বাদ কাকডাকা ভোরে নাফাখুমের দুর্গম, বন্ধুর পথে যাত্রা শুরু করে বুঝলাম এই পথ পাড়ি দিতে উদ্যমের চরম পরাকাষ্ঠা বা শরীর নামক মহাশয়ের একনিষ্ঠ সমর্থন ছাড়াও আর যেটা দরকার, সেটা হল বরাতের জোর। কদিন আগের বৃষ্টিতে আমাদের যাওয়াটা যেখানে হুমকির মুখে পড়ে গয়েছিল, সেখানে রওনা দেওয়ার পর সূর্যটা দিব্যি আমাদের সঙ্গ দিতেই ব্যাপারটা ঠাহর করলাম। তখনও অবশ্য সূর্যদেব স্বমহিমায় আবির্ভূত হননি, অতএব পাহাড়ের গায়ে খোকাটে রোদটা মাত্রই আসন গেড়ে বসেছে। নদীর পানি সামান্য বেড়েছে বৈকি, তবে আমাদের দুজন পাহাড়ী পথপ্রদর্শকের তথ্যানুসারে সেটা ধর্তব্যের মধ্যে পড়েনা। অতএব, কা তব কান্তা বলে আমাদের আট কিলো হাঁটা শুরু। গোড়াতেই অবশ্য তিনটে পাহাড় পড়ল, পার হতে খুব একটা বেগ পোহাতে না হলেও টের পেলাম, ফেরার সময় আমাদের অনেক ঘাম ঝরাতে হবে নিশ্চিত। পাহাড় পেরিয়ে আচমকা আমরা নদীর তীরে এসে পৌঁছুলাম। এখান থেকে অনেকটা পথে নদীর কোল ঘেঁষে হাঁটতে হবে, এরপরই দেখা মিলবে বহুল আরাধ্য নাফাখুমের।
যাত্রা তবে শুরু হোক হে নবীন...
নদীর কিনার ধরে হাঁটার মধ্যে যারা বেশ একটা রোমান্টিক মৌতাত খুঁজে পাচ্ছেন তাদের জ্ঞাতার্থে জানিয়ে রাখা ভাল, ব্যাপারটা মোটেও তা নয়, বরং অনেকটা উল্টোটাই। একেবারে খাদের কিনার ঘেঁষে আমাদের চলছিলাম, প্রতিটি পা ফেলার আগেই হিসাব কষে নিতে হচ্ছিল, কারণ বেমক্কা পিছলে পড়ে গেলে একেবারে নিচের পাথুরে নদীর ওপর আছড়ে পড়তে হবে। শুরুর দিকে অবশ্য নদী দু দিকেই অনেকটা প্রশস্ত ছিল, আমরা তাই ক্যামেরা বাজির মওকা পেয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু খানিক পরেই যখন পয়লা বারের মত নদী এপার-ওপার করতে হল তখনই মূলত হ্যাপাটা শুরু হল। নদী আদপে বেশ স্থিরমূর্তি অচঞ্চলা মনে হলেও পা দেওয়ার পর টের পেলাম স্রোতের বেগ আসলে কতখানি। আমরা সংখ্যায় দুজন গাইড মিলিয়ে প্রায় পচিশজনের মত, তাই মানবশেকল তৈরি করে নিয়ে মোটামুটি নির্বিবাদে নদী পার হওয়া গেল। এরপরের পথ দুর্দান্তরকম ঝঞ্ঝাটপূর্ণ, কাদায় পুরো পথ ভয়াবহ রকম পিচ্ছিল হয়ে আছে। আমাদের মধ্যে এতক্ষণ দূরত্ব বেশ কমই ছিল কিন্তু এই কাদাটে পথে এসে যাদের ভারসাম্য ভাল তারা দুদ্দাড় সামনে এগিয়ে গেল। আর অতি সাবধানীরা ক্রমশ পিছিয়ে পড়তে লাগল। এরমধ্যেই কেউ কেউ সামান্য বেখেয়াল হলেই একেবারে ধপাস করে পড়ে যাচ্ছিল, তবে কপালের জোরে একেবারে বেকায়দাভাবে কেউ পড়েনি। তবে কাদাটা ভোগাচ্ছিল খুবই, একেকবার পা দিতে আমাদের পা একেবারে হাঁটু অবধি দেবে যাচ্ছিল, পুরো শর্টস পা একেবারে কাদায় মাখামাখি। তবে মাঝে মাঝেই আমাদের নাম না জানা স্ফটিকবর্ণা পাহাড়ি ঝিরি দর্শন দিয়ে যাচ্ছিল, আর স্যান্ডালটা আমরা ধুয়ে সাফসুতরো করে নিছিলাম। তবে এখানে একটা ফাও উপদেশ, যারা বর্ষার সময় বা পরপর যাবেন তারা নাফাখুম যাওয়ার সময় ফুটওয়্যারটা একটু বুঝেশুনে বেছে নেবেন। সোলটা যদি পিচ্ছিল পাথরে ঠিকমত গ্রিপ করতে না পারলে সাড়ে সর্বনাশ হয়ে যেতে পারে। আমার নিজের মত, যে যেই স্যন্ডেল বা জুতোয় হাঁটাহাঁটিতে অভ্যস্ত সেটাই বেছে উচিত, হঠাৎ করে আনকোরা কিছু পরে গেলে একটা কেলো হতে পারে বৈকি।
