গ্রীজ ডেভিলদের কথা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৪/০৮/২০১১ - ১:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক মুহুর্ত চোখদুটো একটু বন্ধ করুন। তারপর মনের চোখে ভাবুন একটা ছবি। কৃষ্ণবর্ণ একটা পুরুষ, শুধুমাত্র অতিক্ষুদ্র একটা ল্যাঙ্গোটে তার মধ্যপ্রদেশের নিম্নাঞ্চল আবৃত। হ্যাঁ, শুধু ল্যাঙ্গোটই নয়, তার শরীরে আরও কিছু আছে। পায়ে পরা একজোড়া বুট। অত্যন্ত শক্তিশালী স্প্রিং লাগানো। প্রতিটা পদক্ষেপে চলে যাচ্ছে ৮-১০ ফিট; এক লাফে উঠে যাচ্ছে একতলা বাড়ির ছাদে; অথবা গাছে। আর তার এক হাতে পরা একটা দস্তানা, অন্য হাতটা অবশ্য খালি। দস্তানাতে লাগালো আছে ক্ষুরধার ব্লেইড। আর ভূলে যাওয়ার আগে বলি, ব্যাটার সারা শরীরে পুরু করে গ্রীজ মাখা। সুজনদার (সচল সুজল চৌধুরি) সাথে ব্যাক্তিগতভাবে পরিচয় থাকলে অনুরোধ করতাম কিছু একটা এঁকে দিতে। গুগল খুজে দু-একটা যা ছবি পেলাম তা দেওয়ার মতো না।

আমি যেখানে কেরানিগিরী করি সেই প্রতিষ্ঠানের একটা নিয়ম হলো কোনও দেশে বাইরে থেকে কোনও ভিজিটর আসলে প্রথমেই তাকে সিকিউরিটি ব্রিফিং দেওয়া হয়। আমি শ্রীলঙ্কায় এসে পৌঁছানোর পর অফিসে গেলাম এখানকার কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে আর সিকিউরিটি ব্রিফিং নিতে। সেখানেই তিনি জানালো গ্রীজ ডেভিলদের কথা। সত্যি বলতে কি আমি তখন তার কথার তেমন গুরুত্ব তো দেই’নি। উপরন্ত তাকে আমাদের দেশের চোররা চুরি করার আগে সারা গায়ে শরিষার তেল মাখে, সেই গল্পও শোনাতে ছাড়িনি। কিন্তু কলম্বোর বাইরে এসে বুঝতে পারলাম ব্যাপারটা কতোবড়ো ভয়াবহ। গ্রীজ ডেভিল ছাড়া যেনো অন্য কিছু মানুষের আলোচনায় নেই। টেলিভিশনের খবর বলুন আর পেপারের নিউজ, সবকিছু জুড়ে আছে শুধু গ্রীজ ডেভিলস আর গ্রীজ ডেভিলস।

শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে গ্রীজ ডেভিল শব্দটা নতুন কিছু নয়। এটা অনেক পুরোনো একটা শব্দ। একদা শ্রীলঙ্কান লুচ্চারা, বরঞ্চ বলি ধর্ষকামী পুরুষেরা নারীদের আক্রমন করার আগে সারা গায়ে গ্রীজ মেখে নিতো। ধারণাটা ছিলো এরকম যে কেউ ধরে বসলে যেনো তারা পিছলে পালিয়ে যেতে পারে। এই গ্রীজ মেখে লুচ্চামি করাটা একসময় এতো বেশি ব্যাপকতা পেয়েছিলো যে সেই থেকে এই দলের নাম হয়ে যায় গ্রীজ ডেভিলস এবং নামটা মোটামুটি স্থায়ী রূপ ধারণ করে। তবে সময়ের সাথে সাথে সেই ধর্ষকামী গ্রীজ ডেভিলসদের তৎপরতা কমে যেতে থাকে কিন্তু নামটা স্থায়ীভাবে থেকে যায়।

