সৃষ্টিশীল মানুষের চিন্তা ভাবনা

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: সোম, ২০/১০/২০০৮ - ৯:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:
ভূমিকা মানুষ জন্মগত ভাবেই সৃষ্টিশীল। একটা জেনারেল পারপাস কম্পিউটার যখন আমরা কিনি তখন এর ভিতর তেমন কোন সফটওয়্যার থাকে না। একে আমরা সফটওয়্যার ইনস্টল করি আর কম্পিটার তখন একেক বিশেষ কাজে পারদর্শী হয়ে উঠে। অথচ বিভিন্ন ক্যামেরা, ডিজিটাল পণ্যের সাথে যেমস্ত ক্ষুদে মাইক্রোকম্পিউটার আসে সেগুলোর সফটওয়্যার নিতান্তই একঘেয়ে আর অন্যান্য কাজে পারদর্শী হয়ে উঠতে অক্ষম। একটা মানুষের বাচ্চা যখন জন্ম গ্রহন করে তখন একটি খালি কম্পিউটারের মতোই তার মধ্যে বিশেষ কিছু থাকেনা। সময়ে সে বিভিন্ন বিষয়ে বু্ৎপত্তি লাভ করে এবং সৃষ্টি করতে থাকে অমর সব র্কীতি। অথচ ডিফল্ট কিছু জ্ঞান নিয়ে জন্ম নেয়া বিভিন্ন প্রানীর বাচ্চারা জন্মের পর পরই দৌড়াতে পারলেও সৃষ্টিশীল না। মানুষ স্বভাবগত ভাবে সৃষ্টিশীল হলেও সবাই কিন্তু সমান মাপের স্রষ্টা নন। মোনালিসা একজন মানুষেরই সৃষ্টি আবার অনেক কুৎসিত গণহত্যাও একজন মানুষেরই হাতে সংঘটিত হয়। তাহলে কোন বিষয়টি একজন সাধারন মাপের মানুষকে অসাধারন মাপের স্রষ্টা বানায়? আমরা ধরেই নেই যে কিছু কিছু মানুষ ওই জিনিসটা সঙ্গে নিয়ে জন্মায়। কিন্তু তাহলে বাকিদের কি হবে? কেন আমরা সৃষ্টিশীলতা অর্জন করতে পারব না? ব্যাপারটা কি তাহলে গায়ের রঙয়ের মতো হয়ে গেল না, যেখানে মনে করা হয় কিছু নির্দিষ্ট গায়ের রংয়ের মানুষ সেরা অথচ সৃষ্টিশীল মানুষের মতো গায়ের রংও অর্জন করা যায় না? এই ব্যাপার নিয়ে প্রচুর গবেষনা হয়েছে। মনস্তত্ত্ব, ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইনের মতো বিষয়গুলোতে এব্যপারে প্রচুর আলোচনা রয়েছে। এ বিষয়ে দুটো পর্বে যে বিষয়গুলো তুলে ধরব ঠিক করেছি সেগুলো হল: ১। কেমন হয় সৃষ্টিশীল মানুষ, ২। কিভাবে সৃষ্টিশীলতা চর্চা করা যায়। যদি আপনি সৃষ্টিশীল মানুষ হন তাহলে আপনি হয়ত নিজের সাথে প্রথম পর্বের বিষয়গুলো মেলাতে পারবেন। তবে সৃষ্টিশীল হন বা না হন সৃষ্টিশীলতার চর্চা আপনাকে নতুন কিছু তৈরীর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে নির্ঘাৎ। "তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী?" এটা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন গড়পড়তা সৃষ্টিশীল মানুষ পোষাক আশাকের দিকদিয়ে বেশীরভাগক্ষেত্র আমার আপনার মতো স্বাভাবিক সাধারন মানুষ। সত্যিকার একজন সৃষ্টিশীল আমার আপনার থেকে আলাদা হয় তার মানসিক বোধ, ব্যবহার আর অভ্যেসের প্রয়োগে, জন্মগত কোন বিশেষত্বের কারনে না। নিয়ম করে অভ্যেস করলে এইধরনের গুণের অধিকারী হতে পারেন আপনিও। একটা সৃষ্টিশীল মানুষ জানে মন হচ্ছে অফুরন্ত