আমাদের সাইকেল ভ্রমনের ইতিবৃত্ত - ০১

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: সোম, ২০/১০/২০০৮ - ৩:২৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রারম্ভিক কথন :

আমার আর সৈয়দ আখতারুজ্জামানের সাইকেল ভ্রমন শেষ হয়েছে সেই ৭ অক্টোবর। অথচ অফিসের আর সংসারের কর্মযজ্ঞে এ নিয়ে কিছু লেখার বা করার সুযোগ পাচ্ছি না কেউ। কিন্তু ওদিকে সময়ও তো বয়ে যাচ্ছে। শেষে এ ভ্রমনের কথা নিজেরাই না ভুলে যাই। আখতার বার বার তাড়া দিচ্ছিল আমাকে, যাতে কিছু লিখি। কিন্তু আমার অবস্থা এমন শোচনীয় পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে হাজার চেষ্টা করেও একটা শব্দ বেরুচ্ছিল না মাথা থেকে। শেষে আখতারই উদ্ধার করলো। তাড়াহুড়ো করে নানা কাজের ফাঁকে, রাত জেগে লিখে ফেলল পুরো ভ্রমন কাহিনী। আর এখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে সেই কাহিনী সচলে পোস্ট করা। যা আমি আনন্দের সাথেই করছি। ভ্রমনে আমরা ছবিও তুলেছি প্রচুর। সে সব থেকে বাছাই করে কিছু ছবিও দিলাম এখানে আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।

আর শুধু এ লেখা নয়, আমাদের ভ্রমনের সিংহভাগ কৃতিত্ব সৈয়দ আখতারুজ্জামানের। মূলত তার সতস্ফুর্ততা আর সাংগঠনিক দক্ষতায় এই ভ্রমন এত চমৎকার ভাবে শেষ করতে পেরেছি আমরা। এই সুযোগে আখতারকে তাই একটা বিশাল স্যালুট দিয়ে দিলাম। কাহিনী তবে শুরু হলো -
------------------------------------------------------

প্রস্তুতি পর্বের অনেক আগের কথাঃ

যতটা রোমাঞ্চকর, ততটাই দুঃসাহসিক বলতে হবে সেই অভিযাত্রাকে। ১৯৯৯ সাল। ডিগ্রী পরীক্ষা শেষ। তিন বন্ধু মিলে জীবনের প্রথম এ্যাডভেঞ্চার ট্যুর প্ল্যান করলাম। সাইকেলে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা হয়ে বরগুনা জেলার সর্বদক্ষিনের উপজেলা পাথরঘাটা পৌঁছলাম। তারপর কেটে গেছে প্রায় ১০ বছর। ক’দিন ধরেই আবার সেই পুরোন দিনের স্মৃতি বারবার ফিরে আসছিলো। একদিন থর হেয়ারডালের ’কনটিকি‘ বইটা সারারাত ধরে পড়লাম। খাঁটি এ্যাডভেঞ্চার যাকে বলে। ভেলায় চড়ে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেয়ার দুঃসাহসিক কাহিনী। এই বইটা পড়ে শেষ করার পর আর কোন দ্বিধা-দ্বন্দ থাকলো না মনে। সব কেটে গেল। ১৯৯৯ সালের ট্যুর সঙ্গী, আমার একান্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধু কীর্তিনাশা কে ফোন করে বাসায় আসতে বললাম। সেও কোন একটা অভিযানে বেরুনোর জন্য এক রকম মুখিয়ে ছিলো। অত্যন্ত দ্রুততার সাথে আমরা ঢাকা-ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা-শেরপুর-ঢাকা ট্যুর প্ল্যান করে ফেললাম।

