এবার হোক বিভীষণবধ

অদ্রোহ এর ছবি
লিখেছেন অদ্রোহ [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৩/০২/২০১১ - ১:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

৮ই জানুয়ারি,২০১০। মিরপুর স্টেডিয়ামে ভারতের সাথে বাংলাদেশের দিবারাত্রির খেলা। টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন সাকিব। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিরুদ্ধে সেটা হঠকারিতা কিনা সেটা নিয়েও জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেল। অবশ্য প্রথম ভাগে সাকিবের সিদ্ধান্ত প্রশ্নের সম্মুখীন হলনা। বাংলাদেশ ২৯৬ রানের একটা "ফাইটিং" (ভারতের দুর্দান্ত লাইনআপের কথা মাথায় রাখলে উইনিং না বলে ফাইটিং বলাটাই সমীচীন ) স্কোরও দাঁড় করিয়ে ফেলল। কিন্তু পরের ভাগে ছক পালটে গেল আমূলভাবে। ধোনির বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে ভারত রীতিমত হেসেখেলেই ২৯৬ রানের টার্গেটকে মামুলি বানিয়ে ছাড়ল। যাই হোক, অনেকের হয়তো মনে পড়বে রাতের ফ্লাডলাইটের আলোতে বাংলাদেশের বোলাররা জেরবার হয়ে গিয়েছিল। শিশিরে ভিজে যাওয়া বল গ্রিপে আনতে বোলারদের ব্যর্থতা সাকিবকে দাঁড় করিয়ে দিল কাঠগড়ায়। শুরুতে ভারতকে ব্যাট করতে দিয়ে কয়েকটি উইকেট নিয়ে ফেললে যে চাপে ফেলে দেওয়া যেত, একথা বলতেও কসুর করলেননা অনেকে। গাভাস্কার তো বলেই ফেললেন এই উইকেটে টস জেতা মানেই ম্যাচ জেতা। আর সাকিব টস জিতেও আগে ব্যাট করে প্রকারান্তরে প্রমাণ করলেন , ম্যাচটা শুরুতেই তিনি ধোনির হাতে তুলে দিয়েছেন। সেই সময় সাকিবের পক্ষে সাফাই গাওয়ার লোক খুব বেশি ছিলনা। উৎপল শুভ্রের টস নিয়ে নিরেট ময়নাতদন্তই তাই হয়ে থাকল ম্যাচ রিপোর্টের সারাংশ।

এক বছর পরের কথা। এবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, প্রথম ম্যাচই শক্তিশালী ভারতের সাথে। বরাবরের মতই দুর্দান্ত ব্যাটিং লাইনআপ তাদের, তারপরও আরেকটি জয়ের আশায় সবাই বুক বেঁধেই ছিল । এবারও কান্ডারি সাকিব, ঘরের মাঠে তিনিই ধোনির সাথে তিনি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে টস করতে নামলেন। প্রথম হাসিটা সাকিবই হাসলেন, মাঠভর্তি দর্শকের তুমুল হর্ষধ্বনির মাঝে সাকিব হাসিমুখে ঘোষণা দিলেন, বাংলাদেশ আগে ফিল্ডিংই করবে। এবারও শীতের শেষার্ধে খেলা, রাতে শিশিরের উটকো হ্যাপাকে তাই উড়িয়ে দেওয়ার জো ছিলনা। তাই আগে ব্যাটিং না নেওয়ার সিদ্ধান্তকে এবার সঠিক না মেনে উপায় ছিলনা। আর সেই সাথে মিরপুর স্টেডিয়ামে পরে ব্যাট করে জেতার সিংহভাগ রেকর্ড তো বটেই, তায় এক বছর আগে শুরুতে ব্যাট করে নাকাল হওয়ার কথা যে সাকিবের মাথায় ক্ষণিকের জন্য উঁকি দেয়নি, তাই বা কে বলতে পারে? এবারও বিধিবাম, শেবাগের অতিমানবীয় ইনিংসে ভারত রানের পাহাড়ে চড়ে বসে। সেই পাহাড় টপকানোর সাধ্য টাইগারদের ছিলনা বটে, কিন্তু একথা মানতেই হবে হারার আগে হারেনি তারা, দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ২৮৩ রানের বেশ ভদ্রস্থ একটা স্কোর দাঁড় করাতে পারে তারা। রেকর্ড আর রাতের শিশির মত এক্স ফ্যাক্টরকে ভারতীয়রা উড়িয়ে দিতে পারল বটে, কিন্তু টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সিদ্ধান্তকে এক লহমায় আত্মঘাতী বলার মানুষ খুব বেশি পাওয়া যায়নি।

