মাহবুব আজাদের গল্পের সম কিংবা অসমসাময়িকতা

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর (তারিখ: সোম, ০৮/০৬/২০১৫ - ৩:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাহবুব আজাদ-এর গল্পগ্রন্থ "আশাকর্পূর" এর পাঠ প্রতিক্রিয়া লিখতে বসে প্রথমেই আগামী পাঠককে সাবধান করাটা দায়িত্ব মনে করি, যাঁরা ফুল ফল লতা পাতাসমৃদ্ধ গোল গোল ভালো ভালো গল্প পড়তে আগ্রহী, এই বই তাঁদের জন্য না। যাঁরা 'মানী লোকের মান সম্মান' বজায় রেখে সমঝোতা আর শান্তির গল্প পড়তে আগ্রহী, "আশাকর্পূর" তাঁদের জন্যও না। খাদি পাঞ্জাবি আর মোটা চশমায় সাজানো মূর্তির আড়াল থেকে খুঁড়ে আনা সত্য প্রাণীকে দেখে যাঁরা 'সবকুছ ঝুট হ্যায়' বলে এড়িয়ে যেতে আগ্রহী, মাহবুব আজাদের গল্প তাঁদের জন্যও না।
আলো জ্বলা রঙ্গমঞ্চে যে চমৎকার রূপকথাটি মঞ্চস্থ হয়, মাহবুব আজাদের গল্প সেখানে না; তাঁর গল্প শুরু হয় কুশীলবদের মেকাপ তোলার পর থেকে।

10410462_1051861791497382_1612848186235584080_n
[আশাকর্পূর বইয়ের প্রচ্ছদ]

আশাকর্পূরের গল্পগুলোর প্রথম বৈশিষ্ট্য ভাষার সাবলীলতা। একই সঙ্গে মসৃন ও শক্তিশালী। এ দুইয়ের মিলন ঘটতে খুব কম দেখা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মসৃন হতে গিয়ে ভাষা হয়ে যায় পলকা, নয়তো শক্তি দেখাতে গিয়ে ভাষা হয়ে যায় দুর্বোধ্য। মাহবুব আজাদ এক্ষেত্রে বাঘ আর মহিষকে এক ঘাটে জল খাইয়ে ছাড়েন তাঁর গল্পে। কুইনাইন ট্যাবলেটের মতো তেতো তীব্র কঠিন বক্তব্যটিও রসগোল্লার ভেতরে ঢুকিয়ে পাঠককে গিলিয়ে দিতে পারেন, পাঠক মিঠা স্বাদ পায়। দীর্ঘ বাক্যগুলোও অবোধপাঠ্য হয় না। অদ্ভুত নতুন সব উপমা সংযোগে গল্পপাঠ দারুণ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

মাহবুব আজাদের বেশিরভাগ গল্পই যেন সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে একটি ঘটনাই একটি পূর্ণাঙ্গ গল্প। ঘটনাটি যতক্ষণ ঘটছে, চরিত্ররা যতোক্ষণ কথা কইছেন, সেটাই গল্প, ততোক্ষণই গল্প। অনেকাংশেই সংলাপ নির্ভর, গতিশীল। একটা দু'টো অনুপ্রসঙ্গ ধরে পাঠক পরিস্থিতি আর চরিত্রগুলো আন্দাজ করে নিতে পারেন সহজেই, শুরুতেই। তারপর চরিত্ররাই নিজেদের কথাগুলো বলে বলে যায়। পড়ায় তৈরি হয় চলচ্চিত্রের আবেশ, দৃশ্যকল্পগুলো চমৎকার ফুটে ওঠে।

আশাকর্পূরে মোট ১১টি গল্প। 'খুব রগুড়ে', 'গরুটারই চরিত্র ভালো নয়', 'হন্তদন্ত তদন্ত প্রয়োজন', 'আশাকর্পূর', 'সমর্থক', 'নৈনং ক্লেদয়ন্তি', 'হাদুল্লাপুরে ওম শান্তি', 'ফাঁস', 'হস্তীমূর্খ', 'ইবরাহিমের ছুরি' আর 'সর্বোচ্চ দেশপ্রেম'।