সম্ভাবনার কারখানা। তাতে অনবরত আইডিয়া, চিন্তা এবং জ্ঞানের যোগান দেয়া চাই যাতে করে মন নতুনতর আইডিয়া তৈরী এবং বিভিন্ন বিষয়ের ভিতর যোগসুত্র গড়ে তুলতে পারে। এই ধরনের একজন মানুষ সযত্নে পরিষ্কার কিছু লক্ষ্য গড়ে রেখেছেন। যেহেতু তিনি জানেন মাথা নিংড়ালেই রস বের হয়, প্রতিদিন তিনি তিনটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করতেই থাকেন: নিজেকে নিয়ে, তার নিজের মূল্য নিয়ে এবং তার আশেপাশের মানুষ নিয়ে। এভাবে এই তিন বিষয়ে চিন্তা করাতে করতে তিনি ক্রমশ অফুরন্ত সম্ভাবনার রত্নভান্ডারের কাছাকাছি চলে আসতে থাকেন। এধরনের লোক আইডিয়ার জন্য যেকারো কাছে হাত পাততে পারেন, অন্যের বুদ্ধিমত্তাকে তাই সম্মান করতে জানেন এবং অন্যকে তার প্রাপ্য কৃতিত্বটুক দিতে দ্বিধা করেন না। আসলে অনেক মানুষের কাছেই টুকটাক আইডিয়া আছে যেগুলো সৃষ্টিশীল মানুষ মুফতে যোগাড় করতে পারেন, তার অনেকগুলোই কিন্তু আইডিয়া হিসেবে অসাধারন। সৃষ্টিশীল মানুষ অনেক সময়েই এই আইডিয়াগুলো জোগাড় করেন, পরিবর্তীত, পরিমার্জিত করেন এবং মূল আইডিয়াকারীকে যথাযোগ্য সম্মান প্রর্দশন পূর্বক কাজে লাগান। আবার আইডিয়াগুলো কিন্তু বান মাছের মতো পিচ্ছিল। তারা বিশেষ দক্ষতায় পিছলে যায় যদি ঘ্যাঁৎ করে পেন্সিলের আগা দিয়ে তাদের গেঁথে না ফেলতে পারেন। সৃষ্টিশীল মানুষদের দেখবেন আইডিয়া পেলে তাকে বেঁধে রাখতে ভুল করেন না। একবার এক বই লেখককে দেখা গেছে বিষয় ভিত্তিক বাক্স সামনে রাখতে। তার যখন কোন আইডিয়া আসতো তখনই তিনি একটা কাগজে লিখে সঠিক বাক্সের মধ্যে ফেলতেন। এভাবে খুব অল্প সময়ে তার হাতে একটা অসাধারন বই লেখার প্রয়োজনীয় মসলা জুটে যায়। সৃষ্টিশীল মানুষের আরেকটা ভালো গুণ হচ্ছে আশেপাশের জিনিস সে খুব ভালো করে লক্ষ্য করে। কে কি বলল, করল ভাল করে লক্ষ্য করা বা নিজের চিন্তার মধ্যে ডুবে থাকা সে খুব ভালো পারে। সে সব সময় নিজের কাজটা আরো ভাল করে কি করে করা যায় কিংবা নিজের জীবনটা কিভাবে আরো ভাল করে উপভোগ করা যায় তা খুঁজতে থাকে। সৃষ্টিশীল মানুষ আন্দাজ করতে পারে সে কি অর্জন করতে যাচ্ছে। সে অনেক সময় ধরে ফেলতে পারে যে জয় তার হবেই। আশেপাশের মানুষ অনেক সময় তার এই ক্ষমতায় অনুপ্রানিত হয়। যারা তাকে চেনে তাদের কাছে সে একটা অনুপ্রেরনার প্রতীক। সৃষ্টিশীল মানুষের কাছে একেকটা সমস্যা হচ্ছে একেকটা চ্যালেঞ্জের মতো। যেহেতু সৃষ্টিশীল মানুষ সারাক্ষন চিন্তা করতে থাকে, ভাবনার খোরাকের জন্য তাই তাদের চ্যালেঞ্জ চাই। সমস্যাকে জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য এবং অপ্রতিরোধ্য অংশ হিসেব তারা ধরে নেয়। তাই সমস্যায় পড়লে তার জন্য দুশ্চিন্তা করে কান্না কাটি করার চেয়ে তার সমাধানে বেশী মনোযোগী হয় তারা। সৃষ্টিশীল মানুষ খুব গুছিয়ে সমস্যার সমাধানে