ঘোরাঘুরি ব্লগ: উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ/ সমুদ্র যেখানে মা (২য় পর্ব)

জ্বিনের বাদশা এর ছবি
লিখেছেন জ্বিনের বাদশা (তারিখ: সোম, ২৫/০২/২০০৮ - ৫:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২.
আগেরদিন রাতেই বুঝে গিয়েছিলাম যে আমাদের বারান্দায় দাঁড়ালেই সামনে যে বিশাল অন্ধকার দেখা যায়, সেটা আর কিছু না, সমুদ্র। পরদিন সকালে উঠে তাই আর তর সইছিলনা কখন বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াব। ঘুম ভাঙতেই পড়িমড়ি করে দৌড়, হাতমুখ না ধুয়েই। বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াতেই সামনে যে দৃশ্য দেখলাম সেটা বর্ণনা করার ক্ষমতা আমার নেই। শুধু মনে হলো কোন পোস্টারের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। জাপানের সমুদ্রসৈকত বা বাংলাদেশের কক্সবাজার/পতেঙ্গা, যেসব জায়গায় আমি গিয়েছি, সবখানেই সমুদ্রের রং খানিকটা ম্যাড়ম্যাড়ে, ছাই রঙের বালুর প্রভাবে। এখানে সম্পূর্ণ অন্যরকম, হালকা সবুজ নাকি ফিরোজা কালার, নাকি যেটাকে বলে ওশান ব্লু, সেরকম কিছুই হয়ত বলে সবে, তবে রংবোধহীন আমার চোখে এত জীবন্ত নীলরং কখনো পড়েনি, এটুকু বলতে পারি। এখন পর্যন্ত সেসব রং শুধু বিজ্ঞাপণের পৃষ্ঠা বা বইগুলোতেই দেখেছি, মালয়েশিয়ার লাংকাওয়ি বা থাইল্যাল্ডের ফুকেট বা ক্যারিবিয়ান দ্বীপগুলোর ছবিতেই দেখেছি। আর আজ সেটা আমার ঠিক চোখের সামনে! এর আগ পর্যন্ত আমার কিঞ্চিৎ সন্দেহ ছিল যে অমন সুন্দর রং ক্যামেরার কারসাজিতেই করে, বাস্তবে নিশ্চয়ই অত ভালো হয়না। অথচ সাইপানের পশ্চিম উপকূল ধরে চলে যাওয়া এই ফিনিপিনস বে দেখে চরম ভুলটা ভাঙল; বাস্তবে দৃশ্যটা আরো সুন্দর, আরো ঝলমলে, এবং এক ধরনের অদ্ভুত বিশালতা নিয়ে বিরাজ করে। দুচারটে ছবি তোলার অপচেষ্টা করেছিলাম, এখানে দিচ্ছি।

সৈকত থেকে তোলা সমুদ্রআমাদের বারান্দাটা উত্তর পশ্চিমমুখী, পশ্চিমে তাকালে সমুদ্র, আর উত্তরে তাকালে পাহাড়। পুরো পাহাড়টাই সবুজ, কারণ সাইপান দ্বীপে শীত আসেনা। সারাবছরই হাল্কা গরম, দিনে কয়েকদফা বৃষ্টি হয়, বেশ বড় বড় ফোঁটার বৃষ্টি, আমাদের যেমনটা হয় বৈশাখে। এই বৃষ্টির সবচেয়ে মজার দিকটি হলো, মিনিট পাঁচেক পরেই তা থেমে যায়। উত্তরের পাহাড়গুলোর দিকে তাকাতেই চোখে পড়ে গেল অদ্ভুত চারকোনা টাইপের একটা শৃঙ্গের দিকে, যেটা দ্বীপটির একদম উত্তরকোণে দাঁড়ানো। দেখতে সাধারন, অথচ অকল্পনীয় এক অভিশাপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই পাহাড়, (পরে জেনেছি এটাই সেই অভিশপ্ত বানজাই ক্লিফ), দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এখান থেকেই লাফিয়ে পড়ে মারা গিয়েছিল আট হাজারেরও বেশী জাপানী নারী আর শিশু। ভয়াবহ গল্প, তবে সেকথা পরে আরেকদিন বলা যাবে।

