সচলে লেখার মান নিয়ে পাঠকমনে প্রশ্ন

সম্প্রতি সচলে লেখার মান নিয়ে কিছু সচল ও পাঠকদের মুখে হালকা গুঞ্জরণ শোনা যাচ্ছে। সচল সদস্য ও অতিথিদের মনোভাব স্পষ্ট করে জানতে তাই এ জরিপের অবতারণা। জরিপের ফলাফল সবার কাছে একটি মেসেজ পৌঁছে দেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

সচলে লেখার মানের ব্যাপারে আপনাদের মতামত ও পরামর্শ নিচের চারটি অপশন থেকে বেছে নিন।

সহযোগিতার জন্যে ধন্যবাদ। সচল থাকুন, সচল রাখুন।

Choices

দুঃখিত, এই পোস্টে আপনার ভোট গৃহীত হবে না।

মন্তব্য

জুয়েল বিন জহির এর ছবি

ভোটাধিকার নাই!!! তাই মন্তব্য নিশ্প্রয়োজন। হা... হা... হা...

হিমু এর ছবি

ভোটাধিকার আছে!!! কিন্তু ভোটগ্রহণ শ্যাষ!!!! দেরিতে আসছেন!!!!! হা ... হা ... হা ...



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

কুঙ্গ থাঙ এর ছবি

ভয় পাইসি। নিজের লেখা বাদে অন্য কারো লেখার মান নিয়া বিন্দুমাত্র সংশয় নাই।

যুধিষ্ঠির এর ছবি

আমিও এইবেলা দুপয়সা দিয়ে যাই:

এক-
জন্মদিনের পোস্ট শুধু জন্মদিনের পোস্ট বলে সাইডবারে যাবে এটা ভালো লাগলো না। বুঝলাম জনসংখ্যা বাড়ছে। বুঝলাম তাত্বিকভাবে একসময় নীড়পাতায় বিশটি জন্মদিনের পোস্ট দেখার সম্ভাবনা আছে। তাহলে অন্য ক্যাটাগরীগুলোর কি হবে? ধরা যাক ভবিষ্যতে সচলে কবির সংখ্যা বেড়ে গেলো - বা সচলরা বেশি বেশি কবিতা লিখতে থাকলেন। নিয়মিতভাবে সচলের নীড়পাতায় সতেরোটি কবিতা দেখা যেতে লাগলো। সেক্ষেত্রে কবিতাও সাইডবারে যাবে? ব্লগরব্লগর ক্যাটেগরীর লেখাই তো এখন বোধহয় সবচেয়ে বেশি আসে। সেটাও কি তাহলে শুধু সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে এই যুক্তিতে সাইডবারে যাওয়া উচিৎ না? একই কথা ছবিব্লগের ক্ষেত্রেও। পোস্টের মানের বিষয়ে কথা উঠলে সব পোস্টেরই মান বাড়ানোর বা মান নিয়ন্ত্রণের কথা বলা যায়, শুধু জন্মদিনের পোস্টের ওপরে হামলা হবে কেনো? আমি যদি চমৎকার সাহিত্যমানসম্পন্ন একটা পোস্ট লিখি আমার বন্ধুকে নিয়ে, শুধু শেষ লাইনে শুভ জন্মদিন বলে পোস্ট শেষ করি - সেটি কেন সাইডবারে যাবে আমি বুঝতে পারি না। ব্যাক্তিগতভাবে আমি দেখেছি যে আমার মিথস্ক্রিয়া উন্নয়নের ক্ষেত্রে (যদি উন্নতি কিছু হয়ে থাকে) জন্মদিনের পোস্ট, ক্রিকেট খেলার সময়কার লাইভ আড্ডাজাতীয় পোস্ট বেশ কাজে দিয়েছে, এগুলো আমাকে সচলদেরকে চিনতে বা আমার নিজেকে ব্যক্ত করতে অনেক সাহায্য করেছে। এগুলো দিয়ে সচলের মানহানি হয় বলে বিশ্বাস করি না। তবে হ্যাঁ, জন্মদিনের পোস্ট শুধু নয়, সাধারণভাবে যে কোন পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে একটা মান বজায় রাখার জন্য সচলদের সচেতনতা আশা করা যেতেই পারে, সেটিই আলোচনার মুখ্য বিষয় হওয়া উচিৎ।

দুই-
সচলে লেখার বা লেখকের মান নিয়ে আমি একটা মিক্সড মেসেজ পেয়েছি বলে মনে হয়েছে। এটা যেমন শুনেছি যে সচল মূলত: একটা অনলাইন লেখকদের কমিউনিটি, আবার এটাও শুনেছি যে এখানে মিথস্ক্রিয়াটাই আসল। তাহলে কি এদের কোন একটা বেশি পছন্দনীয় আমাদের কাছে? আমি বলতে চাচ্ছি, এ দুটো জিনিস কি এক্সক্লুসিভ ভাবে দেখা হচ্ছে? নীতিমালায় কিন্তু "লেখা সেইরকম মানসম্পন্ন হতে হবে" এমন কিছু সঙ্গত কারণেই লেখা নেই। নীচের মেট্রিক্সটা দেখুন।

auto

১ আর ৯ নম্বর বাক্সগুলো নিয়ে আমাদের কারো কোন দ্বিমত থাকার কথা না। ১ নম্বর বাক্স, যিনি লেখেনও দারুণ ভালো আবার যাঁর মিথস্ক্রিয়াও সেইরকম, তারা তো নিশ্চয়ই সচলে আকাঙ্খিত। লেখার মান বলতে কি বোঝায় সে বিতর্কে না গিয়েও বলা যায়, অন্য যে কোন জায়গার মত, এই সংখ্যাটা সচলেও কম - এবং সেটাই স্বাভাবিক। ঠিক উল্টোটা, ৯ নম্বরে যারা থাকবেন তারা কখনো সচলত্ব পাবেন না, এটা নিয়েও কোন দ্বিমত নেই। এখন কথা হলো, যদি এটা মূলত: অনলাইন লেখকদের কমিউনিটিই হয়, তাহলে তো ৭ নম্বর বাক্সের লোকদের এখানে স্বাগত জানাতে দ্বিধা থাকার কথা না - যারা লেখেন অসাধারণ, কিন্তু মিথস্ক্রিয়া শূন্যের কাছে। সেক্ষেত্রে সচল করা হোক শুধু ১,২ আর ৭ বাক্সের লোকদের দিয়ে, যারা মিথস্ক্রিয়ার মান-পরিমান নির্বিশেষে অসাধারণ লেখা দিয়ে যাবেন, বাকিরা সবাই শুধু পাঠক আর অতিথি লেখক হয়ে থাকবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে সচলায়তনকে যেখানে দেখতে চাই, সেখানে ৭, ৮ বা ৯ নম্বর বাক্সের কাউকে দেখতে চাই না। যাদের মিথস্ক্রিয়ায় উৎসাহ বা সামর্থ্য নেই, কিন্তু অসাধারণ মানের লেখক, তাদের ভারী ভারী বই আমি কিনে একা একা পড়ে নেবো আত্মউন্নয়নের জন্য - তাদের সাথে সহব্লগার হবার কোন ইচ্ছে আমার থাকবে না। কারণ, আমি সচলায়তনে প্রাথমিকভাবে মিথস্ক্রিয়াটার জন্যেই আসি।

