সচলে লেখার মান নিয়ে পাঠকমনে প্রশ্ন

সম্প্রতি সচলে লেখার মান নিয়ে কিছু সচল ও পাঠকদের মুখে হালকা গুঞ্জরণ শোনা যাচ্ছে। সচল সদস্য ও অতিথিদের মনোভাব স্পষ্ট করে জানতে তাই এ জরিপের অবতারণা। জরিপের ফলাফল সবার কাছে একটি মেসেজ পৌঁছে দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

সচলে লেখার মানের ব্যাপারে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ নিচের চারটি অপশন থেকে বেছে নিন।

সহযোগিতার জন্যে ধন্যবাদ। সচল থাকুন, সচল রাখুন।

Choices

দুঃখিত, এই পোস্টে আপনার ভোট গৃহীত হবে না।

মন্তব্য

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

জনমত যাচাইয়ের আগে কাদের লেখা খারাপ সেটা শ্রেণী বিন্যাস করে দেন, কাদের লেখার ব্যাপারে সচলদের মনোযোগী হতে হবে সেটা বলে দিয়ে জনমত যাচাই করুন।
আমি যেটা বুঝেছি সেটা হলো সচল-অতিথি নির্বিশেষে সবার কথাই এখানে বলা হয়েছে। তবে উপরের মন্তব্যে সচলদের মনোযোগী হতে হবে দ্বারা কী বোঝাতে চেয়েছেন বুঝতে পারলাম না। আমরা সচলরা কিন্তু অতিথিদের লেখা শুধু পড়তেই পারি, ছাড়পত্র দেওয়ার কেউ নই হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

দুঃখিত প্রকৃতি ভাই, এখান সচল হবে না হবে "মডারেশন"। সচল বলতে মডারেশনকে বোঝানো হয়েছে।
ধন্যবাদ।

আলমগীর এর ছবি

সেই মন-প্রাণ খুলে কথা বলার দিন শেষ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আসলে অতিথিদের কাছে এই আলোচনাগুলো অনেক সময় অপ্রাসঙ্গিক এবং রিচুয়ালিস্টিক। এগুলোর দ্বারা অনেক সময় একজন নতুন নিজেকে এই কমিউনিটির একজন ভাবার ক্ষেত্রে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। (ব্যক্তিগত মতামত)
আমি আপনার সাথে একমত।
তবে সচলের প্রথম পাতায় যেহেতু আরো অনেক পোস্ট থাকে, সেহেতু অতিথি পাঠকের স্বাধীনতা/সুযোগ থাকছে অন্য পোস্ট বেছে নিতে। এর সাথে আমি আরেকটু যোগ করি-- তা হলো সচলের বৈঠকি ভাবটা এত প্রবল যে হঠাৎ করেই একজন অতিথির পক্ষে একাত্মতা ঘোষণা করা সহজ নয়। তবে আমার দুই বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি সচলরা কিন্তু ভালো লেখাকে গ্রহণ করার বিষয়ে খুবই উদার। আর অতিথিদের এই বৈঠকে একীভূত হওয়ার জন্য রয়েছে অতিথি একাউন্ট। অতিথিদের জন্য একমাত্র সচলের দরজাই তো খোলা রয়েছে হাসি

তবে রণদার মতামতটা ভেবে দেখার মতো। যদিও বাস্তবায়ন না করলেও তেমন সমস্যা হবে বলে মনে হয়না।

আপনার ৩ নম্বর পয়েন্টের অনেকাংশই কিন্তু লেখকের নিয়ন্ত্রণে। কিভাবে? ট্যাগের মাধ্যমে। লেখা তৈরী করার সময় আমাদের স্বাধীনতা রয়েছে ইচ্ছেমত ট্যাগ যুক্ত করার, সাথে পূর্বনির্ধারিত ক্যাটেগরিও রয়েছে। তবে হ্যাঁ, আপনি হয়তো চাইছেন কমন কিছু ট্যাগের একটা লিস্ট থাকা যেখান থেকে সহজেই পোস্টগুলো দেখা যায়। সেটা কিন্তু মন্দ নয়। ডেভলপাররা ভেবে দেখতে পারেন একটা ট্যাগ ক্লাউড টাইপের ব্লক দেয়া যায় কিনা।

রিয়াজ উদ্দীন এর ছবি


সচলের মান কমেছে কিনা সেটা বলার জন্য যতদিন সচলের পাঠক হবার দরকার আমি তত পুরাতন পাঠক নই। তবে লেখক কমিউনিটির সাইট হিসাবে এই সাইটের সাফল্য কামনা করি নিজের স্বার্থে, পাঠক হিসাবে। লেখার মান নিয়ে আরো কঠোর হবার মত সমর্থন করি। তবে হয়ত নতুন লেখক-লেখিকাদের উৎসাহ দেবার উদ্দেশ্যে সাথে কড়াকড়ির ব্যপারটার কিছুটা টানাপোড়েন আছে। সেক্ষেত্রে মডারেটররা ফিডব্যাক দিয়ে লেখাকে আটকে দিতে পারেন যাতে অতিথিরা উৎসাহ না হারান এবং লেখার মানোন্নয়নের চেষ্টা করেন। অবশ্য বুঝতে পারি সেটা মডারেটরদের উপর চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। সেটা করা হয় কিনা সেটা না জেনেই বলছি অবশ্য।


তবে জন্মদিনের পোস্টের ব্যপারে ডানে বা বায়ের অবহৃত যায়গা কাজে লাগিয়ে ব্লগের মূল স্ট্রিম থেকে সেটাকে বাইরে রাখা যেতে পারে (সম্ভবত রণ'দা এই পরামর্শ দিয়েছিলেন)। সেখানে ৫-৬টি সাম্প্রতিকতম জন্মদিনের পোস্ট থাকতে পারে। এতে করে লেখার মূল স্ট্রিমে একজন লেখকের চেয়ে তার লেখা নিয়ে আলোচনার সুযোগ বাড়বে। এর কিছু ব্যবহারিক সুবিধও আছে। যেমন পোস্টটি জন্মদিনের কিনা, বা কার জন্মদিনের, জন্মদিন কবে ছিল এই বিষয়গুলোও লিঙ্কের সাথে জুড়ে দেয়া যেতে পারে। আসলে অতিথিদের কাছে এই আলোচনাগুলো অনেক সময় অপ্রাসঙ্গিক এবং রিচুয়ালিস্টিক। এগুলোর দ্বারা অনেক সময় একজন নতুন নিজেকে এই কমিউনিটির একজন ভাবার ক্ষেত্রে অস্বস্তি বোধ করতে পারেন। (ব্যক্তিগত মতামত)