আকাশ-সাগর একাকারবারান্দায় সমুদ্র আর পাহাড় দেখে আনন্দে গদগদ হয়ে আমি যখন ঘরে ঢুকলাম, তখনই বোঝা গেল সমস্যা একটা লটকে আছে মাথার ওপর। এটাতো আর আমাদের নিজেদের ঘর না যে বারান্দায় দাঁড়িয়ে ফুজিপর্বতের সৌন্দর্য্য গিলে গদগদ হয়ে ঘরে ঢুকব, আর গিন্নী নিজহাতে বানানো সকালের নাস্তা উইথ হট কফি নিয়ে ক্লোজআপ হাসি দিয়ে অভ্যর্থনা জানাবে (বলে রাখি, এটা শুধুই সৃপ্ন, এবং হলপ করে বলতে পারি সেটা শুধু আমার না )! মিসেসের কপালের ভাঁজ দেখে যেটা বোঝা গেল, নাশতা জোগাড়ের জন্য বেরুতে হবে। নিচে নেমেই একতলায় হোটেলের রেস্টুরেন্টে গেলাম, কিন্তু যা দাম! ব্যুফে, পনের ডলার (সাইপানে আমেরিকান মুদ্রাই চলে শুধু) একেকজন -- শুনতে ভাল। কিন্তু মেন্যু দেখে আর ভাল লাগলনা, কারণ প্রায় যাবতীয় আমিষেই কোন না কোনভাবে পোর্ক ঢুকানো। এমনিতেও পোর্ক খাইনা, তারওপর টাকা বাঁচানো যায়, আমি চটপট মত দিলাম বাইরে কোথাও গিয়ে খাই। মোনাও মেনে নিল, আফটার অল পোর্ক একটা চমৎকার অজুহাত।

বাইরে বেরিয়েই টের পেলাম আইনস্টাইন সাহেব আপেক্ষিকতা বলতে কি বুঝিয়েছেন। তাপমাত্রা মাত্র তেইশ বা চব্বিশ (সে.) হবে, কিন্তু আমি দরদর করে ঘামছি। জাপানের পাঁচ থেকে দশের মাঝে কাটিয়েছি আগের দুমাস, এখন তেইশ-চব্বিশই মরুভূমির মতো। হোটেল থেকে সামান্য দক্ষিণে গেলেই রাস্তার ওপারে এক মুদি দোকান, (আমাদের দেশের মতো টং বিছিয়ে তার ওপর পসরা সাজানো না, ছোটখাট সুপারকমার্কেট টাইপ), দোকানের ভেতরে ঢুকতেই প্রাণটা ঠান্ডা হয়ে এল। এটা সেটা নাশতা কিনে রওয়ানা দিলাম সমুদ্রের দিকে। কি কি কিনেছি মনে নেই, শুধু মনে আছে ফ্রিজের মাইনাস ১০ ডিঃ তাপমাত্রার ক্যানের দঙ্গল থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে আনা চিল্ড কফিটা একটুও হতাশ করেনি, গরমে শান্তি, আহ্, রূহ আফজা। একশভাগ পয়সা উসুল।

