বাংলাদেশে আগে কখনও কাজ করিনি আমি। আমার ২ মাসের ইন্টার্নশিপে অনেক কিছু শিখেছি, জেনেছি, চিন্তা করেছি। আজকের লেখাটা হবে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা/বিড়ম্বণাগুল নিয়ে।
# সবাই প্রথমেই জানতে চায় আমার দেশের বাড়ি কোথায়? আমি কিন্তু ঢাকায় মানুষ হয়েছি, তাই বলি ঢাকা। তখন মোটামুটি সবাই জানতে চায় আদিবাড়ি/ভিটা কই? অনিচ্ছায় উত্তর দেই বরিশাল ( stereotypeর জন্য)। কিন্তু এই বরিশালে আমি কখনও যায়নি, relate করি না, মোটামুটি সব আত্মীয়রা ঢাকাতেই থাকে।
# খুব ব্যক্তিগত প্রশ্ন করা খুবই নরমাল। মোটামুটি সবাই আমার বিয়ে হয়েছে কিনা জানতে চায় আর জানতে চায় আমার দেশের বাড়ি কই। আমি অবিবাহিত শুনলে মহিলাদের কাছ থেকে দুই রকমের response পাই: এক দল আমাকে বিবাহ সংক্রান্ত উপদেশ দেয় ( কাকে বিয়ে করবা, কবে করবা) আর আরেক দল পরিচিত "সুপাত্তের" কথা বলে।
# হয়তো এইটা খুবই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা (অন্যান্য মেয়েরা কি এর সম্মুখীন?)।আমার অফিসের পুরুষদের আমার কাছে খুব forward লেগেছে।এই ২ মাসে আমি যত ডেটে যাওয়ার ডাক পেয়েছি, তত সারা জীবনেই পায়নি। এর মাঝে বেশ কয়েকটা ছিল ঢাকার বাইরে overnight tripর ডাক।ভেবে পাইনা কিভাবে একজন পুরুষ যা কে আমি ১ দিন/সপ্তাহ/মাস চিনি, মনে করবে তার সাথে আমি রংপুর/সিলেট/কক্সবাজার যাব?
আমার এক বন্ধুকে বলার পর সে আমাকে বল্লো, তুমি তো দেশের বাইরে থাক, তাই ওরা না জানি কি ভাবসে তোমাকে?
আসলেই কি তাই?
সাজিয়া
shazia[dot]shahnaz@gmail.com
মন্তব্য
শুধু ওভার নাইট ট্রিপ??? আরো তো অনেক কিছুর অফার পাইলা... জাহাঙ্গির নগর... এই গুলা বললা না??
র আসলেই সারাজীবনেও এত ডেট এর অফার পাও নাই?????
ওই ফাজিল, ৩ লাইনের ইমেল করলা, আমি মনে করলাম তুমি খুবই ব্যস্ত, আর সচল পরার সময়ও পাও। তোমাকে পিটানো দরকার।
সাজিয়া
shazia[dot]shahnaz@gmail.com
সুপাত্ত কি ব্যঙ্গ করে বলা নাকি অনিচ্ছাকৃত ভুল।
আপনার অফিসের পরিবেশ খুব একটা ভাল বলে মনে হচ্ছে না। আমাদের মা-বোনেরাও তো অফিস-আদালতে চাকুরী করেন, কখনও কারো কাছেই তো এরকম বাড়াবাড়ি অভিযোগ শুনি নি।
বিয়া হৈছে কিনা? দেশের বাড়ি কোথায়? এসব সহ আরও নানান ব্যক্তিগত প্রশ্ন জানতে চাওয়া আমাদের দেশের লোকজনের রক্তের মধ্যে আছে। এটা নিয়ে অভিযোগ করে খুব একটা লাভ নাই। প্রথাগত ট্রেডিশন আর কাষ্টমসগুলোকে পরিবর্তন করা একটু শক্তই। এই প্রশ্নগুলো আমাদের যেমন মানুষ করে আমরাও তেমনি অন্যদের এগুলো করে থাকি।
......................................................
পতিত হাওয়া
সরি, ওইটা ভুল।
সাজিয়া
shazia[dot]shahnaz@gmail.com
১ নম্বরটায় আসলে অভিযোগ করা উচিত হবে না।সবাই ঢাকায় জন্মায়ও নি, বড়ও হয় নি। যেই কারণে আমাদের দেশের বাইরে আসলে বাংলাদেশের মানুষ দেখলে ভাল লাগে, সেই একই কারণে মানুষ জানতে চায় বাড়ি কই।
৩ নম্বরটার পরিস্থিতি ইদানিং আমার ঢাকার কর্পোরেট বন্ধুদের কাছে বেশ শুনতে পাই। তবে ডেটে যেতে বলাতে আমি খারাপ কিছু দেখি না। ওভারনাইট ট্রিপটাই সমস্যা।
আমিও দেখি না ডেটে যেতে বলাতে, কিন্তু বার বার যেতে বলা বিরক্তিকর। একজন তো না বলতে বলতে আমার মুখে ফেনা উঠে গেসে।
প্রথম প্রশ্নটা আমিও প্রচুর শুনি। অনুভূতিটা তোমার মতোই ছিলো এক সময়, তবে এখন খুব গর্ব করে বলি। আমি হয়তো সেখানে বড় হইনি, কিন্তু আমার মূল পতেঙ্গা-পোস্তাগোলা-ভূতেরগলি-মিরপুর না, ঐ গ্রামটাই। আব্বু খুব নিয়ম করে গ্রামে নিয়ে যেতো, সবার সাথে পরিচয় করাতো। এই সংযোগটা কতো জরুরী, তা আজকে বুঝি। শহরে আসাটাও তো এক ধরনের অভিবাসন। আমেরিকা এসেও তো শুনতে হয়, "অরিজিনালি" কোথা থেকে এসেছি। অনেকটা তেমনই এটা, তবে একটু ছোট ক্ষেত্রে।
দ্বিতীয় প্রশ্নটা তো ভালো! এমন প্রশ্নের চল না থাকলে আমার মতো লোকজনের হয়ে আত্মীয়েরা স্কাউটিং করবে কীভাবে?
তৃতীয় কথাটা ইদানীং খুব শুনি। অবাক এবং আতংকিত হই এগুলো শুনে। নীতিবোধ হারিয়ে যাচ্ছে। মানুষ কীভাবে এতো বেশি 'ফরওয়ার্ড' হতে পারে, সেটাই ভেবে পাই না। এই ব্যাপারগুলো এখন 'সিস্টেম'-এর অংশ হয়ে যাচ্ছে, এমনটা শুনে দেশকে চিনতে পারি না আর।
পরিশিষ্টঃ আমি কিন্তু রন্টির শ্বশুর বাড়ির মানুষ।
ভাইয়া, আপনার লেখা দেখে প্রথমে ভয়ই পেয়েছিলাম, না জানি কি বানান ভুল।
স্কাউটিংটা নিজে নিজে করলে হয় না?
সাজিয়া
shazia[dot]shahnaz@gmail.com
আমার ভাবমূর্তি এতই খারাপ? লেখা দেখেই বুঝতে পারছি যে অনেক রকম টাইপোর কারণ বাংলা কি-বোর্ড। সেজন্য বানান ধরলাম না এই মুহূর্তে। পরের বার মাফ নাই।
নিজে করতে পারলে/করলে ভালোই, কিন্তু সেটা তো বিভিন্ন কারণে হয়ে উঠে না। সাধারণ ভাবে বললে, একটা বয়সের পর বিয়েশাদি নিয়ে আমাদের সমাজের বয়স্কমহলে কেমন যেনো একটা উৎসাহ কাজ করে। অনেকটা ধর তক্তা, মার পেরেক অবস্থা। অবশ্য, এর বাইরে পথও তো কম। অনেক ক্ষেত্রেই এটা প্রয়োজন থেকেই তাড়িত।
ইশতি ভাই বোধহয় দেশে অনেকদিন ধরে নাই - দিন অনেক বদলে গেছে। আপনাকে একটা হাইপার ডোজ ডেটিং ঢাকাই ইউটিউব ভিডিও পাঠামু চিন্তা করছিলাম (বিদেশের সাথে কুনু পার্থক্য পাবেন না, তাও আবার ভিডিও করে আপলোড করা) - পরে ভাবলাম ভিমরি খেতে পারেন,
[×××]
মন্তব্যকারীর অনুরোধের প্রক্ষিতে এই মন্তব্যের কিছু অংশ মুছে দেওয়া হল।
আপনে বেশ সহি সালামতেই আছেন, দুনিয়া আরো বহুত আগাইছে... আপনার বর্ণনাটুকুই যদি হয় তাইলে আপনার অফিসের লোকগুলো এখনো অনেক ভালো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হতে পারে।
সাজিয়া
shazia[dot]shahnaz@gmail.com
লেখাটা পড়ে নানা প্রশ্ন মনে এলো।
কিন্তু খানিক অপেক্ষা করি, হয়তো অন্যরা ইতিমধ্যে প্রশ্নগুলো করে ফেলবে।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কী প্রশ্ন?
সাজিয়া
shazia[dot]shahnaz@gmail.com
আপনার গত কয়েকটি লেখা পড়েছি আমি।
কিছু কিছু জিনিস আমার কাছে খুব কৌতুহলোদ্দীপক মনে হয়েছে।
আপনার লেখা থেকে যতটুকু বুঝতে পেরেছি, আপনি বাংলাদেশেরই মানুষ। ঢাকায় বড় হয়েছেন।তারপর কোন এক সময় আপনি বিদেশে চলে এসেছেন।
তাই কি?
