আমি, তুমি আর সে...

স্বপ্নাহত এর ছবি
লিখেছেন স্বপ্নাহত (তারিখ: শনি, ১৯/০৭/২০০৮ - ৫:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার মেইল আইডি হলঃ xihad76 এট yahoo.com.

আমার পাসওয়ার্ডটা যদি আপনাকে বলে দেই আর আপনি কষ্ট করে ১৮ সংখ্যার শব্দচাবিটা ভুল ভাল না করে লিখে আমার ইনবক্সে প্রবেশ করেন তাহলে যারপরনাই হতাশ হবেন। বেশিরভাগই গ্রুপ মেইল আর ফরোয়ার্ড মেইল। এইসব হাবিজাবি জিনিসগুলাই এত বিশাল পাসওয়ার্ড দিয়ে যক্ষের ধনের মত আগলে রাখার জন্য আমাকে তখন ধইরা যদি চুবাইতে ইচ্ছা করে তাহলেও বলবো সমস্যাটা আপনার না, আমার মাথাতেই। তারপরও মাঝে মাঝে ভুল করে পশ্চিম দিকে সূর্য দিকে ওঠে আর আমার ইনবক্সেও ব্যক্তিগত মেইল আসে। দুইদিন আগে ছিল সেইরকমই একটা দিন। ইনবক্স খুলেই দেখি মাহবুব লীলেন নামের এক ভদ্রলোক একটা ব্যাক্তিগত মেইল হাতে আমার জন্য বসে আছে। আমি শিহরিত বোধ করি। YAK (লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কে (LAN) এ ব্যবহার করার জন্য মেসেঞ্জার সফটওয়্যার) এ রায়হান আবীরকে একটা ঝাকানি দিয়ে বলি তুই কিছু পাইছিস?
- কি পামু?
তখন মনে পড়ে কি পাবে সেটাই আমি এখনো বলিনাই। সব শুনে ওপাশ থেকে ও দুইদিকে মাথা নাড়ে। আমাকে বলে-
- যাবি নাকি?
আমি প্রথমে কিছুক্ষণ গাঁইগুঁই করি।
- দোস্ত, দুই দিন হইলো একফোঁটা ঘুমাইনাই। এই অবস্থায় গাঞ্জাখোর টাইপ চেহারা নিয়া ক্যাম্নে যাই।

ও বলে, ঠিকাছে। যাবার দরকার নাই। এর আধাঘন্টা পড়ে লাস্ট আটচল্লিশ ঘন্টায় প্রথম বারের মত আমি দুই চোখ বন্ধ করলাম। দুলদুল কিংবা আজমেরী বাসে উঠলেই আমার ক্যানো জানি খালি ঘুম পায়। পাশের সীটে রায়হান। আর ওর পাশেরটায় মহিব।