পাশের যায়গাগুলোতে বিষয়ভিত্তিক লিঙ্কের গুচ্ছ থাকতে পারে। যেমন দেশচিন্তা, দর্শন এরকম বিষয় ভিত্তিতে সাম্প্রতিক পোস্টের (১০-১৫টি) আলাদা আলাদা প্যানেল করে দিলে যারা এইসব বিষয়ে আগ্রহি তারা বেছে বেছে পড়তে পারবেন। এগুলো গল্প, কবিতা এধরনের পোস্টের বেলাতেও করা যেতে পারে। আমার মতে বেশ কার্যকর একটা ব্যপার হবে এটা। যারা হালকা আলাপচারিতার চেয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনায় বেশি আগ্রহী তারা সহজেই দেখতে পাবেন এরকমের পোস্ট কোনগুলো ছিল। আবার কেউ যদি গল্প-কবিতা-ছবি এসব নিয়ে আগ্রহী হন তাদের জন্যেও বিষয় বেছে নিতে অসুবিধা হবে না।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

২। আইডিয়াটা মনে ধরছে। শীঘ্রই করা হবে।

৩। এইটা আসলে আরো আগে করা উচিৎ ছিল। এটারে টেকনিক্যাল ভাষায় বলে ট্যাগ ক্লাউড। শীঘ্রই করা হবে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মূলত পাঠক এর ছবি

ট্যাগের যথেচ্ছ ব্যবহার দেখে ট্যাগের উপর ভক্তি চটকে গেছে। এ বিষয়ে পূর্ণ দায়িত্ব লেখকদের। ক্যাটেগরির তালিকা থেকে মোটামুটি সবই পাওয়া যায়, তার বাইরেও কিছু যোগ করা যেতেই পারে খুব স্পেসিফিক বিষয়সংক্রান্ত ট্যাগ, কিন্তু লেখকের মনে ফুরফুরে ভাব এসেছে এবং তিনি যা হোক কিছু দিয়ে দিলেন ঐ ঘরে এমনটাই বেশি চোখে পড়ে। এতে সরাসরি কোনো ক্ষতি না হলেও ট্যাগের সার্থকতা কমে যায়।

স্বাধীন এর ছবি

শুধু ভোট দিয়ে আসলে সব বুঝানো যাচ্ছে না, তাই মন্তব্যের সাহায্যও নিচ্ছি।

নজরুল ভাইয়ের সাথে একমত, কোন লেখককে বলা যায় না লেখক কি লিখবে, সেটা লেখকের নিজস্ব ব্যাপার। আর লেখার মান নিয়ে বলারও যোগ্যতা রাখি না। যেকোন ব্লগই সুন্দর হতে পারে।

আমার মনে হয় না, নজু ভাই আত্মজীবনী বা ফটোব্লগ বা নির্দিষ্ট কোন ক্যাটাগরির ব্লগ নিয়ে কেউ আপত্তি করেছে। তবে আপনার প্রথম আলোর কথা দিয়েই বলতে পারি, পত্রিকার সার্বজনীন মান রক্ষার জন্য কোন পাতায় কি লেখা আসবে এবং কতগুলো আসবে সে রকম কিছু নীতিমালা মনে হয় থাকে। সেরকম কিছু করা যেতে পারে সচলের সার্বজনীন মান আরো উন্নত করার জন্য।

মডারেটরদের সর্বক্ষেত্রে দোষ দেওয়া যায় না। কোন লেখার মান বিচার করা খুব কষ্টকর। কিন্তু উর্দু ভাষার কবিতাটি কিভাবে চলে আসে সেটা এখনও বুঝে উঠে পারিনে। এমনিতে অতিথি লেখকেরা যেহেতু জানে যে ভাল লেখা না হলে প্রকাশ না হতে পারে তাই তাদের বেশিরভাগ লেখাই খুব ভাল। তবে দু'একটি লেখা খুব ছোট ছিল (আমি নির্দিষ্ট করে বলতে অপারগ), অসম্পূর্ণতা ছিল লেখায়, সেগুলোর ব্যাপারে মডুদের একটু সচেষ্ট হতে হবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

আমার মনে হয় মান কমে নাই । তবে বৈচিত্র অনেক বেড়েছে । এই দৃষ্টকোন থেকে মান বেড়েছে বলা যায় ।

নির্ভানা

হিমু এর ছবি

আমার মনে হয়, "বৈচিত্র্য" আর "দৃষ্টিকোণ" লিখলে মান আরো বাড়তো।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

মাহবুবুল হক এর ছবি

কয়েকটা মন্তব্য না লিখে পারছি না -
১। নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা খুব পছন্দ করি ( হয়ত মানব চরিত্র)। ব্লগে এটা যত কম হয় তত ভালো। মডারেশনের স্বার্থে যতখানি না করলেই নয় ঠিক ততখানিই যথেষ্ট। আর সচলের সার্বিক দর্শন বা চরিত্র অক্ষুণ্ন রাখতে কিছুটা নজরদারি থাকতে পারে।
২। যিনি লিখতে চান, মতামত জানাতে চান তার অল্প কয়েক বাক্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ভাষাগত ত্রুটি-বিচ্যুতি লিখতে লিখতে ঠিক হয়ে যাবে, সচলের পাঠকরাই তা ঠিক করে দেবেন। ভাবপ্রকাশের ক্ষেত্রে সবাই সমান দক্ষ নন। দৈনিকের সম্পাদক বা লিটল ম্যাগের সম্পাদকের ভূত যেন কোনমতেই মডারেটরদের পেয়ে না বসে।
৩। ব্লগ বলুন , লেখক কম্যুনিটি বলুন লেখার স্বাধীনতাটাই এর প্রাণ । তা না হলে আর আন্তর্জাল কেন ?
৪। আমি মনে করি সচলায়তন বাংলাভাষী একটা বিরাট অংশকে লেখার জগতে সক্রিয় করতে পেরেছে। তাতে বাংলা ভাষা সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা ক্রমশ বাড়ছে।
৫। তবে যারা ভাষার শুদ্ধতার ক্ষেত্রে একেবারেই উদাসীন এবং অমার্জিত শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে লাগামহীন তাদেরকে সতর্ক হওয়ার বা পর্যবেক্ষণে রাখার সুপারিশ করছি।
--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে লিখি কথা
আমি তো বেকার পেয়েছি লেখার স্বাধীনতা