তবে খেলটা শুরু হল মূলত এরপর। একদিন পর প্রথমআলোতে সাকিবের এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার , এবং শুরুতেই টস জেতার ডিসিশনকে "টক অব দ্য কান্ট্রি" হিসেবে আখ্যায়িত করার উদ্ভট খেয়াল। এরপর ঘুরিয়ে ফিরিয়ে করা প্রশ্নগুলো আদপে শেয়ালের কুমিরের বাচ্চা দেখানোরই নামান্তর, আর প্রতিবারই সাকিব সেগুলো অবলীলায় ডাউন দ্য উইকেটে এসে খেললেন। এমনকি সাকিবের যুক্তিযুক্ত উত্তরের পরও ভারতের ব্যাটিং তাণ্ডবের সময় "ভুল করে ফেললাম কিনা" জাতীয় আপাতদৃষ্টিতে বালখিল্য প্রশ্ন আমাদের ভাবতে বাধ্য করে, ডালমে কুচ কালা হ্যায়। সারা দেশ যেখানে সাকিবের পেছনে একাট্টা ছিল, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হেরেও যেখানে ক্রিকেটবোদ্ধারা বলতে বাধ্য হন, বাংলাদেশ ঠিক পথেই আছে, স্বয়ং শেবাগের মত খুঁতখুঁতে আত্মম্ভরী লোক বাংলাদেশকে "গুড ওয়ানডে টিমের" সার্টিফিকেট দেন, সেখানে পরের ম্যাচের আগে এ ধরনের প্রগলভ প্রশ্নবাণ আর টস নিয়ে গেল গেল রবকে আসলে পুরো আবহাওয়াকে বিষিয়ে তোলার একটা অপচেষ্টা ছাড়া আর কীইবা বলা যায়। দিনটা ছিল বোলারদের জন্য স্রেফ একটা ব্যাড ডে, ফিল্ডিং উতরে যাওয়ার মত ছিল আর ব্যাটিংকে বাহবা না দিলে রীতিমত অন্যায়ই হবে। অথচ আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে যেখানে গঠনমূলক সমালোচনা ছাড়া আর যেকোন কিছু দলের ফোকাস নড়িয়ে দিতে পারে, সেখানে এ ধরনের উটকো প্রশ্নের ফোয়ারা আসলে সাক্ষাতকারটির উদ্দেশ্য নিয়েই আমাদের ভ্রুকুটি তুলতে বাধ্য করে।

এখানেই ব্যাপারটা চুকেবুকে গেলে হয়তো পরিস্থিতি এতটা ঘোরালো হয়ে উঠতনা। এই দিনই আমির সোহেলের আরেকটি মন্তব্য খেলার পাতায় ফলাও করে ছাপা হয়, সেখানে তিনিও সাকিবের এই সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যারা ক্রিকেটের রাজপথ ছেড়ে অলিগলিতে কদাচিত পা মাড়িয়েছেন, তারা ভাল করেই জানেন বিশ্লেষক হিসেবে আমির সোহেলের স্থান খুব একটা জাতে ওঠার মত ছিলনা। আরো রথী-মহারথীরা যেখানে টসের ব্যাপার কোনো উচ্চবাচ্য করেননি, ডাকসাইটে আরও বিশ্লেষক আছেন তারাও এ নিয়ে কলম ধরেননি, সেখানে আমির সোহেলের মত একজন বিস্মরণীয় হাভাতের একতরফা ভারত-বন্দনা ও সাকিবের সমালোচনার ফিরিস্তি এতটা চাউর করে তোলাআমাদের ভাবতে বাধ্য করে, সাকিব নিশ্চয় কারো না কারো বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন।