প্রথমে মিরপুর এক এ রায়হানের বাসায় গেলাম। বড় ঝাকুনিওয়ালা পথ। তারমধ্যেই আমার ঘুম পর্ব চলতে থাকে। একবার নিচু হয়ে আসা রাইডার এর ছাদে মাঝারি সাইজের বাড়ি খেলাম। ঘুম থেকে উঠে মাথাটা ডলে আবার ঘুম। ওর বাসায় কাজ শেষ হবার পর শাহবাগের উদ্দেশ্যে আমরা বেরোই। ডেডলাইনের তখন খুব বেশি দেরী নাই। 'বিকল্প' বাসে ঊঠে বিকল্প কোন সমাধান আর জোটেনা। চিরাচরিত সান্ধ্যকালীন জ্যামে পড়ি। ফার্মগেট আসতে আসতে দেখি আর পনেরো মিনিট আছে ডেডলাইন শেষ হতে। রিকশাওয়ালার লগে রায়হান ভাড়া নিয়ে সিস্টেমবাজি শুরু করে। আমরা দুইজন দরদাম মূর্খ মানুষ ওর পিছু পিছু হাঁটি। যারা শুধু জানি যার কাজ তাকে করতে দেয়াই ভাল।
আমাদের সিস্টেমবাজ এইযাত্রায় অবশ্য খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনা। ওর বলা ভাড়ায় কেউই যেতে রাজি নয়।
আমরা বলি- দোস্ত,আর কত। হাঁটতে হাঁটতে তো শাহবাগই চইল্যা আসলাম। বেশি ভাড়াতেই আয় আজকের মত যাই।
ও বলে- দাঁড়া, আরেকটু দেখি। আমরা দেখতে থাকি।
দেখাদেখির ফসল হল প্রথম রিকশাওয়ালার কাছে আবার তিনজনের ফেরত আসা। যে জনা পনের রিকশাওয়ালাকে হাত পা না ধরে যতটুকু অনুরোধ করা যায় ততটুকু করা হল তাদের মধ্যে প্রথম জনই সবচে কম ভাড়ায় রাজী হয়েছিল।
ততক্ষণে ডেডলাইন পার হয়ে গেছে। আরেক দফা জ্যাম জেলী খেয়ে যখন আজিজ এর সিঁড়িতে পা রাখলাম তখন আটটা বাজে।
কথামত তিনতলায় উঠে নির্দিষ্ট জায়গাটা খুঁজতে থাকি। আমরা কেউই আগে এখানে আসিনি। অন্ধকারে কিছুক্ষণ খোঁজাখুজি করে খুঁজে না পেয়ে যখন চোখে আরো বেশি অন্ধকার দেখছি তখনই জায়গাটা চোখে পড়লো। যেখানে পাটি পেতে বেশ কয়েকজন মানুষ বসে আছে। বুঝলাম না যে এইখানে অভিজিৎদার বই "আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী" র উপর কিছু হইতেসে কিনা। মুখ অন্ধকারে লুকিয়ে রাখা মানুষগুলোর সামনে যখন দাঁড়িয়ে আছি আর এর পরে কি করা যায় ভাবতেসি তখন তাদের মধ্য থেকে কেউ একজন বললেন- মহিব ঐ দিকে গিয়ে বসো। যদিও বলা হলো শুধু মহিবকে। ওর সাথে আমরা দুইজনও বসে পড়লাম এক সাইডে গিয়ে। যিনি বসতে বলেছিলেন তাকে চিনতে অবশ্য খুব বেশি কষ্ট হলোনা। ব্লগে উনার চাঁদমুখ দেখতে দেখতে চাঁদের চে উনি আমাদের কাছে কোন দিক দিয়েই কম পরিচিত নন। উনার নাম আহমেদুর রশিদ।

আমরা পাটিতে না বসে পাশেই মেঝেতে স্যান্ডেল খুলে তার ওপরে বসে পড়লাম। আমাদের সামনে বসে থাকা মানুষটা বললেন সামনে গিয়ে বসো। পাটির ওপরে তো এখনো অনেক জায়গা আছে। এবার যিনি বললেন তার ব্লগ ফটোটাও আমাদের খুব চেনা। ছবিটা দেখে মনে হয় সুকান্ত ব্রাদার গালে হাত দিয়ে বেশ ভাবসাব মেরে তাকিয়ে আছেন। তিনি আমাদের টুটুল ভাই। তার কথা শুনে আমরা তিনজনই একই সাথে দুই দিকে বেশ জোরে সোরে মাথা নাড়লাম। স্কুল লাইফ,কলেজ লাইফ এবং বর্তমানে ভার্সিটি লাইফ ( সম্ভব হলে আফটার লাইফেও)- সব লাইফেই ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে ছিলাম। আজকে এখানে এসে সেই ট্রেডিশন ভাংগার তেমন কোন ইচ্ছে জাগলোনা।