কখনো গল্পের বিষয় দেশের বামপন্থা রাজনীতির বিকলতা, কখনো গ্রাম্য সালিশ, কখনো পরিবার, কখনো বেদনায় ভরে ওঠা স্কুলের আকাশ বাতাস। মাহবুব আজাদ গল্পকে কখনো নিয়ে যান ফ্লাড লাইটের আলো ঝলমলে স্টেডিয়ামের ক্রিকেট খেলায়, কখনো হতাশার ঘরে। কখনো আন্দোলনের নামে জ্যন্ত পুড়িয়ে মারা মানুষগুলোর আত্মীয়রা গ্যালন হাতে রাজপথে নেমে আসেন, কখনো রাজনীতির আড়ালের শ্বাপদেরা হয় গল্পের চরিত্র। এরকম অসংখ্য বিষয় আর বৈচিত্রময় চরিত্র নিয়ে ১১টি গল্পে ভরপুর "আশাকর্পূর"।

মাহবুব আজাদের গল্পের চরিত্র আর ঘটনাগুলো আমরা চট করে চিনে ফেলতে পারি। আমাদের খুব সমসাময়িক তারা। এই চেনা জানা চরিত্র আর ঘটনাগুলোকে তীব্র বিদ্রুপ করে মাহবুব আজাদ সাজান তাঁর গল্পগুলো। আমরা পড়ি, মজা পাই, বাহবা দেই। বইয়ের শুরুতে উপক্রমণিকায় লেখক নিজেই বলেছেন "গল্পকার হিসেবে আমার প্রচেষ্টা চলমান সময়কে গল্পের ছাঁচে ধরে রাখার।" সমকালীন ঘটনা আর চরিত্রগুলো নিয়ে গল্প বলেই ভয় থাকে অসমকালে এই গল্পগুলোর আবেদন থাকবে তো? যে বাস্তব ঘটনা গল্পটির জন্ম দিয়েছে, সেই ঘটনা জানা না থাকলে বা সেই চরিত্রটি পাঠকের চেনা না থাকলে পাঠক কি গল্পের রস আহরণ করতে পারবেন?
ফিরে তাকাই গল্পগুলোর দিকে।