এখানেই শেষ নয়, এরপরও আছে। এবার "ঝিমিয়ে পড়ল বিশ্বকাপ নগর" নামে উৎপল শুভ্রের আরেকটি প্রতিবেদন প্রথম পাতায় ঠাঁই করে নেয়। বলতে দ্বিধা নেই, শিরোনাম দেখেই আমার ভ্রু কুঁচকে যায়। ভারতের সাথে ম্যাচ হেরে নিশ্চয় আমাদের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন ধূলোয় মিশে যায়নি। সামনের প্রতিটি খেলাই গুরুত্বপুর্ণ, আর এটা যে কেউ স্বীকার করতে বাধ্য হবেন, সবচেয়ে দুরুহ ম্যাচটিও আমরা শুরুতেই মোকাবেলা করে এসেছি। কদিনের বিরতিতে মানুষের উৎসাহে খানিকটা ভাটা আসতেই পারে, কিন্তু তাই বলে সেটাকে এভাবে গোটা গোটা শিরোনাম করে ছাপার হেতুটা পয়লা ঠিক পারিনি। তবে শেষমেশ এসব লেবু কপচানোর মাজেজাটা বোঝা গেল যখন শহীদ মিনারে না যাওয়ায় সাকিব এন্ড কোংকে প্রচ্ছন্ন বিদ্রুপ করলেন প্রতিবেদক। শহীদ মিনারে যাওয়াটা দলকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করতে পারত বটে, কিন্তু বিশ্বকাপের মত এত বড় একটা আসরের প্রাক্কালে সেটা কতটুকু বিবেচনাপ্রসূত হবে সেটাও ভাববার বিষয় বৈকি। তবে শেষ লাইনে গিয়ে প্রতিবেদক আরো একবার সাকিবকে ঠিসারা করার লোভ সামলাতে পারেনন। "বাংলাদেশে দলে এভাবে ভাবার লোক কোথায়"? বলে তিনি যতই মায়াকান্না কাঁদুননা কেন, পেছনের হায়েনার মত কুৎসিত হাসিটা তাই তাতে ঢাকা পড়েনা।

এবার একটা উপসিদ্ধান্তে আসা যাক। সাকিবের পেছনে এভাবে আদাজল খেয়ে লেগে থাকার পাঁয়তারা আর উৎপল শুভ্র কিছুতেই লুকাতে পারবেননা। সিডন্স বাংলাদেশ দলকে সংবাদপত্রের সংশ্রব থেকে মুক্ত রেখেছেন কিনা জানিনা, তবে এরকম সাঁড়াশি আক্রমণ বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের নজর এড়িয়ে যায়নি বলেই আমাদের ধারণা। তবে মূল কারণ অনুমান করতে খুব বেশি বেগ পাওয়ার কথা নয়। প্রথম আলোর সাধের কামধেনু আশরাফুলের মূল একাদশ থেকে ছেঁটে ফেলাতেই কি তাদের সাকিবের প্রতি এতটা গাত্রদাহ? আশরাফুলের এই না থাকার পেছনে সাকিবের হাত আছে অনুমান করেই কি তার প্রতি এতটা নির্লজ্জ বিষোদগার? নাকি বিচক্ষণ সাকিবের চাঁছাছোলা মন্তব্যে নাকাল হয়েই নামজাদা পত্রিকাটির ওই তথাকথিত জাঁদরেল সাংবাদিকদের এইসব অলীক প্রপাগান্ডা? কারণ যেটাই হোক, পুরো ব্যাপারটা এখন দিবালোকের মতই স্পষ্ট, কোনো লুকোছাপার অবকাশ আর নেই। প্রচারসংখ্যার শীর্ষে তারা অবস্থান করতে পারে, মেকাপে-গেটাপে তারা এখন অপ্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে, কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি, অনেক হয়েছে আর নয়, সহ্যেরও একটা সীমা থাকে। এসব স্বকপোলকল্পিত প্রপাগান্ডা শক্ত হাতে দমন করা দরকার। আর সাকিবকে বলছি, জয়-পরাজয় যাই হোক, গোটা বাংলাদেশ তোমার সাথে আছে। পুরো পাতা ভরিয়ে উৎপালের দল তোমার নামে মিথ্যের বেসাতি করে যেতে পারে, কিন্তু শকুনের দোয়ায় কবেই বা গরু মরেছে। উৎপালদের মুখে ছাই দিয়ে তুমি সামনে এগিয়ে যাও, আমরা তোমার পেছনেই ছিলাম, আছি, থাকব।


মন্তব্য

অদ্রোহ এর ছবি

আমির সোহেলের সাক্ষাতকার

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আমি রশীদ লতিফের সাক্ষাৎকার দেখতে চাই। শয়তানী হাসি
বাংলাদেশ সম্পর্কে 'নিরপেক্ষ' মতামত দেয়ার জন্য তারচেয়ে ভালু লুক আর নাই।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অদ্রোহ এর ছবি

এই পাকিহারামজাদাগুলোর রেফারেন্স দেখলেই মেজাজটা খিঁচড়ে যায়...সরফরাজ নেওয়াজ,রশিদ লতিফ, আমির সোহেল...নাহ! ছাগলের অভাব নেই।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অদ্রোহ এর ছবি

আমির সোহেলের সাক্ষাতকার

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অনার্য সঙ্গীত এর ছবি

সহমত!

