টুকরো টুকরো মুহূর্ত অথবা নিছক গল্প

বালক এর ছবি
লিখেছেন বালক (তারিখ: বুধ, ০৩/১১/২০১০ - ৮:৪৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সকল প্রস্তুতি শেষ। দিনটাও প্রায় শেষ। একটু পরে সূর্যটা ও থাকবে না। ছায়া দখল করে রেখেছে পথ। পথের মাঝখানের সোডিয়াম বাতিগুলোও জ্বলে ওঠছে। সন্ধ্যা এখনও হয় নি তবু বাতিগুলো জ্বালিয়ে দিলো বলে একটা প্রশ্ন মাথায় আসতেই দেখি রিকশা থেকে নামছে অঞ্জন। হাতে ব্যাগ, লম্বা চুল, কেউ আচানক দেখলে কবি ভাবতে ভুল করবে না। আসলে সে কবি না। সে শখের ফটোগ্রায়ার। আর আমার বন্ধু বা আমি থাকে বন্ধু ভাবি সে আমাকে ভাবে কি না জানি না। তার সাথে আমার সম্পর্ক এখনও তুমি তে অথচ আমাদের পরিচয় প্রায় ছয় মাস। অঞ্জন নেমেই বললো। আমি জানতাম সবার আগে তুমিই আসবে। আমি জবাব দিলাম। আমি তো সকল সময়ই প্রথম। অন্যরা কোথায়?
অঞ্জন বললো ফোন দাও; সময় তো নাই বেশি। বলতে বলতেই বাকিরা চোখের সামনে। তিথি, সজল, পূর্ণা ও জয়। ওরা আমার বন্ধু। সজল কবি। পূর্ণা আমাদের চোখে বা কাছে সে সমরেশের জয়ীতা। জয় ছাত্র বাবা মায়ের একমাত্র আদরের সন্ত্বান, আর তিথি চাকুরিজীবি। সদ্য একটা প্রাউভেট ব্যাংকে চাকরি নিয়েছে। আর আমি? আসলে আমি কিছুই না তবু লিডার। নিজের কাছে তুচ্ছই মনে হয় তবে ওদের কল্লাণে লিডার হয়ে গেছি। যাই হোক আমরা যাচ্ছি ঘুরতে। এক দল বন্ধু। খুব কাছের বন্ধু শুধু অঞ্জন টা একটু সমস্যা। ভাবুক ছেলে। তবু বন্ধু জানি আমরা। ক্ষণিক পরে আমরা এই শহর ছাড়বো। অনেকদিনের ইচ্ছা আমাদের দূরে কোথাও সবাই মিলে ঘুরে আসার। সেই ইচ্ছা সফল হতে যাচ্ছে আজ, একটু পর।

বাসের কাউন্টারে বসে আছি আমরা সবাই। নিজেকে যেহেতু লিডার ভাবছি তাই নিজেই বাড়িয়ে কথা বলছি। আচ্ছা; কারো বাসায় তো সমস্যা হবে না? বলো তো এক এক করে-
জয়? আমি বাচ্চা না...
তিথি? আমি তো বলেছি মা কে! সমস্যা হবার কিছু দেখছি না, ব্যাংক খুলার আগে চলে আসলেই হয়।
সজল? আজ আমার হারিয়ে যেতে নাই মানা...
থাম্ শালার কবি...
অঞ্জন? ভাই রে কোনো সমস্যা হলে আমি আসতাম না।
দেখো অঞ্জন, এভাবে কথা বলবে না। প্যাঁচাবে না।
পূর্ণা? তুই বড্ডো বেশি করছিস। কি সমস্যা? আমার কোনো সমস্যা নাই।
ও দুঃখিত আমি তো ভুলে গিয়েছিলাম তুই জয়ীতা।

