ছোটগল্প: টুলু-ভুলু (একপর্বে সমাপ্ত)

জ্বিনের বাদশা এর ছবি
লিখেছেন জ্বিনের বাদশা (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৯/২০০৭ - ৩:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
'আশি টাকায় দিবি? এই জুতাতো একসপ্তাও যাইবনা, দুইদিন পরলেই ছিড়া যাইব।' একটু সাহস নিয়েই ছেলেটিকে বলে ফেললাম।

ছেলেটার মুখের কথা যেন আটকে গেল। তার পরপরই ধাতস্থ হয়ে তুবড়ি ছোটানোর মতো করে বলল, 'আশি ট্যাকায় জুতা? জুতার ফিতাও তো পাইবেননা!'

ফুটপাথের এখানে সেখানে কোমরে হাত দিয়ে দাঁত খোচাতে থাকা বেকার টাইপের যে লোকগুলো সবসময়েই লোকের দরাদরিটা বিশাল উৎসাহ নিয়ে শোনে, তাদের মাঝে দুই একজনের 'খিক খিক' হাসির শব্দ শোনা গেল।

আমার মেজাজ গেল বিগড়ে। প্রতিশোধ নিতেই যেন আবার সাহস করে বলে ফেললাম, 'দে দেখি, একটা জুতার দড়িই দে। তারপর সেইটা তোর গলায় বান্ধি।'

ছোকরা চোখ ঠান্ড করে ফেলল। আমার দিকে তাকিয়ে পলকহীন স্বরে বলল, 'একটু দাঁড়ান, আইতাছি', বলেই সে ভীড়ের ভেতর কোথায় যেন চলে গেল।

ঠিক তখনই আমার কানের কাছে একদম উটের গ্রিবার মতো করেই মুখ এনে একলোক বলে, 'বাইজান, তাড়াতাড়ি লিট কাটেন। পুলায় পাবলিক ডাকতে গেছে, আইলে কইলাম লাশ বানায়া ফালাইব।'

আমার হার্টবিট সম্ভবতঃ একলাফে দুইশতে চলে গেল, কয়েকদিন আগেই শুনেছি এক ডাক্তারকে পিটিয়ে মেরেই ফেলেছে হকাররা। পড়িমড়ি করে ছুটলাম গুলিস্তানের সেই ফুটপাতের কোনা থেকে বাসস্টপের দিকে, জোরেজোরে শ্বাস নিচ্ছি আর দৌঁড়াচ্ছি, আর কতক্ষণ পরপর পিছু ফিরে দেখে নিচ্ছি ছোকরা এসেছে কিনা।

এমন সময়েই সামনাসামনি একজনের সাথে ধাক্কা খেলাম, তাকিয়ে দেখি এক পিচ্চি, দাঁত কেলিয়ে হাসছে। আমার বুকের ভেতর ছ্যাঁত করে উঠল!
ছোকরা কি তাহলে অন্য দিক থেকে আসল!
নাকি অন্য কোন ছোকরা। ছোকরার চেহারাও তো আমার ঠিক মনে পড়ছেনা।

এসব সাতপাঁচ ভেবে যখন হার্টবিট আরো উপরে উঠে প্রায় মাথা ফুঁড়ে বের হবার উপক্রম, তখনই এই ছোকরাটি দাঁত কেলাতে কেলাতেই বলল, 'আঙ্কেল, প্যান্টের চেইন খোলা।'
আমি চোখ আগুন করে ছোকরার দিকে তাকালাম, আবার একটু আশ্বস্তও হলাম। যাক বাবা, সেই জুতাওয়ালা ছোকরা না।

বাসস্টপে পৌঁছানোর সাথেসাথেই যখন মিরপুরের একটা বাসকে এসে থামতে দেখলাম, মনে হলো 'দ্য গ্রেট সেভার! ঐতিহাসিক উদ্ধারকারী!!', সাগরে ডুবতে বসলে বেওয়াচের পামেলা এন্ডারসন বাঁচাতে এলেও মনে হয় এত খুশী হতামনা।

