খেয়ালি খেলায়ঃ দুঃসহ দুঃখ

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: রবি, ০৬/০৩/২০১১ - ২:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সিগারেটের ধোঁয়া কি বিষাদ কমায়?

খুব জানতে ইচ্ছা করছে হঠাৎ করে। গতকাল ঢাকা’র শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ব্যাটিং-এর হতাশাজনক প্রদর্শনীর পরে হঠাৎ করেই গ্যালারী প্রায় ফাঁকা হয়ে এলো। হাতের প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, পানির বোতল, খেলোয়ারদের উৎসাহ দেবার জন্য তালে তালে শব্দ করার প্লাস্টিকের হাওয়া ভরা পাইপ মাঠের দিকে ছুঁড়ে দিয়ে অনেকে মাঠ ছাড়লেন থমথমে মুখ নিয়ে।

কেমন যেন অসহ্য লাগতে থাকা মাঠের দৃশ্য থেকেঙ্খানিকটা নিস্তার পেতে গ্যালারীর পেছনে যাওয়া মাত্রই চোখের সামনে অভূতপূর্ব দৃশ্য- গ্যালারীতে ঢোকার আগে বিশাল আঙ্গিনার র্যারলিং-এ অনেক মানুষ হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে, এক একজনকে ঘিরে আরো কয়েকজন।

অলস ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে গল্প করছেন তাঁরা, একটা বা দুইটা সিগারেট ঘুরছে হাতে হাতে। সিগারেটে ধোঁয়াটুকু বুকে টেনে নিচ্ছেন, এরপর মুখটা আকাশের দিকে তুলে ধোঁয়াটুকু ছেড়ে দিচ্ছেন উদাস ভঙ্গিতে। কেউ কেউ এর মধ্যেই কথা বলে চলেছেন, নাক-মুখ দিয়ে বেরোনো ধোঁয়া আরেকজনের গায়ে লাগছে, তাতে আড্ডা বা আলোচনার এতটুকু সমস্যা হচ্ছে না।

খানিকটা আগেও যাদের দেখে মনে হচ্ছিল দুনিয়ার সবটুকু অপমান তাঁদের চেহারায় এসে জড়ো হয়েছে, তাঁরাই আবার যখন ১০ মিনিটের ইনিংস বিরতি শেষে গ্যালারীতে ফিরেছেন, হাসির আভা আর ফেরেনি ঠিক কিন্তু থমথমে ভাব কেটে আলোর দেখা মিলেছে খানিকটা- এমন কি সুযোগমত একটা কি দুটো টিপ্পনী কাটতেও দেখা গেল কাউকে কাউকে।

কি অদ্ভূতুড়ে একটা দিন কাটলো কাল মিরপুর স্টেডিয়ামে!

শুক্রবার। দর্শকেরা মাঠে এলেন দুই ভাগে- কেউ জুম’আর আগে, কেউ পরে। তাতে অবশ্য খেলা দেখ্য বাঁধা পরেনি কোন। খেলা আড়াইটা থেকে। জুম’আর পরে এলে টস-টাই মিস হয় কেবল। তাতেই বা কী আসে যায়? খবর জানার জন্য উৎসের তো অভাব নেই কোন। টিভি আছে, মোবাইল আছে, নিদেন পক্ষে আগে চলে আসা অন্যান্য দর্শকেরা আছেন।

আয়ারল্যান্ডের সাথে এক আবেগী জয়, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ডের অবিশ্বাস্য জয়, ক’দিন আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেরিয়ে ওয়ান ডে র্যাং কিং-এ ৮ নম্বরে চলে আসা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আর দলীয় শক্তি বিবেচনায় এনে খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামে যাঁরা এসেছেন তাঁরা জয়ের আশা নিয়েই এসেছেন।

