আদমচরিত - ০০৪

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শনি, ২৯/০৯/২০০৭ - ১১:৩০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


adam01

আদম বিড়বিড় করে, "এই স্বর্গটা শালা পুরা দুই নাম্বার হয়ে গেছে!"

ঈভ বলে, "বিড়বিড় করে কী বলো? গালি দাও নাকি?"

আদম উষ্ণ হয়ে ওঠে, বলে, "ঐ, তোমারে বিড়বিড় কইরা গালি দিমু ক্যান? জোরে গাইল দিতে পারি না? আমার নাম আদম, কোন হালারে আমি পুইছা চলি না, বোঝলা? আর গাইল তোমারে দিমু না ক্যান, বাপের বাড়ি থিকা কিছু আনছো যে সোহাগ কইরা কথা কমু?"

ঈভ ক্ষেপে ওঠে, বলে, "অ্যাদ্দিন চিল্লাচিলি্ল করলা, আমার লাইগা তোমার সিনার হাড্ডি একটা শর্ট পড়ছে, বুকটা খালি খালি লাগে, শ্বাস ফালাইতে কষ্ট হয়, আর আইজকা কও বাপের বাড়ির কথা? আর খবরদার, বাপের বাড়ির খোঁটা দিবা না!"

আদম ঝাড়ি খেয়ে চুপ করে থাকে, আবার বিড়বিড় করেবলে, "দুই নাম্বার, সব দুই নাম্বার!"

আদমের রাগ করার কারণ আছে। স্বর্গে যে তলে তলে অ্যাতো দুই নাম্বারি চলে, সে আগে টের পায়নি। স্বর্গদূতগুলো আদমের চেয়েও অনেক ঝানু।

জ্ঞানবৃক্ষের ফল নিয়েই যত ঘাপলা লেগেছে। টহলদার মুশকো স্বর্গদূতটাকে জপিয়ে বেশ বশে এনে ফেলা গেছে, ভেবেছিলো আদম। কিন্তু টহলদারের পালা যে আবার কিছুদিন পর পর পালটায় তা তো আর আদমের জানা ছিলো না। সেদিন সন্ধ্যায় জ্ঞানবৃক্ষের কাছে গিয়ে সে দেখে, আগেরটার চে মুশকোতর আরেক স্বর্গদূত দাঁড়িয়ে, এর হাতে আবার নানচাক্কু, হাবভাবও সুবিধার না। আদমকে দেখেই সাঁই সাঁই করে নানচাক্কু নেড়ে এক পেল্লায় ধমক, "আদম! দূর হও এখান থেকে!"

ধমক খেয়ে আদমের পিলে চমকে গিয়েছিলো। বাপরে! হনহন করে উলটোদিকে চলতে চলতে সে বিড়বিড় করে বলে, "দ্যাখো কান্ড! এই সেদিন প্রণাম করলি ব্যাটা, আর আজ ধমকাস! রোসো, আমারও দিন আসবে!"

বলতে না বলতেই হঠাৎ কোত্থেকে চিমসে এক স্বর্গদূত এসে ফিসফিস করে বললো, "লাগবে নাকি কত্তা? কচি মাল আছে, একদম ফেরেস!"

আদম থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে, তারপর বলে, "না না, আমার কচি মালটাল লাগবে না, আমার ঈভ আছে ঘরে!"

স্বর্গদূত হেসে কুটিপাটি হয়ে পড়ে। বলে, "ওরে শোন শোন, তোরা আদমকত্তার কথা শোন! ... না না কত্তা, আপনাকে কচি কোন স্বর্গছুঁড়ির কথা বলছি না। আর এখনও তো জ্ঞানবৃক্ষের ফলই পেটে পড়লো না আপনার, আবার ঈভ দ্যাখাচ্ছেন আমাকে, হো হো হো!"

আদম চটেমটে লাল হয়ে যায়, কিন্তু কিছু বলতে পারে না। স্বর্গদূত চিমসেটা কানের কাছে এসে ফিসফিস করে বলে, "কচি মাল মানে জ্ঞানবৃক্ষের ফল কত্তা! একেবারে ফেরেস। টাটকা পেড়ে আনা! চলবে নাকি?"

আদম একেবারে উলু দিয়ে ওঠে খুশিতে, দূর থেকে টহলদার মুশকোটা হুঙ্কার দ্যায়, "ঐ ক্যাঠারে ঐখানে?"

চিমসে স্বর্গদূত আদমের হাত ধরে একটা ঝোপের আড়ালে নিয়ে যায়, "আস্তে কত্তা আস্তে! চেঁচাবেন খেয়েদেয়ে! এখন চুপ করে শুনুন!"

