একটা ছোট্ট চিন্তা

জ্বিনের বাদশা এর ছবি
লিখেছেন জ্বিনের বাদশা (তারিখ: মঙ্গল, ২০/১১/২০০৭ - ৯:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জমা হওয়া যাবতীয় সাহায্য ঠিকভাবে ঘুর্ণিঝড় দূর্গতদের কল্যানে/পূনর্বাসনে ব্যবহৃত হবে -- এই প্রিজাম্পশনের অধীনে লিখছি।

***************************
ছোট্ট দুটি ঘটনা:

আমার জাপানী বস মিঃ আমাগাই, বেশ দেশবিদেশের খবরাখবর রাখেন; বিশেষ করে আমি মানে একজন বাংলাদেশী তার গ্রুপে জয়েন করার পর তিনি জাপানী মিডিয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কিত খবরাখবরগুলো নিয়মিত পড়েন, মাঝেমাঝে আমাকে ফরোয়ার্ডও করেন, আলোচনা করেন।
গতকাল সন্ধ্যায় তাঁর মেইল পেলাম; যদিও জাপানী মিডিয়ায় যতটা বড়ভাবে আসা উচিত ছিল ততটা বড়ভাবে "সিডর"এর খবর আসেনি, তাও চোখে পড়ার মতই ছিল। তো, বস আমাকে মেইলে প্রশ্ন করলেন, তোমার ফ্যামিলির কোন ক্ষতি হয়নিতো?
আমি জানালাম, ভাগ্য ভাল হয়নি, কিন্তু কয়েক মিলিয়ন বাংলাদেশীর আগামী দিনগুলো ভীষন ভীষন অনিশ্চিত।

তিনি কোম্পানীর সি.এস.আর (কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) বিভাগে যোগাযোগ করলেন; তারা কথা দিলেন যে ডিসেম্বরে বেতন ঢোকার পরপরই মেইলের মাধ্যমে কোম্পানীর সব কর্মচারীকে ফান্ড-রেইজিং মেইল পাঠাবে। কি পরিমাণ সাহায্য উঠবে জানিনা, তবুও আমার ভাল লাগল। আমার কোম্পানী একটা দেশের দুর্দিনে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

আরেকটি ঘটনা জানলাম আজ সকালে। ইমেইলে। তোহোকু ইউনিভার্সিটির ম্যাটেরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট। সেখানকার প্রফেসর ড. সাকুরাই তাঁর বাংলাদেশী সহকর্মী ড. আবদুল্লাহ আল মাহবুবের কাছে বাংলাদেশের দুর্যোগের খবর শুনে তৎক্ষনাৎ উদ্যোগ নিলেন। ল্যাবের সদস্যসংখ্যা মাত্র ১২ জন। সবাই মিলে ৬৫ হাজার ইয়েন (৩৫ হাজার টাকার মতো প্রায়) তুলে ফেললেন এক সন্ধ্যাতেই।

************************************

আমরা যারা কোন না কোনভাবে কোন সংস্থা, হতে পারে দেশে অথবা বিদেশে, হতে পারে কোম্পানী অথবা ল্যাব অথবা এনজিও অথবা অন্য যেকিছু, এরকম কিছুর সাথে জড়িত তারা ডাক দিতে পারি।

আমার মনে হয়, ডাক দিলে মানুষ শুনবেই, হাত বাড়াবেই। সবার হাতগুলো আজ বাংলাদেশের ঘুর্ণিঝড়বিধ্বস্ত লোকগুলোর জন্য খুব প্রয়োজন, খুব প্রয়োজন।

আসুন, যে যেভাবে পারি ডাক দিই।
ডাক দেয়াটাই প্রথম পদক্ষেপ।


মন্তব্য

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পুনপোস্ট করছি:

যারা কানাডায় আছেন তারা কানাডিয়ান রেডক্রসের ওয়েব সাইটে গিয়ে ডোনেট করতে পারেন। এখানে করা ডোনেশন ট্যাক্স ডিডাক্টিবল।

অথবা কানাডায় বসেই বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলেও ডোনেট করা যাবে। কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাইট থেকে উদ্বৃতি:

Prime Minister's Relief Fund, Account No. 00236-5077441, Royal Bank of Canada, 99 Bank Street, Ottawa, Canada, C/O - Bangladesh High Commission, Ottawa. SWIFT Code : ROYCATT2.

If you are sending bank/postal draft, cheque , etc., you may also send it to Bangladesh High Commission in Ottawa (275 Bank street, Suite-302, Ottawa, ON K2P 2L6) for deposit with the accounts.