তিন-
আমাদের সমস্যাটা হলো এখন কোন বাক্সে কে পড়বেন সেটা নির্ধারণ করা - এই বাঘের গলায়য ঘণ্টা পড়ানো আসলেই ভীষণ কঠিন কাজ। এই জিনিসটা সচলে প্রায় অনুপস্থিত। আমরা বস্তুনিষ্ঠ সমালোচনা করি না - স্বীকার করি, আমি নিজেও এই দোষে দোষী। সমালোচনাটা ঠিকমত করলে আজকে কোন মানের লেখা এখানে থাকবে সেটা নিয়ে বিতর্ক হয় না। সচলদেরকে একটা লম্বা প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে সচল হতে হয়েছে, কাজেই তারা যদি সমালোচনার দায়িত্বটা পালন করেন, তাহলে তাঁরাই ঠিক করে দিতে পারেন কোন লেখা এখানে থাকবে কি থাকবে না। জন্মদিনের পোস্ট নিয়ে কথাটা আগে উঠে যায়, কারণ এসব পোস্ট মানোত্তীর্ণ না হলেও কেউ একদমই সমালোচনা করেন না, ব্যাপারটা ব্যক্তিগত আক্রমণ হয়ে যেতে পারে ভেবে, যার জন্মদিন তিনি আঘাত পেতে পারেন ভেবে। সমালোচনা করতে গিয়েও আমরা সীমা লঙ্ঘন করে ফেলি, তাতে যারা সমালোচনা করতে চান বা সমালোচিত হতে চান, তারাও উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। আমি দেখেছি যে কয়েকজন স্বীকৃত "ভালো" লেখক এখানে আছেন যাদের সমালোচনা সবাই ভালভাবে গ্রহন করেন। আমি দেখেছি একই ধরনের সমালোচনা দুজন ভিন্ন ভিন্ন সচলের কাছ থেকে পেয়ে লেখক দুরকম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তো এই ভালো লেখক আর গ্রহনযোগ্য সমালোচক যাঁরা, তারা এই সমালোচনার ধারাটা নিয়ম করে শুরু করতে পারেন। তাতে করে অন্যরাও উৎসাহিত হবেন সমালোচনা করতে। সমালোচনা ঠিকমত চললে কোন মানের লেখা এখানে আসবে, আর কারা কখন সচল হবেন সেটা নিয়ে আলাদা পোস্ট দিয়ে আমাদের সময় নষ্ট করতে হবে না। আমি বুঝি, সমালোচনা করাটা কঠিন, বা কখনো অসম্ভবও। আমাকে সেটা শুরু করতে বললে আমিই ভয় পাবো। কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের সমস্যা ওটাই। জন্মদিনের পোস্ট নীড়পাতায় থাকবে কি থাকবে না, সেটা নয়।

স্বাধীন এর ছবি

সুন্দর মন্তব্য এবং মেট্রিক্স।

খেকশিয়াল এর ছবি

চলুক

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অবাঞ্ছিত এর ছবি

চলুক চলুক চলুক

অসাধারণ পোস্ট। ধন্যবাদ। এটাই জানতে চাচ্ছিলাম।
__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

অনিকেত এর ছবি

@যুধিষ্ঠির দা'

মন্তব্যে-- চলুক
চার্টে --- চলুক চলুক

হিমু এর ছবি
ছায়ামূর্তি [অতিথি] এর ছবি

সমালোচনা ঠিকমত চললে কোন মানের লেখা এখানে আসবে, আর কারা কখন সচল হবেন সেটা নিয়ে আলাদা পোস্ট দিয়ে আমাদের সময় নষ্ট করতে হবে না। আমি বুঝি, সমালোচনা করাটা কঠিন, বা কখনো অসম্ভবও। আমাকে সেটা শুরু করতে বললে আমিই ভয় পাবো। কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের সমস্যা ওটাই। জন্মদিনের পোস্ট নীড়পাতায় থাকবে কি থাকবে না, সেটা নয়।

চলুক

হিমু এর ছবি

একটা রহস্যগল্পের আইডিয়া মাথায় এলো, এই পোস্টে নানা বাহাস দেখে। কিন্তু সময়াভাবে লেখা হলো না মন খারাপ



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আরিফ জেবতিক এর ছবি

চা খাইয়া আইসা তারপর নামায়ে দেন।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

অতিথি থেকে সচল হওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভবত মূল বিবেচ্য হলো সচলায়তনের মেজাজ বুঝতে পারা, এবং সেই মেজাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন এমন আস্থা রাখতে পারা।

ভালো লেখনী কিংবা সচলের প্রতি ভালোবাসার ভূমিকা আছে, তবে তার চেয়ে উপর্যুক্ত দু'টি কারণকেই বেশি চোখে পড়েছে আমার।

জন্মদিনের পোস্ট বলে কোনো লেখার প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণে বিপক্ষে, তবে সার্বিক বিচারে সকলের উচিত এধরনের পোস্টের ব্যাপারে যত্নবান হওয়া।

পুরান পাপীরা অন্তত মাসে দু'টা করে লেখা দিলেই সচল দুর্দান্ত, প্রাণবন্ত থাকতো। একটা ভালো লেখাই আরও দশটা ভালো লেখা টেনে আনে।

মেহদী হাসান খান এর ছবি

পুরান পাপীরা অন্তত মাসে দু'টা করে লেখা দিলেই সচল দুর্দান্ত, প্রাণবন্ত থাকতো। একটা ভালো লেখাই আরও দশটা ভালো লেখা টেনে আনে।

১০০% সহমত। ব্যস্ততা আছে জানি, থাকবেও, তারপরও পাঠক হিসেবে দাবিটা জানিয়ে গেলাম।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ইশতি ভাইয়ের এখন এতো সময় কই লেখা দেওয়ার ??? দেঁতো হাসি

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

ভালা কইছো দেঁতো হাসি

---------------------
আমার ফ্লিকার

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

অতিথি থেকে সচল হওয়ার ক্ষেত্রে সম্ভবত মূল বিবেচ্য হলো সচলায়তনের মেজাজ বুঝতে পারা, এবং সেই মেজাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন এমন আস্থা রাখতে পারা।

চলুক

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

হিমু এর ছবি
নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

দেঁতো হাসি

সচলায়তন নিয়ে জটিলতার কিছু নেই । ইটস ভেরি সিম্পল ।
এক ) নীতিমালা মেনে লিখতে হবে । লেখার সময় মনে রাখতে হবে সচলায়তনেঃ

সাম্প্রদায়িকতা/বর্ণবিদ্বেষেরকোনো স্থান নেই
ছাগু সাহিত্যের কোনো স্থান নেই
রাজাকার/ড়াজাকারির কোনো স্থান নেই
ব্যক্তিগত আক্রমন/গালাগালির কোনো স্থান নেই
কপিপেস্টের কোনো স্থান নেই
ফ্লাডিং এর কোনো স্থান নেই
অশ্লীলতার (চটিসাহিত্য,পর্ণ ছবি )কোনো স্থান নেই ।

দুই) অতিথি থেকে সচলত্ব মিথষ্ক্রিয়ায় নির্ণীত হবে ।মিথষ্ক্রিয়া = আড্ডাবাজি, পোস্ট, কমেন্ট, বিতর্কের ভঙ্গি ইত্যাদি । (সুত্রঃ হিমু ভাই )

তিন ) নিজেকে পারস্পরিক ভালবাসা আর সৌহার্দ্যতায় গড়ে উঠা এক বিশাল সচল পরিবারের একজন মনে করা ।

ব্যাস ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

হিমু এর ছবি

মিথষ্ক্রিয়া = আড্ডাবাজি, পোস্ট, কমেন্ট, বিতর্কের ভঙ্গি ইত্যাদি । (সুত্রঃ হিমু ভাই )

সূত্র বানানটার মতো সূত্রমতে বক্তব্যেও ভুলাছে নুরুমানিকভাই! খুউপ খিয়াল কইরা!