প্রস্তুতি পর্বঃ

দেখলে মনে হবে এ জীবনে আর বাড়ি ফেরার কোন পরিকল্পনা নেই, যাবতীয় প্রয়োজনীয় (এবং অপ্রয়োজনীয়) জিনিসপত্র আমাদের ভ্রমণ তালিকাকে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর করে চলেছে। তাবু, ব্যাকপ্যাক, ছাতা, টর্চ, স্লিপিং ব্যাগ, ফাস্ক থেকে শুরু করে কী নেই সে তালিকায়। পরে বুঝেছিলাম, এটা অনেক বড় ভূল ছিলো। সাইক্লিষ্ট উজ্জ্বল ভাই বারবার বলেছিলেন, ভ্রমণে ওজন বাড়ালে বিপদ। যাই হোক, যাত্রার তারিখ ঠিক করা হলো ঈদের ঠিক পরের দিন, ৩ অক্টোবর, সকাল ছয়টায়। ৭ অক্টোবর রাতে ঢাকা ফিরবো। টানা ৫ দিনের ট্যুর। অফিস থেকে নানা কৌশলে কয়েকদিনের ছুটি আদায় করা হয়েছে। বংশাল থেকে সাইকেল কিনেছি। নিয়মিত দু’জনে অনুশীলন করছি। যতই যাত্রার দিন ঘনিয়ে আসে আমাদের দুশ্চিন্তা ততই বাড়তে থাকে। লং ট্যুরে যেতে ভালো দম লাগে। এখনো সেটা আয়ত্বে আসে নাই। দীর্ঘদিনের অনভ্যাসে শরীর থিতু হয়ে পড়েছে। আমরা তবু মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা করি। আত্মীয় স্বজনের মধ্যে যারাই আমাদের এই অভিযানের কথা শোনেন তারাই ভাবেন, পুরনো পাগলামী আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো কেমনে? আমাদেরকে বিরত রাখার নানা কৌশল নিয়ে আবির্ভূত হন তারা। সে সব কাহিনীও কম মজার নয়। আমাদের নতুন ক্লাব - 'বিয়ন্ড এ্যাডভেঞ্চার ক্লাব' তৈরি করা হলো। ক্লাবের ব্যানারে হবে আমাদের এই ভ্রমণ। আমদের ছবি সম্বলিত পোষ্ট কার্ড ছাপানো হলো। প্রেস রিলিজ পাঠানো হলো পত্রিকাতে। ছাপাও হলো কয়েকটিতে। পরিবারে ও বন্ধু মহলে আমাদের ভাবমূর্তি অনেকটা পুণরুদ্ধার করা গেলো। যাত্রার ঠিক আগের দিন, অর্থাৎ ঈদের দিন রাতে বাসায় বন্ধু-বান্ধব ও কাছের মানুষদের নিয়ে পাটির্র আয়োজন করা হলো। সবাই শুভেচ্ছা জানালো। কেউ কেউ খোঁচা দিয়ে বললেন, লাইফ ইন্স্যুরেন্স করা আছে তো?

যাত্রা শুরুঃ

কীর্তিনাশা তার স্ত্রী সমেত আমার বাসায় রাতেই চলে এলো। খুব সকালে এক সাথে যাত্রা শুরু করবো। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি তুমুল বৃষ্টিতে চারদিক অন্ধকার। আকাশ কাঁপিয়ে মেঘ ডাকছে, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে আর সেই সাথে বাতাস। ভীষণ দমে গেলাম এই আবহাওয়ায়। অপেক্ষায় থাকলাম কখন বৃষ্টি থামে। শেষ পর্যন্ত দশটার দিকে বৃষ্টি থেমে আকাশে ঝলমলে রোদ দেখা দিলো। আমরা আর দেরি না করে দ্রুত সাইকেলের পেছনে ব্যাগ বেঁধে রওয়ানা হয়ে গেলাম। সে ব্যাগ বাঁধাও আরেক ইতিহাস। এক একটা ব্যাগের ওজন কম করে হলেও ২৫ কেজি। টানা এক ঘণ্টা লাগলো দুটো ব্যাগ ও তাবু বাঁধতে। তার ওপর আমার পিঠেও আছে কেজি পাঁচেক ওজনের আরেকটা ব্যাগ। মনে হচ্ছে ময়মনসিংহ নয় সুদূর সাইবেরিয়ায় যাচ্ছি। সব মিলিয়ে সে এক হিমশিম অবস্থা আর কি!

