আল বিদাহ
ওর বিশ্বাস করতে ভীষন কষ্ট হচ্ছিল যে সব শেষ হয়ে গেছে। ও এই পেশায় এতই ভাল ছিল যে, সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও ওর পক্ষে এখানে চিরটাকাল থাকা সম্ভব হল না। এখানে অনেককেই আসতে দেখেছে ও, যেতে দেখেছে, সামান্য কয়েকজনই শুধু থেকে গেছে। দুঃখভারাক্রান্ত হৃদয়ে শেষবারের মত ও বিদায় জানাল।
জন, কুড়ি বছর বয়সে, শেষমেশ বাধ্য হল কিন্ডারগার্টেন থেকে গ্র্যাজুয়েট করতে।
------------------------------------------------
শিরোনামহীন
(দুঃখজনক হলেও, সত্য কাহিনি অবলম্বনে)
জিল ওর সেলাইয়ের গ্রুপকে পত্রিকার বিজ্ঞাপনটা এনে দেখালেন --
বিক্রি হবেঃ বাচ্চাদের জুতো। কখনই পরা হয়নি।
জিল বিজ্ঞাপনের উত্তর দিয়েছেন। এখন তারা কাছের একটা হাসপাতালে মৃতজাত শিশুদের জন্য কম্বল বুনেন। একটা ট্র্যাজেডির শেষে, কয়েক মুহূর্তের জন্য হলেও যেন তাদের আশ্লেষে ভালবাসার আলিঙ্গনে আবদ্ধ করা যায়, আর তারপর দাফন করা যায় পরম মমতায়।
------------------------------------------------
৭১-তম শব্দ
বিখ্যাত গোয়েন্দাপ্রবর তাঁর মোমপালিশ গোঁফ জোড়ায় তা দিতে দিতে কঠোর দৃষ্টিতে ড্রয়িংরুমে জড়ো হওয়া সন্দেহভাজনদের দিকে তাকালেন।
সন্দেহভাজনরাও দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করছেন কিংবদন্তীতুল্য ডিটেকটিভের চূড়ান্ত ঘোষনা শোনার জন্য।
ঝাড়া কুড়ি মিনিট ধরে কুটিল, রহস্যময় ঘটনাবলীর রূদ্ধশ্বাস শব্দচিত্র পুণর্নির্মানের পর – দুই মিনিটের জন্য কানফাটানো একটা নৈশব্দ্য নেমে আসল ঘরে। আর তারপরই নাক থেকে তার নাকেআঁটা প্যাঁস্নে চশমাটা খুলে, সেই নৈশব্দ্য চুরমার করে মহান গোয়েন্দাপ্রবর ঘরের মাঝখানে বোমা ফাটালেনঃ
“হত্যাকারী হচ্ছে
........................................................................
(৭০ শব্দের অণুগল্প প্রতিযোগিতায় এন্ট্রি)
------------------------------------------------
সিরিয়াল কিলার
উদগ্র, সর্বগ্রাসী ক্ষুধাতাড়িত হিংস্র পশুর মত ঝাপিয়ে পড়ল ঈথান। চকচকে চামচটা ভয়ঙ্কর একটা মারণাস্ত্রের মত তাক করে সে কোপাতে শুরু করল চটচটে ভাত, বার্লি আর জইয়ের রোলগুলি। কিন্তু হায়, ওর ছবি কোনদিনই কোন থানা বা পোস্ট অফিসের দেয়ালে শোভা পাবে না, কারন ও নেহাতই একজন cereal কিলার ছিল।
মূলঃ ড্যাশিয়েল পাওয়ার্স, রে স্টিলওয়েল, ডব্লিউ. ভি. কাহলার, আর্ট ক্যারি।
অনুবাদঃ মনমাঝি। (ক্ষেত্রবিশেষে ঈষৎ পরিবর্তিত)।
মন্তব্য
ভালো লাগলো। শুধু ভাষাটা একটু নিরস কাষ্ঠ কাষ্ঠ লাগে।
==============================
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ
খোমাখাতা
পাঠক হিসাবে পড়তে গিয়ে আমারও তাই মনে হচ্ছে এখন। বোধহয় যথেষ্ট মনোযোগ ছিল না। আশা করি পরের বার সরস ভাষায় লিখতে পারব। তবু পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
****************************************
আপনার আগেরগুলোর মত জমলো না... তবে ভালোই লাগলো
হ্যাঁ, সেটা আমিও বুঝতে পারছি। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
****************************************
শেষ গল্পটার নাম "সিরিয়াল কিলার" করে দিন, নয়তো পানটা বোঝা যাবে না।
তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।
দিলাম।
****************************************
নতুন মন্তব্য করুন