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

রেনেট এর ছবি

জন্মদিনের পোস্ট বলে কোনো লেখার প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণে বিপক্ষে

এই কথাটাই বলতে চাচ্ছিলাম...

-সচলের মূলভাব, মিথস্ক্রিয়া...ইত্যাদি কি হোঁচট খাবে না এ সিদ্ধান্তে?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অবাঞ্ছিত এর ছবি

লেখার মান নিয়ে সচলে কোন হতাশা না ছড়ানোই ভালো। এখন যেভাবে চলছে তা যথেষ্ট সন্তোষজনক। সবাই তো আর আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বা শাহাদুজ্জামান হবেন না বা হওয়া উচিতও নয়। যাঁরা লিখছেন তাঁরা একটু একটু করে তাঁরা-ই হয়ে উঠুন এই কামনা। হাসান মোরশেদকে যদি সুমন চৌধুরী হতে হয় বা নজরুল ইসলামকে হতে হয় মাহবুব লীলেন কিংবা ছবিয়াল মুস্তাফিজকে হতে হয় হিমু বা পলাশ দত্ত , তাহলেই সমস্যা।

চলুক

প্রচণ্ডভাবে একমত। অচল (অতিথি সচল) হিসেবে লিখতে তো আমার খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না।

তবে, লেখার "মান" বলতে কি বোঝানো হচ্ছে আমি তাই বুঝিনি। তবু ছোট মুখে দুয়েকটা বড় কথা বলি-

কি ছাপা হচ্ছে না হচ্ছে তার নিয়ন্ত্রন দরকার অবশ্যই আছে। সচলীকরণ প্রক্রিয়াটা নিয়ে আমি ঠিক নিশ্চিত না, আমি সচল হলাম নাকি হলাম না তা নিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথাও নেই, তাড়াহুড়োও নেই। নিজের লেখা শোধরাতে পারি না, আর রেটিং দিতে পারি না। এছাড়া আমি তো এমন কোনো প্রতিবন্ধকতা দেখছি না।

পূর্ণ বাকস্বাধীনতা বলে দুনিয়াতে কোথাও কিছু নেই, থাকা উচিতও নয়। প্রশ্নটা হচ্ছে কী এবং কতখানি নিয়ন্ত্রন শোভন। সেব্যাপারে নীতিমালা আছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা স্পষ্ট নয় বলে আমার মনে হয়। "মান সম্মত নয়" মন্তব্যটা অনেকটাই আপেক্ষিক ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক। আমার কাছে যা খুব ভালো লাগছে, কোনো বোদ্ধার কাছে তা খুব ভালো নাও লাগতে পারে।

বারবার তো একটা বিষয় উঠে এসেছেই, সচলায়তন হচ্ছে লেখক সমাবেশ। "চা খেয়ে আসলাম, এখন টাঙ্গাঈলের পথে রওনা হব" টাইপ পোস্ট নিরুৎসাহিত করা হয়।

এসব ক্ষেত্রে মানের ব্যাপারটা খুব স্পষ্ট। কিন্তু ধরুন যদি এমন কিছু হয় যেখানে আশা করা হচ্ছে পেশাদার "লেখক" পর্যায়ের লেখনীর অধিকারী হতে হবে সচল হতে হলে, তাহলে আমি আশা করব সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকবে সে ব্যাপারে যাতে করে আমি আগে থেকেই বুঝতে পারি আমার সাধ্যের মধ্যে পড়ে, নাকি বৃথাই গুঁতোগুঁতি করা হবে।

যেমন কোনো ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের বাছাই প্রক্রিয়ায় সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ নির্ণায়ক হচ্ছে জি.পি.এ। দুই দশমিক সাত জি.পি.এ নিয়ে MIT তে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখে তো লাভ নাই। আর সেজন্যেই ঐ প্রতিষ্ঠানটার নাম শুনেই আমরা সবাই একটু শ্রদ্ধাভরে তাকাই। যাকে তাকে নিলে তো MIT আর MIT থাকতো না। সেজন্য বাছাই প্রক্রিয়া দরকার আছে, বাছাই ক্রাইটেরিয়া সুস্পষ্ট হওয়াও দরকার আছে। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে, এখনকার প্রক্রিয়া কার্যকরী, কিন্তু অস্পষ্ট।

অস্পষ্ট এই অর্থে যে আমার ধারণা যে কোনো ব্যক্তিকে (মডারেটর নয়) কোনো অতিথির পোস্ট দেখিয়ে যদি জিজ্ঞেস করা হয় "ইনি কি অতিথি সচল / সচল হবার ক্রাইটেরিয়া পূর্ণ করেছেন?" আমার মনে হয় সেক্ষেত্রে বর্তমান কোনো নীতিমালা দেখেই স্পষ্ট নির্দিষ্ট কোনো উত্তর আন্দাজ করা যাবে না। সেক্ষেত্রেই ব্যাপারটা একটু সাবজেক্টিভ হয়ে যায়। আর মিথষ্ক্রিয়ার ব্যাপারটা তো পুরোপুরিই আপেক্ষিক।

অনেককে দেখেছি এক/দুই পোস্টেই হাচল হতে, আবার অনেককে দেখি আট-দশটা পোস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। উভয়ের পোস্টই কিন্তু প্রথম পাতায় প্রকাশিত। তাইলে মাণদণ্ডটা কি হল?

সারমর্মটা হচ্ছে সচলীকরণ প্রক্রিয়াটাকি কি কোনো সার্বজনীন (একনজরে সকলের বোধগম্য), সুস্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট নীতিমালায় আনা যায়? সুস্পষ্ট বলতে ১৫ টা পোস্ট হলেই পূর্ণ সচল - এই রকম নীতিমালা বোঝাচ্ছিনা।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমার মনে হয় কি, লেখা দিয়ে সারা ফেলার একটা ব্যাপার আছে। একজন লেখক তার নিয়মিত দুটি লেখা দিয়ে অনেকের কাছে পরিচিতি পেতে পারেন, আবার তিনিই যদি অনিয়মিতভাবে ১০টি পোস্টও দেন তাহলে হয়তো অজানাই রয়ে যেতে পারেন।

ঠিক জানিনা, হয়তো মডুরা ভালো বলতে পারবেন। তবে সবার আগে এই লিংকটা ঘুরে আসুন, ভালো জিনিস।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

জ্বি প্রথম দিকেই দেখেছি। সেকারণেই বলেছি "মানোত্তীর্ণ নয়" ও "মিথস্ক্রিয়া নেই" বলতে আমি স্পষ্ট কিছু বুঝতে পারিনি। হয়তো সেটা আমারই ব্যর্থতা।

সাড়া ফেলার ব্যাপারটা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য। তাহলে উল্লেখ করা হোক যে সাড়া ফেলতে হবে। তাহলেই কিন্তু অনেক অবান্তর প্রশ্ন আর ওঠে না। সাড়াও কিন্তু অনেকভাবে ফেলা যায়, আর সবথেকে কার্যকরী উপায় হচ্ছে বিতর্কীত কিছু লিখে। সেটা হয়তো বাঞ্ছনীয় নয়।

