হাওয়াই মিঠাই ১৫: অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচন

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: বুধ, ২১/০৭/২০১০ - ১:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কদিন আগে এখানে একটা মজা হলো। রাতে ঘুমুতে যাবার সময় জানতাম এখানকার প্রধানমন্ত্রীর নাম কেভিন রাড, সকালে উঠে শুনি, রাড নয়, এক রাতেই প্রধানমন্ত্রী পালটে গেছে, এখন প্রধানমন্ত্রী হলেন জুলিয়া গিলার্ড।
ব্যাপারটা হুট করে হজম হলো না যদিও, অনেকটা আমাদের উপমহাদেশীয় অঞ্চলের ক্যু-এর মত অবস্থা।
জুলিয়া গিলার্ড দু দিনের মাথাতেই ব্যাপক আলোচনায় চলে আসলেন। ভদ্রমহিলা, তার সময়ে, ব্যাপক সুন্দরী ছিলেন। গত বছর কোন একটা অনলাইন পোলে, অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে আবেদনময়ী (হলো না বোধহয়, ওয়ান আপ অন কজ সি-র সঠিক বাংলা কী হবে? ) রাজনীতিক নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পত্রিকায় ছবি টবি দেখে কথাটা নির্বিবাদে মেনে নিলাম।
তারওপরে, মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবার সময়ে আরও তুলকালাম, সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাসী নন, তাই ঐ বায়বীয় ভদ্রলোকের নামে শপথও নিতে পারবেন না।
এখানকার লোকে কেউ কেউ খুশী হলো, কেউ ভুরু কুঁচকে তাকালো, আমি ব্যাপক আমোদ পেলাম।
জুলিয়া এসেই অনিল কাপুর স্টাইলে, মানে, নায়ক সিনেমায় একদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া অনিল কাপুরের কথা বলছি, জুলিয়া ঠিক তার মতই ধুমধাম সব সমস্যা ঠিক করতে উঠে পড়ে লেগে গেলেন। প্রথমে খনি শ্রমিকদের উপর চেপে বসা ট্যাক্স কমিয়ে দিলেন। মন্দ লোকে বলে, কেভিনের সরে যাবার পেছনে নাকি ওদেরই হাত আছে।
খানিকটা সুস্থির হয়ে কদিন আগে তিনি নির্বাচনেরও ঘোষণা দিলেন।
অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন নিয়ে আমি খুব একটা চিন্তিত নই অবশ্য। আগেও বলেছি, বেল গাছে আপাতত বাসা বেঁধেছি যদিও, তবু বেল পাকলে পরেও আমার পরিচয় কাক বৈ অন্য কিছু নয়।
তবু, আজ সকালে, পোস্ট বাক্স খুলে দেখি একটা চিঠি এসেছে। বর্তমান বিরোধী দলের মেলবোর্ন প্রার্থীর চিঠি। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ এগুলো, গড় হারে সবার বাক্সে দিয়ে যায়।

আমি কী ভেবে চিঠিটা খুলে নিয়ে পড়লাম।
আমাদের দেশে নির্বাচনের আগে আগে বেশ হাড্ডাহাড্ডি অবস্থা দাঁড়ায়। কেউ কারে নাহি ছাড়ে, বরং পারে তো ডিশুম ডিশুম মারে। এই ভদ্রলোকের চিঠি দেখলাম বেশ সভ্য-ভব্য। আমি ভাবলাম অনুবাদ করে ফেলি।

প্রথম লাইনটা এরকম, “ডিয়ার ভোটার, দিস ফেডারেল ইলেকশান ইজ ক্রুশাল ফর দ্য ফিউচার অব আওয়ার নেশান।”
তো, আমি অনুবাদ করলাম, “প্রিয় ভোটার, সামনের নির্বাচন আমাদের জাতির ভবিষ্যতের জন্যে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।”

এটুকু লিখেই মনে হলো, এক কাজ করলে কেমন হয়, বাংলাটা বদলে ফেলি। আমাদের দেশীয় নির্বাচনের আমেজে যদি এটার অনুবাদ করি!
তো শেষমেষ ব্যাপারটা এরকম দাঁড়ালো।

