দ্যা শক ডক্টরিন

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি
লিখেছেন এস এম মাহবুব মুর্শেদ (তারিখ: মঙ্গল, ২৮/০৫/২০১৩ - ৪:৩৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বইটার নাম খুব গালভারী। দ্যা শক ডক্টরিন: দ্যা রাইজ অভ দ্যা ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম। গুডরিডসে প্রায় সাড়ে বারো হাজার লোক গড়ে ৪.২২ রেটিং দিয়েছে। সেখানকার হিসেবে অনেক উঁচু রেটিং। আগ্রহী হয়ে পড়া শুরু করলাম।

শক ডক্টরিন হচ্ছে কতিপয় ব্যক্তির একটি বিশ্বাস যে, চরম আঘাত বা শকের ফলে একটি দেশে বিশৃঙ্খলা বিরাজ করলেও এর ফলে দেশটিতে নতুন করে সবকিছু করার সুযোগ তৈরী হয়। সুতরাং প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা যুদ্ধ বিগ্রহ খারাপ কিছু তো নয়ই, বরং এর ফলে একটি পরিষ্কার স্লেট সবকিছু নতুন করে গড়ে তোলা যায়। ধ্বংসের ডামাডোলে পুঁজিবাদী অর্থচোষাদের সম্পদ দখলের এই প্রক্রিয়াটিকেই বলা হয় ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম।

ভারী ভারী শব্দের আড়ালে যেটা প্রকাশ করা হয়েছে সেটা আসলে আমাদের দেশের লোকজনের কাছে অতি পরিচিত। একটা বস্তি ভেঙ্গে শপিং সেন্টার করতে হলে বস্তিতে আগুন ধরিয়ে জায়গা দখল করা কিংবা চর ডুবে গেলে, পানি সরে যাওয়া মাত্র মোড়লের চর দখলের সাথে আমরা খুব পরিচিত। ধ্বংসের পথ ধরে দূর্বলকে সরিয়ে অর্থলোভীদের এই দখল চিরকাল চলে এসেছে। কিন্তু এই বিষয়টি আরো বৃহত্তর পরিসরে, আরো সুপরিকল্পনার মধ্যে দিয়ে চলছে। বইটিতে সেটাকেই আলোকপাত করা হয়েছে।

লেখিকা নাওমি ক্লেইন প্রথমে মানুষের ব্রেইনের উপর বিদ্যুৎ শকের প্রভাবের বিষয়টি থেকে শুরু করেছেন। একসময় মনে করা হতো, মানুষকে বিদ্যুৎ শক, জাগতিক সমস্ত যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন করণ ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় একটি ফাঁকা বইয়ে পরিণত করা যায়। তারপর আবার প্রথম থেকে সেই বইটি লিখে ফেলা যায়। যদিও এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, তারপরও একদল মানুষকে ক্রমাগত নিশ্ছিদ্র অন্ধকার থেকে চরম আলো, পিনপতন নীরবতা থেকে অমানুষিক শব্দ, বৈদ্যুতিক – এই রকম বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ক্লিন স্লেট বানানোর প্রক্রিয়া চলত। শেষমেষ দেখা গেলো এতে কোনো কাজ হয়নি – মানুষকে ক্লিন স্লেট বানানো যায়নি। এই গবেষণার উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে সিআইএর টর্চার ম্যানুয়াল প্রস্তুত করা হয়েছিলো।

ইউনিভার্সিটি অভ শিকাগোর অর্থনীতিবিদ মিল্টন ফ্রায়েডম্যান একটি দেশের অর্থনীতির উপর একই ধরণের শক থেরাপি দেবার প্রস্তাবনা করেন। তিনি বলেন একটি দেশকে দূর্যোগের মধ্যে ঠেলে দিতে পারলে এর মধ্যে দিয়ে বিধ্বস্ত্ব দেশটিতে সবকিছু নতুন করে শুরু করা সম্ভব হবে। কিন্তু এটাতো প্রমান করার উপায় নেই। তাই মিল্টনের মগজ ধোলাই কারখানা থেকে ছাত্রদের শেখানো হলো কিভাবে ডিজাস্টার ক্যাপিটালিজম কাজে লাগানো যাবে।