আমি আসলে বুঝতে পারছিনা ঠিক কিসের ভিত্তিতে যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আমি আসলে বুঝতে পারছিনা ঠিক কিসের ভিত্তিতে যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়।

সেটা তো ভাই বলতে পারবোনা, আর সবকিছু্কেই কিন্তু নিয়মের মধ্যে ফেলা যায়না। এই পোস্টের মন্তব্যগুলো পড়লে হয়তো বুঝবেন। একটু পড়ে দেখুন।

আর এত নিয়ম নিয়ম করে প্রশ্ন না করে সবাই নিয়মিত লেখলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়। নিয়মতি সচলে পড়ে থাকলেই সচল হওয়া কে ঠেকায় দেখুন না হাসি

আরে ভাই, সচলরে ভালো বাসতে হইবে। দেখুন আজ ২ বছরের বেশী সময় ধরে সচল হইছি, তাও দিনের মধ্যে ২৪ ঘন্টাই সচলে থাকি। কেন থাকি? এটা কোন নিয়মে ফেলে উত্তর দিতে পারবে কেউ? সচলে লেখে কেউ তো পয়সা পায়না, মন্তব্য করেও তো কারো সম্মান বাড়ছে বা কমছেনা। ভালোবাসি তাই থাকি, ব্যাস দেঁতো হাসি

অবাঞ্ছিত এর ছবি

নিয়মিতই সচলে পড়ে থাকি হাসি প্রতিদিনই আসি। সবসময় হয়তো লগইন করা হয় না, কিন্তু অনলাইনে থাকলে সচলায়তনেও থাকি।

সত্যিকারের পছন্দ না হলে কারো লেখায় কমেন্ট করা হয়না। হাসি তাই কমেন্টের সংখ্যাও বেশী না । হাসি

আমি কিন্তু প্রথমেই বলেছি, সচল হতে আমার কোনো তাড়াহুড়ো নেই, অচল অবস্থায় লিখতেও খুব একটা অসুবিধাও হচ্ছে না। কোনোদিন মেইল আসলে খুবই ভালো, না আসলেও কিছু করার নাই, সেজন্য কোনো রাগ পুষে রাখব না।

প্রশ্নগুলো করা কেবলই নিছক কৌতূহলে হাসি । আর বিভিন্ন অপ্রিয় প্রশ্ন উত্থাপিত হচ্ছে দেখেই।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

এটা আমার ৩৮০০-তম মন্তব্য। তাই একটা দেঁতো হাসি দিয়ে গেলাম।

অবাঞ্ছিত এর ছবি

অভিনন্দন। তবে, আমি বোধহয় আপনাকে বোঝাতে পারছি না । ৩৮০০ কমেন্ট থাকলেই কি আমিও সচল হইতাম? দেঁতো হাসি যদু মধু কদুও কি হইত?

সুনির্দিষ্ট মাণ না থাকলে যেটা হয় তা হচ্ছে "তেলানো"/ "ব্যক্তিগত সম্পর্ক" নিয়ে কটূক্তি ইত্যাদি আপত্তিকর প্রশ্ন উত্থাপনের একটা সুযোগ থাকে (গত কয়দিন ধরেই দেখেছি)। বিষয়টি আমার পছন্দ হয়নি। তাই এবিষয়টি তুললাম। একান্তই অবান্তর হলে দু:খিত।

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

__________________________
ঈশ্বর সরে দাঁড়াও।
উপাসনার অতিক্রান্ত লগ্নে
তোমার লাল স্বর্গের মেঘেরা
আজ শুকনো নীল...

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কমেন্টের বিষয়টা দিয়ে আমি নিজের আনন্দটুকু প্রকাশ করেছি মাত্র। কোন কিছু বোঝাতে চাইনি হাসি

তবে আপনার চিন্তুভাবনাটা বুঝতে পেরেছি। আপনার আশংকার বিষয়ে মড়ুরা তাদের ভাবনা ভাববেন, আমার এ নিয়ে মাথাব্যাথা নেই। বুঝতেই পারছেন, এপারে আছি তো, তাই একটু স্বার্থপর চোখ টিপি

আপনি তো অনেক গুলো পোস্ট দিয়েছেন, সেখানে আমি মন্তব্যও করেছি, তাইনা?

সমালোচনা, প্রশ্ন, এসব থাকবেই। ভালো থাকুন। আপনার ওখানেও এখন অনেক রাত, তাইনা? শুভরাত্রি।

স্বাধীন এর ছবি

কেউ যদি প্রথম পাতায় পোস্ট না দিয়ে নিজ ব্লগে কোন পোস্ট দেন, তার শিরোনাম ও লেখকনাম উল্লেখসহ 'গত চব্বিশ বা আটচল্লিশ ঘণ্টায় নিজ ব্লগে পোস্ট করা লেখাগুলো' জাতীয় শিরোনামে একটা লিঙ্ক উইজার্ড সাইডবারে ঝুলিয়ে দেয়ার জন্য। তাতে করে নীড়পাতায় লেখা দিতেই হবে এই ট্রেন্ডটা মনে হয় হ্রাস পাবে। ওখানেও নির্দিষ্ট সময়ের বার রাখা যেতে পারে, একজন সচল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কতোটা পোস্ট দিতে পারবেন। আগ্রহী পাঠক ঠিকই তখন প্রয়োজনীয় লেখাটা খুঁজে নিতে পারবেন।

সহমত।

রণদীপম বসু এর ছবি

কিছু কিছু পোস্টকে সাইডবারে নেয়ার একটা প্রস্তাব আমি কোন একটা পোস্টে করেছিলাম, যা রিয়াজ ভাই এখানে উল্লেখ করেছেন। সেজন্যে রিয়াজ ভাইকে ধন্যবাদ।
সেখানে আমি আরেকটা প্রস্তাবও করেছিলাম সচল কর্তৃপক্ষের বিবেচনা করে দেখার জন্য। প্রস্তাবটা হলো-
কেউ যদি প্রথম পাতায় পোস্ট না দিয়ে নিজ ব্লগে কোন পোস্ট দেন, তার শিরোনাম ও লেখকনাম উল্লেখসহ 'গত চব্বিশ বা আটচল্লিশ ঘণ্টায় নিজ ব্লগে পোস্ট করা লেখাগুলো' জাতীয় শিরোনামে একটা লিঙ্ক উইজার্ড সাইডবারে ঝুলিয়ে দেয়ার জন্য। তাতে করে নীড়পাতায় লেখা দিতেই হবে এই ট্রেন্ডটা মনে হয় হ্রাস পাবে। ওখানেও নির্দিষ্ট সময়ের বার রাখা যেতে পারে, একজন সচল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কতোটা পোস্ট দিতে পারবেন। আগ্রহী পাঠক ঠিকই তখন প্রয়োজনীয় লেখাটা খুঁজে নিতে পারবেন।

জন্মদিনের উইশ করার বিষয়টাকে সাইডবারে নেয়ার পক্ষপাতী আমিও। ক্রমবর্ধমান আয়তনের সচলায়তনে আগামী দিনে হয়তোবা একই দিনে বিশ জনের জন্মদিন পড়লো। তাহলে তো সচলের নীড়পাতা শেষ ! অথবা অন্য কোন পোস্ট ঢুকার সাথে সাথে কয়েক মিনিটের আয়ু পাওয়া জন্মদিনের পোস্টটা প্রথম পাতা থেকে হারিয়ে যাওয়ার চেয়ে সাইডবারে ঝুলে থাকা কি অধিকতর স্বস্তিকর নয় ? না হলে আগামীতে কারো জন্মদিনে উইশ করা পোস্ট দিতে আমি নিজেও তো সাচ্ছন্দ্য বোধ করবো না ! যিনি সাইডবারে ক্লিক করে লেখা পড়তে আগ্রহী হবেন না, তিনি মূলপাতায় থাকলেও ঐ লেখাটা পড়বেন বলে মনে হয না।