“ আমার প্রাণপ্রিয় ভাই ও বোনেরা,
আসসালামুয়ালাইকুম। আপনারা জানেন, এবারের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন আমাদের এই অভাগা জাতির জন্যে এক মহা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। দুনিয়া জুড়া এই যে পচুর গিয়াঞ্জাম, আর অস্ট্রেলিয়ার মাথার উপরে এই যে একশ বিলিয়ন ডলারের ঋণের বোঝা, এইসব নিয়া, আমরা আমাদের জীবনের এক ক্রান্তি লগ্নে আসিয়া দাঁড়াইছি।
গত তিন বছর ধরে ‘লেবার’ সরকারের একের পর এক ব্যর্থতার কারণে আমাদের মেরুদন্ড ভেঙে গেছে, আমরা দুর্বল হয়ে গেছি। এমনকি এই সরকার নিজেরাও স্বীকার করে নিয়েছে যে তারা পথ হারাইয়া ফেলিয়াছে।

ভাইসব, জিনিসপত্রের আকাশ ছোয়া দাম আর ব্যাংকের সুদের হার বাড়তে বাড়তে অনেক অস্ট্রেলিয়ান পরিবারকে এখন একেবারে খাদের কিনারে নিয়া গেছে এই সরকার। পাহাড়সমান ঋণের বোঝা, বাজেট ঘাটতি, ইশকুল আর বাড়িঘর উন্নয়ন প্রকল্পের জগাখিচুড়ি অবস্থা, এবং বহির্দেশ থেকে চোরাকারবারিরা একের পর এক আমাদের দুর্বল সীমান্ত দিয়া এ দেশে ঢুকে পড়তেছে। এই সরকার সেসবে ধ্যাণ না দিয়ে নতুন নতুন ট্যাক্স বসাইয়া আজকে চাকরি বাকরি আর পুঁজি বিনিয়োগকারীদের হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। সেই সাথে একটা ভাঙা খাটের পায়ার মতন নড়বড়ে অর্থনীতি আমাদের জনজীবনে আজকে দুর্যোগের ঘনঘটা বয়ে এনেছে।

এখন আবার লেবার পার্টি তার ভেতরের ক্ষমতাসীনদের গোপন কলকাঠি নাড়িয়ে অস্ট্রেলিয়ান ভোটারদের অবজ্ঞা করে  মিনিটের মধ্যে একটা প্রধানমন্ত্রীকে হঠিয়ে দিয়ে আমাদেরকে আরও বেশি অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। তারা ভেবেছে, প্রধানমন্ত্রী বদলাইয়া তারা আমাদেরকে ধোঁকা দিতে পারবে। ভেবেছে, নেতা বদলাইলেই স-অ-ব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু ভাইসব, আমরা বোকা না, আমরা বুঝি। নেতা চলে গেলেও এইটা সেই একই সরকার, একই সমস্যা দিয়ে দিয়ে তারা আরও বেশি দুর্ভোগ নিয়ে আসতেছে।

ভাই ও বোনেরা আমার, চোখ মেলে বাস্তবতা দেখেন, দেখেন এই সরকার কেমন করে সারা জীবন শুধু মুখে বড় বড় বুলিই ফুটাইয়া গেছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করে নাই।

কিন্তু, আমি, আজকে, এই আপনাদের সামনে দাঁড়াইয়া প্রতিজ্ঞা করতেছি, লিবারেল পার্টির একজন সদস্য হিসেবে আমি খালি কথায় চিড়া ভিজাবো না, কাজের মাধ্যমে আমি আমার কথার প্রমাণ দিবো।

আমাদের দলের কাজের ধারা দেখলেই আপনারা আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কে বিশদ জানিতে পারবেন। যার মধ্যে আছে, সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই দেশের অর্থনীতির পিঠ সোজা করা, লেবার পার্টির করা বিশাল ঋণের বোঝা কমাইয়া আনা, এই সরকার যত টাকা অপচয় করেছে সব কিছু থামিয়ে দিয়ে বাজেট ঘাটতি থেকে উদ্ধৃততে নিয়ে যাওয়া। অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত আরও দুর্ভেদ্য করে তুলবো আমরা, শিক্ষার মান বাড়ানো হবে, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অবহেলা না করে তাদেরকে সহায়তা দেয়া হবে, যেন অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতি আরও বলবান হয়ে ওঠে।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা, আজ এই শুভ লগ্নে, আমি আপনাদের কাছে হাত জোড় করে ভোট চাইতে এসেছি। কথা নয়, সত্যিকারের কাজ করার এখুনি সময়, অস্ট্রলিয়াকে সঠিক পথে চালনার এখনই সময়।

আপনাদের বিশ্বস্ত,
সাইমন ওলসেন। “

আমি যা বুঝলাম, সব দেশের রাজনীতিকরা আসলে ঘুরে ফিরে একই কথা বলে, কেউ ভুলভাল বাংলায়, আর কেউ শুদ্ধ ইংরেজিতে।

- মূল চিঠির ছবি


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ চিঠি। অসাধারণ অনুবাদ।
পড়ে ব্যাপক মজা পেলাম।

দ্রোহী এর ছবি

আমি তো দেখছি প্রধানমন্ত্রী নিবার্চন অপেক্ষা মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়া নির্বাচন নিয়েই লোকজন অনেক বেশি উত্তেজিত!