সাইপানের হোটেলগুলো (সম্ভবত সব বীচ রিজোর্টেই একই হবে) এমনভাবে তৈরী করা, যেখানে এন্ট্রান্স দিয়ে ঢুকলেই আপনার চোখে পড়বে হোটেলের মাঝখানে একটা বিশাল সুইমিং পুল, সুইমিংপুলের ওপারে একটি বুনো ধরনের রেস্টুরেন্ট, তারপর কিছু তাবু খাটানো, তারপর সমুদ্র সৈকত আর সাগরের নীল। এন্ট্রান্সে পা দেয়া মাত্রই এই পুরো দৃশ্যটা চোখে পড়ে, পুরো ক্যানভাসটা যে কাউকেই নিজের অজান্তেই সমুদ্রের দিকে টেনে নিয়ে যায়। প্লুমেরিয়ার পাশেই আরেকটি ঝকঝকে হোটেল, এটা সম্ভবতঃ গ্রেডের দিক দিয়ে সাইপানে তৃতীয়, এ্যাকুয়া রিজোর্ট হোটেল। আমাদের গরীবি প্লুমেরিয়ার পাশে ওটাকে আবিষ্কার করে আমরা ওদিকেই রওয়ানা দেই, এবং যথারীতিই দেখা যায় ওদের এন্ট্রান্সে ক্যানভাসটা আরো অনেক সুন্দর। সোজা চলে যাই সমুদ্রের কাছে, এমনভাব যেন আমরা এই হোটেলেই উঠেছি। সমুদ্রে গিয়ে আরেকদফা মুগ্ধ, সাগরটা শুধু দূর থেকেই নয়, কাছ থেকেও অসাধারণ। পানি অসম্ভব সুন্দর, স্বচ্ছ, চকচকে; আর তার চেয়ে বেশী সুন্দর পানির নীচের নুড়িপাথরগুলো। বলতে গেলে পুরোপুরি সাদা, এত পরিস্কার। শুধুই এরকম শ্বেতবর্ণের নুড়ি, কোন বালু নেই। তাই সমুদ্রটা এত সুন্দর দেখায়, আমি বিজ্ঞের মতো অভিমত দিলাম।

নারকেল দ্বীপে অধমের সমুদ্রদর্শনসমুদ্রে নামার পোষাক পরে বের হইনি, সমুদ্রে নামার প্রশ্নই আসেনা। এরকম একটা মতৈক্যের ভিত্তিতেই আমরা সৈকত দেখতে ঢুকেছিলাম। কিন্তু সৈকত ধরে একটু পা ভিজিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যখন আমরা টের পেলমা যে এ্যাকুয়া রিজোর্টের সীমানা ছাড়িয়ে আমরা এখন নিজেদের হোটেলের সৈকতে ঢুকে পড়েছি, তখন ভাবলাম "কি আছে জীবনে!"! সমুদ্রের ডাক উপেক্ষা করা গেলনা। সকাল এগারোটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত সমুদ্র চষে ফেললাম, চষে ফেললাম বলছি এজন্য যে আমি সাঁতার জানিনা। মোনাও জানেনা। আমরা খালি সমুদ্রের পানি কেটে হাঁটি, মাঝে মাঝে ডুব দেই। শামুক-ঝিনুক তুলি, আবার কিছুক্ষণ পর ফেলে দিই। অনেকদিন পর নিজেকে দশ বছরের এক শিশু মনে হলো, যা খুশী তাই করো, কেউ কিছু বলবেনা।

একটু একটু মেঘ করেছেসমুদ্রে সময় কাটিয়ে দুপুরের খাবারের জন্য বের হতে হতে দেরী হয়ে গেল। হোটেল থেকে ঘন্টায় একটি করে বাস যায় ডাউনটাউনে। ডাউনটাউনের একমাত্র বড় শপিংমল ডি এফ এস গ্যালেরিয়া; বাসটা তাদেরই। সাইপান দ্বীপের উত্তরের চারটি হোটেল মারিয়ানা রিজোর্ট, নিক্কো হোটেল, প্লুমেরিয়া আর এ্যাকুয়া রিজোর্টে থামে বাস। একইভাবে দক্ষিণেও যায় আরেকটি বাস, তবে কোন কোন হোটেলে থামে মনে নেই, যেহেতু ওদিকটায় বাসে যাওয়া হয়নি, হোটেলের নাম মনে রাখে কে? সমুদ্র থেকে ফিরে দুপুর তিনটার দিকে ডি এফ এস গ্যালেরিয়ার দিকে রওয়ানা দেই বাসে চড়ে, মূল উদ্দেশ্য কেনাকাটা না, খাওয়া দাওয়া। তাও সাথে যখন স্ত্রী আছে, কেনাকাটার তীর্থকেন্দ্র থেকে বের হওয়াতো অত সহজ ব্যাপারনা।