এই হারামিটা সেদিন বলল টসে জিতে ব্যাটিং করা খারাপ হয়েছে, আবার আজকে বলে টসে জিতে বোলিং করা খারাপ হয়েছে! এই লোক কি আয়না দেখেনা!!!

সাংবাদিক বানানোর আগে কাণ্ডজ্ঞান আর চরিত্রের পরীক্ষা নেয়া উচিত!

______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন

অদ্রোহ এর ছবি

সেটাই, কন্টেক্সট বিচার করলে এটা দ্বিমুখিতা ছাড়া আর কিছুইনা...

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

ফাটাফাটি লিখসো। (গুড়) জব

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

সাফি এর ছবি

(গুড়) জব অম্লান, চমৎকার লিখেছেন।
একে আশরাফুল, তার উপরে প্রতিদিন পাতা জুড়ে পাকি বন্দনা, কে বলে প্রথম আলো জুড়ে বোঁটকা গন্ধ না?

অদ্রোহ এর ছবি

থ্যাঙ্কস সাফি ভাই, আলুপেপারের বোঁটকা গন্ধে টেকা আসলেই দায়।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অদ্রোহ এর ছবি

আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা- সিমন ভাই।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

তাসনীম এর ছবি

আর সাকিবকে বলছি, জয়-পরাজয় যাই হোক, গোটা বাংলাদেশ তোমার সাথে আছে।

আমরা যারা বাংলাদেশের বাইরে আছি, তারাও আছি। সাকিবের স্পোর্টসম্যানশিপ এবং স্পোকসম্যানশিপ দুটোই আমাকে মুগ্ধ করেছে।

টুর্নামেন্ট চলাকালে এই ধরণের প্যাস্টারিং বন্ধ হোক।

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

অদ্রোহ এর ছবি

এ ধরনের একটা দুটো খবরই দলের ভেতরে কিছু অনাকাঙ্খিত ব্যাপার উস্কে দিতে যথেষ্ট। যাই হোক, সাকিবের সাথে আছি, থাকব...

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

হাসিব এর ছবি

চমৎকার লেখা। উৎপল এ্যান্ড কোং মনে করে তারা কলম পিষে জনগণের মধ্যে নিজেদের তৈরী ভিন্ন কিছু ভাবনা ঢুকিয়ে দিতে পারবে। নিজেদের অতিরিক্ত স্মার্ট ভাবা এইসব লোকেরা কখনো ভেবেও দেখে না বাতাসে তাদের কাছা আলগা হয়ে গেছে অনেক আগেই। পাবলিক আসলে ওসব খায় না।

অদ্রোহ এর ছবি

স্পোর্টস রিপোর্টের নামে ইদানীং যেসব প্রসব করা হচ্ছে সেসব আসলেই নিরেট বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই না। আলুপেপারের খেলার পাতায় ছাগুপ্রীতি বাদ দিলেও কন্টেন্ট বিচারে আজকাল খুব কম লেখাই পাতে তোলার মত। সেগুলোতে আছে সাহিত্যের নামে আদিখ্যেতা, অথচ কোয়ালিটি বিচারে ভাঁড়ে মা ভবানী দশা।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

স্বাধীন এর ছবি

চমৎকার বিশ্লেষণ হয়েছে। গুল্লি

সাকিবরে বা বাংলাদেশ দলকে এই লেখাগুলো ফরোয়ার্ড করে দেওয়া যায় না? তাহলে তারা কিছুটা মানসিক শক্তি পেতো যে পাবলিক তাদের সাথে আছে জেনে।

অদ্রোহ এর ছবি

সাকিবকে এই লেখা পড়ানর কোন বুদ্ধি তো আসছেনা, কেউ কোনো উপায় বাতলাতে পারেন?