ধরে নিচ্ছি আমার ধারণা সত্যি। তাহলে আমার দ্বিতীয় অনুমান হলঃ আপনি খুব ছোট থাকতেই বাইরে চলে গেছেন। কেন এমন ধারণা হল? কারণ হল আপনার প্রশ্ন গুলো। আপনি যে ব্যক্তিগত অস্বস্তিগুলোর কথা বললেন এর কোনটাই কিন্তু তাজ্জব হওয়ার মত কিছু নয়। আপনি যদি বেশ খানিকটা সময় দেশে কাটাতেন,শৈশব বা কৈশোরের বড় কিছু অংশ, তাহলে আমি নিশ্চিত, এইরকম অস্বস্তিকর প্রশ্নগুলোর সাথে আপনার একটু হলেও পরিচয় থাকত।
আপনার প্রশ্ন দেখে মনে হয়েছে এর বিপরীত কিছু।
এইখানেও কি আমার ধারণা সত্যি?
আমি যদি ধরেই নিই আমার উপরের ধারণাগুলো সত্যি--তাহলে আপনাকে অন্তত একটা ক্ষেত্রে সাধুবাদ দিতেই হবে। সেটা হল আপনার বাংলা লেখার ক্ষমতা। আমার ধারণাগুলো সত্যি হলে আপনি খুব ছোট থাকতেই দেশের বাইরে চলে গেছেন। আর এই রকম প্রবাসী শিশুদের পক্ষে সাধারনত বাংলায় পড়া/লেখা করা বা অভ্যাস চালিয়ে যাওয়া সহজ সাধ্য নয়। তাই আপনি সাধুবাদ পেতেই পারেন।
এবার সরাসরি আপনার আজকের লেখার প্রসঙ্গে চলে যাই।
----হ্যাঁ, এইটা সত্যি যে, এখানে লোকজন "আপনার বাড়ি কোথায়" জাতীয় প্রশ্ন করতে ভালবাসে। আমার মনে হয়---এইটা আমার দেশের মানুষের সরলতার একটা অংশ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের এই কৌতুহল, নিছক কৌতুহল---এর বেশি কিছু না। কেন এই কৌতুহল? মূলত গৎবাঁধা শ্রেণীকরণ(Stereotyping) এর সুবিধার্থে।'ঢাকার লোকেরা এইরকম' বা 'নোয়াখালীর লোকেদের ঐরকম অভ্যাস আছে'---এই জাতীয় ধারণাগুলো
আমরা সবাই কমবেশি মনের মাঝে পুষি। এতে আমাদের 'মনে হয়' যে আমরা চট করে নতুন মানুষটাকে চিনে ফেলতে পারব। এই গৎবাঁধা শ্রেণীকরণ পৃথিবীর সব জায়গায় হয়।
---আপনার দ্বিতীয় অভিজ্ঞতাটা, আমার মনে হয়, প্রথম অভিজ্ঞতার সম্প্রসারণ।আবারো সেই কৌতুহল! যখনই কেউ জানবে যে আপনি অবিবাহিতা সাথে সাথে দুইটা ঘটনা ঘটবে----প্রথমতঃ একটা নির্দিষ্ট বয়েসের
বেশি পর্যন্ত কেউ অবিবাহিত থাকলে আমাদের দেশে খুব একটা ভাল চোখে দেখা হয় না আর দ্বিতীয়তঃ অনেকের মনে তখন 'পরোপকারী' ভাব জাগ্রত হয়। ভাবটা অনেকটা এমন---আহা রে বেচারী, বিয়ে-থা করেনি। দেখি ওর কিছু গতি করা যায় কি না--- এই জাতীয় ব্যাপার। নিঃসন্দেহে মহৎ উদ্যোগ। শুধু যে জিনিসটা আমরা ভুলে যাই সেটা হল, এইরকম অত্যন্ত ব্যক্তিগত বিষয়ে নাক গলানোটা এক ধরণের অভদ্রতা। আমাদের দেশে এইটা হরদম হচ্ছে এবং এটাকে আসলে খুব একটা খারাপ চোখে দেখা হয় না।
ঠিক এইরকম না হলেও, বেশ কাছাকাছি ধরনের একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। কিছুদিন আগে নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলাম। বেড়াতে নয়। দেশ থেকে আমার এক আত্মীয় এসেছেন। তার সাথে দেখা করতে যাওয়াটাই মূল উদ্দেশ্য। গৌন উদ্দেশ্য---বাজার করা। যাই হোক। সেই আত্মীয়ের সাথে আড্ডা দিচ্ছি। এক পর্যায়ে তিনি আমাকে এক ঘর ভর্ত্তি লোকের সামনে জিজ্ঞেস করে বসলেন--আমি বেতন কত পাই। এতখন বিভিন্ন লোকজন বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বলছিলেন। এই প্রশ্নটা উত্থাপিত হতেই সবাই যার যার কথা থামিয়ে আমার দিকে উৎসুক নয়নে তাকিয়ে রইলেন---যেন আমি বেতন কত পাই এইটে জানা তাদের জন্যে খুব জরুরী। কিছুখন চুপ করে থেকে আমি বলেছিলাম, এইরকম জিজ্ঞেস করাটা শোভন নয় এবং আমি এর জবাব সঙ্গত কারণেই দিচ্ছি না। সারাটা ঘরের লোক হো হো করে হেসে উঠল----যেন আমি কোন এক ভীষন হাসির কথা বলেছি।
-----আপনার তৃতীয় অভিজ্ঞতাটা,মানতেই হচ্ছে, আমার কাছেও অভিনব। আমি প্রায় নয় বছর দেশ ছাড়া। এর মাঝে অনেক কিছু পালটে গেছে। এবং সেইটাই স্বাভাবিক। আমি নিশ্চিত না এইভাবে ডেট চাওয়াটা কতটুকু বাঙ্গালী সামাজিকতার অংশ হয়ে উঠেছে। কিন্তু এইটুকু জানি---এই ধারণাটি নিঃসন্দেহে নতুন।
যাক, অনেক বড় মন্তব্য করে ফেললাম।
ভাল থাকবেন।
শুভেচ্ছা রইল।
আমি ফেসবুকে ভার্চুয়াল হ্যাঙআউটের দাওয়াত পাই।
বাড়ি কোথায় জানতে চাওয়াটা মনে আমাদের এখানে খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। দেখবেন, বাড়ি কোথায় বলার পর যদি দেখে তার নিজের এলাকার লোক, তাহলে আপনার আব্বার দাদা কে তা জানতে চাইবে। তাদের সাথে একটা সম্পর্কসূত্রও আবিস্কার করতে চাইবে। আমার এক বন্ধু আছে, সে রিক্সা চড়ার আগে রিক্সাওয়ালার বাড়ি কোথায় জানতে চায়। রিক্সাওয়ালার বাড়ি উত্তরবঙ্গে হলে তাকে ভাড়া বেশিই দেয়।
..............................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
১# এই প্রশ্নটা মনেহয় খুব কমোন। আমার উত্তর ডিপেন্ড করে প্রশ্নটা কে করছে। যেমন বাঙ্গালী কেউ হলে বলি 'বগুড়া' আবার অফিসে কলিগরা বললে বলি 'বাংলাদেশ' আবার ইন্টারন্যাশনাল কেউ হলে বলি 'অসি'। একটা ব্যাপার আমার বেশ অনেকবার হয়েছে প্রথম পরিচয়ে বাঙ্গালী কেউ হলে ভাবে আমি হয়তো বাংলাদেশ থেকে নতুন এসেছি আবার অসিরা প্রথম পরিচয়ে ভাবে আমি মনেহয় এখানে বর্ন। উত্তর শুনে বাঙ্গালী যেমন অবাক হয় তেমন অসিরাও।
আর আমি বগুড়া গ্রামে গিয়েছি অনেকবার। আমার বাবাও ছোটবেলায় বছরে একবার গ্রামে নিয়ে যেত নিয়মকরে। এখন মনেহয় এটা আসলেই অনেক দরকার ছিল। আমার অরিজিন, বাবার ছেলেবেলা এসব জানার অনেক দরকার ছিল।
২# এব্যাপারটা আমার খুব একটা হয়নি। হয়ত কারন এখানে প্রায় সবাই আমার পরিচিত। হাতে গোনা কয়েকবার এ প্রশ্ন পেয়েছি অপরিচিতের কাছে। তবে বিয়ে নিয়ে লেকচার দেয়নি কেউ বা আমার কাছে কারো এডভারটাইস করেনি, পরে আম্মুর কাছে করেছে হাহাহাহাহা।
৩# দেশে যদি এমন হয় তাইলে কি আর বলব। আমি কয়েকবছর আগে ঠিক করেছিলাম দেশে চলে আসব আর ঢাকায় কোনো কম্পানিতে চাকরি করব। কিছু বন্ধুদের বলেও ছিলাম এটা ওটা ইনফরমেশনের জন্য। সবাই ব্যপারটা ডিসকারেজ করেছিল। এটাই বলেছিল যে এখানে অনেক জায়গায় পরিবেশ ভাল না তুমি চাকরি করতে পারবানা। এখন আপনার কথা শুনে মনেহচ্ছে এর চেয়ে আমার সিডনিতে কলিগরা এক হাজার গুন ভাল, সবাই ভাল বন্ধু। হয়ত এখানে হ্যারাসমেন্টের 'ল অনেক স্ট্রিক্ট হওয়ার জন্যে কেউ এমন করেনা। আমি যত ইন্টার্নশিপ করেছি, যত জায়গায় কাজ করেছি কোথাও এমন 'অড' পরিবেশ দেখিনি। তবে এটা খেয়াল করেছি আমি সবার কাছে সবকিছুতে যতটা সাহায্য পেয়েছি আমার সাথের ছেলে কলিগরা ততটা পায়নি। এখন আমি মেয়ে বলেই এমন হয়েছে তা নাও হতে পারে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
৩ নাম্বার পয়েন্টটায় একটু বলি।
আমার মনে হয় না অ্যাভারেজ বাংলাদেশী অফিসগুলোতে ৩ নম্বর পয়েন্টটার চর্চা খুব একটা বেশি আছে। এই লেখায় যেটা উঠে এসেছে সেটা দু'-একটা অফিসের হয়ত বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতে পারে এবং এটার পিছনে আরো কয়েকটা ফ্যাক্টর কাজ করতে পারে সেগুলো সরাসরী না বললেও বুদ্ধিমান পাঠকের পক্ষে অনুমান করে নেয়াটা কঠিন নয়। এই বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোকে "এটাই বলেছিল যে এখানে অনেক জায়গায় পরিবেশ ভাল না তুমি চাকরি করতে পারবানা " বলে জেনারাইজ করা মনে হয় খুব একটা ঠিক হবে।
......................................................