সভায় তখন বেশ সিরিয়াস মুডে সবাই। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা তিনজন তার মাঝে এইদিক ওদিকে অন্ধকারে চোখ কুঁচকে সবার চেহারা ঠাহর করার চেষ্টা করছি আর তাদের নামগুলো অনুমান করার চেষ্টা করছি। যিনি তখন বলছিলেন তাকে চিনতে সমস্যা হলোনা। বোধহয় তার বক্তব্যের বিষয় বস্তুর জন্যই। তিনি ফারুক ওয়াসিফ ভাই, ব্লগের সাহসী কন্ঠ। আমরা মুগ্ধ হয়ে তার কথা শুনতে থাকি। আমার ডান পাশে যিনি বসে তাকে চিনতে পারছিলাম না। তবে একজন যখন ফোন নাম্বার লেখার জন্য আমাদের হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিলেন সেই লিস্ট থেকে জানলাম ইনি গৌতম ভাই।
ভাল কথা। কিন্তু যিনি ফোন লিস্টের জন্য কাগজটা দিলেন তিনি কে? আমি ঘাড় উঁচিয়ে তার চেহারাটা দেখতে চেষ্টা করি। সামনে টুটূল ভাইয়ের জন্য ঠিকঠাক দেখতে পাচ্ছিলাম না। হ্যা, এইবার ঠিকঠাক দেখা যাচ্ছে। মুখে নুরানী টাইপের চাপ দাঁড়ি। ফর্সামত একজন। এই অন্ধকারেও অন্যদের চে তার চেহারাটা পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে। দেখলেই মনে হয় দিনে তিন বেলা ফেসওয়াশ করে অভ্যস্থ চেহারা সচেতন একজন মানুষ। সেই সাথে "ফেয়ার এন্ড হ্যান্ডসাম" নামক সৌন্দর্যবর্ধক ক্রীমের বাংলাদেশি ব্র্যান্ড এম্বাসেডর হলেও হতে পারে। পরিচয় পর্ব শুরু করার পর যখন এই ভদ্রলোক নিজের নামখানি বললেন আমি মাঝারি সাইজের একটা টাসকি খেলাম। এ হতেই পারেনা! ব্লগে তার লেখা পড়ে পড়ে আর তার নিজের জীবনের কাহিনী শুনে যেরকম একটা মানুষের ছবি চোখে ভাসে সেই মানুষটা সাত দিনে একবার দাঁত ব্রাশ করে আর হাত না ধুয়েই খেতে বসে পড়ে। আয়নায় নিজের চেহারা দেখার টাইমও তার নেই, কারণ তার আয়নাই নাই। দেখবো কি? কিন্তু এখন তো এখানে এসে দেখি সেগুলোর কিছুই ঠিক খাপে খাপে মিলছেনা। এ হতেই পারেনা! এই মানুষটা মাহবুব লীলেন হতেই পারেনা!

এদিকে আমার পাশে রায়হান আবীর উশখুশ করছে। প্রশ্ন নিয়ে তাকাতেই ও বললো দোস্ত, সোজা আমাদের বরাবর সামনে যে লোকটা সে নজু ভাই না? আমি মুখ তুলে তাকিয়ে যাকে দেখলাম সেই লোকটাকে দেখলেই মনে হয় সারাক্ষণ মিটমিটি হাসছে। (আসলেও হাসতে পারে। শিওর না দেখেই মনে হয় বললাম)। ও কথা বলার জন্যে উঠে দাঁড়ায়। আমার সন্দেহ তখনো যায়না। বলি নজরুল ভাইরে একটা মিসকল দিয়া দেখ। মিটিমিটি হাসি থামায় পকেটের দিকে হাত বাড়ালেই তাইলে বুঝা যাবে আসলেই নজরুল ভাই কীনা।রায়হান আবার বসে পড়ে। বসে বেশ বড়সড় একটা মিস কল দিল। কিন্তু অল কোয়ায়েট অন দ্যা ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট। ঐদিকে কোন নড়াচড়া নাই। তারমানে ওটা নজু ভাই না। পরে নজু ভাইরে ফোন দিয়ে জানা গেল সে এখনো অন দ্য ওয়ে। সেই মিটিমিটি হাসির সুখী সুখী টাইপ চেহারার মানুষটার পরিচয়ও শেষমেষ পরিচয় পর্বে এসে উদ্ঘাটিত হল। এবারো শুনে বিশ্বাস হতে চায়না। এ হতেই পারেনা! তার হাসি হাসি মুখ দেখে কেই বা বিশ্বাস করবে - দুনিয়া জুড়ে পচুর গিয়াঞ্জাম!!

