একটি রহস্য সমাধান কল্পে একজন দুঁদে গোয়েন্দা আবশ্যক

কীর্তিনাশা এর ছবি
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৩/১১/২০০৮ - ১১:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি অত্যন্ত গুঢ় রহস্যময় ঘটনা তদন্ত করে উহার রহস্য উদ্ধার করার জন্য একজন দুঁদে গোয়েন্দা আবশ্যক। রহস্য উদঘাটনকারী গোয়েন্দার জন্য রয়েছে বিশেষ পুরস্কারের ব্যাবস্থা। উক্ত পুরস্কারের বিবরন কাহিনী শেষে বিষদ ভাবে বর্ননা করা হবে।

কাহিনীসূত্র :

আমাদের অফিসে নতুন একটি প্রজেক্টের কাজ চলছে পুরদমে। সে প্রজেক্টে অনেক নতুন কর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমরা পুরনোরা তাদের অনেককে চিনি অনেক কে চিনি না। তাদের প্রায় সবারই পড়াশুনা ইংলিশ মিডিয়ামে। সারাক্ষণ কেবল ইংরেজিতে ঠুস ঠাস কথা বলে (ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াকে আমি খারাপ বলছি না। তবে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়লে বাংলায় একেবারেই কথা বলা যাবে না - এখানেই আমাদের ঘোর আপত্তি)। তারা আমাদের হাতের কনে আঙুল দিয়েও পুছে না। একটু এলিট এলিট ভাব আরকি। আমরাও তাই তাদের সাথে মেশার আগ্রহ দেখাই না। আমাদের বিশেষ 'পুঙটা কর্মী সংঘ্য’ সর্বোসম্মতিক্রমে উহাদের এক বিশেষ নামে ভুষিত করেছে - ’মাচো’। যাই হোক নামটা আর ভেঙে না বলি।

তবে কাহিনী এটা নয়। কাহিনী হচ্ছে - একদিন বেশ রাত হয়েছে। প্রায় রাত ন’টা সাড়ে ন’টা। সে সময়ও অফিসে দু’চারজন লোক ছিল। আর ছিল পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। তো আমাদের সে প্রজেক্ট অফিস বিল্ডিঙ-এর টপ ফ্লোরে। সেই রাতে হঠাৎ সেই তলা থেকে দুমমমমমম করে এক আওয়াজ হলো। অন্যান্য ফ্লোরে যে মুষ্টিমেয় কর্মীরা ছিল তারা তো একেবারে থ। কি ব্যাপার বোমা ফাটলো নাকি?!

ছুটলো লোকজন সব সেই তলায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তারা আবার থ। পুরো ফ্লোরে কেউ নেই। শুন শান নিরবতা। কিন্তু ফ্লোরের এক কোনের একটি টেবিল ভেঙে দু’অর্ধেক হয়ে উল্টে আছে। আর সেই টেবিলের একটু দূরেই একখানা কনডম কার্পেটের উপর লুটাচ্ছে। এবং উহা তখনো (আহেম) বিশেষ ভাবে সিক্ত হয়ে আছে। লইজ্জা লাগে

রহস্য :

এখন প্রশ্ন হইলো - এত মজবুত টেবিলটা কারা কি উপায়ে ভাঙলো? দুম করে শব্দ হবার প্রায় আধ মিনিটের মাথায় অন্য ফ্লোর থেকে লোকজন সেখানে পৌঁছেছে। এত অল্প সময়ে ঘটনার পাত্র-পাত্রি (???) কোথায় উধাও হলো? এবং কোন পথেই বা উধাও হলো? নিচের গেটের সিকিউরিটি গার্ডরাও ঐ সময় কাউকে বের হতে দেখেনি। আবার পরবর্তিতে ঐ ফ্লোরের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেও সেই দিন ঐ সময় ওখানে কে কে থাকতে পারে তার কোন ধারনা পাওয়া যায় নি। এইটা কি কোন ভানুমতির খেল ? নাকি সাইন্সফিকশনের টেলিপোর্টেশন? চিন্তিত

রহস্য উদঘাটনকারীর জন্য পুরস্কার :

আমাদের বিশেষ ’পুঙটা কর্মী সংঘ্য’ এই রহস্যের যে সমাধান দিতে পাড়বে তাকে বিশেষ পুরুস্কার দেবে বলে ঘোষনা করেছে। আর তা হচ্ছে - উদঘাটনকারী গোয়েন্দার পছন্দের ব্র্যান্ড অনুযায়ী এক বছরের পুরো কনডম ফ্রি সাপ্লাই দেয়া হবে। আপনারা যে কেউ এই সুযোগ গ্রহন করতে পাড়েন। শুধু কষ্ট করে রহস্যটা সমাধান করে দেন। পুঙটা কর্মী সংঘ্যের অনেকেরই ঘুম, নাওয়া, খাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে এই রহস্য নিয়ে চিন্তায় চিন্তায়।