হে ধরণী দ্বিধা হও
এইভাবে কর্দমাক্ত পথে মাড়িয়ে আমাদের যখন প্রায় জেরবার দশা তখন দ্বিতীয় দফায় নদী পার হওয়ার পালা। এবার গভীরতা মোটামুটি বেশি, স্রোতের ধাক্কাও বেশ জোরালো। আগেরবারের চেয়ে এবার তাই অনেক সাবধানে পার হতে হল। এবারও ভাগ্যদেবীর অসীম কৃপা, কোন অঘটন ছাড়াই আমরা এই দফায় নদী পার হয়ে এলাম। বলে রাখা ভাল, আমরা ভাল পরিমাণে পানি থেকে মায় শক্তিবর্ধক গ্লুকোজ নিয়ে এলেও সেসবের কোনো প্রয়োজন আদৌ হচ্ছিলনা। রোদ ততক্ষণে অনেকখানিই চড়ে বসেছে, বিরতিহীন হন্টনে আমরাও বেশ পেরেশান , তৃষ্ণাও তাই মাঝেমাঝেই পাচ্ছিলই। কিন্তু চলার পথের ঝরনাগুলোতে আমরা নিজেদের আয়েশ করে নিজেদের পিপাসা মিটিয়ে নিলাম। অবাক হলাম, কারণ পানির স্বাদ একদমই অন্যরকম, তাই চাঙ্গা হয়ে উঠতে আমাদের সময় লাগছিলনা। খানিক এগিয়ে দেখি, পাড় এবার অনেকটাই চওড়া হয়েছে। সামনে পাহাড়ীদের খানদুয়েক বাড়ির আভাসও পাওয়া যাচ্ছে। নিষ্কন্টক পথ পেয়ে এবার আমাদের চলার গতি একটু দ্রুত হল। তবে সুখে থাকতে থাকতেই ভুতেরা কিলানো শুরু করল, সামনেই দেখলাম নদী অনেকখানি চওড়া। আমাদের তৃতীয় ও শেষবারের মত এখানেই নদী পার হতে হবে, আর বলাই বাহুল্য, এখানে হাঁটার কোনই সুযোগ নেই।
এইবার সওয়াল পুছতে পারেন, যারা সাঁতার জানেনা তারা নদী পার হবে কী করে? আগেই বলেছিলাম, আমাদের দলের অনেকেই আদ্যন্ত সাঁতারকানা, ডাঙ্গায় তারা যথেষ্ট হম্বিতম্বি করলেও জলে একেবারে কেঁচো। কুছ পরোয়া নেহি, গাইডরা অচিরেই মুশকিল আসানের আশ্বাস দিল। নদীর দুপাড়ে দুটো বড় গাছ, সেই গাছের গুড়িতে সঙ্গে করে নিয়ে আসা নাইলনের দড়ি আচ্ছাসে বাঁধা হল। এবার এই দড়ি বেয়ে আমাদের পার হবে হবে খরস্রোতা সাঙ্গু নদী। আমাদের দুএকজন চোখ-মুখ শুকনো করে বলতে গিয়েছিল এর চেয়ে ভাল বন্দোবস্ত হবে কিনা, তবে দুএকজন তরতর করে দড়ি বেয়ে নদী পার হতেই তারাও আর দোনোমনা করলনা। কিন্তু গোলটা বাঁধল মানুষের না হয় একটা নিহিত হল, কিন্তু এর চেয়ে দামি বস্তু ক্যামেরা পার করা যায় কি উপায়ে? এবারও ত্রাণকর্তা হিসেবে আমাদের দুর্ধর্ষ গাইডের আবির্ভাব, কীভাবে কীভাবে যেন ক্যামেরার ব্যাগ একতিল না ভিজিয়েই ওপারে পার করে দিল। এই দফায়ও সব ভালয় ভালয় হয়ে গেল, কেবল মাঝপথে বেআক্কেলের মত দড়ি ছেড়ে দিয়ে তারস্বরে আর্তনাদ করা ছাড়া। তবে পেছনের জন সাঁতার জানায় সে যাত্রায় আর বেশি ফ্যাসাদ হয়নি।
মেঠো পথে...