বিস্তারিত এই সাইটে

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

চমৎকার ,,, সবাই নিজ নিজ অবস্থানে থেকে যতটুকু পারি চেষ্টা করে গেলে অবশ্যই বিপদ সামাল দেয়া যাবে ,,,ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অমিত আহমেদ এর ছবি

আমি দু'দিন আগেই আমার ডিপার্টমেন্টের সবাইকে CARE এর ডোনেশন পেজ ফরোয়ার্ড করেছি। এখন অন্য চেষ্টা করছি।


ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

চমৎকার
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

শুভ উদ্যোগ। তবে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলজাতীয় গালভরা সরকারী কোনো সাহায্য সংস্থায় টাকা দিতে আমার মোটিভেশনের অভাব আছে। স্টুডেন্টদের টীমগুলো আমার মতে বেস্ট অপশন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

বলাইদা, ঢাবি'র সংগঠন বাঁধন বা প্রথম আলো ত্রাণ তহবিল হয়ত বেটার, কিন্তু এই বিদেশীরা অথেনটিকেশন নিয়া ভাবে ,,, তাই সাহস করিনাই ,,, তবে দেখি কিছু করা যায় কিনা
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

কনফুসিয়াস এর ছবি

ঢাবির ইকনোমিক্সের এক বন্ধু মেইল করে জানালো, ওদের ডিপার্টমেন্টের একজনের পরিবারের ১১ জন মারা গেছে ঝড়ে।
আমি এখানে ব্যক্তিগত পরিচিত গন্ডীর মধ্যে টাকা তুলছি, ওটাই পাঠিয়ে দিবো বন্ধুকে।

-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ইসস!! কি ভয়াবহ ,,, সরকার অবহেলা করেছে পুনর্বাসনে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

ধ্রুব হাসান এর ছবি

যারা ব্যক্তিগতভাবে তহবিল সংগ্রহ করছেন তাদের সাধুবাদ জানাই(কারন আমার মতে ঐটাই ভালো উপায়, আমিও তাই করতাম দেশে থাকতে, এতে স্বশরীরে গিয়ে মোষ্ট দূর্গত এলাকার মানুষের কাছে পৌছানো যায় সহজে, অত আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় যেতে হয়না )। তবে মুশকিল হলো যারা বাংলাদেশী নয় তারা যখন ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করতে চায় তখন ঝামেলাটা বাধেঁ, উদাহরন হিসেবে শুধুমাত্র এক্টি ঘটনার উল্লেখ করি, যেমন. আমার এক স্পেনিশ বন্ধু কাজ করে বিবিসি-র মোশন গ্রাফিক্স বিভাগে, ও সিডরের আক্রমনের পরের দিন আমাকে হন্তদন্ত হয়ে ফোন দিল, জানতে চাইলো আমার পরিবার ঠিক আছে কিনা! আমি বললাম নাকের ডগা দিয়ে গেছে ঐটা ,চট্টগ্রাম এইবার জানে বেছেঁ গেছে, আরো যোগ করলাম মূলত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো দেশের উপকূল অঞ্চল এবং তারমাঝে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনপদ হলো দেশের দরিদ্র জনপদ। ওর মুখ থেকে বেড়িয়ে আসলো- তাতো হবেই, সবকিছুরই প্রথম আঘাতটা পরে গরিবের উপর। যাইহোক আসল বিপদে পড়লাম যখন সে জানতে চাইলো কিভাবে আমরা তোমাদের এই দুর্দিনে সাপোর্ট করতে পারি? বললাম, কেন তুমি যদি চাওতো ইন্টান্যাশনাল রেড ক্রস বা ক্রিসেন্টকে বা সেভ দ্য সিলড্রেনকে দিতে পার। ও বললো, তুমি যা বললে এসবতো আমিও জানি, আমাদের অনেকেই ইতিমধ্যে ওসবে সাহায্য করা শুরু করেছে, আমি জানতে চাই তোমাদের লোকাল কোন রিলাইয়েবল সংগঠন আছে কিনা যারা সরাসরি মাঠ পর্যায়ে ইতিমধ্যে কাজ করছে? আমি তার কাছে ২ ঘন্টা সময় চেয়ে নিলাম। ২ ঘন্টা পর তাকে আমি অনেক বিবেচনা করে চিফ এডভাইজরের ব্যাঙ্ক ডিটেইল দিলাম (কারন আমার কাছে মনে হয়েছে, এদের কাছে আমার স্বচ্ছ থাকতে হবে, ব্যক্তি পর্যায়ে যদি আমি অর্থ নেই বা কোন ব্যক্তির একাউন্ট নম্বর দেই,তো ওর মনে এমন প্রশ্ন আসতে পারে, যে টাকাটা যথাযত জায়গায় গেল কিনা!)। যাইহোক আমার ঐ বন্ধু নিজ উদ্যোগে টাকা তোলাতো শুরু করলোই পাশাপাশি ঐ দিনই বিবিসি লন্ডনের জন্য সিডরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ফুটেজ দিয়ে একটা প্রমো বানিয়ে ছেড়ে দিল (ওর এই কর্মকান্ড দেখে আমার ভালো লেগেছিলো ভীষন)। যাইহোক এরকম আরো কিছু ছোট ছোট গ্রুপ আছে যারা ইতিমধ্যে বেশ কিছু টাকা তুলে গতকাল পাঠিয়ে দিয়েছে। আরো তুলছে ওরা, পাশাপাশি আমরাও তুলে যাচ্ছি এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে পাঠানোর চেষ্টা করছি। আরেকটা উপায়ও আমার ভালো লেগেছে, তাহলো সেল ফোনের টেক্সট মেসেজে একাউন্ট ডিটেইল দিয়ে সবার কাছে আবেদন জানানো (এর জন্য অলৌকিক হাসানকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই), এর উল্লেখযোগ্য সাড়া পেয়েছি এবং পাচ্ছি; কারন এমন অনেককেই পেলাম যারা যাষ্ট কোথায় কিভাবে পাঠাবে জানেনা বলে কনফিউসড হয়ে বসে আছে। সো আপনাদের সবার কাছে আবেদন ,আপনারাও নিজে অর্থ পাঠানোর পাশাপাশি নিজের সেল ফোনে সেইভ করা অন্তত পাচঁ নম্বরে ত্রান তহবিলের একাউন্ট ডিটেইল দিয়ে আবেদন করুন। এখানে দুটি ঠিকানা সংযুক্ত করা হলো, যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশী অভিবাসীদের জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনাও জুড়ে দেয়া হলো।