আমরা গাড়িতে ওঠে গেছি। গাড়িও ছেড়ে দিসে। অন্ধকার ছড়িয়ে আছে তিনদিকে। সামনের হেড লাইটের আলো দেখা যায়। ডান-বামে কিছুই দেখা যায় না। আমরা বসেছি গাড়ির মধ্যেখানে। আমি আর পূর্ণা এক সিটে। জয় আর তিথি এক সিটে। সজল আর অঞ্জন এক সিটে।
হঠাৎ গানের আওয়াজ কানে গেলো। এক ধরণের ভালো লাগলো। নীরবতা ভেঙে গাড়ির ভেতর বাজতে শুরু করলো সাবিনা ইয়াসমীন এর "চিঠি দিও প্রতিদিন চিঠি দিও..."
জানলাটা একটু ফাঁক করতেই ঠাণ্ডা বাতাস ঢুকছে। সমস্যা হলো তখনই পূর্ণার চুল উড়ে এসে আমার মুখে পড়ছে, বিরক্ত লাগছিলো। জানলাটা বন্ধ করতে বাধ্য হলাম!

হঠাং গাড়ি থামলো। একটা রেস্টুরেন্ট এর সামনে। তার মানে আমরা ঘুমিয়ে পড়ছিলাম বা আমি ঘুমিয়ে পড়ছিলাম। গাড়িতে থেকে নামার পর সবার চোখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারলাম আমি একাই ঘুমিয়েছি।
হালকা নাস্তা আর চা খেয়ে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে পড়ি। রেস্টুরেন্টের বাহিরে বিশাল জায়গা। অঞ্জন ছাড়া বাকি সবাই এই বিশাল জায়গাটায় হাঁটছি। সিগারেট জ্বলছে আমাদের আঙুলের ফাঁকে শুধু তিথি ছাড়া। আমাদের পেছনে অঞ্জন এসে দাঁড়ালো। জিজ্ঞাস করলাম, কই ছিলে? জানালো সিগারেট কিনতে। আমি একটু অবাক হয়ে বললাম, সিগারেট তো আমাদের কাছেই ছিলো...!!
পূর্ণা বললো, দেখো অঞ্জন এভাবে বন্ধুত্ব হয় না। দূরত্ব রেখে কোনো সম্পর্ক হয় না। সহজ হবার চেষ্টা করো। সাথে যখন আসছো বন্ধু ভেবেই তো আসছো।
পূর্ণা কথা থামার আগে আমাদের বাস ছেড়ে দিছে। আমরা উঠছি এক এক করে।
এবার আর সাবিনা ইয়াসমীনের গান নয়। এবার সুবীর নন্দী। "কতো যে তোমাকে বেসেছি ভালো..."

গাড়ি গন্তব্যে। রাত মধ্য পেরিয়ে গেছে। আমাদের নামিয়ে গাড়ি চলে গেছে। অন্য যাত্রীরা যে যার মতো করে চলে গেছে। শুধু আমরাই এখন। রাস্তার মধ্যে। ব্যাগ আর আমরা। হাঁটছি, রিকশা পাচ্ছি না। হেঁটে হেঁটে আকাশ দেখি। আকাশে অনেকগুলো তারা। অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে। আমি মনে করতে পারি না এখন বাংলা কি মাস। সজল কে ডাকি; কবি সজল, এখন কোন মাস রে? বাংলা না ইংলিশ? সে জানতে চায়। বাংলা, আমি বলি বাংলা। এখন কার্তিক মাস, জানালো সে।
পূর্ণা জানতে চায় আমরা কোথা যাচ্ছি? হাঁটতে হবে আর কতোক্ষণ?। এর মধ্যে আমরা একটা অটো রিকশা নিয়ে পৌঁছে যাই, অটোরিক্সা থেকে একটা মাইক্রো...তারপর নির্দিষ্ট গন্তব্য।
হোটেল বলা ঠিক হবে না। বাগানের ম্যানেজারদের বাংলোর মতো অবিকল। দেখতেও অনেক ভালো। একটু উপরে। বাতি জ্বলছে। চমৎকার দেখাচ্ছে। আমরা সেখানে যাই। আমাদের এক বন্ধু মানে জয়ের এক বন্ধু আমাদের জন্যে সেটা ঠিক করে রেখেছে আর কোনো সমস্যা হয় নি।