হো হো হো


কি মাঝি, ডরাইলা?

সাঈদ আহমেদ এর ছবি

কয়েকটা বিষয়ে একটু দ্বিমত পোষন করছি।

ব্যাপারটা হুট করে হজম হলো না যদিও, অনেকটা আমাদের উপমহাদেশীয় অঞ্চলের ক্যু-এর মত অবস্থা।

- ক্যু একটা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটা উপমহাদেশীয় অঞ্চলের মতো নয়। আমাদের রাজনীতির পরিবারতন্ত্রের কারনে এধরনের ক্যু সম্ভব নয়।

অস্ট্রেলিয়া আমাদের মতই সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে, যেই সংসদ সদস্যগণ পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন। কিন্তু ২০০৭ এর নির্বাচনের সময় কিন্তু লেবার পার্টি দলীয় প্রচারনার চেয়ে কেভিন রাডের প্রচারনাই বেশি করেছে (ভোটের স্লোগানও ছিল "কেভিন০০৭")... ঠিক যেভাবে আমেরিকার ভোট হয়েছে ওবামাকে কেন্দ্র করে, পার্টিকে কেন্দ্র করে নয়।

কিন্তু যেহেতু অস্ট্রেলিয়ায় ওয়েস্ট মিনিস্টার পদ্ধতি প্রচলিত, তাই দলীয় সংসদ সদস্যগন যে কোন সময় জোট বেধে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বদলে দিতে পারেন। বিষয়টি অনেকটা নীতিসিদ্ধ (রীতিসিদ্ধ নয়) ক্যু এর মত হলেও, যেভাবে জুলিয়া গিলার্ড কেভিন রাডকে সরিয়ে দিলেন, তা মোটেই উপমহাদেশে সম্ভব নয়। উপমহাদেশে দলনেতা-দলনেত্রীর মতের বাইরে যাওয়াই সম্ভব নয়, ভোট দিয়ে নেতৃত্ব পরিবর্তন তো প্রশ্নই আসে না। নেতৃত্ব পছন্দ না হলে হয় নতুন দল করতে হবে, নয়তো উর্দির হাত ধরে হত্যাযজ্ঞের পথে হাটতে হবে। আপাত: দৃষ্টিতে তাই অস্ট্রেলিয়ার এই পদ্ধতিটিই অনেকটা সুশীল মনে হয়েছিল।

কিন্তু কেভিন রাডের পরিবর্তনে এর দুটো খারাপ দিক চোখে পড়লো--

১. জনগন যেখানে কেভিনকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলো, সেখানে জনগনকে তার মত প্রকাশের সুযোগ না দিয়ে রাতারাতি প্রধানমন্ত্রী বদল কী ধরনের গনতন্ত্র তা আমার মাথায় ঢুকে না।
২. জনগনের চেয়ে সংসদ সদস্যদের প্রভাবিত করা সহজ। অর্থের বিনিময়ে ভোটদানের প্রচলন তো খোদ আমেরিকাতেই দেখেছি। আর একারনেই পোস্টের দ্বিতীয় বক্তব্যটি নিয়ে আপত্তি-

প্রথমে খনি শ্রমিকদের উপর চেপে বসা ট্যাক্স কমিয়ে দিলেন। মন্দ লোকে বলে, কেভিনের সরে যাবার পেছনে নাকি ওদেরই হাত আছে।

কেভিন রাডের "রিসোর্স সুপার প্রফিট ট্যাক্স"-কে ঠিক "খনি শ্রমিকদের উপর চেপে বসা ট্যাক্স" বলা যায় না বোধ হয়। যদিও খনি মালিক ও বিরোধিদল উভই খনি শ্রমিকদের নিয়ে প্রতিবাদ করেছে, সুপার ট্যাক্স শুধু দেশের খনি থেকে আসা কোম্পানীর মুনাফার উপরই প্রযোজ্য ছিল। শ্রমের উপর এর প্রভাব আইনি এবং অর্থনৈতিক কারনে খুব কম বলেই বলা হয়েছে।