নিশ্চিত জয় যদি না-ও আসে, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই যে হবে এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল না কোন। বাঘের সাজে এসেছেন অনেকে বাড়তি হিসেবে লাল- সবুজ জড়িয়ে, ‘হালুম হালুম’ হয়ত করেন নি কেউ, তেজটুকু তবু ঠিকরে বেরোচ্ছিল তাঁদের চলনে-বলনে-উৎসাহে। খুঁজে খুঁজে চার-ছয়’র প্ল্যাকার্ড নিলেন অনেকেই, অনেকে চাইলেন আউট- নট আউটের প্ল্যাকার্ড- আম্পায়ার ভুল করতে গেলে ধরিয়ে দিতে হবে তো! মাথায় পতাকা বেঁধে ঢুকলেন অনেকে, চার-ছয় বা ওদের কেউ আউট হলে পতাকা ওড়ানোর সাধ জাগলে সব থাকলো একদম হাতের কাছেই।

বাংলাদেশ টসে জিতে ব্যাটিং- খুশি অধিনায়ক, খুশি সবাই। আসুক না কেমার রোচ আর সুলেমান বেন- ওদের ঠিক মাঠের বাইরে নিয়ে আছড়ে ফেলবে আমাদের তামিম, ঠিক ফেলবে।

দুটো বল গেলো- তামিমের জন্য অফ-স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল- তবু গ্যালারি জুড়ে করতালি- “যাহোক, তামিমের মাথা ঠিক আছে- মারার বল না পেলে মারতে যাবে কোন দুঃখে?!”

এরপরেই শুরু হল এক অসম্ভব ক্রিকেট নাটকের চিত্রায়ন। তৃতীয় বলেই অফ-স্ট্যাম্পের আরো বাইরের বলে হাঁকাতে গিয়ে তামিমের ব্যাটের কানা ছুঁয়ে বল পৌঁছুল সেকেন্ড স্লিপে। বার বার পেছনে ছেড়ে যাওয়া পিচের দিকে ফিরে তাকাতে তাকাতে তামিম ফিরলেন প্যাভিলিয়নে। জুনায়েদ এলেন। ওদিকে পরের ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরলেন ইমরুল কায়েস। এলেন মুশফিকুর। একটু পর তাঁর-ও বিদায় নেবার ক্ষণ উপস্থিত। সাকিব এলেন হাজারো সমর্থকের চোখের মনি হয়ে- “আজ সাকিবের দিন হবেই! একদিন দু’দিন ওপেনিং খারাপ হতেই পারে, সাকিব ঠিক সামলে নেবে সব!”

হলো না কিছুই। যেদিন হয় না সেদিন কিছুই হয় না ঠিকঠাক। বিস্ফারিত চোখে দেখলাম একে একে সাকিব, জুনায়েদ, রাকিবুল, নাঈম, আশরাফুল আর শফিউলদের আসা যাওয়া।

জুনায়েদ খেলতে শুরু করলেন, দুয়েকটা চোখ ধাঁধানো মার। রানের গতি মন্দ ছিল না তার বেলায়, রেফারেল ঘুরে এল বি ডব্লিউ’র ফাঁদে পড়ার আগে পর্যন্ত রানের চাকা ঘুরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। এমন এক দিনে বিশের ঘরে পৌঁছানোই বোধ হয় বিশাল এক ব্যাপার।

আশরাফুল-কে নিয়ে বিতর্কের অভাব নেই, কিন্তু মাঠে নামার সময় দর্শকের হর্ষধ্বনি এখনো মনে পরিয়ে দেয় তাঁর সামর্থের উপর আমাদের আশার কথা। আমাদের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল একটা কথা প্রায়ই বলতেন- বলা উচিৎ মনে করিয়ে দিতেন সুযোগ পেলেই।

“ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইস পার্মানেন্ট!” ভারতের সাথে প্রথম টেস্টের আগে যখন তাঁর ফর্ম নিয়ে খুব লেখালেখি চলছে পত্র পত্রিকায়, বুলবুল বলে গেলেন ঐ এক কথা। নিজের উপর বিশ্বাস আর সামর্থের এক অনন্য প্রদর্শনী দেখিয়ে অভিষেক ইনিংসে নয় ঘন্টা ক্রিজে থেকে ১৪৫ রান করেন তিনি- সবাই আরো একবার মেনে নিতে বাধ্য হয় তাঁর নিরন্তর বলে চলা সেই আপ্তবাক্য।

