আদমচরিত ০৪৮

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: বুধ, ২৩/১১/২০১১ - ৬:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গিবরিল আসিয়া হাঁপাইতে হাঁপাইতে কহিল, "শিগগীর আইস, সর্বনাশ ঘটিতেছে!"

আদম খড়শয্যায় অর্ধশায়িত হইয়া সাভিনিবেশে একটি পাতলা পুস্তক পাঠ করিতেছিল, মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটায় সে চটিয়া কহিল, "সর্বনাশের জন্য কিছু বাকি আছে নাকি? আমার যা কিছু ছিল বুঢ়বাক ঈশ্বরের চক্রান্তে মাটি হইয়াছে। মহাপ্লাবনে স্বর্গ ডুবিলেও আমার কিছু আসে যায় না হে গিবরিল!"

গিবরিল কহিল, "তোমার বাড়ির পিছনের বাঁশবাগানটি শয়তান ইজারা লইয়াছে!"

আদম সাবধানে পাতলা পুস্তকটি বালিশের নিচে চালান করিয়া দিয়া কহিল, "বিদ্যালাভের সময় সর্বদাই বিপত্তি ঘটে রে গিবরিল। চল দেখিয়া আসি।"

কয়েক শত গজ পা চালাইয়া নিকটস্থ বাঁশঝাড়ের সমীপে আসিয়া দুইজনে দেখিল, শয়তান আরও কতিপয় স্বর্গদূত সঙ্গে লইয়া ফিতা লইয়া বংশদণ্ডের আকার প্রকার মাপজোক করিতেছে।

আদম হাঁকিয়া কহিল, "সুপ্রভাত বন্ধু! হঠাৎ বাঁশঝাড়ে? বলি মতলবখানা কী?"

শয়তান ডাক শুনিয়া পিছু ফিরিয়া আদমকে দেখিয়া মধুর হাস্যে কহিল, "সুপ্রভাত আদম! ভাবিলাম, অনেক তো হইল, এইবার কৃষিকাজে মন দেই।"

গিবরিল ফুঁসিয়া কহিল, "বাঁশ কবে কৃষিখাতের অন্তর্ভুক্ত হইল?"

শয়তান স্মিত মুখে কহিল, "মেসোপটেমিয়ায় কিছু জমি কিনিয়াছি হে বার্তাবাহক শ্যালকপুত্র। শুনিয়াছি আগামীর জগত কনস্ট্রাকশনের জগত। চারিদিকে সেতু বাঁধ দালান রাজপথ নির্মাণ হইবে। তখন বাঁশের চাহিদা বিপুল বাড়িবে। তাই আগেভাগে ব্যবসার পথ সুগম করিতেছি।"

আদম গিবরিলকে কহিল, "চল গিবরিল, শুনিলেই ত। চিন্তার কিছু নাই।"

শয়তান পকেট হইতে একটি চশমা আর একটি ভার্নিয়ার ক্যালিপার্স বাহির করিয়া কহিল, "তিষ্ঠ আদম। আসিয়াই যখন পড়িয়াছ, তখন তোমার গুহ্যদ্বারের ব্যাসখানা মাপিয়া লই।"

আদম কহিল, "আমার গুহ্যদ্বারের ব্যাস মাপিয়া তুমি কী করিবে?"

শয়তান সহাস্যে কহিল, "কৃষিকাজে প্রচুর তথ্য লাগে আদম। কয় মিলিমিটার বৃষ্টিপাত ঘটিবে, কয় কিলোমিটার বেগে হাওয়া চালাইবে, কত ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকিবে, আদমের গুহ্যদ্বারের ব্যাস কত ... এ সবই গুরুত্বপূর্ণ কৃষিতথ্য।"

আদম স্কন্ধ ঝাঁকাইয়া কহিল, "বেশ, তোমার উপকারে লাগিলে মাপিয়া লও।" এই বলিয়া সে আপেলপত্রে কৌপীনখানি নামাইয়া সম্যক আয়োজন করিয়া দাঁড়াইল।

শয়তান নিপুণ হস্তে আদমের গুহ্যদ্বারে ক্যালিপার্স প্রবিষ্ট করিয়া মাপজোক লইয়া খাগের কলম দিয়া প্যাপিরাসের চোথায় সকলই টুকিয়া রাখিল।

আদম কহিল, "তোমার কৃষিকাজে আমার কোন ক্ষতি হইবে না তো হে শয়তান?"