'খুবরগুড়ে' জুড়ে যে চরিত্রগুলো বিরাজ করে, নাম পড়লেই চট করে মনে পড়ে আমাদের চেনা বিপ্লবীদের নাম। আর সঙ্গে সঙ্গে আমরা সেই বাস্তব চরিত্রটির সঙ্গে মিলিয়ে চিন্তা করতে শুরু করি। কিন্তু চরিত্রগুলোর নাম যদি অ আ ক খ হতো তাহলেও কী চিনতে খুব অসুবিধে হতো? সারাবিশ্বেই সমাজতান্ত্রিক স্বপ্ন বিফলের কারিগরদের চেহারায় কি খুব পার্থক্য?
অথবা গরু ধর্ষনের গ্রাম্য সালিশের বাস্তব ঘটনা না জানলেই কি 'গরুটারই চরিত্র ভালো নয়' গল্পটি পাঠকের কাছে অবোধ্য হয়ে উঠবে? দশ বছর পরের পাঠক যদি অবলা গরুকে 'অবলা নারী' রূপে কল্পনা করে গল্পটি পড়ে, এরচেয়ে বেশি তীব্রতা নিয়ে গল্পটি কি তখন পাঠকের মনে আঘাত করবে না?
আমাদের স্মৃতিতে রানা প্লাজার ঘটনা জ্বলজ্বলে; অধরচন্দ্র মডেল হাই স্কুলের মাঠে সকালে ঘুমঘুম চোখে সারি বাঁধা ছেলেমেয়েদের সামনে দপ্তরীর হাতের দায়সারা টানে আকাশে এক মন্থর ভূবনচিলের মতো যখন ডানা মেলে সবুজের মাঝে লাল একটি বৃত্ত, সহকারী প্রধান শিক্ষকের গম্ভীর আদেশের পর অনেক বিপথগামী কণ্ঠের মাঝে পাশের আমগাছের পাতায় যখন কাঁপন ধরায় কী শোভা কী ছায়া গো কী স্নেহ কী মায়া গো... তখন হয়তো তাদের নাকে ভেসে আসে শবের গন্ধ, বাতাসে ভাসে কর্পূরের গন্ধ। 'আশাকর্পূর' গল্পের বিবরণ আমাদেরকে নিয়ে যায় অধরচন্দ্র মডেল হাই স্কুলের বিশাল মাঠে। কিন্তু গল্পে আমরা কোথাও রানা প্লাজা খুঁজে পাই না, খুঁজে পাই না অধরচন্দ্র মডেল হাই স্কুলকেও। এ যেন বাংলাদেশের যে কোনো এক স্কুলের মাঠ, আমাদের অবহেলা আর লোভের বলি হয়ে যেখানে জমে উঠছে লাশের স্তুপ! ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, লঞ্চডুবি, ভূমিকম্প, ভবনধ্বসে যখনই জমে উঠবে লাশের পাহাড়; আমরা দেখবো ঈশ্বর ক্রমশ সরে যাচ্ছেন আরো দক্ষিণে!
আমাদের ক্রিকেট মাঠে যতোদিন আমরা গালে চানতারা এঁকে 'ম্যারি মি আফ্রিদী' বলবো, ততোদিন 'সমর্থক' গল্পটি প্রাসঙ্গিক।
গল্পে ইলিয়াস থাকলেও, ইলিয়াসের গায়েব হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অপরাজনীতির বলি হওয়া এই সাধারণ মানুষের গল্প যতোদিন ফুরিয়ে যাবে না, ততোদিন 'নৈনং ক্লেদয়ন্তি' আমাদের গল্প হয়ে থাকবে। পেট্রোল বোমা হামলায় মানুষ পোড়ানোকে যে আমরা উৎসবের মর্যাদা দিয়েছি!
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা না জানলেও খাদ্যে ভেজাল, দূর্ণীতি আমাদের গলায় ফাঁস হয়েই থাকবে। শাকের ভাইরা দিনে দিনে অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠবেন আমাদের রাষ্ট্রে আর বদলে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন আনিসুল হাই এবং আবদেল আবু সাঈদীরা।

মনে রাখতে হবে বইয়ের একেবারে শুরুতেই লেখা আছে 'এ গ্রন্থে বর্ণিত সকল ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের সঙ্গে সাদৃশ্য কাকতালমাত্র।' গল্পগুলো পড়তে পড়তে মনে হয়েছে সাদৃশ্য খুঁজতে যাওয়ার চেষ্টাটা ভুল। মনের ভেতর উঁকি দেওয়া সাদৃশ্যগুলো সরিয়ে গল্পগুলো পড়তে পারলেই কেবল গল্পগুলোর প্রকৃত শক্তি বোঝা সম্ভব।

তবে মনে প্রাণে চাই এমন দিন আসুক, যেদিন এই বাংলাদেশে এরকম ঘটনা আর ঘটবে না। যেদিন এই গল্পগুলো সত্যিই অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে। সেই দিনটি আসুক। মাহবুব আজাদের গল্পভরা বিদ্রুপের উদ্দেশ্যও বোধহয় তাই।

বইয়ের নামঃ আশাকর্পূর
লেখকঃ মাহবুব আজাদ
ধরনঃ ছোটগল্প সংকলন
প্রথম প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারী ২০১৫
প্রকাশকঃ বিপিএল
প্রচ্ছদঃ পিএমজে
ISBN 978-984-91339-0-2
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৯৬
মূল্যঃ ২৪০ টাকা।


মন্তব্য

অতিথি লেখক এর ছবি

রিভিউ ভাল্লাগছে।
বইটা কোথায় পাওয়া যাবে একটু বলে দিলে সংগ্রহ করে নিতে পারতাম।
ধন্যবাদ
@জিল্লুর রহমান সোহাগ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ধন্যবাদ।
এখানে খোঁজ মিলবে বইয়ের