সচলায়তনকে যদি আমরা লেখক কমিউনিটি ব্লগ হিসেবে বিশ্বাস করি, তাহলে এর পাঠকও লেখক বা লেখাটা খুঁজে পড়বেন ঠিকই। আর ট্যাগ ক্লাউডের বিষয়টাও মনে হয় জরুরি। এ ব্যাপারেও আমি প্রস্তাবনা রেখেছিলাম। বিষয়ভিত্তিক লেখা সচলায়তনের বর্তমান সিস্টেমে খুঁজে পাওয়া দায়, যা সচলায়তনের সিস্টেমের একটা অপূর্ণতাই মনে করি।

লেখার মান নিয়ে সচলে কোন হতাশা না ছড়ানোই ভালো। এখন যেভাবে চলছে তা যথেষ্ট সন্তোষজনক। সবাই তো আর আখতারুজ্জামান ইলিয়াস বা শাহাদুজ্জামান হবেন না বা হওয়া উচিতও নয়। যাঁরা লিখছেন তাঁরা একটু একটু করে তাঁরা-ই হয়ে উঠুন এই কামনা। হাসান মোরশেদকে যদি সুমন চৌধুরী হতে হয় বা নজরুল ইসলামকে হতে হয় মাহবুব লীলেন কিংবা ছবিয়াল মুস্তাফিজকে হতে হয় হিমু বা পলাশ দত্ত , তাহলেই সমস্যা।

আর অতিথি ভাইদের কাছে অনুরোধ, প্লীজ, কিছুতেই কোন ক্ষোভ বা হতাশা মনে আনার দরকার নেই। একই পরিবারে আমরা সবাই। নতুন একটা কমিউনিটিতে এসে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার সময়টুকু সচল ও সুন্দরভাবে পার হতে দিন। তখন নিজেই অনুভব করবেন, সিস্টেমটা আসলেই তো মন্দ নয় ! হা হা হা ! সচলের চলমান সিস্টেমে আপৎকালীন একটা পর্যায়ে আপনারা অবস্থান করছেন মাত্র, আমিও সে পর্যায় পেরিয়ে এসেছি। যা ক্ষণস্থায়ী এবং সচল একটা পর্যায়। সচলায়তন যখন ছিলো না তখনো লিখিয়েরা লিখে গেছেন ঠিকই, এখনো সেই মতোই লিখেন। তাই সাময়িক এসব বিষয় মাথায় জ্যাম বাঁধিয়ে নিজের সৃজনশীলতাকে কেন চাপে ফেলবেন ! সচলের মডুদের নিয়েও রাগ করার কিছু নেই। আমার আড্ডাবাজ সহপাঠি বন্ধুটিকে যখন ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাশে বিচারকের পদে রসকষহীন দেখি, তখন খটকা লাগলেও অযৌক্তিক মনে হয় না। ওই পদগুলোই এমন নিরস কাঠখোট্টা যে, রসগোল্লাকেও খটখটে মোয়া বানিয়ে ফেলে। হা হা হা !

ভালো থাকুন সবাই এবং ভালো রাখুন সবাইকে। ধন্যবাদ।

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

রণদার বক্তব্যে কিছু ভিন্নমত যোগ করা যাক। হাসি

কেউ যদি প্রথম পাতায় পোস্ট না দিয়ে নিজ ব্লগে কোন পোস্ট দেন, তার শিরোনাম ও লেখকনাম উল্লেখসহ 'গত চব্বিশ বা আটচল্লিশ ঘণ্টায় নিজ ব্লগে পোস্ট করা লেখাগুলো' জাতীয় শিরোনামে একটা লিঙ্ক উইজার্ড সাইডবারে ঝুলিয়ে দেয়ার জন্য।

এটা আমার মতে প্রাইভেসীর লঙ্ঘন। আমি যে লেখাটা শেয়ার করতে চাইছি না, তাকে সামনে টেনে আনলে আমি বিব্রতও হতে পারি।

তাতে করে নীড়পাতায় লেখা দিতেই হবে এই ট্রেন্ডটা মনে হয় হ্রাস পাবে।

অন্যদিকে আমি চাই প্রতিটি লেখাই নীড়পাতায় আসুক। নীড়পাতায় বেশি পোস্ট আসা, বেশি ফ্রিকোয়েন্সিতে পোস্ট আসা কি খারাপ? আমার মতে যতো বেশি পোস্ট আসে, ততোই ভালো। পাঠকগ্রাহী পোস্টগুলো অটোমেটিক্যালি গুতোগুতির ফলে প্রথম পাতায় (মন্তব্যের মাধ্যমে লিংক) থাকবে। পাঠকের অতো পছন্দ না যেগুলো, সেগুলো হাইলাইটেড কম হবে। সুতরাং আখেরে পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় লেখার প্রতিযোগিতা বাড়বে, ভালো লেখার মোটিভেশন বাড়বে।

জন্মদিনের উইশ করার বিষয়টাকে সাইডবারে নেয়ার পক্ষপাতী আমিও।

এখানে আসলে পোস্টের ধরনের উপর জোর না দিয়ে পোস্টের মানের ওপর জোর দেয়া উচিত। জন্মদিনের পোস্টও যে ক্রিয়েটিভ হতে পারে, তার প্রমাণ আমরা অনেকবার পেয়েছি। এখন ওইগুলায় জন্মদিনের ট্যাগ থাকায় সৎ ছেলের আচরণ পাবে, এটা ঠিক না। এখানে বিবেচ্য পোস্টের মান, তা জন্মদিন নিয়ে লেখা হোক আর আপেক্ষিকতা তত্ত্ব নিয়ে লেখা হোক। একই বিষয়ের ওপর অনেকগুলো পোস্ট থাকলে সেটা বিরক্তির কারণ হতে পারে। এটা স্রেফ কমনসেন্সের ব্যাপার। সচলদের ওপর এতটুকু আস্থা না থাকলে কেমনে কি?

বিষয়ভিত্তিক লেখা সচলায়তনের বর্তমান সিস্টেমে খুঁজে পাওয়া দায়, যা সচলায়তনের সিস্টেমের একটা অপূর্ণতাই মনে করি।

কোনো ট্যাগে ক্লিক করে রিলেটেড সবগুলো পোস্ট ফিলটার করা যায়। তবে এটা আরেকটু ব্যবহারকারী-বান্ধব করা যেতে পারে।

লেখার মান নিয়ে সচলে কোন হতাশা না ছড়ানোই ভালো।

একমত।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

মাহবুব লীলেন এর ছবি

প্রতি বছর সব সচলদের ১০০ মার্কের বার্ষিক পরীক্ষা নেন
না হলে সবাইরে বলেন এক বছর হইলেই আবার অতিথিত্ব থেকে আধা সচলত্ব ঘুরে আবার সচল হইতে হইবে