অতিসম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় আবার সেই গ্রীজ ডেভিলদের আবির্ভাব ঘটেছে। এবার আর শুধু ধর্ষণ নয়, সাথে যুক্ত হয়েছে ছিনতাই। গয়নাগাটি, টাকা-পয়সা যা পায় তাই নিচ্ছে। আর শুধু ছিনতাই বা ধর্ষণ তো না, এরা ব্লেডযুক্ত দস্তানার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছে নারীদের দেহ, বিশেষ করে স্তনযুগল, এযাবৎ অধিকাংশ নারীর ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছে। নির্মমভাবে ওরা ক্ষতবিক্ষত করে ফেলছে। মানুষের মধ্যে আতংক এমনভাবে জেঁকে বসতে পারে তা ভাবনারও অতীত। আজকে আমাকে একজন সিকিউরিটি এ্যানলিস্ট গত মাস দুয়েকের মধ্যে গ্রীজ ডেভিলদের অপকর্মের সব ঘটনাগুলোর কেস বাই কেস এ্যানালিসিসের একটা মেট্রিক্স পাঠিয়েছে। ওটায় চোখ বুলাতে বুলাতে কখন যে আমার নিজের চোখ রসগোল্লার আকার ধারণ করেছে তা টেরই পাইনি। রিপোর্টটা খুবই সংবেদনশীল এবং শেয়ার করলে এর অথরের জন্যে সরকারী তরফ থেকে সমস্যা হতে পারে। তাই এই রিপোর্টের উল্লেখযোগ্য অংশগুলো এবং মানুষের কাছ থেকে শোনা ঘটনাগুলো এবং অভিব্যাক্তিগুলো মিশিয়ে কয়েকটা পয়েন্ট লিখছি। কেউ বিশেষ আগ্রহী হলে গুগল থেকে অগণিত তথ্য পেতে পারেন শুধুমাত্র ‘গ্রীজ ডেভিলস’ কিওয়ার্ড ব্যবহার করে।

১। প্রথম প্রথম গ্রীজ ডেভিলরা রাতে সক্রিয় হলেও গত কয়েকসপ্তাহে এদের টুকরো টুকরো কার্যকলাপ দিনের বেলায়ও দেখা যাচ্ছে। এটা উদ্বেগজণক এবং প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

২। জনতা সম্প্রতি ধাওয়া দিয়ে ধরে ৩ জন কথিত গ্রীজ ডেভিলকে গণপিটুনি দিয়ে মেরেছে। যদিও পুলিশ বলছে যে ওরা সাধারণ মানুষ, গ্রীজ ডেভিলস নয়।

৩। এই গ্রীজ ডেভিলদের বিচরণক্ষেত্র মূলত তামিল এবং মুসলিম অধ্যুষিত শ্রীলঙ্কার উত্তর এবং পূর্বাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে। এটা অত্যন্ত সন্দেহ উদ্রেককারী। গ্রীজ ডেভিলদের হামলায় অদ্যবধি কোনও সিংহলী নারী আক্রান্ত হয়নি।

৪। জনতা দাবী করছে যে তারা যখনই কোনও গ্রীজ ডেভিলকে ধাওয়া করছে, গ্রীজ ডেভিল লাফাতে লাফাতে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্প অথবা পুলিশ ক্যাম্পের মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে। এরপর তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছেনা।

৫। সম্প্রতি জনতা এক গ্রীজ ডেভিলকে ধাওয়া দিলে সে একটা থানার মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং জনতা থানা ঘেরাও করে রাখে প্রায় ১৮ ঘন্টা। পরে দাঙ্গা পুলিশ এনে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। কয়েকজন ঘেরাওকারী গ্রামবাসীকে গ্রেফতারও করা হয়।

৬। জনতা ধারণা করছে যে এই গ্রীজ ডেভিলরা সরকারের সৃষ্টি। এটা উদ্দেশ্যমূলকভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে এই জন্যে যে যাতে তামিল এবং মুসলমান পুরুষরা ঘরের বাইরে ঘোরাফেরা কম করে, বিশেষ করে সন্ধ্যায় বা রাতে। এমন ধারণা থেকে এটা হতে পারে যে ভেলুপিল্লাই প্রভাকরনের মৃত্যুর পর তামিলরা আবার যেনো কোনওভাবে সংগঠিত হতে না পারে। তামিল অধ্যুষিত এলাকায় মুসলমানরা দ্বিতীয় বৃহত্তম জনগোষ্ঠি। যদিও ণৃতাত্বিক বিচারে তারাও তামিল কিন্তু এখানে তাদেরকে ডিস্টিংক্ট করা হয় ধর্মীয় পরিচয়ে।

৭। আজ বিকেলে সরকারের তরফ থেকে শ্রীলঙ্কার সব মোবাইল নাম্বারে একটা মেসেজ এসেছে যার অর্থ হচ্ছে, “আইনকে কেউ নিজের হাতে তুলে নিলে তা বরদাশত করা হবেনা। গ্রীজ ডেভিলদের সাথে সেনাবাহিনীর সম্পৃক্ততার যে গুজব রটেছে তা সর্বৈতভাবে মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।”