এক্ষুনি বৃষ্টি নামবেডিএফএসের গেটে বাস থামতেই দেখলাম মোনা মন্ত্রমুগ্ধের মতো দোকানের দিকে ঢুকে যাচ্ছে; দোকানের কর্মচারী ফিলিপিনো তরুনী এমনভাবে অভ্যর্থনা করলেন আমাদের যেন সারা সকাল তিনি আমরা কখন আসব সে অপেক্ষাতেই ছিলেন। এই অভ্যর্থনার পর কিছু না কিনে কিভাবে বের হওয়া যায়, আমি লজ্জায় এতটুকু হয়ে গেলাম। কিন্তু এসব কোন যুক্তি না, বিশেষ করে সেটা যখন প্রয়োগ করা হয় স্ত্রী প্রজাতিকে কেনাকাটা থেকে অন্যদিকে ফেরানোর জন্য :)। কোনকিছুই যখন কাজ করলনা, আমি খিদের জ্বালায় কাতরভাব দেখানো শুরু করলাম। অভিনয় আমার খারাপ, সেটা নিন্দুকেও বলবেনা। তাও আধঘন্টার মত লাগল সাফল্য পেতে, পেলাম যে সেটাই বেশী। বউকে শপিংমল থেকে তাড়িয়ে এনে রেস্টুরেন্টে ঢোকানো গেল।

রেস্টুরেন্ট পছন্দ করতে গিয়ে আরেক ঘাপলা হলো। আমার ধারনা নতুন কোন দেশে বেড়াতে গেলে এটা সবচেয়ে বড় সমস্যা। সেজন্য ম্যাক-ট্যাক হলে সবচেয়ে সুবিধা, তবে সাইপানের ডিএফএস গ্যালেরিয়ার আশপাশে ম্যাকও দেখা গেলনা। বেশ কিছু জাপানীজ, কোরিয়ান আর চাইনীজ দোকানপাট দেখা গেল, তবে তাদের স্বাদ নিয়ে আমার নিশ্চয়তা বোধে বাঁধা ছিল। অনেক ঘুরে ফিরে অবশেষে পেলাম এক ফাস্টফুড টাইপের শপ। ভাবলাম বার্গার ফার্গারের স্বাদ আর কত ভিন্ন হবে। পটেটোজ-পটাটোজ। সাইপানের খাবারের দোকানগুলোর বাইরে সাধারণত সব মেন্যুর বর্ণনা থাকে, আপনি সেখান থেকে পছন্দ করতে পারবেন। আমি একটা হটডগ অর্ডার দিলাম আর মোনা দিল চিকেনপ্লেট। নাম দেখে খাবার উপযোগী মনে হল। তবে, চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল যখন খাবারটা এলো; কালচারাল শক যাকে বলে আরকি। বাংলাদেশ বা জাপানের মানুষগুলো হয়ত ছোটখাট বলেই রেস্টুরেন্টগুলোতে একজনের আন্দাজে যে খাবারটুকু দেয়া হয়, তা বেশ পরিমিত। বিশেষ করে জাপানে তো খুবই মেপে মেপে দেয়া হয়, প্রায়ই আমার ড্রিংকস মেপে মেপে গিলতে হয়। আর এখানে চিকেন প্লেটের নামে যেটা দেয়া হলো, সেটা ঢাকাই ছবির নায়ক/নায়িকারা ছাড়া কেউ পুরো গিলতে পারবেনা। একটা বিশাল সাইজের মুর্গীর অর্ধেকটা, সাথে একগাদা সালাদ, প্রচুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, আর আমাদের দেশের বাবুর্চী হাউসগুলোর হাফপ্লেট বিরিয়ানী পরিমাণ ভাত। ডায়েটে(কাগজেকলমে) থাকার ফলে আমি নিজেও এই পরিমাণ খাইনা! তারওপর হটডগ বললেও এর সাইজ আমার ধারনা কে অনেক বেশী অতিক্রম করেছে, আর সাথে একগাদা এটা সেটা। তো, এসব ক্ষেত্রে যা হয়, স্ত্রীদের অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করা ছাড়া আপনার আর কোন উপায় নেই। যথারীতি মোনা যতটুকু খেতে পারলনা, সেটা আমাকে খেতে হলো; আফটার অল খাবার নষ্ট করা যাবেনা। কোন এক আলোকচিত্রী সুদানের দুর্ভিক্ষের এক ছবি তুলেই বিশ্বের তাবৎ মানুষের মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন খাবার নষ্ট করা যাবেনা। মানুষ তাই খাবার নষ্ট করেনা, ঠিকাছে, কিন্তু আগে যতটুকু খেত এখন তার দেড়গুন খায়। ব্যাপারটা এমন না যে নিজের খাওয়াটা কমিয়ে কেউ আফ্রিকার শিশুদের জন্য পাঠাচ্ছে, এখন মানুষ যাস্ট বেশী খায়; খায় খায় আর খায়, সাথে সাথে অপরাধবোধ কমায়, অগত্যা আমিও তাই করি।