বাসে উঠেই ভিড়ের মধ্যে গা গলিয়ে দিলাম।
'যাক বাবা, একটা বিরাট হিউমিলিয়েশন থেকে বাঁচা গেল!' ভাবতে না ভাবতেই বুঝতে পারলাম পিছন থেকে কাঁধে কেউ হাত রাখল। পাঁচ মিনিটের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো আত্নারাম খাঁচাছাড়া হয় আমার।

২.
ভয়ে ভয়ে ধীরে ধীরে কাঁচুমাচু হয়ে পিছন তাকাতেই দেখি প্রায় ছয়ফুট লম্বা দশাসই ধরনের এক ছেলে, দেখতে পুরো রাজপুত্র টাইপের। তবে চোখ দেখেই বোঝা যায় চাঁদাবাজি লাইনে লম্বাসময়ের অভিজ্ঞতা তার আছে। আমার দিকে হাসিমুখে তাকিয়ে আছে।

আমার 'তুমি কে হে বাবা' ধরনের চাহনি দেখে ছেলেটা নিজের থেকেই বলল, 'আপনে হেলাল মামা না? আমারে চিনছেন? আমি টুলু। আপনের ভাইগনা ফয়সলের বন্ধু ছিলাম'

আমার মনে হচ্ছে ছোকরা ভুয়া পরিচয় দিয়ে আমাকে কোথাও নিয়ে গিয়ে পেটাবে। ভয়ে আমি প্রায় আমার নিজের ভাগ্নে ফয়সালের কথাই মনে করতে পারছিলামনা, আর কোথা থেকে এই টলু না ভুলু এসে জুটল!

'টুলু না ভুলু'! হ্যাঁ, শেষমেষ এই ভুলু নামটাই আমার সব ভয় ভেঙে দিল এক নিমিষে।
আমি চিৎকার করে বাসটাকে প্রায় ম্যাগনিচিউড ৩ লেভেলে কাঁপিয়ে বললাম, 'টুলু!! তুমি ভুলুর ভাই টুলু?'

'হ্যাঁ মামা, হ্যাঁ। আমঈ সেই টুলু। চিনতে পারেননাই? আমি কিন্তু আপনারে দেইখাই চিনছি।'

'চিনব কিভাবে?' আমি বললাম, 'তোমারে দেখছি সেই কত আগে! অন্তত পনের-বিশ বছর হইবনা?'

'হইব মনে হয়।' টুলু বলে।

হঠাৎ আমার 'মহাগনক' ছাগলটার ওপর ভীষন রাগ হয়, ব্যাটা ইস্তেহাদ পত্রিকায় প্রতিদিন ভুয়া রাশিফল দেয় ভাল কথা, তাই বলে এত ভুয়া! আজ সকালেই আমি নিজচোখে দেখেছিলাম রাশিফলে লেখা আজ আমার যাত্রা খুবই শুভ। আর এখন এসব কি হচ্ছে!
আজ আমার রাশি তো মনে হচ্ছে 'পদে পদে প্রতিপদে মাস্তান' রাশি। প্রথমে তো ছিঁচকে মাস্তানের পাল্লায় পড়লামই, এখন সেখান থেকে রেহাই পেতে না পেতেই সেই জাঁদরেল মাস্তান 'ভুলু'র ভাই টুলু!!

যদিও আমি মোটেই খুশী নই এই টুলুর সাথে এই উটকো সাক্ষাতে, তাও মুখ ফিরিয়ে অন্যদিকে তো আর চেয়ে থাকা যায়না, অবহেলা করলে আবার কি লঙ্কাকান্ড ঘটিয়ে বসে কে জানে!
তাই ভদ্রতাবশতঃই জিজ্ঞেস করলাম, 'তা মামা, তুমি এখন কি কর?'