আগায়। অনেক সময় আগেভাগে সমস্যা সর্ম্পকে আন্দাজ করে সমাধান করেই রাখে। যেহেতু সৃষ্টিশীল মানুষ জানে কিভাবে নিজের আইডিয়াগুলো অন্যের সাথে শেয়ার করতে হয়। সে যেমন অন্যের আইডিয়া নেয় তেমনিই অন্যদেরকে দেয়ও। কেননা দিন শেষে ওই হাত গুলোই আইডিয়া খুঁজে পাবে যারা আইডিয়া দেবে। সৃষ্টিশীল মানুষ কোন নতুন আইডিয়া পেলে সুনিদির্ষ্ট ধাপে ধাপে সেটাকে আরো ভালো করার চেষ্টা করে। সে ছোটছোট আইডিয়া জুড়ে তৈরী করে নতুন আইডিয়া, পুরোনো আইডিয়া ভেঙ্গে তৈরী করে নতুন কিছু। সে আইডিয়াকে ক্রমাগত প্রশ্নের মুখোমুকি দাঁড় করায়। কেননা প্রশ্ন হচ্ছে বুদ্ধিমান মনের সৃষ্টিশীল কাজ। নিজের অতিরিক্ত সময়টাকে সৃষ্টিশীল মানুষ খুব ভালভাবে ব্যবহার করে। কেননা সে জানে পৃথিবীর অনেক কল্যাণকর কাজই তৈরী হয়েছে অবসরের সময়টাতে। বেন ফ্রান্কলিন বলেছেন, ‘সৃষ্টিশীল ভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা রহিত হয়ে গেলে, বেঁচে থেকে কোন লাভই নেই।’ তাই নিজের কল্পনাকে ব্যবহার করে জীবনের বাঁধা অতিক্রম করা আমাদের পক্ষে অবশ্যই সম্ভব। লর্ড ম্যাককলে বলেছেন, ‘কল্পনা অস্ট্রীচ পাখির ডানার মতো, সেগুলো আমাদের উড়তে হয়ত সাহায্য করতে পারে না কিন্তু দৌড়াতে সাহায্য অবশ্যই করে; অথচ আমাদের অনেকে হাটতেও পারে না।’ গুস্তাফ ফ্লাউবার্টের একটি উক্তি দিয়ে শেষ করি। ‘সৃজনশীলতা হচ্ছে পরকীয়া প্রেমের মতো। অব্যবহারে আমরা একে দমিয়ে ফেলতে পারি, আবার সৃষ্টিশীলতা, সমস্যা সমাধানের অভ্যেস, অবসর সময়ের ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এর উৎকর্ষ সাধন করতে পারি; যতক্ষণ না আমরা সুখী, গুরুত্বপূর্ণ এবং বুদ্ধিমান মানুষ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারছি।’   আইডিয়া তৈরীর প্রথাগত পদ্ধতি সৃজনশীলতা যে কিছু মানুষের কুক্ষিগত সম্পদ নয় বরং যে কেউ চর্চার করে সেটা আয়ত্ত্ব করতে পারে সেটা আবিষ্কার হয়েছে বেশ অনেকদিন হল। মার্টিন লেইথ নামে এক ভদ্রলোক চমৎকার একটি গবেষনা করেছেন এ বিষয়ে। তার মতে পৃথিবীকে তিনভাবে দেখা যায়: ১। মেশিন হিসেবে: যখন চিন্তা করা হয় অনেক বেশী আইডিয়া তৈরী করতে পারলে তার মধ্যে একটা ভাল আইডিয়া বের হবেই; ২। সিস্টেম হিসেবে: যখন চিন্তা করা হয় ছোট ছোট উন্নতি বড় উন্নতিকে সামগ্রিকভাবে সাহায্য করে; ৩। শক্তি এবং সত্ত্বার একটি ক্ষেত্র: যখন চিন্তা করা হয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সঠিক দিকে আগাতে হয়। এখানে পাওয়া পুরো লেখাটা তার নিজের যোগ্যতার পড়বার দাবী রাখে। এছাড়াও উইকিপিডিয়ার এই লেখাটিও এবিষয়ে ভাল একটি লেখা। আমি সৃষ্টিশীলতার অন্যান্য অনেক দিক নিয়ে আলোচনা না করে বরং আইডিয়া তৈরীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো সাধারন ভাবে আপনাদের লেখালেখি থেকে