেকে অর্থাৎ কোনো সদস্য অহেতুক বিবাদে কিংবা কাদা ছোড়াছুঁড়িতে লিপ্ত হতে পারে এমন আশংকা থেকেই যে রক্ষণশীল ভূমিকা পালন করছেন তাও প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করি। তবুও আমি বলতে চাই, পূর্ণ সচলত্ব প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সময়টিকে আরো কিছুটা তরান্বিত করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে মডারেটরদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলেই বিবেচিত। [ (যদি তাঁরা অর্থাৎ মডারেটরগণ ভাবেন যে, আমাদের মুরগী যেভাবে খুশি সেভাবেই কাটবো। তাহলে বলার কিছু নেই। দেঁতো হাসি ] এ ক্ষেত্রে পরবর্তীতে গায়ে পড়া দাঙ্গাবাজ এবং লড়াকু সদস্যকে ঘোষনার মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা যেতে পারে। ফলে, আমাদেরও হতাশ কিংবা দুঃখভারাক্রান্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবে না।

তা ছাড়া সচলদের তালিকায় এমন অনেক সচলের নাম আছে যাঁরা মাসে একটি পোস্ট দেন কি না সন্দেহ। সে হিসেবে নতুন অতিথিদের সচলত্ব প্রাপ্তির সুযোগটা অগ্রগণ্য বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। যেহেতু নতুন বলে তাঁদের লেখালেখির আগ্রহটা গতিশীল থাকে।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। এই যে আমরা দীর্ঘসময় আতিথ্যগ্রহণের অনুরোধ জানাই আপনাদের, এই প্রতীক্ষার সময়টি কখনো কখনো, কোন কোন পরিস্থিতিতে অসহনীয় মনে হয়। কিন্তু তারপরও আমরা আপনাদের প্রশংসনীয় ধৈর্য নিয়ে লিখে যেতে দেখি। এই অপেক্ষার সময়টুকু নিয়ে মতানৈক্য দেখা দিতে পারে, তবে আমরা নিরুপায়।

প্রকাশিত পোস্টের সংখ্যা অনুযায়ী সচল করা হয় না কাউকে, এ ব্যাপারটি আমরা আগেও স্পষ্ট করেছি। নতুন যাঁরা অতিথি আমাদের, তাঁদের প্রত্যেকের লেখার পিয়ার-রিভিউটিও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। একবার সচল হবার পর সচলে তাঁদের মিথষ্ক্রিয়ার ধারাটি কেমন হবে, আতিথ্যের সময়টুকুতে তা অনুমেয়। আমরা চাই না, সচলের "আবহাওয়া"র সাথে অপরিচিত থেকে কেউ সদস্য হয়ে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে বিব্রত হন। তাই এই অপেক্ষার প্রহর গণনা।

এ ক্ষেত্রে পরবর্তীতে গায়ে পড়া দাঙ্গাবাজ এবং লড়াকু সদস্যকে ঘোষনার মাধ্যমে নিষ্ক্রিয় করা যেতে পারে।

খুবই বিশ্রী একটি ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে সেটি। এরকম ঘটনা যত কম ঘটে, তত ভালো। এরচেয়ে আতিথ্যকাল কিছুদিন বেশি কাটিয়ে কমিউনিটির অন্য সবার সাথে পরিচিত হবার সুযোগ কাজে লাগানো শ্রেয়।

কেউ আগে সচল হন, কেউ পরে সচল হন। এ দেখে ক্ষুব্ধ হবার কিছু নেই। যিনি আতিথ্যের সময় নিজের মেজাজ সামলে রাখতে পারেন না, তিনি ঘরের একজন হয়ে তা করতে পারবেন, সে প্রত্যয় হয় না। আপনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম লেখক হোন, কিছু যায় আসে না, ইতোমধ্যে যাঁরা সচল হয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে সময় না কাটাতে পারলে সচলায়তন নামের এই সমাবেশটিতে যোগ দিতে চাওয়ার কোন অর্থ হয় না, তাই না?

পরিশেষে আবারও ধন্যবাদ জানাই আপনার ধৈর্যের জন্যে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

মনে হয় ঠিক মত বিশ্লেষণে ব্যর্থ হয়েছি। আমি নিজের জন্য কখনোই ভাবিনি। কিংবা পূর্ণ সচলত্বে আমার খুব একটা সুবিধা হবে বলেও মনে হয় না। আমার লেখা বেশিরভাগই দীর্ঘ। তার বেশিরভাগ পাঠকও নিভৃতচারী। আমার লেখারই উদ্দেশ্য কেবল। আমার এ সব পাঠকরা যে ধৈর্য ধরে পড়েন এতেই আমি খুশি। আমার সম্পর্কে আগেও বলেছি বিভিন্ন মন্তব্যে। (বরং আমি পূর্ণ সচল হলেই বরং অনভিপ্রেত পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে। আমার এমন কয়েকটি পোস্ট সচলে আসেনি বলেই বুঝতে পারছি।) দেঁতো হাসি

