ভূমিকম্পের সময় বাড়িতে থাকবেন না বেরিয়ে আসবেন?

বাবুবাংলা এর ছবি
লিখেছেন বাবুবাংলা (তারিখ: সোম, ১৯/০৯/২০১১ - ৪:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ সকালে বাংলাদেশে তীব্রমাত্রার ভূমিকম্পের খবর পেয়েই বাংলাদেশের টিভি চালিয়ে দেখলাম ভূমিকম্পে আতঙ্কিত মানুষের বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তার নেমে আশ্রয় নেয়ার খবর। ফোনে দেশে বিভিন্ন জায়গায় পরিচিতজনের খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম বাসা-রাস্তা-বাসা রাউন্ড ট্রিপ দৌড়াদৌড়ি শেষে সবাই এখন নিরাপদে নিজ গৃহকোণে ফিরে এসেছে। দেশে ছোটবেলায় আমারও এমন বেশ কয়েকবার ভূকম্পনজনিত দৌড়াদৌড়ির অভিজ্ঞতা হয়েছিল। ভুমিকম্প মানেই ছিল রাতবিরাতে লম্ফঝম্ফ দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসা। তবে সময়ের সাথে মানুষ অনেক “সচেতন” হয়েছে আর তার স্বাক্ষর হিসেবে এবার কিছু ব্যতিক্রমও এবার দেখলাম। যেমন একবন্ধু ভুমিকম্প চলাকালে দৌড়াদৌড়ি বাদ দিয়ে ছিল ফেসবুকে লাইভ আপডেট দেয়ার কাজে ব্যস্ত । আবার অন্য এক “বুদ্ধিমতী” তরুণী ভূমিকম্প শুরু হবার সাথে সাথেই শুরু করেছিল বাসার ছাদ অভিমুখে বিপরীতমুখী যাত্রা। চারিদিকে বহুতল ভবন ঘেরা নাগরিক জঙ্গলে নিচে নেমে আসার চাইতে তার উপরে উঠে যাওয়াই নিরাপদ মনে হয়েছিল! তবে এই রকম প্রতিভা এখনো দেশে বিরল। প্রায় সবাই এখনো ঘর ছেড়ে বাহিরে নিরাপদ আশ্রয় নেয়ার কৌশলই আঁকড়ে রেখেছে। কিন্তু ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসা কি আসলেই নিরাপদ?

এ বিষয়ে একটু খোঁজ খবর করে যা জানা যাচ্ছেঃ ভূমিকম্পের সময় আমাদের ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসাটাই স্বাভাবিক প্রবণতা হলেও বিশেষজ্ঞদের মতামত কিন্তু এর উলটো। গবেষনায় দেখা গেছেঃ ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সময়েই মানুষ দেয়ালে চাপা পড়ে বা উপর থকে পড়ন্ত বস্তুর আঘাতে সবচেয়ে বেশী হতাহত হয়। তাই রেডক্রস ও উন্নত বিশ্বের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা সহ সরকারী-বেসরকারী নানা সংগঠন এখন ভুমিকম্পের সময় আত্মরক্ষার জন্য “ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন” নামের একটি উপায়কেই সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে মনে করে। “ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন” পদ্ধতি অনুযায়ী ভূমিকম্প অনুভূত হবার সাথে সাথেই বসে পড়ে (ড্রপ) টেবিল, বিছানা বা আসবাবপত্রের মতো মজবুত জিনিসের নিচে আশ্রয় নিয়ে (কাভার) সেই জিনিসটিকে অর্থাৎ টেবিল বা আসবাবপত্রের কোন অংশ শক্ত করে আঁকড়ে ধরতে হবে (হোল্ড অন)। এসময় ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করাটা বিপদজনক। অতীতে ঘটে যাওয়া নানা ভূমিকম্পে জীবনহানির কারন বিশ্লেষনে দেখা যায় ঘরের দরজা আর বহির্মূখী দেয়াল ভেঙ্গেই বেশীর ভাগ সময় হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া উপর থেকে পড়ন্ত ভারী বস্তু কিংবা ধারালো জিনিসের আঘাতে আহত বা জীবন হারানো আশঙ্কা থেকে থাকে। যেমন ১৯৩৩ সালে দক্ষিন ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহত ১২০ জনের অধিকাংশই মারা গিয়েছিল ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ঘরের বহির্মূখী দেয়ালের ধ্বসে চাপা পড়ে।

আমেরিকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা ফেমার ওয়েবসাইটে ভূমিকম্পের সময় করণীয় বিষয়ের একটি সুন্দর তালিকা দেয়া আছে। ভূমিকম্পের সময় আত্মরক্ষার উপায় সম্পর্কে খোঁজ-খবর করলে বিভিন্ন সংগঠনের ওয়েব সাইটেও মূলত এই একই রকম পরামর্শ পাওয়া যাবে। এই পরমর্শগুলোর বেশীর ভাগই ক্যালিফোর্নিয়ার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার অর্থায়নে পরিচালিত গবেষনার ফলাফলের ভিত্তিতে তৈরী করা হয়েছেঃ ভূমিকম্পের সময় যদি আপনি নিজ বাসার বা অন্য কোন ভবনের ভিতরে থাকেন তাহলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবেন না। ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন পদ্ধতিতে মজবুত কোন কিছুর নিচে সাথে সাথে আশ্রয় নিন। যদি মজবুত কোন কিছুর নিচে আশ্রয় নেয়ার উপায় না থাকে, তবে মাথা ও মুখ হাত দিয়ে ঢেকে ফেলে ঘরের অভ্যন্তরের কোন দেয়ালের কোণে (যেমন দুই রুমের মাঝের দেয়ালের কোণ) কুঁকড়ে বসে পড়তে হবে। কোন অবস্থাতেই জানালা, কাঁচের জিনিসপত্র ও বহির্মুখী দেয়ালের কাছে থাকা যাবে না। এছাড়া উঁচু ভারী জিনিস যেমন আলমারী, বইয়ের তাক ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে। ভূমিকম্পের সময় যদি আপনি বিছানায় শোয়া অবস্থায় থাকেন এবং মূহুর্তের মধ্যে ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন অবস্থানে যাওয়া না যায়, তাহলে বালিশ জাতীয় কিছু দিয়ে মাথা ঢেকে বিছানা আঁকড়ে শুয়ে থাকতে হবে। তবে বিছানার উপরে যদি সিলিং ফ্যানের মতো ভারী কিছু থাকে, তাহলে বিছানা থেকে অবশ্যই নেমে পড়তে হবে। ভূকম্পন পুরোপুরি থেমে না যাওয়া পর্যন্ত ঘরের ভিতর নিরাপদ অবস্থানে বসে থাকতে হবে। ভুমিকম্পের সময় ঘরের ভেতরে হাঁটাচলা ফেরা করাও বিপদজ্জনক। ঘরের ভেতরে নিরাপদ অবস্থান বেছে নিয়ে সেখানেই বসে থাকুন। ভূকম্পনের সময় কেবল ১০ফুট দুরত্ব অতিক্রম করলেও হতাহত হবার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই যত কম দুরত্বের মধ্যে নিরাপদ অবস্থান নিতে হবে। ভূমিকম্পের সময় যদি আপনি ঘরের বাহিরে অবস্থান করেন তাহলে ঘরের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করবেন না। ভূমিকম্পের সময় ঘরের বাহিরের দেয়াল বা প্রবেশ পথ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা। যথাসম্ভব খোলা জায়গায় বাহিরেই দাঁড়িয়ে থাকুন। অন্য বিল্ডিং, দেয়াল, রাস্তার বৈদ্যুতিক তার বা বাতির কাছ থাকে দূরে থাকুন।

