দাদার মুখে শোনা গল্প : রাজা বনাম প্রধান মন্ত্রী

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: বুধ, ২৯/১০/২০০৮ - ৪:৩১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোট বেলায় খুব ভালো সময় কেটেছে আমার গ্রামে। প্রতি বার্ষিক পরীক্ষা শেষে গ্রামে যেতাম। সেখানে আমার অনেক আকর্ষনের একটা ছিল দাদার কাছে গল্প শোনা। গল্পের অফুরন্ত ভান্ডার ছিল তাঁর কাছে। সেসব গল্প থেকেই একটা তুলে দিচ্ছি এখানে। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। জানিনা এসব গল্পের উৎস কি (কে লিখেছেন বা কোথাকার কাহিনী)। যদি কেউ বলতে পাড়েন তবে উপকৃত হবো আমিও।
-------------------------------------------------

এক দেশের বৃদ্ধ রাজা হঠাৎ করে টেঁশে গেলেন। মানে মারা গেলেন আর কি। রাজার একমাত্র তরুন ছেলে হয়ে গেল রাজা। তো রাজা হয়েই তার প্রথম খায়েশ হলো বিয়ে করার। আগে থেকেই এক খানদানি বংশের মেয়ের সাথে তার ইটিশ পিটিশ চলছিল। তাই এই সুযোগে সে ঠিক করলো সেই মেয়েকে বিয়ে করে রাজরানী বানাবে।

অনেক ভেবে সে গেল প্রধান মন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করতে। কারন বৃদ্ধ রাজা মৃত্যূর আগে বলে গিয়েছিল - বাপধন আমার, রাজা হবার পর পাঁচ কর্ম ছাড়া আর যা কিছুই করো আমার প্রধান মন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী করবা। তাহলে এ জীবনে কখনো তুমি ঠকবা না। ঐ পাঁচ কর্ম হইলো - খাওয়া, ঘূম, গোসল, হাগা-মুতা আর বৌ কিংবা দাসীদের সাথে কুস্তা-কুস্তি খেলা। রাজপুত্র তখন পিতার আজ্ঞাবহ হয়ে বলেছিল - জি আব্বাজান হুজুর, আমি আপনার কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো।

প্রধান মন্ত্রী তরুন রাজার বিয়ের আগ্রহের কথা শুনে বললেন যে বিয়েতে তার কোন আপত্তি নেই। তবে এই মেয়ের ব্যাপারে সম্মতি দেবার আগে তিনি একটু মেয়েকে দেখতে চান। সুতরাং, তরুন রাজা প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে এক সন্ধ্যায় সেই মেয়ের বাড়িতে হাজির হলো। কিন্তু মনে মনে সে একটু অসন্তুষ্ট হলো - সে রাজা যেখানে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে বিয়ের, সেখানে মন্ত্রীর কি বলার থাকতে পাড়ে ?!

তো একটু পরে সেই মেয়ে এল রাজা আর মন্ত্রীর সাথে দেখা করতে। সে নিজের হাতে খাদ্য-পানীয় পরিবেশন করলো আর অনেক স্বতস্ফুর্ত ভাবে তাদের সাথে গল্প করলো। তরুন রাজা নিজের হবু বউর ব্যাবহারে মুগ্ধ হয়ে গেল। মন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল - দেখ ব্যাটা, রাজার পছন্দ দেখ। এমন চটপটে মেয়ে এই তল্লাটে আর একটা আছে নাকি??

তারপর প্রাসাদে ফিরে রাজা জিজ্ঞেস করল মন্ত্রীকে - তো মন্ত্রী সাহেব এবার বলেন, এই মেয়েকে আমি শাদি করতে পারি কিনা? প্রধান মন্ত্রী কিছুক্ষণ চুপ থাকলেন। তারপর বললেন - রাজা, আমার পরামর্শ হচ্ছে এই মেয়েকে আপনি বিয়ে করবেন না। রাজার ভ্রু গেল কুঁচকে বিরক্তিতে, সে প্রশ্ন করলো - কেন ? মন্ত্রী জবাব দিলেন - কারন এই মেয়ের চরিত্র ভালো না।

ব্যাস রাজার গেল মেজাজ খারাপ হয়ে - আপনার এত বড় সাহস! আমি যে মেয়েকে পছন্দ করেছি, সেই মেয়ের চরিত্র নিয়ে আপনি কথা বলছেন। আপনি যদি আমার বাবার প্রিয় পাত্র না হতেন তাহলে এই মুহুর্তে আমি আপনার জিভ ছিঁড়ে নিয়ে কুত্তারে খাওয়াতাম। আপনি দূর হয়ে যান আমার সামনে থেকে!!

