সচলায়তন নিয়ে কিছু ভাবনা

স্বাধীন এর ছবি
লিখেছেন স্বাধীন (তারিখ: সোম, ০৫/১০/২০০৯ - ৫:৪২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি সেই ভাগ্যবানদের দলে নই যারা জীবনের যে কোন কিছু ঘটনাকে, কথামালার রঙ দিয়ে যে কোন গল্প বা কবিতা লিখে ফেলতে পারেন। তাই আমাকে লেখার জন্য ভরসা করতে হয় বিভিন্ন বইয়ের পড়াশুনালব্ধ জ্ঞান থেকে। আর সংসারী হয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনার কাজে লিপ্ত থেকে, বাড়তি পড়াশুনা বা লেখার জন্য সময় বের করা হয়ে উঠে একটি দুরহ ব্যাপার। তারপরেও লেখালেখির প্রতি ভালবাসা এবং অজানাকে জানার চেষ্টা থেকে জোর করে হলেও কিছুটা সময় প্রতিদিন বের করে আনি।

সচলকে আমি একটি পরিবারের মত দেখি, যেখানে প্রতিটি সচল আমার কাছে মুক্ত চিন্তার কিছু মানুষ। সচলের এই পরিবেশটির জন্যই প্রথম দিন হতেই সচলকে নিজের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বেছে নিয়েছি। কিছুটা নিজের চিন্তা অন্যদের সাথে ভাগ করার জন্য এবং তারও বেশি অন্যদের থেকে শেখার জন্য। সচলের সেই পরিবার দিন দিন বড় হয়ে উঠবে এবং সচলায়তন বাংলা ভাষার লেখালেখির জন্য একটি অনবদ্য মাধ্যম হয়ে উঠবে এই স্বপ্নই দেখি।

সচলে ইদানীং কিছু বিতর্ক ঘুরেফিরে চলে আসছে। সবগলোই সচলের ভবিষ্যতের সাথে ওতপ্রেত ভাবে জড়িত, সে কারণেই এগুলো উঠে আসে। প্রধান বিতর্ক সচলের মান নিয়ে। সচলে কি ধরণের লেখা আসবে তা নিয়ে। আমি নিশ্চিত অধিকাংশের মতামতই হচ্ছে লেখক কি লিখবে সেটা লেখকেরই নির্ধারণ করা উচিত। আমার নিজেরও এ বিষয়ে দ্বিমত নেই। তবে নীড়পাতা যেহেতু ব্লগের প্রাণ তাই নীড়পাতায় বা প্রথম পাতায় কি লেখা আসবে সে ব্যাপারে সকলের চিন্তা করা উচিত। আমি মনে করি ইদানীং কালে জন্মদিন পোষ্ট, ফটোব্লগ, ব্লগর ব্লগর, সচল আড্ডা ক্যাটাগরির অনেক পোষ্ট বেড়ে গেছে। এইসব ক্যাটাগরীর লেখা কম মান সম্পন্ন এ রকম আমি বলছি না (কেউ মাইন্ড খাইয়ে না বা ব্যক্তিগত ভাবে নিয়েন না)। কিন্তু লক্ষ্য করে দেখবেন এখন যেহেতু সচল এবং আধা-সচল মিলে অনেক লোক, তাই প্রতিদিন যে হারে লেখা আসে তাতে একটি লেখা নীড়পাতায় একদিনের বেশিও থাকতে পারে না।

আমি এর জন্য কিছু প্রস্তাব রাখছি যা সকলে চিন্তা করে দেখতে পারি। লেখককে অপশন দেওয়া হোক লেখাটি নিজের ব্লগে প্রকাশিত হবে নাকি প্রথম পাতায় প্রকাশিত হবে। আমি মনে করি জন্মদিন, ব্লগর ব্লগর, ফটো ব্লগ ক্যাটাগরির লেখা লেখকের নিজের ব্লগে প্রকাশিত করা হোক। অথবা নীড়পাতাকে দু’কলাম করা হোক। এক কলামে মৌলিক গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ভ্রমন কাহিনী, আত্মজীবনী, (সব মনে পড়ছে না) এগুলো থাকুক। আরেক কলামে বাকীগুলো। এই কাজটুকু মডারেটরদের না করে লেখকেরা নিজেরাই করতে পারি।

দ্বিতীয় বিতর্ক হচ্ছে নীতিমালা। একটি সংস্থার টিকে থাকার জন্য এর নীতিমালার স্বচ্ছতা বিশেষভাবে প্রয়োজনীয়। আমি বলবো এক পাতার একটি নীতিমালা সচলের মত পরিবারের জন্য কিছুওই নয়। প্রয়োজন পূর্ণাঙ্গ আকারের সংবিধান যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপ পরিষ্কার করে বলা থাকবে। কতটি লেখার পর বা কতটা সময় পর একজন অতিথি লেখক আধা সচল হবেন বা আধা সচল পূর্ণ সচল হবেন তা পরিষ্কার করে বলা দরকার। এক জন সচলের আচরণ কী হবে এবং কী পরিস্থিতিতে তার সচলত্ব চলে যাবে এবং সেটার প্রক্রিয়া কী হবে তা পরিষ্কার করে বলা থাকা দরকার। সচল কিভাবে চলবে বা মডারেটর কিভাবে নিযুক্ত হবে বা মডারেটরদের দায়িত্ব কি রকম হবে তা পরিষ্কার করে বলা থাকা দরকার।

এ রকম ভাবে সকল সম্ভাব্য ইস্যু নিয়ে সেগুলোর ব্যাখ্যা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান ছাড়া একটি সংস্থা টিকে থাকতে পারবে না। সচলকে ভালবাসি বলেই মনে করি সচলের জন্য পূর্ণাঙ্গ নীতিমাল এখন সময়ের একটি দাবী। সবশেষে এটা মনে রাখতে হবে সবাইকে যে সচলকে চলতে হবে সচলের সদস্যদের মতামতের ভিক্তিতে। অন্তর্জালের সুবিধে নিয়ে নির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে সরাসরি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অথবা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে, দু’ভাবেই সচল চলতে পারে। কিন্তু সচল কিভাবে চলবে সেটা আমাদেরকেই ঠিক করতে হবে।


মন্তব্য

হিমু এর ছবি

১.

স্বাধীন ভাই, দুই কলামে ভাগ করলে কিছুদিন পর যে কোন একটা কলাম আবার চিরে দুই ভাগ করার পরামর্শ আসবে হাসি

আসলে নীড়পাতায় একটা পোস্টের আয়ু মোটামুটি তিন দিনের মতো হতে পারে তিনভাবে। এক, যদি পোস্টের ফ্লো কমে যায়। দুই, যদি পাঠক তা পছন্দ করে অন্যদের কাছে রেফার করেন (রেটিঙের মাধ্যমে)। তিন, যদি সেটি কোন স্বতস্ফূর্ত বিতর্ককে উসকে দিয়ে গুঁতোগুঁতির শীর্ষে চলে আসে।

কোনো পোস্ট যদি তা করতে ব্যর্থ হয়, সে একটু পেছনে চলে যাবে। এর বিকল্প হয় না। আর একটি পোস্ট আরেকটি পোস্টের চেয়ে কেন কম বা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে, তা নির্ধারণ করতে পারেন কেবল পাঠকই। ফোটোব্লগের আবেদন যদি একটি প্রবন্ধ পোস্টের চেয়ে বেশি হয়, সেই প্রবন্ধপোস্ট স্টিকি করেও কোনো ফল হবে না।

২.

হাজার হাজার ধারা উপধারা শাখাধারা নিয়ে একটা সংবিধান বানানো যেতে পারে। আবার সচলের ছোট্ট নীতিমালাও কাজ দিতে পারে, যদি সেটির ছয়টি ধারা আমাদের স্মরণে থাকে।

কে ক'টা পোস্ট দিয়ে সচল হবেন, বা অতিথি হবেন, সেটা সংখ্যা দিয়ে মাপা যায় না। অনেকে ৫০টা পোস্ট লিখেও সচলের মূলসুর ধরতে ব্যর্থ হতে পারেন, আবার অনেকে ২টি পোস্ট দিয়েও তা ধরতে সমর্থ হতে পারেন। সচলত্ব তো মিথষ্ক্রিয়ায় নির্ণীত হবে। কে সচল হবেন, কে হবেন না, তা কিন্তু সচলরাই পরোক্ষভাবে নির্ধারণ করেন, মিথষ্ক্রিয়ার মাধ্যমে। নতুন যে অতিথি পুরনো সচলদের সাথে ঐকতানে ব্যর্থ হন, তাঁর সচল হতে দেরি হয়, বা আদৌ হনই না।

আইনের ধারা যত বাড়ে, ফোঁকর গলে বের হবার রাস্তাও বাড়ে। সচল তো আইন-কানুন-মকদ্দমার জন্যে নয়, এটি লেখার জায়গা, লেখকদের সমাবেশ। কেউ যদি এই সিরাতুল মুস্তাকিম থেকে বিচ্যুত হন, তাহলে বাকি সচলরা তাঁকে শাসন করবেন, তিরস্কার করবেন। তিনি একেবারেই সিরাতুলমুস্তাকিম্বিমুখ হলে সসম্মানে সচল থেকে বিরতি বা বিদায় নিতে পারেন, মডুরা তাঁকে হাত ধরে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেবে। আইন মকদ্দমার হয়রানির সময় কোথায়?