ইদানিং “ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন” পদ্ধতির বিপরীতে “ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” নামের একটি বিতর্কিত আত্মরক্ষার পদ্ধতি ইন্টারনেটে মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই মতানুসারে টেবিল, বা আসবাবপত্রের মতো মজবুত জিনিসের নিচে আশ্রয় না নিয়ে বরং সেটার পাশে অবস্থান নিতে হবে। দেয়াল বা ভবন ভেঙ্গে পড়ে টেবিল বা আসবাবপত্র ভেঙ্গে গেলেও সেটার পাশে একটা ত্রিভূজাকৃতির ফাঁকা স্থান তৈরী হয়। এই ত্রিভূজাকৃতির ফাঁকা স্থানটার নামই হলো “ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” যা ভূমিকম্পের সময় দেয়াল বা ভবন ধ্বসের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে পারে। তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে যথাযথহ নির্মাণ নীতিমালা মেনে ঘর বাড়ি তৈরী হয় যেখানে না আর তাই দেয়াল বা ভবন ধ্বসে পড়ার আশঙ্কা থাকে বেশী। দাবী করা হয় এসব ক্ষেত্রে “ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” পদ্ধতি নাকি বেশী কার্যকর। তবে রেডক্রস এবং সরকারী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো “ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” পদ্ধতিকে স্রেফ ভাওতাবাজী ও চরম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ বলে গন্য করে।

উন্নত বিশ্বে আধুনিক নির্মান প্রযুক্তি ও ভবন নির্মান নীতিমালার যথাযথ প্রয়োগ ভূমিকম্পের সময় ভবন সম্পুর্ন ধ্বসে পড়ার ঝুঁকি একেবারেই কমিয়ে ফেলেছে। এসব দেশের সুঠাম ভবন কাঠামোর ভিতরে অবস্থান করে “ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন” পদ্ধতি অনুসরন করা ভুমিকম্পের সময় আত্মরক্ষার সবচেয়ে কার্যকর পথ হতে পারে কিন্তু ঘরের ভিতর থেকে বের না হওয়া এবং বাহিরের থেকে থাকলে ঘর বা কোন ভবনে ঢোকার চেষ্টা না করার এই পাশ্চত্য পরামর্শ কি আমাদের মতো দেশে প্রযোজ্য? তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে বাড়ি নির্মাণের যথাযথ নীতিমালা অনেকক্ষেত্রেই মানা হয় না। বাংলাদেশে ১৯৫২ সালের ভবন নির্মান নীতিমালা আধুনিকায়ন ও সংশোধন করা হয় ১৯৯৩ সালে। তবে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে এর যথাযথ প্রয়োগ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এছাড়া রয়েছে ভবন নির্মান নীতিমালা প্রনয়নের আগে তৈরী অসংখ্য পুরোনো বা ঘরবাড়ী। ২০০৮-৯ সালে খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের জরীপে দেখা গেছে শুধু ঢাকা শহরেই প্রায় ৭৯ হাজার ভবন রয়েছে যা ৬-মাত্রার মাঝারী মানের ভুমিকম্পে সামাল দিতে অক্ষম। এই অবস্থায় আমরা ঘরের বাইরে আসবো না ভিতরে থাকবো?

ভারত সরকার ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে ভারতের শহরগুলোতে ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের জন্য গৃহিত কর্মসূচীর আওতায় ভুমিকম্পের সময় করণীয় হিসেবে “ড্রপ-কাভার-হোল্ড অন” পদ্ধতি অনুসরণ করতে পরামর্শ দেয়া হয়। বাংলাদেশের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর ভূমিকম্প বিষয়ে গণসচেতনতা বুকলেটও ঘরের ভেতরে মজবুত জিনিসের নিচে আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়। ১৯শে সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত দৈনিক কালের কন্ঠের প্রতিবেদনে নগর ঝুঁকি হ্রাস বিশেষজ্ঞ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামালও ভূমিকম্পের সময় ঘরের ভেতরে থাকার পরামর্শ দেন। তার মতে আমাদের উচিত “ভূমিকম্প চলাকালে ঘর থেকে বের না হয়ে কলাম ও বিমের সংযোগস্থলের কাছাকাছি অবস্থান নেওয়া। অথবা দরজার চৌকাঠের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা। ঘরে শক্ত টেবিল থাকলে তার পায়া ধরে নিচে গিয়ে বসে থাকা। কম্পন শেষ হওয়ার পরে ঘর থেকে বের হয়ে খোলা মাঠে কিংবা নিরাপদ জায়গায় যাওয়া।” তিনি আরও বলেন, “ঢাকা শহরের অধিকাংশ অফিস-আদালত ও বাসাবাড়ি থেকে আতঙ্কগ্রস্ত মানুষ সিঁড়ি দিয়ে বাইরে নেমে এসেছে। মাঝারি বা তীব্রতর ভূমিকম্পই হোক না কেন, সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নেমে আসা ঠিক নয়। এভাবে মাঝারিমাত্রার ভূমিকম্পে ভবন ভেঙে পড়ে না। কিন্তু এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে আহত বা নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। ২০০১ সালে ঢাকার অদূরে ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের দোতলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামার সময় প্রায় ১০০ জনের মতো কয়েদি আহত হয়েছিল। আবার ২০০৮ সালে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এলাকায় ৪.৫ মাত্রায় ভূমিকম্পের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ছাত্রছাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে নামতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছিলেন।”