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অতিথি লেখক এর ছবি

সহমত

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

একটা যুৎসই উদাহরণ দেই।

" ১। ইয়ার্ডলি যেভাবে রানের দ্রুতগতি কমিয়ে আনবার চেষ্টা করতে লাগলেন, তাতে করে অপরাহ্নের খেলা চাতুর্যের সংগ্রামে পরিণত হলো। লেগের দিকে আত্মরক্ষামূলক ফিল্ডিং সাজিয়ে ব্যাটস্ম্যানদ্বয়কে ইয়ার্ডলি শামুক গতি গ্রহণে বাধ্য করলেন। ঠিক এইভাবেই না খেলাটাকে না গোছালে তা বাজে অধিনায়কত্বের এক অমার্জনীয় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াতো।

২। আত্মরক্ষামূলক ফিল্ডিং সাজানো আধুনিক টেস্ট ক্রিকেটের একটি রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খেলার দর্শনকেই এটি শেষ করে দিচ্ছে।

১ নম্বর প্যারা লেখা হয়েছিলো ১৯৪৮এর ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া এশেজের প্রথম টেস্টে ইয়ার্ডলির নীতির পক্ষে। ২ নম্বর প্যারা ওই একই লেখক লিখেছিলেন ঐ একই সিরিজে অজি অধিনায়কের নীতি নিয়ে।

অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক উপরের অনুচ্ছেদ দুটিকে উদ্ধৃত করে বলেছিলেন- " লেখক বোধহয় ভেবেছিলো, তার বর্ণান্তর কারো চোখে পড়বে না। "

...

... এই কথা বলার কারণ হচ্ছে, কোন সাংবাদিক ঐ আলোচ্য মন্তব্যদ্বয় করেছিলেন- সেটি কারো না জানলেও চলবে। জানলেই চলবে, যে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক উপরের বিষয়টি আলোতে এনেছিলেন, তার নাম ডন ব্রাডম্যান।

[তথ্যসূত্রঃ ক্রিকেট, সুন্দর ক্রিকেট (শঙ্করীপ্রসাদ বসু)]

অদ্রোহ এর ছবি

বইটা ঘাপাতে হবে দেখছি...

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অদ্রোহ এর ছবি

দারুণ বিশ্লেষণ বলাইদা। ৩০-৩৫ ওভার পর্যন্তও ব্যবধানটা ঘুচিয়ে ফেলার মত দূরত্বই ছিল। ওই সময় কিন্তু সাকিব-তামিম ক্রিজেই ছিল। তাই ব্যাটিং পাওয়ার প্লের জন্য এর চেয়ে মোক্ষম সময় আর কিছু ছিলনা। আর ২৮৩ রানের আত্মপ্রসাদে ভুগে আমরা সবাই ভুলে যাচ্ছি, এবারও ব্যাটিং পাওয়ার প্লে আমাদের জন্য স্রেফ হতাশার আরেক পিঠ। ওই সময় মাহমুদুল্লাহ-নাইম একেবারেই ব্যর্থ। সামনের ম্যাচে এটা নিয়ে কোন প্ল্যান না থাকলে ভুগতে হবে বৈকি। তবে আমি চাইছিলাম তিনশ রানের কোটা যাতে ছোঁয়া যায়। সেক্ষেত্রে সেটা একটা বাড়তি টনিকের কাজ করত। আর শেষ লাইনের সাথে একমত, এই সব ছেলে ভোলানোর নাকিকান্নায় আখেরে ক্ষতি বৈ লাভ হবেনা।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

উৎপাত শুভ্রকে নিয়ে নোতুন কিছু বলার নাই। সে আগেও ক্রাপ ছিলো, এখনও আছে।

এই আলু সাংবাদিক হারামজাদাগুলা কখনো দলের আসল সমস্যা নিয়ে কিছু বলে না। না বলার একটা কারণ অবশ্য সমস্যা না বুঝা। কিন্তু এরা একেকবার এক এক প্লেয়ারকে নিয়ে রাজনীতির মাঠে নামে। আগে বাশার ছিলো (এখনও আছে), এখন আবার মাশরাফি আর আশরাফুলকে বলির পাঠা বানিয়ে পলিটিক্স শুরু করেছে।