পতিত হাওয়া
১, ২ তে আমি কোন আপত্তি করার মত কিছু দেখছি না । আমাকে কেউ আমার 'দেশের বাড়ি' কোথায় জিজ্ঞেস করলে আমি ফলাও করে আমার শৈশবের গল্প শোনাই । আমার বাপের শৈশবের গল্প যদ্দূর জানি সেগুলো শোনাই । তারপর আমার দাদারটাও শোনাই । এর বিনিময়ে আমিও এক গাদা গল্প শুনতে পাই । জীবনটা বড়ই আনন্দের
৩ নং এও আমি কোন আপত্তিকর কিছু দেখলাম না । এখানে কুপ্রস্তাবের কি আছে আমি বুঝলাম না । অন্তত লেখা পড়ে যা মনে হল, আপনাকে আমন্ত্রন জানান হয়েছিল । কোন রকম জোর জবরদস্তি করা হয়েছিল বলে তো মনে হলনা । আপনার পূর্ণ অধিকার ছিল "না" করার, আপনি হয়তো করেছেনও । ব্যস সব মিটে গেল ।
আর আপনি নিজেই তো একটু আগে ইশতিয়াক রউফের মন্তব্যের জবাবে লিখেছেন,
চিন্তা করে দেখুন, এটাই কিন্তু নিজে করা স্কাউটিং ।
আর সত্যিই যদি কেউ আপনাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনিও কোন ভাবে প্রোভোক করেছেন । যথার্থ শালীনতা নিয়ে চলাফেরা, মেলামেশা করেননি বলেই লাই পেয়েছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
সহমত।
সাজিয়া, তিননম্বরে একটু আপত্তি আছে। এখন পর্যন্ত বহু জায়গায় আমি ও আমার বান্ধবীরা কাজ করেছি, পার্ট টাইমার হিসেবে। প্রথমবারে একটা বিশ্রী অভিজ্ঞতা হয়েছিল, এরপরে কখনও হয়নি। এগিয়ে এসেছে, কথা বলেছে, আমিও হেসে উত্তর দিয়েছি। সেই হাসিটুকুই যথেষ্ট ছিল অগ্রসরকারীকে ঐখানে থামিয়ে দিতে, তাই কেউ আমাকে কখনও কোথাও যাবার কথাও বলতে পারেনি।
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আর সত্যিই যদি কেউ আপনাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনিও কোন ভাবে প্রোভোক করেছেন । যথার্থ শালীনতা নিয়ে চলাফেরা, মেলামেশা করেননি বলেই লাই পেয়েছে ।
এইটাতেও সহমত?
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
নাহ! সহমত হলে বাকিটুকু লিখতাম না। আমি লিখেছি ৩ নম্বর বিষয়টাতে আমার মতামত। বাকি দুটোতে কদু ভাইয়ের সাথে আমি একমত।
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
কী আশ্চর্য টাইমিং। আমি প্রশ্ন করতে করতেই দেখি কিংকু চৌধারির প্রশ্নে উত্তর দিয়েছেন।
যদিও কীভাবে মন্তব্য করবেন সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার, নাক গলানো অনধিকার চর্চা। তবু একটু বিস্মিত হয়েছি, তৃতীয়টাতে একমত না হলে, কেন এই অংশটুকুর প্রতিবাদ করেন নি !
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
তবু একটু বিস্মিত হয়েছি, তৃতীয়টাতে একমত না হলে, কেন এই অংশটুকুর প্রতিবাদ করেন নি !
আমিও ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
এক। আলসেমী, দুই। ঐযে পুরুষতান্ত্রিকতা, এধরনের 'মেয়েরা রেপড হবার জন্য ঘুরে বেড়ায় বলেই রেপড হয়' জাতীয় কথা আর ভালো লাগেনা...
আলসেমী ঠিক না, আমি আপাতত দুইখান চরম রোগে ভুগছি, প্যারাটাইফয়েড আর হেমোরিজিক ডেঙ্গু। মাথামুথা ভালই আউলা, তাই এতকিছু খেয়াল করা হয়নি।
---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ও এই জন্যই কি আজকাল দুষ্টামি পোস্ট দেখিনা ?
কিছুদিন পরেই একটা রোগশোকের অভিজ্ঞতার পোস্ট পাব মনে হচ্ছে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কদু, তোমার কমেন্টটা দেখে আমার বড়ো খালুর কথা মনে হলো। উনি বলেন, মেয়েরা রেপড হয় নিজের দোষে। যেইসব মেয়েরা ঢেকেঢুকে শালীন জামাকাপড় পরে না, তাদের সাথেই ছেলেরা এরকম করতে সাহস পায়। কই, আমাদের মতো পরিবারের মেয়েরা যারা যথার্থ শালীনতা নিয়ে চলাফেরা, মেলামেশা করে, তাদের সাথে তো কখনও এরকম হয় না?
তবে সাজিয়া আপার তিন নাম্বার পয়েন্টটা আমার কাছেও অদ্ভুত লাগলো। আমার গত দেড় বছরের কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলে। সবচেয়ে ভালো বন্ধুদের এখানেই পেয়েছি। এবং মানুষজন যতোটা সম্মানের সাথে ট্রিট করে তাতে আমার আত্মবিশ্বাস ছাত্রজীবনের চাইতে অনেক বেড়েছে ছাড়া কমেনি।
তোমার খালুর পরিবারের মেয়েরা কি নিনজা ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হুঁ। হিন্দু পরিবারে যতোটুক হওয়া সম্ভব।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
মানিক ভাই নিনজা মানে বোরখা পরা না। নিজস্ব সামাজিক গন্ডির বাইরে তেমন একটা মেলামেশা একদমই করেনা, এ'রকম।
খন্দকার তো একদম মনের কথা বলে দিলেন
অন্যান্য ব্যাপারে জানি না। তবে কর্মক্ষেত্রে মেয়েরা প্রভোকিং না হলে বারবার কু-প্রস্তাব দেয়া অসম্ভব পর্যায়ে পড়ে, আর যদি কর্মস্থানটি আন্তর্জাতিক মানের হয়, তবে তো লিগ্যাল অ্যাকশন, ফায়ারিং বহুকিছু হওয়ার কথা।
আমারে কর্মক্ষেত্রে কোন মেয়ে কোন (সু অথবা কু)প্রস্তাব দেয়না কেন ? আমি কি দেখতে বেশি খারাপ ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কর্মক্ষেত্রে মেয়ের সংখ্যার উপরে এটা নির্ভর করে। যদি রেশিও হয় ১০:১, তাইলে আপনের বেইল নাই।
রেশিও কত হইলে আমার বেইল থাকবে ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
উল্টায় দিলে
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
গার্লস কলেজের টিচার হব
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
কদু ভায়া, আমি কিন্তু ছেলেদের কুপ্রস্তাব দেওয়ার দায় কোনো অবস্থায়ই মেয়েদের উপর দেওয়ার পক্ষপাতী না। সামনে দিয়ে যদি স্বল্পবসনা কেউ হেঁটে যায়, তবে একজন ব্যাক্তিত্ববান পুরুষের উচিত নিজের চোখ সরিয়ে নেওয়া, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা। অশিক্ষিত, নিরক্ষর কেউ এর ব্যত্যয় করলে মানায়, কিন্তু কোনো বড় কোম্পানির কেউ করলে মানায় না।
'বিদেশ' নিয়ে মানুষের খুব ভুল একটা ধারণা আছে। হলিউড মুভি আর পর্ন দেখে দেখে লোকজন ভেবে বসে যে পিৎজা গাই ঘরে ঢুকলেই দুই মিনিট পর ধুন্ধুমার অ্যাকশন শুরু হয়ে যায়। এটা খুব ভুল ধারণা। এদেশে স্কুল-কলেজ পর্যায় থেকেই কাপড়-চোপড় নিয়ে অনেক নিয়ন্ত্রণ আছে, ইউনিভার্সিটিতে উঠার পরও বাসার লিজে শপথ করতে হয় অবিবাহিত ছেলে-মেয়ে রুমমেট হিসেবে না থাকার, ইত্যাদি। ছবিতে যেমনই দেখাক না কেন, বাইরের (অন্তত আমেরিকার বেলায়) সমাজগুলো অনেক বেশি রক্ষণশীল। কোনো কোনো দিকে হয়তো বাংলাদেশের চেয়েও রক্ষণশীল। এটা ঠিক যে অনেক প্রবাসিনীই দেশে গিয়ে একটু বেখাপ্পা রকম খোলামেলা থাকেন। তবে অন্তত এই লেখিকার ক্ষেত্রে জানি যে ঘটনা তেমন না।
সাধারণ ভাবে কর্পোরেট দুনিয়ায় যথেচ্ছাচারের গল্প শুনি অনেক। মোবাইল ফোন/সিমের ব্যাপক বিস্তারের পর থেকে মানুষ অনেক "ফরওয়ার্ড" হয়ে গেছে, এটাও সবাই-ই জানি। তার উপর বিদেশিনী। এগুলো মিলিয়েই আমাদের বান্ধবী-আত্মীয়াদের চেয়ে সাজিয়ার দিকে মনোযোগ বেশি গিয়ে থাকতে পারে। একই সাথে, বাইরে থেকে আসায় ওর কাছেও ব্যাপারটা অনেক বেশি দৃষ্টিকটু লেগেছে। ঠিক যেমন বাইরে থেকে দেশে ফিরে আমার জন্য ৬০-এর কোঠার দারোয়ান/পিয়ন উঠে দাঁড়ানো দেখে আমার চোখে লাগে।
হয়তো একই কিংবা কাছাকাছি বিড়ম্বনা অন্যদেরও ছিলো, কিন্তু গা সয়ে গেছে দেখে আলাদা করে চোখে পড়েনি।
অভি ভায়া, [ব্যাক্তিত্ববান --> ব্যক্তিত্ববান]
এই ভুলটা আরও দেখবা। এটা আমার মুদ্রা-ভুল বলতে পারো। কত্ত বার যে অভ্যাস ঠিক করার চেষ্টা করেছি!
