প্রহসন

অদ্রোহ এর ছবি
লিখেছেন অদ্রোহ [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৮/০৯/২০১১ - ১:০১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এবার দোকানী মুখ তুলে চাইল। ফ্যাঁসফ্যাঁসে স্বরে শুধাল," আপনি আসলে খুঁজতেসেন কারে কন তো?"

"আমি?" এক মুহুর্তের জন্য খেই হারিয়ে ফেললাম। "প্রত্যয় সাংস্কৃতিক সংগঠন, চেনেন?" এবারও অনেকটা আপনমনে কথাগুলো আউড়ে গেলাম।

"সেইটা তো ভাই চিনিনা, বাড়ির নাম্বার ঠিক আছে তো"? দোকানীর প্রশ্নটা এবার অনেকটা আন্তরিক শোনায়। আমার চকিতে মনে হল, আমার চেয়ে যেন তার ব্যগ্রতাই বেশি। আলগোছে পকেট থেকে মুঠোফোন বের করে বরুণদার পাঠানো বার্তাটি পড়ে দেখি, একবার, দুবার...নাহ! ঠিকই তো আছে। ৬৬/৪, নিমতলী রোড। আমার দিকে জুলজুল করে চেয়ে আছে মুঠোফোনের স্ক্রিন, যেন খানিকটা ব্যঙ্গও করছে।

"তাইলে ভাই কইতে পারলামনা, এই নাম জন্মেও শুনি নাই।"

এবার দোকানীর কন্ঠে স্পষ্ট হতাশা। আমি আবার ডায়াল লিস্ট বের করে শেষ নাম্বারটাতে কল দেই..."আপনার ডায়াল করা নাম্বারটি এই মুহুর্তে বন্ধ আছে, অনুগ্রহপূর্বক কিছুক্ষণ পর আবার চেষ্টা করুন, ধন্যবাদ"; ওপাশ থেকে সুকন্ঠীর নিষ্কম্প ঘোষণায় মনটা ফের তেতো হয়ে ওঠে।

সত্যি করে বললে, অনেকক্ষণ যাবত খুঁজতে খুঁজতে জেরবার হওয়ার দশা। বাড়িটা খুঁজে পেতে এত হ্যাপা হবে কে জানত? এমনিতে ঠিকানাটা প্রধান সড়কের ওপরই, জনবহুল জায়গায়, আগেও এ তল্লাটে বেশ কয়বার আসা হয়েছে। এবার অবশ্য উদ্দেশ্যটা একদমই আনকোরা, কিন্তু বাড়িটাই যে খুঁজে পাচ্ছিনা।

আবার সেই ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকে পড়ি, এই নিয়ে তিন দফা। কালো সাইনবোর্ডে বড় বড় হরফে লেখা, "ডাক্তার সাইফুল ইসলাম, নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ,এমবিবিএস, এফসিপিএস"। আজ ছুটির দিন, ডাক্তার সাহেবের চেম্বারও সুনসান। কয়েকবার হাঁক দিয়েও কারো সাড়া শব্দ পাওয়া গেলনা।

তারপরই একটা ক্ষীণ শব্দ কানে এল, একেবারেই ক্ষীণ। সামনে তাকাতে দেখি, চেম্বার ফেলে শেষ মাথায় হলুদ আলোর রেখা চুঁইয়ে চুইঁয়ে আসছে। আরেকটু সামনে এগোতেই দেখি, একটা জংধরা দরজার ওপাশ থেকে মানুষের বাতচিতের আওয়াজ। কিছুটা সংশয় নিয়েই নক করলাম। খানিক পরে জুতোর মচমচে আওয়াজ, দরজাটাও খুলে গেল এরপর।

"আরে অনিক দেখি....কি ব্যাপার, এ তো দেরি হল কেন?" বরুণদা এক গাল হেসে জানতে চাইলেন।

"সেই কখন থেকে খুঁজে বেড়াচ্ছি, এদিকে আপনার মোবাইলও বন্ধ। আশেপাশের মানুষও দেখি কেউ চেনেনা। আর ঠিকানাটাও অদ্ভুত, কোন সাইনবোর্ডের বালাই পর্যন্ত রাখেন নাই"। একসাথে অনেকগুলো কথা হড়বড় করে মুখ থেকে বেরিয়ে এল।

"আরে মোবাইলটা চার্জ শেষ হয়ে গেল একটু আগেই।" বরুণদার কন্ঠে কাঁচুমাচু ভাব। "আচ্ছা, চল চল, ভেতরে সবাই বসে আছে।"

২.