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ:

১২২ কিলোমিটারের পথ। খুব দ্রুত সাইকেল চালাতে পারছি না। প্রচুর জিনিসপত্রে সাইকেল অনেক ভারি। ভারসাম্য রাখাই কঠিন। ভেতরে শঙ্কা আর আত্মবিশ্বাসের এক মিশ্র অনুভূতি টের পেলাম। যতই এগিয়ে যাচ্ছি ততই গতি অনবদ্য হচ্ছে। ভেতরে উত্তেজনা বোধ করছি। বিশ্বাস হচ্ছে না, এই বয়সে এসেও এমন অভিযাত্রা শুরু করেছি। আমরা শুরুতেই একটু দ্রুত গতিতে চললাম। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঢাকা থেকে বেরিয়ে যেতে চাইলাম। বলতে গেলে একটানা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত কিছুটা দ্রুত লয়ে চলে এসে শালবনের মধ্যে ঢুকে পড়লাম। দু’পাশের শাল গাছ ধীরে ধীরে গাঢ় হতে লাগলো। ভেতরের দিকে দৃষ্টি দিলে গা ছমছম করে ওঠে। এদিকে মনে হচ্ছে শরীর বিশ্রাম চাচ্ছে। এক একবার প্যাডেলে চাপ দিতেই হাঁটুতে মনে হচ্ছে আগুন জ্বলে উঠছে। শালবনের মধ্যের এই রাস্তাটুকু বেশ সংকীর্ণ। বড় বাস, ট্রাককে সাইড দিতে বেশ বেগ পেতে হয়। আর শরীর ক্লান্ত থাকলে খুব অল্প জায়গায় সাইকেলের ভারসাম্য রাখা বেশ কঠিন। তাই একটু বিরতি নেয়াই সমিচীন মনে করলাম। কীর্তিনাশাও সায় দিলো। পিঠের ব্যাগের ভেতর থেকে চাদর বের করে রাস্তার পাশের ঘাসে বিছিয়ে মুহূর্তের মধ্যে শুয়ে পড়লাম। আধা ঘন্টা দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থেকে বিশ্রাম নেয়ার চেয়ে পাঁচ মিনিট একদম সোজা হয়ে ঘুমানোর মতো করে চোখ বুজে শুয়ে থাকলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। পেশীগুলো খাঁটি বিশ্রাম পায়।

বিশ্রাম শেষে আবার চলতে শুরু করলাম। আস্তে আস্তে, দেখতে দেখতে যাচ্ছি। কিছুটা এগোই, কিছুটা বিশ্রাম নেই। প্রতিটি বিশ্রামের দৈর্ঘ্য পাঁচ মিনিট। মাঝে মাঝে ছবি তুলি। এভাবেই চলছে। পথে যেতে যেতে অনেক কিছুই চোখে পড়ল। জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে কিছুটা উত্তরে এগিয়ে সালনা বনভোজন কেন্দ্রের সাইনবোর্ড চোখে পড়ল, দেখলাম হোতাপাড়া এলাকার মণিপুর গ্রামের বৃদ্ধাশ্রম। সম্পূর্ন ব্যাক্তি মালিকানায় তৈরি দারুন এক প্রতিষ্ঠান। একটু এগিয়েই চোখে পড়লো ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। কিছুণ দাঁড়ালাম। গোটা বন গাছে ঢাকা। শাল গাছই মূলত। মেঘলা আকাশ বলে ভেতরেটা আরো অন্ধকার। এখানে নানা প্রজাতির লতা, ঔষধি গাছ, বেত, বাঁশ ইত্যাদির মধ্যে ২৭ প্রজাতির ঘাসও আছে। আমার খুব শখ ছিলো ঘাসগুলো দেখার। সময়ের অভাবে হলো না। বিকেল চারটা বেজে গেছে। সন্ধ্যার মধ্যে অন্তত মাওনা পর্যন্ত যেতেই হবে। সময় হাতে থাকলে পুষ্পদাম বনভোজন ছাউনি আর ভাওয়াল জমিদার বাড়িটাও দেখে যাওয়া যেত। শুনেছি দেশের দ্বিতীয় পুরাতন গীর্জা সেণ্ট নিকোলাস চার্চ এই গাজীপুরের কোথাও। দেখা হলো না। গতি বাড়িয়ে এগিয়ে চললাম মাওনার উদ্দেশ্যে। যদিও শরীর আর ধকল সইতে পারছিলো না। বুঝে নিলাম ময়মনসিংহ পৌঁছুতে আমাদের দুই দিন লেগে যাবে।