খাওয়া দাওয়া শেষে অদৃষ্টের লিখনের মতোই শুরু হয় বউয়ের উইন্ডো শপিং পর্ব। বুঝতেই পারছেন, ট্যুরিস্ট এরিয়া, কেনার জিনিসের অভাব তো নেইই, দেখার জিনিসের অভাবটা আরো বেশী নেই। আমি খুনখুন করি কোথাও বসে রেস্ট নেবার জন্য, কে শোনে কার কথা। একের পর এক দোকান, সবখানেই একইরকম জিনিস (অন্ততঃ আমার চোখে), আর সেগুলো দেখেও যাচ্ছে আমার স্ত্রী ও তাঁরই মতো একগাদা মানুষ। আমি বুঝে পাইনা অন্ততঃ দশটা দোকানে একই জিনিস বারবার হাতে নিয়ে তাঁরা কি পরীক্ষা করেন। আমার মতামত হলো, শপিংলাভারদের সবাইকে বিএসটিআইতে ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ দেয়া হোক, ভেজাল ব্যবসায়ীদের বারোটা বাজাতে এত ধৈর্য্য নিয়ে আর কে কাজ করবে?

বিরক্তমুখে ঘুরতে ঘুরতে বাচ্চাদের মতো খুনখুন করা ছাড়া আমার যখন আর কিছু করার ছিলনা, তখনই আবিষ্কার করি এক মজার জিনিস। হ্যাঁ, ম্যারিন স্পোর্টস। দেখলাম, দোকানে দোকানে ম্যারিন স্পোর্টসের বিজ্ঞাপণ; স্নোকেলিং, ডাইভিং, জেটস্কি, প্যারাসেইলিং, বানানা বোট, আইল্যান্ড ক্রুজ, আরো কত কি!! আমাকে আর পায় কে! শুধু খোঁজ নিলাম সাঁতার জানাটা কতটুকু জরুরী। যে দোকানেই জিজ্ঞেস করি, বলে, একদম না জানলেও চলবে। আমাকে আর পায় কে, সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম, কালই হবে। এমনিতেই শরীরটা ভারী হয়ে গেছে, কিছু লাফঝাপ দরকার-- ভাল বাহানা। মোনাকে নিয়ে একটু ভয় ছিল, রাজী হয় কিনা। আমাকে অবাক করে দিয়ে বলার সাথে সাথে সেও রাজী হয়ে গেল, শুধু তাইনা, আবিষ্কার করলাম আমার চেয়ে ওর উৎসাহই বেশী। আর পায় কে? এখন একটা ভাল দেখে এজেন্ট খুঁজে পেলেই হলো। এই এজেন্ট খুঁজতে গিয়েই চমৎকার সব ব্যাপার ঘটল, যেটা পরের পর্বে আসবে।


