বিপদ

মৃদুল আহমেদ এর ছবি
লিখেছেন মৃদুল আহমেদ (তারিখ: শুক্র, ০৬/০৬/২০০৮ - ৫:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাজামশাই খুব বিপদে পড়ে গেছেন।
সাধারণত রাজামশাইরা বিপদে পড়েন না। কারণ বিপদ জিনিসটা খুব ছোটলোক গোছের, বেছে বেছে সে শুধু গরিব দুর্বল ধরনের মানুষদের কাছেই যেতে পছন্দ করে। আর শক্তিশালী পয়সাঅলা মানুষ দেখলে সম্মান করে রাস্তা ছেড়ে দেয়। খুব বড়সড় কিছু যুদ্ধবিগ্রহের সুযোগ না ঘটলে সে সাধারণত রাজবাড়ির পথ মাড়ায় না। তারপরও রাজামশাই বিপদে পড়ে গেছেন।
বিপদে অবশ্য পড়ারই কথা। খাল কেটে কুমির আনলে বিপদ কি ছেড়ে কথা বলবে? রাজামশাই খাল কেটে কুমির আনেন নি বটে, তবে দীঘি কাটিয়ে কুমিরের চাষ করেছেন বলা যেতে পারে। তাঁর একমাত্র বারো বছরের মেয়েকে আদর দিয়ে লাই দিয়ে ভয়াবহ আবদেরে আর জেদি করে তুলেছেন। যখন তার যেটা চাই, সেটা না পেলে কিছুতেই চলবে না । নিত্যনতুন এসব আবদার মেটাতে গিয়ে রাজামশাইয়ের প্রাণান্ত অবস্থা, অন্যদের কথা তো ছেড়েই দেয়া গেল।
তবে বিপদের কথা বলতে গেলে রাজামশাই কম বিপদেই পড়েছেন। মেয়ে যদি আকাশের চাঁদ চাইত, সেটাও তাঁকে যোগাড় করে দিতে হত। কিন্তু সৌভাগ্য বলতে হবে, যা চেয়েছে, সেটা অবশ্য খুব দুর্লভ জিনিস নয়।
পণ্ডিতমশাইয়ের কাছে কোন পুঁথিতে সে এই কথাটা পড়েছে "হস্তিসদৃশ মনুষ্য", অর্থাত্ হাতির মতো মোটা মানুষ। পড়ার পর থেকেই তার শখ হয়েছে হাতির মতো মোটা মানুষ তাকে দেখতে হবে। যেমন করে হোক।
হাতির মতো মানুষ সহজেই পাওয়া যেত, কিন্তু আসল কথাটা হচ্ছে এই যে, রাজামশাই আছেন বহাল তবিয়তে। আর রাজামশাইরা যখন বহাল তবিয়তে থাকেন, তখন ধরেই নিতে হবে দেশবাসী খুব দুর্ভোগের মধ্যে আছে।
সত্যিই রাজ্য জুড়ে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ চলছে এখন, মানুষজন না খেতে পেয়ে হাড্ডিসার, পেটে খোঁচা দিলে পিঠ চুলকোতে থাকে। সে কারণেই সারা রাজ্য খুঁজেও হাতির মতো মোটা মানুষ পাওয়া সম্ভব নয়।
হাতির মতো মোটা মানুষ সারারাজ্যে একজনই আছে, রাজামশাই স্বয়ং। তাঁকে দেখালেই কাজটা সারত, কিন্তু সেকথা গলা বাড়িয়ে বলবে কে? বাধ্য হয়ে অন্য দেশে লোক পাঠাতে হয়েছে রাজাকে। কয়েকদিনের মধ্যেই লোক এসে যাবে, কিন্তু এই কয়েকদিনই রাজকন্যাকে সামলানো কঠিন হয়েছে।
রাজকন্যা এখন জেদ ধরেছে সে নিজে পণ্ডিতমশাইকে সঙ্গে নিয়ে রথে চড়ে সারাদেশে হাতির মতো মোটা লোক খুঁজতে বেরোবে। এবং রাজামশাইকে বরাবরের মতোই রাজি হতে হয়েছে।
তবে সঙ্গে শুধু পণ্ডিতমশাই নন, কিছু সৈন্যও যাবে। রাজকন্যার নিরাপত্তার একটা ব্যাপার তো আছে!
সকালবেলা রথ যাত্রা শুরু করল রাজপ্রাসাদের সামনে থেকে। রথের একপাশে পণ্ডিতমশাই বসে আছেন স্থির পাথরের মূর্তির মতো, আর রাজকন্যা রথের সামনে দাঁড়িয়ে আছে বিশাল উৎসাহ নিয়ে। তার ধারণা, সে নিজেই একটা হস্তিসদৃশ মনুষ্য খুঁজে বের করে ফেলতে পারবে!