টসের ব্যাপারে, আমার মতে (এবং অবশ্যই কোনো উৎপাত শুভ্রীয় কারণে নয়) ২০১০ এর সিদ্ধান্তও ভুল ছিলো, ২০১১র ও। তবে ব্যাটিং-বোলিং যা-ই হোক, আমাদের মতো রিসোর্স-সীমাবদ্ধ দলে খেলোয়াড়রা তাদের রোল ঠিকমতো পালন না করলে ফলাফল ভালো হয় না। শফির ওপেনিং স্পেল ভালো হলে পুরো ম্যাচের পরিস্থিতিই অন্যরকম হতে পারতো।

খেলোয়াড়দেরকে সাংবাদিকদের সংশ্রব থেকে আপাতত দূরে রাখা ছাড়া এই উৎপাতের কোনো সমাধান নেই। তবে ফ্যানদের জন্য জয়ের ক্ষুধা থাকা খুব দরকার। যেমন, ওই ম্যাচের কনটেক্সটে এই ২৮৩ রানের স্কোরে খুশি হলে বড়ো দলের বিপক্ষে আমরা কখনোই নিয়মিতভাবে জিততে পারবো না। ৩৭০ রান চেজ করে জয় কঠিন; কিন্তু ওই ডিউ ফ্যাক্টর আর ইন্ডিয়ার অপেক্ষাকৃত দুর্বল বোলিংয়ের বিপক্ষে অনেকটা সময়ই আমরা ম্যাচে ছিলাম।

এখান থেকে দেখা যায়,

১০ ওভারে: ভারত ৬০/০, বাংলাদেশ ৬৮/১
২০ ওভারে: ১২৯/১, ১১৮/১
৩০ ওভারে: ১৯৪/২, ১৬৯/২
৪০ ওভারে: ২৭৬/২, ২৩৬/৪
শেষ ১০ ওভারে: ভারত ৯৪ রান, আমরা মাত্র ৪৭ রান!

এমনকি ৪০ ওভারের সময়ও আমরা মাত্র ৪০ রান পিছিয়ে ছিলাম, হাতে ছিলো ৬ টি মহামূল্যবান উইকেট। সাথে আরেকটি তথ্য যোগ করা যায়, ইন্ডিয়া পাওয়ার প্লে নিয়েছিলো ওই ৪০ ওভারের ভিতরেই (৩৪-৩৯) আর আমাদের পাওয়ার প্লে হাতেই ছিলো। এসব জিনিস বিবেচনায় নিলে আমাদের ব্যাটিংয়ের প্রশংসায় গা ভাসানো যায় না। শেষের দিকে এসে আমরা স্রেফ অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ করেছি।

এ অবস্থায় আমি যদি ২৮৩ দেখে ম্যাচের কনটেক্স বিবেচনা না করে প্রশংসা শুরু করি, তাহলে সেটা দলের কোনো উপকারে আসবে না, তারা বিনা কারণে ওভার কনফিডেন্ট হবে, সমস্যায় ফোকাস করবে না, কোনো উন্নতি হবে না। সমর্থন করা আর যৌক্তিক সমালোচনা করা দুই বিপরীত মেরুর জিনিস না, বরং ভুল করার পরে শুগারকোটিং দিয়ে মাথায় হাত বুলানো অনেক ক্ষতিকর। উৎপাত শুভ্ররা এই হাত বুলানোর কাজটা করে।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

অমিত এর ছবি

লেখায় সহমত

অদ্রোহ এর ছবি

ধন্যবাদ।

--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।

হিমু এর ছবি

আলুপত্রিকায় স্পোর্টস পাতায় কিছু পাকি গেলমান কাজ করে। প্রত্যেকটা দিন পাকি ক্রিকেটারদের বন্দনা গেয়ে এ্কটা আর্টিকেল সেখানে থাকবেই। উটপোঁদ শুভ্রর উচিত আগে নিজের পাছার গু সাফ করা, তারপরে সাকিবের পাছায় গু খোঁজা।

আবির আনোয়ার এর ছবি

পুরোনো এবং নতুন দুটি লেখাই আবার পড়লাম, পড়ার পর এখন আমার জানতে ইচ্ছা করছে শুভ্র সাহেব তার গাঁজার পুরিয়া কোথা থেকে ক্রয় করেন।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

খেলার দিনেই বলছিলাম, ওপেনিং বোলারের বলের ট্র্যাজেক্টরি যদি হয় মীরপুর-টু-মঙ্গলগ্রহ, তাহলে সেই খেলায় টস বিবেচ্য কিছু না। জানুয়ারি ৮ থেকে ফেব্রুয়ারি ১৯ অনেক দিনের দূরত্ব, বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো উষ্ণ দেশে। এই কারণেই যেই কুয়াশা জানুয়ারিতে অবধারিত তা ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য। তবুও টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়াকে আমি ভুল চোখে দেখি না। কুয়াশা বা ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপ না, আমি সাকিবের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করি অন্য একটা কারণে।