--------------------------------------------------------
দেয়ালে দেয়ালে মনের খেয়ালে/ লিখি কথা ।
আমি যে বেকার, পেয়েছি লেখার/ স্বাধীনতা ।।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

ভাই - আমার মনের সব কথা বলে দিয়ে আমার তো আর বলার বাকি কিছু রাখলেন না, বিশেষ করে ২,৩,৪! সচল আর অতিথিদের লেখা মডারেশনের double standard-এর কারণ বুঝতে আমার এখনো দেরী আছে - এই ব্লগের ইতিহাস না জানা থাকার জন্য হতে পারে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

অতিথিদের লেখা "মডারেট" করা হয় এমনটা শুনিনি। তবে তাদের সব লেখাই হয়তো ছাড়া হয়না। কেন ছাড়া হয়না তা বুঝতে আশেপাশে নজর দিলেই বোঝা যাবে। হাসি

সচলায়তনে "এই আমার প্রশ্ন -- উত্তর চাই" জাতীয় পোস্ট দেখলে তোমার কেমন লাগবে বলো? অথবা বিডিনিউজ২৪ থেকে কপি মেরে একটা পোস্ট দিলে সেটা কি প্রকাশ করা উচিত? উদাহরণ হিসেবেই বললাম।

প্রাসঙ্গিক একটা উদাহরণ দেই। আমি নিজে একটা সাইট চালাই। নিসর্গ তার নাম। সেখানে দিনে ২০০টা ভিজিটর ভিজিট করে। নিজে কেউ লেখা দেয়না। সেই সাইটেও তো মডারেশনের দরকার পড়ছে ইদানিং। কারণ কি জানো? আগে রেজিস্ট্রেশন ওপেন ছিলোনা। এখন ওপেন। সেদিন বাংলা ব্লগের একজন পরিচিত মুখ একটা লেখা পোস্ট করছে। কিউতে দেখলাম, পড়লাম। তারপর ভাবলাম কিভাবে একজন মানুষ নিসর্গের মতো জায়গায় এরকম একটা পোস্ট দিতে পারে! বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।

সচলায়তন নিসর্গের চেয়ে অন্তত কয়েক হাজার গুন বড় সাইট (ভিজিটরের হিসেবে কয়েক লাখগুন বড় হবে)। সেখানে যদি মডারেট না করা হয়, একটু রয়েসয়ে পোস্ট না প্রকাশ করা হয় তাহলে কি হবে তা আমি বুঝতে পারছি। তোমাকে বোঝাতে পারছি কিনা জানিনা। তবে চেষ্টা করলাম।

তুমি যখন সচল হবা, তখন তোমার লেখা প্রকাশের ভার তোমার হাতেই বর্তাবে। তখন তুমি নিজেই নিজের মডারেটর হাসি

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

বুঝাইয়া বলার জন্য ধন্যবাদ, তবে নিজের লেখা প্রকাশ নিয়ে আমি যত চিন্তিত, তার থেকে মাঝে মাঝে নিজের প্রকাশিত লেখা নিজে সামান্য মডারেট বা এডিট করতে না পারাটা খুবই মনোকষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায় (বিশেষ করে যখন দেখি কোনো সচল ব্যাপক তোলপাড় করে তারপর ঝামেলাযুক্ত লাইনগুলো হাপিস করে দিচ্ছে, আর আমিতো সামান্য বানান নিয়ে কান্নাকাটি করছিলাম)। সামান্য বানান বা ফরম্যাট ঠিক করতে ইমেইল করে করে বার বার ঘ্যান ঘ্যান করতে কারই বা ভালো লাগে? সতর্ক থাকা উচিত পোস্টের আগে বুঝি - কিন্তু ভুল তো মানুষেরই হয়।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

এই বিষয়টা যতটা না টেকনিক্যাল তার চেয়ে বেশী সিকিউরিটির সাথে সর্ম্পকযুক্ত -

১। যেহেতু অতিথি লেখকের লেখা প্রকাশিত হয়ে গেছে, এডিটের সুযোগ নিয়ে তিনি অনাকাঙ্খিত লেখা প্রকাশ করতে পারেন।

২। এডিটের পর পুনরায় মডারেশন প্যানেলে পাঠানো যায়। কিন্তু এতে মডারেশনের কাজ বেড়ে দ্বিগুন তিন গুন হয়ে যাবে।

৩। বিকল্প হল, সচলায়তনের প্রিভিউ বাটন ব্যবহার করুন। কয়েকবার পড়ুন, ওয়ার্ডে বা পার্সোনাল ব্লগে সেইভ করুন। তারপর প্রকাশ করুন।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

এই বিষয়টা যতটা না টেকনিক্যাল তার চেয়ে বেশী সিকিউরিটির সাথে সর্ম্পকযুক্ত

সত্য কথা। প্রিভিউ বাটন ব্যবহার এর এক কার্যকরী সমাধান হতে পারে। মূল সমস্যাটা এই যে মাঝেমাঝে নিজের না জানার কারণে ভুল হয় যেটা ধরা সম্ভব নয় - অন্যান্যরা পড়ে ভুল ধরিয়ে দিলে তখন বুঝা যায়। একটা ভালো উদাহরণ এইটা হতে পারে: "বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় চাইনিজ-মিলিশিয়া এসেছিলো"। আবার এডিটের পর পুনরায় মডারেশন প্যানেলে পাঠানো বাড়াবাড়ি কাজ হয়ে যায়।