বেলা পড়ে এসেছে। শালবনের ভেতরের অন্ধকার আরো ঘন হয়ে আসছে। গাছের ছায়ার ফাঁক থেকে রাস্তায় ঢলে পড়া আলো হলুদ থেকে সোনালী হতে শুরু করেছে। রাস্তার অবস্থা আস্তে আস্তে খুব খারাপ হতে লাগলো। সাবধানে সাইকেল চালাতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে বেশ বড় বড় গর্ত, পানি জমে কালো চেহারা নিয়েছে প্রায় পুরো রাস্তাই। তার মধ্যে চড়াই উতরাই। মনে হচ্ছিলো সড়ক ও জনপদ বিভাগ রাস্তাগুলোকে মৎস্য অধিদপ্তরের কাছে লিজ দিয়েছে। খানা খন্দে একাকার অবস্থা। চলার কষ্ট প্রায় অসহনীয় হয়ে উঠলো। পাঁচ মিনিটের বিরতির সংখ্যা বাড়তে লাগলো। এক সময় মনেহলো হেঁটে গেলে চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে দ্রুত যাওয়া সম্ভব। তাই ভেবে কিছু দূর হাঁটলামও, কিন্তু স্বস্তি পাচ্ছি না। ওদিকে দ্রুত সন্ধ্যা নেমে আসছে। কীর্তিনাশা বলল, নো ওয়ে টু স্টপ, জাষ্ট মুভ ফরওয়ার্ড। এরপর আমরা এগিয়ে চললাম যেন অ-শরীরী শক্তিতে এবং কখনো দম বের হওয়া অবস্থায় উঁচু রাস্তা বেয়ে উঠছি আবার নামার সময় শরীর ছেড়ে দিয়ে বসে থাকছি সিটের ওপর।

সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মাওনা পৌঁছালাম। ক্লান্তিতে শরীর অবসন্ন। প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছি ইতিমধ্যে। রাতের অন্ধকারের চেয়েও ঘোরতর অন্ধকার যেন নেমে আসছে চোখের গভীরে। এবার থাকবো কোথায়? আগের অবস্থা হলে সোজা কোন মসজিদে গিয়ে উঠতাম। এবার আর সে রকম করতে ইচ্ছে হলো না। একটা ভালো হোটেলে রাত কাটাবো বলে ঠিক করলাম। কিন্তু হোটেল কই? কীর্তিনাশা বলল, হোটেল না হোক সস্তা কোন বোর্ডিং নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। কিন্তু এ পাড়ার ও পাড়ার এ গলি ও গলি খুঁজে চষে ফেললাম, কোথাও কিছু পাওয়া গেলো না। রাত বেড়ে চলছে। শরীরও আর এক ফুট জায়গাও এগুতো চাচ্ছে না। সাইকেলের পেছনে বাঁধা ব্যাগের ওজনও এত বেশি যে সহজে ষ্ট্যান্ডের ওপর দাঁড় করিয়েও রাখা যাচ্ছে না। সারাক্ষণ হাতল ধরে থাকতে হয়। আবার কোথাও বেশিক্ষণ দাঁড়ালে উৎসুক দর্শক আমাদের ঘিরে ফেলছে। নানা প্রশ্ন - আপনারা কারা? কই যান? আইছেন কুত্থেইক্যা? কিন্তু কোথায় একটু রাত কাটাতে পারি সে কথা কেউ বলতে পারে না। কী মুশকিল! এখন উপায়? ভাবতেও অবাক লাগছে - মাওনায় থাকার কোন জায়গা নেই! শেষ পর্যন্ত সেই মসজিদই শেষ গন্তব্য। মাওনা সিটি পার্ক বলে একটি চাইনিজ রেস্তোরার মালিক জনাব সোহেল তাদের নিজস্ব মসজিদে আমাদের থাকার অনুমতি দিলেন। আমরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম। চাইনিজ রেস্তোরায় রাতের খাবার খেয়ে নিয়ে সোহেল সাহেবকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ঘুমাতে চলে গেলাম। শক্ত মেঝের ওপর স্রেফ একটা চাদর বিছিয়ে মাথার নিচে ব্যাগ রেখে ঘুমিয়ে পড়লাম। এমন আরামের ঘুম আমার বাসার খাটের নরম জাজিমেও শেষ কবে ঘুমিয়েছি মনে পড়ছে না।

(ভ্রমন কাহিনী লিখেছেন : সৈয়দ আখতারুজ্জামান)

ছবি : পর্ব - ১

প্রস্তুতি পর্ব : আখতারুজ্জামানের দুই বছর বয়সী ছেলেও প্রস্তুত আমাদের সাথে যাবে বলে

ব্যাগ বাঁধা : সে এক মহাঝক্কি ছিল

যাত্রা হলো শুরু

চলতে হলে শক্তি চাই : ডাবের পানি, ওরস্যালাইন খাওয়া হচ্ছিল কিছুক্ষন পর পর

উঁচু ব্রীজ, চালিয়ে ওঠার শক্তি নাই, অতএব মারো ঠ্যালা - হেইয়ো!!

ঢালু রাস্তা ধরে নামতে কতই না আরাম !

ঢালু রাস্তা কি যে ভালো !

বিশ্রামের জন্য থামা যাক একটু

একটু ঘুমাতে পাড়লে মন্দ কি !

ভাওয়াল জঙ্গলের ধারে

সাইকেল ঠিকঠাক আছে কিনা দেখাটাও জরুরী

ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের সামনে

মাইলস্টোন না দেখলে মন ভরে না

এত সুন্দর প্রকৃতি : ছবি না তুললেই নয়

কালভার্টে বসে বিশ্রাম

আমি ভাই রিক্সা চালাই, আমার একটা ছবি তুলেন

নগরায়ন চলছে এখানেও : বসছে নানান ফ্যাক্টরি

মাওনা : মসজিদের মেঝে তাই সই

আছি বড় সুখে

(চলবে)


মন্তব্য

আকতার আহমেদ এর ছবি

মৃদুল ভাইয়ের সাথে কথা হইতেছিল সে'দিন । শেরপুরে আপনাদের সাথে তার দেখা হওয়া.. ছবি তোলা । একটা ছবি সহ যেদিন সচলে পোষ্ট দিছিলেন এই অভিযানের কথা বইলা.. সে'দিন থেকেই অই ছবি আমার কম্পিউটারের ডেস্কটপে । বউরেও দেখাইলাম খানিকটা ভাব নিয়া! আর নিজেতো দেখছি অগুনতি !

অভিনন্দন দু'জনকে..
অনেক শুভ কামনা !