সহমত।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
ইশতিয়াক ভাই, আমরা কিন্তু নিজের অজান্তেই অনেক রকম আজগুবি জালে জড়িয়ে থেকে কাটিয়ে দেই সারাজীবন । পুরুষতান্ত্রিকতা সেরকমই একটা জাল । আপনার কথার ভেতর থেকেই একটি নমুনা দেখাচ্ছি । তার আগে বলে রাখি আপনার মন্তব্য থেকে তুলে নিচ্ছি কথা গুলো শুধুই পরিষ্কার করে "নিজের অজান্তে" অংশটার উপর আলোকপাত করার জন্য । আর কোন উদ্দেশ্য নাই ।
এই যে নীতিটার কথা বললেন, এইটাও কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক চিন্তাভাবনা থেকে গজিয়েছে । শিভালরি । মধ্যযুগে উইরোপে নাইটরা শিভালরির চর্চা করতেন । এটাকেই বলা হত আদর্শ পুরুষের আচরন । নারীকে অনেক দূরের একটা আধ্যাত্নিক কিছু বানিয়ে রাখ । নারীকে একজন পুরুষের মতই মাটির পৃথিবীর মানুষ বলে মনে করা যাবে না । বুদ্ধিমানের জন্য ইশারাই যথেষ্ট, তাই মন্তব্য লম্বা করার প্রয়োজন বোধ করছিনা । অন্য প্রসঙ্গে যাই ।
---
আমি বোকা হইতে পারি, কিন্তু খাবার জিনিসের সাথে মাখামাখি করার দৃশ্যগুলো মোটেও পছন্দ করিনা । আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন পিৎজা গাইয়ের পর্ন দেখে আমি বিদেশ সম্পর্কে ধারনা নেই না ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ইশতি, আপনি কর্পোরেট যথেচ্চাচারের গল্প শুনেছেন অনেক। কিন্তু বাস্তব ঘটনা কয়টা শুনেছেন, এ বিষয়ে আমি সন্দিহান। গত ৫ বছরের 'করপোরেট অভিজ্ঞতা'র আলোকে এটুকুই বলতে পারি, এ জাতিয় অভিযোগ আসার সাথে সাথে অ্যাকশন (বাংলা মনে আসছে না) নেয়া হয়। আমার পূর্বের লোকাল বা বর্তমানের বহুজাতিক কোম্পানিতে এ বিষয়ক ৩টা ঘটনা দেখেছি। একটা সংস্থায় পাঁচশ থেকে হাজারের মতো কর্মী থাকে, এবং এর মাঝে দুষ্ট লোক থাকতেই পারে। সে কারনে ঢালাও ভাবে অভিযোগ অন্ততঃ আমি মানতে নারাজ।
স্বল্পবসনা'র ব্যাপারে আসোলে বলার কিছুই নাই। আবার এটাকে নিজস্ব পছন্দের ব্যাপার বলে সম্পূর্ণ ছাড় দিতেও আমি রাজি না। দেশীয় সংস্কৃতির সাথে না মিলিয়ে যদি চলতে ইচ্ছুক না হয় কেউ, তাকে এরকম সমস্যাতে পড়তে হতে পারে। বরং আমি খন্দকার এনকিদুর কথাকেই সমর্থন জানাবো।
পর্ণের ব্যাপারে একটাই বলার আছে। ওটা একটা গ্লোবাল ভাষা ও আচরনের জিনিস
। ওটাকে কোনো দেশের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখাটা ঠিক না।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
এই অংশটুকুর সাথে একমত হতে পারলাম না।
এনকিদুর মন্তব্যের শেষের অংশের সাথে আমি চূড়ান্তভাবে দ্বিমত।
আরেকটা কথা দেশীয় সংস্কৃতি বস্তুটা আসলে কী ? এর সীমানা কে নির্ধারণ করে? কতোটুকু পর্যন্ত দেশীয় সংস্কৃতি আর এর বাইরে বিদেশী সংস্কৃতি?
আর সমস্যায় পড়তে হতে পারে মানে কী, তাও বুঝতে পারলাম না। কেউ যদি খোলামেলা পোশাক পরে, তবে তাকে কোনধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ প্রস্তাব দেওয়া জায়েজ ?
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আমার মন্তব্যের এই শেষের অংশের সাথে দ্বিমত কেন ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আরে বোকা ! এই অংশের সাথে দ্বিমত না। তোর প্রথম মন্তব্যের শেষ অংশের সাথে দ্বিমত।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
মামুন ভাইয়ের সাথে একমত। আলটপকা মন্তব্য করে ফেঁসে গেছো।
আমিও মানি যে আমার চিন্তাটা পুরুষতান্ত্রিক। সেই সাথে এটাও মানি যে পুরুষতান্ত্রিকতা পুরোপুরি তুলে দিতে হলে এধরনের কিছু চিন্তারও বিয়োগ ঘটাতে হবে।
শিভালরি সহ আরও অনেক ধারণা পৃথিবীতে এসেছে বিভিন্ন কারণে। কী কারণে এসেছে, সেটা নিয়ে বেশি ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লে প্রকৃত কাজ হবে না। জীবে দয়া করা, অনাহারীকে অন্ন দেওয়া, বিপদগ্রস্তকে সাহায্য, ইত্যাদি অনেক কিছুই প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মের বিপক্ষে যায়। প্রকৃতিতে দুর্বলের স্থান নেই, মানবসমাজে আছে।
এই কথায় মেয়েদের "দুর্বল" বলছি বলে মনে হতে পারে। হয়তো সেই চিন্তা থেকেই তুমি বলছিলে যে আমার চিন্তাটাও পুরুষতান্ত্রিক। আমি যেই সংজ্ঞা মেনে বলছিলাম তা হলো, যোগ্যতায় সমকক্ষ হলেও চাকরিক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম বাস্তবতা বিচারে (সংখ্যায় কম, সামাজিক স্টিরিওটাইপ, ইত্যাদি) মেয়েরা "দুর্বল"ই তো। একে ভারসাম্যে আনতে বিভিন্ন রকম প্রয়াস প্রয়োজন। আদর্শবান পুরুষদের উচিত সদাচার প্রতিষ্ঠা করা, মেয়েদের উচিত নিজের প্রতিরক্ষায় নিজেই এগিয়ে আসা (যার দারুণ কিছু উদাহরণ বালিকা আর অন্দ্রিলা দিয়ে গেলো), যেকোনো রকম অসদাচরণের বিপক্ষে অভিযোগ করা, ইত্যাদি।
মাটির মানুষই মনে করি আমিও, কিন্তু মাটিরই পৃথিবীতে অনেক শ্বাপদ ঘোরে, সেটা ভুলতে পারি না।
আমাদের অপছন্দে অমিল নেই কোনো।
উদাহরণটা ফ্রেন্ডস থেকে নেওয়া। ইদানীং লোকজন খুব জোয়ি হতে ব্যস্ত তো, তাই বলা।
বুঝেই বলেছিলাম, নিচে সাজিয়ার মন্তব্যের জবাব দেখেন ।
--
জোয়ি কি ? ক্যাঙ্গারুর ছানা ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ইশতির মন্তব্যে
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
বাংলায় জবাব দিতে পারলাম না আপনার কমেন্টটা পড়ে। যদি সামনা সামনি থাকতেন, হয় তো ঝরের বেগে অনেক কিছু শুনিয়ে দিতাম।
Reading your comment made me quite upset, angry, and seriously disappointed. It reeks of patriarchy, it really does. Why must I act/dress/walk/talk a certain way? Why are you trying to hide the fact that we have created an environment around that us that is deeply disrespectful to women? You probably know of cases of eve-teasing, harassing women over the the phone and net, right? And then, why are you assuming that [i]I provoked them? What does this provoking actually mean? Do you think the girls that get harassed are provoking the eve-teasers? Why are you just only pointing yours finger at me, why do you fail to see the 'fault' with men/system?
And no it is not over. Yes, [i]I said no to one guy and then he keep repeatedly asking me out. [b]By saying ব্যস সব মিটে গেল you are discrediting my experience, as if it is an trivial matter. It is because of this attitude of people and society, so many cases of sexual harassment are under-reported.