এরপর আবার নিরিবচ্ছিন্ন হাঁটা, তবে টের পাচ্ছিলাম আমাদের অপেক্ষার প্রহর ধীরে ধীরে ফুরিয়ে আসছে, রাত পোহাবার কত দেরি পাঞ্জেরি বলে হাহুতাশ করার সময় ফুরিয়ে এল বলে। পাহাড়ি ঝর্নার মন্ত্রবলে হোক বা নাফাখুমে যাওয়ার উত্তেজনার আতিশায্যেই হোক, সবার গতি এবার বেশ দ্রুত হয়ে এল। আমরা কয়েকজন বাকিদের চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিলাম, প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা হাঁটার পর খুব ক্ষীণভাবে ঝর্ণার শব্দ শুনতে পেলাম। এবার আর হাঁটা নয়, খুশির চোটে একেবারে দৌড়ই দেই পারলে। কিন্তু সামনে তখনও ভেজা পাথর, তাই দৌড়ানোর তো জো নেই-ই, বরং হাঁটতেই হচ্ছিল অনেকটা সন্তর্পণে। এবার হঠাৎ করে সামনে দেখি বিপুল জলরাশি সশব্দে আছড়ে পড়ছে। খুশির ঠেলায় টারজানের মত একটা গগনবিদারী চিৎকারই দিয়ে বসলাম। অবশেষে পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম...
আগেই বলেছিলাম, আমাদের বরাতটা খুব ভাল, নাফাখুম অভিযানের সময় বর্ষা বিদায় নেব নেব করছে, তাই নাফাখুমের শ্রী তখনও বিলকুল অটুট। পরে জানতে পেরেছিলাম, শীতের মৌসুমে নাফাখুম নাকি শুকিয়ে একেবারে অস্থিকঙ্কালসার হয়ে পড়ে, যাকে বলে ভাঁড়েও মা ভবানী দশা। নাফাখুমকে বাংলাদেশের নায়াগ্রা বললে হয়তো কিঞ্চিত বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে তবে ঠিক ঐ মাহেন্দ্রক্ষণে সেটাকেও যথেষ্ট মনে হচ্ছিলনা। কাছে যেতেই নিচের অদৃশ্য পাথরখন্ডে আছড়ে পড়া ফেনিল জলরাশির ঝাপটা লাগছিল। গাইড মারফত জানলাম, নাফাখুমের নিচে নাকি বেশ বড়সড় গুহা আছে, জনশ্রুতি আছে সেখানে নাকি কোন এক কিংবদন্তীর রাক্ষুসে মাছের আস্তানা। আর নাফাখুমের উজান বরাবর আরো একদিনের হাঁটাপথে নাকি এর উৎসমুখে যাওয়া যায়, সেটা নাকি আরো ভয়ানক পথ। আমরা অবশ্য তখন খুশিতে কেউ হেড়ে গলায় গান ধরেছি, কেউ ক্যামেরার শাটার টিপতে ব্যস্ত, আর কেউ ব্যস্ত তিন ঘন্টার অভিযানের পর ধুম্র উদগীরণে। এর মধ্যে ঘুরপথে আমরা ঝর্ণার মুখে চলে এলাম, এদিকে অবশ্য একেবারে নিখাদ টলটলে পানি, সেটার গভীরতা জানা নেই বলে ওপারে যাওয়ার সাহস করা গেলনা।
ছবিবাজি শেষে আমরা খুব দ্রুতই ফেরার তোড়জোর করতে লাগল, কারণ যেভাবেই হোক ওইদিন বেলাবেলি থানচি ফিরে আসতেই হবে। তবে আশার কথা, ফেরার পথটাতে ঝক্কির বহর অনেক কম ছিল। একে তো বেলা হয়ে আসায় সূর্যের দাপটে কাদা শুকিয়ে খটখটে, তারপরে পথটাও চেনা হয়ে যাওয়ায় গাইডের সমানতালেই আমরা এগিয়ে চললাম। এদিকে তেসরাবার নদী পার হতে গিয়ে আমাদের বোতলগুলোর সলিল-সমাধি ঘটেছে, ফলে ঝর্ণা পেলেই আমরা হামলে পড়ছিলাম। এইভাবে পাহাড়গুলো পর্যন্ত এসে হিসাব কষে দেখলাম, আগেরবারের চেয়ে অনেক তাড়াতাড়িই চলে এসেছি। কিন্তু পাহাড় বাইতে গিয়েই এরপর বুঝলাম, ঠেলার নাম মকেন বাবাজি। পাক্কা পাঁচ ঘন্টার হাঁটায় পাদুটো দারুণ টনটন করছে, দুটো পাহাড় পেরুতেই আমরা জিভ বের করে পাগলা কুকুরের মত হাঁপাতে লাগলাম। পায়ে তখন একবিন্দু জোর নেই, স্রেফ কোনমতে টেনেটেনে শেষ কটা ধাপ পার হতেই আমরা রেমাক্রিবাজারের খোলা জমিনে সটান শুয়ে পড়লাম। শরীর বিদ্রোহ করলেও খেয়াল করলে দেখা যেত , আমাদের সবার মুখে তখন একটা পরিতৃপ্তির সুক্ষ্ণ আবেশ, আমরা যে নাফাখুম জয় করে এসেছি...