সচলের মডারেশন যদি সর্বদা পুলিশি খড়্গ আর ধারাকীর্ণ সংবিধানের আঁটি বয়ে বেড়ায়, তাহলে অস্বস্তিটা সদস্যদের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়বে। তারচেয়ে লিখতে থাকুন, ছোটখাটো কলিশন লেগেই থাকবে, একজন আরেকজনকে শুধরে দেবেন।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

স্বাধীন এর ছবি

হাজার হাজার ধারা উপধারা শাখাধারা নিয়ে একটা সংবিধান বানানো যেতে পারে। আবার সচলের ছোট্ট নীতিমালাও কাজ দিতে পারে, যদি সেটির ছয়টি ধারা আমাদের স্মরণে থাকে।

কথা সত্য। তবে কি জানো পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা সচলকে সচল রাখতেই সাহায্য করবে, এর গতিশীলতা কমাবে না। এখন যে সচল চলছে না সেটা কিন্তু তা নয়, বরং বেশ ভালই চলছে। ছোটখাট যে সব ঘটনা, সেগুলোই বরং ব্যতিক্রম মানি। তবে আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি হল, সচল ভাল চলছে কারন সেই সচলের মানুষগুলোর জন্যই। ক্যাডেট কলেজে ভাল ফলাফল হয় সেটা সেই কলেজের ছাত্রগুলো সব বিদ্যালয়ের সেরা ছাত্রগুলো যায় বলে। বুয়েট বা মেডিকেলে সেই সেরা ছাত্রগুলো যায় বলেই সেগুলো সেরা। সচলে সেই রুচিশীল ব্লগাররা আসে বলেই সচলের পরিবেশ অন্যান্য ব্লগের থেকে আলাদা। সে কারনেই বলছি যে পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা নিজেদের মধ্য ভুলবুঝাবুঝি আরো কমাবে, বাড়াবে না। আর এই ছোটখাট ঘটনাগুলোওই আমার মতে পরবর্তী বৃহত ভুল বুঝাবুঝির পূর্বাভাস মাত্র।

কেউ যদি এই সিরাতুল মুস্তাকিম থেকে বিচ্যুত হন, তাহলে বাকি সচলরা তাঁকে শাসন করবেন, তিরস্কার করবেন। তিনি একেবারেই সিরাতুলমুস্তাকিম্বিমুখ হলে সসম্মানে সচল থেকে বিরতি বা বিদায় নিতে পারেন, মডুরা তাঁকে হাত ধরে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দেবে।

এখন কোনটি বিচ্যুতি বা তার মাত্রা কতটুকু, বা কখন তাকে বিদায় নিতে বা দিতে হবে তা কে নির্ধারণ করবে। সেটার প্রক্রিয়া কি হবে এগুলো কিন্তু পরিষ্কার নয়। সেটা মডারেটরদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভর করবে এবং এ ক্ষেত্রে সকলে সমান ব্যবহার নাও পেতে পারে। এ সমস্তই কিন্তু বিভক্তি আরো বাড়াবে।

হিমু এর ছবি

ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ যেখানে থাকে, সেখানে নীতিমালার ধারা উপধারা কোনো কাজে আসে না। "সমান ব্যবহার পাওয়া" ব্যাপারটাও আপেক্ষিক। আপনি মনে করতে পারেন সমান, অন্য আরেকজন মনে করবেন অসমান। আপনি ধারা উপধারার যে ব্যাখ্যা করবেন, তার সাথে আরেকজনের ব্যাখ্যার মিল থাকবে না।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

আলমগীর এর ছবি

শুধু এতটুকু বিশ্বাস করেন, বহু ভেজালের পরই সচলায়তন এই অবস্থায় আছে হাসি

স্বাধীন এর ছবি

এইটা জেনে ভাল লাগলো। এত কথা বলার উদ্দেশ্য যেন কোন অবস্থাতেই সচলের পরিবেশ খারাপ না হয় বা নিজেদের মাঝে ভুল বুঝাবুঝি না হয়।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আমার মনে হয়, এখন যেমন আছে, ভালোই আছে, নীতিমালা তো আছেই। তবে আপনার সদিচ্ছার কথা জেনে ভালো লাগল। দিনের শেষে সবাইকে মনে রাখতে হবে, এখানে যত তর্কাতর্কি হোক, আমরা যেন মিলেমিশে থাকতে পারি। কোন পোস্টে কারো সাথে মন কষাকষির জের যেন পরের পোস্টে টেনে না নিয়ে যাই।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

ব্লগ একটা স্বনিয়ন্ত্রিত প্রকাশ-মাধ্যম। তাই কোন পোস্ট প্রথম পাতায় যাবে বা যাবেনা সেটা লেখকেরই নির্ধারণ করা ভালো। আপনি যেমনটা বলেছেন যে লেখকের অপশন থাকা উচিত তার ব্লগ নীড়পাতায় যাবে না নিজের ব্লগে যাবে, সেরকম অপশন কিন্তু আছে। আপনি অতিথি বলে সম্ভবত সেটা দেখতে পাননা। সচলরা কিন্তু অনেক সময় নিজের ব্লগেই অনেক লেখা দিয়ে থাকেন (আমি নিজেও দিয়েছি এবং অনেককে দিতে দেখেছি। যদিও এ হারটি বেশ কম।)

২.
প্রকৃত পক্ষে (বা অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে) হালকা ধরনের পোস্ট ইন্টাড়্যাক্টিভিটি বাড়ায়। ভারী লেখা কিন্তু পাঠক সচারচর নেয়না। ভারী লেখার অবশ্যই দরকার আছে, তবে সেই লেখার সময়কাল একটা বিরাট গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে আমার অন্তত মনে হয়। যেমন ধরুন ডিসেম্বরে দেশপ্রেম বিষয়ক কোন লেখায় পাঠক যতটা আগ্রহী হয়, বছরের অন্য সময় সেভাবে কিন্তু হয়না (আমার সাথে দ্বিমত করতেই পারেন, তবে আমার অভিজ্ঞতায় এমনটাই মনে হয়)।

৩.

যেকোন ব্লগই কিন্তু মানুষের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া বা ভাবনা প্রকাশের একটা জায়গা। সে অর্থে ভ্রমণ কাহিনী বা সাম্প্রতিক বিষয় বিবেচনায় নিলে সেধরনের লেখাগুলোই "ব্লগ"-এ স্থান পায়। এখন যদি কেউ জলিলের কাহিনী নিয়ে একটা ব্লগ লেখে সেটা যত পাঠককে আকৃষ্ট করবে, এরশাদের কোন পুরানো কাহিনী নিয়ে লিখতে হয়তো ততটা পাঠককে টানবে না।

৪.
সচল হওয়া প্রসঙ্গে একটা ঘটনা মনে পড়ল। ফার্স্ট ইয়ারে প্রিন্সিপলস অফ ইকোনোমিক্স পড়ার সময় ইকোনোমিক্সের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে প্রফেসর বলেছিলেন -- ইকোনোমিক্স হল সোস্যাল সাইন্স। এখানে ২+২= ৪ নাও হতে পারে। উদাহরণ হিসেবে বলেছিলেন ধর তুমি ৬০ টাকা নিয়ে কমলা কিনতে গেলা। বাজারে গিয়ে দেখলা ভালো আমও পাওয়া যাচ্ছে, তুমি হয়তো ২০ টাকার আম আর ৪০ টাকার কমলা কিনবা। অর্থাৎ পরিস্থিতির সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হয়ে গেল। পুরাপুরি বিজ্ঞান হলে ৬০টাকার কমলা কিনতে যেহেতু বেড়িয়েছ তাই ৬০ টাকার কমলাই কিনতে হতো। উদাহরণটাতে হয়তো খাঁদ আছে তবে একেবারে খারাপ নয়।

কোন নিয়ম নীতি দিয়ে সচল করা মানে ফর্মূলায় পড়ে গেলেই সচল করার দায়বদ্ধতা চলে আসা। সেটা যে কতটা খারাপ তা অভিজ্ঞজনেরাই বোঝে। সচলীকরণের বর্তমান প্রকৃয়াটি বেশ সফল বলে মনে করি। সচল হওয়া আর না হওয়ার মধ্যে পার্থক্য কিন্তু সামান্যই। সচল হওয়ার মূল পরীক্ষাটি বোধহয় খাপ খাওয়ানো। অনেকগুলো হরিণের মধ্যে একটা গন্ডার যেমন বেমানান, তেমনি ভেড়ার পালে কে নেকড়ে বাঘ সেটা সময়ই বলতে পারে। সেই সময়টুকু কতটুকু তা নির্ণয় করার জন্য কোন ফর্মূলা বোধহয় মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করবে।