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ আকতার ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ।
হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

জ্বিনের বাদশা এর ছবি

নাহ্, হিংসা হইলো আপনাদের দেখে .... বয়েসে কাছাকাছিই হবো, অথচ ফুটবল খেলতে যাইতেও এখন আর ইচ্ছা হয়না মন খারাপ

শালবন ঘোরার ইচ্ছা জাগলো ,,,,, কাহিনী এনজয় করছি
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে

কীর্তিনাশা এর ছবি

জ্বীন ভাই, এই বয়সেই এমন কথা বইলেন না। খেলধুলা করেন মাঝে মাঝে, শরীরটারে ফিট রাখেন।

আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রাফি এর ছবি

চমকপ্রদ বিষয়ে চমৎকার লেখা।
আস্তে করে জানিয়ে রাখি আমার বাড়ি কিন্তু ময়মনসিংহ।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

কীর্তিনাশা এর ছবি

ঐ মিয়া ভ্রমনের আগে কইলেন না ক্যান? রেগে টং

তাইলে আপনার বাড়িতে গিয়া আরাম করন যাইতো!!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রাফি এর ছবি

আফসোসের চাইতে মজার জিনিস দুনিয়ায় আর নাই??? চোখ টিপি

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

কীর্তিনাশা এর ছবি

অ্যাঁ খাইছে
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

তীরন্দাজ এর ছবি

সাবাস আপনাদেরকে! নিজের দেশটা আর ঘোরা হলোনা আমার।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ তীরু দা !!

নিজের দেশ নিশ্চই ঘুরবেন, সময় তো রয়েছে এখনো।

আর আমার সারা জীবনের আফসোস হচ্ছে - আপনার মতো একবার যদি জাহাজে করে সাগরে ভাসতে পাড়তাম !!!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভাল লাগছে। চলুক।

কীর্তিনাশা এর ছবি

ঠিক আছে, চলুক।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রণদীপম বসু এর ছবি

সাব্বাশ ! অভিনন্দন।
পরের পর্বের অপেক্ষায়।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ বসু দা!
পরের পর্ব আসছে শীঘ্রই।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

অভিনন্দন উদ্যোগী মানুষদের ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ উৎসাহদাতা হাসান মোরশেদ ভাই!!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

নাহ্... ক্যান যে এমন আইলসা হইলাম?
আমার তো ট্যাক্সিতে কইরা বনানী যাইতেও কষ্ট লাগে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কীর্তিনাশা এর ছবি

আর গুল মাইরেন না নজরুল ভাই, আপনে আইলসা হইলে এত সুন্দর সুন্দর নাটক বানায় কে? আপনার ভূতে?

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রানা মেহের এর ছবি

আরেকটু ইনফর্মালি লিখুন না
খুঁটিনাটি বর্ণনা সহ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

কীর্তিনাশা এর ছবি

রানা মেহের ভাই, হাতে সময় থাকলে মহাকাব্য লিখে ফেলতাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তাড়াহুড়ো করে দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে এই লেখাটুকু লিখতেই আমাদের হাঁসফাঁস অবস্থা।

তবে চেষ্টা করবো আপনার কথা রাখতে।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

কীর্তিনাশা এর ছবি

হ কিনালান বস্ ।
তাইলে আমগো নেক্সট ভ্রমন আপনারে লইয়া পেলান করুম। দেঁতো হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নজমুল আলবাব এর ছবি

কত বছর হয় সাইকেল চালাই না। মন খারাপ

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

কীর্তিনাশা এর ছবি

আবার শুরু করে দেন আলবাব ভাই। সাইকেল চালানোতে তো বয়সের কোন প্রশ্ন নাই!