দেখা যাচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের সরকারী প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের মতামত ভূমিকম্পের সময় ঘরে অবস্থানের পক্ষে। এর যৌক্তিকতা গতকালের টিভি রিপোর্টে সাধারন মানুষের মতামতের মধ্যেই ফুটে উঠতে দেখেছি। এক মহিলাকে বলতে শুনলাম বাসা থেকে বেরিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়ি করাও উনি ভবন-দূরবর্তী কোন খোলা জায়গা খুজে পাননি। ইটকাঠের জঙ্গলে ঢাকা শহরে এমন খোলা জায়গা আসলেই দুর্লভ। এছাড়াও আছে মাথার উপরে খোলা বৈদ্যুতিক তারের মরণ ফাঁদ। স্বাভাবিক সময়েই নির্মানাধীন ভবন থেকে ইট খুলে পড়ে যেখানে রাস্তায় পথচারীর মৃত্যু হয়ে, সেখানে ভূমিকম্পের প্রলয়লীলা ঘটলে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় নামে আসা মানুষের ভাগ্যে যে কি ঘটতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। ভুমিকম্পে বাড়ির দেয়াল ধ্বসে পড়লেও ঘরের ভেতরই হতাহত হবার ঝুঁকি থাকবে তুলনামূলক ভাবে কম।

ঝড়, বৃষ্টির, সাইক্লোনের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগে আমরা ঘরে ফিরে আসি নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য। সামাজিক-রাজনৈতিক বিশৃংখলার মাঝেও নিজ গৃহকোণ হয়ে উঠে অনেকের নিরাপত্তার প্রতীক। কিন্তু আমাদের পায়ের নিচের মাটিও যখন আক্ষরিক অর্থে কেঁপে উঠে ভূমিকম্পের আঘাতে, সেই চিরচেনা আশ্রয়ের জায়গাটিকে ভূলে যাবেন না। নাগরিক জীবনের এই ইট-কাঠের জঙ্গলে ভূমিকম্পের সময় ঘরে থাকুন।

তথ্যসুত্রঃ
১) আমেরিকান ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি
২) টাইম ম্যাগাজিন রিপোর্ট (ফেব্রুয়ারী ১, ২০১০)
৩) আর্থকোয়েক কান্ট্রি ওয়েব সাইট
৪) “ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” সম্পর্কে আমেরিকান রেডক্রসের মন্তব্য
৫) “ট্রায়াঙ্গাল অব লাইফ” সম্পর্কে আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টেরিয়রের বক্তব্য
৬) দ্যা ডেইলি স্টার (জানুয়ারী ২৪, ২০১০)
৭) ভুমিকম্প বিষয়ক বাংলাদেশের খাদ্য ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রনালয়ের প্রকাশনা
৮) ভুমিকম্প বিষয়ক ভুমিকম্প বিষয়ক ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রকাশনা
৯) দৈনিক কালের কন্ঠ (সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১১)


মন্তব্য

শাব্দিক এর ছবি

গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। আপনারে অসংখ্য -ধইন্যাপাতা-

নীড় সন্ধানী এর ছবি

প্রত্যেক বাড়ীতে অন্তত একটা করে মজবুত কাঠের টেবিল থাকা উচিত যাতে ঢুকে আশ্রয় নেয়া যায় আপদ কালে। আজকাল কাঠের বদলে যেসব বিকল্প বের হয়েছে তাতে শেলটারের কোন জায়গাই খুজে পাওয়া যায় না।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

হাসান মামুন এর ছবি

সবই এখন অটবির মাল। হাল্কা পাতলা। নাইলে কাচের টেবিল। নিচে বস্লেই বিপদ। আবার খাট তো বক্স । যাব টা কই এখন