স্বাধীন এর ছবি

সচলীকরণের বর্তমান প্রকৃয়াটি বেশ সফল বলে মনে করি। সচল হওয়া আর না হওয়ার মধ্যে পার্থক্য কিন্তু সামান্যই।

সচলীকরণের বর্তমান প্রক্রিয়া সফল আমিও সেটা মনে করি। আর সচল আর আধা-সচলের মাঝেও পার্থক্য খুব সামান্য সেটাও সত্য।

আমার লেখার উদ্দেশ্য সচলীকরণের প্রক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে নয়, উদ্দেশ্য নীতিমালার পূর্ণাঙ্গরূপ নিয়ে। আমি মনে করি প্রক্রিয়া যেটাই হোক তা একটি নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসা উচিত। এতে স্বচ্ছতা বাড়ে, যা যে কোন সংগঠনের জন্য প্রয়োজন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আপনার প্রস্তাবগুলো নিঃসন্দেহে সচলায়তনের প্রতি ভালোবাসা থেকেই উৎসারিত। আভ্যন্তরীন মিথষ্ক্রিয়ার কথা বাদই দিলাম আপাতত, কিন্তু এই যে এক কলামের নীড়পাতাটা সচলায়তনের, এর মাঝখানে একটা উলম্ব সীমানা টানা থাকলে সেই সীমানা পেরিয়ে বুলবুল আহমেদের মতো আপনি কি একই রকম ভালোবাসার টানে নারকেল চোখা নায়িকার হাতটা ধরতে পারতেন স্বাধীন ভাই?

কেবল হালকা মেজাজ কিংবা কেবল সাহিত্য মানের পোস্ট আসা থেকে কি এটাই ভালো না যে সব মেজাজের লেখাই আসছে সচলের পাতায়! মানে ব্যাপারটা এমন যে একটা ডাইনিং টেবিল, এর মধ্যে চ্যাপা শুটকীর ভর্তা থেকে শুরু করে হাজীর বিরিয়ানী পর্যন্ত রাখা আছে। এখন খাদক নিজের হাতে নিয়ে খাক যা খুশি তাঁর। তাঁকে শুধু শুটকীর উপরে কিংবা শুধু বিরিয়ানীতে রাখতে গেলেতো ফ্ল্যাজিল বা এ্যামোডিস সাপ্লাই দিতে হবে আবার। এই দুর্দিনে এতো জ্যাম ঠেলে কে যাবে রে ভাই মহাখালী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে?

আপনি লেখার সংখ্যা বাড়ান। আপনার চাচাতো মামাতো খালাতো পাড়াতো সব রকমের শালিকে সচলায়তনে লেখার জন্য খোঁচাখুঁচি করুন। প্রথমাবস্থায় রাজী না হলে মাননীয় ধুগোর লেখার লিংক দিন। তাতেও রাজী না হলে ফোনে হিন্দি সিনেমার ডায়ালগ শোনান, "লিখ্ দে স্যালি, বারনা ধুগো আ জায়েগা...!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

আলমগীর এর ছবি

আপনারে লোকজন শালী সাধে, আর আপনি পিছলান। লুক খারাপ।

সৌরভ এর ছবি

আলমগীর ভাই, ধুগো বিবাহিত। আপনি জানেন না?
ইয়ে মানে, কন্ট্যাক্ট নম্বর/অ্যাড্রেস এদিকে যদি একটু ফরওয়ার্ড করতেন। দেঁতো হাসি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

আলমগীর এর ছবি

সেই দুনইয়া নাই রে মফিছ।
শালীহিতৈষী হিসাবে ধুগোর যে সুনাম আপনে তার ধারে কাছে নাই চোখ টিপি

স্বাধীন এর ছবি

আপনি লেখার সংখ্যা বাড়ান।

কঠিন কাজ। কেন তা মনে হয় লেখার শুরুতে উল্লেখ করেছি। তবে নিজের আধা-সচলেই আমি সন্তুষ্ট আছি । পূর্ণ সচলত্বে তাড়াহুড়া নেই। এটি একটি প্রক্রিয়া মাত্র, একদিন হয়ে যাবে। আমার লেখার মূল বিষয় সেটি নয় কিন্তু।

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনার কথাটি গুরুত্বপূর্ণ, তবে আরো বিশদে উদাহরণ দিয়ে লিখলে (ধরুন নীতিমালায় কী কী যোগ হোক এটা চান, ইত্যাদি) বিষয়টি আরো খোলসা হতো।

সচল জাহিদ এর ছবি


আমার মতামতগুলি নিম্নরূপঃ

প্রথমতঃ আমি নীড় পাতাকে দুই ভাগ করাকে সমর্থন করিনা কিন্তু একান্ত ব্যাক্তিগত বা কয়েকজনের আড্ডার খবরকে প্রথম পাতায় দেখাটাকেও ঠিক সচলের জন্য মানসম্পন্ন বলে মনে করিনা।

একটি উদাহরণ দেই, আমি ও স্বাধীন ভাই পাশাপাশি বাসায় থাকি একই অফিস ভবনে কাজ করি। প্রায় প্রতিদিনই আমাদের মধ্যে সচল নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়, সচলের লেখা নিয়ে, বিভিন্ন ব্লগ নিয়ে তর্ক বিতর্ক হয়। এখন স্বাধীন ভাই যদি প্রতিদিন একটি করে এই বিষয়ে ব্লগ লিখতে থাকেন তাহলে কিন্তু সেটা পাঠকরা ভালভাবে নিবেনা।

সেক্ষেত্রে লেখকদের এই লেখাগুলি নিজেদের ব্লগে প্রকাশ করাটাকে যুক্তিযুক্ত বলে মনে করি। সেই সুবিধে ও সুযোগ পূর্ণ সচলদের আছে তারা সেটা ব্যবহার করতে পারেন। বিষয়টি লেখকদের উপর ছেড়ে দেয়াই ভাল। যারা আধাসচল ও অতিথি লেখক তাদের এরকম কোন লেখাকে মডারেটররা নীড়পাতা থেকে তাদের নিজস্ব ব্লগে নিয়ে আসতে পারেন তবে বিষয়টা অবশ্যই লেখককে জানিয়ে।

দ্বিতীয়তঃ কয়টা লেখার পরে একজন অধাসচল পূর্ণ সচল হবেন সেটার বিষয়ে আমি হিমুর সাথে একমত তবে একটা তারপরেও কথা থেকে যায় যে এই মিথস্ক্রিয়ার মানদন্ড কি ? একজন আধা সচলের পক্ষে সব সচলের সাথে হয়ত মিথস্ক্রিয়া করা সম্ভব নয়। একটি উদাহরণ দেই, ধরুন আমি করিতা পড়িনা সুতরাং আমার পক্ষে যারা করিতা লেখেন তাদের সাথে মিথস্ক্রিয়া করা সম্ভবপর নাও হতে পারে।

তৃতীয়তঃ একটা উদাহরণ দেই, ধরুণ একজন লেখন অনেক পড়াশুনা করে দেশের প্রয়োজনীয় একটি ইস্যু নিয়ে একটি গবেষণালব্ধ লেখা দিলেন। সেদিন ঐ লেখাটি প্রকাশিত হল সেই দিনই হয়ত একই পাতায় একটি সচলাড্ডার খবর প্রকাশিত হল, আমি হলফ করে বলতে পারি আমি নিজেও ঐ সচলাড্ডার খবর পড়ব। তাহলে কি হবে ঐ লেখকের পরিশ্রম লব্ধ লেখাটি কিন্তু ঢাকা পড়ে যাবে। একজন লেখকের পরিশ্রম সার্থক হয় তার লেখাটি পাঠক পড়লে বা পাঠকের গঠনমূলক মন্তব্য পেলে। কিন্তু ঐ লেখক এই দুটোর কোনটাই না পেলে হয়ত এই বিষয়ে লেখার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।

সচল যেভাবে এগুচ্ছে তাতে একদিন এটি দেশের একটি গুরুত্ত্বপূর্ন তথ্যমাধ্যমে পরিণত হবে সেই বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।আমাদের এমন ভাবে এগুতে হবে যেন সব ধরনের লেখকের জন্য এটি একটি সাধারন মাধ্যমে পরিনত হয়, অর্থাৎ কিনা এখানে একজন গল্পকার যে মজা নিয়ে লিখেন একজন নৃবিজ্ঞানী বা কবিও যেন সেই একই পরিমান স্বতস্ফূর্ততা নিয়ে লিখেন। আর সেই সুযোগ কিন্তু আমাদেরই করে দিতে হবে।

এই মতামতগুলি একান্তই আমার নিজের। সচলকে জীবনের একটি অংশ মনে করি বলেই কিন্তু এগুলো সবার সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।


----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

স্বাধীন এর ছবি

সচল যেভাবে এগুচ্ছে তাতে একদিন এটি দেশের একটি গুরুত্ত্বপূর্ন তথ্যমাধ্যমে পরিণত হবে সেই বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।