শয়তান মধুরঞ্জিত কণ্ঠে কহিল, "তোমার ক্ষতি হয়, এমন কোন কাজ শয়তান করিবে না হে আদম। লিচ্চিন্তে থাক।"

গিবরিল ফিরিবার পথে আদমকে কহিল, "লক্ষণ ভাল ঠেকিতেছে না হে আদম। তুমি সাবধানে থাকিও।"

আদম চটিয়া কহিল, "তুমি একটি নৈরাশ্যবাদী মূর্খ হে গিবরিল! শয়তান নিজেই কহিতেছে সে আমার কোন ক্ষতি করিবে না, আর তুমি তখন হইতে বকবক করিয়াই চলিতেছ! তোমার জ্বালায় শান্তিতে একটি বেলা নিরিবিলি গুপ্তকোষ পাঠ করিতে পারি না। যাও তুমি তোমার আপন কাজে!"

গিবরিল হতাশ হইয়া উড়িয়া গেল।

পরদিন গিবরিল আসিয়া সক্কাল সক্কাল পুনরায় আদমের দুয়ারে টোকা দিল। আদম দুই মিনিট পর হাঁপাইতে হাঁপাইতে আসিয়া কহিল, "কী বারতা কহ।"

গিবরিল কহিল, "সর্বনাশ ঘটিতে চলিতেছে আদম! শিগগীর আইস!"

আদম কহিল, "আবার কী সর্বনাশ? মহাপ্লাবন ঘটিবে নাকি? নোয়ার নাওখানায় আলকাতরা মাখাইতে বল তোমার ঈশ্বর কর্তাকে।"

গিবরিল কহিল, "শয়তান তোমার বাঁশঝাড়ের বাঁশ কাটিতে শুরু করিয়াছে!"

আদম বিরক্ত হইয়া কহিল, "চল দেখিয়া আসি।"

কয়েক শত গজ পা চালাইয়া দুইজনে বাঁশঝাড়ের সমীপে আসিয়া দেখিল, শয়তান ও তাহার সাঙ্গোপাঙ্গোবৃন্দ মহোৎসাহে বংশ কর্তন করিতেছে। চারিদিকে স্তুপাকৃতি বংশকাণ্ড।

আদম হাঁকিয়া কহিল, "সুপ্রভাত শয়তান! তোমার কৃষিকাজ দেখি ব্যাপক জোরেসোরে আগাইতেছে! ঘটনা কী?"

শয়তান মুখ তুলিয়া দংষ্ট্রাকরাল এক হাসি উপহার দিয়া কহিল, "তা আগাইতেছে বটে! সামনে বাণিজ্যের মৌসুম। সময় থাকিতে বাঁশ কাঠ কাটিয়া গুছাইয়া রাখিতেছি। ঠিকাদারেরা দুইদিন পর চিলুবিলু করিয়া মক্ষিকার ন্যায় ছাঁকিয়া ধরিবে, দেখিও।"

গিবরিল ফুঁসিয়া কহিল, "ঠিকাদারেরা কবে হইতে চোখা বাঁশ ফরমায়েশ করিতেছে?"

শয়তান একটি দাও দিয়া বাঁশ ছাঁটিয়া অগ্রভাগ সূক্ষ্ম করিতেছিল, গিবরিলের প্রশ্ন শুনিয়া সে মিষ্টি হাসিয়া কহিল, "পেলব বাঁশ নির্মাণের কাজে কমই আসে ওহে হরকরার ছাও! আগেভাগে এক মাথা চোখা করিয়া মূল্য সংযোজন করিয়া রাখিতেছি।"

আদম গিবরিলের পানে ফিরিয়া কহিল, "দেখিলে তো? চিন্তার কিছু নাই। কৃষিকাজ আর ব্যবসা চলিতেছে। চল আমরা যাই।"

শয়তান গলা খাঁকরাইয়া কহিল, "ওহে আদম, আসিয়াই যখন পড়িয়াছ, তখন তোমার গুহ্যদ্বারের ব্যাসখানি পুনরায় মাপাইয়া লইতে দিবে নাকি?"

আদম বিস্মিত হইয়া কহিল, "গতকল্যই না এক দফা মাপিলে?"

শয়তান সুমিষ্ট হাসিয়া কহিল, "কৃষিকাজে তথ্য হালনাগাদ রাখিতে হয় হে আদম। তাছাড়া গতকল্য তোমার গুহ্যদ্বারের ব্যাস আর আজিকে তোমার গুহ্যদ্বারের ব্যাসে যে আকাশ পাতাল ফারাক দেখা দিবে না, তাহা কে বলিতে পারে?"