সাজিয়া
shazia[dot]shahnaz@gmail.com
রয়েসয়ে। মাথা গরম করতে নাই। বাংলা এত ভালো লেখো, সেটা ছেড়ে মুহূর্তে ইংরেজিতে নেমে গেলে চলে?
কথাগুলোর সাথে যে আমি একমত, সেটা তো বলা বাহুল্য। সামাজিকতা, ভয়, ইত্যাদি অনেক রকম কারণে অনেক অ্যাবিউজ নিয়ে কেউ অভিযোগ করেন না। এর ফলে আমরা সভ্যতার একটা ভ্রান্ত ধারণা পেয়ে থাকি প্রায়ই। বেনামে হলেও অভিযোগ করা উচিত। সমস্যা হলো, এ-ধরনের অভিযোগের ক্ষেত্রে খুব একটা গোপনীয়তা রক্ষা করা হয় বলে জানি না। দেখা যাবে উলটা পুরা অফিসে আড্ডার খোরাক হয়ে গেছে!
বেশি কড়াকড়ি করলে আমার মতো ফাজিলদের জন্য সমস্যা, তবুও এসব ব্যাপারে শক্ত থাকা উচিত। বিদেশে কেউ ঠাট্টাচ্ছলেও এরকম কিছু করা এজন্যই নিষিদ্ধপ্রায়।
বিরাট জম্পেশ ইংরেজি মন্তব্য ! কিন্তু জবাবে মাত্র দুটি কথা ।
---
১
আমার ঐ মন্তব্যের শেষে ঐ লাইনদুটি ছিল বলেই আপনি অনেকগুলো জরুরী কথা বলেছেন যেগুলো এর আগে কোন মন্তব্যে বা মূল লেখাতেও বলেননি । এই কথা গুলো করে আনার জন্য এই দুটি লাইন দরকার ছিল, তাই অনেক গালাগাল খাওয়ার ঝুঁকি নিয়েও লাইনদুটি লিখছি ।
আপনি কিন্তু আপনার মূল লেখায় এই কথা বলেননি । একজন আপনাকে বার বার ঘুরিয়ে ফিরিয়ে "আয় যাইগা" মার্কা কথা বলেছে - একথা মূল লেখায় থাকলে কিন্তু লেখার ঐ অংশের অর্থ এবং আবেদন অনেকটাই বদলায় । সবকিছু ঠিকমত খুলে না বলাও কিন্তু ভুল । ভুল কথা বললে ভুল প্রতিক্রিয়া কিন্তু আসতেই পারে ।
তারপরেও বলি, আপনার অভিজ্ঞতাকে খাটো করার উদ্দেশ্য আমার নেই । আমি নিজের বিশ্বাস থেকে ঐ লাইনদুটি লিখিনি, লিখেছিলাম একটা বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে । ঐ লাইনদুটি যেই উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা হয়েছিল, তার আংশিক সফল হয়েছে তাই আমি ঐ দুটি লাইনের কথাটা ফিরিয়ে নিলাম । আংশিক সফল বলছি কারন আমার ধারনা আপনি এখনো সব কথা পরিষ্কার করে বলেননি । তবে আপনি যে সব কথা একবারে বলেননা, এবং আপনার মূল লেখা পড়ে পুরোটা বুঝা যায়না এই ব্যাপারে নিশ্চিত হলাম ।
আর সবার মত পুরুষতান্ত্রিকতাকে গালি পেড়ে তারপর কয়েকটা মিষ্টি কথা শুনিয়ে দিলে এই মন্তব্যটা আপনার হাত দিয়ে বের হতনা, অনেক কিছুই আমাদের অজানা রয়ে যেত ।
---
২
আপনি কি নিশ্চিত, সচেতন একজন নারী হয়েও আপনি নিজের অজান্তেই পুরুষতান্ত্রিকতা কে পশ্রয় দিচ্ছেননা, বা তার পক্ষাবলম্বন করছেননা ? আমি খানিক আগেই ইশতিয়াক রউফের একটি মন্তব্যের জবাবে শিভালরির প্রসঙ্গটা উল্লেখ করেছি, তাই এখানে শুধু তার নামটা উল্লেখ করছি ।
আপনি নিজেই কিন্তু আজকে উদ্ভ্রান্ত পথিকের একটা ব্লগে লিখেছেন দেশে আসতে ইচ্ছে করছে । দেশও কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক ধারনার ফসল ।
আপনি নিজেই এই পোস্টে একবার বলেছেন নিজে নিজে স্কাউটিং করলে ভাল হত । চিন্তা করে দেখুন, যেই লোকগুলো আপনার সাথে বিকেলে এক কাপ চা অথবা কফি পান করতে চেয়েছিল, তারা কিন্তু নিজেরাই স্কাউটিং করছিল । সবাইই কি আপনার কাছে এসে রংপুর/কক্সবাজার যাওয়ার বায়না ধরে ঘ্যান ঘ্যান করে আপনার মাথা খারাপ করে দিত ? আপনি কিন্তু সবাইকে এক কাতারে ফেলে পুরুষতান্ত্রিকতার গালি দিয়ে দিলেন ।
আমাদের সবার মধ্যেই এই প্রায় মিলিওন খানেক বছর ধরে চলে আসা পরুষতান্ত্রিকতা বসে রয়েছে, নারী পুরুষ সবার মধ্যেই । চেষ্টা করলে এখানে যতগুলো মন্তব্য আছে সবার মন্তব্যথেকে কিছু কিছু পুরুষতান্ত্রিকতার ভুত চিহ্নিত করে দেয়া সম্ভব । এর মানে এই না যে এখানে সবাই পুরুষতান্ত্রিকতার দালাল । সবাই নিজের অজান্তেই এই জালে বন্দী ।
---
দুটি কথা শেষ । ভাল থাকবেন ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
The idea of nation-state is quite a recent phenomenon, তাই না? আর এইটার arbitrary nature নিয়ে কখনও চিন্তা করেন? এই যেমন বাংলাদেশ, আগে কি কি দেশ ছিল?
পুরুষতান্ত্রিকতা সবখানেই আছে, আছে মানেই যে সেটা ঠিক, তাই কি?
এই জাল তো ভাংতে হবে, তাই না?
সাজিয়া
এনকিদুর কমেন্টটায় আপত্তি জানালাম ... কেন সেটা ব্যাখ্যা করার দরকার আছে বলে মনে করি না ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
হয়তো আমি ছেলে বলে, কিংবা আপনি যে ডিভিশনে কাজ করেছেন, সেই ডিভিশনে কাজ করি নি বলে আপনার তৃতীয় অভিজ্ঞতাটা অদ্ভুত লাগছে; কারণ আপনি যে সংস্থায় কাজ করে এসেছেন, আমি গত কয়েক বছর ধরে সেখানেই কাজ করছি। এরকম প্র্যাকটিস তো শুনি নি! আমার নারী সহকর্মীদের মুখেও এই ধরনের অভিযোগ শুনি নি, তা সে আনুষ্ঠানিকভাবেই হোক, কিংবা অনানুষ্ঠানিকভাবে। তাছাড়া আপনি যে বিভাগে কাজ করেছেন, তারা তো এই বিষয়গুলো নিয়ে আরও বেশি সেনসিটিভি ও সজাগ। একটি বড় প্রতিষ্ঠানে দু'একটি ঘটনা ঘটতেই পারে, ঘটেও থাকে এবং সেগুলো প্রতিহত করার বিভিন্ন ম্যাকনিজমও সেখানে আছে, কিন্তু আপনার অভিজ্ঞতা ধারণা দিচ্ছে, ওখানে এটা একটা স্বাভাবিক ব্যাপার- যদিও আমার অভিজ্ঞতা তা বলে না। বিষয়গুলো যদি আপনার পছন্দ না হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার যথেষ্ট প্রক্রিয়াও কিন্তু সেখানে ছিলো। আপনি সেদিকে কেন গেলেন না বুঝতে পারলাম না।
এনজিও সেক্টরে কাজ করলে কাজে যোগ দেওয়ার কয়েকদিন পরই সহকর্মীর/ সহকর্মীদের সাথে ঢাকার বাইরে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হতে পারে- এটা নতুন বা অবাক হওয়ার কিছু না। বরং প্রায়শই এরকম হয়। কিন্তু ওভারনাইট ট্রিপের কথা বলে আপনি ঠিক কী বুঝাতে চাইলেন বুঝতে পারলাম না। বিষয়টা আরেকটু স্পষ্ট করলে ভালো হতো? ওভারনাইট ট্রিপ শব্দটার আক্ষরিক অর্থে ধরছি না; কিন্তু কোন পরিস্থিতিতে কেন আপনাকে এটা বলা হয়েছিলো, সেটা না জানালে বিষয়টি বোধগম্যের বাইরেই থেকে যাবে।
দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে এই সংস্থার যে 'কালচার' দেখেছি, তাতে আপনার অভিযোগটি গুরুতর। যতদূর জানি সেখানে এই অভিযোগগুলো দৃঢ়ভাবেই মোকাবিলা করা হয়।
আশা করি, এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ভাইয়া, একজন ইন্টার্ন হিসেবে অফিসের hierarchy তে আমার পজিসন চিন্তা করেন।আর আমাকে অন্য department সাথেও interact করতে হয়েছে, খালি নিজের department না।
যাইনি কারণ আমার কাছে প্রক্রিয়া টা এ তো comprehensive মনে হয়নি।
ওভারনাইট ট্রিপ বলতে বুঝাই unofficial কাজে "ঘুরতে" যাওয়া।
সাজিয়া
shazia[dot]shahnaz@gmail.com
সাজিয়া আপা, এ ব্যাপারে অফিসের hierarchy কিন্তু বিষয় না। হয়তো আপনি নতুন বলে কীভাবে বা কোথায় অভিযোগ করতে হয়, সেই বিষয়গুলো সেভাবে ধরতে পারেন নি। তাছাড়া আপনি কি এটা নিয়ে কারও কাছে শেয়ার করেছিলেন? জানতে চেয়েছিলেন যে কীভাবে এর প্রতিকার করা যায়? যদি করে থাকেন, তাহলে তারা কি কোনো প্রতিকার করেন নি?