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল ব্যাপারটা ততটা সহজ নয়। রথ রাজ্যের পথে পথে ঘুরতে লাগল, একটাও মোটা লোক দেখা গেল না। পথেঘাটে সব ভূতপ্রেতের মতো কঙ্কালসার কালো কালো মানুষ, অধিকাংশই দেখা গেল খাবার নিয়ে কাড়াকাড়ি করছে। খাবারের খোঁজে দুই-চারজন এই রথের দিকেও ধাওয়া করে এল। সৈন্যরা লাঠির বাড়ি দিয়ে অবশ্য তাদের খিদে নগদে মিটিয়ে দিল!
রাজকন্যা তাই দেখে হাততালি দিয়ে হাসতে লাগল, হি হি হি হি!
আর তার দিকে পাথরের মতো চোখে তাকিয়ে রইলেন পণ্ডিতমশাই। তার চোখে কী যেন কথা ঝকঝক করছে!
সারাদিন কেটে গেল, কিন্তু কোনো হাতির মতো মানুষ তো দূরের কথা, কোনো স্বাস্থ্যবান মানুষই পাওয়া গেল না। অন্তত একটা চোখের দেখাতেও না।
রাজকন্যার মুখ ভারী হতাশ। সারাদিনের ক্লান্তিতে চোখ একটু ঢুলোঢুলো।
ঠোঁট উল্টে পণ্ডিতমশাইয়ের দিকে তাকাল সে, এখন কী হবে পণ্ডিতমশাই?
পণ্ডিতমশাই শুকনো হাসি হাসলেন। তারপর রাজকন্যাকে বললেন, বত্ স, হাতিরা চিরকাল বনে থাকে, হাতির মতো মানুষও তাই বনে খোঁজাই উত্তম!
পাঠককে এখানে জানিয়ে রাখি, পণ্ডিতমশাই সত্যিকার অর্থে একজন সত্ এবং সচেতন মানুষ। বুড়ো হয়েছেন, কিন্তু তাঁর চিন্তাভাবনা যেকোনো তরুণের চেয়েও আধুনিক। বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি রাজকন্যার মাথায় "হস্তিসদৃশ মনুষ্যে"র কথা ঢুকিয়েছেন। এবং কে জানে, হয়ত সে কারণেই এখন যেতে বলছেন বনে...
রাজকন্যাও পণ্ডিতমশাইকে খুব মানে, তাই তার নির্দেশে রথ চলল বনের দিকে। বনের এক জায়গায় রথ থামিয়ে পণ্ডিতমশাই বললেন, এবার আমরা ভেতরে খোঁজ করতে যাব, তবে শুধু তুমি আর আমি, আর কেউ নয়!
সৈন্যদের দলপতি আপত্তি করল, কিন্তু রাজকন্যার কথার ওপর কে কথা বলবে?
রথ রেখে রাজকন্যা আর পণ্ডিতমশাই বনের পথে হাঁটতে হাঁটতে মিলিয়ে গেলেন।
বনের ভেতর ছোট্ট একটা কুটির। একসময় বেশ পরিচ্ছন্ন ছিল বলেই মনে হয়, কিছুদিন আগেও এর অনেক যতœ-আত্তি করা হত, কিন্তু এখন সেসবের কোনো ছাপ নেই।
রাজকন্যা বলল, এখানে কারা থাকে?
পণ্ডিতমশাই বললেন, যাও, দেখ!
রাজকন্যা ভেতরে ঢুকে এদিকওদিক তাকিয়ে চমকে উঠল। দিনের বেলায়ও কুটিরের ভেতরে জমাট অন্ধকার। তার ভেতরেই দেখা যায় একটা কঙ্কাল যেন মেঝেতে শুয়ে আছে। মৃত নয়, জীবন্ত মানুষ। ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বুক ওঠানামা করছে। বিছানা বলতে কিছু নেই, মনে হয় চাটাই জাতীয় কিছু রয়েছে।
এরকম কঙ্কালের মতো মানুষ সে সারাদিনই রাস্তায় দেখেছে। তখন তার কাছে ব্যাপারটা সেরকম কিছু মনে হয় নি। মনে হয়েছে গরিবরা বোধহয় এরকমই হয়। কিন্তু এখন একেবারে এত কাছে থেকে দেখে তার ভয় ভয় করতে লাগল...
ঘর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ঘুরতেই তাকিয়ে আবারো চমকে উঠল!