আর এই দুইটা ঝামেলা হইলে যেমন আছে তেমনই থাউক

গৌতম এর ছবি

স্যরি, আরেক পয়সা যোগ করতে ভুলে গিয়েছিলাম-

স্টিকি পোস্টের ব্যাপারেও একটা নিয়ম করা দরকার। কখনও কখনও দিনের পর দিন একই স্টিকি পোস্ট সামনে থাকে, যা দেখতে একসময় আর ভালো লাগে না। এই থ্রেডেই হিমু যদিও স্টিকি পোস্টের ব্যাপারে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তারপরও আমার মনে হয়;&mdash স্টিকি পোস্ট রাখা যেতে পারে দুভাবে। কিছু কিছু স্টিকি পোস্ট তিনদিনের জন্য, আর বিশেষ গুরুত্বসম্পূর্ণ স্টিকি পোস্ট হলে সেগুলো সাত দিনের জন্য রাখা যেতে পারে। দেখার জন্য এই সময়টা যথেষ্ট বলেই মনে হয়। যারা দশ-পনের দিন পরপর আসেন, তাদের জন্য নীড়পাতায় দিনের পর দিন স্টিকি পোস্ট রাখাটা যুক্তিসঙ্গত কিনা তাও ভাবা দরকার। আর যদি এই নির্দিষ্ট সময়ের পরও রাখতে হয় তাহলে তা ডান বা বামে সাইডবারে আরও কিছুদিনের জন্য রেখে দেওয়া যেতে পারে।

×
মানিক ভাই একটা প্রশ্ন করেছেন। সেটার উত্তর মডুদের কাছ থেকে আশা করছি।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

উত্তর এখনো আসেনি দেখে contact@সচলায়তনে মেইল করেছি ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

মানিক ভাই, উত্তরতো উপরে দিয়েছে মনে হয়।

গৌতম এর ছবি

জন্মদিনের পোস্ট সাইডে সরানোর ব্যাপারে আমারও আপাত সমর্থন আছে। তবে ঠিক এভাবে নাম ধরে না রেখে প্রত্যেকটি লেখার অন্তত শিরোনামটা রাখা দরকার। তাতে লেখাটার আমেজ হালকা একটু হলেও পাওয়া যাবে। এভাবে কাটখোট্টা লাগছে! (নাকি শুধু আমারই লাগছে? চিন্তিত )

×
সচলায়তন শুধু লেখার জায়গায়ই নয়, সচলদের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার ক্ষেত্রও বটে। এসব ব্যক্তিগত আবহের পোস্টগুলো সেই মিথস্ক্রিয়া অনেকটা বাড়িয়ে দেয় বা নিদেনপক্ষে সম্পর্কগুলোকে ঝালাই করে বলে আমি মনে করি। জন্মদিনের পোস্ট সাইডে সরিয়ে রাখার ফলে সেই মিথস্ক্রিয়ার জায়গাটা বাড়ছে না কমছে- সেটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। যদি দেখা যায়, মিথস্ক্রিয়া উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে, তাহলে আবার সেটি যথাস্থানে ফিরিয়ে আনাই যুক্তিযুক্ত হবে। তবে পোস্ট প্রকাশের মাত্র ছয় ঘণ্টা পরই সেটিকে সাইডবারে রাখার বদলে বারো ঘণ্টা রাখা যেতে পারে। রাত ১২টায় ঘুমাতে যাওয়ার পরপরই কেউ পোস্ট দিলে পরদিন সকালে উঠে দেখতে দেখতেই সেটি সাইডবারে চলে যাবে। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, সাইডবারের দেখার চেয়ে মূল পাতায় প্রথম কয়েক লাইনে চোখ বুলাতেও শান্তি!

×
ট্যাগ ক্লাউডের যে আলোচনাটা এসেছে, সেটি বোধহয় করা দরকার। অনেক সময়ই নির্দিষ্ট একটি বিষয় (সেটা রম্য, ভ্রমণ, শিক্ষা, অর্থনীতি যে কোনো কিছুই হতে পারে) পড়ার মুড আসে। সেক্ষেত্রে ট্যাগে থাকলে সহজেই যাওয়া যায়। তাছাড়া নির্দিষ্ট বিষয়ের লেখা খুঁজে পাওয়াটাও সুবিধা হয়।

×
আপাতত এই আমার দু'পয়সা!

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

স্বাধীন এর ছবি

তবে ঠিক এভাবে নাম ধরে না রেখে প্রত্যেকটি লেখার অন্তত শিরোনামটা রাখা দরকার। তাতে লেখাটার আমেজ হালকা একটু হলেও পাওয়া যাবে। এভাবে কাটখোট্টা লাগছে!

সহমত।

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনি আমার সব কটি পয়েন্ট বলে দিয়েছেন জন্মদিনের পোস্ট নিয়ে।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

তবে ঠিক এভাবে নাম ধরে না রেখে প্রত্যেকটি লেখার অন্তত শিরোনামটা রাখা দরকার। তাতে লেখাটার আমেজ হালকা একটু হলেও পাওয়া যাবে। এভাবে কাটখোট্টা লাগছে!
একমত।

তবে পোস্ট প্রকাশের মাত্র ছয় ঘণ্টা পরই সেটিকে সাইডবারে রাখার বদলে বারো ঘণ্টা রাখা যেতে পারে।
একমত।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

গৌতমের সাথে একমত ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

আরিফ জেবতিক এর ছবি

জন্মদিনের পোস্টকে সাইডে সরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে আমার সমর্থন আছে।
এই বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। একটা সময় ভোরের কাগজ পাঠক ফোরামে আমরা সংগঠন সংবাদ এবং জন্মদিনের লেখাগুলো আগ্রহ নিয়ে প্রকাশ করতাম , কারন এতে করে কমিউনিটির নিজেদের মাঝে যোগাযোগ বাড়ে , শুভেচ্ছা বিনিময় হয় ইত্যাদি।
কিন্তু একসময় ফোরামের সদস্য দাড়ালো ১৪ হাজার , গড়ে প্রতি সপ্তাহে ২৭০টা জন্মদিন ; এর মানে দাড়ালো সাপ্তাহিক পাতার অধিকাংশ জায়গাই জন্মদিনের খবর দিতে হবে। আবার সংগঠন ১০০ ছাড়ালো , প্রতি সপ্তাহে সবাইকে জায়গা দিতে চাইলে এক পৃষ্ঠায় কুলোয় না।

তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে আসলে পাতাটি করা হয়েছে পাঠকের লেখালেখির জন্য, বাকীগুলো মূল উদ্দেশ্য নয়। তাই সবগুলোকে ছোট করার চেষ্টা নেয়া হলো। জন্মদিনগুলোকে একসাথে সবার নাম লিখে দেয়া শুরু হলো।
এতে করে জায়গা বাঁচলো , অন্য লেখা দেয়ার সুযোগ হলো।

সচলায়তনের সদস্য সংখ্যা বেড়েছে, সুতরাং জন্মদিনের খবরগুলোকে সাইডে সরিয়ে দেয়াটা এখন সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মানে এই নয় যে যাদের জন্মদিন তাদের প্রতি বাকীদের ভালোবাসা কমে গেছে, কিন্তু ভালোবাসার জন্য একটা আলাদা স্পেস করা হয়েছে , সেটাই তো খুশীর কথা।

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

কোন কিছু নিয়ে যখন নতুন করে ভাবনা-চিন্তা করা হয়, সেটা ছোট আকারে বাস্তবায়ন করা বৈজ্ঞানিক কর্মপদ্ধতির একটা অংশ। আমি নিজেও ভেবেছিলাম জন্মদিনের পোস্টগুলো ডানে সরিয়ে দিলে মন্দ নয়। এখন সেটার বাস্তবায়ন করায় কেমন যেন লাগছে। দেখা যাক সবার মতামত কী।