আলোচনা পর্ব একসময় শেষ হয় হয়। মাহবুব লীলেন ভাই সবাইকে আবার পরিচয় পর্ব শুরু করার জন্য বললেন। কারণ আমরা ছাড়াও ততক্ষনে বেশ কয়েকজন এসে যোগ দিয়েছে। পরিচয় পর্ব শুরু হল। লীলেন ভাইয়ের পাশেই ক্যামেলিয়া আপু বসা। উনাকে চিনতে অবশ্য বেশি চিন্তা করতে হয়নি। পরিচয় পর্ব পর্যন্ত অপেক্ষাও করতে হয়নি। কারণ উনার চেহারা ঠিক উনার ছবির মতই! গৌতম ভাই আর রায়হান আবীর এর বলার পরেই আমার টার্ণ। প্রথমে পিতৃপ্রদত্ত নামটাই বললাম। অনেকেই দেখি তখনো জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে। আমি দীর্ঘশ্বাস ফেলে আকীকা করা নাম এর বদলে এবার ব্লগিকা করা নামটা বললাম। শুনে ক্যামেলিয়া আপু মনে হয় আমাকে দেখার জন্য একটু মুখ উঁচু করলো আর আমি আমার ক্যাপ নিচু করলাম। ক্যাম্নে মুখ দেখাই। আমার ফেসওয়াশ তো লীলেন ভাই চুরি কইরা নিয়া গ্যাসেগা।

এরপর আস্তে আস্তে বাকি সবার নামও জানলাম... মুজিব মেহেদি ভাই, ভাস্কর দা, রাসেল ভাই, জলিল ভাই, খেকশিয়ালজি, সবজান্তা, মৃদুল ভাই, কীর্তিনাশা, আখতারুজ্জামান ভাই, পলাশদত্ত... আরো অনেকে।

পরিচয় পর্ব শেষ হতেই খেকশিয়ালের খোলস ছেড়ে কৌশিক ভাই আমার সামনে এসে জিজ্ঞেস করলো - জিহাদ ক্যামন আছো? মুখে উদ্ভাসিত হাসি। সে হাসি অন্ধকারেও খুব সহজেই বোঝা গেল। আরও বুঝলাম কৌশিক ভাই নিয়মিত ক্লোজআপ দিয়ে দুইবেলা দাঁত ব্রাশ করেন। যে ভাষায় জিজ্ঞেস করা হয় উত্তরও নাকি সেই ভাষাতেই দিতে হয়। শিমুল আপুর থিওরী। কাজেই কৌশিক ভাইয়ের হাসির জবাবে হাসি দিয়েই উত্তর দিলাম। আমি অবশ্য পেপসোডেন্ট ব্যবহার করি।

অনেকক্ষণ পরে হঠাৎ মহিবের সিগারেট খাবার কথা মনে হল। এতক্ষণ ক্যাম্নে ভুলে ছিল সেইটাই আশ্চর্যের। সিগারেট আছে কিন্তু ম্যাচ নাই। ওদিকে দেখা যাচ্ছে কে একজন মুখে আগুন উঠালো মাত্র। তিনজন উঠে গিয়ে তার সামনে দাঁড়ালাম।
- ভাই, আগুনটা দেয়া যাবে?
মুখ তুলে তাকাতেই দেখি এইডাতো আমগো বিপ্লব দা। এতদিন খালি কাগজে কলবে বিপ্‌লব দিতাম। ভাবলাম একবার বলেই বসি- বিপ্লব দা, আপনি আমাদের আগুন দেন আর আমরা আপনাকে বিপ্লব দিব!
বিপ্লব দা আগুন, সিগারেট সবই দিলেন। উপরি হিসেবে দুইজনের সিগ্রেট নিজ হাতে ধরিয়েও দিলেন। আমি বেকুব ননস্মোকার হিসেবে পাশে দাঁড়িয়ে সেই ভালোবাসা দেয়া নেয়ার সাক্ষী হয়ে রইলাম।

অন্ধকার থাকায় পরিচয়পর্বের সময়ও অনেকের মুখ ঠিক ঠাক দেখতে পারিনি। আলোচনা শেষে সবাই যখন উঠে দাঁড়ালো তখন আমাদের দিকে একজন এগিয়ে এসে হাত বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন - ক্যামন আছেন? ইনি ইয়াং টাইপের একজন। হাসিখুশি মুখ। আমরা নিজেদের পরিচয় দিলাম।
- আর আপনি?
- আমি আকতার আহমেদ!!
আমার ধারণা ছিল আকতার ভাই বেশ বয়েসী হবেন। অন্তত এমন চ্যাংড়া টাইপের হবেন সেটা ভুলেও ভাবিনি। শেষমেষ ভুল ভাংলো। এবং বেক্কল ছড়াকারের পরিচয় পেয়ে আমি কিছুক্ষণ বেক্কল হয়ে তার দিকে তাকিয়ে রইলাম।