আশরাফুল ব্যাট যখন করেন সেই কথা মনে করিয়ে দেন। কাল-ও ফ্রন্টফুটে গিয়ে করা স্কয়ার ড্রাইভটা যখন গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের দিকে ছুটে এলো আরো একবার আফসোস হল- “এই প্লেয়ারটাকে জায়গা নিয়ে লড়াই করতে হয়!” তাঁকে নিয়ে আশা করাই ভুল, তবুও মনের কোনে ঠিকই আশা- “এমন সুযোগ, দলকে বাঁচানোর, ক্যারিয়ার বাঁচানোর- একটা কিছু করে বসতে পারেন যদি আশরাফুল- খুব কি অস্বাভাবিক হবে?!” পারেন নি আশরাফুল, যথারীতি হতাশ করে এগারো করেই সাজঘরে ফিরেছেন। কে জানে, হয়তো অনেক দিনের জন্য শেষ ইনিংসটা খেলার পরেই।

আশরাফুল আউট হওয়ার পরে সমর্থকেরা শেষ ভরসাটুকুও হারিয়েছেন, গ্যালারী-তে অপার আক্ষেপের ‘ভু-য়া’, ‘ভু-য়া’ ধ্বনি। গালাগালির অন্ত নেই। অনেকে স্রেফ ভাষা হারিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে।

মাঠের আয়তাকার জায়গাটায় তাকিয়ে তখনো বোঝার চেষ্টা করছি কি হচ্ছে ওখানে। ব্যাটসম্যানরা যাচ্ছেন- আসছেন, দেখছি কেবল। কে কত করছেন, কেভাবে করছেন, কিভাবে ফিরে চলেছেন দেখে চলেছি- কিন্তু বুঝতে পারছি না কিছুই। কত রান কত উইকেট কিছুই চোখে পড়ছে না।

বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয় আগেও দেখেছি, কিন্তু এমনভাবে সব ধরনের আশা-আকাঙ্খাকে গলা টিপে দেয়া ব্যাটিং দেখিনি কখনো। সাত-আট উইকেট গেলেও সব সময়-ই মনে হয়- কেউ না কেউ ঠিক কিছু করে ফেলবে। কাল এমনও মনে হল না। রাজ্জাক- শফিউলদের উপর আশা গড়ার সুযোগ এলো না কোন, নিশ্চিত বিপর্যয় এলোই। বাংলাদেশ অল আউট- ৫৮। ২০ ওভার পুরোবার আগেই ইনিংস শেষ!

মাঠে খেলা দেখার সবচেয়ে বাজে দিকটুকু চোখে পড়ল- যতই চাই, কোন কিছু বন্ধ করার উপায় নেই। এক চ্যানেল থেকে আরেক চ্যানেলে আশ্রয় নেয়ার উপায় নেই। নিজের কাছে সম্পূর্ণ হার মেনে মাঠ ছেড়ে বেরোবার আগে যা চলছে তা দেখতেই হবে, নিস্তার নেই কোন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাট করল ১২ ওভার। দেখলাম। এটুকুই। একবার দেখলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজের একজন ব্যাটসম্যান ফিরছেন, নাঈমের বলে বোল্ড হয়ে। কেমন সে বল ছিল, কিভাবে সে বল পেরিয়ে গেল ডেভন স্মিথের দেয়াল, তা বুঝতে পারলাম না মোটে। গেইলের ব্যাট থেকে একটা রান এলো, দেখলাম সবাই হাত মেলাচ্ছে গেইলের সাথে। বুঝতে পারলাম খেলা শেষ হয়েছে।

হতাশার চূড়ান্ত রূপ দেখলাম দর্শকদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য সমর্থন, বাংলাদেশী খেলোয়ারদের দিকে ছঁড়ে দেয়া ক্রমাগত গালি, ছেঁড়া প্ল্যাকার্ড উড়িয়ে দেয়া- চোখে পড়ল সবই। মন বোধ হয় তখন অনুভূতি হারিয়ে বসেছে।

খেলা শেষে বেরোচ্ছি যখন স্টেডিয়ামের বাইরে প্রচন্ড ভীড়। দুইপাশে পুলিশ, র্যা ব আর আনসার সদস্যের ছড়াছড়ি। ব্যারিকেডের ওপারে হতাশ মানুষের দল, ছাদে জানালায় উৎসাহি মুখ, কিন্তু সবাই চুপচাপ, কিসের যেন অপেক্ষায়।