জন্মদিনের পোস্ট বিষয়ক নিজের ভাবনা (কাউকে কিছু বোঝাতে চাইছিনা):
সচলে প্রায় দুই বছরের বেশী সময় ধরে আছি। এর মধ্যে আমার জন্মদিনের পোস্ট এসেছে একবার। সেবার লজ্জা-মিশ্রিত খুশী হয়েছিলাম। সে সময় সচলের ডানপাশে একটা ব্লক ছিল যেখানে আসন্ন জন্মদিন কার সেটা দেখাতো। আমার জন্মদিন নিয়ে যাতে আর কেউ ফি বছর পোস্ট দিতে উৎসাহিত না হয়, সেজন্য জন্মদিন পরিবর্তন (!) করেছি কয়েকবার। অর্থাৎ প্রোফাইলে গিয়ে আজকের দিনের আগের সপ্তাহের কোন একটা দিন বা তারও আগের একটা দিন জন্মদিন হিসেবে সেট করেছি। মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে "আসন্ন জন্মদিন" অংশে আমার নাম না আসে। বছর বছর কেউ সচলের পাতায় আমার জন্মদিন নিয়ে পোস্ট দিবে সেটা নিজের কাছে বিব্রতকর মনে করেছি। সেজন্যই এই ব্যবস্থা হাসি

[উপরেরও বলেছি, এখনো বলছি, সবার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি-- এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা। সচলে যারা জন্মদিনের পোস্ট লেখেন বা বন্ধুকে পোস্ট দিয়ে অভিনন্দন জানান, তাদের প্রতি কোন রকম অশ্রদ্ধা প্রদর্শণের কোন অভিপ্রায় নেই দেঁতো হাসি ]

অতিথি লেখক এর ছবি

--আরিফুল হোসেন

সচলের নিয়মিত পাঠক নই। সামু/আমুতেই দীর্ঘদিন ধরে ছিলাম। সচলে লেখার ইচ্ছা সবসময়েই ছিল। কিন্তু আগের দুইবারের চেষ্টায় সচল হইতে পারি নাই। অথিতি লেখক হয়ে পোস্ট দিছিলাম। প্রথম পাতায় আসছিলো দুইটাই। একটা ২০০৭ এর ডিসেম্বরে, আর একটা ২০০৯ এর মার্চে। দুইবারই নিবন্ধন করছিলাম। যদিও পরে নিবন্ধন নাম এবং ইমেইল দুইটাই খাইয়া ফেলছি। তাই আরেকটা ট্রাই দেই । আজকে আবার নিবন্ধন করলাম। অথিতি হিসেবে পোস্টও দিলাম। দেখা যাক কি হয়।

এত বড় গল্প ফাঁদার কারন আর কিছু না। সচল হবার প্রক্রীয়াটা ম্যাঙ্গো পাব্লিকের জন্যে খুবই বেদনাদায়ক। ম্যাঙ্গো পাব্লিক এমনিতেই ইনসিকিউরিটিতে ভুগে তার উপর যদি আপনারা তারে নামহীন অতিথি বানাইয়া দিয়া রাখেন সে তো হতাশ হইবই। অতিথি লেখক হিসেবে পোস্ট দেয়াও ফ্যাকরা। কারন অনেক সময়েই প্রকাশ হয় না। আমি কমু না বিশাল ভালো কিছু লিখছিলাম। তবে একেবারে অখাদ্য কিছু ছিল না যে তারে অন্যান্য প্রকাশিত লেখার তুলনায় ফালায় দিতে হইব।

যাউকগা , প্রসঙ্গ হইতেছে আমি নিজেরে যদি টেস্ট কেস হিসেবে নেই তাইলে দেখি আমি আগের দুইবারই সচল হওনের আশা ৩/৪ দিনের মাথায় বাদ দিয়া দিছি, তাইলে মনে হয় আরো অনেকের ক্ষেত্রেই এইটা ঘটছে। আমি নিজেরে অলস কইলেও সামুতে মাঝে মাঝেই বেশ পেটমোটা পোস্ট প্রসব করি, মানে লিখতে আমার ইচ্ছা আছে। সচলে লিখার ইচ্ছাটা এমনে কইরা আগেরবার গুলাতে মরছে, এইবার জানি না সচল হওনের ইচ্ছা কয়দিন বাইচা থাকব। কিন্তু হিমু ভাইরা মনে হয় সিরিয়াসলি এই সচল হওনের প্রসেস লইয়া একটু ভাবনের দরকার আছে। এটলিস্ট নিজেগো একাউন্ট দিয়া লিমিটেড সার্ভিস ধরনের কিছু চালু করা উচিত বইলাই আমি মনে করি।

লেখার মান পরতির দিকে না উঠনের দিকে সেটা নিয়া আমি বিশেষ কিছু কইবার পারুমনা। সামুতে নিয়মিত , আর ঐখানে লেখার মান ভয়াবহরকম নাইমা গেছে, এইটা কইতে পারুম। পুতু পুতু পিঠ চুলকাইন্না পোস্টে সয়লাব।

যাউকগা এইসব জিনিস হইতেছে অটোমোশনে চলার দাবী রাখে। এইরকম জরিপ না কইরা মনে হয় সচলরে নিজের ইচ্ছায় চলতে দেওনই ভালো। ন্যাচারাল ডেভেলপমেন্ট থামাইয়া দিলে ভালো কিছু হয় না।

মূলত পাঠক এর ছবি

হিমু বা মডুরা এই বিষয়ে অনেক বার বিশদে জানিয়েছে, তাও এই অভিযোগ / অনুযোগ শোনা যায়। মডারেশন বা পরিচালনার সঙ্গে সম্পূর্ণ অসম্পর্কিত একজন সচল হিসেবে উত্তর দিচ্ছি।

সচল (বা যে কোনো পত্রিকাই) যদি মান উন্নয়নের কথা ভাবে তাহলে কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। মুদ্রিত পত্রিকায় মোট লেখার সংখ্যা কমবেশি নির্দিষ্ট, সে কারণে ফিল্টারিং হয়েই যায় আপনাআপনি। এখানে যেহেতু তেমন কোনো সংখ্যা বেঁধে দেওয়া নেই, অবারিত দ্বার করে দিলে মান পড়ে যেতে বাধ্য।

সচলে লেখার আগ্রহ আপনি প্রকাশ করেছেন, তার কারণ ধরে নিচ্ছি ঐ মান। পাঠকসংখ্যার বিচারেও হতে পারে, কিন্তু অনেক পাঠক অন্যান্য ব্লগও পড়ে, তাদের সাথে সচলের পদ্ধতিগত পার্থক্য আছে। সেখানে লেখা প্রকাশ সহজতর, তার পরেও এখানে লিখতে চাইছেন বলেই আমি মানের কথাটা ধরে নিলাম। সেক্ষেত্রে সচলায়তন যদি সত্যি তেমন ভালো একটা ব্লগপত্রিকা হয় তাহলে সেখানে লেখা প্রকাশ করার ব্যাপারে ধৈর্যশীল হতে সমস্যা কোথায়? আমজনতার কথা বলেছেন, এখানে যাঁরা লেখেন তাঁদের মধ্যে সেলিব্রিটি বা ভিআইপি খুব একটা কেউ আছেন বলে তো মনে হয় না। তো তাঁরা ধৈর্য ধরে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই সচল হয়েছেন। আমি একজন নন-সেলিব্রিটি সচল, একেবারে নিখুঁত অর্থেই আমজনতার অংশ, আমি তেত্রিশটি লেখা লিখবার পর সচল হয়েছি। অন্য একজনের মন্তব্যে তৈলমর্দনের কথা শুনলাম, এ কথা আগেও শুনেছি। সেজন্য সচল হওয়ার আগে যাঁরা মডারেশনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তাঁদের লেখায় প্রশংসাসূচক মন্তব্য করতাম না, এইটা দেখার জন্য যে তেল না দিলে কাজ হয় কি না। দিলে আরো তাড়াতাড়ি হতো কি না জানি না, তবে না দিয়েও কোনো সমস্যা হয় নি। এবং সত্যি কথা হলো এই যে ঐ সময় সচল হবার খুব গভীর বাসনা ছিলো না যে ধৈর্যচ্যুতি হবে। লেখা পোস্ট করতে গিয়ে ৩/৪ দিনের মধ্যে আশা বাদ দিয়ে দিলে এ কথাই মনে হয় যে সচল হবার পরেও ঐ রকম অতি দ্রুত উৎসাহ হারিয়ে যেতো।