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি

কিছু কিছু গল্প পড়েছি। বইটি সংগ্রহে নেই। লেখক মাহবুব আজাদের লেখার ধরণটি একেবারে স্বতন্ত্র। একটা মানুষ কিভাবে যেনো আশেপাশের চরিত্রগুলো হাতে ধরে ধরে সামনে আনে আবার তাদের দিয়ে আমাদের ভেতরের বোধকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে আনে। নিজের অক্ষমতার লজ্জা ঢাকতে নিজেরাই তখন ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
লেখা ভালো লেগেছে। বইটি সংগ্রহে রাখার ইচ্ছে হচ্ছে। ঢাকায় গেলে এবার বইয়ের লিস্টি ঝেড়ে বেই কিনবো।

-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু

আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ্যাঁ, মাহবুব আজাদের লেখার ধরনটি একেবারে স্বতন্ত্র। আমার বেশ ভালো লাগে।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

চলুক চলুক

দেবদ্যুতি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

শান্ত এর ছবি

আফসুস, এই লোকটা এখন আর নিয়মিত লিখে না।

__________
সুপ্রিয় দেব শান্ত

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সাহিত্য কি আর নিয়ম করে হয়? ভালো লেখা অনিয়মিতই হওয়ার কথা হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

চণ্ডীশিরা'র দাম বাড়াইতাছেন আরও? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

চণ্ডীশিরার দাম এখন কতো? চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হুমম... ইয়ে, মানে...

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মরুদ্যান এর ছবি

চণ্ডীশিরার কথা জিগাইলে লেখক উদাস হইয়া অন্য কিছু বলেন রেগে টং

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

আমিষুলের প্রথম সেলফিটা কি চণ্ডীশিরা'র সাথে ছিল? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কল্যাণ এর ছবি

হা চণ্ডী, তুমি তাড়াতাড়ি শিরে ওঠো।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সকল ব্লগারের কল্যাণ হোক চোখ টিপি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

মরুদ্যান এর ছবি

রিভিউ নাইস হইসে!

মাহবুব আজাদ লোক্টা যেম্নে আমিষুলপনা করে বই না কিনে উপায় আছে? চোখ টিপি

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আপনার নিজের লেখার ধারটাও অসাধারন!

অন্য আরেকজনকে দিয়ে কিনিয়ে এনে বইমেলার প্রায় দিন পনেরো পরে হাতে পাই বইটা। একবসায় অবশ্য শেষ করা যায়নি। প্রতিটা গল্পই কিছু সময়ের নিস্তব্ধতা দাবী করে, তা সে লেখকের লেখনীর ধারেই হোক বা সমসাময়িক ঘটনার স্মৃতিচারণে। পুরো বইটা শেষ করার পরে একটা কথাই মাথায় ছিলো যে, এমন একদিন কবে আসবে যেদিন এই গল্প গুলো শুধু গল্পই হবে, অনভিপ্রেত কাকতালেও কেউ বাস্তবতার সাথে এর কোনও সাদৃশ্য খুঁজে পাবে না।

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হাসি
আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

সবগুলো পড়া না হলেও, বেশ কয়েকটা পড়া। বইটা লিস্টে আছে আগে থেকেই। এখন তাড়নাটা বাড়লো আরো।

রিভিউ ভাল লাগছে।

স্বয়ম

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সুবোধ অবোধ এর ছবি

বই আছে। কেনার সময় তো আপ্নেই সাথে ছিলেন। দেঁতো হাসি বই পড়াও শেষ। এই বইয়ের মানের রিভিউ জীবনেও লিখতে পারবো না, তাই লিখিও নাই। আপ্নের রিভিউ দারুণ হইছে। চলুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কবি বলেছেন, ডরাইলেই ডর...