সে স্বপ্ন আমিও দেখি।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

[একান্তই নিজের মতামত: আমি এই সেইদিনকার ব্লগার]
আমি নিজে যদিও মানদন্ড, নীতিমালা ইত্যাদি হাবিজাবি নিয়ে অনেক মুলামুলি করেছি, তার পরেও দিনের শেষে ব্লগিংয়ের র একটি ভাব আর সারল্য আমার কাছে বেশ বড় - পাঁচ মিশালী অগোছালো ভাবটা ভালই লাগে - না হলে তো অনলাইনে বাংলা পত্রিকাই পড়তাম। পাবলিক যা খায় তাই এখানে প্রযোজ্য - প্রয়োজনীয়তার তুলনায় সার্বজনীনতার মুল্য বেশি।

সচল হবার জন্য গন্ডা গন্ডা লেখাতে মন চায় না - লেখি বাংলা লেখার আনন্দের জন্য, সেই সরল আনন্দটা রেসের ঘোড়ার মতন দৌড়িয়ে নষ্ট না করি। ৫০০ টা ব্লগর ব্লগরের থেকে ৫ টা পাঞ্চ লাইনওয়ালা পোস্ট 'আমার' কাছে জরুরি। হাফ সচল আছি ভালই আছি - তবুও ব্যক্তিগতভাবে আমার সচলের উইশ লিস্টে আছে -
১। হাফ সচলদের নিজের লেখা এডিট করতে পারা (বানান 'বুলের' চোটে মাঝে মাঝে মনে হয় নিজের ব্লগে জুতা মারি) রেগে টং
২। হাফ সচলদের সচলের প্রথম পাতায় না দিয়ে নিজের ব্লগে নিজের ব্লগর-ব্লগর লেখা - আজকে কি রান্ধলাম, কি খাইলাম, কার লগে হালুম করলাম, কার লগে ম্যাও করলাম ইত্যাদি দেঁতো হাসি ওঁয়া ওঁয়া
৩। হাফ সচলদের নিজের ব্লগের অপছন্দের কমেন্ট ডিলিট মারার অধিকার দেওয়া চোখ টিপি শয়তানী হাসি
উপরের কোনটা না পাইলে নাই। কৈলাম আর কি। ইয়ে, মানে... যা পাই তাই ঢের, কিছু কিছু প্রত্যাশা না হয় বাকিই থাকুক। ভালো থাকুন।

বাই দ্যা ওয়ে, "সচলত্ব মিথষ্ক্রিয়ায় নির্ণীত হবে"? কস্কি মমিন! কথা সত্য হলে আই,আর,সি চ্যাট রুমের মডু (অপারেটর) হওয়া আর সচল হওয়ার এক রীতি বা মানদন্ড। আই,আর,সি চ্যাট রুমের মতন "সব মানদন্ড নদীতে ফেলো, 'ঠিক' লোকদের সাথে আড্ডাবাজি চুটিয়ে কর" নীতি হলে তো বিপদ। হে হে - থাক! এ বিষয়ে আর কিছু না বলি, আমি জানি কম - বুঝি আরো কম, দেখি তার থেকেও কম। এমনিতেই সারাদিন বহুত ঝক্কি গেছে - ঘুমাতে যাবার আগে আর ফাও কাউ কাউ করার অর্থ হয় না, করতে ইচ্ছাও করছে না। ধরে নেন শেষ প্যারাটা লিখিনি।

আলমগীর এর ছবি

নাহ, মুছে দিলাম।

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

আলমগীর ভাই - যা বলতে মন চায় বলেন - অসুবিধা নাই। শেখার অনেক বাকি আছে।
অফ টপিক: আপনি কি পরিসংখ্যানে পড়াশুনা করেন?

আলমগীর এর ছবি

পরিসংখ্যানে পড়ি না, তবে যা পড়ি তাতে বহু পরিসংখ্যান পড়তে হয়েছে।

বলতে চেয়েছিলাম, আমার দৃষ্টিতে মিথষ্ক্রিয়ার একটা দুর্বল সূচক হলো: আপনার কমেন্ট রেশিও- মানে অন্যের লেখায় কয়টা কমেন্ট করেছেন/ নিজের লেখায় কয়টা কমেন্ট পেয়েছেন।

(আপনার শেষ লাইন- ধরে নিন এ প্যারাটি লিখিনি; পরে চোখে পড়েছে, তাই মুছে দিয়েছি।)

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

সহমত

হিমু এর ছবি

আপনার মিথষ্ক্রিয়ার ছিরি ঐ আইআরসি চ্যাট রুমের মতোই। সচলে শুরুই করেছেন একজন সচলকে "কোন জ্ঞানগর্ভ থেকে উঠে এসেছেন" জাতীয় কথাবার্তা দিয়ে।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

হিমু, আমি পারসনালি কাউকে কিছু বলিনি এখানে, ব্যক্তিগত ভাবে আমার কথা উল্লেখ করার অর্থ ছিলো না। তাও ভালো বলেননি আমাকে হাফ সচল করার সিধান্তটিও ভুল ছিলো চোখ টিপি
তবে কথা প্রসংগে বলে রাখি, আপনার কথা ঠিক - শুরুতে ধারাটি ধরতে আমার সময় লেগেছে। এখনো পুরাপুরি ধরতে পেরেছি তা বলবো না (যেমন সচলত্ব মিথষ্ক্রিয়ায় নির্ণীত হবে এই তথ্য আমার জানা ছিলো না)। এবং এই জন্যে কোনো পোস্টে আমার যেকোনো যুক্তির পাল্টা যুক্তি হিসেবে সেই পুরানা কাসুন্দি বার বার ওঠানো হবে তাও জানি। ইন ফ্যাক্ট - তা হয়েও আসছে - আপনি ব্যতিক্রম কিছু করেননি।
তবে ...
আপনি যে পোস্টে আমার মিথষ্ক্রিয়ার কথা বলছেন - দুঃখজনক ভাবে হলেও সত্য সে পোস্টে আরেক সচলের মিথষ্ক্রিয়ার উদাহরণ ভেবে দেখার মতন। আমার ছিরি ঐ আইআরসি চ্যাট রুমের মতোই? মেনে নিলাম। যার কথা বলছি তিনি তো মিথষ্ক্রিয়ায় পাস - তারটা অন্যরকম কি না তাও একটু ভেবে দেখবেন সময় পেলে। ভালো থাকুন।

হিমু এর ছবি

মিথষ্ক্রিয়া = আড্ডাবাজি, এই সমীকরণ থেকে আপনি বেরিয়ে আসেননি এখনও। আপনার পোস্ট, কমেন্ট, বিতর্কের ভঙ্গি, সবই তার অন্তর্ভুক্ত।

আপনার কথামতো, মিথষ্ক্রিয়ায় "পাস" হবার পরও মাঝে মাঝে দেখা যায় কোনো কোনো সচল অসচলসুলভ আচরণ করছেন। সেটা তাঁদের স্মরণ করিয়ে দেয়ার সুযোগও তো আপনার আছে।

সচলের সাথে আই আর সি চ্যাটের তুলনা দিলেন বলেই কাসুন্দি ঘাঁটলাম। দেখলাম, আপনি কেবল নিজের ব্যাপারেই সংবেদনশীল।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

অফ টপিক হয়ে যাচ্ছে - কমেন্ট রেস্ট্রিক্ট করছি

হিমু এর ছবি

প্রথম আর দ্বিতীয়বারের উদাহরণ কোট করে তৃতীয়বারের কথা বললে ভালো হয়। যদি তা করতে না পারেন, আপনার মন্তব্য পুনর্বিবেচনা করুন। সচল আপনার জন্য উপযোগী স্থান, কি নয়, সেটা বলার আমি কেউ নই। আপনার স্বভাব হচ্ছে রূঢ় ভাষায় ফোড়ন কাটা, তারপর কেউ চেপে ধরলে হালুমের অভিযোগ করা। একটু ভেবে মন্তব্য করলে তো আর ব্যাপারটা এতদূর গড়ায় না।

একটা ছোটো শুদ্ধিপত্র যোগ করতে হচ্ছে। ওপরের মন্তব্যে বলতে চেয়েছি, আপনার পোস্ট, কমেন্ট, বিতর্কের ভঙ্গি, এ সবই মিথষ্ক্রিয়ার অন্তর্ভুক্ত, কেবল অন্যের সঙ্গে আড্ডাবাজিই মিথষ্ক্রিয়া নয়। কিন্তু পড়ে দেখলাম, বাক্য দু'টির মানে দাঁড়িয়েছে, আপনি এখনও ঐ সমীকরণের মধ্যে আছেন, এবং আপনার পোস্ট, কমেন্ট, বিতর্কের ভঙ্গি এই স্টেটমেন্টকে সমর্থন করছে। লেখনীর দুর্বলতা, দুঃখিত।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

ওয়াইল্ড-স্কোপ এর ছবি

প্রথম আর দ্বিতীয়বারের উদাহরণ কোট করে তৃতীয়বারের কথা বললে ভালো হয়।

হুদাই প্যাচাল বাড়ানোর কোনো ইচ্ছা নাই - কথায় কথা বাড়ে - তাও যেহেতু আপনার করা "সচল আমার জন্য উপযুক্ত না ভুল জায়গা" টাইপের উক্তিগুলোর লিঙ্ক চেয়েছেন - রেস্ট্রিক্ট করে দিচ্ছি:

আমার পক্ষ থেকে সারমর্ম হচ্ছে - আমরা সবাই কখনো না কখনো মিথষ্ক্রিয়া সীমানাকে আপেক্ষিক ভাবে ধরে নেই, পার্টিকুলারলি কাওকে এরজন্য দোষারোপ করে লাভ নেই - আমরা সবাই মর্তের মানুষ। সীমা-জ্ঞান কারো বেশি, কারো কম - এই যা - সময়ের আবর্তে সে সবই ঠিক হয়ে যায়। সবই অভ্যস্ততার বা খাপ খাইয়ে নেবার ব্যাপার।

বাই দ্যা ওয়ে - কমেন্টের ব্যাখা / ক্লারিফিকেশন দেয়ার জন্য ধন্যবাদ - আমি আমার পূর্ববর্তী মন্তব্যের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ালাম। নেন - এইসব ভুলে গান শুনেন - আধুনিক বাংলা গান -

হিমু এর ছবি

লিঙ্কগুলি যোগানোর জন্য ধন্যবাদ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

স্বাধীন এর ছবি

সুহানের অনুরোধে তাঁর মন্তব্যটি মুছে দেওয়া হলো এবং এতে পরবর্তী মন্তব্যগুলোও মুছে যায় স্বাভাবিকভাবে। বিষয়টি উক্ত মন্তব্যের সাথে সংশ্লিষ্টদের জানানো হল।

অতিথি লেখক এর ছবি

"তোমার সীমানা কত? ঐ আকাশ বড় যত।" স্বাধীন ভাই সীমানা প্রাচীর কেন? এখন যে নীতি আছে সেটাতো খারাপ না।

তবে একটা জিনিষ আমি বলতে চাই, যে সব কবিতা সচলের নীড়পাতায় আসে, সেই গুলি কে কী আরেকটু কম পত্র পল্লবে ছড়ানো যায় না? মানে কবিতাটা প্রথম পৃষ্ঠায় অনেক জায়গা নিয়ে নেয়, তিনটা কবিতা থাকলেই অনেক জায়গা চলে যায়। এই ব্যাপারটা কী একটু খেয়াল রাখা যায় মডু ভাইয়েরা? আবার অনেক কবিতার সাথে সংগতিহীন ছবি পোষ্ট দিয়েও জায়গা ব্লক করে রাখে, সেটা কী একটু খেয়াল করা যায় না?

আমরা সচলের আকাশে একঝাক তারা হয়ে ভাসতে চাই, সচলের বাগানে ফুল হয়ে ফুটতে চাই।

ভালো থাকবেন সবাই।
ধন্যবাদ।
দলছুট।

স্বাধীন এর ছবি

কবিতা অনেকটুকু জায়গা নেয় এই কথাটি আগেও এসেছে। এটির সহজ সমাধান ও এসেছিল। প্রোগ্রামিং এ একটু বদলিয়ে নির্দিষ্ট শব্দ সংখ্যার বদলে নির্দিষ্ট লাইন দেওয়া যেতে পারে। এটি খুব বেশি জটিল হবার কথা নয় বলে মনে হয়। ডেভেলাপররা চিন্তা করে দেখতে পারেন।

মূলত পাঠক এর ছবি

ভাই দলছুট,
বারবার আপনার ভুল ধরছি, ব্যক্তিগত রাগ মেটাতে এমনটা মনে হতে পারে, কিন্তু খোলসা করি, সেরকম কোনো কারণ নেই। কিন্তু নীড়পাতায় কবিতা এলে অনেকটা দৈর্ঘ্য নিয়ে নেয় (বা ছবি দিলেও), তাতে সমস্যাটা ঠিক কী হচ্ছে বুঝলাম না। লম্বা দৈর্ঘ্য খাওয়া কবিতা বা একলাইন দেখা যায় এমন লেখা, যাই আসুক, নীড়পাতায় মোট কুড়িটি লেখার প্রিভিউ দেখা যায়। মন্তব্য করার আগে এই সামান্য গুনতিটা একবার করলেন না?

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

সব রকম লেখার গুরুত্ব আছে। এটা মানি। আবার কোনো কোনো লেখা পাঠককে ঠেলে-ঠুলেও পড়ানোর প্রয়োজন পড়তে পারে ... কারা ঠেলবেন, ক্যামনে ঠেলবেন - বিতর্কের বিষয় হইতে পারে।

ফটোব্লগ নিয়ে আলাদা ট্যাব থাকতে পারে। মানে সবগুলো ফটোব্লগ যাতে সহজে খুঁজে পাওয়া যায়।

: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: ::: :
'Cinema is over' - Master Godard


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

পলাশ দত্ত এর ছবি

আমি মনে করি জন্মদিন, ব্লগর ব্লগর, ফটো ব্লগ ক্যাটাগরির লেখা লেখকের নিজের ব্লগে প্রকাশিত করা হোক। সহমত।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

পলাশদা, ব্লগরব্লগর যদি প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে দেন তাহলে তো এটা ব্লগ থাকেনা। হাসি

পলাশ দত্ত এর ছবি

তবে একটা জিনিষ আমি বলতে চাই, যে সব কবিতা সচলের নীড়পাতায় আসে, সেই গুলি কে কী আরেকটু কম পত্র পল্লবে ছড়ানো যায় না? মানে কবিতাটা প্রথম পৃষ্ঠায় অনেক জায়গা নিয়ে নেয়, তিনটা কবিতা থাকলেই অনেক জায়গা চলে যায়। এই ব্যাপারটা কী একটু খেয়াল রাখা যায় মডু ভাইয়েরা? আবার অনেক কবিতার সাথে সংগতিহীন ছবি পোষ্ট দিয়েও জায়গা ব্লক করে রাখে, সেটা কী একটু খেয়াল করা যায় না? সহমত।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি মনে করি ইদানীং কালে জন্মদিন পোষ্ট, ফটোব্লগ, ব্লগর ব্লগর, সচল আড্ডা ক্যাটাগরির অনেক পোষ্ট বেড়ে গেছে। এইসব ক্যাটাগরীর লেখা কম মান সম্পন্ন এ রকম আমি বলছি না

যাক, তাইলে জন্মদিনের পোস্টের মান নিয়ে আপনার আপত্তি নাই। আপত্তি তাহলে সংখ্যায়? আড্ডার পোস্ট কিন্তু সচলে বিরল, জন্মদিনের পোস্টও আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে, ফটোব্লগটা এখন চলছে, যেরকম অণুগল্পটা চলেছিলো কিছুদিন। আসলে এইরকম কোনো বিষয়ের পালাবদল আমি পজিটিভ হিসেবেই দেখি। ঋতুর মতো পালাবদল জিনিসটা বৈচিত্র আনে।

জন্মদিন, ব্লগর ব্লগর, ফটো ব্লগ ক্যাটাগরির লেখা লেখকের নিজের ব্লগে প্রকাশিত করা হোক।

আমার মতে এই লেখাগুলো প্রথম পাতায় না দিলে তা প্রায় অর্থহীন হয়ে যায়। সচল তো ফ্লিকার না, যে নিজের ছবিগুলো একা একাই নিজের পাতায় রেখে দেখবো। সচলে ছবিব্লগ মানে সেগুলো সবার সাথে শেয়ার করা। সুতরাং প্রথম পাতায় না দিলে কার দায় পড়েছে খুঁজে খুঁজে আমার পারসোনাল পেজে গিয়ে ছবি দেখবে! জন্মদিনের পোস্ট তো আরো ক্যাচাইলা। মনে করেন, আপনার জন্মদিনে উইশ করে আপনার সাথে মজার কোনো ঘটনা উল্লেখ করে আমার নিজের ব্লগে একটা পোস্ট রেখে দিলাম, আপনি জানতেও পারলেন না, তাইলে কেমনে কি? হাসি

লেখককে অপশন দেওয়া হোক লেখাটি নিজের ব্লগে প্রকাশিত হবে নাকি প্রথম পাতায় প্রকাশিত হবে।

এটা আছে। আমি নিশ্চিত না, অতিথিদের জন্য এই অপশন অ্যাকটিভ কিনা।

নীতিমালা বিষয়ে, আমি যতোটুকু জানি, সামুব্লগের অভিজ্ঞতা থেকে নীতিমালাটি গঠন করা হয়েছিলো প্রথম দিককার সব অভিজ্ঞ সচল মিলে অনেক আলোচনার পরে। অভিজ্ঞতা থেকে এক একজন এক একরকমভাবে শিখে। যেমন, আলুব্লগের নীতিমালায় এতো ধারা উপধারা যে, সেখানে ছাগোল নিয়ে গবেষণামূলক প্রবন্ধে 'ছাগোল' শব্দটা থাকার কারণে পোস্ট ব্যান খায়। চোখ টিপি