সচলের পরিচালন পদ্ধতি খুব ইউজার-ফ্রেন্ডলি নয় এ কথা সত্যি। তবে আসল কথা হলো সেই পদ্ধতির কারণেই যতটুকু মান সেটা টিঁকে আছে। তার পরেও খারাপ লেখা কি বেরোয় না? কিন্তু এখনকার পরিচালন পদ্ধতি নিয়েই অনেকে যা ক্ষুব্ধ তা দেখে মনে হয় লেখার মান বাড়ানোর জন্য আরো বেশি কড়া মডারেশন চালু হলে ক্ষোভ আরো বেড়ে যাবে। ব্যক্তিগত ভাবে আমি ক্ষোভের থেকে মানকে বেশি গুরুত্ব দেবো, তবে যে পথই নেওয়া হোক, তার ফলাফল কী হয় দেখার জন্য ৩ / ৪ দিনের বেশি ধৈর্য্য ধরে দেখবো। হাসি

হিমু এর ছবি

আরিফ ভাই, উইথ অল ডিউ রেসপেক্ট, এই অভিযোগ প্রায়ই দৃষ্টিগোচর হয়। অনেকেই বলেন, আপনাদের নিয়ম একটু শিথিল করেন, লোকের আগ্রহ নষ্ট হয়, প্রভৃতি। সচলে ঐ বদখদ পদ্ধতি পার হয়ে কি কম লোকে সচল হয়েছেন? কঠিন কাজ দেখলেই যদি আমি পিছিয়ে গিয়ে সেটাকে ফ্যাকরা মনে করি, তাহলে সচল আমার জায়গা নয়।

লেখার প্রকাশযোগ্যতা নিয়ে অতিথিদের সাথে মডারেশনের ধারণার পার্থক্য আছে। সচলের প্রথম পাতায় দেখুন নতুন অতিথিদের জন্যে জ্ঞাতব্য কিছু তথ্য দেয়া আছে, সেখানে কেন একটা লেখা প্রকাশিত হয় না, তা চার্ট করে দেখানো আছে। এই পদ্ধতি মনে হয় না শিথিল করা হবে। এটা টপকে যারা আসতে পারেন, তাদের জন্যে সচলের দুয়ার বরাবরই হাট করে খোলা।

লিখতে থাকুন নিয়মিত, শুভকামনা রইলো।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

অতিথি লেখক এর ছবি

--আরিফুল হোসেন

ঠিক হ্যায়। আসলে আমি মনস্তাত্বিক বিষয়টা বুঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। এমনিতেই আমরা এত ইনসিকিউরিটিতে ভুগি যে মিথ আর গালগল্পে নিজেদের মহান প্রমানের জন্যে সরাক্ষন ব্যস্ত থাকি। সেখানে নামপরিচয়হীন থাকা একটা মানসিক প্রেসারই বটে।

আর আরেকটি বিষয় অতিথি লেখক হিসেবে থাকার কারনে ভালো লেখা লিখতে ইচ্ছা করে একটু কম। যেমন অতিথি লেখক হিসেবে এখানে যা আমি দিয়েছি সবই অন্যান্য ব্লগে বস্তাবন্দী হয়ে পরে আছে।

যাই হোক লিখতে থাকি দেখা যাক অচল আমি সচল হইতে পারি কি না।

অট: আপনি অনেক গম্ভীর হয়ে গেছেন। একটু রয়েসয়ে:)

সিরাত এর ছবি

আমি প্রথম পৃষ্ঠায় দুইবার লেখা দেওয়ায় যারা আপসেট হইসেন, সরি। আমার দোষ।

রিগ্রেট করে লাভ নাই কারণ আমি মনে হয় না ঠিক রিপেন্ট্যান্ট হই। আমি সিদ্ধান্ত নিসি ক্যাঁচাল এড়াতে আমি কেবল নিজের ব্লগে লিখুম এখন থিকা। শেষ। না লেখার অপশনও রইলো, কিন্তু মাঝে মাঝে লিখতে ব্যাপক ইচ্ছা করে। না লেখার একটাই ইমপেটাস, এক-দুই পাইতে হবে না। এই আর কি। হাসি

সরি। আপনাদের অনেককেই ব্যাপক পেইন দিসি। মাফ চেয়ে গেলাম।

কিছুটা দুঃখবোধ থেকে পোস্টটা করলেও এই রিয়েলাইজেশনটা ঠিকই, যে আমি মানুষের কথার তেমন পাত্তা দেই না। দিলেও সেটা বেশি দিন টিকে না। ক্রিটিসিজমও বেশি নিতে পারি না। এ কারণেই এত কথা কইলাম।

ধন্যবাদ!

আরিফ জেবতিক এর ছবি

সবকিছুরে নিজের দিকে টেনে নিয়ে আসার কোন অভ্যাস যদি আপনার থেকে থাকে , তাইলে সেটা থেকে মুক্ত হতে চেষ্টা করলে আপনার জন্যই মঙ্গলময় হবে।
আপনার পোস্ট দুইটা না দুইশটা প্রথম পাতায় আছে, সেখানে আপনি ব্যক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ না, নিয়মে যদি না আটকায় তাহলে আপনি ক্রমাগত দুইশ পোস্ট দিতে পারেন ; কারো আপত্তি করার কিছু নাই।

সেক্ষেত্রে হয়তো সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে, এখানে মূলত সিস্টেম নিয়ে কথা হয়। সচলায়তনে ব্যক্তি আলাদা ভাবে যখনই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে গন্য হতে গেছেন ,তখনই সেটার উপসংহার ভালো হয়নি।

সাফি এর ছবি

সিরাত ভাই,
আগেও কইসি, এখনও কই, আপনের লেখায় বাংলার মাঝে ইংরেজী শব্দের আধিক্য পড়া আমার জন্য বেশ কষ্টকর, অন্যেরা হয়ত পারেন। আপনার একটা লেখায় এই বিষয়ক মন্তব্য করার পরে আপনি বেশ সচেতন হয়েছিলেন দেখেছিলাম, কিন্তু আবার যেই লাউ সেই কদু। একটা অনুরোধ করি, যদি বাংলার মাঝে ইংরেজী শব্দ লিখতেই হয় তাহলে তা ইংরেজীতেই লিখেন। "রিগ্রেট করে লাভ নাই কারণ আমি মনে হয় না ঠিক রিপেন্ট্যান্ট হই" এরকম বাক্য পড়ে বুঝতে কষ্ট লাগে মন খারাপ