জ্ঞানবৃক্ষের ফলের দাম শুনে আদম ভড়কে যায়। স্বর্গে তো আর মুদ্রাব্যবস্থা নেই, মালের বদলে মাল। ঈশ্বরের কাছে কিছু তদবির করে দিতে হবে আদমকে। আদম তদবিরের বর্ণনা শুনে আরো ভড়কে যায়। কিন্তু লোভের কাছে নত হয় শেষ পর্যন্ত।

চিমসে স্বর্গদূত একটা চটের পোঁটলাতে করে কিছু একটা দেয় আদমকে। "চুপিচুপি কোথাও গিয়ে খান। ধরা পড়লে কিন্তু জামিন নাই! একেবারে লাত্থি দিয়ে বার করে দেয়া হবে! হুঁশিয়ার!"

আদম সেই পোঁটলা হাতে করে উধর্্বশ্বাসে ছুটে আরেক ঝোপের পেছনে বসে গিয়ে অন্ধকারে গপগপ করে জ্ঞানবৃক্ষের ফল খায়। ওয়াক থু! এমন বিশ্রী স্বাদ কোন খাবারের হতে পারে? তিতা আর টকের মাঝামাঝি আরেকটা বিশ্রী জিভে বৈরাগ্য ধরানো স্বাদ, আর গন্ধটা তো অবর্ণনীয়!

জ্ঞানবৃক্ষের ফল খেয়ে বেশিদূর যেতে পারে না আদম, মিনিট পনেরো বাড়ির পথে হাঁটতেই প্রবল পেট মোচড়ায় তার। ঝোপেঝাড়ে প্রবল শব্দ সহযোগে কাজ সেরে খানিক দূর যেতে না যেতে আবার। তারপর আবার। তারপর আবারও। এমনি করে আটবার এমন ঝোড়ো টয়লেট সেরে ঘরে ফিরতে পারে সে।

বাড়ি ফিরে সে শোনে ঈভ ঘ্যান ঘ্যান করছে। বাজারে কোন স্বর্গদূত নাকি কার্বাইড দিয়ে পাকানো কলা বিক্রি করেছিলো গতকাল, ঐ খেয়ে ঈভের পেটটা নাকি একটু চিনচিন করছে। আদম রাগে বাক্যহারা হয়ে যায় এ কথা শুনে। তাহলে জ্ঞানবৃক্ষের ফলও নিশ্চয়ই ওরকম কার্বাইড গোছের কিছু দিয়ে পাকিয়ে তোলা! জ্ঞান তো হয়নি কিছুই, বরং যা ছিলো বিপথে বেরিয়ে যাবার যোগাড়! তার ওপর ঈভের প্যানপ্যানানি। ওরে মাগী, পেটের যন্ত্রণা তুই বুঝিস কী?

আদম বিড়বিড় করে ঈভকে অভিশাপ দ্যায়, "দাঁড়া না, জ্ঞানবৃক্ষের ভ্যাজালমুক্ত টাটকা ফল হাতের নাগালে আসুক, পেট ব্যথা কাকে বলে তোকে রগে রগে বুঝিয়ে ছাড়বো!"


মন্তব্য

সৌরভ এর ছবি

ইহিরে, পুরান লেখা পুস্টায়।



আমি ও আমার স্বপ্নেরা লুকোচুরি খেলি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

- ইভ কি আদম ছাড়া আর কারো সঙ্গে শুয়েছেন?
- তা সঠিক জানা যায় না, তবে মানুষের উৎপত্তি যে বানর থেকে, এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আপদ এর ছবি

মানুষের উৎপত্তি যে বানর থেকে, এটা বৈজ্ঞানিক সত্য।

এইটা কি আপ নার আবিস্কার ভাইজান? খবরদার ডারউইনের দোহাই দিবেন না, তিনি এভাবে বলেন নাই। এভাবে মিসকোট করে বিজ্ঞানরে আপনারা কই নিয়া যাইতে লাগছেন বুঝেন? 'বৈজ্ঞানিক সত্য'র অর্থ জানেন?

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

এতো সিরিয়াস কেন ভাই আপনি?
এটা নিছক কৌতুক।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অভিজিৎ এর ছবি

খবরদার ডারউইনের দোহাই দিবেন না, তিনি এভাবে বলেন নাই। এভাবে মিসকোট করে বিজ্ঞানরে আপনারা কই নিয়া যাইতে লাগছেন বুঝেন?