হঠাৎ টুলু যেন লজ্জা পেল, বলল, 'মামা, আর কইয়েননা। বড় ভাইর লাইন ধরছি আরকি, তবে আমি হ্যারেও ছাড়াইয়া যামু একদিন, দেইখেন।'

বলতে চাচ্ছিলাম, 'আমার দেখার মোটেও শখ নেই, বাবা।', কিন্তু সেটাতো বলা আর সাজেনা, বাসভর্তি লোকের সামনে আবার কোনভাবে না কোনভাবে অপদস্থ হই; তাই গলা একটু উদার করেই বললাম, 'তাই নাকি, বেশ! বেশ!'

কিন্তু গলাটা বোধহয় তেমন উদার শোনালনা, যেজন্য টুলু মহা উৎসাহে তার মাস্তানী ক্যারিয়ারের গল্প করে যেতে লাগল। অথবা এমনও হতে পারে আমার গলা বেশী উদার শোনাল, তাই টুলুকে এখন আর থামানো যাচ্ছেনা।

মিনিট দশেক একটানা গল্প করে গেল টুলু; কবে প্রথম মিরপুর কলোনীর জাহাঙ্গীর ভাই ডেকে নিয়ে একরকম জোরকরেই টুলুর হাতে একটা চাইনিজ কুড়াল দিয়েছিল; কবে প্রথম সে বিশালদেহী এক ভুড়িওয়ালা ব্রিফকেসঅলাকে ভড়কে দিয়ে দুই লাখ টাকা কামিয়েছিল, সেখান থেকে আবার কাফরুল থানার ওসি শফিক মিয়াকে রাত এগারোটার সময় কলেজের ব্যাগে ভরে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে এসেছিল; এসব হাবিজাবি আবজাব গল্প।

আমার মনে হচ্ছে টুলু বাড়িয়ে বলছে, তাও মুগ্ধ হবার আর আশ্চর্য হবার ভান করে শুনতে হচ্ছে। তাও আর কাঁহাতক শোনা যায় এসব মাস্তানীর গল্প এই পড়ন্ত বয়েসে, এমনিতেই হার্ট দূর্বল, ডাক্তার বলেছে সব পজিটিভ জিনিস দেখতে ও শুনতে। মনে মনে বলছি 'ইঞ্জিন দিধা হও, বা থেমে যাও, আমরা এখন গুলিস্তান থেকে নিরাপদ দূরত্বে চলে এসেছি।'

তবে এরই মধ্যে যে মজার ব্যাপারটা খেয়াল করলাম তা হলো আমাদের আশপাশ থেকে লোকজন একটু যেন দূরে সরে গেছে, সমীহ করে আমাদের কনভারসেশন চালিয়ে যাবার সুযোগ করে দিয়েছে। বাসের কন্ডাকটর ব্যাটাও পাশ ঘেঁষে যাবার সময় আমার গায়ে একটু লাগাতেই সে 'স্যরি, ভাইজান' বলে যেন কাঁপতে কাঁপতে সরে গেল।
এসব দেখে আবার এই মুহূর্তে নিজেকে একটু হিরো হিরোও মনে হচ্ছে।

তবুও টুলুর একচেটিয়া মাস্তানির কাহিনী আর কাঁহাতক শোনা যায়, প্রসঙ্গের ইতি টানার সুরেই বললাম, 'তোর তো দেখি অনেক সাহসরে টুলু?'
এই সুযোগে টুলুকে তুই করেই বলে ফেললাম, সাহস নিয়ে। একটু ভাবের সাথেই বললাম, যেন সেই পুরোনো দিনে ফিরে গেছি, যখন এই টুলু ভুলু সবাইকেই আমি তুই করে বলতাম, টুলু দশপয়সায় স্যাকারিন আইসক্রিম খাবে বলে 'মামা, দ্যাননা, দ্যাননা' বলে আমার পিছে ঘুরঘুর করত। তবে এখন টুলুকে তুই করে বলার উদ্দেশ্য আমার একটাই, বাসের লোকজনকে ভড়কে দেয়া। ভাগ্যিস সেই প্যান্টের জিপার খোলা দেখে ফেলা ছেলেটা নেই, এখানে আমি একশভাগ হিরো।