শেষের দিকে নজরুল ভাই যখন আসলেন তাকে দেখেই চিনতে পারলাম। আমরা তিনজনেই উঠে গিয়ে পরিচিত হলাম। ইয়ো টাইপের নাট্যকার। দেখে মনে হয় এই লোক নাটক বানাইতে পারলে আমার বানাইতে সমস্যা কই! নজরুল ভাই আগেই আমাদের দাওয়াত দিয়ে রেখেছিলেন। কাজেই ঠিক হল এখান থেকে আমরা চার জনে নজরুল ভাইয়ের উত্তরার বাসায় যাবো। সেখান থেকে আইইউটি। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমরা পথে বেরোলাম। সাথে সাথে আরেকজন হাঁটতে লাগলেন। কথাবার্তায় খুবই আন্তরিক এবং প্রানবন্ত একজন মানুষ। এই মানুষটার পরিচয় জানার মধ্য দিয়ে সেদিন শেষ ধাক্কাটা খেলাম। ইনি সবসময় সিরিয়াস বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা লিখেন এবং যে ধরণের লেখা আমি সারা জীবন সাধণা করেও কোনদিন লিখতে পারবোনা সেই ধরণের লেখা লিখেন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তার সাথে আমাদের অনেকক্ষণ ধরেই অনেক কিছু নিয়ে কথা হল। বলা ভাল শোনা হল। উনি বললেন আর আমরা মুগ্ধ হয়ে শুনলাম। মানুষটা হচ্ছেন নুরুজ্জামান মানিক ভাই। উনার সিরিয়াস ব্লগ গুলো পড়ে যেরকম সিরিয়াস চেহারার একজন গম্ভীর একটা মানুষের কথা মনে হয় বাস্তবে ইনি তার পুরা উলটো। কিন্তু যদি কোনদিন দেখা না হতো তাহলে সেটা আর জানা হতোনা। কাজেই এতদিন ভুল যদি কিছু ভেবে বসে থাকি তাহলে আমার আর কি দোষ। সব দোষ নন্দঘোষের...

আমরা চারজন ট্যাক্সি ক্যাবে উত্তরার দিকে রওনা দিলাম। কিছুদূর যাবার পরেই দেখি মহিবের এস এম এস আসলো। তার একটু পর রায়হানের।

- কিরে। তোদের দুইজনেরই দেখি একসাথে এস এম এস আসলো। কাহিনী কি?

আমার বলা শেষ হতে না হতেই দেখি নজরুল ভাই পকেটে হাত দিয়ে মোবাইল বের করছে।

রায়হান, মহিব বলে- ক্যান, তোর এস এম এস আসেনাই?
আমি মোবাইল আবার চেক করে বলি- না, আসেনাই তো।

লীলেন ভাই বোধহয় মুখে ফেসওয়াশ মাখতে মাখতে আমাকে এস এম এস দেবার কথা পুরোপুরি ভুলে গেছেন।

আমার সেই এস এম এস এখনো আসেনাই।


মন্তব্য

পরিবর্তনশীল এর ছবি

শিরোনাম দেইখা ভাবছিলাম- স্বপ্না, ধূগোদা আর তোরে নিয়া ত্রিভূজ কোন প্রেমের কাহিনী লিখছস। ক্যাম্নে কী? পুরা ব্লগজুড়ে বিভিন্ন বয়সী পুরূষ মানুষের চেহারার বর্ণনা। তয় ব্যাপার না। এই ব্লগ কোন নারী পাঠিকা বিশেষ করে পাণিপ্রার্থী নারী পাঠিকার কাজে লাগবে। লীলেন ভাই- রেডী হয়া যান- আপ্নের রূপের যে বর্ণনা আসছে- ঢাকা শহরের তাবত মেয়েরা আজিজ সুপার মার্কেটে লাইন দিবে।

বিবাহিত পুরুষেরা তাদের শালীদের হেফাজতে রাইখেন। দেঁতো হাসি

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্বপ্নাহত এর ছবি

তোরে আর কি কমু...