তবে, মাঝামাঝি কম্প্রমাইজ এরকম হতে পারে - জাস্ট সাজেস্ট করছি, চিন্তা করে দেখতে পারেন: গুগুল গ্রুপসে যখন কোনো ডকুমেন্ট লেখা হয়, এবং যখন অনেকের তাতে এডিট এক্সেস থাকে, তখন প্রতিটি ভার্সন সেভ হয় এবং কেউ হঠাত লেখার বারোটা বাজিয়ে দিলেও পুরাতন যেকোনো ভার্সন ফিরিয়ে আনা যায়, ভার্সন নাম্বার ক্লিক করেই (চাইলে প্রথম ড্রাফট এবং লাস্ট দুইটা ভার্সন পর্যন্ত কোটা দিতে পারেন স্পেস সেভ করতে)। সচলে কারো লেখা "ব্যাপক পরিবর্তন" (এর যথাযথ সংগা লাগবে) করার অভিযোগ থাকলে মডুরা পুরাতন ভার্সন বা প্রথম ড্রাফট ফিক্স করতে পারেন এবং সংশ্লিষ্ট জড়িত ব্যক্তিকে কঠোর শাস্তি দিতে পারেন। নেহায়াত অপরিচিত অতিথি সচলদের জন্য এ ব্যবস্থা সম্ভব না হলেও হাফ সচলদের জন্য এ সুবিধা চালু করা যেতে পারে।

জাস্ট আমার আইডিয়া দিয়ে রাখলাম, বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা আপনারা যাচাই করে দেখতে পারেন। গুটিগুটি পায়ে সচল অনেকদুর এসেছে - আরো অনেকদুর যাবে তাই আমাদের প্রত্যাশা। ধন্যবাদ।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এক কাজ করতে পারো-- blogger.com এ নিজের ব্লগ খোল। সেখানে আগে লেখ। তারপর প্রিভিউ, পাবলিশ করে দেখেটেখে সচলে দিয়ে দাও। সচলের লেখা একই সাথে নিজের ব্লগে দেয়া যায় (অন্য কমিউনিটি ব্লগে নয় কিন্তু)। কিংবা সচলে দেয়ার ১/২ দিন পরে নিজের ব্লগেরটা পাবলিশ করলা। এতে করে সচলে যে লেখা দিলা সেটার একটা ব্যাকআপ নিজের ব্লগেও থাকলো।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

[বন্ধ অংশ]

[::মুক্ত অংশ::]
অতিথি লেখকদের লেখা নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং তাদের ভালো লেখাগুলো এখানে দেয়ার দিকে আমার আহবান থাকবে। সচলে অতিথির সংখ্যা সংখ্যা-বিচারে যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন সবচেয়ে বেশী। এই মুহূর্তেও ১৪ জন সচল আর ১৪৭ জন অতিথি আছেন (অতিথি লেখকের কথা বলছিনা)।

অতিথিদের লেখা আমি প্রায়ই পড়ার চেষ্টা করি। এমনকি হিমুর লেখা কোন পোস্ট পড়তে আমার দেরী হলেও একই সাথে প্রকাশিত একজন অতিথির লেখা আমি আগে খুলি। আর তখনই মানের ব্যাপারটা চলে আসে। লেখকের নাম দিয়ে যদি লেখা পড়তাম তাহলে তো দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতাই ভালো ছিলো। তা না করে যখন সচলের অতিথির লেখার দিকে নজর দেই তখন প্রথমেই দেখতে চাই লেখাটা আসলে কতটা যত্ন করে পোস্ট করেছেন। যত ভাল লেখকই হোননা কেন বিশাল এক প্যারাগ্রাফ লিখলে সেটা আমি কোনদিনও পড়তে পারবোনা। (দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে এমনটাও সম্প্রতি হয়েছে।)

[আবার বন্ধ অংশ]

আরিফ জেবতিক এর ছবি

মার্কা বেশি নাই তাই ভোট দিতে পারলাম না। হাসি

হিমু এর ছবি

যে টেকনিক্যাল সমস্যার কথা আপনি বলছেন, সেটি নিয়ে contact অ্যাট সচলায়তন ডট কম বরাবর একটা মেইল করলে তো সমাধান পাওয়ার কথা। আপনার সমস্যার কথা না জানালে তো সমাধান পাবেন না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

বস, আমি একদিন এরকম একটা মেজেস পেয়েছিলাম-- ২৪ ঘন্টায় দুটির বেশী লেখা দিতে পারবনা-- এ ধরনের। (মেসেজটি কোন মড়ুর কাছ থেকে ছিলো না। দুটি লেখা ড্রাফট করেছিলাম আর তৃতীয়টি শুরু করতে পারছিলাম না ঐ মেসেজের কারণে)। যতটা জানি এরকম একটা কোটা মনে হয় আছে। অন্য কেউ এরচে বেশী বরাদ্দ পাইছে নাকি?

আরিফ জেবতিক এর ছবি

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

দেখলাম এবং অস্বস্তিবোধ করলাম। তার মানে ২৪ ঘন্টার কোটা কিন্তু আসলে কাজে দিলোনা।

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

কোটার ব্যাপারটিতে বিভিন্ন রকম ফাঁক ফোকড় আছে।

১। খুব রেস্ট্রিক্টিভ কোটা করা যায়। যেমন ছয় ঘন্টায় একটা। কিন্তু অনেকে একদিন সময় করে বসেন, দুই তিনটা লেখা লেখেন, একটা হয়ত ড্রাফট করেন, একটা প্রকাশ করেন। ছয় ঘন্টার কোটা করলে তিনি একটা লেখা লিখে প্রকাশ করলেই খেল খতম।

২। খুব রিল্যাক্সড কোটা করা যায়। যেমন চব্বিশ ঘন্টায় পাঁচটা। তাহলে ছড়ায় ছিটায় ব্যবহার করতে পারবে লেখক। ড্রাফট করতে পারবে দুটা, লেখা প্রকাশ করতে পারবে দুটা।

৩। অথবা বর্তমান সিস্টেম - চব্বিশ ঘন্টায় তিনটা। দুটা লেখা প্রকাশের জন্য একটা ড্রাফটের জন্য।

কিন্ত সমস্যা হল যখন এবিউজ হয়। আমরা এখন অনেক নমনীয়তা দেখাই। কিন্তু আসল শক্ত হাতে এগুলো নিয়ন্ত্রন করতে হবে।

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

মূলত পাঠক এর ছবি

কোটা যা আছে তাই রেখেই পোস্ট হওয়ার জন্য জমা দেওয়া লেখা ও ড্রাফটকে আলাদা ভাবে ট্রিট করা যায় কি? তাহলে কেউ একদিন বসে দশটা বিশটা খসড়া করতে পারবেন, পোস্ট হবে সর্বাধিক ঐ দুখানাই। এ পথে কি কোনো টেকনিক্যাল বাধা আছে?