(চলবে...)
মন্তব্য
আপনাদের নদী পেরোনোর থ্রিলিং অভিজ্ঞতা আর চমৎকার গল্পের সঙ্গে ছবির মহাভোজে বেশ তৃপ্তি পেলাম!
কৌস্তুভদা!
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
দিলেন তো আবার মাথাডা নষ্ট কইরা! বান্দরবান কতবার গেলাম, কিন্তুক এই জিনিস জয় করতে পারলাম না এখনও...এনার্জেটিক পোলাপাইন পাওয়াই দুষ্কর!
ছবিগুলি বেশি ঝাকানাক! এইবার না গিয়া না!
- দিগন্ত বাহার।
এখনো সময় আছে নাদের আলী, এইবার আঁটঘাট বেঁধে নামেন...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
।ছবি গুলা চরম হইছে।
--------------------------------
Sad Poems
রাতঃদা, অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য। আর ঢাকায় আসলে দেখা হবে...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
ক্রমাগত আপনি আমার মাথা নষ্ট করে চলেছেন ভায়া। ঢাকায় এসে আমি ঠিকই আপনার খোঁজ নেবো। বিস্তারিত জানতে হবে। চমৎকার লিখেছেন এবং তুলেছেন। চলতে থাকুক।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
হে কিপ্টা লেখক, খানকতক ছবিসহ আরেকটু বড় পোস্টের দাবী জানায় গেলাম।
লেখায়
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
আমারে কেপ্পন বলায় আপনারে তীব্ব্র দিক্কার।
পড়ার জন্য
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
অসাধারণ, লেখায় ও ছবিতে আপনার সাথে সাথে নাফাখুম বিনি পয়সায় ঘুরিয়ে আনলেন!
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
রোমেল ভাই, দুধের স্বাদ কি আর ঘোলে মেটে? আমি নিশ্চিত, আপনি নিজে ঘুরে আসলে এর চেয়ে ঢের ভাল লিখতে পারবেন...
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
আমি গিয়েছি কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে আবার যাবার ইচ্ছা হলো।
এই লেখাটা নীড়পাতা থেকে দেখা যায় না ভালোকরে...
এবারে বর্ণনা একটু কম মশলার হয়েছে। ছবিই মূল আকর্ষণ ছিলো।
"সূর্যদেব স্বমহিমায় আবির্ভূত হননি", "কা তব কান্তা"---এগুলো মনে হয় তোর প্রিয় ফ্রেজ
বাংলার নায়াগ্রার ছবিগুলা অসাধারণ হইসে
পরের পর্বের অপেক্ষায়
---আশফাক আহমেদ
প্রত্যেকটা পার্ট পরে খুবই ভালো লেগেছে। আমরা কজন বন্ধুরা মিলে এই কুরবানি ঈদের ১ দিন পর এই যাত্রাই সামিল হচ্ছি, ভাইয়া খুব ভালো হয় যদি আপনি খরচের বেপারটা বলেন, তাহলে আমরা একতা বাজেট করে যেতে পারব। আর বান্দরবান থেকে থাঞ্ছি কি বাসে যাওয়া যাই??
নতুন মন্তব্য করুন