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ওঁয়া ওঁয়া

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

কান্দেন ক্যান? আপনেও একটা রিভিউ লিখে ফেলেন

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

ঐ ভাইবাই কান্দি... আন্নে সবকিছু কমন ফালান ক্যান?? রেগে টং

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি তো লেখিই না। বই নিয়ে তো আরো কম লেখি। তবু কমন পড়লে কেমনে কী? সামনে আরো দুইটা বইয়ের প্রতিক্রিয়া আসিতেছে চোখ টিপি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

হাততালি পপকর্ন লইয়া গ্যালারীতে বইলাম দেঁতো হাসি

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

ইয়ামেন এর ছবি

বাবা মা কে দিয়ে আশাকর্পূর কিছুদিন আগে বাংলাদেশ থেকে আনিয়েছি। সবগুলো গল্প এখনও পড়া হয়নি, তবে যতগুলো পড়েছি, খুবই ভালো লেগেছে।
নজরুল ভাই সুন্দর রিভিউয়ের জন্য আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সব বেদনা মুছে যাক স্থিরতায়
হৃদয় ভরে যাক অস্তিত্বের আনন্দে...

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সাফি এর ছবি

রিভিউ ভাললাগসে। মাহবুব আজাদ লোকটাও লেখে ভালো।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

মাহবুব আজাদ লোকটা একটু বেশিই ভালো লেখে

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এক লহমা এর ছবি

হো হো হো

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

অতিথি লেখক এর ছবি

আমি লেখা গুলো পড়িনি। কিন্তু এই সমালোচনা পড়ে বই টা পড়ার তাগিদ অনুভব করলাম। আর এটাই সমালোচকের জয়। আর অনেক ভাল লেখার পরিচিতি হবে এই আশাতে রইলাম।
--------------------------------------------------
ইচ্ছে মত লিখি।
http://icchemotolikhi.blogspot.in/2015/05/for-blogger-to-blogger.html

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার লেখা পড়লাম, ভালো লাগলো।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার লেখা পড়েছেন জেনে বড় উতসাহ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
সচলায়তনের সদস্য হবার ইচ্ছা আছে। দেখি কদ্দুর এগোই।
--------------------------------------------------
ইচ্ছে মত লিখি।
http://icchemotolikhi.blogspot.in/2015/05/for-blogger-to-blogger.html

নীড় সন্ধানী এর ছবি

এবার বইমেলার সময় প্রকাশিত কোন বই কিনতে পারিনি এখনো। এই বইটাও কেনার তালিকায় ছিল। কিন্তু চট্টগ্রামে এবার বইমেলার বই খুব কম এসেছে কেন জানি। বাতিঘরে বেশ কবার খোঁজ নিয়েও কাজ হয়নি। পোস্ট পড়ে মনে পড়লো গত মাস খানেক বই পাড়ায় যাওয়া হয়নি, ইতিমধ্যে না আসলে আবার গুতো দিতে হবে গিয়ে।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাতিঘরে না পেলে জানিয়েন

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তারেক অণু এর ছবি

ধন্যবাদ নজু ভাই, ভালো লেগেছে বইটি।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

মাসুদ সজীব এর ছবি

চলুক

আমার মনে হয় মাহবুব আজাদের এ বই আরো বেশি করে প্রযোজ্য যারা ফুল-লতা-পাখি নিয়ে ব্যস্ত থাকে, আরো বেশি প্রয়োজন যারা শান্তি রক্ষা করে চলে সব সময়। এককথায় যারা সমকালীন সমস্যা কে এড়িয়ে যায়, সময় কে পাশ কাটায় তাদের জন্যে উনার লেখা বেশি করে প্রযোজ্য।

-------------------------------------------
আমার কোন অতীত নেই, আমার কোন ভবিষ্যত নেই, আমি জন্ম হতেই বর্তমান।
আমি অতীত হবো মৃত্যুতে, আমি ভবিষ্যত হবো আমার রক্তকোষের দ্বি-বিভাজনে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

তারা বিজি থাকে, হেইট ফলিটিক্স হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

এক লহমা এর ছবি

রিভিউ ভাল লেগেছে। পড়তে পড়তে গল্পগুলো মনে আসছিল। অসাধারণ গল্প সব।

অঃ টঃ - ইচ্ছে হয়েছিল গল্পগুলো যখন সচলে বের হয়েছিল সেগুলি পড়ে যে কি রকম তীব্র আচ্ছন্নতা অনুভব করেছিলাম সেটা আপনার এই রিভিউ-এ মন্তব্য লেখার সুবাদে একটু গুছিয়ে জানিয়ে যাব। কিছুতেই সময় বার করতে না পারায় এইখানে এভাবে উল্লেখ করেই রেখে গেলাম। হয়ত কোনদিন -