ভেতরে গিয়ে মনে হচ্ছিল, খানিকটা যেন নিচেই নেমে এলাম। আক্ষরিক অর্থেই আন্ডারগ্রাউন্ড ঘর। আয়তাকার একটা ঘর, একটামাত্র গরাদ দেওয়া জানালা, তা দিয়ে বাতাসের হালকা ছোঁয়া না পেলে এই আধিভৌতিক প্রকোষ্ঠকে বাইরের আলোহাওয়ার সাথে সম্পূর্ণ সংশ্রবহীন এক অচেনা জগত হিসেবে অনায়াসেই চালিয়ে দেওয়া যেত। মাথার ওপর একটা ষাট ওয়াটের টিমটিমে বাতি জ্বলছে, বলাই বাহুল্য তাতে আলোআঁধারির ভাবটা আরও প্রকট হয়ে উঠছে।

ঘরটাতে আসবাবের কোন বালাই নেই, বসার জন্য স্রেফ কয়েকটা চেয়ার। এমনকি শ্রীহীন ঘরটায় একমাত্র টেবিলটাকেও মনে হচ্ছিল বিষম বাহুল্য। ইতিউতি চোখ বুলাতে বুলাতে চোখে পড়ল কয়েকটা বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত বুকসেলফ। চকিতে একটা দুটো নাম চোখে পড়ে গেল; পুতুল নাচের ইতিকথা, লাল নীল দীপাবলী...। পলেস্তরা খসে পড়া ময়লাটে দেওয়ালে বেশ কিছু পোস্টার। "সাম্রাজ্যবাদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও", কালো হরফের এই লাইনকটি চোখে পড়ে বেশ ক'বার। কোথায় এসেছি, সেটা আরেকবার স্পষ্ট হয়ে ওঠে। আলটপকা চোখে পড়ে যায় কটি লাইন, "শিল্পসাহিত্য বিপ্লবকে দিক ভাষা, বিপ্লব শিল্পসাহিত্যকে দেবে মুক্তি"। মাথার ভেতর সাথে সাথে গেঁথেও যায় লাইনজোড়া। মনোযোগটা অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টা করতেই দেখলাম, মাঝে জনা দশেক লোক গোল হয়ে বসে আছে। কয়েকটা মুখ পরিচিত বোধ হল, কিন্তু ঠিক পূর্বপরিচিত মনে হলনা কাউকেই। বরুণদা তার স্বভাবসুলভ দরাজ কন্ঠে বলে উঠল, "ও হল আমার এক ঘনিষ্ঠ ছোটভাই, অনিক। কর্মসূত্রে ঢাকাতেই থাকে, ছুটিছাটায় এদিকে আসে।" আমি সবার চেহারা একপলক দেখে নিলাম। চশমা পরা অবিন্যস্ত চুলের এক তরুণ, শালপ্রাংশু গড়নের একজন মধ্যবয়সী লোক, কাগজ কলম হাতে একজন একহারা গড়নের মহিলা... খুব বেশি মনোযোগ কাড়ার মত কেউ ছিলনা। অন্তত আমরা যার জন্য এখানে এসেছি, তিনি যে এখানে নেই সেটা বুঝে নিতে বেগ পেতে হলনা।

এসব সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে দরজাটা খুলে গেল। চৌকোনো চশমা পরা একজন গৌরবর্ণের টকটকে চেহারার দোহারা গড়নের লোক ধীরে ধীরে সেই দরজা দিয়ে প্রবেশ করলেন।

"আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন, উনিই বিশিষ্ট লেখক মাহমুদ হাসান।" বরুণদার গমগমে গলা শোনা গেল। দরকার ছিলনা অবশ্য। লোকটাকে আগে যারা দেখেনি তারাও এক লহমায় বুঝে গেল উনিই আজকের আসরের মধ্যমণি।

আমি নির্নিমেষ লোকটার পানে চেয়ে রইলাম। নাহ! চোখে পড়ার মত চেহারাই বটে! উনিই সেই লোক, যার গল্পের ব্যবচ্ছেদ করতে গিয়ে আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা চায়ের কাপে ঝড় তুলেছি, যার উপন্যাসের কাঁটাছেড়ায় আমরা তর্কে মুখর হয়েছি, বাহাস করেছি কত দীর্ঘ প্রহর। মূলধারার লেখক উনি নন, জনাকীর্ণ বইমেলায় তার বই মুড়িমুড়কির মত বিকোয়না বটে, কিন্তু এর মাঝেই তার একটা নিজস্ব পাঠকগোষ্ঠী গড়ে উঠেছে, লেখক হিসেবে এর মাঝেই তিনি একটা স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করতে পেরেছেন।

"আমি খুব খুশি আপনাদের সাথে বসতে পেরে", ভরাট গলায় দারুণ আত্মবিশ্বাসের সাথে তিনি কথাগুলো ছুঁড়ে দিচ্ছিলেন। "এই শহর আমার যৌবনের শহর, আমি সুযোগ পেলেই এখানে ছুটে আসি। এবারে তাই মওকা পেয়ে আমি চলে এলাম। আফসোস হল, খুব বেশিক্ষণের জন্য আমি আপনাদের সাথে থাকতে পারবনা, এজন্য আমি আগেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি।" আমরা সবাই মন্ত্রমুগ্ধের মত তার কথাগুলো গিলতে লাগলাম।

৩.

কথা চলতে থাকল। সাহিত্য, সমাজ, রাজনীতি কোন কিছুই বাদ থাকলনা। ইতস্তত করে আমার মত মুখচোরা লোকও দুয়েকটা প্রশ্ন করে ফেলে। "স্যার, আপনি কোন পরিচয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, গল্পকার না ঔপন্যাসিক?"
প্রশ্নটা করেই নিজের কানেই বেশ ক্লিশে শোনায়। মুচকি হেসে লেখক জবাব দেন, " আমি আসলে অনেক কিছু নিয়েই লিখেছি, আর আমার কৌতুহলের পরিধিও অনেক খানি বিস্তৃত। আর একেক ধরনের লেখার জন্য একেক ধরনের পূর্বপ্রস্তুতি, অভিনিবেশ প্রয়োজন হয়..." । লেখক ব্যাখ্যা করতে থাকেন। ব্যক্তিগতভাবে লেখকের গল্পের প্রতি আমার এক ধরনের পক্ষপাত কাজ করে, মওকামত সেটা জানাতেও কসুর করিনা। লেখক বলতে থাকেন, " দেখুন, আমার একটা খেদের কথা না বললেই নয়। ছাত্রাবস্থায় বামধারার রাজনীতির প্রতি আমার এক ধরনের মোহ কাজ করত। সক্রিয়ভাবে কখনো রাজনীতি করিনি, তবে আমার লেখায় তার একটা প্রচ্ছন্ন ছাপের কথা আমি অস্বীকার করবনা মোটেই। আমি বিশ্বাস করি, তিন রকমের কাণ্ডের সমন্বয়েই কোন মহৎ কীর্তির জন্ম নেয়; কর্মকাণ্ড, জ্ঞানকাণ্ড, রসকাণ্ড। আমি কর্মকাণ্ডের লোক নই, নিজেকে আমি মনে প্রাণে রসকাণ্ডের লোক বলেই মানি। কিন্তু তাই বলে কর্মকাণ্ডের লোকের কাছে জ্ঞান বা রসকাণ্ডের আবেদন ফুরিয়ে যায়না। বরং এই তিনকে বলা চলে একে অন্যের পরিপূরক। কর্মকাণ্ডের লোক যদি জ্ঞান বা রসকাণ্ড সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখে তাহলে সেটার কার্যকারিতা বা উপযোগিতাও অনেকখানি বেড়ে যায়। মানিকের কথা আপনারা সবাই জানেন, বামধারার রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টতার সময় এমনও রবও উঠেছিল, ওই লোক মিটিং- মিছিলে না গিয়ে কীসব লেখালেখি করে? কী হবে এত লেখালেখি করে ? "

