রোজার কথা - ২

জ্বিনের বাদশা এর ছবি
লিখেছেন জ্বিনের বাদশা (তারিখ: সোম, ০৮/০৯/২০০৮ - ৫:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

জীবনে প্রথম রোজা রাখতে গিয়ে কি ভয়ানক বিপত্তিতে পড়েছিলাম সেটা খুব ভালোই মনে আছে (আগের পর্বে যেটা লিখলাম), তবে এখন লিখতে বসে অনেক চেষ্টা করেও প্রথম সফল রোজা, অর্থাৎ যেদিন প্রথম সজ্ঞানে সাইরেন শুনে ইফতার করতে পেরেছিলাম সেদিনের কথাটা মনেই করা গেলনা। সম্ভবতঃ আগের ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি বাকী সবগুলোকে খেয়ে ফেলেছে, আর তাছাড়া বয়েসও তো বাড়ছেই। সে যাই হোক, যেহেতু মনে পড়ছেনা তাই রোজার টুকরো টুকরো স্মৃতিগুলোই লিখি।

এখনও এই সিস্টেম আছে কিনা জানিনা, তবে আমাদের সময়ে রোজার মাসে স্কুল বন্ধ থাকাটা ছিল কমনসেন্সের মতো! রোজার মধ্যে আবার কিসের স্কুল!! আমি জানিনা সে যুগে স্কুল বন্ধ বেশী থাকত কিনা, তবে রোজার একমাস পুরো বন্ধ, গ্রীস্মের ছুটি, এসএসসি পরীক্ষার ছুটি (পরে অবশ্য এসএসসি আর গ্রীষ্মের ছুটি এক করে ফেলা হয়), আরো কত বন্ধ যে ছিলো! এসব শুনলে এযুগের স্কুল-থেকে-ফিরে-দুটা-প্রাইভেট-পড়া-আর-একটা-পিয়ানো-লেসনে-দৌড়ানো বাচ্চাদের কাছে তো স্রেফ রূপকথা মনে হবে। মনে আছে কিভাবে একেকটা বন্ধের জন্য মুখিয়ে থাকতাম। পরিসংখ্যানের খেলা ক্রিকেট পছন্দ করি, সংখ্যা টংখ্যা মাপতে ভালো লাগে, সেটা সম্ভবতঃ সেই ছোট বয়েসেও ছিলো। সেজন্যই হয়তোবা, স্কুলের ক্যালেন্ডারে রোজার বন্ধের এক দুসপ্তাহ আগে থেকেই গোনা শুরু করতাম আর কয়দিন বাকী স্কুল বন্ধ হতে? কাউন্টডাউন করতে করতে হয়ত একটু ধৈর্য্যই হারিয়ে ফেলতাম, যেজন্য রোজা শুরু হবার আগের দিন আমরা ভাইবোনেরা সবাই মিলে নানান ফন্দি করে হলেও স্কুল কামাই করতামই।

যেবার ক্লাস ফোরে উঠি, সেবার খালাতো ভাইটি রায়পুর থেকে ঢাকায় এলো আমাদের বাসায় থেকে পড়বে বলে। জগতের যাবতীয় বাঁদরামি আমরা দুজন মিলে করেছি সেসময়, আমি তো বাঁদর ছিলামই, ওব্যাটা ছিলো আমার চেয়ে কয়েককাঠি বাড়া। রীতিমতো স্মার্ট পিচ্চি যাকে বলে। ছোকরা সে বয়েসেই কিভাবে যেন জেনে গিয়েছিলো যে বগলের নীচে রসুন রেখে দিলে গা গরম হয়ে যায়, স্কুল মারার অব্যর্থ ঔষধ। আর পায় কে? সেবছরের রোজা শুরুর আগের দিন স্কুল কামাই করবোই করবো, আমরা দুজনেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। রান্নাঘরের টিন হাতড়ে কয়েক কোয়া রসুন নিয়ে রেখে দিলাম ব্যাগের ভেতর, রাতের বেলা আমরা দুজনেই বগলের নীচে রসুন রেখে মহা আনন্দে জ্বরের আসার অপেক্ষায়। কতক্ষণ গেলো সেটা তো এখন আর মনে নেই, তবে এটা মনে আছে যে হতচ্ছাড়া জ্বর আর আসলোনা কি ভয়ানক বিপদরে বাবা। এদিকে মাথায় চেপেছে স্কুল কামাই করবই করব! উপায়ন্তর না পেয়ে উর্বর মস্তিষ্কে (!) যে চিন্তাটা এলো সেটাই করলাম। পরদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে আলনা থেকে নিজেদের স্কুলের শার্টদুটো নিয়ে চুপিচুপি বাথরুমের বালতিতে ভেজা কাপড়ের সাথে চুবিয়ে রেখে এসে আবার দিলাম ঘুম।