আদম কহিল, "তা বেশ তো, তোমার উপকারে লাগিলে মাপিয়া লও।" এই বলিয়া সে কৌপীন উঁচু করিয়া সম্যক আয়োজন করিয়া দাঁড়াইল। শয়তান নিপুণ হস্তে ক্যালিপার্স প্রবিষ্ট করিয়া মাপজোক লইল। তাহার পর সেই ক্যালিপার্স দ্বারা হস্তধৃত বংশদণ্ডের সূক্ষ্ম প্রান্তটির অগ্রভাগে কী যেন মাপিতে লাগিল।

আদম কহিল, "তোমার কৃষিকাজে আমার কোন ক্ষতি হইবে না তো হে শয়তান?"

শয়তান নিক্কণমধুর কণ্ঠে কহিল, "তোমার অনিষ্ট হয়, এমন কোন কাজ শয়তান করিবে না হে আদম। লিচ্চিন্তে থাক।"

গিবরিল ফিরিবার পথে আদমকে কহিল, "লক্ষণ ভাল ঠেকিতেছে না আদম। সাবধানে থাকিও!"

আদম ক্ষেপিয়া কহিল, "তুমি সবকিছুতেই কেবল দুর্লক্ষণ দেখ হে গিবরিল! শয়তান নিজে কহিল সে আমার কোন অনিষ্ট করিবে না, আর তুমি সেই তখন হইতে ঘ্যানাইতেছ! যাও তুমি তোমার আপন কাজে, আমি বাড়ি গিয়া একটু শান্তিসহকারে বড়দের ব্যায়াম করি!"

গিবরিল ব্যাজার হইয়া উড়িয়া গেল।

পরদিন প্রত্যুষে আদমের কুটিরের দুয়ারে ঘা পড়িল। আদম দরজা খুলিয়া দেখিল, শয়তান দণ্ডায়মান। হাতে একটি সুতীক্ষ্ণ বংশদণ্ড। অদূরে দণ্ডায়মান গিবরিল।

আদম কহিল, "কী ঘটনা শয়তান? বায়সও নিদ্রিত এখন, আর তুমি এইবেলা আমার বাড়িতে? বাঁধ ভাঙিয়া কোথাও মহাপ্লাবন ঘটিল নাকি? নোয়ার নাওখানার নোঙর উত্তোলন করিয়াছে নাকি কেউ?"

শয়তান মধুর হাসিয়া কহিল, "কিছু তথ্য দরকার আদম। তুমি কি অনুগ্রহ করিয়া তোমার কৌপীন নামাইয়া তোমার গুহ্যদ্বারটি প্রস্ফূটিত করিয়া ঘুরিয়া দাঁড়াইবে কিয়ৎক্ষণের জন্য? আমি কিছু তথ্য লইয়াই প্রস্থান করিব, বেশি সময় লাগিবে না।"

আদম কহিল, "তোমার এই কৃষিকাজে আমার কোন ক্ষতি হইবে না তো হে শয়তান?"

শয়তান বীণাবিনিন্দিত মধুর কণ্ঠে কহিল, "তোমার ব্যথা লাগে, এমন কোন কাজ শয়তান করিবে না হে আদম। লিচ্চিন্তে থাক।"

আদম কহিল, "তা বেশ তো, তোমার উপকারে যদি লাগে, আপত্তি কী?" এই বলিয়া সে কৌপীন খুলিয়া ঘুরিয়া সম্যক আয়োজন করিয়া দাঁড়াইল।

গিবরিল নক্ষত্রবেগে উড়িতে উড়িতে ঈশ্বরের দরবারে গিয়া সিংহদ্বারে ঘা মারিতে মারিতে আর্তনাদ করিয়া কহিল, "জাঁহাপন, দরওয়াজা খুলুন! শয়তান আদমকে ধরিয়া পোন্দাইতেছে, আদমের কোনো হুঁশই নাই!"

ঈশ্বর এক পেয়ালা চা হাতে প্রসন্ন বদনে দরজা খুলিয়া কহিলেন, "কী ব্যাপার গিবরিল, তুমি এই ফজরের ওয়াক্তে সক্রিয় যে?"