প্রথম সুযোগ আসলো দক্ষিণ আমেরিকার চিলেতে। সেখানে জেনারেল অগাস্ট পিনোশেঁর নেতৃত্বে প্রেসিডেন্ট সালভাদরে অ্যালেন্দে সমর্থকদের মেরে কেটে দখল নিলো ডিক্টেটর পিনোশেঁ। তারিখ ৯/১১ ১৯৭৩। বত্রিশশো লোক মারা গেলো, আশি হাজার গেলো জেলে, দুই লাখ লোক পালিয়ে গেলো। এই বিধ্বস্ত্ব দেশটিতে বিধ্বস্ত অর্থনীতিতে শিকাগো থেকে স্কলারশীপের লোভ দেখিয়ে মগজ ধোলাই করা অর্থনীতিবিদের পরামর্শে প্রায় সমস্ত সরকার পরিচালিত কোম্পানী পানির দরে বিক্রয় করে দেয়া হলো আমেরিকান প্রতিষ্ঠানের কাছে। বাজারে পন্যের দাম করে দেয়া হলো নিয়ন্ত্রণমুক্ত। এই পরিস্থিতিতে দরিদ্ররা হলো দরিদ্রতর। ধণীরা আরো ধণী।

একইভাবে একই ধরণের প্রক্রিয়া পরে চালানো হলো আরো অনেক দেশে। থ্যাচারের সহায়তায় ব্রিটেনের কয়লা খনির বেসরকারীকরণ, পোলান্ডের বিপর্যয়, দক্ষিন আফ্রিকায় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠালগ্নের সুত্রপাতের ডামাডোলে বেসরকারীকরণ, রাশিয়ায় একই প্রক্রিয়া চালু করা থেকে শুরু করে অ্যামেরিকার ৯/১১ পরবর্তী হোমল্যান্ড সিকিউরিটির প্রতিষ্ঠা, ইরাক যুদ্ধ – এসবকিছু এই একই নীতির উপর প্রতিষ্ঠিত।

শুধু মানুষদের তৈরী করা সমস্যা নয় প্রাকৃতিক দূর্যোগকে ভিত্তি করেও শক থেরাপী দিতে দেখা গেছে বিভিন্ন দেশে। শ্রীলংকার সুনামী পরবর্তী পূর্ণগঠনে দেখা যায় সমুদ্র পার্শবর্তী জায়াগার দখল নিয়েছে সরকার। গ্রামগুলোক সরিয়ে টুরিজম স্পট তৈরীর খায়েশ যেটা আগে সম্ভব ছিলো না সুনামীর সুযোগে এই ব্ল্যাঙ্ক স্লেটে তাই সরকার নতুন করে টুরিজম স্পট করতে চায়। এছাড়া আমেরিকার নিউ অরলিন্সে টর্নোডো পরবর্তী সময়ে একই বিষয় পরিলক্ষিত হয়।

শেষ মেষ উপসংহারে লেখিকা একটি আশার বানী ব্যক্ত করেছেন। এই সব শক থেরাপীতে আক্রান্ত জনপদ একসময় শক কাটিয়ে ওঠে এবং পরবর্তীতে একই প্রক্রিয়া ঘটতে দেখলে প্রতিরোধ করে। তাই বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজন জনসচেতনতার।

একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে বিভিন্ন উদাহরণের বিস্তারিত বর্ণনায় মাঝে মাঝে বইটিকে বোরিং মনে হলেও লেখিকার বিষদ গবেষণা প্রতিটি লাইনকে বিশ্বস্ত করে তোলে। বড় আকারের বৈশ্বিক রাজনীতির অনেকগুলো দিক তাই পরিষ্কার হয়ে ওঠে বইটি পড়া শেষে। অবশ্যপাঠ্য বই এটি।

--------------
সিমনের ব্যাপারে মন খারাপ। বিভ্রান্তিমূলক সংবাদে বিরক্ত এবং কিছু করতে না পারার বেদনায় ভারাক্রান্ত আমি। তবু প্রথম পাতায় খানিকটা বৈচিত্র্য আনার জন্য এবং অনেক দিনের জড় হয়ে যাওয়া আঙ্গুল সচল করতে লেখাটি প্রকাশ করলাম এখনই। সিমন সুস্থ হয়ে উঠুক।


মন্তব্য

তারেক অণু এর ছবি

ইন্টারেস্টিং। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা আর অর্থই মূল লক্ষ্য হয়ে থাকছে। মানুষ এই কিছুই বুঝে, তারপরও ঘুরে ঘুরে সেই একই ভুল করে কেন সেই বিষয়ে কি বইটিতে কিছু বলা আছে?