ভালো মানুষ এর ছবি

অনেক তথ্য নিভর লেখা।এবং ভালো লাগার মতো .........আর প্রয়োজনীয় তো বটেই.........।

মিলু এর ছবি

খুবই দরকারি পোস্ট। চলুক

আশালতা এর ছবি

দারুন উপকারী কথা বলেছেন। সত্যি বলতে কি গতকাল ভুমিকম্পের সময় ভেবেই পাচ্ছিলাম না আসলে কোথায় থাকা উচিত। বিছানা টিছানাগুলো আজকাল যে পলকা, ওগুলোর নিচে সেঁধনো ঠিক হবে কিনা বুঝে উঠতেই পেলাম না।

----------------
স্বপ্ন হোক শক্তি

আসমা খান, অটোয়া। এর ছবি

তথ্যবহুল উপকারি একটি পোস্ট। অনেক কিছু জানলাম। অনেক ধন্যবাদ।

মৌনকুহর এর ছবি

এমন দুর্দান্ত একটা পোস্টের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে, বাংলাবাবু! কাল ঠিক এই দোটানাতেই পড়ে গিয়েছিলাম।

অবশ্য ওই ভয়ংকর অবস্থার মধ্যেও ভীষণ মজার একটা অভিজ্ঞতা হল কাল। পোস্ট দিবার আশা থাকল।

-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
ফেসবুক -.-.-.-.-.- ব্যক্তিগত ব্লগ

কল্যাণF এর ছবি

আমাকে একজন বললেন যে এ সময় দরজার নিচে দাঁড়ানো যেতে পারে কারণ দরজার ফ্রেমের উপরে যে লিন্টেল (বা এই নামের কিছু একটা) থাকে তা অনেক মজবুত এবং অপেক্ষাক্রিত নিরাপদ আচ্ছাদন হতে পারে।

Microbes এর ছবি

চলুক

বন্দনা কবীর এর ছবি

চলুক দরকারি পোস্ট

বুশরা এর ছবি

অনেক তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। তবে আমদের দেশে বাড়িঘর তৈরির সময় নির্মাণ বিধিমালা যথাযথ ভাবে অনুসরন করা হয় না। আমাদের মধ্যে ভুমিকম্প বিষয়ক সচেতনতা এখনও গড়ে উঠেনি। ভুমিকম্পের সময় সবাই আতঙ্কিত হলে ক্ষয়ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। অনেকেই ড্রপ-কভার- হোল্ড অন পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত আছেন। কিন্তু দুর্যোগের সময় সেটাকে কাজে লাগাতে হবে। জাপানে ভুমিকম্প ড্রিলে শেখানো হয় যে হাতের কাছে পানির বোতল, মানিব্যাগ রাখতে, যাতে ভুমিকম্পের সময় ভবনে আটকা পড়লেও পানির অভাবে মারা না যায় আর ভুমিকম্পের পরবর্তী সময়ের জন্য কিছু টাকা সাথে থাকে। বার বার ড্রিলের মাধ্যমে এই ব্যাপার গুলো মাথার মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ভুমিকম্পের জন্য কোন ড্রিল হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমাদেরকে মাস্টার্সে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একটি কোর্স পড়ানো হয়েছিল। সেখানে "ট্রায়াঙ্গেল অফ লাইফ" এর কথা শুনেছি। কিন্তু আমাদের দেশের জন্য কোন পদ্ধতিটি কার্যকর? ইদানীং আমাদের বিল্ডিং নির্মাণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। বিল্ডিং এর সৌন্দর্য বাড়ানোর জন্য বীম-কলাম কাঠামো এড়ানো হয়। আমরা কেউই ভয়াবহ এই দূর্যোগ নিয়ে সচেতন নই। ছোট ছোট এই কম্পনগুলোই যখন বড় হয়ে আঘাত হানবে তখন এর পরিনতি চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।

আরিফিন সন্ধি এর ছবি

খুবই কাজের লেখা। দেশের সবার জন্য খুব ভয় করছে, বিদেশে আছি বলে এই ভয়টা আরো বেশী কাজ করছে মন খারাপ