সাতটার দিকে মা যখন ডেকে ওঠালেন স্কুলে যাবার জন্য, আমরা তো আর স্কুলের শার্ট খুঁজে পাইনা! বড় আপার মনে হয় স্কুল এমনিতেই ছুটি ছিলো, মা ওকে লাগিয়ে দিলেন শার্ট খোঁজার কাজে। বেচারী সারা ঘর খুঁজেও কোন হদিস করতে পারেনা। এভাবে যখন স্কুলে যাবার সময় পেরিয়ে গেল, তখন আর আমাদের পায় কে, আমরা দুই বান্দর বারান্দায় গিয়ে বাঁদরনাচ নেচে বিজয় উদযাপন করতে লাগলাম। তবে সে নাচ বেশীক্ষণ টেকেনি, দুপুর এগারোটার দিকেই মা কাপড় কাচতে গিয়ে বের করে ফেললেন কি ঘটেছিল; তবে মা আমার চিরকালই অতিমাত্রায় মমতাময়ী, কোনদিন মনে হয় বকাও দেননি। ঝামেলাটা হলো যখন বড় আপা জানলো, তখন। বাজখাঁই গলার "এক্ষুণই হাতমুখ ধুয়ে খাতাপেন্সিল নিয়ে আয়!", শুনে গুটিগুটি পায়ে আমরা দ্বিরত্ন খাতাপেন্সিল নিয়ে এসে বসলাম সামনের রূমে। সেদিন মনে হয় এক হাজারবার "জীবনে কোনদিন স্কুল কামাই করবনা" বাক্যটি লিখতে হয়েছিলো, দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে ছোটখাটো-শুকনো আমি বড়বড় চোখে চিওয়াওয়ার মতো কুঁইকুঁই করেও রেহাই পাইনি!

রোজার কথা বলতে গিয়ে কি বলছি? যাক, আবার রোজায় ফিরি। কত বছর বয়েসে মনে নেই, তবে মনে আছে যে এক সময় এটা কমনসেন্সের মতো হয়ে গেল যে, যেহেতু সেহরী খেতে ভোররাতে একবার উঠতে হয় সেহেতু সকালে একটু বেশী ঘুমানো যাবে। সে হিসেবেই বাসার সবাইই রোজার মাসে সকালে একটু দেরীতে উঠত। তবে একদিন সকালে টের পেলাম রোজা হোক বা যাই হোক বাবাকে ঠিকই সকালে উঠে জামাকাপড় পরে অফিসে ছুটতে হয়। বাবার এই কষ্টটা দেখে সে বয়েসেও আমার কাছে একটা ব্যাপার আজব লাগত, একে ওকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করতাম, রোজা রাখে বড়রা, আর স্কুল ছুটি হয় ছোটদের -- কেন? তবে সেটা কখনই এই অর্থ বহন করতনা যে আমাদের স্কুল ছুটি দেয়া বন্ধ করে দাও, বরং সেটার মানে এটাই ছিলো যে বাবাদেরও অফিস ছুটি দিয়ে দাও। বাবার একটা জিনিস ভালো ছিলো যে ছুটির দিন তিনি উদার হয়ে যেতেন। সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরলেই হতো, সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেড়ালেও কিছু বলতেননা। কাজেই ছুটির দিনে বাবার বাসায় অবস্থানটা তেমন কোন সমস্যা তৈরী করতনা। বরং, বাবার কারণে একটা ঢাল তৈরী হয়ে যেত, আপারা অত মাতব্বরি ফলাতে পারতনা।