আসলে ধারা উপধারা বাড়িয়ে লাভ কি? নীতিমালার ব্যবহার তার প্রয়োগে। সচলে এই প্রয়োগটা প্রায় অটোমেটিক্যালি হয়ে যায়। কারণ, সচলের মূল্যবোধের সাথে অ্যাডাপ্টেড (অধিকাংশই সহজাতভাবে) হওয়ার পরেই একজন পূর্ণ সচল হয়। পূর্ণসচল হতে দীর্ঘসূত্রিতার একটা কারণও সম্ভবত এটাই। একজন পূর্ণ সচল যেহেতু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সচলের মূল্যবোধের সাথে একাত্ম, সেহেতু নীতিমালার মারমার কাটকাট প্রয়োগের দরকার খুব কম পড়ে। আমি নিজেও জানি না, নীতিমালার লেটেস্ট ভার্সনে কি কি আছে, জানার আগ্রহটাও হয় না। কারণ, মোটামুটি বুঝি, কোন কথা এখানে বলা যাবে, কোন কথা বলা যাবে না। নীতিমালা জিনিসটা অনেকটা মানুষের ভাগ্যের মতো, ভাগ্যটা আবার আমার কাছে অসংখ্য চলকের একটা ফাংশন, যার অনেক চলক সম্পর্কে জানা সম্ভব না হওয়ায় আমরা 'ভাগ্য' বলে নাম দেই। সুতরাং যতো বিস্তৃতভাবেই নীতিমালা হোক, হাজার পৃষ্ঠার ডকুমেন্টেশন হোক, তা কখনোই পারফেক্ট হবে না। এমনকি ব্যাকফায়ারিংও হতে পারে। পারফেক্ট আইন করা গেলে কোনো অপরাধীই সম্ভবত আইন আদালতে নির্দোষ প্রমাণিত হতো না।

মিথস্ক্রিয়া জিনিসটা সংখ্যা দিয়ে মাপা যায় না। পূর্ণ সচল হওয়ার ক্রাইটেরিয়াও পোস্ট সংখ্যা দিয়ে হয় না। আমি নিজে সরাসরি সচল, অতিথি হয়ে অপেক্ষা করতে হয় নি, তাই হয়তো পুরা অনুভূতি ফিল করতে পারবো না। তবে একটু ধৈর্য ধরতে অনুরোধ করি।
অতিথি হওয়ার কিছু নেগেটিভ সাইড আছে। যেমন, একজন পরিচিত সচলের লেখা অনেকেই লেখকের নাম দেখে পড়ে, অতিথি শুরুতে এই এক্সপোজারটা পাবেন না। তবে যাদের পোস্ট অন্যরা নাম দেখেই পড়ে, তাদেরকে অবস্থানটা সৃষ্টি করতে হয়েছে অনেকদিন ধরে। অতিথি হিসেবে 'ভালো' (পাবলিকের লাইকিং অর্থে) লিখলে তার পোস্টও মানুষ ঠিকই পড়ে। এ মুহূর্তে সচলে বেশ কয়েকজন খুব ভালো লেখা অতিথি সচলও আছেন। তবে যারা ভালো লেখেন, নিয়মিত এবং সচলের ভাবধারাটা* বুঝে যান, তাদেরকে হুদাহুদি ঝুলায়া রাখলে অ্যাডমিনদের মাইর দেয়া হবে। অবশ্য অ্যাডমিনরা অনেক সময়ই বাড়তি সময়টা নেন নিশ্চিত হওয়ার জন্য। নিজেকে ঠিকমতো প্রকাশ করার দায়িত্ব নিজেরই।

*সচলের ভাবধারা বলতে আমি বুঝি, স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করা, অসাম্প্রদায়িক চিন্তাভাবনা, আরেকজনের পায়ে ল্যাং না মারার প্রবণতা, সহসচল ও অতিথিদের প্রতি সম্মান দেখানো ইত্যাদি ইত্যাদি।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

একেবারে আমার মনের কথাটি বলে দিয়েছেন!!

--------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

স্বাধীন এর ছবি

যাক, তাইলে জন্মদিনের পোস্টের মান নিয়ে আপনার আপত্তি নাই।

বলাই'দা

জন্মদিনের পোষ্ট কেন, কোন পোষ্টের মান নিয়ে আমার আপত্তি নেই। আমার নিজের লেখা যে মান সম্পন্ন কিনা সেটি নিয়ে বরং সন্দেহ আছে। তাই মান নিয়ে কথা বলতে অস্বস্থিবোধ করি।

তবে, হ্যাঁ সংখ্যাটি ইদানিং কালে আমার বেশি মনে হয়েছে (এটা অবশ্যই আমার ব্যক্তিগত মতামত, দ্বিমত থাকতে পারে কারোর)। বিশেষ করি যখন একসাথে আড্ডা, জন্মদিন বা ফটোব্লগ সব চলে আসে, তখন কিন্তু সেটা বেশি মনে হয়।

আমার মতে এই লেখাগুলো প্রথম পাতায় না দিলে তা প্রায় অর্থহীন হয়ে যায়।

একটু দ্বিমত পোষন করছি। এটা ঠিক প্রথম পাতায় না থাকলে পোষ্টটির গুরুত্ব কমে যায়। কিন্তু এটাও তো ঠিক যে অনেকেরই সাথে আমাদের সচল ব্যতীত ফেইসবুক বা অন্যভাবেও যোগাযোগ থাকে। সুতরাং জন্মদিনের পোষ্ট এসেছে, বা আড্ডার পোষ্ট এসেছে সেটা কিন্তু আমরা ব্যক্তিগতভাবে বা মন্তব্যের কলামের মাধ্যমেও জানতে পারছি। আবার এমন হবে যে সেই পোষ্টটি প্রথম পাতায় না থাকা সত্বেও সবার হিটের কারণে এবং ভোটের কারণে পছন্দের কলামে চলে আসছে। আমার বিশ্বাস এ লেখাগুলোর আবেদন পাঠকের কাছে সবচেয়ে বেশি এ নিয়ে দ্বিমত নেই, এবং সেটি প্রথম পাতায় না থাকলেও পাঠক ঠিক খুঁজে পাবে।

আর সচলত্বের বর্তমান প্রক্রিয়া নিয়ে আমার কোন দ্বিমত নেই। বরং একজন লেখককে ভালভাবে বুঝার জন্য যতটুকু বেশি সময় নেওয়া যায় ততই ভাল, যেন পরে আফসোস না হয় কারো।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমার বিশ্বাস এ লেখাগুলোর আবেদন পাঠকের কাছে সবচেয়ে বেশি এ নিয়ে দ্বিমত নেই, এবং সেটি প্রথম পাতায় না থাকলেও পাঠক ঠিক খুঁজে পাবে।
আসলে এখানে আপনার আর আমার মতপার্থক্য এক জায়গায়: আমি কৃত্রিমভাবে পাঠককে কোনো বিশেষটাইপের লেখা চাপিয়ে দিতে চাই না। পাঠকের আবেদন যদি ফটোব্লগে বেশি হয়, ক্ষতি কি? ইদানিংকার জন্মদিনের বেশ কয়েকটা পোস্ট খুব ক্রিয়েটিভ মনে হয়েছে, সেখানে শুধু অমুককে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই টাইপ কথা নাই, উপস্থাপনাও আকর্ষণীয়।

লেখকের এক্সপেকটেশনের সাথে পাঠকের সাড়া সবসময় মিলে না। আমার সবচেয়ে খেটে লেখা পোস্টে সবচেয়ে কম মন্তব্য পেয়েছি। চোখ টিপি অবশ্য পোস্টের বিষয়বস্তু অনেক সময়ই অন্যের পোস্টে আলোচনায় এসেছে। সো, চিন্তাভাবনার শেয়ারের কাজটা শেষ পর্যন্ত হয়ে যায়। হোক নিজের পোস্টে, না হোক অন্যের পোস্টের আলোচনায়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

অছ্যুৎ বলাই এর মন্তব্যে উত্তম জাঝা! । বক্তব্যের সাথে একমত ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

দুর্দান্ত এর ছবি

মনপড়ুয়া ভাইডি। শব্দে শব্দে মনের কথা বললেন।

রণদীপম বসু এর ছবি

এই পোস্ট পড়তে পড়তে একটা ভাবনা মাথায় এলো। এটা কি সচল-নির্মাতারা একটু ভাববেন-

সচলের নীড়পাতার সাইড-বারে এরকম একটা উইজার্ড টানানো যায় কিনা- গত চব্বিশ ঘণ্টায় নিজ ব্লগে প্রকাশিত পোস্টগুলো। লেখক ও পোস্টের শিরোনাম তালিকা ফিডব্যাক হিসেবে জ্বলজ্বল করবে। এতে করে প্রথম পাতায় তারকামেলার উপস্থিতিতে যারা আগ্রহী তাঁরা তো রইলোই, সাথে সাথে যারা সরাসরি প্রথম পাতায় লেখাটা দিলেন না, তাঁদের সর্বশেষ লেখার খোঁজটাও পেয়ে গেলো আগ্রহীরা। তাতে হয়তো সচলের অনেকের অসন্তোষের একটা সুরাহা হয়ে যাবে।
তার সাথে একটা নীতি তো থাকতেই হবে যে, প্রথম পাতায় বা নিজ ব্লগেই হোক, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে একাধিক পোস্ট দিতে পারবেন না জাতীয় কিছু।

