আনু মুহাম্মদের পা ভাঙলে ক্ষতি কার? [ছবি যুক্ত করা হৈলো]

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: শুক্র, ০৪/০৯/২০০৯ - ২:১৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

auto

দেশে এখন শিক্ষকদের খুব কদর। রাষ্ট্র সর্বোচ্চ পদে বসায় পর্যন্ত। আমাদের নিশ্চয়ই উদ্দিন সাহেবের কথা মনে আছে।

এছাড়াও যে কোনো অন্যায় জায়েজ করার জন্য দলগুলোর চাই বিশেষজ্ঞ শিক্ষক। অফিসে ছুটির দরখাস্তের সঙ্গে মহল্লার ডাক্তারের প্রত্যয়নপত্রের মতো এখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সাট্টিফিকেট লাগে। সরকার বা বিরোধী সব দলেরই। তাই শিক্ষকদের অধিকাংশই এখন জামায়াদরে থাকেন। উনাদের চেহারায় এখন অনেক জেল্লা।

আনু মুহাম্মদও শিক্ষক। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। নামী শিক্ষক। লোকে তাঁর কথারে পাত্তা দেয়। ছোটখাটো সাধারণ চেহারার একজন মানুষ ফুলবাড়ীতে তুলকালাম বাঁধিয়ে দেন। এ বড় আশ্চর্যের...

ব্যাটা তুই হলি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সম্মানী ব্যাক্তি। খালি একটা দলের ঝাণ্ডা হাতে নে... জেন্টস পার্লারে গিয়া গোঁফটা ট্রিম করে আয়... ব্যাটা তোরেও সিংহাসনে বসাবো দরকার হলে... তোরও গালে আর জুতা সমান চকচক করবে। তা না করে ক্যান তুই ঐসব গরীব গুর্বা বেদ্দপ পোলাপানের লগে রাস্তায় নামস চটিজুতো পরে?

খুবই গর্হিত কাজ নিঃসন্দেহে। ব্যাটাকে একটা শাস্তি দেওয়া উচিত।

অতএব তার পা ভেঙে দেওয়াটা জায়েজ। খুব তো মিছিল করিস, এবার কর দেখি কেমন পারিস?

কোথায় যেন পড়েছিলাম, (সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লোটাকম্বলে?) "পা থেকেই পাপের শুরু"

পাপের শুরু হয়ে গেছে। আনু মুহাম্মদের পা হাসপাতালের বিছানায় রেখে রাস্তায় নামছে অজস্র পা। পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে... যাবে... এ সবে শুরু...

অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও অন্য প্রতিবাদকারীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার বিচার চাই...
তেল গ্যাস সম্পদ পাচার বন্ধ করতে চাই...

৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার
বিকেল ৪টায়
স্বোপার্জিত স্বাধীনতা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) এ
প্রতিবাদ সমাবেশ...

যোগ দিন, সফল করুন...

auto
auto
auto
auto
auto


মন্তব্য

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

উদ্ধৃতি:
পাপের শুরু হয়ে গেছে। আনু মুহাম্মদের পা হাসপাতালের বিছানায় রেখে রাস্তায় নামছে অজস্র পা। পায়ে পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে... যাবে... এ সবে শুরু...

তবুও শুরু হোক। আমরা মরে গেছি- কথাটা যেন কেউ বলতে না পারে।
.
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

নিন্দা ! নিন্দা !! নিন্দা !!!
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

স্পর্শ এর ছবি

চলুক


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

চলুক

---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

হিমু এর ছবি

আনু মুহম্মদের পা ভাঙার জন্যে দায়ী পুলিশ কর্তা ও সদস্যদের বিভাগীয় বিচারের মুখোমুখি করা হোক।

আজব একটা দেশ। সাকা চৌধুরী হাসতে হাসতে খিস্তি করে, কেউ কিছু বলে না, আর আনু মুহম্মদ, আনোয়ার হোসেনদের পা ভাঙে পুলিশ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চলুক

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- যে দেশে বঙ্গবীর উপাধি নিয়ে একজন গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা কুখ্যাত জামাতি রাজাকারদের কাতারে গিয়ে শামিল হওয়ার ধৃষ্টতা দেখায় সেদেশে আনু মুহম্মদদের পা ভেঙে দেয়াটাই রীতি হয়ে যাক।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

একটা ইউটিউব স্বাক্ষাতকার এমবেড করলাম - ৩:১০ থেকে বেশ ইন্টারেস্টিং কিছু কমেন্ট আছে

মামুন হক এর ছবি

ভোট দিয়া গেলাম।
বলার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছিনা।

ফিরোজ জামান চৌধুরী এর ছবি

'অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ও অন্য প্রতিবাদকারীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার বিচার চাই'

ঝিনুক নীরবে সহো, নীরবে সয়ে যাও
ঝিনুক নীরবে সহো, মুখ বুঁজে মুক্তো ফলাও।

বালক এর ছবি

চলুক

_____________________________________________
"যে কথায় কবিতা জন্মাতো সে-কথার শিরায় শিরায় বিষ, এক-একটা কথার ছোবলে কবিতার খাতা পুড়িয়ে দিস..."

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

নদী এর ছবি

দেশ বেচার উপক্রম হয়ে গেলেও দেশ বাঁচানেওয়ালা আর স্বাধীনতাওয়ালারা কিছুই বলে না।
আর আনু মুহম্মদ আর অল্প কিছু মানুষ হুদাই চেচামেচি করে!

এইলোকগুলা না থাকলে কী আনন্দেই না আমাদের দিন কাটতো! আমরা জানতামও না এইসব ফ্যাসাদ। আর ধ্যেই ধ্যেই করে দেশ উপরে উঠতো।

তারপর একদিন নাইজেরিয়ার মত দেশটা ন্যাংটা নাচ নাচতো (অবশ্য এক প্রজাতির মানুষ নাচ দেখতে খুবই ভালবাসে, তার জ্ঞান আছে কিন্তু দেশ নাই, হৃদপিন্ড আছে কিন্তু আত্মা নাই)।

নদী

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

কাল রাতে ছবিরহাটে আড্ডা দেয়ার সময়েই দাওয়াত পেয়েছি। আসছি...
____________________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ !

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

সৈয়দ আখতারুজ্জামান এর ছবি

চরম নিন্দা।

অতিথি লেখক এর ছবি

এইটা সেই ডকুমেন্ট যার জন্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ রাস্তার পরে মার খেলেন। উনার অপরাধ উনি আমাদের সম্পদ রক্ষা করার চেষ্টা করছেন। উনার প্রতি সম্মান দেখানো হবে, উনার মুভমেন্টের সাথে একাত্ত্ব হতে পারব যদি আমরাও বিষয়টা ভালোভাবে বুঝতে পারি। এমন কেউ কি আছেন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারদর্শি এবং সংক্ষেপে আলোকপাত করতে পারেন।

http://www.petrobangla.org.bd/MODEL%20PRODUCTION%20SHARING%20CONTRACT%202008-FEBRUARY.pdf

ধন্যবাদ।

পাঠক [অতিথি] এর ছবি

এটা পড়তে পারেন। ভালো ব্যাখ্যা আছে।

http://www.prothom-alo.net/V1/mcat.news.details.php?nid=MTc0Mzk5&mid=NA==

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।