বৃদ্ধ মন্ত্রী মন খারাপ করে, মাথা নাড়তে নাড়তে প্রাসাদ থেকে বেড়িয়ে এলেন। তারপর অনেক দিন হয়ে গেল তরুন রাজা আর কোন কাজে প্রধান মন্ত্রীকে ডাকে না। তবে যেহেতু বাবার আমলের মন্ত্রী তাই তাকে বরখাস্তও করলো না। কিছুদিন পরে অনেক ঘটা করে সেই মেয়েকে বিয়ে করলো রাজা।

তার কিছুদিন পরে সেই রাজার দরবারে আরব দেশ থেকে এক ঘোড়া ব্যাবসায়ী এল। সে অনেক গুলো আরবীয় ঘোড়া নিয়ে এসেছে, যদি রাজা ইচ্ছা করেন তবে সেগুলো কিনতে পাড়েন। রাজা মনে মনে ভাবলেন - আহা আরবীয় ঘোড়া যেমন তেজী হয় তেমনি ছুটতেও পাড়ে দ্রুত। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল ঘোড়া গুলো কিনে ফেলার। কিন্তু তার সভাসদরা সবাই বলল - রাজা মশাই, এত গুলো ঘোড়া কিনবেন অনেক অর্থের ব্যাপার। তাই একটু প্রধান মন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে নিন। তিনি আবার ঘোড়া খুব ভালো চেনেন।

রাজা অনীহা সত্ত্বেও সবার অনুরোধে রাজি হলেন প্রধান মন্ত্রীকে ডাকতে। প্রধান মন্ত্রী এসে ঘোড়া গুলো ভালো করে দেখলেন । তারপর রাজাকে বললেন - সন্দেহ নেই ঘোড়া গুলো খুবই ভালো জাতের কিন্তু এই ঘোড়া কেনা উচিৎ হবে না। আপনার জায়গায় আমি হলে এই ঘোড়া কিনতাম না।

রাজা গেল এবারো ক্ষেপে - এক মুখে কত কথা বলেন মিঞা ?! নিজেই বললেন এই ঘোড়া ভালো জাতের আবার পরমুহুর্তে বললেন এই ঘোড়া কেনা ঠিক হবে না। আপনার বয়স হয়েছে তো এই জন্য এখন মাথাও ঠিক নাই। কয়েক দিন হাজত বাস করলেই আপনি ঠিক হয়ে যাবেন। যান আপনাকে এক মাসের কারাদন্ড দিলাম।

মন্ত্রী আবারো মন খারাপ করে, মাথা নাড়তে নাড়তে পেয়াদাদের সাথে বেড়িয়ে গেলেন, কারা ভোগের জন্য।

তার অল্প কিছুদিন পরের ঘটনা। প্রাক্তন রাজার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী চলে এলো খুব কাছে। তরুন রাজা ঠিক করলো তার বাবার প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী সে অনেক ঘটা করে পালন করবে। পুরো রাজ্যের প্রজাদের সে খাওয়াবে সেদিন। আর অনেক অর্থ দান করবে গরীবদের। আসেপাশের রাজ্যের রাজাদেরও দাওয়াত করবে সেই অনুষ্ঠানে। সভাসদরা যখন এই কথা শুনলো, তখন তারা আবার রাজাকে বলল - রাজা মশাই, এত বড় অনুষ্ঠান করবেন, দয়াকরে প্রধান মন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে নিন।

কিন্তু রাজা গোঁ ধরলো। সে কিছুতেই ঐ মন্ত্রীর সাথে কথা বলবে না। তখন সভাসদরা আবার বোঝাল যে তার বাবা, প্রয়াত রাজা এই প্রধান মন্ত্রীর পরামর্শ মতো চলতেন বলে, এত সফল ভাবে রাজ্য পরিচালনা করতে পেড়েছিলেন। আর রাজ্যকেও এত বড় করতে পেড়েছিলেন। তাই তরুন রাজারও উচিত প্রধান মন্ত্রীর পরামর্শের মূল্য দেয়া।

এত অনুরোধের পর অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজা রাজি হলো কারাগার থেকে প্রধান মন্ত্রীকে ডাকতে। মন্ত্রী এসে সব শুনে তার মতামত দিলেন - এই অনুষ্ঠান করা ঠিক হবে না। রাগে রাজার ভ্রু আবারো কুঁচকে গেল - কেন ? কেন এ অনুষ্ঠান করা ঠিক হবে না?