তাছাড়া কীসের ভিত্তিতে অভিযোগ করার প্রক্রিয়াটাকেও আপনার comprehensive মনে হয় নি, সেটা বুঝতে পারলাম না। আপনি যে অভিযোগগুলো তুলেছেন, সেটা গুরুতর। এই ধরনের অভিযোগের জন্য ওখানে আলাদা সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট এলিমিনেশন ইউনিট পর্যন্ত আছে। আমি যতদূর জানি, এ নিয়ে চাইলে এখনও আপনি অভিযোগ করতে পারেন।
অফটপিক: মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমি অফিসের পক্ষাবলম্বন করছি বলে মনে হতে পারে; কিন্তু বিনীতভাবে জানিয়ে রাখি, এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার আমি কেউ না; এই অফিসের অনেক কিছু আমি নিজেও পছন্দ করি না; এক ধরনের তিতিবিরক্ত। কিন্তু গত কয়েক বছরে এই বিষয়গুলোতে যে প্র্যাকটিস দেখেছি, সাজিয়া আপার অভিজ্ঞতা ঠিক তার বিপরীত। তাই বিস্মিত হয়েছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
.........
অনেকটা এ ধরণেরই মন্তব্য কর্তৃপক্ষ বলে থাকেন।...
যা যথোপযুক্ত নয়!!!
প্রতিকারে কর্তৃপক্ষের আত্মসংশোধন প্রয়োজন।
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন
ওয়েল, ইন্টার্নদের সাথে অনেকখানে ম্যালট্রিটমেন্টের কথা শুনেছি অনেকরকম।
আমার নিজের সাথে কোনো ডিসক্রিমিনেশন হয়েছে কিনা খুঁজতে গিয়ে কেবল এরকম ঘটনা পেলাম। একবার এক কলিগের কাছে একটা সমস্যা নিয়ে গেছি। উনি হাসতে হাসতে বললেন, আমি ঠিক করেছি কোনো মেয়ে আমার ৬ ইঞ্চির ভিতরে এসে কথা না বললে আমি তার কোনো কাজ করে দিবোনা। হাতের কাছে বড়ো একটা স্ট্যাপলার ছিলো, আমিও ওইটা তুলে নিয়ে হাসতে হাসতে বললাম, আমি ঠিক করসি আপনার সাথে কোনো কাজ থাকলে এইটা দিয়া আগে একটা বাড়ি মেরে আপনাকে লেভেলহেডেড করে তারপরে কাজের কথা বলবো।
এরকম টুকটাক ঘটনা এভাবেই হ্যান্ডেল করি। তবে বাজে মানুষও পৃথিবীতে আছে এবং কোনো না কোনো ভালো অফিসেও তারা কাজ করতেই পারে। আমার সৌভাগ্য যে সে'রকম পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি অফিসে। কেবল নিজে ভালো হয়ে খারাপ ঘটনা সামাল দেওয়া যায়না আসলে সবসময়।
তাই সাজিয়া আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
হালারে রুহুল ভাইয়ের হাতে মাইর খাওয়াইতা
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ডন কদু আলটপকা একটা কথা বলে ভালোই ফাপড়ে আছে দেখি।
আমি বলব কাজিয়া আর বাড়তে না দিয়ে আপনি সাজিয়া ম্যাডামের সাথে এখানেই মিটমাট করে নিন!
কাজিয়া হইল কখন যে মিটমাট করা লাগবে ?
আমি কারো সাথে কাজিয়া করিনা, সাজিয়ার সাথে কাজিয়া করার তো কোন প্রশ্নই উঠে না ।
আমার বেশি মেজাজ খারাপ হইলে গোঁফ পাকাই ( এইটাও কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক অভ্যাস ) ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
এক আর দুই বাংলাদেশের মানুষের খুব সাধারণ বৈশিষ্ট্য ... প্রথম দেখায় একটু অস্বাভাবিক লাগতে পারে, এ পর্যন্তই ...
তিন নাম্বারটা নিয়ে কোন অভিজ্ঞতা নাই ... গ্রামীণফোনে যতদিন ছিলাম এমন কিছু দেখি নাই বা এমন হতে পারে সেটাও মনে হয় নাই ... ছেলে বলে চোখ এড়িয়ে যেতে পারে অবশ্য, আবার তুমি বাইরে থেকে এসেছো শুনে তোমাকে আলাদাভাবে ট্রীট করা হয়েছে এটাও হতে পারে ...
তবে যারা বললেন যে এটা খুবই নর্মাল ব্যাপারে, সেলফ-স্কাউটিং; পছন্দ না হলে হেসে মানা করে দিলেই হয়, তাদের সাথে একমত হতে পারলাম না ... কানাডায় জব করার অভিজ্ঞতা থেকে শেয়ার করি, প্রথম দিন ওরিয়েন্টেশনের একটা বড় অংশ থাকে এন্টি-হ্যারাস্মেন্ট ট্রেনিং ... সেখানে একটা প্রশ্ন ছিল এমন, আমি কি আমার কলিগকে ফ্রাইডে নাইটে ডেট করার প্রস্তাব দিতে পারি? উত্তরটা ছিল এমন, "থিংক ভেরী কেয়ারফুলি ... দেন থিংক এগেইন ..." কারণ বলা হয়েছিল এমন, সবাই সবকিছু সমানভাবে নেয় না ... হয়তো খুব নির্দোষ কোন প্রস্তাবও কারো কাছে অফেন্সিভ লাগতে পারে, সেক্ষেত্রে সেটা কাজের সুস্থ পরিবেশে ব্যঘাত ঘটাবে ... তাই স্কাউটিংটা অফিসে না করাই ভালো ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
ব্রেকিং নিউজঃ ( নিজস্ব সংবাদ্দাতা)
এই আলটপকা মন্তব্যের বদলা হিসাবে কদু সাহেব সাজিয়া আপাকে দুই ঝুড়ি মাশ্রুম্ভাজা খাওয়াতে রাজী হয়েছেন, তাতেও কাজ না হলে উনি কদুর তৈরী ডুগডুগি ভেঙ্গে সন্ন্যাসব্রত চিরতরে ত্যাগ করে সংসারে ফিরে আসার হুমকি দিয়েছেন।
জয় বাবা কদুনাথ! জগতের সকল অনাচ্ছিষ্টি দৌড়ের উপর থাকুক!
এই হ্যাল্লো, রয়েসয়ে । আপনি কি সাজিয়ার সাথে আমারে ডেটিং এ পাঠাইতে নিলেন নাকি ?
সাজিয়া আইসা কিন্তু ভুল মেসেজ পাবে, বলে দিচ্ছি । তারপর তুলকালাম লাগাবে ।
তয় একটা লাভ আছে । দুই ঝুড়ি মাশ্রুম একা খামু
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক মন্তব্য এসেছে। নানান রকম কথা চলছে। এই প্রেক্ষিতে ছোট্ট করে বলি, আপনার আগের পোস্ট আর এই পোস্ট দেখে মনে হলো, আপনি পরিষ্কার করে কিছু লেখেন না। আমার ভুল হতেই পারে, স্রেফ ব্যক্তিগত মতামতটা জানাচ্ছি। লেখক যেহেতু আপনি, আর আমি এখানে পাঠক, তাই ভুল হলে সেটা ভাঙানোর দায়টাও আপনারই। আমার মনে হয়েছে, আপনার পোস্টে আপনি ঝাপসা কিছু কথাবার্তা লেখেন শুধু, যা একটা ঘোলা পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ করে দেয়। এ ধরণের পোস্ট লেখার জন্য, আপনি যেভাবে লিখছেন, তা যথেষ্ট না বলেই মনে করি। আশা করব, পরবর্তী পোস্টগুলোতে আরো বিস্তারিত লিখবেন, বিষয়বস্তু সম্পর্কে নিজস্ব মতামত জানাবেন, যেন বিচ্ছিন্ন একটা দুটো ঘটনার কারণে পাঠক কোনো ভুল মেসেজ না পায়।
ভালো থাকুন। নিরাপদ থাকুন।
একমত ...
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
থাঙ্কস ভাইয়া। আসলে আমি ক্লাস এইটের পর দেশের বাইরে চলে আসি। দেশে আমার বাংলায় সৃজনশীল (?) লেখা বাংলা ২য় পেপারে সীমাবদ্ধ ছিল। অনেক কিছু বুঝতে শিখেছি, জানতে শিখেছি ইংরেজিতে। অনেক সময় বিভিন্ন ব্যপারে বাংলায় নিজেকে এক্সপ্রেস করতে বিফল হই এই কারণেই। ঘোলা পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ দিতে চাই না, তাই নেক্স্ট বার আরও সাবধাণ থাকব।
সাজিয়া
shazia[dot]shahnaz@gmail.com
প্রহরীর সাথে ১০০ ভাগ একমত।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফ্লিকার | ইমেইল
এ যে দেখছি যে যায় লংকায় সেই হয় রাবণ!