আমি বলতে চাচ্ছি যে, আমাদের মধ্যে মান-অভিমানের ব্যাপারটি মাঝে মাঝে এতটাই ফেনিয়ে ওঠে যে, আমরা ভীতুরা বিভ্রান্ত না হয়ে পারি না।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সচলায়তনকে আবারও বেশ ঝড়-ঝাপটার ভেতর দিয়ে অতিক্রম করতে হচ্ছে কিছুটা সময়। আশা করব, এটা সাময়িক, এই উত্তেজনা বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না এবং শেষ হয়ে যাবার পর রেখে যাবে না কোন ধ্বংসাবশেষ।

এটা তো মানতেই হবে, কোন প্রতিষ্ঠান বা গ্রুপের পক্ষেই এর সকল সদস্যদের মন রক্ষা করে চলা সম্ভব নয়। নানান মানুষের নানান মত থাকবেই, মতানৈক্যও দেখা দেবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সমমনা মানুষের গ্রুপে এই প্রবণতাটা কম। তাই সচলায়তনের এই বাড়তি সাবধানতা। মডারেটররাও বারবার এটাই বলে যাচ্ছেন। আমার মনে হয়, সদস্য (সচল এবং অতিথি) হিসেবে এটুকু সহনশীলতা ও সেনসিবিলিটির পরিচয় আমরা চাইলে দিতেই পারি। আমাদের কাছ থেকে সচলায়তনের এই চাওয়াটা কি খুব বেশি কিছু? আমরা নিজেরাও কি কারো সাথে বন্ধুত্ব করার আগে ভালোমত যাচাই করে নেই না ভবিষ্যতে তার সাথে আদৌ আমাদের বনিবনা হবে কি না?

আর যে কোন কিছুতে নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করাটাকেও আমার কাছে খুব বুদ্ধিমানের মতো কাজ বলে মনে হয় না। এটা বরং নিজের জন্যই অবমাননাকর! আর অন্য কারো সম্পর্কে কোন কিছু হুট করে বলে বসার আগে তার অবস্থান থেকে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করলে বিবাদ অনেকাংশেই এড়ানো সম্ভব। আর মডারেটররাও রক্ত-মাংসের মানুষ। তারা নিজস্ব ব্যস্ত সময়ের পাশাপাশি অসম্ভব পরিশ্রম করছেন এই কমিউনিটির জন্য।

স্বাভাবিকভাবেই এই কামনা করি যেন আপনি খুব তাড়াতাড়ি সচল হয়ে যান। আর একটা বিশেষ অনুরোধ, সচল হতে যদি আরো কিছুটা সময় অপেক্ষা করতেই হয়, প্লীজ সেটাকে আপনার লেখাকে প্রভাবিত করতে দেবেন না। আপনি নিয়মিত লিখে যান। পাঠক হিসেবে আমরা পড়ব, আলোচনা করব, মত বিনিময় করব। আর এটাই তো আমাদের আল্টিমেইট উদ্দেশ্য, তাই না? হাসি

ভালো থাকুন।
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

উদ্ধৃতি
স্বাভাবিকভাবেই এই কামনা করি যেন আপনি খুব তাড়াতাড়ি সচল হয়ে যান।

আমাকে ভুল বুঝলেন। উপরের মন্তব্য দেখুন।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

রাফি এর ছবি

জুলিয়ান ভাই এই ব্যাপারটা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে বিব্রতবোধ করছি; আমি মনে করি মন্তব্য করা শোভনও নয়।

তবু একটা কথা জানিয়ে রাখি, আমার এতদিনের অভিজ্ঞতায় মনে হয়েছে সচলায়তনের পরিবার হয়ে উঠার নেপথ্যে এই 'প্রসেস' টার বড়সড় একটা ভূমিকা আছে; প্রশংসনীয় ভূমিকা আছে সচলের সকল লেখক ও পাঠকদের ভ্রাতৃত্ববোধের।

আমি সবসময়ই আপনার লেখার একজন মুগ্ধ পাঠক। আপনার লেখার মাঝে এই জটিলতাকে টেনে না আনলেই আমাদের মত পাঠকের জন্য স্বস্তিকর হবে।
আপনার জন্য শুভকামনা।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আশ্চর্য আপনিও আমাকে ভুল বুঝলেন! উপরের মন্তব্য দ্রষ্টব্য। চিন্তিত
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আশ্চর্য আপনিও আমাকে ভুল বুঝলেন! উপরের মন্তব্য দ্রষ্টব্য। চিন্তিত
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সৌরভ এর ছবি

কেউ সচলায়তন থেকে চলে যাবার ঘোষণা দিলেন, কিংবা কোন অভিযোগ করলেন - এইসব বিষয় নিয়ে পোস্ট খুব একটা ভালো লাগে না।
সাইট তৈরি এবং মডারেশন এর গুরুদায়িত্ব যারা পালন করেন, তাদের উপরে পরিপূর্ণ আস্থা রাখি। শুভ কামনা।