প্রধান মন্ত্রী এমনিতেই রাগান্বিত ছিলেন রাজার উপর, তাই এবার আর রাখঢাক না করেই বললেন - অনুষ্ঠান না করার পেছনে দুইটা কারন। এক হচ্ছে - আপনি তো এই রাজার ছেলেই না। অতএব যে আপনার বাবা না, তার মৃত্যু নিয়ে আপনার এত আগ্রহ ভালো দেখাবে না। আর দুই হচ্ছে - আপনি বাইরের রাজ্যের লোকদেরও তো দাওয়াত দিবেন, তাদের ভেতর নিশ্চই দু'এক জন বুদ্ধিমান লোক থাকবে তারা আপনাকে দেখেই বুঝে ফেলবে যে আপনি রাজার ছেলে না। তখন সব রাজ্যে প্রয়াত রাজার নামে একটা কলঙ্ক রটে যাবে। সেটা আমি কিছুতেই চাই না।

ব্যাস এই কথা শুনে তরুন রাজা আর ঠিক থাকতে পাড়লো না। রাগে কাঁপতে কাঁপতে সে বলল - প্রধান মন্ত্রী, আপনার সব আমি সহ্য করেছি কিন্তু আর না। এবার আপনি আমার জন্ম পরিচয় নিয়া প্রশ্ন তুললেন !! আমি আপনাকে মৃত্যুদন্ড দিলাম। আজ থেকে ঠিক তিন মাস পরে আপনার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হবে। এই কে আছিস এই বেতমিজকে আমার চোখের সামনে থেকে নিয়ে যা। আর কারাগারের অন্ধকার কুঠুরিতে নিক্ষেপ কর !!

তো প্রধান মন্ত্রী কারাগারে বসে মৃত্যূর প্রহর গুনতে থাকেন। আর রাগে দুঃখে হতাশায় ভাবতে থাকেন এই ছিল শেষ বয়সে তার কপালে!?

এদিকে তরুন রাজা একদিন অসময়ে তার নতুন রানীর ঘরে গেলো। তার মনে হঠাৎ করেই একটু কুস্তা-কুস্তি করার ইচ্ছা জাগান দিল বলে। কিন্তু রানীর ঘরে গিয়ে দেখে রানী আগে থেকেই তার এক ভৃত্যের সাথে কুস্তা-কুস্তি লাগিয়ে দিয়েছে। দেখেতো রাজার চোখ চড়কগাছ। সে তখনি রানীকে সেই ভৃত্য সহ কারাগারে বন্দি করার আদেশ দিল।

তার ঠিক দু’দিন পরেই সেই ঘোড়াগুলো টপাটপ সব মরে গেল, যে গুলো রাজা কিনেছিল প্রধান মন্ত্রীর পরামর্শ উপেক্ষা করে। পরপর এ দু'টো ঘটনায় রাজা একটু দমে গেল। মনে মনে ভাবলো - হায় হায়, প্রধান মন্ত্রী তো এ দুটো কাজেই আমাকে নিষেধ করেছিল। আমি তার পরামর্শ মোটেই কানে তুলিনি। এখন তো দেখি তার কথাই ফলে যাচ্ছে। তাহলে কি তার তৃতীয় কথাটাও সত্যি? সত্যিই কি আমি রাজার ছেলে না? আমার কি সত্যিই জন্ম পরিচয় নেই?

সেদিন রাতে মনে অনেক দুঃশ্চিন্তা নিয়ে তরুন রাজা গেল তার মায়ের সাথে দেখা করতে - আম্মা হুজুর সত্যি করে বলুন আমি কার ছেলে? আমি কি রাজার ছেলে না?

ছেলের এমন ব্যকুলতা দেখে মা আর চুপ থাকতে পাড়লো না বলল - বাপধন, তুমি এই কথা জানলা কি করে? এ কথা তো তোমার বাবাও কোন দিন বুঝতে পাড়ে নাই। সত্যিই আসলে তুমি এই রাজার ছেলে না। অনেক আগে আমার সেবার জন্য এক দাস ছিল। তার সাথে আমার প্রেম ছিল। তুমি আসলে সেই দাসের ছেলে।

এটুকু শুনেই রাজা ছুটলো কারাগারের উদ্দেশ্যে, প্রধান মন্ত্রীর সাথে দেখা করতে। সেখানে গিয়েই সে মন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলো অনেক করে। কান্না কাটিও করলো অনেক। প্রধান মন্ত্রী বিচক্ষণ আর শুভ বুদ্ধির মানুষ তাই তিনি রাজাকে ক্ষমা করে দিলেন।

তখন রাজা জানতে চাইলো যে প্রধান মন্ত্রী কি করে তিনটা ক্ষেত্রেই সঠিক পরামর্শ দিয়েছিলেন। কি ভাবে তিনি এত নিখুঁত ভাবে আগাম এত কথা বলে দিলেন?