আমি রীতিমতো ঝানু কূটনৈতিক কূটচালে পরিস্থিতি সামাল দিলাম, কদু মিয়ারে লাইনে আনলাম, আর এদিকে ছোট মামুন সাহেব ফ্লোর হাতে পাইয়াই জ্বালাময়ী বক্তিমা ঝাইড়া সব কেচে গন্ডুষ করে দিল।
এই আকামের জন্য শা.মা. কে কী শাস্তি দেয়া যায় সেই বিষয়ে হাজেরানে মজলিশের সুপারিশ কামনা করছি
খালি আমার হাতে ছাইড়া দ্যান বস....
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
ভয় পাইসি
সব মাশ্রুম আমি একা খামু, শামা আশপাশ দিয়ে ঘুরে ঘুরে গান গাবে,
"সব মাশ্রুম তুই একাই খাসনে,
একটা মাশ্রুম দিস আমাকে"
(আইউব বাচ্চুর সুরে)
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আপনি একলাই দুই ঝুড়ি খাবেন, আর আমারে দিবেন মাত্র একটা! তেবরো পেতিবাদ ও নেন্দা জানালাম
হা হা হা। আমিও তো ভালোর জন্যই কইলাম রে ভাই। ভবিষ্যতে যাতে এইরকম অবস্থা আর না হয়, সেই কারণে। লেখিকার পরপর দুই পোস্টে তুলকালাম কাণ্ড, শুধুমাত্র পাঠকদের ভুল মেসেজ পাওয়ার কারণে। তাই আর কি...
আমার শাস্তি আর কী হবে... আপনি দেশে আসলে, আমারে জোর করে খালি ইফতার খাওয়াবেন টানা কয়েকদিন, তাতেই আমার শাস্তি হয়ে যাবে
ঠিকাছে । আপনারে বড় বাপের পোলায় খায় খাওয়ান হবে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ভাই, এত কঠিন শাস্তিও কিন্তু চাইনি
এরপর কোনো মেয়ে দেশের বাড়ি জিজ্ঞেস করলেই ব্যাগ গুছানো শুরু করবো ওভারনাইট ট্রিপের জন্য
।
যথার্থই!
"Life happens while we are busy planning it"
এই পোস্টে সমস্ত অ্যাঙ্গেল থেকেই মন্তব্য এসেছে, এখন যারা যারা ভুল কথা কইছে তাদের হাতে একটা করে লাল মাশ্রুম, যারা কর্কশ টোন ইউজ করছে তাদেরকে ড্রাই মাশ্রুম , যারা বেহুদা মজা উঠাইছে তাদের হেজহগ ( দাঁতাল) মাশ্রুম, আর যারা আমার মতো শান্তিপ্রিয়, সমাজ সেবক, দেশ ও জাতির একমাত্র আশা ভরসা তাদেরকে খাঁটি পৌরাণিক মাশ্রুম্ভাজা খাইয়ে আলোচনার এখানেই ইতি টানার প্রস্তাব রাখছি।
সাজিয়া আপার জন্য দুই ঝুড়ি মাশ্রুমের কিন্তু কোন মাফ নাই কদু ভাই!
আরেক পোস্টে আমারে ঝারি লইয়া এইখানে শান্তির বাহক হইসো? মাগনা মাশ্রুম্ভাজা খাওয়ার লোভে বিনা অনুমুতিতে ঘটকালি প্রস্তাব লাগাইসো? ভন্ডামির জাগা পাও না - দাঁড়াও, তোমারে পাইয়া লই। মামার দশদিন তো ভাইগ্নার এক দিন।
বাংলাদেশে আমি কাজ করেছি ৩ মাস।
বিদেশে ৪০ মাস।
আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলি -
# বিদেশে সবাই প্রথমেই জানতে চায় আমার দেশ কোথায়? আমি এক শব্দে বলি বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে জিজ্ঞেস করে জন্মস্থান কোথায় - আমি বলি, চট্টগ্রাম।
# আমি অবিবাহিত শুনলে তরুণীদের কাছ থেকে দুই রকমের response পাই: এক দল জিজ্ঞেস করে গার্লফ্রেন্ড আছে কিনা, আরেকদল শুধু মিটিমিটি হাসে।
# হয়তো এইটা খুবই ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা (অন্যান্য ছেলেরাও কি এর সম্মুখীন?)। আমার বিগত অফিসের তরুণীদের আমার কাছে খুব backward লেগেছে। মাঝের ৩৬ মাসের চাকরি জীবনে যত ডিনারের দাওয়াত পেয়েছি তরুণীদের কাছ থেকে, আমার ধারণা অন্যান্য সুদর্শন যুবকেরা আরো বেশি পেয়েছে জীবনে। নয়তো আমার এই কাষ্ঠ চেহারা ও কন্ঠের মানুষকে ডিনারে নেয়ার এত আগ্রহ কেনো? আমার একাধিক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করার পরে তারা বলেছে, 'সাবধানে থাকিস'। আমার ধারণা - দারিদ্রের অগমে দূর্গমে বিশীর্ণ আমার এ চেহারা দেখে তরুণীরা আমার প্রতি করুণা করে, এক বেলা ভাত অথবা বার্গার খাওয়াতে চায়।
যাক, যারা আমার দিকে মিটিমিটি হাসে, যারা আমাকে ডিনারে নিতে চায়;অথবা হাসে না, অথবা চায় না - তাদের সবাইকে আমি ভালো মনে করি। আমার নিজের মনে অনেক ময়লা জমে আছে, তাই মানুষকে ভালো ভেবে ময়লা কমাতে চাই।
জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক। আমীন।
"মহাজ্ঞানী মহাজন যে-পথে করেন গমন..."
আপনার অফিসের ঠিকানা এট্টু দিয়েন, ভাই। কয়দিন পর চাকরি খুঁজবো তো, তাই। একেবারে অ্যাকাডেমিক কৌতূহল!
আমীন
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ছুম্মা আমিন ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
হাহা আমি যতদূর শুনলাম এখন কিন্তু বিবাহিত বললেও রক্ষে নেই। পরের প্রশ্নঃ happily married?
- অঘটনঘটনপটীয়সী
এতো মন্তব্য এসেছে এই পোষ্টে যে কি লিখতে চেয়েছিলাম আসলে তাই ভুলে গেছি।
তবে কোন ছেলে যদি কোন মেয়েকে বেহুদা কারনে ওভার নাইট ট্রিপের প্রস্তাব দেয়, তাহলে আমি ফরোওয়ার্ড না ব্যাকওয়ার্ড বলবো। কারণ সেই জামানা যে আর নাই, এইটাইতো ঐ গাধা জানে না
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
৩ দিন নেটে আসতে পারি নাই, চরম কোপাকোপি হয়ে গেসে দেখি, পোস্ট , মন্তব্য পড়ে যেমন হাসলাম, তেমন জায়গায় জায়গায় মেজাজও খারাপ হইল। মেয়েদের ব্যভারে আমন্ত্রন থাকুক চাই না থাকুক, লুচ্চা টাইপের লোক ঘুরঘুর করে যদি পিছনে, তাকে ঠাস করে চড় লাগায় দেওয়াটা দেখার জন্যে বেশ মজার বিষয়
। কাজেই পরের বার ঐ ব্যাটা কিসু কইলে লাগাই দাও চড়, অফিসে রিপোর্ট করে কাজ না হইলে
।
তবে ৪ বছরের অধিক সময় বাইরে আছি, কাজেই দেশের অবস্থা সম্বন্ধে খুব একটা ওয়াকিবহাল না, কিন্তু এটুক বলতে পারি, আমার সহপাঠী যারা কাজকর্ম করে, তাদের সংখ্যা একদম খারাপ না, রাত দিন নানা জনের সাথে কাজ করতেছে, কিন্তু কেউ এখন পর্যন্ত এমন কোন ঝামেলায় পড়েনাই। আমার কাছে ৩নং রে একটা আলাদা ঘটনা বলেই মনে হয়েছে, আর তাকে লম্বামত খাটো সাইজের একটা চড় জনসম্মুক্ষে লাগায় দিলেই এই সমস্যার অবসান হবে বলে মনে হয়।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
কালকে মন্তব্য পড়ে এনকিদু'র ওপরে ভীষণ রেগে গেছিলাম৷ খুব রেগেমেগে একটা মন্তব্য করতেও যাচ্ছিলাম৷
ভাগ্যিস করি নি৷
তবে ঐ সত্যি যদি কূপ্রস্তাব দিয়ে থাকে তবে বুঝতে হবে আপনিও প্রভোক করেছেন --- এইটাতে আমার আপত্তি জানিয়ে গেলাম৷ কথাটা জেনেরালাইজড এবং আপত্তিকর৷
--------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
আমাদের এখানে যতোদূর জানি, ডিরেক্ট স্টুডেন্টের সাথে প্রেম করা যায় না। কলিগের সাথে প্রেম করাকেও নিরুৎসাহিত করা হয় সঙ্গত কারণেই। অফিসের বাইরের জীবনের প্রভাব যাতে অফিসের ওপরে না পড়ে, সেটা দেখা উচিত কাজের কল্যাণেই।
আমি দেশের একটা ঘটনার কথা জানি, যেখানে অফিসের এক কর্তা এক নতুন জয়েন করা মেয়েকে প্রস্তাব দেয়, তার বেতন ৮ হাজার থেকে ৪০ হাজার করে দিবে, শুধু তার সাথে মাঝে মাঝে ঢাকার বাইরে ঘুরতে যেতে হবে। ওই মেয়ে বিষয়টা আরেকটু ওপর মহলে রিপোর্ট করায় ওই লোকের চাকুরী গেছে। তবে জানা গেছে, তার ঘটনা এটাই প্রথম না। এর আগেও তার আন্ডারে কাজ না করতে পেরে কাউকে কাউকে অন্য ডিপার্টমেন্টে যেতে হয়েছে। সবাই সমান সাহসী নয়; তাই ১০ জনকে কুপ্রস্তাব* দিলে হয়তো ৯ জনই কোনো অ্যাকশন নিবে না।