দুর্বিষহ এক পরাজয় হজম করার চেষ্টা করতে করতে স্টেডিয়াম ছেড়েছি সে-ও প্রায় ঘন্টা দেড়েক হয়ে গেছে। সন্ধ্যা ৭টা বাজে তখন। অনেক দিন পর কিছুটা ফাঁকা সময় পেয়ে বন্ধুর সাথে উদ্দেশ্যহীন হেঁটে যাচ্ছি মিরপুর-১ থেকে সোজা পথ ধরে মিরপুর-১০ গোলচক্করের দিকে।

রাস্তা মোটামোটি ফাঁকা, থমথমে। যাঁরা হাঁটছেন তারাও চুপচাপ। মাঝে মাঝে সাইকেল বা রিকশায় করে যেতে থাকা মুখে বাঘের ডোরাকাটা আঁকা কিশোর বা তরুণের ছোট দল হঠাৎ বোল ছাড়ছে- “মিঁ-য়া-য়া-য়া—ও!!” প্রিয় বাংলাদেশের নিঃশর্ত আত্মসমর্পন যে সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে তার প্রমান দিতেই হয়তো কারো মুখেই খেলা নিয়ে কোন কথা নেই, এমন কি চরম আবেগী সমর্থকের গালাগালি নেই পর্যন্ত।

লাল- সবুজে সেজে সবাই পথে চলছে ঠিক- কারো কারো হাতে স্টেডিয়ামে পাওয়া শব্দ করার প্লাস্টিকের পাইপ, কারো কারো হাতে বাঘের পুতুল, কারো হাতে মাঠে ঢোকানোর অনুমতি না মেলা ভুভুজেলা- কিন্তু সে পর্যন্তই; সবাই বুঝি পণ করেছে এ নিয়ে কোন কথা চলবে না। মাঝে মাঝে কারো হাসিমুখ দেখা যাচ্ছে না তা নয়, কিন্তু তাদের কথার বিষয়ে যে ক্রিকেট নামের খেলাটি নেই তা বোঝা যাচ্ছে হঠাৎ কানে আসা শব্দাংশ থেকেই।

স্টেডিয়ামের কাছাকাছি চলে এসেছি প্রায়, একটা মিছিল চোখে পড়লো। ছোট মিছিল, ২০/ ৩০ জন হবে। স্লোগান কানে আসতে মুষড়ে পড়লাম আরো-

“সাকিবের দুই গালে, জুতা মার তালে তালে!”

খেলা শুরু হবার পর যতগুলো অসহ্য মুহূর্ত পার করে এসেছি, সেগুলো আরো একবার ঢুঁ দিয়ে গেল মনে, কিন্তু তবুও যন্ত্রনাটুকু কমলো না এতটুকু। এ মানুষগুলোই হয়ত দিন পাঁচেক আগে বাংলাদেশের জন্য রাতভর বিজয় মিছিল করেছে, আবার এ মানুষগুলোই পরাজয় সহ্য করতে না পেরে রাস্তায় নেমে গেছে মিছিল নিয়ে। সাকিবরা খারাপ যখন খেলে খারাপ লাগে, অসহ্য লাগে- কিন্তু এসব যখন দেখি তখন এর চেয়েও বেশি খারাপ লাগে। এ খেলোয়ারগুলো আমাদের খুব কাছের মানুষ হয়ে আছে বলেই কি? জানি না।

আবেগী আমাদের আবেগের এ প্রকাশ অস্বাভাবিক নয় হয়তো, কিন্তু অসমর্থনযোগ্য। বাংলাদেশ আবার জিতবে, আবার বিজয় মিছিল নামবে, সাকিব- তামিমরা সবার উল্লসিত অভ্যর্থনা পাবেন আবারো, কিন্তু তাতে করে অসমর্থনের এ লজ্জা মুছে যাবে না। সমর্থক আমাদের শেখার এখনো অনেক বাকি; ‘ক্রিকেট পাগল’ বলে পরিচিত হতে আপত্তি নেই আমাদের, কিন্তু ‘ক্রিকেট-ম্যানিয়াক’ হিসেবে নাম ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের, এ বোধ হয় আমরাও কেউই চাই না।