৮। শান্তিপ্রিয় তামিলরা মনে করছে যে সরকার তামিল এবং মুসলিম জনগোষ্ঠিকে একটা চলমান অশান্তির ভিতরে রাখতে চাচ্ছে। যদি এমনও হয় যে আগামী অল্প কিছুদিনের মধ্যে গ্রীজ ডেভিলরা আর থাকবে না, সরকার তখন এদের জন্যে নতুন একটা অশান্তির জন্ম দেবে।

৯। আরও বড়ো উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, গত কয়েকদিনের ২-৩ টা ঘটনায় দেখা গেছে যে গ্রীজ ডেভিলরা দলবদ্ধ হয়েও অপকর্ম শুরু করেছে। সাধারণভাবে এরা একাকী অপকর্ম করে চলছিলো।

বাস্তবে, যে অবস্থার ভিতর দিয়ে শ্রীলঙ্কার উত্তর এবং পূর্বাঞ্চলীয় জনগন চলছে তাকে মোটেও সুস্থ্য একটা অবস্থা বলার মতো অবস্থা নেই। ধরেন, আমি অন্য দুই তামিল সহকর্মীর সাথে অফিশিয়াল একটা আলাপ করছি, হঠাৎ করেই তার মাঝে গ্রীজ ডেভিলদের প্রসঙ্গ এসে পড়বে। সবার মুখ থমথমে, একবিন্দু হাসি নেই। কার্টেসির হাসিটাও শুকনো, জোর করে হাসা। একজন স্বল্পকালীন অবস্থানকারী বিদেশী হিসেবে এখানে আমার ব্যাক্তিগত কোনও এ্যানালিসিস নেই। অনেক দিন থাকলে হয়তো কিছু একটা আন্দাজ করতে পারতাম। তবে মানুষের আশঙ্কামতে এটা যদি সত্যিই সরকারের কোনও একটা চাল হয়, তবে তা খুবই নিন্দনীয়। বহুবছরের গৃহযুদ্ধ সাধারণ তামিলদের কিন্তু আরও অসহায় করে ফেলেছে। তারা কেউ কেউ হয়তো প্রভাকরণের আদর্শের সাথে সংহতি দেখিয়েছিলো কিন্তু বহুবছরের ক্যাম্পজীবন এবং শরনার্থী জীবন তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং মনোবলকে প্রায় শুণ্যের কোঠায় নিয়ে গেছে। তার উপর সরকার যদি চলমান অশান্তির নীতি গ্রহন করে থাকে, তবে তা একেবারেই অমানবিক। সরকারকে মানতে হবে যে তামিলরাও শ্রীলঙ্কান, মুসলমানরাও শ্রীলঙ্কান। শ্রীলঙ্কা কেবলমাত্র সিংহলীদের একার নয়। তবে সরকার যদি এই গ্রীজ ডেভিল নাটকের নেপথ্যে না থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে এই গ্রীজ ডেভিল চক্রকে সমূলে বিনাশ করে সরকারকে প্রমান করে দিতে হবে যে শ্রীলঙ্কার সবার শ্রীলঙ্কা। সব জাতিগোষ্ঠির জন্যে শ্রীলঙ্কা এক নিরাপদ ভূমি।

নিচের ক্লিপটাতে দেখুন পুলিশ একজন গ্রীজম্যানকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে-

নিচের ক্লিপটায় মানুষের বিক্ষোভের চিত্র দেখতে পাবেন। আরও ইন্টারেস্টিং ভিডিওর নিচের কমেন্ট দুটো-

বাট্টিকালোয়া, শ্রীলঙ্কা
২৩ অগাষ্ট ২০১১, রাত ১১০০ টা


মন্তব্য

অপছন্দনীয় এর ছবি

বিভিন্ন বোতলে সেই একই পুরোন জিনিস!