সচলের নীড়পাতার সাইড বারটা আরেকটু বর্ণময়ও হবে। আর কিছু ট্যাগও থাকতে পারে- গল্প,কবিতা,প্রবন্ধ,ছবিব্লগ,আড্ডা,হাবিজাবি ইত্যাদি।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

সৌরভ এর ছবি


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

সৌরভ এর ছবি

সচলায়তন যেরকম আছে, সেরকমই থাকুক সেই প্রত্যাশা করি। সচলায়তন কোন ম্যাগাজিন পত্রিকার রূপও ধারণ করবে না, কোন আড্ডাঘরের আবহও আসবে না তাতে। সেইটুকুই চাই।


আবার লিখবো হয়তো কোন দিন

হিমু এর ছবি

ছোটো ফন্টে আমিও একই কথা বলতে চাই হাসি



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

সুমন চৌধুরী এর ছবি
দুর্দান্ত এর ছবি

বকরি সামাদের একটা গান ছেল না?
"আমি ঝেমুন আছি তেমুন রভো, ভৌঁ হবু না রেই"

সুমন চৌধুরী এর ছবি
রেনেট এর ছবি

গত বেশ কয়েকদিনে অতিথি লেখকদের বেশকিছু লেখা ও মন্তব্য দেখে আমার মনে হয়েছে মডারেশনের মান কিছুটা পড়ে গেছে। এর কারণ কি আমি জানি না। মডারেশন আছেই ছাঁকনির কাজ করার জন্য।

মডারেটরদের আহবান করবো, আগাছা শক্ত হাতে দমন করতে। সমালোচকরা যে যা খুশি বলুক।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

সচলায়াতন এখন যেমন আছে তেমনই থাকুক। তবে রণদা'র কথাটা কিন্তু ভেবে দেখার মতোই।

তবে নতুন নতুন বিষয় গুলো আসবে & আসতেই থাকবে। পাঠক পছন্দ করলে সেটা যাই হোক না কেন, আমার আপনার কথা বলে তো আর লাভ হবে না। কারণ লেখকদের যাচাই করবে পাঠকরা। আর আমার কাছে সচলায়াতন সেই বঙ্কিম কালীন কোন সাহিত্যপত্র নয় যে শুধুমাত্র গূঢ় সাহিত্যই এখানে স্থান পাবে।

খোলামনে লেখা-লেখি চর্চার মধ্যে অত্যধিক নীতি থাকাটাকে খুব বেশী প্রয়োজন বলে মনে করিনা আমি।

হ্যাঁ, এখাকার সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখতে মড দের ভূমিকা যতোখানি, লেখক-পাঠক দের ভূমিকাও কিন্তু তার চেয়ে বেশী বই কম নয়।

-----------------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

ওসিরিস এর ছবি

যত যাই হোক, সচলের ব্যাবস্থাপনা নিয়ে সচলদের মাঝে কথা হচ্ছে, বিষয়টা ভালো।

০১.

আমার লেখার উদ্দেশ্য সচলীকরণের প্রক্রিয়া কি হবে তা নিয়ে নয়, উদ্দেশ্য নীতিমালার পূর্ণাঙ্গরূপ নিয়ে। আমি মনে করি প্রক্রিয়া যেটাই হোক তা একটি নীতিমালার মধ্যে নিয়ে আসা উচিত। এতে স্বচ্ছতা বাড়ে, যা যে কোন সংগঠনের জন্য প্রয়োজন।

কিছু মনে করবেন না, আমার মনে হয় সচলীকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে কারো মনে কোন প্রশ্ন নেই। হিমু ভাই বেশ সহজ ভাবেই বিষয়টা ব্যাখ্যা করেছেন
কে ক'টা পোস্ট দিয়ে সচল হবেন, বা অতিথি হবেন, সেটা সংখ্যা দিয়ে মাপা যায় না। অনেকে ৫০টা পোস্ট লিখেও সচলের মূলসুর ধরতে ব্যর্থ হতে পারেন, আবার অনেকে ২টি পোস্ট দিয়েও তা ধরতে সমর্থ হতে পারেন।

০২. নীড়পাতার দুপাশে আসলেই অনেক জায়গা পতিত আছে। সদ্ব্যবহার
হওয়া উচিত।

০৩.

নীড়পাতাকে দু’কলাম করা হোক। এক কলামে মৌলিক গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ভ্রমন কাহিনী, আত্মজীবনী, (সব মনে পড়ছে না) এগুলো থাকুক। আরেক কলামে বাকীগুলো। এই কাজটুকু মডারেটরদের না করে লেখকেরা নিজেরাই করতে পারি।

নীড়পাতা চিড়ে ফেলার পক্ষপাতি আমি নই। তবে ভালো মনে করলে, নীড়পাতার উপরে ট্যাব করা যেতে পারে। যেমন একটা ট্যাব হবে 'কবিতা', আরেকটা হবে 'গদ্য'...ইত্যাদি। তবে হ্যা, এই ট্যাবের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে যাবার সম্ভাবনা প্রকট।

***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

সচলের কোন ত্রটি চোখে পড়তেসে না এখনো...। তবে রেনেট ভাই যেটা বললেন,

গত বেশ কয়েকদিনে অতিথি লেখকদের বেশকিছু লেখা ও মন্তব্য দেখে আমার মনে হয়েছে মডারেশনের মান কিছুটা পড়ে গেছে। এর কারণ কি আমি জানি না। মডারেশন আছেই ছাঁকনির কাজ করার জন্য।

মডারেটরদের আহবান করবো, আগাছা শক্ত হাতে দমন করতে। সমালোচকরা যে যা খুশি বলুক।


এইটা একটু বিবেচনা করা হোক। আমি অন্তঃত ভালো লেখাই পড়তে আর শেয়ার করতে সচলে এসেছি।

---------------------------------------------------------------------------

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

সুমন চৌধুরী এর ছবি

আমার বলার কথাটা সৌরভ বলে দিয়েছে।



অজ্ঞাতবাস

মামুন হক এর ছবি

আমার কথাটা সুমন ভাই বলে দিছে হাসি

দুর্দান্ত এর ছবি

আমারটা কইছেন মামুন বাই।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

আমার কথাটা মামুন বলে দিছে হাসি

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

এনকিদু এর ছবি

শুধু লেখাটা পড়ে এই মন্তব্যটি লিখছি । অন্যদের মন্তব্য গুলো এখনো পড়িনি ।

কিন্তু লক্ষ্য করে দেখবেন এখন যেহেতু সচল এবং আধা-সচল মিলে অনেক লোক, তাই প্রতিদিন যে হারে লেখা আসে তাতে একটি লেখা নীড়পাতায় একদিনের বেশিও থাকতে পারে না। আমার পক্ষেতো প্রতিদিন একটি লেখা দেওয়া সম্ভব হয়ে উঠে না।

এখন সচলের 'ম্যান্দা কাল' চলছে, আপনি মনে হয় সচলের 'সেই আমল' টা দেখেন নাই । ওই আমলে ঘন্টায় ঘন্টায় নীড়পাতায় নতুন লেখা আসত । আমরা প্রতিটা লেখাই খুব আনন্দ নিয়ে পড়তাম । আজকাল এক দিন, কখনো কখনো তারও বেশি সময় লাগে নীড়পাতা নতুন হতে ।

ফটোব্লগ, ব্লগর ব্লগর যদি নীড় পাতায় নাই থাকল তাইলে আর লিখার দরকার কি ? এইটা তো ব্লগেরই সাইট, তাইনা ?

সচলের নীতিমালা আমার কাছে আগেও একদম ঠিকঠাক মনে হত, এখনো তাই মনে হয় ।

এ রকম ভাবে সকল সম্ভাব্য ইস্যু নিয়ে সেগুলোর ব্যাখ্যা নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সংবিধান ছাড়া একটি সংস্থা টিকে থাকতে পারবে না।

সচলায়তন কি সংস্থা নাকি ? এই ধারনা কিভাবে হল ?