তুই এরকম ভাব্বি না তো কে ভাব্বে? তোর যা চরিত্র আমার চে তুইই মনে হয় স্বপ্নারে বেশি মিস করস্‌...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বেবাকেই খালি চামে থাকে কখন ধূগোদারে পঁচানযায়। নাহ, এগুলারে লৈয়া যুদ্ধে যাওন যাইবো না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

মাঝ রাতের বর্ষণ এর ছবি

ভালো লাগিল তোমার গিয়াঞ্জামের সভার অভিজ্ঞতা !

সৌন্দর্য্যে কাতর হয়ে পরার পরপরই হতাশ হয়ে পরি, তাঁর নশ্বরতায় ...

স্বপ্নাহত এর ছবি

মিড নাইট রেইনিং ভাই, ধইন্যবাদ।

নিজে গিয়াঞ্জাম মুক্ত থাকুন, চারপাশ গিয়াঞ্জাম মুক্ত রাখুন...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনারা এইসব গা জ্বালানি পোস্ট দেয়া শুরু করলে তো মুশকিল রে ভাই। হিংসায় জ্বলে পুড়ে মরি। আমিও হিংসাত্মক একটা পোস্ট নামিয়ে দেবো কিনা ভাবছি...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্বপ্নাহত এর ছবি

আহারে!

হ, আপনি পোস্ট নামায় ফেলান। আমি উঠায়া দিমুনে...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

দ্যান উঠায়া !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্বপ্নাহত এর ছবি

ক্যাম্নে জানি উঠায়?

হাতে হাত ধইরা না? খাড়ান, রায়হান ঘুম থেকে উঠবার আগেই আইতাসি চোখ টিপি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

রায়হান আবীর এর ছবি

আমি উইঠা পড়ছি...তোর আর যাওনের কাম নাই...আমি উঠায়া দিতাছি... দেঁতো হাসি
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

স্বপ্নাহত এর ছবি

ঠিকাছে। তুই উঠায়া দে...

এই ফাকে আমি একটু হাতে হাত ধরে ঘুরে আসি দেঁতো হাসি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এইখানে তুমুল হাতাহাতি চলতেছে মনে হয়...

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

স্বপ্নাহত এর ছবি

হ, পচুর গিয়াঞ্জাম।

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধ্রুব হাসান এর ছবি

আপনার ভিতরে যে এতো রস আগে জানা ছিলোনা! অনেক মজা পাইলাম পড়ে (Y)। আসলেই দেশের আড্ডা মনে হয় সেরা আড্ডা! ধন্যবাদ আপনারে, আপনার মাজেজায় সবাইরে আরেকটু খানি বেশী চেনা হলো।

স্বপ্নাহত এর ছবি

"আপনার ভিতরে যে এতো রস আগে জানা ছিলোনা!"

নাম্বার ওয়ানঃ এইটা প্রশংসা হইলো না খোঁটা হইলে সেইটা এই বেকুব বুঝবারতেসেনা। চিন্তিত

নাম্বার টুঃ রসবোধ দূরে থাক, আপ্নে যে আমারে চিনেন সেইটাই তো আমার জানা ছিলনা!!

নাম্বার থ্রিঃ আপনার ধন্যবাদ প্রস্তাব এক সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রীসভায় সাদরে গৃহীত হইলো। হাসি

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

রেনেট এর ছবি

মিছা কতা কন ক্যা? শিমুল আপুর পোস্টে সব ঠিক ঠিক শুনে এলুম হাসি
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

স্বপ্নাহত এর ছবি

কিন্তু আমি যে দেখে এলুম!!
আমগো আফা বললো, নাচো! আর অমনি আপনি নাচা শুরু করে দিলেন!! ভেরী স্যাড।

আর আমি মোটেও মিথ্যা কথা বলিনা। যদি চান তো আমার ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট লীলেন ভাইরে দিয়া দুইবার সত্যায়িত করে আপনার আইডিতে একটা ব্যক্তিগত মেইল করি...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মুশফিকা মুমু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
হাহাহাহাহা অসাধারন চলুক
লীলেন ভাইয়ের ফেসওয়াস হাহাহাহাহাহা
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

স্বপ্নাহত এর ছবি

খালি কি ফেসওয়াস। আর কিছু যে সাথে নাই সেই গ্যারান্টি দিতে পারতেসিনা...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ওই মিয়ারা এক মাইয়ার হাত ধইরা আপ্নেরা কয়জনে হাঁটাহাঁটি করেন? কিছুদিন আগে না মাইয়াটার বিয়ার কথা কে জানি কইসিলো?(পোস্টে।) ওই মিয়া কি দ্যাশে নাই? দেঁতো হাসি

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

স্বপ্নাহত এর ছবি

খাইসে! কন কি!

