শিখবা নাকি ক্যামেরাবাজি?: উন্মুক্ততা নিয়ন্ত্রণ বা এক্সপোজার কম্পেনসেশন (Exposure Compensation)

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৮/০৫/২০০৯ - ৯:৩৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক্যামেরার লাইট মিটারিং সিস্টেম কখনো কখনো ভুল এক্সপোজার মান নির্ধারণ করতে পারে। অথবা আপনি নিজেই এক্সপোজার মানটাকে বদলাতে চাইতে পারেন। এটা কোনো কোনো প্রোজিউমার এবং প্রফেশনাল ক্যামেরায় পাওয়া "ইভি নির্ধারণ" ("EV Compensation") ফিচার ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। সাধারনত এটা -2.0EV থেকে +2.0EV পর্যন্ত প্রতি ধাপে 0.5 বা 0.3EV করে পরিবর্তন করা যায়। কিছু দামি ক্যামেরায় এই সীমা -5.0 EV থেকে +5.0 EV পর্যন্ত বদলানো যায়।

তবে লক্ষ করুন যে, "ইভি নির্ধারণ" এর মান ১ বাড়া মানে "ইভি"র মান ১ কমা, অর্থাৎ আলোর পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যাওয়া। ধরুন ক্যামেরার অটোমেটিক মোড নির্ধারণ করল আপনার অ্যাপারচার f/8, শাটারস্পিড 1/125s এবং ISO 100 হওয়া উচিত - যাতে করে করে মোটেমাটে আপনি 13EV এক্সপোজার পান। একবার ছবি তুলে বা হিস্টোগ্রামের দিকে তাকিয়ে, আপনার কাছে মনে হলো এতে ছবি আন্ডারএক্সপোজড মনে হচ্ছে (অর্থাৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন মনে হচ্ছে)। আপনি তখন +1.0 EV "ইভি নির্ধারণ" ঠিক করলেন। এতে করে ক্যামেরা শাটারস্পীড 1/60s বা অ্যাপারচার f/5.6 ব্যবহার করবে বলে নির্ধারণ করল। এতে নতুন "ইভি"র মান হয়ে গেল 12EV, আলোর পরিমাণ হয়ে গেল দ্বিগুণ।

আপনি যতই আপনার ক্যামেরাকে চিনতে পারবেন, তত আগেই নির্ধারণ করতে পারবেন আপনার কত "ইভি নির্ধারণ" মান দরকার হতে পারে। যেমন আপনার ক্যামেরা যদি উজ্জ্বল বস্তুর আলো কমিয়ে ফেলে তাহলে উজ্জ্বল মেঘের ছবি তোলার আগেই আপনি "ইভি নির্ধারণ" মান -0.3 বা -0.7 EV কমিয়ে ফেলতে পারেন।

(ডিপিরিভিউ থেকে অনূদিত)


মন্তব্য

দ্রোহী এর ছবি

গরীবের ক্যামেরায় আইএসও বাড়াইলে ছবিতে "ফুটকি" [সাবধানে পড়তে হবে] তৈরি হয়।

কোন এককালে ইভি নিয়া খেলাধুলা করেছিলাম। হিস্টোগ্রাম দেখে মোটামুটি আন্দাজ করতে পারি কতটুকু "আলু" লাগবে। দেঁতো হাসি

সিরিজ খেইচ্চা দৌড়াক।

মুজিব মেহদী এর ছবি

বেশ অগ্রসর পর্যায়ের পাঠ। বুঝতে হলে আমার আরো আগে থেকে শুরু করতে হবে। সেজন্য আপনার আর শোহেইল ভাইয়ের এ সংক্রান্ত সবকটা পোস্টই পড়ে ফেলতে হবে বলে মনে হচ্ছে। নাইকনের একটা ডিএসএলআর হাতে আসতে যাচ্ছে। কাজে তো লাগাতে হবে জিনিসটা, তাই না?

............................
বাবামা প্রকল্পটার মেয়াদ এখনো যেহেতু ফুরোয় নি, পোস্টটাকে সে দৃষ্টিতেও দেখলাম। লব্ধ তথ্য এরকম : নামসহ লেখাটির মোট শব্দসংখ্যা ২২৭ আর বিভ্রাটসংখ্যা ৩১, শতাংশের হিসেবে যা প্রায় ১৩.৬৬। নির্দিষ্ট পোস্টে বিস্তারিত প্রতিবেদন ছাপা হতে যাচ্ছে।

..................................................................................
সত্যকথন-স্বভাব
যুদ্ধঘোষণার মতো একটা ব্যাপার প্রায় কথাসভ্যতায়

... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ। ঠিক করেছি।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
এই একাউন্টটি কোন মডারেটরের নয়। এই একাউন্ট থেকে মডারেশন করা হয়না, কিংবা এই একাউন্টের কর্মকান্ডের দায়ভার সচলায়তন নেবে না।

মধ্যসমুদ্রের কোলে এর ছবি

আমার ক্যামেরা নাই। দুষ্ক।

দীপ [অতিথি] এর ছবি

হু, ইভি কমিয়ে বারিয়ে বুঝার চেস্টা করছি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।