এবার আসি বন্ধুবান্ধবদের কথায়। সেহরীর সময় সবচেয়ে মজার যে ব্যাপারটা ঘটত সেটা হলো ফজর নামাজ পড়তে যাওয়া। আলো আঁধারীর মধ্যে বন্ধুরা সবাই মিলে বের হতে পারছি, সে বয়েসে এটা একটা বিরাট মজা! এমনকি বন্ধুদের বাসার সামনে গিয়ে, "ঐ সাবু, নামাজ পড়তে নাম!!" বলে ডাক দিলেও কেউ বকা দিতে পারতনা। গার্জিয়ানদের জন্য সেটা এক বিব্রতকর ব্যাপারই ছিলো বৈকি! এমনই এক রোজার সময়, সম্ভবতঃ ক্লাস ফাইভে, যখন প্রাইমারী স্কুলের সবচেয়ে উঁচু ক্লাসে পড়ার কারণে একটু সেয়ানা সেয়ানা ভাব আসলো নিজেদের মধ্যে, তখন আর নামাজ পড়েই সাথেসাথে বাসায় ফিরে আসাতে আর পোষাচ্ছিলনা। এমনই একদিন হঠাৎ কয়েকবন্ধু মিলে ঠিক করলাম, নামাজ শেষে হাঁটতে হাঁটতে রমনা পার্কে যাবো। কিন্তু একথা যেহেতু বাসায় জানানো যাবেনা, তাই ফন্দি আঁটতে হলো যে নামাজ শেষে কি করেছিলাম সেটা একটা নিয়ে একটা কিছু তো বলতেই হবে। সবাই মিলে ঠিক করলাম যে বলবো, রেলওয়ের রেস্টহাউসে শিউলি ফুল তুলতে গেছি, আর সমস্যা কোথায়! ইজি, ইজি!

যাক, শুরু হলো আমাদের অভিযান। ফজরের নামাজ শেষে আমরা চারবন্ধু মিলে রওয়ানা দিলাম রমনা পার্কের দিকে। আমাদের মধ্যে সাবু একটু গায়ে গতরে বড়সড় ছিলো, সেয়ানাপনাটাও বেশী। সে রমনার রাস্তা চিনত। আর চিন্তা কি! মনে আছে সেই সকালে যে কিরকম থ্রিলিং একটা সময় পার করেছি, আজো ভাবলে মনটা আনন্দে ভরে যায়। হাঁটতে হাঁটতে বারবার মনে হচ্ছিলো, "আমি তো বড় হয়ে গেছি।", আর শিউরে উঠছিলাম। একটা শিশুর চিরন্তন আরাধনা -- বড়দের মতো হবো, কোন বাঁধা থাকবেনা, কেউ বকবেনা, কেউ ভয় দেখাবেনা -- সেরকম দিনগুলো যে খুব কাছাকাছি সেটা মনে হয় সেদিনই প্রথম অনুভব করতে পেরেছিলাম। এটা ছিলো একটা বিরাট মুক্তির মুহূর্ত, এরকম একটা মুহূর্তে অনাগত ভবিষ্যত নিয়ে কোন আশংকা বা অনিশ্চয়তা জন্মায়না, অনাগত ভবিষ্যতের যা কিছু চোখের সামনে ভেসে ওঠে তার পুরোটাই শতভাগ সম্ভাবনায় টইটুম্বুর। এজন্যই হয়তো শৈশবটা এত সুখের, সব বিস্ময়ই সেখানে সুন্দর, হাতের নাগালে থাকে, বিপন্ন হয়না। আমরা অন্ততঃ দিশেহারা বোধ করিনা। বড় হয়ে কি সেজন্যই আমরা বারবার শৈশবে ফিরে যেতে চাই?