সেই নেটিভ ইন্ডিয়ান সর্দারের কথা মনে হচ্ছে্‌ যেদিন জগতের সব শেষ হয়ে যাবে, সেদিন বুঝাব যে আমরা টাকা খেতে পারি না।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

নেটিভ সর্দারের কথাটা এক্ষেত্রে প্রযোজ্য না। টাকাই আসলে সব। ইরাকের গ্রীন জোন আর রেড জোনের উদাহরন টেনে দেখিয়েছেন যদি তোমার টাকা থাকে তাহলে পৃথিবীর যাবতীয় সুখ তোমার। তুমি হবে গ্রীন জোনের বাসিন্দা। নইলে রেড জোন, যেখানে নিয়মিত কিডন্যাপ হবে তোমার আত্মীয়, খাবার কিনতে হবে চড়া মূল্যে, চিকিৎসা পাবেনা ভালো। পরে আমেরিকার টর্নেডো কবলিত এলাকার বর্ণনায় দেখিয়েছেন এই গ্রীন জোন আসলে সর্বত্র এবং অদৃশ্য।

অতিথি লেখক এর ছবি

ইন্টারেস্টিং টপিক নিয়ে লিখা।
বইটি পড়ার আগ্রহের সুলতা উসকে দেবার জন্য ধন্যবাদ ।

দুর্জয় সাব্বির
sabbironline6 এট জিমেইল ডট কম

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

হিজিবিজবিজ এর ছবি

ঘুরে ফিরে সব রসুনের গোড়া একই জায়গায়-

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বুঝিনি কি বলতে চাইলেন।

প্রোফেসর হিজিবিজবিজ এর ছবি

বলতে চাইছি যে - যে যা করছে সবার শেষ লক্ষ্য হচ্ছে টাকা।

স্যাম এর ছবি

চলুক চলুক
প্রায় বছর ১০ আগে লোগোর উপর বই খুঁজতে গিয়ে এক বন্ধু আমার জন্য নিয়ে এল নাওমি ক্লেইন এর 'নো লোগো' - ব্র্যান্ডেড দুনিয়ার একদম নতুন গল্প - ভীষণ ভাল লেখনি, মুগ্ধ হয়েছিলাম। আপনাকে ধন্যবাদ তার আরেকটি অবশ্যপাঠ্য বই নিয়ে আলোচনার জন্য।
--------------------------------------------------------------
সিমন সুস্থ হয়ে আগের মত ফিরে আসুক আমাদের মাঝে

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

নো লোগোটা পড়তে হবে। রিভিউটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

mamun এর ছবি

শুধু রাজনৈতিক অর্থনৈতিক জোর খাটানোই নয়, শুনা যায় জোর করে প্রাকৃতিক দূর্যোগও তারা পরীক্ষামূলকভাবে চাপিয়ে দিচ্ছে। বিজ্ঞানের উন্নতি গরীবের জন্য অভিশাপ?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

গরীবের জন্য সব কিছুই অভিশাপ। তারা হল ধনীদের জন্য অর্থ জোগানের কল। আমাদের মত মধ্যবিত্তদের জন্যও একই কথা প্রযোজ্য।

অমি_বন্যা এর ছবি

বইটি পড়বো আশা রাখি। গ্রন্থালোচনা ভালো লাগলো।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

জোহরা ফেরদৌসী এর ছবি

ইন্টারেস্টিং!

__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

কাজি মামুন এর ছবি

আমাদের আমজনতার মধ্য খুব কমন কিছু পারসেপশান আছে, আমরা কিন্তু খুব বেশী স্টাডি না করেই বলে দিতে পারি, আমেরিকা ইরাক আক্রমণ করছে তেল-গ্যাস ছিনিয়ে নিতে। দেখা যাচ্ছে, আমাদের এইসব অনুমান একেবারে ভূয়া না, কিছু সারবত্তা যে আছে, নাওমি ক্লেইনের বই আমজনতার আম-অনুমানের পক্ষেই রায় দেয়!