--------------------------------------------------------

এক লহমা / আস্ত জীবন, / এক আঁচলে / ঢাকল ভুবন।
এক ফোঁটা জল / উথাল-পাতাল, / একটি চুমায় / অনন্ত কাল।।

এক লহমার... টুকিটাকি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

টাইম এন্ড টাই, খালি গিট্টু খায়। টেনশন নিয়েন না, সময় করে লিখে ফেলেন।

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

দারুণ রিভিউ। আমি অনেকদিন ধরে একটা রিভিউ লিখব লিখব করতে করতে আপনি লিখে ফেললেন। আপনাকে ধইন্যবাদ।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমি লিখছি তাতে কী? আপনে আরেকটা লিখেন হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আয়নামতি এর ছবি

রিভিউ খুব ভালু পেলাম। উত্তম জাঝা!
লেখক মাহবুব আজাদের "আশাকর্পূর"সহ আরো কিছু পুস্তক বইমেলাডটকমের মাধ্যমে আসতে আসতেও মাঝপথে আটকে গেছে।আমার আশা কর্পূরের মত উবে গেলু যেন!সুহানের সাক্ষ্য ছিল শিরস্ত্রাণ আউট অফ প্রিন্ট মন খারাপ
বইটা আবার প্রিন্ট হচ্ছে কিনা জানেন নাকি ভাইয়া?
তা ছলে-বলে-কলে-কৌশলে লেখক মাহবুব আজাদকে সচলে নিয়ে আসুন না রে ভাই।
তাইলে সবাইকে এইটুক বলে সুখ পাই আম্রা একসাথে ভ্লগিং করি চোখ টিপি

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

সাক্ষ্য ছিল শিরস্ত্রাণ এখনও প্রিন্টই হয়নি, আউট হয় ক্যাম্নে? চাল্লু

লেখককে ধরে আনা প্রসঙ্গেঃ আগে 'বেতারায়তন' নামে সাক্ষাৎকার হত, সেটা কি বন্ধ? চিন্তিত

____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ আবার প্রিন্ট হওয়ার কথা, এখনো হয়নি সম্ভবত।
লেখক মাহবুব আজাদকে আমিও খুঁজছি, আপনি পাইলে একটা আওয়াজ দিয়েন আমারে হাসি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আয়নামতি এর ছবি

@সাক্ষী সত্যানন্দ, ভালো হইয়া যা কইলাম(পোয়েটিক তুই তুকারি)

@ নজরুল ভাই, হ নিচ্চয় নিচ্চয় দেঁতো হাসি

কল্যাণ এর ছবি

লেখক মাহবুব আজাদকে আমিও খুঁজছি, আপনি পাইলে একটা আওয়াজ দিয়েন আমারে

হাসি দেঁতো হাসি হাসি হো হো হো গড়াগড়ি দিয়া হাসি খাইছে

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

অতিথি লেখক এর ছবি

মসৃন রিভিউ..…..…
এ্যানি মাসুদ

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

কল্যাণ এর ছবি

নজু ভাই রিভিউ ভাল্লাগছে খুব চলুক

মাহাবুব আজাদের ফাসি চাই, মানে ঠ্যাংএ দড়ি বেধে টেনে আনেন নজু ভাই (পাইলে আরকি)।

দেশে এক ব্যাটাকে টাকা দিয়ে আসছিলাম কয়েকটা বই কিনে রাখার জন্যে, সে নিজেই এখন ভেগে গেছে। বই পত্রের ব্যাপারে মনে হয় নিজের ভাইরেও বিশ্বাস করার উপায় নাই মন খারাপএইখানে দেখি মাহাবুব আজাদের কিছু বই আছে, একটা চেষ্টা নিতে হচ্ছে আবার।

_______________
আমার নামের মধ্যে ১৩

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।