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

মান উঠতির দিকে না পড়তির দিকে তা যাচাই করার যোগ্যতা বা অভিজ্ঞতা আমার নেই, সচল পাড়ায় আমার বিচরণ সামান্য কদিনের, তবে রেনেট-এর মন্তব্যে পূর্ণ সহমত জানাই। আমার মতে অল্প কিছু বাদে বাকি সব মোটামুটি ভালই চলছে - আরো একটু ভালো তো সব সময় আশা করি - ভালবাসা থেকেই অযাচিত ভাবে করি, অতিথি হয়েও। টেকনিক্যাল বা রিসোর্সগত কারণে হয়তো ইউটোপিয়ান সচল সম্ভব না, তা বুঝি, তাও স্বপ্ন দেখতেই থাকি।

কমেন্টের রেস্ট্রিকটেড অংশ:

আরিফ জেবতিক এর ছবি

রেস্ট্রিকটেড জবাব :
সচলায়তন যখন তৈরী করা হয় তখন একটা স্বপ্ন ছিল সাইটটিকে ঘিরে। এখানে প্রয়োজনে কম লেখা হোক , কিন্তু ভালো লেখা হোক ;এটাই ছিল প্রত্যাশা। এর কারনে সচলায়তনের সদস্য ভুক্তিতে কিছুটা সতর্কতার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল, এই সতর্কতার জন্য সচলের বাইরে অনেক সমালোচনা ও ব্যক্তি আক্রমন অগ্রাহ্য করেই নিয়মটি মেনে চলা হয়েছে এই প্রত্যাশায় যে এখানে যারা লিখবেন তারা ভালো মানের লিখাই লিখতে চেষ্টা করবেন।

আমি যখন একটি নতুন সাইটে গিয়ে দেখব সেখানে ভালো লেখা প্রত্যাশা করা হয় , তখন আমি একটু ভালো মানের লেখা দিয়েই সেখানে প্রবেশ করতে চাইব।
আমার কাছে মনে হয়েছে ইদানীং এই বিষয়টিকে কিছুটা হালকা করে নেয়া হয়েছে। এই " মনে হওয়ার" বিষয়ে আমি তথ্য প্রমান হাজির করতে পারব না , কিন্তু পাঠক হিসেবে এটাই আমার পর্যবেক্ষন। মনে রাখতে হবে যে শেষ বিচারে এটি ব্লগ সাইট নয় , লেখক কমিউনিটি ; সুতরাং বলার কিছু না থাকলে চুপ করে থাকা শ্রেয়. এই ধরনের লাইনে বিষয়টাকে দেখি আমি । কীবোর্ড চাপলেই সব লেখা লেখা নয়, এটা আমি বিশ্বাস করি। যেহেতু সচল হওয়ার পরে একজনের লেখা সরাসরিই প্রকাশ হয়ে যায় , তাই সেখানে হস্তক্ষেপ করাটা সম্ভব নাও হতে পারে, কিন্তু যেসব লেখা মডারেশন পেরিয়ে আসে সেগুলো যাতে আরো ভালো লেখা হয় সেদিকটায় নজর দেয়া যেতে পারে।
এটাই আমার কথা।

রেনেট এর ছবি

(আমার বক্তব্যে দ্বিমত থাকতেই পারে...যুক্তি দিয়ে আমাকে ভুল প্রমাণ করলে সানন্দেই তা মেনে নিব)
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

সহমত জানাচ্ছি।
--------------------------------------------------------

--------------------------------------------------------

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

১.
এইখানে আমি ভোট দেওয়ার মতো অপসন পাইলাম না, তাই মন্তব্যের ঘাড়ে চাপতে হইলো।

২.
লেখার মান বলতে কী বুঝাইতেছেন? আমি বুঝি নাই। লেখার মান বলতে আমি বুঝি ভালো লেখা। যার বাক্যগুলো সুন্দর, সুন্দর তার গঠনশৈলী, ঝরঝরে, পড়তে আরাম লাগে, ভালো লাগে।
সেটা যে কোনো ধরনের লেখাই হইতে পারে। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, অনুবাদ, সমাজ দেশ রাজনীতি বিষয়ক প্রবন্ধ, আত্মকাহিনী থেকে শুরু করে সবকিছু। এমনকি ছবির একটা ভালো ক্যাপসনও মান বিচারে অনেক ভালো লেখা হতে পারে। আড্ডা বিষয়ক লেখাও সুলিখিত এবং মান সম্পন্ন হতে পারে।
যে ভালো লেখে সে সব বিষয়েই ভালো লেখতে পারে, চটিবই লিখলেও সেটা সুখপাঠ্য হবে। আর যে খারাপ লেখে সে সবখানেই খারাপ লেখে। সে যতোই জ্ঞানের কথা লেখুক, সেটা খারাপই হবে।

মানের বিচারে যদি বলেন, তাইলে আমি অবশ্যই বলবো সচলের লেখার মান অনেক উন্নত। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর মতো পোস্টও কতো সুলিখিত হতে পারে তা দেখা যেতে পারে।

৩.
ফটোব্লগ নিয়া কথা উঠতেছে দেখে চরম অবাক হইছি। লেখায় যতোটা ক্রিয়েটিভিটি দরকার, ফটো তোলায় তারচেয়ে কম কিছু দরকার এইটা ভাবা ঠিক না। উপরন্তু সঙ্গে লাগে বিরাট বিরাট যন্ত্রপাতি।
একটা ভালো ছবি হাজারটা ভালো লেখার চেয়ে বেশি শক্তিশালী। একটা সুন্দর জায়গার বর্ণনা আপনি ইনায়ে বিনায়ে লাখ শব্দে লিখেও হয়তো বোঝাতে পারবেন না। কিন্তু একটা ছবিই পারে পুরোটা বুঝিয়ে দিতে।
আবার এটাও মানি যে হাজারটা ছবি দিয়েও হয়তো একটা অনুভূতি বোঝানো যায় না, যেমনটা বোঝানো যায় একটা মাত্র বাক্যে।
তো আমি দুইটার কোনোটারেই ছাড়তে আগ্রহী না। ফটোব্লগ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্লগ। একটা কথা মাথায় রাখা উচিত, একজন লেখককে লিখতে নিষেধ করলে যতোটা কষ্ট তিনি পান, একজন ফটোগ্রাফারকে ছবি তুলতে না দিলে তাচেয়ে কম কষ্ট তিনি পাবেন, এটা ভাবাটা অন্যায়, আপত্তিকর, এবং অশ্লীল।