কিন্তু টুলু এই 'একশভাগ হিরো'র কথার তোয়াক্কা না করেই কিসব বলে যেতে লাগল, কোথায় কোন মাস্তানের সাথে ক্যাচাল হয়েছে, কোথায় কোন মাস্তানের বোনের সাথে প্যাচাল হয়েছে -- এসব ছাইপাশ।

একমনে কথাবলে যাওয়া টুলু কি বলছে আমি খেয়াল করছিনা, অনিচ্ছা সত্বেও ছেলেটার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমার মনে পড়ে গেল,
ভাগ্নেটার সাথে একসাথে খেলত ছেলেটা, আপার বাসায় তখন থাকতাম আমি। দুপুরে স্কুল থেকে ফিরে এসে দুই পিচ্চি বিকেল পর্যন্ত একসাথে খেলত, আমি তখন বি.এ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
অথচ আজ আমার ভাগ্নে ফয়সাল বিরাট ইঞ্জিনিয়ার, আমেরিকায় বিরাট কোম্পানীতে চাকরী করে, দু-তিন বছরে একবার ঢাকায় বেড়াতে আসে, এসে যখন আমার বাচ্চাগুলোর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়, আমরা ধন্যবোধ করি। ফয়সালকে এখন 'তুই'করে বলতে আমার বাঁধে।

হঠাৎ টুলুকেই আমার ফয়সালের চেয়ে বেশী আপন মনে হয়, ফয়সাল কোন দোষ করেনি সত্য, তাও মনে হয় টুলুটার বেশী দরকার আমাকে। কিন্তু আমিই বা কি করতে পারি? ওকে তো আর বখে যাওয়া থেকে ফিরিয়ে আনা আমার কাজ না।

বাস থেকে নেমে যাবার আগে আগে টুলু যখন বলল ছয়মাস আগে ড্যাগারের নয় কোপ খাওয়ার পরও সেযাত্রা সে বেঁচে যায়, এবং আমাকে দোয়া করতে বলল যাতে ভবিষ্যতে এর বেশী কোপ খেলেও সে বাঁচে, তখন বাসশুদ্ধ লোক আমাকে পীরবাবা ভাবা শুরু করেছে। সবার চোখে একটা অনিচ্ছাক্বত সমীহ আমি টের পেতে লাগলাম।
মনে হলো যাত্রা শুভই হয়েছে,
জয়তু বাবা, মহাগনক।

বাস থেকে নামব মীরপুর পল্লবী স্টপে, কন্ডাকটরকে ডেকে বললাম ভাড়া নিতে, সে জিহবায় কামড় দিয়ে এমনভাবে দুহাতে মাফ চাওয়ার ভঙ্গি করল যেন আমার থেকে পয়সা নিলে দুনিয়া না হলেও বাসটা উল্টে যাবে। দাঁত কেলিয়ে বলল, 'এইটা কি কন সার, আফনের লাইগা এই বাস ফিরি।'

আমি ভি.আই.পি মুডে গটগট করে বাস থেকে নেমে পড়লাম।
যেন ভাড়াটা না দিয়ে আমি ওর প্রতি বিশেষ দয়া করেছি।

৩.
ইদানিং পত্রিকার পাতা খুলতে ভয় হয়।
টুলুটাকে সেই ছোট্ট দেখেছিলাম, বারো তের বছর হবে বড়জোর। রাজপুত্রের মতো চেহারা, আমার ভাগ্নের সংখ্যা বেশী হওয়ায় সে আপার বাসায়ই পড়ে থাকত প্রায় সারাদিন। ফয়সালের সাথেই খেলত বেশী, ফয়সালের সাথে ঝগড়া হলে ফরহাদ, আর ফরহাদের সাথে ঝগড়া হলে ফারহান।
এই টুলু ছেলেটাকে তো আমি ভুলেই গিয়েছিলাম, ওর চেহারা তো দূরের কথা, ওর কথাই তো ভুলে গিয়েছিলাম।
অথচ সেদিন দেখা হবার পর আবার সব মনে পড়ে গেল, এখনতো ওর চেহারা দেখলেই চিনে ফেলব।