ঠিকি বলেছেন। ডারউইন 'বাঁদর থেকে মানুষের উৎপত্তি'র কথা অমনভাবে সরাসরি বলেন নি। কিন্তু এটাও ঠিক যে, বিবর্তন তত্ত্ব বলছে আজকের মানুষ এবং বনমানুষগুলো অনেককাল আগে একই পুর্বপুরুষ (কমন এনসেসটর) হতে উদ্ভুত হয়ে আলাদা আলাদা প্রজাতির ধারা তৈরি করেছে। ওই কমন এন্সেসটর বা পূর্বপুরুষকে আজকে আপনার সামনে নিয়ে আসা হলে নিঃসন্দেহে আপনি তাদের বাঁদর-ই বলতেন। তাই বিজ্ঞানী হাক্সলী বলতেন, মানুষের পুর্বপুরুষ বানর সদৃশ জীব থেকে হয়েছে - একথা মেনে নিতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।

আসলে মানুষ নিজেকে সৃষ্টির সেরা জীব বানিয়ে অন্যান্য প্রানীকুলের থেকে আলাদা রাখতে পছন্দ করে। তারা মনে করে মানুষ শ্রেষ্ঠ, আর বাকি সব প্রানীকুল আলাদা, তারা সৃষ্টি হয়েছে মানুষের খেদমতের জন্য। ঠিক যে কারনে মোল্লারা বিড়ালের আগে মোহম্মদ দেখলে তর্জন গর্জন করে ঠিক সেকারনেই মানুষের সাথে বাঁদরের লিনিয়েজ খুজ়ে পেলে আমরা লজ্জিত হই (যদিও এটা এস্টাব্লিশসড ফ্যাক্ট যে, শিম্পাঞ্জিদের সাথে আমাদের ডি এন এ'র মিল শতকরা ৯৮ ভাগেরও বেশি)। অথচ বিবর্তনের শিক্ষাই এই যে, কোন প্রজাতিকেই আলাদা আলাদা ভাবে সৃষ্টি করা হয় নি। অর্থাৎ, বিজ্ঞান মানতে গেলে, আমরা সবাই কোন না কোন পূর্বপুরুষ থেকে এসেছি, সে হিসেবে আমরা সবাই একে অন্যের আত্মীয়।

===========================
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

হিমু এর ছবি

বিজ্ঞানী হাক্সলী বলতেন, মানুষের পুর্বপুরুষ বানর সদৃশ জীব থেকে হয়েছে - একথা মেনে নিতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।

আমি হাক্সলির একটা দুর্দান্ত রিপার্টি পড়েছিলাম। এক আনুষ্ঠানিক বিতর্কে বিশপ একটাকিছু (নাম মনে পড়ছে না) হাক্সলিকে বলেছিলেন, বানর কি আপনার মায়ের দিকের পূর্বপুরুষ নাকি বাবার দিকের? হাক্সলি বলেছিলেন, যে লোক একটা সিরিয়াস বিতর্ককে এভাবে খেলো করে তার বংশধর হবার চেয়ে আমি বানরের বংশধর হতে রাজি আছি।


হাঁটুপানির জলদস্যু

অভিজিৎ এর ছবি

ঘটনাটা এরকম - একবার অক্সফোর্ডে ব্রিটিশ এসোসিয়েশনের সম্মেলনে বিবর্তনের তীব্র বিরোধিতাকারী খ্রিষ্টান ধর্ম বিশপ স্যামুয়েল উইলবারফোর্স ডারউইনের তত্ত্বকে ঈশ্বরবিরোধী ব্যক্তিগত মতামত বলে আক্রমণ করেন। তখনই তিনি হঠাৎ করে সভায় উপস্থিত বিজ্ঞানী হাক্সলিকে উদ্দেশ্য করে জানতে চান তার দাদা এবং দাদীর মধ্যে কে আসলে বানর ছিলেন। তারই উত্তরে হাক্সলি বিবর্তনবাদের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বিশপকে তুলাধুণা তো করে ছাড়েনই বক্তৃতার শেষে এসে তিনি এও বলেন যে,

'যে ব্যক্তি তার মেধা, বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জন ও বাগ্মিতাকে কুসংস্কার ও মিথ্যার পদতলে বলি দিয়ে বৌদ্ধিক বেশ্যাবৃত্তি করে, তার উত্তরসুরী না হয়ে আমি বরং সেইসব নিরীহ প্রাণীদের উত্তরসুরী হতে চাইবো যারা গাছে গাছে বাস করে, যারা কিচিরমিচির করে ডাল থেকে ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ায়।'

============================
পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)


পান্ডুলিপি পোড়ে না। -- বুলগাকভ (মাস্টার এন্ড মার্গেরিটা)