কলেজে আমাদের এক বাংলার শিক্ষক ছিলেন - ষাট বছর পাড় হয়ে যাবার পরও রোজ সাইকেল চালিয়ে কলেজে আসতেন, তাও ঢাকার মতো শহরের ব্যস্ত রাস্তায়।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

ব্যাপক স্ট্যামিনার ব্যাপার। কিছুদিন আগে আমাদের একটা ছোট সাইকেল ট্যুর ছিলো। ৪০ কিলোমিটারের মত। একবার মাসল পুল করেছে তার মধ্যেই। লেখা এবং ছবি ভালো লাগলো।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ বলাই দা। হাসি

আর অনভ্যস্ত হলে ৪০ কিলো কেন, ১ কিলো সাইকেল চালাতেই খবর হয়ে যাবার কথা।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

হ্যাঁ, অভ্যাসটা জরুরী। আমার অবশ্য স্ট্যামিনায় সমস্যা হয় নি; কিন্তু এখানে মসৃণ হলেও পাহাড়ি রাস্তা। উপরে উঠতে জান কালা হয়ে যায়, গিয়ার-টিয়ার চেঞ্জ করেও কাজ হয় না। দেশে মেইন রোডে সাইকেল চালানো সম্ভবত অনেক রিস্কি কাজ। বাস-ট্রাক-রিক্সা সব একসাথে।

আপনাদের ভ্রমণকাহিনী নিয়ে আরেকটু গুছিয়ে (সচিত্র) পোস্ট দেন, বিশেষ করে দর্শনীয় স্থানগুলো সম্পর্কে ইতিহাস যোগ করে। ট্যুরিস্ট প্লেস হিসেবে তাহলে এগুলোর আকর্ষণ বাড়বে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনার পরামর্শ মনে থাকলো বলাই দা।

তবে এটা একটু শ্রমসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ হবে। এ যাত্রায় হয়তো পাড়বো না। কিন্তু আগামীতে আমাদের ভ্রমন কাহিনী নিয়ে বই ছাপানো্র ইচ্ছা আছে, সেখানে এসব কিছু থাকবে আশাকরি। তখন না হয় আবার সচলে পোস্ট করা যাবে সে সব।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

ময়মনসিংহে মুক্তাগাছার মন্ডা পাওয়া যায়। দোকানে দেখেন নাই? পরের পর্বে তাও চাই।
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

কীর্তিনাশা এর ছবি

মুক্তগাছার মন্ডা খুব বিখ্যাত, তবে যেহেতু মুক্তাগাছার দিকে যাইনি তাই মন্ডাও খাওয়া হয়নি।

তবে শেরপুরও কম যায় না। শেরপুরে গিয়ে পেট ভরে মিষ্টি খেয়েছি। আহা রস-মালাই (ওরা বলে ছানার পায়েশ), এর স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চমৎকার একটা কাজ করেছেন বটে! কিন্তু লেখায় অতৃপ্তি থাকলো। বেশি ছোট মনে হলো। আরো অনেক কিছু লেখা যেত কিন্তু। আশা করব, পরের পোস্টে, আরো বিস্তারিত, আরো অনেক ছবি পাব। হাসি

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ অ প্র ভাই !! হাসি

সময়ের বড়ই অভাব তাই অনেক কিছু লেখার ইচ্ছা থাকা সত্বেও পাড়ছি না। তাড়াহুড়োয় অনেক কিছু বাদ পড়ে যাচ্ছে। মন খারাপ

আর ছবি আরো পোস্ট করার ইচ্ছা ছিল এখানে কিন্তু কোটা শেষ হয়ে যাওয়ায় আর পাড়িনি। পরবর্তিতেও এর বেশি পাড়বো বলে মনে হচ্ছে না। মন খারাপ

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

পারেনও আপনারা!

চলুক সচিত্র ভ্রমণকাহিনী।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

কীর্তিনাশা এর ছবি

দেঁতো হাসি

চলুক তবে !!

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

চলুক সচিত্র ভ্রমণকাহিনী।

কীর্তিনাশা এর ছবি

যথা আজ্ঞা জাহাপনা !! হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।