ঘরের অন্য পাশে দুই জোড়া জ্বলজ্বলে চোখ অন্ধকার থেকে তার দিকে তাকিয়ে আছে...
রাজকন্যা শুকনো গলায় বলল, কে?
আমরা--ভীত গলায় উত্তর এল।
আমরা মানে কে?
আমরা ইতু আর বিতু--দুই বোন।
রাজকন্যা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল। তারপর গলা কঠিন করে বলল, অন্ধকারে ভূতের মতো বসে আছ কেন? আলোতে আসতে পার না?
মেয়ে দুটো একটু চুপ করে থেকে বলল, আমাদের গায়ে সেরকম কোনো জামাকাপড় নেই, তাই আলোতে আসছি না।
রাজকন্যা খানিকক্ষণ হাঁ করে তাকিয়ে থাকল, তারপর বলল, জামাকাপড় নেই মানে?
একজন একটু সময় নিয়ে জবাব দিল, আমরা তিনদিন ধরে কিছু খাই নি। জামাকাপড় কবে ছিঁড়ে পড়ে গেছে জানি না।
রাজকন্যা বাজপড়া মানুষের মতো খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে রইল। তারপর হতভম্ব গলায় একটু বোকার মতোই বলল, আমার কাছে জামাকাপড় আছে, নেবে?
কোনো উত্তর এল না। চোখগুলো নিষ্পলক তাকিয়ে রইল। তারপর একজন বলল, আগে কিছু খেতে পাই তো ভালো হয়।
রাজকন্যা কিছু বলতে যাচ্ছিল, এমন সময় বাইরে থেকে কে যেন কর্কশ গলায় ডাক দিল, কে, ঘরের ভেতর কে?
রাজকন্যা এরকম গলা শুনে অভ্যস্ত নয়। ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে দাঁড়িয়ে সাপের মতো মাথা তুলে গর্বিত গলায় বলল, আমি!
বাইরে দুটো ছেলে দাঁড়িয়ে ছিল। একজন বছর পনেরোর, আরেকজন নয় দশ হবে। পরনে কিছুই নেই, কোমরের নিচ থেকে খানিকটা ন্যাকড়া ঝুলছে। দুজনেই অসম্ভব শুকনো, মনে হচ্ছে ফুঁ দিলেই উড়ে যাবে। শুধু বড় ছেলেটির চোখ দুটো ঝকঝক করছে। তার হাতে কিছু লাকড়ি, আর অন্য ছেলেটার হাতে একটা রক্তাক্ত মৃত খরগোশ।
ছোট ছেলেটি তাকে দেখামাত্র মাথা নামিয়ে কুর্নিশ করে বসে রইল। বড় ছেলেটি সেসব কিছুই করল না, বরং বাঁকা গলায় ছোট ভাইটিকে বলল, নে, নে, ওসব পরে করিস। প্রাণ থাকলে কুর্নিশের জন্য রাজকন্যা পরে আরো অনেক পাবি, এখন পেটে কিছু না দিলে প্রাণটা কি আর থাকবে? আগে রান্না বসাবার ব্যবস্থা কর!
রাজকন্যা জ্বলে উঠে বলল, এই, তুমি আমাকে কুর্নিশ করছ না কেন ?
ছেলেটি উনুনের কাছে গিয়ে লাকড়িগুলো বসাচ্ছিল, চোখ তুলে বলল, দেখ রাজকন্যা, তোমাকে কুর্নিশ করার মতো সময় আমার হাতে নেই। সত্যি নেই। তিনদিন ধরে আমরা কিছু না খেয়ে আছি। আজকে অনেক কষ্টে একটা খরগোশ মারতে পেরেছি, সেটা এখন সবাই মিলে রান্না করে খাব। তোমার যদি খুব বেশি কুর্নিশ পেতে ইচ্ছে করে, তাহলে তোমার চাকরমহলে গিয়ে বসে থাকো!
রাজকন্যা আঙ্গুল তুলে বলল, সাবধান! কার সঙ্গে কথা বলছ জানো?
ছেলেটিও বাঘের মতো লাফ দিয়ে উঠে বলল, তুমিও সাবধান! আমাকে ধমকাবে না! জানো আমাদের অবস্থা? জানো আমার মা না খেতে না খেতে শেষে অসুখ করে মারা গেছে? বাবাও মরতে বসেছে। আমার বিধবা বোনের দুটো বাচ্চা দুধ না পেয়ে মরে গেছে, আর বোনটা পাগল হয়ে কোথায় চলে গেছে, কেউ জানে না! ঘরে আরো দুটো ছোট বোন, আমি, আমার এই ছোট ভাই, আমরা তিনদিন ধরে কেউ কিচ্ছু খাই নি--কিচ্ছু খাই নি! বেশি কথা বললে তোমাকেই কেটে রান্না করে খেয়ে ফেলব!