তাইলে তার আগে বলে দেন যে ব্লগ শুধু টেক্সট-এর, এখানে ছবি থাকবে না, গান থাকবে না, ইউটিউব থাকবে না।

(অথচ হায়, আমরা পত্রিকার লেখার বাইরে খাড়ায়ে ব্লগরে নিয়া গর্ব করি এই কারনেই যে এটা বহুমাত্রিক। টেক্সট, ছবি, অডিও, ভিডিও নিয়ে একটা পূর্ণাঙ্গ রূপ)

৪.
কথা উঠছে দেখলাম ভ্রমণ ব্লগ নিয়াও। ভ্রমণ সাহিত্য তো সবসময়ই ক্লাসিক সাহিত্য। আব্দুল্লাহ আবু সায়্যীদের বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র প্রকাশনা শুরুই করছিলো ভ্রমণ সাহিত্য ছেপে। কোনো গল্প উপন্যাস বা কবিতা ছেপে নয়।

৫.
আত্মজীবনী টাইপ লেখা নিয়েও দেখলাম আপত্তি। এখানে সবার আগে আমি ব্যক্তিগত পছন্দটার কথা বলে নেই। আমার বেশি আগ্রহ মানুষদের (বড়, বিখ্যাত, ছোট, অখ্যাত) জানতে। তাদের জীবনী বা সাক্ষাৎকার পড়তে। ধরা যাক আজকে মার্কেজ আত্মজীবনী লিখলো, সেইটারে নিম্নমান বলতাম?
সচলে যারা লেখে, তাদের মানেই তাদের আত্মজীবনী। আমি তো মনে করি তীরুদার আত্মজীবনী একটা ক্লাসিক। এইটারে ফেলায়ে দিবেন?

৬.
তাহলে সমস্যাটা কই? আমি সব মিলায়ে যেটুকু বুঝছি, তা হইলো এখানে মান বিচার না, বিষয় বিচারের কথা বলা হচ্ছে। নীড়পাতায় যে বিশটা (সংখ্যা ঠিক কইলাম তো?) পোস্ট থাকে, তার মধ্যে ক্যাটাগরিগুলো নিয়ন্ত্রণ করা। অনেকের অভিযোগ সচলায়তনে জন্মদিন, আড্ডা, ভ্রমণ, ফটোব্লগ এসব বেশি আসছে। এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
তার মানে তো এখানে লেখার মান বিচার না, একেবারেই ধরে ধরে বের করে দেওয়া যে ভাই এইসব বিষয় নিয়ে লেখা যাবে না। সচলায়তনে শুধু দেশ সমাজ রাজনীতি এসব নিয়ে চিন্তাশীল ব্লগ থাকবে।
এই যদি হয় তাহলে প্রথম অনুরোধ এই জরিপের বিষয়টাই আগে পরিবর্তন করা উচিত। লেখার মান না বিষয়ের মান কোনটা জানতে চান সেইটা আগে ঠিক কইরা বলেন।

৭.
বক্তব্যে আমার দ্বিমত ছিলো না। আমি নিজেও মনে করি সচলায়তনে এখন রাজনীতি বা এসব বিষয়ে ব্লগ লেখা হচ্ছে কম। কিন্তু তার দায় কার? আপনিই লিখুন না দেশ নিয়ে সমাজ নিয়ে। আপনি নিজে কম লিখে অন্য লেখকদেরকেও (যিনি অন্য বিষয় নিয়ে লিখে থাকেন) কম লিখতে বলছেন এইটা কোন বিচার? সহাবস্থানটাই জরুরী এখানে। ভালো লেখা নিজ নিজ যোগ্যতাতেই টিকে থাকবে।

৮.
এখন যদি "অ"মানসম্মত সচলেরা (আপনাদের বিচারে) জোট বেঁধে বলে যে "সচলে আজাইরা সব ভারী ভারী লেখা আসতেছে, এইসবের বেইল নাই..."
তাইলে কী হবে? (আপনাদের মতে) অমানসম্মত লেখকরা কিন্তু মানসম্মত লেখকদের হেয় করছেন না, সম্মান জানাচ্ছেন। কিন্তু মানসম্মত লেখকরা অমানসম্মত লেখকদের স্পষ্টভাবেই হেয় করেছেন এবং করছেন। এমনকি লেখা কমানো বা কোটামাপে লেখার কথাও বলছেন।
আমার মতে এটা অন্যায়। অথবা সচলাধিকার লঙ্ঘন

৯.
আরো একটা কথা উঠেছে দেখলাম, পুরনোরা কম লিখছেন, পুরনো অনেকেই চলে গেছেন, এজন্যই আজকে সচলের এই দশা।
পুরনো সচলদের প্রতি যথাযথ সম্মান আর শ্রদ্ধা রেখেই বলছি। অবশ্যই তাঁরা অনেক ভালো ভালো লেখা রেখে গেছেন সচলের পাতায় পাতায়। আমরা এখনো সেসব পড়ে পড়ে মুগ্ধ হই।
কিন্তু তাই বলে নতুন যারা এখন সচল হচ্ছেন এবং লিখছেন, তাদেরকে হেয় করার অধিকার আমার কতটুকু? নতুনদের অনেকেই অনেক ভালো লিখছেন (ইচ্ছে করেই উদাহরণ দিলাম না) । অনেক পুরনোর চেয়ে অনেক বেশি মানের এবং শক্তির এবং ভালো লেখা লিখছেন। তারপরও কেন আমরা অতীতের দিকেই তাকিয়ে রবো?
এটা কি আমাদের সেই মানসিকতাই? যে মানসিকতা দিয়ে আমরা সবসময়ই নতুন প্রজন্মকে অবজ্ঞা করে আসি এবং আসছি? যদি তাই হয়, তাহলে ব্যাপারটা খুবই দুঃখজনক।