শফিউল-রুবেলরা ওয়াসিম-ওয়াকার মাপের বোলার নন, তাই বলে স্রেফ পাড়ার বোলারও নন। এঁরা প্রতিভাবান তরুণ বোলার। বয়স মাত্র ২০-এর ঘরে ঢুকেছে কিছুদিন হয়। বিশ্বকাপ ক্রিকেট, দেশের মাটিতে, উদ্বোধনী ম্যাচ... এমন সময় একটু নার্ভাস হওয়াটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ দল ব্যাটিং-এ তামিম-সাকিবের উপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এঁদের আশে-পাশে খেলার মতো অনেকেই আছেন, কিন্তু ম্যাচ ছিনিয়ে আনার মতো কেউই না। বাংলাদেশ ব্যাটিং-এ নামলে শফিউলের দশা হতে পারতো তামিম-ইমরুলদের। বেমক্কা ব্যাট চালিয়ে কিংবা ভুল বোঝাবুঝিতে আউট হয়ে যেতে পারতো টপ-অর্ডারের গোটা কয়েক ব্যাটসম্যান। সেই অবস্থায় বাংলাদেশ দলের বাকি ইনিংসের কী অবস্থা হতো কেউ চিন্তা করতে পারেন?

খেলা হেরেছি, হ্যাঁ। তবে এ থেকে ভালো অনেক কিছুই নেওয়ার আছে। চাপে মচকে যায়নি আমাদের ব্যাটিং লাইন-আপ। ক্রিকেটিং শট খেলে প্রায় ৩০০ রান করেছে। সমালোচনার অনেক সুযোগ আছে, তবে তা সাকিবের টস জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সাথে সম্পর্কিত না।

* নতুন বলের বোলারদের লাইন-লেংথ এত বাজে ছিল কেন
* তামিম কেন ৮৬ বলের ইনিংসে ৩৬টা ডট বল দিলেন, জুনায়েদ সেট হয়ে যাওয়ার পরও শ্লথ গতিতে রান নিলেন
* পাওয়ার-প্লে নিতে এবারেও কেন এত অনীহা
* রকিবুলকে বসিয়ে কেন মুশফিককে নামানো হলো

অধিনায়ক সাকিবকে এই প্রশ্নগুলো করা খুবই যুক্তিযুক্ত। তা না করে স্রেফ টস নিয়ে এভাবে লিঞ্চ করা অনর্থক, আপত্তিকর।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

গাভাস্কারের কথাবার্তা ইদানিং বুঝা দায়! সে দুই হাজার দশ সালের জানুয়ারিতে যে কথা বলেছিলো, দুই হাজার এগারোর ঊনিশে ফেব্রুয়ারি একই কথা বলেছে, "এই উইকেটে টস জেতা মানেই ম্যাচ জেতা"। কিন্তু তার অবস্থান প্রায় এক বছরের ব্যবধানেই দুই রকমের হয়ে গেছে। সে আগেরবার যেমন বিস্মিত হয়েছিলো টসে জিতেও সাকিবের ব্যাটিং নেয়ার কারণে, এবারেও তার বিস্মিত হতে হয়েছে টসে জিতে ফিল্ডিং নেয়ার কারণে! এবং পুরো খেলার ধারা বিবরণীতে টস নিয়ে নিজের পকপকানি চালিয়েই গেছে অনবরত। এই পর্যায়ে এসে বহুকাল আগে বলা স্টিভ ওয়াহ্'র (স্মৃতি খানিকটা প্রতারণা করছে যদিও) একটা কথা মনে পড়েছে আমার, "কমেন্টেটররা পয়সাই পায় তাদের বকবকানির জন্য"। সুতরাং একজন গাভাস্কার কী বললো, একজন সিধু কি বিশ্লেষণ করলো, একজন উটপোঁদ কী লিখলো— সেগুলো আমলে নিয়ে সাকিবের আমলনামা বিচার না করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