যাই হোক, আমার "বড় হয়ে গেছি" অনুভূতিটা যেভাবে নিজের মধ্যে চাগিয়ে বসার কথা ছিলো সেটা কিন্তু হলোনা। কারণ যথারীতি আরেকটা অঘটন। রমনা পার্কে গিয়ে এমন লাফালাফি করলাম, স্লিপার (আমরা বলতাম পিছলা), সী-স্য, দোলনা -- আরো কতরকমের দুষ্টামির উপকরণ ছিলো! তবে সেটাই শেষমেষ কাল হয়েছিলো। সী-স্য চড়তে গেলাম সাবুর সাথে, ও ব্যাটার ওজন ছিলো মারাত্মক, ও বসতেই এমন এক ঝাঁকুনি খেলাম যে ভয়ে আমি সী-স্য থেকে নেমে দাঁড়িয়ে যাই, আর তখনই ঘটে "হতে পারত চরম ভয়াব" ঘটনাটা। নিজে সী-স্য'র যে প্রান্তে বসেছিলাম সেপ্রান্তটা এসে আঘাত করল ঠিক চিবুকের নীচে! সেদিন আসলে বাঁচার কথা ছিলোনা। ভাগ্য ভালো যে লোহার রডের খুব সামান্য অংশের সাথেই সংঘর্ষ হয়েছে চিবুকে, ভালোমতো হলে সেখানেই সব শেষ হয়ে যেত। কি ভয়ানক ব্যাপার!!! এখন লিখতে লিখতেও একবার আলহামদুলিল্লাহ বলে ফেললাম। কতবার যে কানের পাশ দিয়ে গুলী গেলো জীবনে!

যা হোক, এখন বুঝলেও সেদিন সেমুহূর্তে বুঝিনি বা কেয়ারও করিনি কত বড় বাঁচা বেঁচেছি! বরং আঘাতের ফলে চিবুকের কতটুকু কাটা গেছে, কেউ দেখলে বুঝে ফেলবে কিনা এটা নিয়েই চিন্তিত হয়ে গেলাম। বন্ধুদের একজন সকালের সতেজ দুর্বা ঘাস এনে চিবিয়ে লাগিয়ে দিলো ক্ষতে, টেনশনে কাঁপতে কাঁপতে বাসায় ফিরলাম। "আজ তো একটা কিলও মাটিতে পড়বেনা!" তবে, বাবমা'র একমাত্র পুত্র হবার মজাটাই এখানে, সেদিন মার খাবো কি, বরং আমার চিবুকের কাটাটা দেখে আমার বাপ-মা দুজনেই ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লেন, বাবা স্যাভলন নিয়ে ছোটেন তো মা ডেটল নিয়ে -- এমন অবস্থা।

আমি আর কি ভাববো, আপাততঃ বেঁচে গেলেও বাবা-মা'র উদ্বিগ্নতা শুধু এই মেসেজটাই দিয়েছিলো যে, "তুই এখনও বড় হসনাই রে গাধা!"


মন্তব্য

রাফি এর ছবি

প্রাইমারীতে ক্লাস ফাইভে উঠলে যেমন মনে হয় অনেক বড় হয়ে গেছি; তেমনি হাইস্কুলে ক্লাস টেনে উঠলে মনে হয়। তাঁর পর ইন্টার পাস করলে আরো বেশি । কিন্তু যখন সত্যি বড় হয়ে যাই তখনো আর বড় হতে ইচ্ছে করে না।