সেই ভয়েই পত্রিকা খুলতে পারিনা, কোনদিন খবরের শিরোনাম দেখব, "অমুক পুকুরের কচুরীপাতার ভেতর অজ্ঞাত-পরিচয় যুবকের লাশ"।


মন্তব্য

হাসান মোরশেদ এর ছবি

জ্বি বা'র লেখার ধরনে বেশ বদল এসেছে হাসি

আমি তো লালু-ভুলুর গল্প ভেবে একটানে পড়ে গেলাম, মানে পড়া শুরু করার পড় আর থামতে হলোনা ।

শেষ হবার দেখি লালু-ভুলু নয় ওটা টুলু-ভুলু । সে যাই হোক "অমুক পুকুরের কচুরীপাতার ভেতর অজ্ঞাত-পরিচয় যুবকের লাশ"- সে লাশের নামে কি বা আসে যায়?

আমি আপনাকে দিলাম ৫ তারা বিপ্লব ।

-----------------------------------
'আমি ও অনন্তকাল এইখানে পরস্পর বিস্ময়ে বিঁধে আছি'

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সুমন চৌধুরী এর ছবি

একটানে পড়লাম।
.......................................
ঋণম্ কৃত্বাহ ঘৃতম্ পীবেৎ যাবৎ জীবেৎ সুখম্ জীবেৎ

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

আমিও এক নিঃশ্বাসে পড়লাম। ভাল লাগলো খুব।

দৃশা এর ছবি

মুগাম্বো খুশ হুয়া...আসলেই ভাল লাগল......
নতুন ভাবী ভালা আছে তো?
বিপ্লব দিয়া গেলাম কইলাম।

দৃশা

আরিফ জেবতিক এর ছবি

বিপ্লব।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

ওয়াও! সকালে নেটে বসে কমেন্টগুলো দেখেই তো মনটা ভাল হয়ে গেল

মোরশেদ ভাই,
ধন্যবাদ স্টাইলের পরিবর্তনটা ধরার জন্য ,,একটু গতিশীল করতে চেয়েছি হাসি ,,,
আসলেই, নামে কি আসে যায় অবস্থা ,,, আমার ছোটবেলার দুই খেলার সঙ্গী,একজন আমার চোখের সামনে জবাই হয়েছিল, আর একজন পুরান ঢাকায় গিয়ে আট টুকরো হয়ে গিয়েছিল ,, কি ভয়াবহ!! ,,প্রতিবছর এরকম মৃত্যুর সম্ভাবনা নিয়ে বেড়ে উঠছে কত ছেলে!!!
শুরুটা হয় যাস্ট ১২/১৩ বছর বয়েসের ওদের হাতে একটা পিস্তল, রিভলবার বা ছোরা ধরিয়ে দেয় 'বড়ভাই' টাইপের কেউ ,,বড়ভাইরা খালি খেয়াল রাখে কোন পিচ্চিটার সাহস আছে

সুমন্দা, ইশতিয়াক, দৃশা, আরিফ ভাই
উৎসাহ দেবার জন্য ধন্যবাদ হাসি

দৃশা, নতুন ভাবী ভালই আছেন ,,,তবে আমি যখন আমার গল্পগুলো পড়তে বলি তখন মনে হয় আর ভাল থাকেনা চোখ টিপি
অন্যদেরগুলা খুব আরাম করে পড়ে দেখি :'(

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

দুর্বাশা তাপস এর ছবি

হ, আসলেই হইছে।

==============================
আমিও যদি মরে যেতে পারতাম
তাহলে আমাকে প্রতি মুহূর্তে মরে যেতে হত না।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।