গাভাস্কার- মাঞ্জরেকার এরা তো নিশ্চিত হয়েই বলছিলো এই উইকেটে ২৭০-২৭৫ রান করেই তবে জয়ের আশা করা যায়। তো সেই কথার রেশ ধরে যারা বলছেন বাংলাদেশ আগে ব্যাট করলে ভালো হতো, তারা বাংলাদেশের রান কেমন হতো বলে ধারণা করেন? ৩০০? বাংলাদেশের বোলার'রা এটা চেক দিতে পারতো? যেখানে বাংলাদেশের মূল শক্তি স্পিনে, রাতের দিকে সেই অসফল হতে থাকা স্পিন শক্তি নিয়ে? ভারতের স্পিনারদের দিকে তাকালেই তো বুঝা যায় সাকিব তার মূল বোলিং শক্তি'র কথা মাথায় রেখে টসে জিতে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটা মোটেও ঝোঁকের বশে নেয়া নয়। বরং খুব ভেবে চিন্তেই সেটা নেয়া। এই চিন্তাটা উটপোঁদ শুভ্র'র মতো অকালকুষ্মাণ্ডের পক্ষে বোঝা অবশ্যই দুষ্কর।

উটপোঁদ তার কোনো এক রিপোর্টে হাবিবুল বাশারের দলবল নিয়ে শহীদ মিনারে যাওয়ার কথা রেফারেন্স টেনে বলতে চাইলো সাকিব এটা কেনো করলো না! তারে দোররা মারা হোক! এই রামছাগলটা কি এটাও ভুলে গেছে যে একটা সাধারণ দ্বিজাতীয়-ত্রিজাতীয় সিরিজ আর বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট এক নয়! সে বাংলাদেশ দলে "এভাবে ভাবার মতো লোক" না খুঁজে বরং নিজের ভাবার দৈন্য নিয়ে ভাবুক আগে। সাকিব'দের দরকার পড়ে নি সব টুর্নামেন্টের ডেকোরামকে এক পাল্লায় মেপে উটপোঁদের মতো করে ভাবতে। এতোটা উটপোঁদীয় হওয়া সাকিবদের মানায় না। হওয়ার দরকারও নেই।

নৈষাদ এর ছবি

লেখাটা ভাল লাগল।

খেলা নিয়ে তেমন একটা মন্তব্য করা হয়না। শুধু পেপার না, টসে জিতে সিদ্ধান্ত এবং সাকিব এ’দূটো নিয়ে এত কথা আশেপাশে শুনেছি..., ওফ! আমির সোহেল-ফোয়েলের ভাষ্য নেয় হল... মন্দিরা বেদির কাছ থেকে একটা ফাইন্যাল ভাষ্য নেয় উচিত ছিল...! একসময়ের জানতাম টস জিতে কী করা হবে একটা ক্যাপ্টেনের হঠৎ নেয়া কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপার না। হোম-গ্রাউন্ডে ব্যাপারটা আরও বেশি প্রযোজ্য। উইকেটের অবস্থা, ডিউ-অন্যান্য-ফ্যাক্টর, অন্যটিমের অবস্থা, নিজেদের স্ট্রেংথ, স্ট্র্যাটেজি সবকিছু মিলিয়ে টিম-কোচ-ম্যানেজার মিলে আগেই সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে – টসে জিতলে কী করা হবে...। শিখার কোন শেষ নেই...।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আহা! মন্দিরা বেদীরে খুব মিস্‌ করি!


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

অতিথি লেখক এর ছবি

এইটা দেখুন। হাসতে হাসতে শ্যাষ।

রাখাল বালক

অতিথি লেখক এর ছবি

চরম লিখেছেন চলুক চলুক চলুক

উৎপল ব্যাডারে একটা শিক্ষা না দিলে মনে হয় ওর ফাল পাড়া বন্ধ হবে না

-অতীত

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

জবরদস্ত লেখা। পাঁচতারা দাগালাম।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

দ্রোহী এর ছবি

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন উটুরে নিয়া ফাইজলামি করেন মিয়া?

বাঘ এর ছবি

প্রথম আলো আনুপ্রেরনা দিতে বিফল। আতিব দরিদ্র প্রদর্শন প্রথম আলো । সাকিব ভাই এগিয়ে যাও আমরা আছি তোমাদের সাথে।

ঐরাবত এর ছবি

ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাসরে, আজকে তোকেই কিনা আলু পত্রিকায় ঊঁটপোদের নিচে কাজ করতে হচ্ছে! হেহেহে দেঁতো হাসি
শয়তানী হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।