অবশ্য আমাদেরগুলোর তো আর গ্রীজ মাখা বা চেহারা লুকানোর দরকার পড়ে না...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

হ। তবে আমাদের ছোটগুলোর গ্রীজ-শর্সের তেল লাগে কিন্তু বড়গুলোর কিছু তো লাগেই না বরং তারা দাঁতে কেলিয়ে প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়ায়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সাইফ জুয়েল এর ছবি

সরকারের হাত থাকলেও থাকতে পারে। শ্রীলংকায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ইতিহাস নতুন নয়। যে তথ্যগুলো দিলেন তা সত্যিই ভীতিকর যে কোন মানুষের জন্য।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সত্যি বলেছেন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কৌস্তুভ এর ছবি

চিন্তিত

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মন খারাপ

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আয়নামতি এর ছবি

পাজীগিরির সীমা নাই রেগে টং আপনি সাবধানে থাকবেন ভাইয়া।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ আয়নামতি। সাবধানে তো থাকতেই হয়। তবে ওরা এখনও পর্যন্ত তামিল এবং মুসলিম নারী ছাড়া অন্য কাউকে আক্রমন করেনি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রণদীপম বসু এর ছবি

যাক্, নিশ্চিন্ত হওয়া গেলো যে আপনি নারী নন ! হা হা হা !

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এতোকাল কি ভেবে এসেছিলেন গো দাদামশাই? চোখ টিপি

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

The Reader এর ছবি

আসলেই ভীতিকর এবং উদ্বেগজনক ...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ঠিকই। না দেখলে ঠিক বুঝতে পারবেন না যে তামিল এবং মুসলিমরা কি পরিমান ভীতি এবং উদ্বেগ নিয়ে দিন কাটাচ্ছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

বস আমার ধারণা ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, আপনার বর্ণনা থেকে ধারণা করছি খুব সম্ভবত এই পাওয়ার রেইজার জাতীয় কোন কিছু ব্যবহৃত হচ্ছে। এই সাইটের দাবি অনুসারে এক লাফে ৯ ফুট উচ্চতায় উঠা যায়, দৌড়ে আদর্শ দৌড়বিদের গতি অর্জন করা যায়(এটা অবশ্য এন.জি. তে দেখা)। এর ডেভেলপার এটাকে ফান স্পোর্টস হিসাবে উদ্ভাবন করছেন তবে তার ভাষ্যমতে পদাতিক বাহিনীতে এর বেশী ব্যবহার সম্ভব।


love the life you live. live the life you love.

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ পল ভাই। জটিল একখান জিনিস বানিয়েছে। তবে আমার মনে হয় এর ব্যবহারে কন্ট্রোল আনতে অনেক সময় এবং অনুশীলন করতে হয়। আর ইনফ্যানট্রি থেকে বোধহয় কমান্ডোদের বেশি কাজের লাগার জিনিস এটা। তবে আর্মিতে স্পট জাম্পের যে অনুশীলন করায় দেখেছি, তাতে আমি গেলে বোধহয় দু'দিনেই মাজার হাড়গোড় সব বিলা হয়ে যাবে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

আজিব দুনিয়ায় কত কিছু যে হচ্ছে ... শান্তি নাই কোথাও!

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

দুনিয়ায় যতো আকাম কুকাম করে চলেছি তাতে যে পরকালও সূখের হবে, এমন ভাবতেও ভরসা পাচ্ছিনা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আরেকজন  এর ছবি

ফেলো কড়ি, মাখো তেল থুক্কু গ্রীজ! চিন্তিত

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সময় পেলে পিছলানো প্রসঙ্গে বুদ্ধিজীবি-পলিটিশিয়ান-কনডম এবং সিকিউরিটি মেজার্স পইড়েন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

শাব্দিক এর ছবি

ভয়ঙ্কর।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

জ্বী।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অনিন্দ্য রহমান এর ছবি

গণহত্যা হজম করে ফেলল। আর এইটা। তারপরও শ্রীলঙ্কা ব্যর্থ রাষ্ট্র না। কারণ সেইখানে মিডলক্লাস আরামে আছে ... মিডলক্লাসই রাষ্ট্র, রাষ্ট্রই মিডলক্লাস।


রাষ্ট্রায়াত্ত শিল্পের পূর্ণ বিকাশ ঘটুক

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনার অজবার্ভেশনটা নিদারূন সত্যি। শ্রীলঙ্কায় মিডলক্লাস আছে, এটা সত্যি। যেখানে গোটা তৃতীয় বিশ্ব থেকে মিডলক্লাস নির্মূলের পথে, তখনও ওরা মিডলক্লাসটাকে রাখতে পেরেছে। কিন্তু কথা হচ্ছে এই মিডল ক্লাস কারা? আপার বা লোয়ার ক্লাসইবা কারা?