একজন জানতে চায়,"তাহলে কি আপনি বলতে চাচ্ছেন আমাদের দেশের কর্মকাণ্ডের লোকেরা বাকি দুটোর সাথে সম্পর্কহীন?"

এবার লেখক স্মিত হাসেন, ঋজু, বলিষ্ঠ স্বরে বলেন,"অনেকেই হয়তো ভিন্নমত পোষণ করবেন, কিন্তু আমি নিজে অন্তত তাই ভাবি। আমার মনে হয়, আমাদের দেশের প্রগতিশীল আন্দোলনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অনেকের পাঠাভ্যাস সেই রবীন্দ্র-শরৎ যুগেই সীমাবদ্ধ। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে না হোক, স্বাধীনতা-উত্তর কালেও সমাজজীবনের যেসব ছোটখাট ডিন্যামিকসকে তারা পোরট্রেইট করেছেন, তাতে অবাক হয়ে যেতে হয়। এই সব সাহিত্যের সাথে ওনাদের কতটুকু চেনাশোনা আছে?"

প্রশ্নটি ছুঁড়ে দিয়ে লেখক আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকেন। একমুহুর্তের জন্য আমি আনমনা হয়ে পড়ি, স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাঝরাতের টকশোতে প্রগতিশীল নেতাদের তীব্র বাহাসের কথা মনে পড়ে যায়, ঈদের বিশেষ আনন্দ অনুষ্ঠানে ওনাদের সরব উপস্থিতির কথা মনে পড়ে।

আর ডানপাশের নোনা ধরা দেওয়ালে ইলিয়াসের "শিল্পসাহিত্য বিপ্লবকে দিক ভাষা, বিপ্লব শিল্পসাহিত্যকে দেবে মুক্তি" কথাগুলো আমার দিকে তাকিয়ে ভেংচি কাটতে থাকে।

আমি আবার আনমনা হয়ে পড়ি...


মন্তব্য

মিলু এর ছবি

চিন্তিত

অদ্রোহ এর ছবি

মন খারাপ

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

মিলু এর ছবি

আমি ভেবেছিলাম ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লেখা কিনা, এখন দেখি মিলে গেছে!

আর্যভট্ট এর ছবি

পড়ে ভালো লাগলো। ট্যাগ দেখলাম গল্প। কিন্তু মনে হল, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা লিখছেন।

অদ্রোহ এর ছবি

ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার নির্যাসে ছাঁকা গল্প হাসি

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

তিথীডোর এর ছবি

গল্প? সাম্প্রতিক কোন অভিজ্ঞতা নয়..? চোখ টিপি

এই যেমন ধরুন, ঈদে বাড়ি যাওয়া.. বিশদ বাঙলা...হঠাৎ ঠিক করে নেওয়া কোন আড্ডার ছবি নয় তো, নিজস্ব ভঙ্গিতে লেখা? ['সব জানি' ভঙ্গিতে মাথা নাড়ার ইমো]