তবে বিষয়টা ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত, সামষ্টিক নয়। সব অফিসের বড়কর্তারই আলুর দোষ থাকবে, বিষয়টা এমন না।
* কুপ্রস্তাব কেন বললাম, কাউকে ধুম করেই ওরকম ডেটের প্রস্তাব দেয়া যায় না। বিদেশে ওয়ান নাইট ডেটিং এর জন্যও স্থান আছে, স্কোপ আছে; কিন্তু অফিসের সহকর্মীকে কেউ ওরকম প্রস্তাব দেয় না। প্রেম হওয়ার পরেই শারিরীক সম্পর্কটা আসে। সুতরাং এ পোস্টের উদাহরণে যেটা এসেছে, তা একটা কুপ্রস্তাব। আরেকটা বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, তাহলো অফিসে অধীনস্ত কাউকে এরকম প্রস্তাব দিলে সে স্বভাবতই সহজে রিঅ্যাক্ট করতে পারে না, এক্ষেত্রে কুপ্রস্তাব দেয়া লোকটি অনেকটাই ভয়হীন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
কাল থেকে খুব মনযোগ দিয়ে মন্তব্য গুলি দেখছি। আমাদের একটু খেয়াল রাখা দরকার পাঠক যেন কোন ভুল বার্তা না পায়।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে বেশ জ়োর দিয়ে এতটুকু বলতে পারি বাংলাদেশে কাজের ক্ষেত্রে Harassment এর ব্যাপারটা খুব কঠিন ভাবে ডিল করা হয়, বিশেষ করে প্রতিষ্টিত প্রতিষ্ঠান গূলোতে। এখানে খুব কমই এধরনের ঘটনা হয়, এবনং হলেও কঠিন ভাবে ডিল করা হয়। লেখিকা ইন্টার্ণশিপের সময়ের আমন্ত্রন গূলো ভালভাবে গ্রহন করেনি সেটা তাঁর ব্লগে ভালভাবেই বোঝা গেছে। লেখিকার আগের ব্লগ এবং মন্তব্য গুলো ভালভাবে খেয়াল করলে, তিনি কোথায় ইন্টার্ণ করেছেন সেটা বোঝা যায়। আমি বেশ বিস্মিত হয়েছি । আমার জানা মতে সেখানে Harassment এর ক্ষেত্রে 'জিরো টলারেন্স' ধরনের পলিসি আছে। এসব প্রতিষ্ঠানে আমার জানা মতে কাউন্সেলর থাকে, যারা এসব ক্ষেত্রে কী করতে হবে জানেনা, তাদের সাহায্য করার করে। এবং আরেকটা বড় ব্যাপার, কালচারের প্রেক্ষিতে যদি ইন্টারপ্রেটেশনে দ্বিমত থাকে, তবে ভিক্টিমের প্রেক্ষিতকেই গ্রহন করা হয়।
আমার কর্মজীবনের দুটা উদাহরন দিব। আমার কর্মজীবনের প্রথম দিকে আমার এক স্দয় নিয়োগকৃত সহকর্মী (মেয়ে) একজন বিদেশীর বিরুদ্ধে Harassment এর ফরমাল অভিযোগ এনেছিল। আমি নিজে এটার ব্যবস্থাপনায় ছিলাম। একসময় সেই বিদেশীকে অভিযোগের ব্যাপারে বলা হল এবং তার কথা শোনার চেষ্টা করা হল। সেই ভদ্রলোক মেয়েটা যা বলেছে তাই বলল, এবং এও বলল যে সে কোন আপত্তি দেখছি না। কালচারের ব্যাবধান। সিদধান্ত হল, বিদেশীকেই এদেশের কালচার জানতে হবে। তাঁকে এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হয়েছিল।
পরের উদাহরনটা মাজার। তাও আমার কর্মজীবনের প্রথম দিকের। এক ভদ্রলোক, পড়ুয়া টাইপের, নিজের কাজে ভাল, সমস্যা হল মেয়েদেরকে লাঞ্চ অথবা ডিনারের আমন্ত্রণ করে বসে (তিনজন মেয়েকে বলেছিল)। মেয়েরা ব্যাপারটাতে ভাল বোধ করেনি। ইনফরমাল অভিযোগ আসল এবং আমাকে ডিল করতে বলা হল। আমি প্রথমে পলিসি ধরনের ফরমাল কথাবার্তা বললাম এবং শেষ করলাম এই বলে যে পরবর্তী কোন অভিযোগ এলে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, হুইচ মে লীড টূ ডিসমিসাল। পরে বোঝালাম, আরে ভাই আমন্ত্রণ করার আগে আপনাকে সেরকম একটা আন্তরিকতা তৈরী করতে হবে আগে। নইলে চাকরীও যাবে, জ়ীবনে আর কারও সাথে লাঞ্চ করাও হবে না। পারবর্তীতে আমার পরিচিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ঝকমকে মেয়ে আমাদের সাথে যোগ দিল, এবং সেই ভদ্রলোক আবার ভুলটা করলেন। তাকে ডিনারের জন্য...।আমি ভদ্রলোককে বললাম এবার চড়া মূল্য দিতে হবে। যাই হোক, মেয়েটা অভিযোগ না করে, উল্টো সেই ভদ্রলোককে পেয়ে বসল। আমার কাছে তাঁকে নিয়ে এসে বলল, ... উনি আমাকে ডিনারের দাওয়াত দিয়েছন ... হাসাহাসি। অফিসের লাঞ্চের টেবিলে সেই ভদ্রলোককে নিয়ে হাসাহাসি। মেয়েটা এমনও বলল... আপনার আর কিছু লাগবে...ডিনারের পরে? ভদ্রলোক পরে এসে আমাকে ধরল, ভাই কিছু একটা করেন। (পরবর্তীতে সে হাসির খোরাকে পরিনত হয়েছিল) এই উদাহরনটা বেশ এক্সট্রিম টাইপের। কোন একশান নিতে হয়নি। যতদিন ছিল, সে অফিসিয়াল ডিনারেও যেত না, আমন্ত্রন তো দুরের কথা।
এনকিদু ৩ নং মন্তব্য নিয়ে অনেক মন্তব্য হয়েছে, আর কিছু বললাম না। শুধু আমার আপত্তিটা জানালাম।
ধন্যবাদ।
কিছু মন্তব্যে বেশ দুঃখ পেলাম।
যারা ভাল ভাল শাস্তির উদাহরণ দিচ্ছেন এমন বেশ কয়েকটা আমিও দিতে পারি...কিন্তু এর বিপরীতে অনেক ঘটনা আমার নিজে দেখা! এইসব মাল্টিন্যাশনাল অথবা করপোরেট অফিসে যত নিয়মই থাকনা কেন, ছোটখাট হ্যারাসমেন্টের ঘটনা খুবই সাধারণ (এখানে অবশ্য চরমতম অবস্থা!)...নিজের অভিজ্ঞতা এবং বন্ধু-বান্ধবীদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। আমার নিজের সামনেই আমার এক কলিগ আমার বন্ধুকে ইঙ্গিত দিয়েছিল...
অনেক আমাদের মধ্যবিত্ত সমাজের বেশিরভাগ মেয়েই ছোটখাট এসব সয়ে নেয় সম্মান বাঁচানোর জন্য! এবং অভিযোগ প্রমানিত না হলে কি হবে, আর হলে সেই ব্যক্তির রোষ থেকে কে বাঁচাবে এসব চিন্তাও প্রাধান্য পায়। অস্বীকারের উপায় নেই কিছু প্রোভকের ঘটনা ঘটে কিন্তু তা আমি বলবো খুবই নগণ্য। (তারও অভিজ্ঞতা আছে!)
আর শালীনতার ব্যাপারটাও মানতে পারলাম না...কিছু বখে যাওয়া মেয়ে বাদে বাংলাদেশে অফিসে এমন কিছু কেউ পরে আসেন বলে মনে হয় না...আর শালীনতা পার হলেই 'আয় যাইগা' বলা যাবে সেটাও মানিনা...
যারা ভুক্তভুগী নন তারা অবশ্য বুঝবেন না...
সাজিয়ার প্রথম দুইটা প্রশ্ন খুব সাধারণ...আমিও জিগাই...
-------------------------------------------------------------
স্বপ্ন দিয়ে জীবন গড়া, কেড়ে নিলে যাব মারা!
-------------------------------------------------------------
জীবন অর্থহীন, শোন হে অর্বাচীন...
অধিক সন্ন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট হয়েছে এখানে এ-তো কথার ভীড়ে। তারপরেও এনকিদুর কটু মন্তব্যের যথাযথ প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম। "যে কোনো" ধরনের রেসপন্স পাবার জন্যই এ ধরনের মন্তব্য করা জরুরী নয়, কাউকেই। End does not justify mean here.
এনকিদু
আপনার কাছ থেকে এরকম বাজে মন্তব্য আশা করিনি
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
- সবাই কদু মিয়ার মন্তব্য নিয়া ব্যস্ত। এইটা কেউ ভাবে না যে শালার এতোদিনের জীবনে কোনো সহকর্মী ললনাই কইলো না যে "চলো মামু বার্সেলোনা যাই!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কমেন্টের সেঞ্চুরীটা তো আপনে করলেন। এইবার ব্যাট তুলেনগো গুরু!
---------------------------------
তবে যে ভারি ল্যাজ উঁচিয়ে পুটুস্ পাটুস্ চাও?!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
- ব্যাট কো?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
নতুন মন্তব্য করুন