ছোটবেলার সব রোযাই ছিল শীতকালে; আমি ভাবতাম রোযা বোধহয় শীতকাল ছাড়া রাখা যায় না। শীতকালে সেহরী খাওয়া একটা বিশাল ঝামেলার ব্যাপার ছিল; আম্মু আব্বু উঠতে দিতে চাইত না। তবে একবার খোঁজ পেয়ে গেলে আর ঘুমাতাম না; সব কাজিনরা মিলে নানান কিসিমের খেলা খেলতাম। আর একটু সকাল হয়ে এলে শুরু হত দৌড় প্রতিযোগিতা। শীতকালে দৌড়ানো কিন্তু বেশ কঠিন ব্যাপার; ভাবতেই গা শিউরে উঠে এখন। আর সে সময় মাইলখানেক দূরে গাঁয়ের বাজার থেকে ঘুরে আসতে পারতাম এক দৌড়ে।

লেখা ভাল্লাগছে.. খুব বেশি...।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আরে আপনার কমেন্টে আমারও মনে পড়ে গেলো, যখন খুব ছোট ছিলাম, সেহরীর পর বারান্দায় বসে তারা দেখতাম আর বড় আপু বানিয়ে বানিয়ে কোন তারায় কোন বুড়ি থাকে সেসব গল্প করত চোখ টিপি

আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ ,,,,
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নিবিড় [অতিথি] এর ছবি

হুম ছোটকালটা আসলেই মজার, তুলনা হয়না । কিন্তু দেখেন কি বোকামি ! তখন শুধু বড় হতে চাইতাম। আফসোস!!!!!

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

নদীর এই পাড়ে এসে সবাই টের পায় চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আরে! রোযার গল্প বলতে গিয়ে পুরো ছোটবেলাটাকেই তুলে এনেছেন চমৎকারভাবে। আমি নিজে পারিবারিকভাবে শাসনের শিকার তেমন হই নি। হাসি ছোটবেলা থেকেই 'স্বাধীন' মানুষ। রোযা রাখতে সবসময় মজাই লাগতো।

রোযায় স্কুলছুটির দিনগুলো মনে করে কষ্ট বাড়িয়ে লাভ নেই। এখন ঈদের দিনেও অফিস করি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ধন্যবাদ বলাইদা ... কি লিখতে গিয়া কি লিখে ফেললাম
এইবারতো ঈদের দিন পুরা সাপ্তার মাঝখানে মনে হয় মন খারাপ
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

তানবীরা এর ছবি

বুড়া হতে চল্লাম কিন্তু তবুও বাবা মায়ের কাছে এখনও বড় হওয়া হলো না।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

সেটাই ভালো চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাহাহা স্কুল জামা ভিজিয়ে রাখা, ভালই চালাক ছিলেন খাইছে
মনেপড়ল যখন ক্লাস ৩ তে পড়ি তখন একবার ২৬ এ রোজার রাতে ঠিক করলাম যে আম্মুর সাথে আমিও সারারাত জাগব। সেবার আমার এক চাচাত বোন বেরাতে আসছিল। সেই রাত জাগাতো হোলইনা, মনেহয় ১২ টা কি ১২.৩০টার দিকে ঢুলুঢুলু চোখে বললাম একটু রেস্ট নিচ্ছি ঘুমিয়ে পড়লে যেন সেহেরির সময় ডাকে। কিন্তু আম্মু আর ডাকেনি আর সকলে উঠে আমি কি কান্না আমাকে ২৭ এ রোজা রাখতে দিল না। আর আম্মুর এককথা শেষ রোজা করলেই হবে। খাইছে
আর ৫ এ উঠলে যে একটু বড় বড় ভাব আসে তা ঠিক, আমাদেরও হয়েছিল খাইছে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

আপনারা ছোটবেলায় শেষ রোজা রাখতেন? আমি যদি রোজায় কাহিল হয়ে ঈদ করতে না পারি এই ভয়ে প্রতিবার বাংক করতাম চোখ টিপি

কতবার সেহরী মিস করে কান্নাকাটি করছি!!! বাপ-মা'রা এসব বইষয়ে বড় নির্দয়, খাইতেই হবে! চোখ টিপি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।