রাজকন্যা আরো রেগে গেল, কিন্তু ভয়ও পেল। এরকম বনের মধ্যে একা। সঙ্গে কোনো সৈন্যসামন্তও নেই। সত্যি সত্যি কেটে খেয়ে ফেললে কিছু বলারও নেই।
পণ্ডিতমশাইয়ের দিকে তাকাল সে, কিন্তু তিনি তখন উদাস হয়ে আকাশ দেখছেন।
তারপরও রাজকন্যা সাহস সঞ্চয় করে বলল, তোমার সাহস তো কম নয়, তুমি বনের খরগোশ মেরেছ কার অনুমতি নিয়ে?
ছেলেটি বাঁকা গলায় বলল, তোমার বাবা দেশের মানুষের রক্ত শুষে শুষে মেরে ফেলছেন যার অনুমতি নিয়ে, আমিও তার কাছ থেকেই অনুমতি নিয়েছি!
রাজকন্যা বিষমাখা গলায় চিবিয়ে চিবিয়ে বলল, আমার সঙ্গে এভাবে কথা বলছ, জানো আমি সৈন্য ডেকে এখনই তোমাদেরকে মেরে ফেলতে পারি?
ছেলেটা কাঠে আগুন ধরাতে চেষ্টা করছিল, হাতের কাজ থামিয়ে রাজকন্যার দিকে ঝকঝকে চোখে তাকিয়ে রইল। সেই দৃষ্টি সহ্য করতে না পেরে চোখ নামিয়ে নিল রাজকন্যা।
ছেলেটা ঠাণ্ডা গলায় ব্যঙ্গের সুরে বলল, মেরে ফেলতে চাও? তার মানে এখনো মেরে ফেল নি? কী আশ্চর্য, আমরা এখনো বেঁচে আছি? এটাকে কি বেঁচে থাকা বলে?
রাজকন্যা মাথা নামিয়ে নিল। তারপর তাকাল পণ্ডিতমশাইয়ের দিকে। তিনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে সব শুনছিলেন, কোনো কথা বলেন নি। এখনও বললেন না, শুধু রাজকন্যাকে চলে আসতে ইঙ্গিত করলেন।
সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। বনের পথ ধরে বের হয়ে আসছিল রাজকন্যা। সারা শরীরে কেমন যেন একটা অবসন্নতা।
হঠাৎ জঙ্গলের ভেতর কী একটা শব্দ হতেই ভয় পেয়ে পণ্ডিতমশাইয়ের হাত চেপে ধরল। পণ্ডিতমশাই নরম গলায় বললেন, ভয়ের কিছু নেই, বোধহয় শেয়াল। একটু থেমে যোগ করলেন, ঐ মারা যাওয়া বাচ্চা দুটোকে বোধহয় কাছেই কোথাও পুঁতে রেখেছে। লাশের গন্ধ পেয়ে শেয়ালও এসে গেছে!
রাজকন্যা আরো জোরে পণ্ডিতমশাইয়ের হাত আঁকড়ে ধরল। আলো না থাকার কারণে পণ্ডিতমশাই একটি দুর্লভ দৃশ্য দেখতে পেলেন না। রাজকন্যার চোখ দিয়ে জল পড়ছে দরদর করে।
এই দৃশ্য সত্যি বিরল। রাজকন্যার চোখে জল। ভাবাই যায় না!
পরদিন সকালে রাজামশাই বললেন, মামনি, তোমার শখের জিনিস যোগাড় হয়ে গিয়েছে। হাতির মতো মোটা মানুষ আমি এনে হাজির করেছি। তুমি শুধু বল, কখন তোমার সামনে আনব!
রাজকন্যা হাই তুলে হাত নাড়িয়ে বলল, লাগবে না! আমার এখন নতুন শখ হয়েছে!
রাজামশাই ভড়কে গিয়ে বললেন, কী শখ মামনি?
আমি চাই একমাসের মধ্যেই দেশের সব মানুষকে মোটাতাজা দেখতে। একটাও যেন রোগা লোক আমার চোখে না পড়ে!
রাজামশাই শীতের ঠোঁটফাটা হাসি হেসে বললেন, কী যে বলে না আমার বোকা মেয়েটা! শোনো, মামনি শোনো--
--এক মাসের মধ্যেই! কোনো কথা শুনতে চাই না!
রাজামশাই আবার বিপদে পড়ে গেলেন। এবার আরো বড় বিপদে।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