মন্তব্য

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

লেখাটা বেশ বড় হয়ে গেল মনে হয় ,,,ছবিগুলোর ক্রমেও দেখি উলোটপালট ,,, মন খারাপ

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আগেরবার শিমুল দাবী করেছিলেন ছবি না দিলে বিশ্বাস করা যায়না চোখ টিপি
এবার দিলাম ,,, প্রকৃতির ছবি সবগুলোই আমার তোলা হাসি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

ইশ। ছবি দাবী করেই উধাও হলাম ।
এ পোস্টে আপনার ছবি দেখলাম (আবার অবিশ্বাস করি, এইটা জ্বিনের বাদশা? মর্ডান!) হা হা। ওহ, জ্বীনের রাণীর নামও জেনে গেলাম চোখ টিপি

ছবিগুলো তো দারুণ।
থাইল্যান্ডের ঐ জায়গার নাম বাংলায় লিখলে ফুকেট (phuket)। শুরুতে ph থাকলেও স্থানীয় উচ্চারণটা ঠিক বাংলা ফুলের 'ফ' কিংবা ফাঁকার 'ফ' না। মুখের বাতাস আঁটকে প/ফ এর মাঝামাঝি কিছু একটা। হাসি

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ধন্যবাদ, এই উচ্চারণ নিয়ে ক্যাচালে ছিলাম ,,, সবকিছু সিম্পলিফাইড কইরা ফালানো জাপানীরা পুকেট বলে, আমিওতো আদ্দেক জাপানীই চোখ টিপি

জ্বিনের বাদশাকে দেখে লোকজন কমবেশী হতাশ নাকি? ,,,কেউ কেউ লম্বা দাড়ি না দেখে, কেউ কেউ মাতাঃর উপরটায় পাগড়ী নেই দেখে চোখ টিপি

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

যে ছবিটি প্রকৃতির নয় সেটা কি জ্বীনের বাদশাহর?

ভ্রমণ কাহিনী আমার সবসময়ই ভালো লাগে; প্রকৃতি নিয়ে হলে তো কথাই নেই। আচ্ছা এটাই কি সেই মারিয়ানা যেখানে আছে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ-- সমুদ্রের সবচেয়ে গভীর স্থান?

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ধন্যবাদ প্রকৃতিপ্রেমিক ,,, প্রকৃতি নিয়ে লেখা আপনার ভালো লাগবেই, নামটাই বলে দিচ্ছে

হ্যাঁ, প্রকৃতির নয় ছবিটিই জ্বীনের বাদশা'র, যখন সে মানুষের রূপ ধরে হাসি

আর হ্যাঁ, এই সেই মারিয়ানা ,,,,
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

আয় হায় ... আলিফ লায়লার কারণেই মনে হয়, আমার বেশ শক্ত ধারণা হয়ে গেছিল যে আপনার বুক সমানে দাড়ি থাকবে, আর সাইজ হবে মিনিমাম সাড়ে ছয় ফিট ... ফটু দেইখা তো পুরা টাস্কি হাসি

লেখা ভালৈছে ... পরের পর্ব দেন তাড়াতাড়ি ...
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

সেইটা ছিল আগের যুগে যখন মানুষের রূপ ধরতাম তখনকার কাহিনী চোখ টিপি ,,,এইযুগে জ্বীনদের কি আর সেই কদর আছে?

পড়ার জন্য ধন্যবাদ ,,,
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ছবিগুলা সত্যিই ক্যালন্ডারের পাতার মত।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আবারও ধন্যবাদ চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

রেজওয়ান এর ছবি

দেরীতে হলেও পড়া শুরু করলাম সিরিজটি। জোস হচ্ছে, এত ডিটেইলস মনে রেখেছেন।

ছবিগুলো তো দুর্দান্ত! সেটা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ক্যামেরা না ক্যামেরাম্যানের কৃতিত্ব সেটা বোঝা মুশকিল। মনে হয় সবগুলোরই সংমিশ্রন।

পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

অসংখ্য ধন্যবাদ, রেজওয়ান ভাই ,,,, আমার আবার স্মৃতিশক্তিটা বেশ ভালো ,,,হে হে হে ,,,,মজা করলাম হাসি

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।