শুরু করে অন্যান্য কাজে আসবে। আপনাদের কাছে অনুরোধ বড় কোন কাজে কোন পদ্ধতি বেছে নেবার আগে আরেকটু গভীরে পড়াশোনা করতে। এজন্য উপরের লিংকদুটো ব্যবহার করুন - আর গুগলতো রয়েছেই। ব্রেইনস্টর্মিং এটা বোধহয় আইডিয়া তৈরীর সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে প্রচুর ভাল এবং খারাপ সমাধান আসে সমস্যার জন্য। কখনও সেটা গ্রহনযোগ্য হয় কখনও হয়না। কিন্তু একদল লোক একসাথে বসে দ্রুত বেশ অনেকগুলো আইডিয়া তৈরী করতে পারেন বলে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই পদ্ধতি। এই পদ্ধতির কিছু বেসিক নিয়ম আছে: ১। সংখ্যাধিক্যে জোর দাও: ধরে নেয়া হয় প্রচুর আইডিয়া তৈরী করা হলে একটা না একটা ভাল আইডিয়া বের হবেই। তাই ভালো হোক খারাপ হোক প্রচুর আইডিয়া তৈরী করতে হবে। ২। কোন ক্রিটিসিজম চলবে না: প্রথম নিয়মকে গ্রহনযোগ্য করতে এই নিয়ম পালন করা দরকার। ৩। উদ্ভট আইডিয়া সুস্বাগতম ৪। ছোট আইডিয়া জোড়া লাগিয়ে ভাল আইডিয়া তৈরী করা যাবে এ পদ্ধতিতে এক সাথে বেশ কয়েকজন বসেন। প্রথমে নেতা জাতীয় কেউ সমস্যাটা বলেন। সমস্যাটা বুঝার জন্য কেউ প্রশ্ন করলে তার আলোচনা করা হয়। তারপর কেউ কারো সাথে কথা না বলে একটা কাগজে নিজ নিজ সমাধানগুলো লিখে ফেলেন। তারপর একে একে সেই সমাধানগুলো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বিভিন্ন ধরনের সমস্যার জন্য ব্রেইনস্টর্মিংয়ের বিভিন্ন ধরনের ভার্সন আছে। যেমন প্রোডাক্ট ডিজাইনের ক্ষেত্রে ৬-৩-১ নামের একটা পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেখানে ছয়জন লোক তিনটি করে আইডিয়া লিখে তার পাশের জনকে একবারের জন্য পড়তে দেন। তারপর সেটা রিভিউ করা হয়। কোলাবোরেটিভ স্কেচ নামে এক পদ্ধতিতে একেকজন একেকটি প্রোডাক্ট আইডিয়া স্কেচের মাধ্যমে প্রকাশ করে পাশের জনকে দেন, তিনি তা ইমপ্রুভ করে তার পাশের জনকে দেন এইভাবে অনেকগুলো আইডিয়ার একটা ইমপ্রুভড ভার্সন পাওয়া যায়। এভাবে ব্রেইন স্টর্মিং দিয়ে তৈরী করতে পারেন আপনার পরবর্তী লেখার আউটলাইন, কিংবা পরবর্তী নাটকের স্ক্রীপ্ট। মাইন্ড ম্যাপিং মাইন্ড ম্যাপ হচ্ছে কথা, আইডিয়া এসব ছবির মাধ্যমে একটি কেন্দ্রের চারিদিকে ছড়িয়ে প্রকাশ করার একটি পদ্ধতি। এটা ব্যবহার করে আইডিয়া তৈরী, দৃষ্টিনন্দনভাবে দেখতে, সমস্যাকে ভেঙ্গে টুকরো করতে এবং সিদ্ধান্ত নেয়া যায়। ছবিতে দেখানো পদ্ধতিতে প্রথমে মূল সমস্যাটা লিখুন তারপর তার উপ সমস্যাগুলোকে চারপাশে জুড়ে দিন। এভাবে আস্তে আস্তে ভাঙ্গতে থাকুন যতক্ষন সমাধান না পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে মাইন্ড ম্যাপ তৈরী করার জন্য এখন ফ্রী সফটওয়্যার পাওয়া যায়। আমার সবচেয়ে পছন্দের হচ্ছে ফ্রি-মাইন্ড নামের একটি সফটওয়্যার। মাইন্ডম্যাপ এমনকি আপনার নিত্যদিনের