এটুকু হলেও চলত বোধ হয়। কিন্তু কলঙ্কের দিনে আর-ও এক প্রস্থ কলঙ্ক এল কিছু সমর্থক নামের অসমর্থকের হাত ধরে। ওদের ছোঁড়া পাথর শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বাসের জানার কাঁচ ফাটিয়ে দিলো না, ফাটিয়ে দিল এতদিন ধরে গড়ে ওঠা দর্শক হিসেবে আমাদের উপর ক্রিকেট বিশ্বের আস্থার জায়গাটুকুও।

রাত পেরিয়ে নতুন দিন এসেছে, পেপারে বা অন্যান্য মিডিয়ায় আসা নানান খবর এড়িয়ে যাচ্ছি। বন্ধু বা সহকর্মীদের সাথে ক্রিকেট আলোচনা থেকে পালিয়ে বাঁচাটাকেই বুদ্ধিমানের কাজ মনে হচ্ছে।

এত হতাশা, তবু আবারো মনে পড়ে যাচ্ছে- পরের খেলা আর ছ’দিন পরেই। কি আশ্চর্য! সব ধরণের যুক্তি ভুলে মন আবার ভাবতে বসেছে- “ইংল্যান্ডের সাথে ঠিকই জমবে খেলা!”

খেলা কেমন হবে তা অজানা, জানা নেই এমন করে আরো একবার তাসের ঘরের মতই ভেঙ্গে পড়বে কিনা আমাদের ঐ প্রিয় খেলোয়ারগুলো- এটুকু কেবল জানি, যত খারাপ-ই করুক ওরা, যতই হতাশ করতে থাকুক, বিশ্বকাপ যতদিন চলবে মনে বাজবে ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ অভিষেক উপলক্ষে আসাদুজ্জামান নূরের লেখা অসাধারণ এক গানের ক’টি লাইন-

“গুডলাক বাংলাদেশ... গুডলাক।
বিশ্বকাপে যাত্রা শুভ হোক।
আজ কোটি কোটি প্রাণ উদ্বেলিত,
আজ কোটি কোটি চোখ নিষ্পলক।
যাত্রা শুভ হোক!!”


মন্তব্য

ফাহিম হাসান এর ছবি

যাত্রা শুভ হোক!!

মর্ম এর ছবি

শুভ হোক হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

একজন পাঠক এর ছবি

ধন্যবাদ।

যাত্রা শুভ হোকের কোন লিংক কি দিতে পারবেন? গানটি অনেক খুঁজেছি, পাইনি কোথাও। খুবই পছন্দের একটি গান ছিল।

মর্ম এর ছবি

আমিও লিঙ্ক খুঁজেছি, পাইনি।

কারো কাছে থাকলে শেয়ার করবেন এ ধরণের একটা 'অভিসন্ধি' থেকেই গানের কথাগুলো মাথায় ঘুরছিল হয়ত...!!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

সুপ্রিয় দেব শান্ত (অতিথি) এর ছবি

পরাজয়ে ডরে না বীর। এগিয়ে যাও বাংলাদেশ। তোমার সাথে আছি সবসময়। ভালো ফল আমরা পবোই পাবো।

মর্ম এর ছবি

হয়ত পাবো, হয়ত পাবো না। কষ্ট পেয়েও পাশে আছি, থাকবো।

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

সবুজ পাহাড়ের রাজা এর ছবি

“গুডলাক বাংলাদেশ... গুডলাক।
বিশ্বকাপে যাত্রা শুভ হোক।
আজ কোটি কোটি প্রাণ উদ্বেলিত,
আজ কোটি কোটি চোখ নিষ্পলক।
যাত্রা শুভ হোক!!”

মর্ম এর ছবি

বাংলা মায়ের দামাল ছেলে এগিয়ে চলো,
লাল সবুজের ঐ পতাকা উর্ধ্বে তোল,
পদ্মা মেঘনা যমুনা সুরমার ঢেউ বিশ্ব দেখুক,
যাত্রা শুভ হোক, যাত্রা শুভ হোক!!!!! হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।