একেবারে খাঁটি পিচ্চিতোষ গল্প হয়েছে। আপনি থামবেন না। থামলেই হর্ণ বাজাব এসে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

নুশেরা তাজরীন এর ছবি

দামুর হাতি খোঁজা (নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই উপন্যাস) পড়ে যতটা ভাল লেগেছিল, অন্যরকম হলেও তেমনই ভাল লাগল।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

ভাবতেই পারছি না... নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার তুলনা? যে আমি কদিন আগেও এই সচলায়তনে ছিল অতিথি নারায়ণ!
ভিতরে ব্যথা জাগিয়ে দিলেন, ঐ নমস্য মানুষটির ধারেকাছে হওয়ার যোগ্যতাও যদি আমার থাকত! ইশ!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

আকতার আহমেদ এর ছবি

"অসাধারণ" ছাড়া আর কোন শব্দ মাথায় আসছেনা !
বস.. আপনি নিজেও হয়তো জানেননা কতোটা অসাধারণ আপনি লেখেন !

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

মুক্তকণ্ঠে প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ আকতার ভাই। কিন্তু, আপনার অস্থিরতা কেটেছে কি? সুস্থির হয়ে উঠে ফাটিয়ে লিখতে শুরু করেন না ভাইটি! দুঃখের বিষয় যে আপনার গত কয়টি লেখা ঠিকমতো পড়তে পারি নি কাজের চাপে, মানসিকতার অভাবে! আগামি কটাদিনও যে পারব, তা নয়। রাতে বাসায় ফিরে একটু যা লেখালেখি হচ্ছে, এছাড়া সারাদিন নিষ্ফলা! ভালো থাকুন...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

তীরন্দাজ এর ছবি

দারুন সুন্দর আর অনুভূতিছোঁয়া এক গল্প সাজিয়েছেন মৃদুল আহমেদ। অসাধারণ বাচনভঙ্গী আপনার!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

হাসান মোরশেদ এর ছবি

হায় গল্পের রাজকন্যা, এই পোড়াদেশে কেনো তোমার জন্ম হলোনা?
-------------------------------------
বালক জেনেছে কতোটা পথ গেলে ফেরার পথ নেই,
-ছিলো না কোন কালে;

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

অপূর্ব হয়েছে। বউকে ডেকে পড়ে শোনালাম। সেও অপূর্ব বলল।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

দেশে কি একটাও অনুগত পন্ডিত পায় নি রাজা? আমাদের দেশে পন্ডিতেরা এত বদ এবং কুটিল নন, তারা সুশীল।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

মৃদুল ভাই, গুলি দিতে ভুইলা গেছিলাম। আবার আসছি, এই ন্যান,
গুল্লি গুল্লি গুল্লি

অনিন্দিতা এর ছবি

এত চমৎকার ভাবা যায় না!

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

দুর্দান্ত ‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍রূপকথাও লিখতে পারেন আপনি! বাদ তো রাখলেন না কিছুই!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

স্পর্শ এর ছবি

অসাধারণ সিম্পলি অসাধারণ!!

[][][][][][][][][][][][][][][][][][]
ওরে বিহঙ্গ, ওরে বিহঙ্গ মোর,
এখনি, অন্ধ, বন্ধ, কোরো না পাখা।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

আরণ্যক সৌরভ (সচলায়তন বাইরে থেকে দেখতেই ভাল্লাগে) এর ছবি

হাসান মোরশেদ লিখেছেন:
হায় গল্পের রাজকন্যা, এই পোড়াদেশে কেনো তোমার জন্ম হলোনা?

এর বেশি বলবার নেই।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

অসাধারণ লেখা!!!

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

রাজকন্যাকে সবাই মিলে এত আদর দেবার জন্য ধন্যবাদ!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

আসিফ মোহাম্মদ আদনান এর ছবি

ভাল! এছাড়া আর কিছু যোগ করা ঠিক হবে না।
আশায় আছি এধরনের এক রাজকন্যার আগমনের।

sochetona এর ছবি

বাহ, খুব ভাল লাগলো। এত সহজ ভাবেও এত বড় কথা বলা যায়!!! আরোও পড়তে চাই এরকম।

অতিথি লেখক এর ছবি

অসাধারণ লাগ্লো মৃদুলদা। রুপকথা চাই আরো।

---- মনজুর এলাহী ----

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।