আরিফিন সন্ধি

ত্রিনিত্রি এর ছবি

৩ নং কমেন্টের সাথে সহমত! ভূমিকম্পের সময় বাসায় ছোট বোনটা একা ছিলো। বাসায় ফিরেই প্রথমে তাকে ভূমিকম্পে করণীয় বোঝাতে বসলাম। তারপরে দেখলাম বাসার ডায়নিং টেবিলটা কাঁচের, দরজা গুলো মোটেই তেমন শক্ত পোক্ত নয়, এবং পড়ার টেবিলের নিচে ড্রয়ার। মন খারাপ মন খারাপ মন খারাপ

কাজের পোস্ট। চলুক

নাজিম এর ছবি

ভালো তথ্য

তিথীডোর এর ছবি

ভীষণ টায়ার্ড থাকায় এমন বেহুঁশের মতো ঘুমোচ্ছিলাম সেদিন, ভূমিকম্প টের-ই পাই নি! ইয়ে, মানে...

পোস্টে চলুক

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

শিশিরকণা এর ছবি

বিল্ডিং এর বীম আর কলামের সংযোগস্থল ভূমিকম্পের পরেও বিল্ডিং এর কঙ্কাল হিসেবে টিকে থাকবার সম্ভাবনা আছে। নিজ নিজ বাড়ির বীম আর কলাম চিহ্নিত করে নিরাপদ জায়গা নির্ধারন করুন। তার আশেপাশে আশ্রয় নেবার মতো কি আসবাব রয়েছে মাথায় রাখুন। ভূমিকম্পের সময় মাথা কাজ করে না, আগে থেকে পরিকল্পনা থাকলে চিন্তা ভাবনা ছাড়াই নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে নেয়া যাবে। প্রত্যেক পরিবারের নিজস্ব দূর্যোগ মোকাবেলা পরিকল্পনা করে রাখা প্রয়োজন। সরকারী কোন প্রতিষ্ঠানের উপর ভরসা করে লাভ নাই, চাচা আপন প্রান বাঁচা।

আমার তিন তিন জন বন্ধু ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে, ভূমিকম্পের সময় তারা দিগম্বর অবস্থায় বাথরুমে ব্যাস্ত ছিল, তাই দৌড়াদৌড়িতে অংশ নিতে পারে নাই। তবে বাংলাদেশের ফ্ল্যাটবাড়ি গুলার কমন ফ্লোর প্ল্যানিং , বীম কলামের অবস্থান বিবেচনা করলে বাথ্রুম সবচে নিরাপদ জায়গা, পানির সাপ্লাই এর সঙ্গে টুথপেস্ট টেস্ট খেয়ে দিব্যি ২-১ দিন কাটিয়ে দেয়া যাবে।

~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~

কল্যাণF এর ছবি

পানির সাপ্লাই এর সঙ্গে টুথপেস্ট টেস্ট খেয়ে দিব্যি ২-১ দিন কাটিয়ে দেয়া যাবে

সে গুড়ে বালি ডিয়ার শিশির ভাই, কারণ সেইরকম ঘটনা ঘটলে তো পানির সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাবে।

দিহান এর ছবি

কাজের লেখা, উপকারে আসবে আমার মতো অনেকের।

ইদানীং পৃথিবী অনুভব করে, একটা সূর্যে চলছেনা আর
এতো পাপ, অন্ধকার
ডজনখানেক সূর্য দরকার।

তারেক অণু এর ছবি

খুবই দরকারি পোস্ট। চলুক

মিশু তাজ এর ছবি

বাসা-বাড়ী , অফিস-প্রতিষ্ঠানে ও শিক্ষা ব্যবস্থায় এগুলোর ব্যপারে নিয়মিত অনুশীলন হওয়া দরকার ।

Mahade Symumm এর ছবি

কপালে যা আছে, তাই হবে... ... ...
ভূমিকম্প তো আর বার্তা পাঠিয়ে আশে না। তবে বাড়ি থেকে বাইরে না যেয়ে, বিছানার তোশক মুড়ি দিয়ে বা পেচিয়ে থাকা ভালো...

তবে গল্পটি পড়ে ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ

ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ও হাসি-খুশি থাকুন
-সাইমুম খান

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।