তখন মন্ত্রী জবাব দিলেন - দেখুন রাজা প্রথম ঘটনায়, আপনার পছন্দের মেয়ে যখন আমাকে পানীয় এগিয়ে দিচ্ছিল, তখন আমি আলতো করে ঐ মেয়ের হাতে একটা চিমটি কেটেছিলাম। কিন্তু সেই মেয়ে আমাকে ভর্ৎসনা না করে, আমার দিকে তাকিয়ে ইঙ্গিতপূর্ন হাসি হেসেছিল। তাতে আমি বুঝেছি এই মেয়ের চরিত্র খারাপ।

দ্বিতীয় ঘটনায় - আমি ঘোড়া গুলোকে দেখেই বুঝেছি যে ওগুলো খুব ভালো জাতের। কিন্তু ঘোড়াগুলো কাছে গিয়ে শুনলাম ওগুলো পেট থেকে গুর গুর আওয়াজ আসছে। তার মানে হচ্ছে ঘোড়াগুলোর পেট খারাপ। আর এটা তো সবাই জানে, ঘোড়াদের পেট খারাপ রোগ খুব ছোঁয়াচে এবং এ রোগ হলে ঘোড়াকে আর বাঁচানো যায় না। তাই আমি বলেছিলাম, ঘোড়াগুলো ভালো জাতের হলেও ওগুলো কেনা ঠিক হবে না।

রাজা জানতে চাইলো - আর তৃতীয় ঘটনা? আপনি কি করে বুঝলেন আমি রাজার ছেলে না?

প্রধান মন্ত্রী এবার রেগে বললেন - এটা তো ছিল সবচেয়ে সোজা। যে বেজন্মা রাজা তার প্রধান মন্ত্রীর পরামর্শ এমন হেলা ভরে উপেক্ষা করতে পাড়ে এবং সামান্য কারনে তাকে জেলে ভরতে পাড়ে, সে হারামজাদা আর যার ছেলে হোক, রাজার ছেলে হতে পাড়ে না। বংশগতির একটা ধারা আছে না?!


মন্তব্য

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অসাধারণ। অসাধারণ। অসাধারণ। আর কয়েকটা দ্যান।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ, ধন্যবাদ, ধন্যবাদ !!!

দিমুনে আরো কয়েকটা, যেগুলা মনে আছে। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রাফি এর ছবি

ছোটকালে আমিও দাদাকে সারাক্ষণ জ্বালাতন করতাম কিস্‌সা শোনানোর জন্য। অনেকগুলো কিস্‌সা জানতাম ; কিন্তু সব ভুলে গেছি। এখন মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে দাদার পাশে বসে সেই সব গল্প শুনতে। কিন্তু বেরসিক সময় আর পরিবর্তিত মানসিকতা তা হতে দেয় না।
গল্প ভাল লাগছে; আর হাবিজাবি কথা বলার জন্য দুঃখিত।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনার হাবিজাবি কথা খুব ভালো লাগলো আমার, তাই আপনার দুঃখিত হওয়া মোটেই আমি গ্রহন করলাম না।
আমিও আমার দাদার খুব ন্যাওটা ছিলাম। মিস করি তাকে খুব।

গল্প ভালো লাগছে বললেন, তাই ধন্যবাদ জানালাম। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

এই গল্পটা আগে কখনো শুনিনি তো !
ভালো লাগলো।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

কীর্তিনাশা এর ছবি

ধন্যবাদ হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

গল্পটা চমৎকার লাগলো... আরো আছে নিশ্চয়ই স্টকে! পোস্টান...
ছোটবেলায় আমিও দাদার কাছে প্রচুর গল্প শুনেছি... মনে পড়ে গেলো স্মৃতিগুলো... তাই শুধু লেখার জন্যই না, দারুন স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্যও আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ হাসি

কীর্তিনাশা এর ছবি

আচ্ছা তবে পোস্টামুনে । হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ফাটা ফাটি
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

কীর্তিনাশা এর ছবি

লইজ্জা লাগে

ধন্যবাদ।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অনিন্দিতা এর ছবি

চমৎকার গল্প।

কীর্তিনাশা এর ছবি

চমৎকার মন্তব্য। হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

Sanjib Dutta এর ছবি

Khub valo laglo dada. Stock e r ache naki? aro likhun. Valo lekhar jonyo ovinondon.

আলভী মাহমুদ এর ছবি

চলুক পুরাই সেইরকম!শেষ লাইনটা পড়ে আরেকটু হইলে গলায় ভাত আটকে যাচ্ছিল!আরো থাকলে ঝেড়ে দিন বস হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।