শক ডকট্রিনের বইতেই পল ব্রেমারের একটি মন্তব্য এক্ষেত্রে প্রণিধানযোগ্য। 'আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নয়া ঝুঁকি' নামক পেপারে তিনি লিখেছেন, দেশ ও দেশের বাইরে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হল বিভিন্ন দেশের ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্য ও সামাজিক অস্থিরতা যা তৈরিতে ঐ কোম্পানিগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। বিদেশী এমএনসিগুলোর জন্য যখন দুয়ার পুরো মেলে দেয়া হয়, তখন এমএনসিগুলোর ক্যাপিটালিস্ট চাবুকে একের পর এক ছাটাই হতে থাকে কর্মি, লোকজ অর্থনীতির বুনিয়াদেই ধ্বস নামে।
আর এর ফলে যে অশান্তি শুরু হয়ে যায় ঐ দেশগুলোতে, তাকে নেভানোর জন্যই দরকার পড়ে আমেরিকার ওয়ার অন টেরর।

চিলি, পোল্যান্ড, ইরাক, শ্রীলংকা এই শক ডকট্রিনের শিকার। কিন্তু এরপর কে? বাংলাদেশ???

লেখাটা ভাল লাগল, মুর্শেদ ভাই। এর আগেও আপনি বই নিয়ে আলোচনা করেছেন, যা পাঠকদের খুব কাজে দিয়েছে।

একটা প্রশ্ন, মুর্শেদ ভাইঃ পিনোশের ক্যুতে কতজন মারা গিয়েছিল?

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

বই থেকে তথ্য দিয়েছিলাম লেখাতেই। ৩২০০শর মতো মানুষ মারা গিয়েছিলো। পরে নানা কারনে আরো মানুষ মারা যায়।

দিগন্ত এর ছবি

ডিসাস্টার ক্যাপিটালিসমের আরেকটা নাম হল কন্সট্রাকটিভ ডেস্ট্রাকশন। মানে পক্ষের লোকজন যেটাকে বলে কন্সট্রাকটিভ ডেস্ট্রাকশন সেটাকেই বিপক্ষের লোকজনে বলে ডিসাস্টার ক্যাপিটালিসম। এখানে দুটো বস্তু আলাদা করে দেখা দরকার - একটা ক্যাপিটালিসম অন্যটা ডিসাস্টার। ক্যাপিটালিসমের অর্থই বেসরকারী-করণ ও তার হাত ধরে আসে ধনী-দরিদ্রের পার্থক্য। আবার সরকারী অদক্ষ সিস্টেম ছেড়ে দক্ষ সিস্টেমে যেতে হলে বেসরকারী-করণ ছাড়া খুব একটা পথ নেই। জাপান, পূর্ব এশিয়া, ভারতে বা চিনেও যে বেসরকারীকরণ করা হয়েছে সবই একেকটা ডামাডোলের বাজারেই। এমনকি রেনেসাঁও এসেছে বড়সড় ডামাডোলের বাজারে, ইউরোপের স্থিতিশীলতার অভাবের সময়ে। বইটা পড়ার ইচ্ছা হয়, দেখি কখন সময় পাই।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

একমত। ৭০ এর দশক থেকে বৈশ্বিক রাজনীতি কুচক্রী প্লটটা দেখেছি বইটা পড়তে পড়তে।

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক

ইন্টারেস্টিং!!

সুবোধ অবোধ

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

ধন্যবাদ।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ভালো লাগলো।
নওমি ক্লেইনের 'নো লোগো' পড়েছিলাম। আরও কম কথায়ও বইটি লেখা যেতো বলে মনে হয়েছে। ইউটিউবে নো লোগো নিয়ে একটা ডকু-ফিল্ম টাইপ ভিডিও আছে।
হাতে সময় কম থাকলে সেটাও দেখতে পারেন।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কম কথার ব্যাপারে একমত। বিভিন্ন দেশের উদাহরণ দেবার সময় মনে হয়েছে লেখিকা এক কথাই বারংবার ভ্যাজ ভ্যাজর করছেন। নো লোগোটা পড়তে হয় তাহলে। নাওমীর একটা টেড ভিডিও ও আছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।