হিমু এর ছবি

এই ঘটনাটা নিয়ে তাহলে একটা পোস্ট হয়ে যাক @অভিজিৎদা, আরো কিছু হাড্ডিমাংস যোগ করে। ডারউইন আর ওয়ালেসের তত্ত্বের মশালকে কিভাবে হাক্সলি উঁচিয়ে ধরলেন, তখনকার ধর্মগোঁড়াদের প্রতিক্রিয়া, এগুলি নিয়ে।


হাঁটুপানির জলদস্যু

দ্রোহী এর ছবি

এইটা কি আপ নার আবিস্কার ভাইজান? খবরদার ডারউইনের দোহাই দিবেন না, তিনি এভাবে বলেন নাই। এভাবে মিসকোট করে বিজ্ঞানরে আপনারা কই নিয়া যাইতে লাগছেন বুঝেন? 'বৈজ্ঞানিক সত্য'র অর্থ জানেন?

আপদ ভাইজান

আমি আপনার বক্তব্যের সাথে পুরোপুরি সহমত। মানুষের উৎপত্তি মোটেও বানর থেকে হয়নি। মানুষের উৎপত্তি হয়েছিল স্বয়ং ঈশ্বরের হাতে (ঈশ্বরের হাত আছে কিনা এ ব্যাপারে আমি অবশ্য নিশ্চিত নই!!)

তারপর আদম যখন নিষিদ্ধ ফল ভক্ষন করলো, তখন ঈশ্বর আদমের পাছায় লাথ মেরে মাটির পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এটাই হচ্ছে চরম সত্য। তাই, ওসব বিজ্ঞানের দোহাই দেয়া লোকজনের কথা শুনবেন না।

হাসি


কি মাঝি? ডরাইলা?

হিমু এর ছবি

সন্ন্যাসী, আমি যদি ভুল না জানি, তাহলে রেডিও ইয়েরেভান এর একটি কৌতুক অনুবাদ করে দিয়েছেন @ আপদ। ওটি তাঁর নিজস্ব বিবৃতি বোধ হয় নয়।


হাঁটুপানির জলদস্যু

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

প্রায় সঠিক আন্দাজ করেছেন। কৌতুকটি রেডিও ইয়েরেভানের নয়, রেডিও আর্মেনিয়ার।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

উনি খুব সম্ভবত বলেছিলেন-মানুষ আর বানর এর পূর্বপুরুষ এক।

প্রাকৃত জন

Anik Samiur Rahman এর ছবি

সংসারে এক সন্ন্যাসী: কই পেলেন যে মানুষ বানর থেকে এসেচে? মানুষতো এক জাতের বড় বানর(ape)ই নাকি?
মানুষের এই নিজেকে আলাদা ভাবার গল্পটা ঐ লেজকাটা শিয়াল থেকেও মারাত্বক, চলেন আদমের গল্পের অনুকরণেই বলিঃ
আদম আর হাওয়ার জ্ঞানবৃক্ষের ফল খাওয়ার কথা কানে আসিবা মাত্র ঈশ্বরবুড়ো ক্রোধে উন্মত্ত হইয়া একদল স্বরগদূত পাঠাইয়ে দিলেন আদম আর হাওয়াকে ধরিয়া নিয়া আসতে। শাস্তিস্বরুপ, তাহাদের সমস্ত লোম মুড়াইয়া দিলেন আর অভিষাপ দিলেন যে আদম হাওয়ার সন্তান-সন্ততিরা সবাই তাদের এ পাপের চিহ্ন হিসেবে নগ্নদেহের অধিকারী হইবে। নগ্নদেহে বাড়ি ফিরিয়া আদম হাওয়া উপরযুপরি প্রতিবেশিদের ঠাটটার শিকার হইতে লাগলেন, সবাই তাদের কেবল নেনংটা বান্দর(Naked Ape) বলিয়া ঠাটটা করে। লজ্জায় শেষে আদম হাওয়া একখানা গাচের চামরা দিয়া তাদের নগ্ন দেহ আচ্চাদিত রাখিলেন। তাহাতেও প্রতিবেশিদের ঠাটটা তামাশা না কমিলে শেষে মনের দুঃখে বলিলেনঃ চলিলাম, আজি হইতে আমরা তোমাদের গ্গাতি নহি, আর তোমাদের এই নন্দনকাননের আমাদের আর থাকার ইচ্চা নাই। তোমরাই থাক, দেখি কতদিন টিকিতে পার। পৃথিবীর শক্ত জমিন আর রক্তভূক নিশাচরদের লইয়াই আমরা টিকিব। আজি হইতে আমরা আর তোমাদের কেহ নহি, আমরা মানুষ।

-Anik.SR

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।