কোন মাইয়ার বিয়ার কথা কন? ইয়ে, মানে...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আল্লায় জানে !

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রায়হান আবীর এর ছবি


---------------------------------

ইমরুল কায়েস এর ছবি

ও ঘটনা তাহলে এই ।

স্বপ্নাহত এর ছবি

আচ্ছা ঘটনাটা তাইলে কি দাঁড়াইলো? চিন্তিত
---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

মাহবুব লীলেন এর ছবি

স্বপ্নাহত আমাকে ভুল মোবাইল নম্বর দিয়ে গেছে
আমি মেসেজ পাঠাই ওই পাশ থেকে আসে একটা ফাকা মেসেজ
আমি ফোন করলাম ধরল একটা মেয়ে
আমি জিজ্ঞেস করলাম স্বপ্নাহত কই?
বলে রাইতের বেলা কারে স্বপ্নে দেখতে কারে দেখতাছেন। গাজা খাইছেননি?

আমি বললাম এটা জিহাদের ফোন না?
শুনেই কারে যেন চিৎকার করে বলল- দেখোতো কে না কে রাইতের বেলা একবার স্বপ্ন না কি যেন বলে আবার বলে জেহাদের কথা

সংগে সংগে দারোয়ান টাইপের এক পাবলিক ফোন ধরে আমার ফোনে বিল তুলে আমারে বয়ান দিলো টানা দেড় মিনিট....

এর পরে দেখা হলে স্বপ্নাহতরে যদি আমি বাস্তবাহত না বানাই...

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লীলুদা, আমার পক্ষ থাইকাও দুইডা দিয়েন। ফাশট বুক (এই বুক সেই বুক না কইলাম!) দিলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্বপ্নাহত এর ছবি

খাইসে! কন কি...

আপ্নারে দিয়া তাও বিশ্বাস নাই। আমি ভুল নাম্বার দিতেই পারিনা।
আপ্নি বরং ঐ বালিকার নাম্বারটা আমারে মেসেজ করেন। আমি নিজে আগে একটু শিওর হয়া নেই। চোখ টিপি

@গুরু- এই গুলা কি কন?? আপ্নে আর আমি মিলা না গ্রীষ্ম বর্ষা নিয়া কত প্ল্যান করলাম।
নাহ আপনার লগে যুদ্ধে যাওন যাইবোনা।

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ধুরো, কি বুঝতে কী বুঝে!
আমি কইলাম লীলুদা জানি আপনারে বাস্তবে দুই দুইখান বালিকা মহিলা দেয়। স্বপ্নে আর কতো আহত হৈবেন কন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

স্বপ্নাহত এর ছবি

হ, আছিলাম বোকা।

গুরু সেই পিরিয়ড আরো এক্সটেন্ড করবার চাইতেসে মনে হয়।

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

নিরিবিলি এর ছবি

হায়রে...কি ভাবছিলাম আর কি পড়লাম।
অনেক ঘটনাই ঘটছে তাহলে।

সকল প্রকার অভিজ্ঞতারই দরকার আছে বুঝছেন?

স্বপ্নাহত এর ছবি

হোটেল নিরিবিলি ইদানিং বেশি নিরিবিলিতে থাকতেসে...

কাহিনীটা কি? চিন্তিত

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍বুঝলাম, জমাইয়া আড্ডা দিসেন! তাই বইলা রসাইয়া রসাইয়া মাইক লাগাইয়া বর্ণনা দ্যাওন লাগবো?
ক্যাপ মাথায় লোকটা যে আপ্নে, সেইটা কি কইয়া দিতে হইবো?

আমগো হিংসা উত্পাদনের ফল একদিন পাইবেন। কইয়া রাখলাম!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

স্বপ্নাহত এর ছবি

সন্ন্যাসীজি,

ক্যাপ মাথায় আপ্নে আবার কারে কই দেখলেন? চিন্তিত

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

এই সম্মেলনগুলো আর হয় না ক্যান? মন খারাপ

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।