সংক্ষেপে উত্তর দিতে গেলে বলতে হয় শ্রীলঙ্কায় আপার এবং মিডল, দুটো ক্লাসেই সিংহলীরা। আর তাহলে লোয়ার ক্লাস কারা? সেটাও সিংহলীরা। তাহলে তামিল এবং মুসলমানরা কি? এরা ক্লাসের বাইরে পড়ে। লোয়ার ক্লাসেরও তো একটা ক্লাস আছে কিন্তু তামিলদের কোনও ক্লাস নেই সেখানে। মুসলমানরা তামিলদের থেকে কিঞ্চিত ভালো আছে কিন্তু তারপরও তাদের ক্লাসে ফেলা যায়না। এখানে আপার ক্লাসই মিডল ক্লাসটাকে টিকিয়ে রেখেছে তাদের ধ্বজাধারণ করার জন্যে এবং তাদের এজেন্ডাগুলোর বাস্তবায়নের জন্যে।

বেশ কিছু রিটার্নিজের সাথে কথা বললাম। হাড় আর চামড়া ছাড়া শরীরে আর কিচ্ছু নেই। চোখদুটো গর্তের ভিতরে ঢুকে আছে। সেই চোখেও কিন্তু ক্লাসভূক্ত হওয়ার কোনও স্বপ্ন নেই। হয়তো কদাচিৎ একঝলক স্বপ্ন আসে যে ওদের চোখদুটোও মহেন্দ্র রাজাপক্ষের মদ্যপ চোখের মতো একটু ভারী হয়ে ঝুলে পড়বে। কিন্ত পরক্ষণেই স্বপ্নভঙ্গ; পানিই জোটেনা তো আবার মদ।

সর্বোপরি মনটা খুব খারাপ। মন খারাপ

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

যুমার এর ছবি

আস্ত শয়তানদের কাহিনি!ভয়ানক!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

হয়তো এই শয়তানরা একদিন শ্রীলঙ্কার রূপকথার অংশ হবে ভিলেইন হিসেবে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নীড় সন্ধানী এর ছবি

কী ভয়ংকর! আসলেই কি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস? এই আইডিয়া আশেপাশের দেশে রপ্তানী হলে অবাক হবো না।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনার কি মনে আছে আমাদের দেশে কিন্তু একসময় জাঙ্গিয়া পার্টির ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়েছিলো? তবে তারা গ্রীজ মাখতো কিনা তা জানিনা। সারা দক্ষিণাঞ্চল কিন্তু ওদের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্থ থাকতো সেইসময়টাতে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

বিভৎস। মর্মাহত হলাম!!! মন খারাপ


_____________________
Give Her Freedom!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ফিল্ডে এসে দেখলে আরও কষ্ট পেতে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আশরাফ মাহমুদ এর ছবি

খাইছে। শংকিত হইলাম। কী বিভৎস।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আসলে পিছনের ঘটনা ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা। চিন্তিত

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রু (অতিথি) এর ছবি

ভয়াবহ। গ্রীজ ডেভিলের কথা আগে শুনিনি।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আমিও এখানে এসে এই প্রথম শুনলাম।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

স্বপ্নবাবা এর ছবি

গ্রীজ ডেভিলের কাহিনী নতুন কিন্তু সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা তো নতুন না। শুধু সময় আর স্থানের সাথে বদলায় টেকনিক।

গ্রীজ ডেভিলরা ওদের মূলনীতি আপনার দেশে ফেরার আগে না পালটালেই বাঁচি।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ ইঞ্জিনিয়ার। আমি ওদের কর্মএলাকা থেকে ভেগে কলম্বো চলে এসেছি। সম্ভবত আর ভয় নেই।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তাসনীম এর ছবি

ভয়ংকর।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আসলেই।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

নিদারুণ অভিজ্ঞতা। ছেলেবেলায় 'কুয়াশা' তে পড়া বিশাল রণপা অলা লোকের কথা মনে করিয়ে দিল।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ঠিক বস্‌।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নৈষাদ এর ছবি