রাত তিনটা হবে। বারান্দায় বসে অঞ্জন সিগারেট টানছে। জয় ও সজল ঘুমে। মেয়েরা কি করছে জানিনা। হয়তো ঘুমিয়েছে। আমি অনেকক্ষন ঘুমানোর চেষ্টা করে ঘুম আসলো না। তাই বাহিরে বের হয়ে পায়চারি করছি। আকাশে তাকাচ্ছি। তারা দেখছি। আমার হারিয়ে যাওয়া বাবাকে খুঁজছি।
মন টা কেমন কেমন করছে। আমার সমস্যাই এইটা। হঠাৎ মন খারাপ হয়ে যায়। সিগারেট ধরাই। পেছনে তাকিয়ে দেখি অঞ্জন নাই। ঘুমাতে গেছে সম্ভবত। আমি আবার আকাশে তাকাই। কানের মধ্যে ঝিঁ ঝিঁ র ডাক আসে। ডাক শোনার চেষ্টা করি। নীরব ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকি। হঠাৎ শুনি পূর্ণা বলে কি করস?
-কিছু না, তোরা ঘুমাস নি?
-আসছে না।
-ও
আমরা ঘাসের মধ্যে বসি। একটু একটু শীত লাগছে। তিথি ও আসছে, সে ও এসে বসলো। আমি পূর্ণাকে বলি কি সুন্দর রাত একটা গান গেয়ে শোনাস না। পূর্ণা বলে কোন গান?
যে কোনো একটা রবীন্দ্র সংগীত...
পূর্ণা শুরু করে..."সে আমার গোপন কথা শুনে যা ও সখি/ ভেবে না পাই বলবো কি/ প্রাণ যে আমার বাঁশি শুনে নীল গগণে/ গান হয়ে যায় মনে মনে, মনে যাহি বকি/ শুনে যা ও সখি/ সে যেনো আসবে আমার মন বলেছে, হাসির পরে তাই তো চোখের জল গলেছে/ আমার মন বলেছে..."

ভোর বেলা আমরা সবাই বের হলাম ঘুরতে। কিন্তু আমাদের সাথে অঞ্জন নাই। সে একা। কোন দিকে যাচ্ছে। শুধু বলে গেছে সময় মতো ফিরবে। আমাদের খুব আশা ছিলো সে যেহেতু ফটোগ্রফার আমাদের কয়েকটা ভালো ছবি না হয় তুলে দিবে। সেটা আর হলো কই। কি ছেলে প্রথমে বুঝতে পারলে সাথে করে নিয়ে আসা উচিত ছিলো না।
তিথি ক্ষেপছে। এই পোলারে কে সাথে আনছে? শুনি? সবাই হাসে। আমি হাসি না। আমি ই তো নিয়ে আসছি। যাই হোক...

সারাদিন অনেকে অনেক কিছু করছে। সবাইই আনন্দ করতে পেরেছে দেখে খুব ভালো লেগেছে। সবার মন ভালো। প্রতিদিন, প্রতিটি সূর্য যদি এভাবে ভালোলাগা নিয়ে উদয় হতো, আহা...