১০.
আসেন একটা দৈনিক পত্রিকা ধরে আলাপ করি। ধরা যাক প্রথম আলো। এই পত্রিকায় একটা বিভাগ আছে, সম্পাদকীয় বিভাগ। সেখানে অনেক জ্ঞানের জ্ঞানের কথা লেখা হয়, আবার আছে গণিতের ইশকুল, যেখানে তারচে বেশি না-বুঝ কথা লেখা হয়।
আবার আছে খেলাধুলা পাতা, যেখানে উৎপল শুভ্র সাহিত্যচর্চা করেন। আছে বিনোদন পাতা, যেখানে নায়ক নায়িকার ছবি ছাপা হয়। আবার আছে নকশা, যেখানে পোশাক, রান্না আর ভ্রমণের কথা আলাপসালাপ হয়।

এইবার চলেন আমরা এর মান বিচার করি। সাম্প্রতিক খোঁজ খবর কম। তবে যতদূর জানি সবচেয়ে জনপ্রিয় নকশা। মঙ্গলবারে এই নকশার কারণে সার্কুলেশন বেড়ে যায় প্রথম আলোর। খেলার বা বিনোদনের পাতা সবাই যতোটা আগ্রহ নিয়া পড়ে, তার সিকিভাগও পড়ে না সম্পাদকীয় পাতা বা গণিতের ইশকুল জাতিয় পাতা।

এখন কী হবে? মান বিচার করেন, কোনটা মানে সেরা? কোন অর্থে?
ধরে নিলাম সম্পাদকীয় বা গণিতের ইশকুল মান বিচারে সেরা। বিনোদন বা নকশা এগুলা ফালতু। এখন কী হবে? এগুলা ফেলে দিতে হবে? দিবেন?

এটাই জগতের নিয়ম। এই মেনেই চলা উচিত, লেখা উচিত। আমি অন্তত তাই মনে করি।

সর্বশেষ:
আমার কাছে এই জরিপ এবং জরিপ পূর্ব হালকা গুঞ্জরণগুলোকে অপমানকর মনে হয়েছে। আপত্তিকর মনে হয়েছে। এবং জরিপটাকে মনে হয়েছে বিভ্রান্তিকর। সেটাই জানিয়ে গেলাম। ভুল হলে ধরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

নজুর মন্তব্যে উত্তম জাঝা!

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

অনিকেত এর ছবি

@ নজু ভাই চলুক

হিমু এর ছবি

কথা উঠছে দেখলাম ভ্রমণ ব্লগ নিয়াও।

আত্মজীবনী টাইপ লেখা নিয়েও দেখলাম আপত্তি।

কথাগুলি কই উঠেছে নজরুল ভাই? এই পোস্টে তো দেখলাম না হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আমার ভুল হইতে পারে, কিন্তু কিছুদিন ধরে এসব কথা পড়ে আসছি। বিভিন্ন পোস্টে এবং মন্তব্যে। সেখানেই হয়তো কোথাও থেকে ঢুকে গেছে। আবার আমার স্মরণশক্তির ঝামেলাও হতে পারে। এখন রেফারেন্স চাইলে মনে করতে পারবো না। এই দুটো ক্যাটাগরি বাদ দিতে পারি সেক্ষেত্রে।

কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে ক্যাটাগরিকে দুই ভাগে ভাগ করা হচ্ছে। একটা ভাগে থাকবে ব্যক্তিগত কথাবার্তা, আরেকটা ভাগে থাকবে দেশ রাজনীতি সমাজ এসব নিয়ে কথা বার্তা। এই লাইন আমাকে কেউ টেনে দেয়নি। কিন্তু নানাবিধ আলোচনায় মনে হয়েছে। (আমার মনে হওয়াটা যদি ভুল হয়, তাহলে আমিই খুব খুশি হবো)
আমি ভ্রমণ আত্মজীবনী এগুলোকে ব্যক্তিগত কথাবার্তার মধ্যে ফেলেছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার পর্যবেক্ষণ নিম্নরূপ :

১.
মান কমে যাওয়ার ব্যাপারে ধূগো সাথে খানিকটা একমত। আগে যারা লিখতেন, তাদের অনেকেরই লেখালেখির অভ্যাসটা আগে থেকেই ছিলো বলে মনে হয়। তার উপর তারা ভালোবাসা দিয়ে লিখতেন। এখন সেই সময়কার ব্লগাররা নানা কারণে বোধহয় ব্যস্ত জীবন কাটাচ্ছেন। তাদের অনুপস্থিতিও বেশ অনুভূত হচ্ছে।

২.
সচলে লিখছেন সচল এবং অতিথি সকলে। আকর্ষণীয় লেখা তো সবাই লিখতে পারে না, অনেক সময় গতানুগতিক ব্লগই লেখা হয়ে থাকে। দৈনন্দিন ব্লগও হতে পারে আকর্ষণীয়, নিদেন পক্ষে যা-তা না হলেই হলো। লেখার ব্যাপারে যত্নবান হওয়ার প্রয়োজন তো রয়েছেই। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে পুরনো লেখকরা কম লিখছেন বলেই এমনটি প্রকট হয়ে দেখা দিচ্ছে।

৩.

