আদম মরলে পর-রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কি?

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি
লিখেছেন রাতঃস্মরণীয় [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ১১/১০/২০১১ - ১০:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ছোটবেলায় আমাদের বন্ধু প্রবাসী বাংলাদেশীদের সন্তানদের কাছ থেকে তাদের বাবাদের গল্প চোখ গোল গোল করে শুনতাম। ওরা গল্পগুলো ওদের বাবাদের কাছ থেকে শুনে আমাদের কাছে সম্প্রচার করতো। আমরা প্লেনের গল্প শুনতাম, গাড়ির গল্প শুনতাম, আরও কতো কি। ওরা এমনভাবে বলতো যে যেনো ওরাই ঘুরে এসেছে। তখনকার দিনে প্রবাসী মানেই বিরাট কিছু একটা মনে করতাম। মাঝে মাঝে ওদের বাবারা বিদেশ থেকে ছুটিতে আসলে আমাদের কপালে বিদেশী চকোলেট জুটতো। সেই সময়টাতে প্রবাসী মানেই ধরে নেওয়া হতো মধ্যপ্রাচ্যে প্রবাসী। আমার মাতৃকূলের অনেক ইউরোপ-আমেরিকা প্রবাসী থাকলেও আম্মা কখোনোই তাদের গল্প করতো না। ফলে ধরে নিতাম যে ইউরোপ-আমেরিকা হচ্ছে যাচ্ছেতাই জায়গা আর প্রবাসের সবথেকে আকর্ষণীয় জায়গা হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্য।

৯০ এর দশকে আমার মেঝো ভাইটার বাঁদরামীতে অতিষ্ঠ হয়ে ওকে কাজ করতে সৌদিআরব পাঠিয়েছিলাম বিন-লাদেনের কোম্পানীর একজন শ্রমিক হিসেবে। সে সৌদি রাজপ্রাসাদের রিনোভেশন প্রজেক্টের স্টোরকিপার ছিলো এবং বিদেশযাত্রার পাঁচ কি ছয় মাসের মাথায় পয়সা ধার করে টিকেট কেটে পালিয়ে চলে এসেছিলো। তখন থেকেই আসলে জানতে শুরু করেছি যে প্রবাসে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশী শ্রমিকরা কি দুর্বিষহ অবস্থার ভিতরে বসবাস করে।

গত কয়েকবছর ধরে প্রবাসে বাংলাদেশী শ্রমিকদের দূরাবস্থা এবং তাদের উপর নির্যাতনের খবর প্রায় নিয়মিতই শুনছি। এর পিছনে অন্যতম কারণ বলে মনে হয়েছে বাংলাদেশের কিছু অসাধু জনশক্তি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান। এরা প্রায়শই ভূয়া পারমিট দিয়ে বিদেশে মানুষ পাঠায় এবং সেখানে পৌঁছানোর পর এই মানুষগুলোর দুর্গতির আর শেষ থাকেনা। এছাড়া এরা নিয়োগকর্তার সাথে যোগসাজসে কর্মীদের যে বেতন দেওয়ার কথা তা দেয়না, অনেক কম দেয়। কর্মীরা বিদেশে অবতরণ করার সাথে সাথেই এরা রিটার্ণ টিকেট এবং পাসপোর্ট নিয়ে নেয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা এই রিটার্ন টিকেট বিক্রি করে দেয়। এই রিটার্ন টিকেট বিক্রির বানিজ্য সবথেকে বেশি হয় বৈধ পারমিটবিহীন এবং ইউরোপ-আমেরিকাগামীদের ক্ষেত্রে। এগুলো নতুন কোনও ঘটনা নয় কিন্তু সরকার এইসব অসাধু আদম ব্যাপারীদের ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেয়না। এইসব অসাধু আদম ব্যাপারীদের কয়েকজনকে ব্যাক্তিগতভাবে জানি যারা বিভিন্ন সময়ের সরকারদলীয় বা বিরোধীদলীয় এমপি। তাই একাদিক্রমে অপকর্ম করে যাওয়ার পরও এদের কিছু হয়না। এরাই আবার ‘বায়রা’র সন্মানিত সদস্য।

বাংলাদেশের একটা মন্ত্রণালয় আছে ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়’ নামে। আমি সত্যিই বুঝিনা যে এরা বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের স্বার্থরক্ষায় কি কাজ করছে! আমি কিছুকালের মধ্যে ঘটে যাওয়া কয়েকটা ঘটনায় আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ভূমিকা নিয়ে আমার ব্যাক্তিগত মত শেয়ার করতে চাচ্ছি। ঘটনাগুলো অবশ্য আপনারা কম-বেশি সবাই জানেন।

১. গত ২০০৮ সালে কুয়েতে ঘটে যাওয়া নারকীয় ঘটনা নিশ্চয়ই এখনও আপনাদের মনে পড়ে যায়। বাংলাদেশী শ্রমিকদের বাসায় বাসায় গিয়ে কুয়েতি আর্মির বর্বরোচিত নির্যাতনের কথা এতো সহজে ভোলার নয়। কিন্তু তার পরের ঘটনা ছিলো আরও বর্বরোচিত এবং লজ্জাজনক যা আপনারা নিশ্চই ভোলেননি। অসহায় শ্রমিকরা যখন কুয়েতে বাংলাদেশী দূতাবাসের সামনে জড় হয়েছিলো সাহায্যের প্রত্যাশায়, ঠিক তখনই আমাদের দূতাবাস থেকে খবর দিয়ে পুলিশ ডেকে এনে সেই ক্ষুধার্ত-তৃষ্ণার্ত অসহায় শ্রমিকদের পিটিয়ে আধমরা বানায়। ওরা যখন ঢাকায় নেমে টিভি ক্যামেরার সামনে কাঁদতে কাঁদতে জামা খুলে সেই নির্যাতনের চিন্হগুলো দেখাচ্ছিলো, তখন অনেক দর্শকই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। ধন্য আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। এই না হলে সিভিল সার্ভেন্ট!

২. মালয়েশিয়া সাম্প্রতিককালে মানবাধিকার লঙ্ঘনে এবং শ্রমিক নির্যাতনে বেশ এগিয়ে। এটার ভূক্তভোগি অনেক বাংলাদেশী শ্রমিক যারা অসাধু আদম ব্যাপারীদের খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর দিশেহারা হয়ে পড়েছে এবং মালয়েশিয়ার পুলিশের অকথ্য নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে। সেখানে অবস্থিত আমাদের দূতাবাসের ভূমিকা পত্রপত্রিকা বা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে অনেকই অবগত হয়েছে। সমস্যা নিরসনে যখন মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মালয়েশিয়ায় যায়, সেখানে তখন আরেক নাটকের অবতারনা ঘটে। মন্ত্রীমহোদয়ের মালয়েশিয়ায় অবতরনের আগেই এই আদম ব্যাপারী চক্রের গ্যাংস্টাররা কুয়ালালামপুরে গিয়ে জড় হয়। সেখানে তারা এবং তাদের দালালচক্র বিমানবন্দর থেকেই মাননীয় মন্ত্রীর পিছু নেয় এবং তাকে কখোনোই নজরছাড়া করেনি। মাননীয় মন্ত্রী সেখানে প্রবাসীদের সাথে যে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেছিলো সেখানে এই গ্যাংস্টাররা এবং তাদের দালালরা নিজেদের সেট করা মানুষ দিয়ে অডিটরিয়াম ভরিয়ে ফেলেছিলো। সাধারণ আদমদেরকে তো ঢুকতে দেওয়া হয়ই’নি উপরন্তু উপস্থিত সাধারণ আদমদের গায়ে হাত দিয়ে সভাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে। এরা ওই দুষ্টচক্রকে সেদিন থামাতে পারেনি কারণ থামাতে চায়নি বলে। সেদিন তাদের কাছে অগণিত ভূক্তভোগি নির্যাতিত শ্রমিকের থেকে দুষ্ট আদম ব্যাবসায়ী চক্রই বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। সম্প্রতি এই কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসই আবার পলাতক আসামী আরাফাত রহমান কোকোর মেয়াদোত্তীর্ণ পার্সপোর্ট নবায়ন করে দিয়েছে। বাংলাদেশীদের জন্যে এদের দরদের তারিফ করতেই হয়!

৩. বেশ আগের কথা, ২০০৫ সালে জাকার্তায় বাংলাদেশের দূতাবাসে যাই রেজিস্ট্রেশন করাতে। সেখানে অপেক্ষমান ছিলো এক বাংলাদেশী যুবক এবং এক ইন্দোনেশিয়ান যুবতী। ওদের দুজনেই মালয়েশিয়ায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলো এবং সেখানেই তাদের পরিচয়, প্রণয় এবং পরিণয়। পরে তারা ইন্দোনেশিয়ায় এসে বউটার রেজিস্ট্রেশন এবং বাংলাদেশী ভিসার আবেদন করে। দূতাবাসের যে কর্মকর্তা আমাকে চা খাইয়ে আপ্যায়িত করলো, সেই মানুষটাই আমার সামনে যে ব্যবহারটা ওই বাংলাদেশী শ্রমিকের সাথে করলো তাতে লজ্জায় আমার মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছিলো। এক পর্য্যায়ে ক্ষুব্ধ শ্রমিক জানতে চাইলো যে তাকে আর কতোবার এজন্যে দূতাবাসে আসতে হবে। জবাবে কর্মকর্তা অমি বিশ্রী ভাষায় যুবককে বললো, “বিয়া কি আমারে জিগাইয়া করছিলেন মিয়া? অহন অতো ব্যাস্ত হন ক্যান? সিকুরিটি দিয়া বাইর কইরা দিবো কইলাম!” যুবক বাকরুদ্ধ, আমি লজ্জিত আর বউটা কিছু না বুঝে ফ্যাল ফ্যাল করে একবার কর্মকর্তার দিকে তাকায় আর একবার স্বামীটার দিকে তাকায়। কর্মকর্তা এবার বিশুদ্ধ ভাষায় আমাকে বললেন, “সরি ভাই, কিছু মনে করবেন না। এগুলোকে নিয়ে আর পারা যায়না। একটা কাজে এসেছে কিন্তু একদম ধৈর্য্য নেই।”

৪. লিবিয়ায় কারাগারে বন্দী সেই মানুষগুলোর কথা নিশ্চয়ই আপনারা ভোলেননি। দিনে মাত্র একবার খাবার আর অসংখ্যবার ধোলাই খাওয়া সেই লোকগুলোর কথা চাইলেই ভোলা যায়না। তাদের সাথে সাংবাদিকদের আলাপচারিতায় রিক্রুটিং এজেন্ট এবং তার লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশী দালালের নাম বের হয়ে আসলেও ত্রিপোলীস্থে বাংলাদেশ দূতাবার এবং সরকার তার কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা অজ্ঞ্যাত।

৫. সৌদি বর্বরতার কথা নতুন করে বলার আর কিছু অবশিষ্ঠ নেই। সাম্প্রতিককালের ৮ জন বাংলাদেশী শ্রমিকের শিরোচ্ছেদের মাধ্যমে মৃত্যদণ্ড কার্যকর করে তারা দেখিয়ে দিলো যে তাদের কাছে মানবতা কতোটা তুচ্ছ। বাংলাদেশের সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেছে যে মানবাধিকার আল্লাহর আইনের আগে আসতে পারেনা। বরঞ্চ এই শিরোচ্ছেদের ফলে সৃষ্ঠ প্রতিক্রিয়ার ফলে তারা এখন বিষয়টাকে ভিন্নখাতে পরিচালিত করছে এই বলে যে নিহতের পরিবার ‘খুনের বদলে খুন’ ছাড়া অন্য কোনও শাস্তি মানতে রাজী নয়। তারা এবং রিয়াদস্থ মিশরীয় দুতাবাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের দূতাবাস নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপুরণ দিতে চেয়েও তাদের রাজী করাতে পারেনি। প্রশ্ন হচ্ছে আমরা বাংলাদেশীরা মৃত্যৃদণ্ডগুলো কার্যকরা হওয়ার পর এই সংবাদ জানলাম কেনো? বিভিন্ন খবর থেকে জানতে পারলাম যে সৌদি আরবস্থ বাংলাদেশী দূতাবাস এই ঘটনায় অবহিত ছিলো এবং তারা কৌসুলী-দোভাষী নিয়োগ, ইত্যাদি কাজও করেছে অভিযুক্তদের পক্ষে। তাহলে আমরা কেনো তখন জানতে পারিনি? বিষয়টা আগে জানা গেলে বাংলাদেশের সরকার ভিন্ন ভিন্ন পন্থায় নিহত ওই মিশরীয় দারোয়ানের পরিবারের সাথে একটা আপোষরফা করতে পারতোনা তা কে জানে! চেষ্টা করা যেতো একজন নামী-দামী মিশরীয় মুফতি ভাড়া করে নিহতের পরিবারের সাথে আপোষরফা করার। তাছাড়া বিষয়টা জানা থাকলে আন্তর্জাতিক পর্য্যায়ে ক্যাম্পেইন করে মিশরীয় সরকারের কাছে এদের প্রাণরক্ষার গণআবেদন জানানো যেতো। www.webbangladesh.com নামোল্লেখ না করা এক সূত্রে লিখেছে যে,