চিন্তা ভাবনাকেও অনেক সহজ করতে পারে। যেমন আপনার বাজারের লিস্টিও তৈরী করতে পারেন মাইন্ড ম্যাপ ব্যবহার করে। মূল উদ্দেশ্য বাজার, তার চারপাশে মাংসের দোকান, সবজীর দোকান, মুদি দোকান। তারপর মাংসের দোকানের চারপাশে গরুর গোশ, মুরগী ইত্যাদি। সবজীর দোকানের চারপাশে বাঁধাকপি, আলু ইত্যাদি। এভাবে কাজগুলোকে সহজে সাজিয়ে ফেলা যায়। মাইন্ড ম্যাপিং তাই নোট বুক হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। ‌শেষ কথা‌ এখানে উল্লেখিত দুটি পদ্ধতি ছাড়াও আরো অনেক পদ্ধতি আছে আইডিয়া তৈরীর এবং সৃষ্টিশীল হবার। বেশীরভাগ পদ্ধতি বিশেষ কিছু কাজের জন্য কাস্টোমাইজ করা বলে অনেক সময় অন্যান্যদের জন্য বুঝতে সমস্যা হতে পারে। আমার লেখার পাঠক গোষ্ঠী মূলত: ব্লগাররা বলে আমি অন্যান্য বিষয় আর টানলামনা এখানে। আশা করব এখান থেকে আপনার সৃষ্টিশীল পদ্ধতি খোঁজার যাত্রা শুরু হবে আর নিজের প্রয়োজনে সঠিক পদ্ধতি খুঁজে বার করে ব্যাবহার করতে পারবেন। সৃষ্টিশীল হবার এ পদযাত্রায় আপনাকে আমার সালাম।

মন্তব্য

ভাস্কর এর ছবি
ভালো হইছে ----------------------------------------------------- বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!

স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

ভাস্কর এর ছবি
৫ দিলাম ----------------------------------------------------- বরফখচিত দেশ ক্যান এতোদূরে থাকো!

স্বপ্নের মতোন মিলেছি সংশয়ে...সংশয় কাটলেই যেনো মৃত্যু আলিঙ্গন...

আরিফ জেবতিক এর ছবি
এই না হলে লেখা!!! সাব্বাশ।খুব ভালো লাগলো।
এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
ধন্যবাদ বসবৃন্দ। পিঠ চুলকানী খাইতে বড়ই আরাম। ;)
অরূপ এর ছবি
পুলাপানের পিঠে হাত দেই না রেটিং এর তারাতে দিলাম ------------------------------------- রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
অরূপ মেইল চেক কইরো।
সুমন চৌধুরী এর ছবি
ড্যাবস! ....................................... ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
আরিফ জেবতিক এর ছবি
হায়,সুমন চৌধুরী যে কবে এক শব্দের বেশি লিখিয়া কমেন্ট করিবে আমি সেই আশায় থাকি।
সুমন চৌধুরী এর ছবি
হাহাহাহাহাহাহাহাহা...এইটা আমি করি কোন লেখা পইড়া লা জবাব হইলে..:) ....................................... ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
আরিফ জেবতিক এর ছবি
অ্যা?
সুমন চৌধুরী এর ছবি
এইটা অবশ্য অনেক সময় ত্রিভুজীয় পোস্ট পইড়াও দেই... ....................................... ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ
সৌরভ এর ছবি
ফাইভ স্টার দেয়ার মতো লেখা । ------ooo0------ বিবর্ণ আকাশ এবং আমি ..

আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।