আগেই পড়া হয়েছিল আপনার এই ইন্টারেস্টিং লেখাটা, মন্তব্য করা হয়ে উঠেনি।

আগে কখনও এই গ্রীজ ডেভিলদেক কথা পড়িনি কোথাও। স্টেট-স্পনসরড বলে যে ধারণা পাওয়া গেল সেটাও ভয়ংকর। তবে প্রভারকরণের মৃত্যুর পর এখন যতদূর শোনা যায় শ্রীলংকায় ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট অনেক বেড়েছে (বড় শিক্ষিত একটা শ্রেণী আছে সেখানে), সুতরাং সরকার বেশ সাবধান থাকার কথা এসব ব্যাপারে।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ নৈষাদ। এটা ষ্টেট স্পনসরড না ভাবতে পারলেই ভালো লাগতো কিন্তু আদতে সেটা না ভাবার সুযোগ একদমই নেই। একজন ধাওয়াকারীর নিজের মুখে শুনেছি যে গ্রীজ ডেভিল আর্মি ক্যাম্পের মধ্যে ঢুকে গেছে। তারপর তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বরঞ্চ আমি ধাওয়াকারীদের পাল্টা ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়া অদ্যবধি যে কয়টা গ্রীজ ডেভিলকে জনতা ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে বা যে কয়টা ধাওয়া খেয়ে থানার মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে, তাদের একটাকেও কোর্টে চালান দেওয়া হয়নি। উপরের ভিডিওটায় যে ডেভিলটাকে দেখছেন, ওটাকেও পুলিশ পরে ছেড়ে দিয়েছে।

প্রভাকরণের মৃত্যুর পর থেকে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট আসছে ঠিকই কিন্তু তার ছিটেফোঁটাও নর্থ এবং ইস্টে যাচ্ছেনা। আর প্রভাকরনের মৃত্যুতে বিভিন্ন আঙ্গিক থেকে সবথেকে বেশি বেনিফিট পেয়েছে ইনাডিয়া। এখন তো শ্রীলঙ্কায় ইনডিয়ান মার্কেট ক্রমশ বাড়তির দিকে। ১ লাখ রূপী দামের পিচ্চি টাটা কার ইনডিয়া এবং শ্রীলঙ্কায় একসাথে লঞ্চ করা হয়েছে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

আমার তামিল বন্ধু মারিয়াসিলভাম এর সাথে যতদূর কথা হয়েছে, তাতে মনে হয়েছে শ্রীলংকার জাতিগত বিষয়টার রুট অনেক গভীরে, অনেক! এই সরকারের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, অবশ্য ভিনদেশী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা বলাটাও আমাদের মানায়না - আমাদের ”গ্রীজ ডেভিল” এইরকম না থাকলেও ”ডেভিল”রা গ্রীজ মেখেই চলে, অন্যভাবে কাজ করে।

হে রাতঃ§রনীয় রাতের পথিক, ট্র্যাভেল প্ল্যানে এখনও কিছুদিন ”দেশের বাইরে যোগ” আছে বলে মনে হয় চোখ টিপি

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

একজন তামিলই বলতে পারবে শ্রীলঙ্কার ভিতরের সব অব্যবস্থা, অনাচার এবং বৈষম্যের কথা। আমরা দুরে বসে দেখি আর হায় হায় করি। প্রকৃত নিপীড়িতের আহাজারি একসময় বাতাসে মিলিয়ে যায়।

হে রাতঃ§রনীয় রাতের পথিক, ট্র্যাভেল প্ল্যানে এখনও কিছুদিন ”দেশের বাইরে যোগ” আছে বলে মনে হয়

আমার শরীরে একটু সমস্যা আছে, ইয়ে মানে সমস্যাটা হচ্ছে আমার পাছায় বা নিতম্বে। এক জায়গায় বেশিক্ষণ পাছা রাখতে পারিনা। হয় আমার পাছা নয়তো ওই জায়গাটা নয়তো দুটোই গরম হয়ে যায়। দেঁতো হাসি আগামী পরশু সকালবেলায় ঢাকায় পৌছবো ইনশাআল্লাহ। তারপর ১১ সেপ্টে তারিখে আবার বিলেতযাত্রা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তামান্না হায়দার এর ছবি

গায় কাঁটা দিচ্ছে। কি সাংঘাতিক কথা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

খুবই উদ্বেগজনক!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সুমন তুরহান এর ছবি

ভয়াবহ বিকারগ্রস্থতা! আর রাষ্ট্র নিজেই জড়িত থাকতে পারে, ভাবতেই শিউরে উঠছি।

-----------------------------------------------------------
স্নান স্নান চিৎকার শুনে থাকো যদি
নেমে এসো পূর্ণবেগে ভরাস্রোতে হে লৌকিক অলৌকিক নদী

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আজকাল আর শিউরে ওঠাটাও ঠিকমতো হয়না। রাষ্ট্র এমন এমন সব কাজে লিপ্ত থাকে যা ভাবতেও অবাক লাগে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।