Chief Adviser’s Relief & Welfare Fund

Current Account No. 33004093

Sonali Bank, Prime Minister’s Office Branch

Tejgaon, Dhaka

or you can give money through Bangladesh High Commission,(Manchester-phone- 01612364853, or London - phone-0207584008)

or direct to through Sonali Bank UK Ltd, phone 02078778200
(please note all donations will be send as a free of commission fee. Please try to send one day of your wages.)

অথবা পাঠাতে পারেন নিমোক্ত ঠিকানায়ও

জাতীয় ত্রান কমিটি
সঞ্চয়ী হিসাব নং - 11 -9765
swift- UTBLBDDHA463
উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড
সাত মসজিদ রোড শাখা
ধানমন্ডি, ঢাকা।
(তবে বিদেশে যারা থাকেন তারা এমনিতে যেভাবে বাংলাদেশে টাকা পাঠান ঐ একি নিয়মে ফি দিয়েই এই ঠিকানায় পাঠাতে হবে।)

বিঃদ্রঃ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্গত এলাকাগুলোতে (যেমন ধরা যাক বাগেরহাট) এইমূহুর্তে যারা রাত দিন কাজ করে চলেছে, সরাসরি সেসব সংস্থার লোকাল একাউন্ট নং-ও বের করার চেষ্টা করছি। আশা করি কাল-পরশু নাগাদ আপডেইট দিতে পারবো।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

এই অথেনটিসিটিটাই সমস্যা ,,, এখন প্রধান উপদেষ্টারা এই সমস্যাটা বুঝে ঠিকমতো ফান্ড ব্যবহার করলেই হয় ,,, ভয় হয়
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

ধ্রুব হাসান এর ছবি

@অলৌকিক হাসান আপনার কথানুযায়ী লিংক্টা দিয়ে দিলাম অনলাইন ভার্সনটার, তবে টিবি প্রমোটা ও বিবিসির অনুমত ছাড়া দিতে পারবেনা, আমি কথা বলেছি (মহা ঝামেলা এসব অনুমতি নেয়া)। যাইহোক অনলাইনেরটাও খারাপ না, সিম্পল বাট এ্যাপিল আছে। আর ওর নাম খাবিয়ের, জাবিয়ের না।

http://www.bbc.co.uk/homearchive/2007/11/19/17.05.html

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

একটা সুখবর:
আজকে অফিসের সিএসআর থেকে মেইলে জানলাম, সনি'র কর্মচারীরা মিলে ১৭ লাখ ইয়েনের (১০ লাখ টাকা) বেশী ফান্ড কন্ট্রিবিউট করেছেন, যেটা জেনে আমার এত ভাল লেগেছে যে সবার সাথে শেয়ার করতে মন চাইল।
http://www.japanplatform.org/-- এই অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর হবে।

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।