২৭. বেহেস্ত যাওনের খায়েশ হগ্গলের, আপত্তি শুধু মরনে


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আলমগীর এর ছবি

সৌরভ, রাফি আর অতন্দ্র প্রহরীর সাথে একমত।

যারা মডের দ্বায়িত্বে আছেন তারা নিজের শ্রম ও সময় ঢেলে দিচ্ছেন কোন প্রত্যাশার ব্যতিরেকে। তাদেরকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে ফেললে তা খুব কষ্টের হবে। মডুদের কাজ ও সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আস্থা রইল। ধন্যবাদ ছাড়া আর কিছুই দেয়ার নেই।

দৃঢ়ভাবে আশা করছি, এ ধরনের অস্বস্তি খুব দ্রুত কেটে যাবে।

রণদীপম বসু এর ছবি

এ ব্যাপারে আমি একমত যে কমিউনিটির সাথে মানিয়ে নেয়ার বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিজেদের মধ্যেই একটা ব্যালেন্স গড়ে ওঠে। আর বাইরের যত বিবাদই থাক, গৃহবিবাদটা ভয়ঙ্কর। সেক্ষেত্রে সচলের এই দৃষ্টিভঙ্গির সাথে আমি সহমত পোষণ করি।
এখানে আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। আমরা লিখি কেন এবং ব্লগিং করছি কেন ? ব্লগিং এর আগেও আমরা লিখতাম, এখনও লিখি, আগামীতেও আশা করছি লিখবো। লেখক হিসেবে সহলেখক ও পাঠকের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াটা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে, নিজেকে নির্মোহভাবে দেখতে সহায়তা করে এবং আরো আপগ্রেড হতে সহায়তা করে। এ দিক বিবেচনা করলে সচলের সদস্য আর অতিথি সদস্য এর মধ্যে খুব একটা তফাৎ দেখি না।

এবং যেহেতু একজন লেখক তার লেখাটাকে প্রকাশিত দেখতে আগ্রহী থাকেন, একটু সংবেদনশীলও থাকেন, পোস্ট করা লেখাটা অনিশ্চিৎ অপেক্ষায় না রেখে যদি প্রকাশের যোগ্য হয়, মডারেটররা বোধ করি তা দ্রূত প্রকাশের উদ্যোগ নিতে পারেন। অবশ্য নেপথ্যের কারিগর হিসেবে তাদের আরো বহু ঝামেলাও হয়তো পোহাতে হচ্ছে যা আমরা অনভিজ্ঞ চোখে বুঝতে পারি না। এজন্য তাঁরা অবশ্যই কৃতজ্ঞতার দাবীদার। আমরা তো কেবল পাকা ফলটা পেড়ে খাচ্ছি এবং কখনো টক হলে গাছের প্রতি অভিমান করছি।

ব্যক্তিগতভাবে আমার চাওয়াটা অতি সামান্য। অতিথি বা পূর্ণ সচল আমার কাছে কোন ফ্যাক্টরই নয়। কেবল নিয়ম পরিপন্থি না হলে আমার পোস্টটা দ্রুত প্রকাশ করে দিলেই আমি খুশি। পূর্ণ সচল হলেই যে আমার যোগ্যতা এর চে' বেশি বেড়ে যাবে তা আমি মনে করি না। ধন্যবাদ সবাইকে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

মনজুরুল হক এর ছবি

প্রিয় জুলিয়ান সিদ্দিকী,
অনেক দেরিতে আমাকে করা অনুরোধ পড়লাম।আপনার অনুরোধ রাখতে পারলে ভাললাগত। রাখতে পারছি না বলে দু:খিত ভাই।
যে মানুষটি আখ্যায়িত হয়েছেন'ধর্য্যহীন ঝামেলাবাজ' হিসেবে,তার জন্য সমবেদনা দেখাতে গিয়ে আপনার আবার সমস্যা না হয় !

"মনজু ভাই তাঁর তর্ক শুরুই করেছেন নিজস্ব মানসিক বিষফোঁড়ার প্রেক্ষিতে। তাঁর কন্যাটি অসুস্থ ছিলো, তিনি টেনশনে ছিলেন, সেই ঝাল তিনি ঝেড়েছেন সচলের ওপরে। তিনি একাধিকবার জানিয়েছেন, তাঁর ধারণা মডারেটররা তাঁকে পছন্দ করছে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। এই ধারণার ভিত্তি কী আমি জানি না, কিন্তু তিনি কলহ করছেন এই ধারণার আলখাল্লা মডারেটরদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের সাথে।"

দেখুন কর্তৃপক্ষ আমার মুখের ওপর এই 'প্রোফাইল'লটকে দিয়েছেন। এর জন্য পোস্ট দেওয়া কি আপনার ভবিষ্যতের জন্য ঠিক হচ্ছে ?

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় নোটিশবোর্ড দেখা যায় এরকম:-

"শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো"
-আদেশক্রমে:কর্তৃপক্ষ।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ভাল থাকবেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

মনজুরুল হক।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।