অতিথি লেখকদের লেখা স্বাভাবিক ভাবেই একটু কম পাঠককে আকর্ষণ করে। একজন নতুনের পক্ষে প্রথম লেখাতেই বাজিমাত করা আসলেই কঠিন। সে বিচারে অনেক অতিথির "হয়তো ভালো লেখা" আসলে অনেকেই খুলেও দেখছেন না।

৪.
ছবি ব্লগ প্রসঙ্গে আমার ব্যক্তিগত মত হলো একটু রয়ে সয়ে দেয়া ভালো। একই সচল বা অতিথির কাছ থেকে একই ধরনের ছবি ব্লগ অনেক সময় একঘেয়ে লাগতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ছবি ব্লগ কোনভাবেই কোন ব্লগের মানউন্নয়নের নিয়ামক হয়না (আমার ধারণা)। বরং কোন ছবিব্ল যদি সুবিধার না হয় সেটা মান-অবনয়নে ভূমিকা রাখে।

৫.
সচলের দুই-তিন বছরের উপাত্ত নিয়ে যদি দেখা যায় সব সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর মাসে এরকমই অবস্থা তাহলে হয়তো ভাবনার কিছু নেই। আমার ধারণা সচলে যেহেতু প্রবাসী ব্লগাররা একটা বিরাট অংশ, এবং যাদের একটা বড় অংশই লেখাপড়ার সাথে জড়িত, তাই সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর মাস তাদের জন্য একটা চাপের মাস। সেকারণে বোধহয় লেখালেখি কমে গিয়েছে।

সব কিছুরই একটা চক্র থাকে। সচল হয়তো সেই চক্রের কোন একটি অংশ অতিক্রম করছে।

৬.
লেখার মান উন্নয়ন বিষয়ে রূপকার্থে যা বলতে চাই তা হলো: ১ কেজি দুধের মধ্যে যদি পানি না দেই তাহলে দুধ ১ কেজিই থাকবে। আর ১০০ গ্রাম পানি দিলে দুধ ১ কেজিই থাকবে, কিন্তু তার স্বাদ কমে যাবে।

অতএব মান উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে, সচল-অতিথি -মডু, সবারই।

তুলিরেখা এর ছবি

এক বছরের উপর হলো এখানে লিখি, প্রথমে বহুদিন হাফ-সচল ছিলাম, তারপরে একসময়ে সচল হয়ে হাঁফ ছাড়লাম কারণ ভুলচুক হলে এডিট করে ফেলা যায় কেবল সচল হলেই। আগে যে কি একটা কষ্ট হতো, দেখে টেখে দিলেও কিছু কিছু বানান ভুল থেকে যেত আর চোখে কড়কড় করে লাগতো।

এক প্রায় বৈচিত্রহীন পৌন:পুনিক জগত(সেখানে ঘুরে ঘুরে একই ধরনের বিতর্ক আর আলোচনা হতো, লগে লগে হয় হয় করে মাথা নাড়া গুলো পর্যন্ত একরকম ছিলো সেখানে ) থেকে সচলে এসে একসময় নি:শ্বাস ফেলে বেঁচেছিলাম, কারণ লেখার সংখ্যা আর বৈচিত্র্য! কত ভিন্ন ভিন্ন পেশার মানুষজন! তাদের দুনিয়া দেখার ভঙ্গী কত আলাদা! কেউ কোনো সুদূর অঞ্চলে ভ্রমণের অদ্ভুত সুন্দর বর্ণনা দেন, কেউ মজার লেখাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তুলনা নেই, কেউ অসাধারণ ছড়া লেখেন, কেউ এমন ভালো প্রবন্ধ লেখেন যে শুরু করলে শেষ না করে উপায় থাকে না, কেউ আশ্চর্য ফোটো তুলে এনে দেন, কেউ গভীর অনুভবের কবিতা লেখেন, কেউ তির্যক লেখা লেখেন, কেউ একটা নতুন বই পড়ে খুব চমৎকার করে পাঠের অনুভবটুকু পৌছে দেন, কেউ অপূর্ব সিনেমা রিভিউ এমন করে লেখেন যে সিনেমাটিনেমা নিয়ে বেশী মাথা না ঘামালেও মনে হয় আরে, এই সিনেমাটা দেখে নিলে হয় তো! মাঝে মাঝে এত লেখা আসে যে কোন্‌টা ছেড়ে কোন্‌টা দেখবো বুঝতে পারি না, লেখার বন্যায় চাপা পড়ে যাই, এমন বন্যায় ডুবেও সুখ। দিনের শেষে মনে হয় আর যাই হোক কখনো একঘেয়েমি আসবে না।

কিছু কিছু খারাপ লাগা যে ঘটে নি তা না, কিন্তু তুলনায় গেলে ভালো লাগার কাছে সেসব কয়েক মুঠো ধূলোকাদা, বন্যার এক তোড়েই কোথায় মিলিয়ে যায় খুঁজে পাওয়া যায় না।

বৈচিত্র আর মানুষের নিজস্বতা- এই দুখানা র জন্যই সচলে ফিরে ফিরে আসবো, যদি নাও লিখি, পড়তে আসবো ঠিকই। আমার বিশ্বাস কোনোদিনই ঠকবো না।

সচলায়তনকে শুভেচ্ছা।
-----------------------------------------------
কোন্‌ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মান নিয়ে কথা বললে আসলে একটা প্রশ্ন সামনে আসে, মাপকাঠিটা কী?

যদি সচলায়তনের প্রথম দিককার কথা বাদ দিয়ে এর পরের সময়টা স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয় তাহলে একটু দ্বিধা থেকে যায়। তখন সচলে যারা নিয়মিত লিখেন, তারা সংখ্যায় ছিলেন স্বল্প। স্বভাবতঃই তাদের সেরা লেখাটা তাঁরা সচলে দিতেন, এখনও দেন। কিন্তু সেই সংখ্যাটাকে অনেক আগেই নতুন একটা সংখ্যা অতিক্রম করেছে, এবং এটা ক্রমশঃ। লেখার বৈচিত্র বেড়েছে, বেড়েছে সচলে লেখিয়েদেরও বৈচিত্র। সচলে প্রতিদিন লেখার সংখ্যা বেড়েছে। এতে করে আগের সেই সময়ের কম্প্যাক্ট ভাবটা আর নেই সচলায়তনে। কিছুটা ফ্ল্যাক্সিবিলিটি এসেছে লেখায়, এটাকে আসলে লঘুমান সম্পন্ন বলা ঠিক হবে কিনা বুঝে উঠতে পারছি না। আমি যেভাবে দেখছি তা হলো, লেখার একটা জোয়ার এসেছে সচলায়তনে। এই জোয়ারে তুলনামূলকভাবে একটি লেখার সঙ্গে অন্য একটি লেখার মানের তারতম্য থাকতেই পারে, তাই বলে সচলে গড়ে লেখার মান পড়ে গেছে, এটা বোধহয় ঠিক না।

তবে হ্যাঁ, অতিথি লেখকেরা বোধহয় আরেকটু মনোযোগ দাবী করতে পারেন লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক