মনের মাধুরী মিশিয়ে...

প্রৌঢ় ভাবনা এর ছবি
লিখেছেন প্রৌঢ় ভাবনা [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ২৭/০৯/২০১১ - ৭:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি প্রতিমন্তব্যে আশালতা জানিয়েছিলেন, " জীবনের গল্পে আবার ধনী-গরিব কিসের ? " আর তারেক অনু লিখেছিলেন, " সাদামাটা অনেক অনেক ঘটনায় মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখবেন, দেখবেন কেমন রত্নরাজি হয়ে ওঠে সেগুলো।"

বিনয়ের সাথে দুজনকেই জানাচ্ছি, অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে জীবনের একটা পর্যায়ে এসে একটু থিতু হয়ে চেয়েছিলাম জীবনের বাকি দিনগুলো বাঁচার মত বাঁচতে। মনের মাধুরী মিশিয়ে জীবনটাকে উপভোগ করতে। কিন্তু পুঁজিবাজার, হ্যাঁ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারটা মনের সমস্ত মাধুরী নিংড়ে নিয়েছে।

একটু বিশদে বলি, দীর্ঘদিন যাবত আমি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের সাথে সম্পৃক্ত। সেই সুবাদে দীর্ঘদিন ধরেই একটি ব্রোকারেজ হাউসে যাতায়াত। একজন বয়স্ক ব্যক্তি হিসাবে অনেকের শ্রদ্ধা ও সহযোগিতা পেয়ে আসছি। যাতায়াতের কারনে সেখানে কয়েকজন যুবকের সাথে পরিচিতও হয়েছি। যেহেতু অনেকটা সময় সেখানে কাটাতাম তাই তাঁদের সাথে কিছু সুখদুঃখের আলাপচারিতাও হত।

এমন দু-একজনের কথা বলি। ফারুক, একটি কৃষক পরিবারের সন্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে মাষ্টার্স করেছেন। দুবছর ধরে চাকরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকায় বাড্ডা এলাকার একটি মেসে থাকেন। ছাত্রজীবন থেকেই টিউশনি করে লেখাপড়া ও হলের সমস্ত খরচ চালাতেন। এখনও সেভাবেই চালিয়ে যাচ্ছেন।

গত বছরের মাঝামাঝি গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন। চাকরী বাকরী নেই। কি করা যায়, সেই ভাবনায় বাবার সাথে পরামর্শক্রমে কিছু জমি বন্ধক দিয়ে সামান্য কিছু অর্থ যোগাড় করে ঢাকায় ফিরে পুঁজিবাজারে লগ্নি করেছিলেন। শুরুতে ভালই চলছিল। লোভ আরও বেড়ে যায়। মার্চেন্ট ব্যাংক থেকেও শেয়ারের বিপরীতে কর্জ নেন। কিছুদিন যেতে না যেতেই পুঁজিবাজারে ধ্বসের শুরু। যেটা কিনা এখনও চলছে। পুঁজিতো গেছেই, এখন চরম দুশ্চিন্তায় আছেন মার্চেন্ট ব্যাংকের কর্জ নিয়ে। গ্রামের বাড়িতে যাওয়া হয়না দীর্ঘদিন। বাবা পুঁজিবাজার সম্পর্কে কিছু কিছু খবর জেনেছেন। তিনিতো খুবই উদ্বিগ্ন, কিভাবে বন্ধকী জমিটা ছাড় করা যাবে সেই চিন্তায়।

আরেকজন হল মিলন। খুবই দরীদ্র ঘরের সন্তান। পিতা, ভূমিহীন কৃষক। অপরের জমিতে শ্রম বিক্রয় করে সংসারযাত্রা নির্বাহ করেন। বাড়িতে কয়েকটি ছোট ভাইবোনও আছে। তাদের আশা বড়ভাই চাকরি করে তাদের লেখাপড়ায় সাহায্য করবেন।

মিলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাষ্টার্স করেছেন। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে চাকরির পিছনে ছুটছেন। ছাত্রাবস্থায় টিউশনি করেই সমস্ত খরচ চালাতেন। ঈদ-পার্বণে মাঝেমধ্যে বাড়িতেও টাকা পাঠাতেন। খুব কষ্ট করেই এ পর্যন্ত্য এসেছেন।

আমি একদিন জানতে চেয়েছিলাম, এমন সাবজেক্ট নিয়ে পড়লেন কেন ? জানতেন না যে এ সব সাবজেক্ট নিয়ে পাশ করলে চাকরির সুযোগ খুব কম। উত্তরে বলেছিলেন, " গ্রাম থেকে এসেছি, পরিবারের এমন সামর্থ নাই যে লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারেন, সেক্ষেত্রে নিজের চয়েস বলে কিছু থাকেনা। ভর্তি হতে পারছি, বিশেষ করে ঢাকায় কেননা ঢাকায় থাকতে পারলে টিউশনি করে খরচটা চালিয়ে নেওয়া যায়, এটাইতো আমাদের মত ছেলেদের জন্য অনেক বড় পাওয়া। "

তো সেও কিনা তাঁর এক মামাকে অনেক বুঝিয়ে সুঝিয়ে কিছু টাকা যোগাড় করেন। মামাও অবশ্য পুঁজিবাজারের কথা কিছুটা জেনেছেন। তাই মামাকে লাভের একটা অংশ দেবার প্রতিশ্রুতিতে টাকাটা মিলল। কিছুদিন প্রতিশ্রুতিমত চললও। তাপরই সেই মহাবিপর্যয়। তখন থেকেই অশান্তির শুরু। মামা তাঁর বাড়িতে যেয়ে টাকার তাগাদা শুরু করেছেন। মা তাঁকে প্রায়শই মোবাইলে অনুরোধ করেন মামার টাকাটা ফেরত দেবার জন্য। মিলন এখন কি করবে ? পুঁজি বলতেতো তাঁর আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

দুজন যুবক যাঁরা অনেক প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে জীবনযুদ্ধে জয়ী হতে চেয়েছিলেন। নিজের এবং পরিবারের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন করতে চেয়েছিলেন, সপ্ন দেখেছিলেন একটি সুন্দর সুস্থ জীবনের। পরিবারের অন্য সদস্যদের সপ্ন দেখিয়েছিলেন নতুন দিনের।

কয়েকটি লোভী শারমেয় তাদের সব সপ্ন লুট করে নিয়ে গেছে। এই লুটেরারা আমারই প্রজন্মের, যে প্রজন্মটার বাংলাদেশের সবচেয়ে শ্রদ্ধার আসনটি অলংকৃত করার কথা ছিল তাঁরাই আজ নষ্ট প্রজন্ম। মাঝে মধ্যে নিজের গালে প্রচন্ড চপেটাঘাত করতে ইচ্ছে হয় নিষ্ফল আক্রোশে। ইচ্ছে হয় চেঁচিয়ে বলি হাজার হাজার যুবকের সমস্ত সপ্ন লুটে নেবার অধিকার তোমাদের কে দিল ? হ্যাঁ এই নষ্ট সমাজব্যবস্থা, এই রাষ্ট্রব্যবস্থাই তাঁদেরকে এই সুযোগ করে দিয়েছে। এর পরিবর্তন চাই। অবশ্যই চাই।

শুধু আমার মনের মাধুরী নয়, হাজার হাজার সপ্নদেখা ষুবকের মনের সমস্ত মাধুরী নিংড়ে নিয়েছে কয়েকটি শ্বাপদ।

এ কাহিনী শুধু আমার বা ফারুক আর মিলনের নয়, এ কাহিনী বাংলাদেশের তেত্রিশ লক্ষ পরিবারের।

লিখেছি : প্রৌঢ়ভাবনা


মন্তব্য

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

মানুষের জীবন হলো খাটের তুলনায় সাইজে ছোট মশারীর মতো। এক কোণা বাঁধতে যাবেন তো আরেক সাইড ফাঁকা হয়ে গিয়ে মশা ঢুকবে।

মানুষের লোভ নিয়ে অনেক কিছু বলা যায়, শর্টকাটে ইনকামের ধান্দা নিয়েও অনেক কিছু বলা যায়; কিন্তু সব কথার শেষ কথা হলো জীবন চলমান। যতক্ষণ শ্বাস আছে, ততোক্ষণ আশা আছে। হতাশাকে জয় করার জন্যই মানুষ। সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রব্যবস্থা আপনা-আপনি কাউকে কোনো সুযোগ দেয় না, সুযোগ আদায় করে নিতে হয়।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

guest_writer এর ছবি

" মানুষের জীবন হলো খাটের তুলনায় সাইজে ছোট মশারীর মতো। এক কোণা বাঁধতে যাবেন তো আরেক সাইড ফাঁকা হয়ে গিয়ে মশা ঢুকবে।"

সহমত।

প্রৌঢ়ভাবনা

ড্যানিয়েল এর ছবি

জীবন এর উদাহরন টা জটিল হই সে ।

শাব্দিক এর ছবি

কি মন্তব্য করব বুঝতে পারছি না। এই শিক্ষা ব্যবস্থাই যা দিচ্ছে যে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড থেকে বেরিয়ে তারা চাকরী পায় না আর পুঁজি বাজার নিয়ে তো কিছু বলার অবকাশ নেই, যে স্বনামধন্য ব্যক্তিরা এর দায়িত্ব নিয়েছেন।

guest_writer এর ছবি

চাকরী যখন দেওয়া যাচ্ছেনা তখন কতৃপক্ষের উচিত ছিল বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাটিকে সুরক্ষা দেওয়া।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার কিছু বলার অবকাশ না থাকা সত্বেও।

প্রৌঢ়ভাবনা

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

জ্ঞানী-গুণী-বিদ্বান ব্যক্তিরা হয়তো নানা রকমের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দেবেন, তবে আমার মতো মুর্খ মানুষ নিজের বোধ থেকে কিছু কথা বলে যাইঃ

১. বাংলাদেশের কেউ যদি ভেবে থাকেন - সপ্তাহে পাঁচ দিন পাঁচ ঘন্টা করে কাজ করবো আর বিপুল পরিমাণ টাকা কামাবো, তাহলে তিনি বোকার স্বর্গে বাস করেন।

২. বাংলাদেশের কেউ যদি ভেবে থাকেন - টাকা খাটাবো আর খুব দ্রুত সেটা দ্বিগুণ-ত্রিগুণ-বহুগুণ হয়ে যাবে, তাহলেও তিনি বোকার স্বর্গে বাস করেন।

৩. বাংলাদেশের কেউ যদি ভেবে থাকেন - আমি জিরো-সাম গেমে টাকা খাটাবো আর সেখানে কখনোই আমার লস্‌ হবেনা, তাহলেও তিনি বোকার স্বর্গে বাস করেন।

৪. বাংলাদেশের কেউ যদি ভেবে থাকেন - আমি চুনোপুটি বহুগুণ লাভ করে বের হয়ে যাবো আর রাঘব বোয়ালেরা সেটা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে কিন্তু আমাকে কিছু করবে না, তাহলেও তিনি বোকার স্বর্গে বাস করেন।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

guest_writer এর ছবি

যে কোন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন মানুষই আপনার মন্তব্যের সাথে একমত পোষণ করবেন নিশ্চয়।

আমি যে কথাটি বলতে চেয়েছি, খেয়াল করলে দেখবেন পুৎজিবাজারের উত্থানকালে এ,ই,সি, ডি,এস,ই, এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকও এই সুবিধিবাদী গোষ্ঠীটিকে সব ধরনের সহযোগিতা করেছে বা তাঁদের প্রভাব বলয়ের বাইরে অবস্থান নিতে পারেনি।

সে সময়ে বিভিন্নভাবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করার নিমিত্ত বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখানো হয়েছিল। বাজারের গভীরতা সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা সত্বেও বাজারকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও প্রসারিত করা হয়েছিল। অর্থমন্ত্রীও বলেছিলেন, আমাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা যায়। পরবর্তিতে তিনিই বলেছিলেন, পুঁজিবাজারকে অতিমূল্যায়িত করার জন্য একটি প্রভাবশালী চক্র সক্রিয় রয়েছে। কিন্তু তিনি তা বন্ধ করবার কোন পদক্ষেপ নেন নাই।

পুঁজিবাজার বিষয়ক তদন্ত রিপোর্টে এধরনের অনেক তথ্যই বেরিয়ে এসেছে।

এবং এর প্রধান শিকারে পরিনত হয়েছিলেন, শিক্ষিত বেকার যুবক সম্প্রদায়।

( আপনি অত্যন্ত ক্ষুধার্ত। কেউ আপনার সামনে বিষ মাখা ভাত দিলে সেটা পরখ করে নেবার ধৈর্য বা বুদ্ধিমত্তা তাৎক্ষণিকভাবে কি আপনার মধ্যে কাজ করবে! সে দায়িত্ব যাঁদের ছিল তাঁরা তা এড়িয়ে গেছেন।)

সঠিক সময়ে কতৃপক্ষ সঠিক কাজটি করলে এর ব্যপকতা রোধ করা যেত।

ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য। তারপরও অনুরোধ রইল বিষয়টিকে একটু অন্যভাবে ভেবে দেখার জন্য।

প্রৌঢ়ভাবনা

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

রিস্ক তথা সব জেনে বুঝে টাকা ইনভেস্ট করতে হবে..............সমব্যথী................... মন খারাপ


_____________________
Give Her Freedom!

guest_writer এর ছবি

যে সব শিক্ষিত বেকার যুবক পরিবারের কছে, সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হয়ে এক ধরনের হীনমন্যতায় ভুগছিলেন, তাঁদের অনেককেই দেখেছি, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে কেউবা গলায় একটা টাই ঝুলিয়ে ব্রোকারেজ হাউসে উপস্থিত হতে। যেন কোন কর্পোরেট হাউসে চাকরি করতে এসেছেন। অনেকের চোঁখেমুখে দেখেছি একধরনের তৃপ্তি। সত্যিই তাঁরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলেন।

এঁদের জন্যতো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায়নি। পুঁজিবাজারের মাধ্যমে তাঁরা একটি বিকল্প কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছিলেন। লাভ কতটা হত সেটা আমার কাছে বড় ছিলনা। আমার ভাল লাগতো এই দেখে যে তাঁরা ফ্রাস্ট্রেশনের আগড় ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। তাঁদের ভিতর একধরনের উদ্দীপনার সঞ্চার হয়েছিল। এটাইবা কম কি !

" রিস্ক তথা সব জেনে বুঝে টাকা ইনভেষ্ট করতে হবে " একথাটা এখন তাঁরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।

ধন্যবাদ আপনাকে, সহমর্মিতার জন্য।

প্রৌঢ়ভাবনা

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

আপনার মন্তব্যের কথাগুলো সত্য, বাস্তব। আপনার মন্তব্যগুলো সুন্দর। লেখাতেও এর ছাপ চাই। ভালো থাকবেন।


_____________________
Give Her Freedom!

তারেক অণু এর ছবি

......সমব্যথী...... মন খারাপ , বেশী দুঃখ লাগে যখন দেখি সর্বস্বান্ত হয় সাধারণ জনতা কিন্তু নাটের গুরুরা সবসময়ই পার পেয়ে যায়।

guest_writer এর ছবি

মাফ করবেন, মনের মাধুরী মিশিয়ে লিখতে ভুলে গেছি। দীর্ঘদিন যাবত একটু একটু করে ক্ষোভ এবং অপরাধবোধ জমা হয়ে বিরাটাকার ধারণ করেছে।

ধন্যবাদ।

সমবেদনা তাঁদের উদ্দেশ্যে যাঁরা সর্বস্ব হারিয়েছেন।

উচ্ছলা এর ছবি

যে দেশে বেঁচে থাকার ন্যুনতম নিরাপত্তা নেই, আইনের শাসন নেই, নাগরিকের পাঁচটি মৌলিক অধিকার প্রদানে সরকারের বিন্দুমাত্র মাথাব্যথা নেই...সে দেশ থেকে বেরিয়ে আসুক যুবসমাজ, বিশ্বময় ছড়িয়ে যাক তারা।
'মগের মুল্লুক' থেকে বেরিয়ে যাবার স্লাইটেস্ট চান্সও তারা যেন মিস না করে।

যে সর্বস্বান্ত যুবকদের কথা লেখায় এত নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছেন, তারা আবার আত্মবিশ্বাস ফিরে পাক; প্রার্থনা করি।

guest_writer এর ছবি

আপনার সাথে ১০০% একমত। কিন্তু নিজের সন্তানকে কাছে রাখতে চাইযে। সন্তান বাৎসল্য আরকি ! এখনও আশা করে আছি, বর্তমান প্রজন্ম দেশটাকে বদলে দেবে।

তাছাড়া এই বয়সেতো আর 'মগের মুল্লুক' থেকে বেরিয়ে যাবার সুযোগ নেই। অগত্যা.......

ভাল থাকুন।

প্রৌঢ়ভাবনা

তানিম এহসান এর ছবি

রাষ্ট্র চাকরীর নিশ্চয়তা দেয়না, ব্যবসা করতে গেলে কেউ সহায়তা করেনা - চারিদিকে এইসব যাতনায় যাদের পক্ষে সম্ভব তারা ঠিকই একটা কিছু জুটিয়ে নেয়; কারো পারিবারিকভাবেই চাকুরীর নিশ্চয়তা মিলে যায়। অক্ষম মানুষেরা সক্ষম হতে শেয়ারে কিছুটা পূজিঁ নিয়ে এসেছিলো জীবনের সাধ পূরণ করবে বলে, আমার পরিচিত এক ছেলে তার বাবার সব সম্বল নিয়ে নেমেছিলো এখানে, শেয়ার নিয়ে জুয়াড়ী ছিলোনা, অনেক চিন্তাভাবনা করে বাজারে ছিলো গত ৮ বছর ধরে, এবার সব শেষ। সমালোচনা করা খুব সহজ, বলা সহজ “ফাটকা কারবারি” কিন্তু যাদের পেট ভরেনা তারা যখন সবার সব কিছু নিয়ে যায় রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে তখন রাষ্ট্রের কেষ্টু-বিষ্টুরা চুপ করে থাকে, সব শালা ভাগ পায়!

রাজার হাত কাঙালের সব নিয়ে যাবে - এটা নিয়মে দাড়িয়েছে; আজকে শেয়ার বাজারে, কালকে তরিতরকারির বাজারে, পরশু তেলে - এরপর কোথায় যেয়ে দাড়াবো আমরা? ভাবতে মাঝে মাঝে ভয় লাগে!

guest_writer এর ছবি

এই প্রজন্ম কি এসকল অন্যায়ের, অসাম্যের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেনা ? নাকি ব্যক্তিগত সুযোগের ব্যবহার করে পালিয়ে যাবে ? আমি জানিনা তাদের কোনটা করা উচিত। শুধু আশা করতে পারি, তারাই একটা পরিবর্তনের সূচনা করবে।

ধন্যবাদ আপনাকে নিজের ভাবনা প্রকাশের জন্য।

প্রৌঢ়ভাবনা

রোমেল চৌধুরী এর ছবি

আপনার লেখার মন একটু পড়ে গেছে বলে মনে হলো। হতাশ হবেন না, আরেকটু সময় দিন, রিভাইজ করুন, হাত খুলবে!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।

guest_writer এর ছবি

আমারও ধারনা সেটাই। যা লিখতে চাইছি ঠিক যেন গুছিয়ে লিখতে পারছিনা।

অপ্রিয় সত্যকথনের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ( অনেকেই এড়িয়ে যায় )

প্রৌঢ়ভাবনা

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।