এই ট্যাক্সে না দেবার জন্য কত দ্রুত একটি গণতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী বদলে দিল খনি মালিকেরা!
-----------
চর্যাপদ

-----------
চর্যাপদ

কনফুসিয়াস এর ছবি

আপনার দ্বিমতের সাথে একশভাগ একমত।
আমি এ বিষয়ের তথ্যপ্রবাহ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে ফলো করিনি আসলে। একদমই হেডলাইন পড়ুয়া জ্ঞান আমার। হাসি

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কনফু বেটা ফন্ট চেইঞ্জ কারলো, নেইতো গাব্বার সিং আ জায়েগা...

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

গব্বরে কি যন্তর দিল ... ফন্টের ইউনিফরমিটিতো বাসান্তির ইজ্জত হয়া যাইতাসে .... (আচ্ছা, এই পুরা কথাটার মানে কি?)
__________________________
Any day now, any day now,
I shall be released.


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

কনফুসিয়াস এর ছবি

ফন্টটা দেখতে আসলেই অন্যরকম লাগছে। কিন্তু এটা বদলাবো কেমন করে!!
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

১. এডিট
২. সিলেক্ট অল
৩. ফন্ট বিএনজি

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

হরফ এর ছবি

আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং তর্জমা লাজওয়াব হাসি জুলিয়া গিলার্ডের ছবি দেখে মনে হল মহিলা অত্যন্ত ব্যক্তিত্যময়ি, বুদ্ধিমতি এবং সুরূপা আরো মনে হল যে কোনোদিন এঁর জীবন নিয়ে সিনেমা হলে জোডি ফস্টারকে দিব্ব মানাবে। আমার অবজারভেশন ঠিক না ভুল আপনি ভালো জানবেন।
------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

হরফ এর ছবি

আর একটা প্রশ্ন কনফুসিয়াস। এই তথ্যটা কি সঠিক নয়? এটা সঠিক হলে তো আর গোল থাকে না, ক্যু ভাবার কারণ-ও না। তাই না?
Gillard became the Deputy Prime Minister following Labor's victory in the 2007 federal election, also serving as Minister for Education, Employment and Workplace Relations. On 24 June 2010, after Kevin Rudd stood aside, Gillard became federal leader of the Australian Labor Party and thus the Prime Minister.
-------------------------------------------------------------------------------------
"ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে"

ছুটলে কথা থামায় কে/আজকে ঠেকায় আমায় কে

কনফুসিয়াস এর ছবি

ক্যু হয়েছে বলিনি তো, ক্যু এর মত হয়েছে। হাসি
-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমম...রাজনীতিবিদ ত রাজনীতিবিদই।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সুন্দরী প্রধামন্ত্রী থাকতে অন্যদলে ভোট দেয়া ঠিক হবে না। হাসি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অষ্ট্রেলিয়ানরা দেখি নির্বাচনের মজাই টের পায় না। আরে নির্বাচন কি খালি সংসদ সদস্যদের জন্য নাকি? মাসখানেকের বিরাট এক উৎসব... এগোরে বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আনতে হবে একবার।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শুভাশীষ দাশ এর ছবি

অনুবাদ ভাল্লাগলো। আর ফন্ট অনেক ছোট।

শিরোনামে বানানটা অস্ট্রেলিয়া হবে।

--------------------------------------------------------------
অভ্র আমার ওংকার

অতিথি লেখক এর ছবি

সব দেশের রাজনীতিকরা আসলে ঘুরে ফিরে একই কথা বলে, কেউ ভুলভাল বাংলায়, আর কেউ শুদ্ধ ইংরেজিতে।

ভালো বলেছেন।

সুমিমা ইয়াসমিন

তাসনীম এর ছবি

লেখাটা পড়তে পড়তে যেটা মনে হচ্ছিল সেটা শেষে বলে দিয়েছেন...

আমি যা বুঝলাম, সব দেশের রাজনীতিকরা আসলে ঘুরে ফিরে একই কথা বলে, কেউ ভুলভাল বাংলায়, আর কেউ শুদ্ধ ইংরেজিতে।

তবে সব দেশে মনে হয় উত্তরপাড়া এসে রাজনীতি শেখায় না, শুধু কিছু কিছু দেশেই সেটা হয় চোখ টিপি

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।