গিবরিল সাশ্রুনয়নে কহিল, "শয়তান আদমকে পোন্দাইতেছে খোদাবন্দ! অথচ আদম ইহা অনুধাবনও করিতে পারিতেছে না! সে আপনা হইতেই কৌপীন খুলিয়া ঘুরিয়া দাঁড়াইতেছে প্রত্যহ!"

ঈশ্বর সুমধুর হাসিয়া কহিলেন, "আমি কী করিব বল? ইহা তাহাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়!"


আদমচরিতের একখানা ফেসবুক পৃষ্ঠা আছে।


মন্তব্য

দিগন্ত বাহার* এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

অরফিয়াস এর ছবি

শয়তানী হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি মধুর ভাবে পোন্দায়তেছে .....

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

শয়তান আজীবন মধুমেখে আদমের গোয়া মেরেই চলেছে, আর তাই খেয়ে আদম সুখে শান্তিতে দিনাতিপাত করিতেছে। অতপর আদমের ঔরসে জন্মেছে ঘরোয়াশয়তান। সেই শয়তানরা তাদের মাকেও পোন্দিয়ে চলছে। শয়তান এখন আর জুজু নয়, শয়তান যে সত্যিকারের শয়তান তা বোঝার সময় এসেছে।

চরম উদাস এর ছবি

গুরু গুরু
এর চেয়ে ভালো করে কারো পক্ষে স্যাটায়ার লিখা সম্ভব না। আমি গর্বিত এ জন্যে যে আপনার মত একজনের সাথে একই ব্লগে লিখতে পারছি। শুধু ব্লগ আছে বলেই এরকম অসাধারণ স্যাটায়ার পড়তে পারছি। যে দেশের নপুংশক পত্রিকা আরিফের ঘটনা নিয়ে খতিবের পায়ে ধরে, সে দেশে আপনাকে এতদিনে কয়বার ফাসিতে ঝুলতে হত সেটাই চিন্তা করি মাঝে মাঝে।

ঝুমন এর ছবি

সহমত

কল্যাণF এর ছবি

ঠিক ঠিক ঠিক ঠিক

ন এর ছবি

চলুক

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

কিছু কওনের নাই, অ্যাজ ইউজুয়াল ... গুরু গুরু

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সচল জাহিদ এর ছবি

পরের দিন স্বর্গবাণীতে প্রচারিত হইল,

"বাঁশের পরিধী, আদমের গুহ্যদ্বারের ব্যাস প্রভূত তথ্যাবলী ইশ্বরকে পূর্বেই না জানাইয়া শয়তানকতৃক আদমকে পোন্দানো ঠিক হয় নাই। ভবিষ্যতে পোন্দানোর পূর্বে উল্লেখিত তথ্যাবলী আগে ভাগেই ঈশ্বর সমীপে প্রেরণ করিতে হইবে।"

উল্লেখ্য যে, এই প্রজ্ঞাপণের সহিত উপরোক্ত মন্তব্যের কোনরূপ সম্পর্ক নাই।


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

অতিথিঃ অতীত এর ছবি

হাসি দেঁতো হাসি হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুল্লি

স্রেফ লাজওয়াব!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

অতীত

ঝুমন এর ছবি

চরমস গুল্লি

সজল এর ছবি

গুল্লি

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

মাহি এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

আমি সচলায়াতনে আসিই আপনার এই "আদমচরিত" পড়ার জন্য ।

ইহা তাহাদের আভ্যন্তরীন বিষয় !!

শেষের লাইনেই পুরা বাশ !!

তানভীর রাব্বানী এর ছবি

ইহাকেই বলে স্যাটায়ার!

মুনিয়া এর ছবি

কি আর বলিব।। ভাষাহীন।। মন খারাপ মন খারাপ

ধৈবত(অতিথি) এর ছবি

এটাই হলো ব্লগের সুবিধা। কারণ এধরণের অসাধারণ কিছু স্যাটায়ার শুধুমাত্র কন্টেন্টের প্রকৃতির কারণে প্রচলিত মুদ্রণমাধ্যমগুলোতে প্রাকাশিত হয়তো হতো না, তাই অসাধারণ সব রস এবং বিদ্রুপাত্মক আইডিয়া এবং তদানুসারিক প্রকাশভঙি থেকে বরাবরই হয়তো মানুষ বঞ্চিত থেকে যেত। এইজন্য ব্লগোমণ্ডলকে সহস্রাধিক তসলীম ঠোকা যেতে পারে, লেখনীজগতে একটা বিপ্লব ঘটানোর জন্য।