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অদ্রোহ এর ছবি

সব তো জানেনই, কী আর বলব... হাসি

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমার ছাত্রজীবনের কথা। এক বাম রাজনৈতিক কর্মী "ব্রিফ হিস্ট্রি অভ টাইম" পড়ছিলেন। তার নেতা এসে বললেন, "এগুলা পৈড়া কী হৈবো? আগে বিপ্লব করতে হৈবো। বিপ্লব হৈলে বিজ্ঞান-সমাজ-সাহিত্য সব কিছুর সমস্যার সমাধান হৈয়া যাইবো"। এদের "বিপ্লব" সম্ভবত গাছে ফলে বা মাটি খুঁড়ে বের করতে হয়। তাই তাদের কর্মকাণ্ড হয়, "বিপ্লব" আর হয় না।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অদ্রোহ এর ছবি

আমরা আসলে বুঝিনা আমাদের সীমাবদ্ধতা কতটুকু। রাজপথে গলা ফাটিয়ে আমরা বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলতে চাই, রাতারাতি। কিন্তু বিপ্লব কি এতটাই শস্তা?

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

হুমম................

রহস্যগল্প ভালো লেগেছে............... চলুক


_____________________
Give Her Freedom!

অদ্রোহ এর ছবি

রহস্যগল্প? চিন্তিত

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

এই মানে, গল্পটা পড়ে কয়েকটা অনুমান করেছিলাম, পরে দেখলাম একটা ঠিক হয়েছে, মানে রহস্যে পড়ে গিয়েছিলাম, তাই ঐভাবে বলা..............আর কিছু না


_____________________
Give Her Freedom!

আশফাক আহমেদ এর ছবি

খোমাখাতার বন্ধু হওয়ায় একটা লাভ হয়েছে, তোর গল্পের প্লট আমি ধরতে পেরেছি।
তবে, আমি বলবো 'গল্প' ট্যাগ না দিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আকারে লিখলেই ভালো করতি।

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

অদ্রোহ এর ছবি

গল্পটা সচেতনভাবেই দেওয়া, তবে খোমাখাতায় বন্ধুত্বই যদি গল্পের মান নির্ণায়ক হয় তবে সেটা আমারই ব্যর্থতা।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

প্রথম তারাটা দিয়েও মন্তব্য করিনি অন্যান্য পাঠকের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করতে চাই বলে।

যা আশঙ্কার, তা-ই হয়েছে। গল্পের পেছনের ঘটনাটুকুর নির্যাস না জানা থাকলে বৈশ্য পাঠকের এ গল্প বুঝতে সমস্যা হতে পারে। ব্রাক্ষণ পাঠকের অবশ্য হবে না, যেমন পাণ্ডবদা। ...

আরো আসুক।

অদ্রোহ এর ছবি

স্পট অন। ইচ্ছে করেই কথা আর বাড়াইনি, কি লাভ?

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

রিশাদ_ ময়ূখ এর ছবি

হুম, বুঝতে পেরেছি। বইপড়ুয়ার পোস্ট দেখে বোঝা। ভালো লেগেছে পড়তে। লেখক ছাত্রজীবনে যে হোস্টেলে থেকে গেছেন ঐখানে আমি থাকি এখন। ছাত্র ইউনিয়নের এক রুমে দেয়ালে ওনার কিছু কথার ছাপ নাকি ছিল। রং সেটা ধুঁয়ে মুছে ফেলেছে

যুমার এর ছবি

'আমি আবার আনমনা হয়ে পড়ি---'
এরকম আনমনা আমিও হয়েছি বহুবার---।
চমৎকার লেগেছে!!!

অরফিয়াস এর ছবি

মূলভাবের সাথে একমত ... চলুক

----------------------------------------------------------------------------------------------

"একদিন ভোর হবেই"

যাযাবর ব্যাকপ্যাকার এর ছবি

আমি অবশ্য একটা বিস্তারিত সত্যিকারের আড্ডা-বিবরণই এক্সপেক্ট করছিলাম লিখবে বলে... আমার কাছে এটাও মন্দ লাগেনি 'গল্প' হিসেবে পড়তে। সেই 'আড্ডার গল্প' যদিও এখনো পড়তে চাই।

___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।