আপনার পুরো পোস্ট টাই ভুল কথায় ভরা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

স্বাধীন এর ছবি

আপনার পুরো পোস্ট টাই ভুল কথায় ভরা ।

কি আর করা যাবে, আমার দৃষ্টিভঙ্গিটিই ভুল ছিল। ভুলগুলো তো সব দেখিয়ে দিয়েছেন খুব সুন্দর করে, তাই শেষ বাক্যটির মনে হয় প্রয়োজন ছিল না। আর যেহেতু মন্তব্যের মাধ্যমে সবার দৃষ্টিভঙ্গিটি জানার সুযোগ পেলাম, এবং আমার মত নুতন অনেকেই অন্যান্য সচলদের এই ব্যাপারে মতামতগুলো জানতে পারলো, তাই পুরো পোষ্ট ভুলে ভরা কথা হলেও, এই পাওয়াটুকুই বা কম কি? সেটা নিয়েই না হয় সামনে এগিয়ে যাই আমরা। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। সচল থাকুন, সচল রাখুন।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

১ থেকে ৪ পর্যন্ত পূর্ণ সহমত, তবে ৫ একটু নাপছন্দ হলো। এভাবে বললে একটু অশোভন শোনায় না, ভ্রাতঃ? হাসি

অতিথি লেখক এর ছবি

এ আর নতুন কি? উনি তো বরাবরই অশোভন মন্তব্য করতে পটু।

স্বাধীন এর ছবি

আমার জানা ছিল না। অতিথি হিসেবে মন্তব্য করলেও নিজের নামটি উল্লেখ করবেন দয়া করে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মানতে পারলাম না বলে দুঃখিত। আমি এনকিদুকে সচলে তার প্রথম দিকের পদচারণা থেকেই চিনি। একটু সরাসরি মন্তব্য করে, তা মানি। তবে এমন ঢালাও অভিযোগের সত্যতা নেই কোনো বলে আমার মত।

নুরুজ্জামান মানিক এর ছবি

ইশতির সাথে সহমত । এনকিদু কখনোই অশোভন আচরন করে না ।

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)

স্বাধীন এর ছবি

এনকিদু কখনোই অশোভন আচরন করে না ।

ধন্যবাদ মানিক ভাই, এটাও জানা থাকলো। আমার নিজের মনে হয়েছিল শেষ বাক্যটি উনি না বললেও পারতেন একজন সহব্লগার হিসেবে। উনার বাকী চার পয়েন্টের মতামতকে সাধুবাদ জানিয়েছি। একই বক্তব্য হিমু, বলাই'দা প্রকৃতিপ্রেমিক, সৌরভ'দা, রণ'দা, আপনিসহ অনেকেই বলেছেন। কিন্তু পোষ্টটি পুরো ভুলে কথায় ভরা কেউ বলেননি। তাই আমার আপত্তিটুকু জানিয়েছে মন্তব্যের মাধ্যমে। আশা করি আমার আচরন অশোভন হয়নি।

স্বাধীন এর ছবি

ধন্যবাদ ইশতি। তোমাকে ইদানীং কম দেখা যাচ্ছে?

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ব্যক্তিগত কাজে খুব ব্যস্ত ক'টা দিন। আশা রাখি দ্রুত ফিরবার।

সচল জাহিদ এর ছবি

আপনার পুরো পোস্ট টাই ভুল কথায় ভরা

একদম মানতে পারলামনা এই মন্তব্য। সচলকে ভালবেসে একজন সদস্য বা অতিথি পরামর্শ দিতেই পারেন। আমরা সবাই কিন্তু এর ইতিবাচক, নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করেছি আপনিও করেছেন কিন্তু শেষতক এই উদ্ধৃতিটি কিন্তু একেবারেই বেমানান।

----------------------------------------------------------------------------
zahidripon এট gmail ডট কম


এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি, নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।
ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট
কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অভ্র।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

-সচলে নীড় পাতায় যদি খালি ভারী ভারী আঁতেলীয় লেখা থাক্তো তাইলে আমি সচলে কোনোদিনো ঢুও মারতাম না খোদার কসম। আমি সচলে আসি ব্লগরব্লগর পড়তে।
-আর ফটোব্লগ যদি নিজের ব্লগেই রাখি তাইলে সচলে ফটোব্লগ দেওয়ার মানে কি? খালি ফ্লিকারে রাখলেই পারি? তাই নয় কি?

---------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

স্বাধীন এর ছবি

ব্লগ সবার এটাই বুঝতে পারলাম। এটা ঠিক যে শুধু আঁতেলীয় লেখা থাকলে একশ্রেনীর পাঠক তারাও আসতো না এ কথাটিও চরম সত্য। আমি মনে হয় শুধু আমার দিকটিই চিন্তা করেছিলাম।

সাথে এটাও বুঝলাম যে বুঁড়ো হয়ে গেছি। পরিবর্তিত যুগের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে হবে এটাও বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ সবাইকে তাঁদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিটি তুলে ধরার জন্য। আলোচনা কখনো খারাপ হয় না যদি একে অন্যের মতামতের প্রতি সহনশীল হই এবং অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই। সচল থাকুন, সচল রাখুন।

আলমগীর এর ছবি

সাথে এটাও বুঝলাম যে বুঁড়ো হয়ে গেছি।

কবি বলেছেন,
আপনাকে বুড়ো বলে, বুড়ো সেই নয়
লোকে যাকে বুড়ো বলে, বুড়ো সেই হয়।

আপনি আমার একাউন্টে (লগইন করা অবস্থায়) গিয়ে দুইটা মমিন পড়ে আসেন।

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আমার যা বলার ছিল, স্বাধীন, হিমু, আলমগীর ভাই, হাতুড়ে ডাক্তার সাইফ তাহসিন, প্রকৃতিপ্রেমিক, ধূসর গোধূলি, ওয়াইল্ড স্কোপ, সুহান রিজওয়ান, সচল জাহিদ, দলছুট, পলাশ দত্ত, অচ্ছুৎ বলাইদা, এনকিদু, অনুপম ত্রিবেদি এবং আরো অনেকে তা বলে দিয়েছেন! হো হো হো
এখন কথা হইল যারা এত বড় কমেন্ট লিখতে পারছেন, তাঁরা নিশ্চয় আজকের মধ্যেই একটা কইরা পোস্টও দিতে পারবেন নীড়পাতায়!
লাঠি হাতে অপেক্ষায় আছি, একটা মাইরও মাটিতে পড়ব না কইলাম!
আমি কমেন্ট করছি, মাগার পোস্টও দিছি! এখন কন, কী করবেন! হাসি
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতিথি লেখক এর ছবি

ইশতিয়াক রউফ,নুরুজ্জামান মানিক,

এই পোষ্টদুইটায় দেখলেই এনকিদুর অসংযত মন্তব্যর কিছু নমুনা পাওয়া যাবে।
http://www.sachalayatan.com/udvranto_pothik/26786
http://www.sachalayatan.com/guest_writer/26789

যেমনঃ

"আর সত্যিই যদি কেউ আপনাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনিও কোন ভাবে প্রোভোক করেছেন । যথার্থ শালীনতা নিয়ে চলাফেরা, মেলামেশা করেননি বলেই লাই পেয়েছে ।"

"দেশে আসলে বিপদে পড়বেন ।

ভীষণ গরম । রাস্তায় জ্যাম, ধুলো, কাদা । আপনি চক বাজারের খাবারের ছবি যেরকম লোলুপ দৃষ্টিতে দেখেছেন রাস্তার লোকে আপনার দিকে সেরকম লোলুপ দৃষ্টিতে তাকাবে । আদিম অসংস্কৃত কামনার দৃষ্টি দিয়ে চেটেপুটে খাবে ।

চিন্তা করে বলেন, দেশে আসতে চান ?"

আরো আছে।দুঃখিত সেসব লিঙ্ক খুজে পেলাম না।

উদ্ভ্রান্ত পথিক এর ছবি

আপ্নের নিজের নাম লুকায় কথা বলতেছেন ক্যান? ভয় পান নাকি? চোখ টিপি ??
--------------------
আমার ফ্লিকার

---------------------
আমার ফ্লিকার

যুধিষ্ঠির এর ছবি

এই মন্তব্যটা উস্কানিমূলক মনে হলো। আপত্তি জানাচ্ছি। অতিথি লেখকের নামটা জানতে চাইলেই চলতো।

এ ধরনের প্রসঙ্গে সচলায়তনের অবস্থান পরিস্কার করে বলেছেন সাদা-মডু এই পোস্টে।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

নিষ্ঠা ও যত্ন দেখে আনন্দিত হলাম।

উদ্ধৃত প্রথম বক্তব্যটি নিয়ে সেই পোস্টেই অনেক আলোচনা হয়েছে, তাই সেই কাসুন্দি ঘাঁটলাম না আর।

দ্বিতীয়টিও প্রথমটির ধারা অনুসরণ করেই লেখা। বিষয়বস্তু নিয়ে আমার আপত্তি নেই কোনো, শুধু মন্তব্যের জবাবের পরিবর্তে সাধারণ বক্তব্য হিসেবে এটাকে দেখলে খুশি হতাম বেশি।

এবার অনুগ্রহ করে এনকিদুর ভালো কাজগুলোর নিদর্শনও হাজির করে ফেলুন দেখি। আপনি পারবেন, আপনার উপর আমার ভরসা আছে। চোখ টিপি

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

মাননীয় 'বিশেষ' অতিথি মহোদয়/দয়া অনুগ্রহপূর্বক 'জয়স্টিক' পোস্টটা শুধু পড়লেই হবে। বাকীটা কষ্ট করে খুজতে হবে না।

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

'অনুসন্ধান করো, পাবে...' - টেরেন্স পিনেরো

খাইছে

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।