চিন্তিত চিন্তিত চিন্তিত চিন্তিত চিন্তিত


মন্তব্য

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

পুরস্কার পছন্দ হয় নাই। মনে হচ্ছে পুং জাতীয় একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে জিতিয়ে দেয়ার জন্য এরূপ পুরস্কার ঘোষিত হয়েছে। এরকম লিঙ্গবাদী পুরস্কার ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানাই। দেঁতো হাসি দেঁতো হাসি

কীর্তিনাশা এর ছবি

এই দিকটা ভাবা হয় নাই। চিন্তিত

দাঁড়ান পুঙটা কর্মী সংঘ্যকে আপনার অভিযোগটা জানাইতাসি।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

এনকিদু এর ছবি

পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে এখনি বলা সম্ভব না । গোয়েন্দাদের ভাষায়, "আরো সূত্র চাই" ।

কিছু প্রশ্ন করতে পারি, এগুলো উত্তর থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসার কথা ।

* ) সবার আগে কে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল ?
*) সে কি একাই ছিল ?
*) সে যে সবার আগে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এটার প্রত্যক্ষদর্শী কেউ কি আছেন ?
*) একই ভাবে দ্বীতিয় ব্যাক্তি ( মানে প্রথম ব্যাক্তির পর যিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন ) তার ক্ষেত্রে উপরের প্রশ্ন গুলো প্রযোজ্য এবং এই ক্ষেত্রে সত্যায়িত করবেন তৃতীয় স্থান অধিকারী ।

ভাঙ্গা টেবিল আর ব্যবহৃত কনডম মানেই যে "দুজনে মিলি করি কাজ" তা কিন্তু না । পুরো ব্যাপারটা কেউ একাও করে থাকতে পারে । সেদিক থেকেও চিন্তা করা দরকার ।

এইবার একটু ফাইযলামি, আপমার সন্দেহ পুংটা দেরকেই ।

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

কীর্তিনাশা এর ছবি

ছি ছি! অস্তাগফিরুল্লাহ, নাউযুবিল্লাহ!! পুঙটা সংঘ্যের কাউকে সন্দেহ করিবেন না। তাহারা কেহ ঐ রাতে ঘটনা স্থলে উপস্থিত ছিল না। থাকলে ঐ দিনই রহস্য সমাধান হইয়া যাইতো।

আপনার সকল প্রশ্নের জবাব দেয়া হইবে। তার আগে কন আপনি কি গোয়েন্দা কি না? আর গোয়েন্দা হইলে এই রহস্য সমাধানে একটা টেরাই মারবেন কি না?
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

এনকিদু এর ছবি

না আমি গোয়েন্দা না, আমি প্রকৌশলী । তবে গোয়েন্দা না মানে problem solver না - তা না । সমস্যা সমাধান করতে আমার মজা লাগে ।

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

কীর্তিনাশা এর ছবি

তাইলে এইটাও সমাধান করতে পাড়েন কিনা দেখেন না একটু। দেঁতো হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চিন্তার কথা! চিন্তিত
দাঁড়ান, ভাবতে থাকি, লাঞ্চটাও করে আসি... পরে কথা হবে রহস্য নিয়ে। তবে আমি কিন্তু এই পোস্ট নিয়েও একটা রহস্যের সন্ধান পাচ্ছি! সন্দেহজনক! চোখ টিপি

কীর্তিনাশা এর ছবি

সাড়ছে! আপনে আবার কি রহস্যের গন্ধ পাইলেন। চিন্তিত

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

আনিস মাহমুদ এর ছবি

সুপারিশ:
আপনার অফিসের সিকিউরিটির পরিবর্তে সেখানে বিডিআর-কে পোস্টিং দেওয়া হোক।

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

কীর্তিনাশা এর ছবি

প্রস্তাব খারাপ না। পছন্দ হইছে।
এখন বি ডি আর কবুল কইলেই হয়।

দেঁতো হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কীর্তিনাশা ভাইয়ের অফিসে নাকি সুন্দরী সব ইংলিশ মিডিয়ামের মেয়েরা চাকরি করে! আমি অবশ্যই রাজি! চোখ টিপি

আনিস ভাই, "অফার লেটার"-টা পেয়ে আপনাকে দেখাবো, আপনি গ্রীন সিগন্যাল দিলে তাহলে জয়েন করেই ফেলবো ভাবছি... দেঁতো হাসি

আর এই অফিসে বিনা টিকেটে "দারুন মুভি" দেখার সুযোগ আছে মনে হচ্ছে! খাইছে

কীর্তিনাশা এর ছবি

হ বাইরে দিয়া সব রঙীনই লাগে। একবার চাকরি নিয়া দেহেন, বুঝবেন ঠেলা।
যাউকগা, আপনে যখন রাজি তো কেয়া করেগা কাজি?
একদিন আইসা এ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার নিয়া যায়েন। ২৪ ঘন্টা ডিউটি, সপ্তাহে কোন ছুটি নাই। আর বেতন মাসে ৫০০ চলবে তো? কোন ওভার টাইম নাই।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