অঞ্জন এক বোতল ভোদকা নিয়ে আসছে কোথা থেকে। সেই জানে। এসে বলতেছে কে কে খাবে? তিথি আর জয় ছাড়া সবাই রাজি। তবে পূর্ণা বললো খাবো এক শর্তে যদি দামটা সবার কাছ থেকে ভাগ করে দেয়া হয়। কিন্তু অঞ্জন সেটা নিবেনা। আর পূর্ণাও ঠিক করলো খাবে না। আরেক সমস্যা তৈরি হলো। সজল কিছু না মেনেই আসন পেতে বসলো। অনেক বুঝিয়ে পূর্ণাকে রাজি করানো গেলো কিন্তু পূর্ণা সাথে কোনো স্পাইট/ কোক ছাড়া খাবেনা। কিন্তু এসব তো আর আমাদের কাছে নাই, আছে যা তা পানি। সিগারেটও তেমন নেই। পূর্ণা কিনে নিয়ে আসতে যাচ্ছে। যেতে তাতে না করলে সে রেগে যাবে আমরা জানি, তাই সিগারেট নেই বলে সাথে সজল ও গেলো কিন্তু না সজল ও যাবে না, সিগারেটও সে নিয়ে আসবে বলে সজলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে একাই গেলো এবং তার জন্যে অনন্ত আমার বিন্দু মাত্র টেনশন হলো না।

পূর্ণা যখন ফিরলো তখন তার চেহারা দেখে মনে হলো তীর্থ জয় করে ফিরেছে। এসেই আমাকে ধন্যবাদ দিলো। আমি জানতে চাইলাম ধন্যবাদ কেনো? সে জানালো যেতে দেওয়ার জন্য!
পূর্ণা অনেক কিছু নিয়ে এলো। কোক - স্পাইট (যার যেটা পছন্দ) ক্রীস, বাদাম ও ছানাচুর...।
ঘড়িতে তখন নয়টা। তিথির কানে হেড ফোন। জয় কি জানি ভাবে হেঁটে হেঁটে। কালকের মতো আজকে আকাশ এতো সুন্দর না। আমি, পূর্ণা, অঞ্জন, সজল বারান্দায় ফ্লোরে বসে আছি সাজিয়ে। বারান্দার লাইট নিভিয়ে দিলো অঞ্জন। আমার বেশ লাগলো। অঞ্জন, তিথি ও জয় কে ডাক দিলো; বললো খেয়ো না, বসে থাকো। আমার কাছে মনে হতে লাগলো অঞ্জন বদলাচ্ছে। এই অঞ্জন আগের অঞ্জন না। আমার ভালো লাগলো দেখে।
তিথি ও জয় এলো। বসলো। তিথি হেড ফোন খুলে স্পিকারে দিলো। আইয়ুব বাচ্চুর তারাভরা রাতে গানটা চলছে। আমরা শুরু করে দিয়েছি। পূর্ণা জয়কে বললো একবার নে না। দেখ কেমন লাগে। সবকিছু একবার করে ট্রাই করে নে জীবনে, শুধু হেরোইন ফেন্সি ছাড়া। প্রায় জোর করেই জয়কে খাওয়ালো পূর্ণা। জয় উঠে গেলো সাথে সাথে, একটু দূরে গিয়েই বমি করলো। তিথি চলে গেলো জয়ের সেবা করতে। আমরা তবু নড়ি নি!!

জয় অনেক বকা দিলো পূর্ণাকে। পূর্ণ হাসতেই থাকলো। পূর্ণার হাসিতে জয় আরো রেগে গেলো... তিথি শুধু নিরব। অঞ্জন আর সজল বাহিরে। আমাদের খাওয়া হয়ে গেছে। আমি বাহিরে যাবো। সজলকে বললাম যাবি বাহিরে? সে বললো শালা মাতাল, তোদের সাথে আমি যাবো কেনো? আমি বললাম মাতালদের দল কিন্তু বড়। পূর্ণা আবার হাসলো।