সাথে অল্টারনেটিভ স্যাটায়ারের বঙ্গদেশীয় পথিকৃৎ মুখফোড় চৌধুরীকেও।

মরুদ্যান এর ছবি

গুল্লি গুল্লি গুল্লি (বাংলায়) গুরু গুরু গুরু গুরু

ইমন এর ছবি

গুরু গুরু গড়াগড়ি দিয়া হাসি
ভাই, আপনার লেখার জন্যই প্রতি সপ্তাহে অপেক্ষা করে থাকি। আপনি কোন চালের ভাত খান? এইরকম বিদ্রুপাত্মক লেখা লেখেন কিভাবে?

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এই প্রথমবার আদমের দুর্দশায় করুণাবোধ হইলো না। হো হো হো
চরম! গুল্লি

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ওরে খোদারে! গড়াগড়ি দিয়া হাসি

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দ্রোহী এর ছবি

প্রভুখণ্ড!

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি গুল্লি

তাপস শর্মা এর ছবি

হায় হায় গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

naim এর ছবি

উত্তম জাঝা!

নবীন পান্থ এর ছবি

ভাই ফাডাইলাইছেন।
উত্তম জাঝা! গুল্লি

তন্ময়_আহসান এর ছবি

হো হো হো

ইস্ক্রা এর ছবি

জয়তু মুখফোঁড় গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

নিটোল এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু

গিবরিল সাশ্রুনয়নে কহিল, "শয়তান আদমকে পোন্দাইতেছে খোদাবন্দ! অথচ আদম ইহা অনুধাবনও করিতে পারিতেছে না! সে আপনা হইতেই কৌপীন খুলিয়া ঘুরিয়া দাঁড়াইতেছে প্রত্যহ!"

গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুল্লি গুল্লি

_________________
[খোমাখাতা]

শাব্দিক এর ছবি

হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি চলুক চলুক

কল্যাণF এর ছবি

গুল্লি উত্তম জাঝা! বাঘের বাচ্চা ইয়েস বাঘ মামা, ইয়েস!!! গুরু গুরু গুরু গুরু

গত পর্বে ম্যাটেরিয়াল কমৈছিল, এই বারে সুদে আসলে ডাবল ডাবল উসুল হইছে, বাঘা মামা তোমারে সেলাম।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অমানবিক

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বাউণ্ডুলে এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

বন্দনা কবীর এর ছবি


গিবরিল সাশ্রুনয়নে কহিল, "শয়তান আদমকে পোন্দাইতেছে খোদাবন্দ! অথচ আদম ইহা অনুধাবনও করিতে পারিতেছে না! সে আপনা হইতেই কৌপীন খুলিয়া ঘুরিয়া দাঁড়াইতেছে প্রত্যহ!"

ইহা তাহাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়"

চ্রম...

তারেক অণু এর ছবি

গুল্লি আদম ব্যাটাই দেহি পুরাই আদম!

জারীফ এর ছবি

আদম কি বাঙালির রূপক?

পদ্মজা এর ছবি

গুরু গুরু গড়াগড়ি দিয়া হাসি গুল্লি
স্লাইড ক্যালিপার্স!
আদমের বংশদন্ড কাটিয়া, গুহ্যদ্বারে চিরস্থায়ী দন্ড প্রবেশ করাইয়া জলে নিক্ষেপ করা যাইতে পারে...

নুর নবী দুলাল এর ছবি

চরম ও অসাম। তুলনা নাই। আদমরা এভাবেই নিয়মিত পুন্দানী খাইতেছে।

তুলিরেখা এর ছবি

ওরে বাবা রে, ওরে গিবরিল রে, ওরে আদম রে! গড়িয়ে পড়ে গেলাম। হো হো হো
এইসব স্যাটায়ার পড়তে পড়তে সচলে আসা সার্থক বলে মনে হয়। হাসি

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ডাইনোসর এর ছবি

উত্তম জাঝা! উত্তম জাঝা! উত্তম জাঝা!