২৪x৭ ডিউটি... ছুটি নাই... ওভারটাইম নাই... বেতন ৫০০ টাকা!!! রেগে টং

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কেইসটা আমি নিতাম, কিন্তু উপঢৌকণের কথা শোনার পর আর এই কেইস নেয়ার প্রশ্নই আসে না। "বাড়িতে তো বিদ্যুৎ নাই, অতোসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করুম ক্যামনে?" মন খারাপ

গিফট অব দ্য ম্যাজাই আমি চাই না। মন খারাপ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কীর্তিনাশা এর ছবি

আপনি এই কেসটা নিলে আপনার জন্য না হয় অন্য উপঢৌকনের ব্যাবস্থা করা হইবে। যাহার অদ্যক্ষর শ দিয়া শুরু।

কন রাজি কিনা??

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কি!!! আপনি আমারে উৎকোচ সাধেন?
আমি দেওয়ানী আদালতে আপনার নামে মকদ্দমা ঠুকে দেবো জনাব।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

কীর্তিনাশা এর ছবি

না না, প্লিজ আমার নামে মোকদ্দমা ঠুইকেন না প্লিজ! আমার পরিচিত কোন উকিল নাই যে আমার হয়ে মামলা লড়বো। শেষে বাকি জীবন জেলে পঁচি আরকি!
ওয়াদা করতাসি আমার 'শ' আমিই রাখুম, কাউরে দিমু না। দেঁতো হাসি
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রণদীপম বসু এর ছবি

অত্যন্ত সহজ উপায়। ঐ বিশেষ বস্তুর ভেজা অংশের সাথে অফিসের সবার ডি এন এ টেস্ট করিয়ে রিপোর্টটা আমাকে পাঠিয়ে দিন।
রহস্য উদ্ঘাটনের উপঢৌকনটা আপনিই রেখে দেবেন। আপনাদের আবার কাজে লাগবে।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

এনকিদু এর ছবি

আপনাদের আবার কাজে লাগবে।

দেঁতো হাসি

-----------------------------------------
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

কীর্তিনাশা এর ছবি

@ রণ'দা
হ আইসে পঁচা বুদ্ধি দিতে!!
ডি এন এ টেস্টের জন্য যে ট্যাকা লাগবো তা কি আপনে দিবেন??
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কীর্তিনাশা ভাই, ইম্পর্ট্যান্ট কোয়েশ্চেন- কার্পেটের উপর কুড়িয়ে পাওয়া কনডমটা কোন ব্র্যান্ডের ছিলো? এইটা থেকেও কিন্তু ব্যবহারকারী সম্পর্কে আন্দাজ করা যেতে পারে চোখ টিপি

আর, আপনি বললেন- "পাত্র-পাত্রী", এইটা কিন্তু বহুবচনও হইতে পারে! না হলে অমন মজবুত টেবিল কী করে ভাঙে! ওই একই টেবিল আরেকটা কেনেন, তারপর "ট্রায়াল অ্যান্ড এরর মেথড" (ডিটেইল আশা করি বুঝিয়ে বলতে হবে না!) অবলম্বন করে, বের করার চেষ্টা করেন কী পরিমাণ লোড নিতে পারে টেবিলটা দেঁতো হাসি

কীর্তিনাশা এর ছবি

বিডিআর ভাই,
আমি এইখানে একটা সিরিয়াস কেস নিয়া চিন্তায় আছি। আর আপনে মিয়া বাইচলামি করেন। রেগে টং

আমি বদ্দোয়া দিলাম - আপনেও বিশেষ কাজ করতে গিয়া টেবিল ভাইঙ্গা পড়বেন, খাট ভাইঙ্গা পড়বেন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভালো বুদ্ধি দিলাম, আর পছন্দ হইলো না আপনার! মন খারাপ

বদ দু'আ দিয়া লাভ নাই রে ভাই... আর এতো চ্যাতেন কেন! বুঝলাম তো আপনি টেবিল, খাট ভাইঙা পড়সিলেন, তাই বইলা আমারেও এই বদ দু'আ দিবেন? চোখ টিপি দেঁতো হাসি

কীর্তিনাশা এর ছবি

দুরো মিয়া আপনে হালায় মাইনষের মইধ্যে পড়েন না।
আপনে একটা পুরা ইয়ে রেগে টং
খালি খাইষ্টা খাইষ্টা কথা কন।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আনিস মাহমুদ এর ছবি

কীর্তিনাশা কিন্তু পুরা ধরা। এইটা সবাই বুঝছে।

.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...

.......................................................................................
Simply joking around...

কীর্তিনাশা এর ছবি

এইটা কি কন আনিস ভাই? অ্যাঁ
আমারে আবার কে ধরলো? কোথায় ধরলো? চিন্তিত
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।