আমি বাহিরে চলে এলাম। এসে দেখি সজল দূরে রাস্তার মধ্যে, হাতে সিগারেট। অঞ্জন এক কোনায় মাথি নীচু করে বসে আছে। কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম সে কাঁদছে। মাতাল মুহূর্তে মানুষ আবেগী হয়ে যায় আমি জানি। আমি কোনো শব্দ না করে চলে এলাম। বারান্দায় পূর্ণা খুব অসহায়ের মতন বসে আছে। আমি বললাম কিরে, হয়েছে কি? বললো এখানে বস না। আমার কেমন জানি লাগছে। আমি বললাম ঘুমিয়ে যা। আমাকে বললো তোর ঘুমাতে ইচ্ছে হলে তুই যা। আমি বসলাম পূর্ণার পাশে। পূর্ণা আমার হাতটা ধরলো। পূর্ণা আমার হাত প্রায়ই ধরে, পূর্ণা কেনো তিথিও ধরে সকল বন্ধুরাই... কিন্তু আজকে পূর্ণা কেমন জানি অন্যভাবে ধরলো। আমার ইচ্ছে করলো হাতটা সরিয়ে নিতে, কিন্তু পারি নি। পূর্ণ আমার কাঁধে তার মাথা রাখলো। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে পূর্ণা বেশি খেয়ে ফেলছে। একটু পর পূর্ণাও কেঁদে ফেললো। আমি নির্বাক হয়ে গেছি। কিছু না বলে ঘরে ফিরে এলাম। কখন যে ঘুমিয়েছি জানি না।

ভোর হলো সবাই ঠিক হয়ে গেছে।
*
এরপরদিন আমরা ফিরে যাই। যে যার ঠিকানায়।
*
আজ একটু আগে জয়ের ফোন।
জানিস আমাদের সাথে যে অঞ্জন ছিলো সে আত্মহত্যা করেছে!
তুই হসপিটাল চলে আয়। কিন্তু আমি যাইনি তখন
অথচ এখন আমি অপূর্ব সোহাগ সেইটারে গল্প বলে চালিয়ে দিচ্ছি।


মন্তব্য

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

ভাই এগুলা কী লিখেছেন??! সত্যি কথা?? আপনি এখনি বেরুচ্ছেন না কেন??!
কিছু কিছু মানুষের সবচেয়ে আপন থাকে শুধু তাদের বন্ধুরা...জীবনটা বড় কঠিন রে ভাই! এইটাকে মাপাজোখার চেষ্টা না করাই ভালো! আপনি যান, বন্ধুদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। কে কতদিন কিভাবে বন্ধু, এগুলো বড় কথা না। বন্ধুত্ব জিনিসটাই আসল... আর এইটার খুব অভাব জীবনে...

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

বালক এর ছবি

আমি হসপিটাল যাইনি। তবে গিয়েছি তার বাড়িতে। আর এই ঘটনা ২ বছর আগের। কাল ছিলো তার মৃত্যূর ২য় বার্ষিকী। মনে পড়ছিলো সেদিনে কথাগুলো। লেখার মধ্যে অনেকগুলো সত্য লুকিয়েছি কিছু কারণে। লেখায় অনেকগুলো বানান ভুল আছে। তবে লেখাটা অনেক কাল্পনিক ও...
********************************************************************************
"কেউ বেশি খায় কারো খিদে পায় না, কেউ সস্তার কিছুই খেতে চায় না... আমি চিনি এমন অনেক যারা সারাদিনে কিছুই খেতে পায় না!"

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

হুম... বন্ধুত্বটুকু তো সত্যি ছিল... আর সেই জন্যেই মনে পড়ছে...
লিখতে গেলে কিছু সত্য আড়াল করতেই হয়, ব্যাপার না। তবে যারা এখনো বন্ধু আছে, আমাদের উচিত মাঝে মাঝে তাদেরকে গ্র্যান্টেড হিসেবে না নিয়ে মাঝে মাঝে তাদের প্রতি, বন্ধুত্বটার প্রতি যত্ন নেয়া... দেখি এসব কথায় কিছু পুরনো বন্ধুর কথা মনে পড়ল... অনেকদিন তাদের খোঁজ খবর নেয়া হয় না... কিছু ফোন, কিছু মেইল করতে হবে এই উইকেন্ডে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।