KamrulHasan এর ছবি

ধরিতে পারিয়াছি। যথোপযুক্ত লিখিয়াছেন। ঠিক তাহাই ঘটিতেছে। মন খারাপ

KamrulHasan এর ছবি

প্রশ্নহলো কতজন বুঝিতে পারিয়াছে? বুঝিবেই বা কিরূপে? ব্যাথা তো আর নগদে পাইতেছে না! ইন্টারনাল হেমরহয়েডের পেইন একটু দেরিতেই শুরু হয়। মন খারাপ
সুতরাং বাংলাদেশের চিন্তা কি? মাপ যোগ চলুক।

সাফিয়া নায়লা শুভ্রা এর ছবি

ভার্ণিয়ার স্লাইড ক্যালিপার্সের প্রয়োজনীয়তা এবং উপকারিতা এতোদিনে সত্যিই বুঝিতে পারিলাম। ওহে মুখফোড়, তুই সত্যিই মুখফোড় !!! সব লেখা পড়েই হাসতে হাসতে কম-বেশি মরে গেছি। দেঁতো হাসি :D দেঁতো হাসি

স্বাধীন এর ছবি

এইটা একটা প্রভুখন্ড হইছে গুল্লি

সজলায়তন এর ছবি

এমনি হতভাগা অবস্থা আমাদের ঘোর দুর্দশার ইঙ্গিতে নিজেদের ভাগ্য নিয়ে হাসাহাসি করা ছাড়া তেমন কিছু করার নাই।
যেমনটি হয়, এই স্যাটায়ারটাও অসাধারন হয়েছে।

গদাম এর ছবি

গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু গুরু
লোলায়িত হইলাম।

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি

যেমনটি দেখছি তাতে মনে হয় ব্যাথা যখন শুরু হবে তখন আমাদের সে অনুভূতিই হয়ত আর থাকবেনা।

ধন্যবাদ। অতীব সুখপাঠ্য।

তানিম এহসান এর ছবি

প্রশস্তি!!

বিশ্বাসী এর ছবি

কি লাভ হল লিখে ?? আদমরা তো বাহবা দিতে ব্যাস্ত , সচেতন হতে না । এ এমনি আদম , নিজের পোন্দানোর গল্প শুনে নিজেরাই হাসে । ঈশ্বর এদের "ইহা তাহাদের আভ্যন্তরীন বিষয় " ছাড়া কি বলতে পারে ?? দুঃখ :'(

KamrulHasan এর ছবি

চলুক
পানি, জমি, সম্মান সব যায় যাক - কিছু আসে যায় না। কিন্তু, মাথাবিহীন-চরিত্রহীন-ক্ষমতাসীন লক্ষকোটি ছাগলদের নিয়ে বাংলাদেশের ভবিষ্যত বলতে সত্যিই কি কিছু আছে?

আকামের আবদুল এর ছবি

আমার প্রশ্ন হ্ইল গিয়া পরথমে যে কইলেন আদম একখানি চটি বই পড়িতেছিল, ঐ বই খানি আমার দরকার। বালিশের নিচেই আছে।
আমারে অত সহজে ভুলাইতে পারিবেন না। হে, হে, হে . . .

frdayeen (দায়ীন) এর ছবি

পুরাই সেইরকম!! উত্তম জাঝা!

তাসনীম এর ছবি

গুরু গুরু

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

Rony এর ছবি

ভ্রাতা মুখফোড়, বহু দিন যাবৎ আপনি ”আদমচরিত” নামক রচনা পোষ্ট করিয়া আসিতেছেন। রচনাগুলাতে যথেষ্ঠ পরিমান লেখনি গুন ও হস্যরসের উপাদান মিশ্রিত ছিল, যাহারদরুন অনেকের বাহবা অর্জন করিয়াছেন। কিন্তু আপনাকে মনে রাখিতে হইবে যে, সৃষ্টিকর্তা ও তার মনোনিত পথ প্রদর্শক কখনো হস্যরসের পত্র হইতে পারে না। সুতারং এই বিষয়টি খেয়াল করিয়া রচনা পোষ্ট করিলে বড়ই পুলকিত হইতাম। ধন্যবাদ শ্রদ্ধা

হিমু এর ছবি

সৃষ্টিকর্তা ও তার মনোনীত পথ প্রদর্শক হাস্যরসের পাত্র হতে পারে না কেন ভাই?

মাসুম সরকার এর ছবি

লেখার ভাষা খুবই অমার্জিত তবে বিষয় উপস্থাপন প্রাসঙ্গিক___ ভাষা সংজত করার জন্য অনুরোধ করছি

সুব্রত শুভ এর ছবি

কাঁপানো দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

বিশ্বামিত্র এর ছবি

অসাধারণ বাঁশতত্ত্ব !!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।