এ দিকে একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশী মিশনের কূটনৈতিক ব্যর্থতাই সৌদিতে আট শ্রমিকের এমন পরিণতির জন্য দায়ী। এ সূত্রের বক্তব্য অনুযায়ী নিহত মিসরীয়ের পরিবার এক কোটি টাকা রক্তমূল্যের বিপরীতে ক্ষমা করতে রাজি ছিল।

এটা যদি সত্যি হয় তবে তা নিতান্তই দুঃখজনক। এক কোটি বাংলাদেশী একটা করে টাকা দিলেও কিন্তু এই ৮টি প্রাণ রক্ষা করা সম্ভব ছিলো। কিন্তু কিছুই করা সম্ভব হলোনা কেবলমাত্র পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বিষয়টাকে গোপনীয়তার ট্যাগ লাগিয়ে রাখায়। অত্যন্ত দুঃখজনক যে অনেককেই এই ঘটনাটায় উল্লাসিত হয়েছে। সাইদ নামের এক সক্রিয় ব্লগার বিডিনিউজ২৪ এবং সোনার বাংলাদেশ ব্লগে এই শিরোচ্ছেদকে বিভিন্ন যুক্তিতর্কের অবতারনা করে বৈধতা দেওয়ার জন্যে উঠেপড়ে লেগেছে।

ঘটনার পর থেকে মন ভালো নেই। বিভৎস দৃশ্যটা বারবার মনের চোখে ভেসে উঠছে। তাই আমার এই লেখাটা অস্থিরচিত্তে সরলীকৃত একটা হতাশাব্যাঞ্জক লেখা। এই হতাশা আমাদের পাররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কর্মকাণ্ডকে ঘিরে হতাশা। বিশ্বজুড়ে একটা বহুল প্রচলিত কথা হচ্ছে আপনি যে দেশেই থাকুন না কেনো, যথনই আপনি নিজের দেশের দূতাবাসে ঢুকলেন, মানে আপনি নিজের দেশে ঢুকলেন। কিন্তু আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় কি কখনও প্রবাসী বাংলাদেশী, বিশেষ করে শ্রমিকদের জন্যে তাদের দূতাবাসটাকে একটা নির্ভরতার, আশ্রয়ের, আস্থার, ছোট্ট একটা বাংলাদেশ বানাতে পেরেছে?


নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।
ইসলামের নামে সৌদিদের বর্বরতার প্রতি ঘৃনা জানাচ্ছি।


মন্তব্য

বাওয়ানী এর ছবি

নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি আর
ইসলামের নামে সৌদিদের বর্বরতার প্রতি জানাচ্ছি সুধুই ঘৃণা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

উচ্ছলা এর ছবি

একটি হাইকমিশনে কাজ করার অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, আমরা বাঙ্গালীরা বিনয়ী নই, কূটনৈতিক শিষ্টাচারের ধার ধারি না আমরা। কাজের প্রতি নিষ্ঠা নেই। অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তো জেনেটিক্যালি আমাদের নেই।

মোটকথা, মানুষ হিসেবে আমরা খুবই নিম্ন শ্রেণীর। ব্যতিক্রম আছে। তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না।

পোস্ট পড়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। যদিও লেখা সুপাঠ্য হয়েছে।

উচ্ছলা এর ছবি

পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় বলুন আর ছোটখাট চাকুরে বলুন, কাজের প্রতি নিষ্ঠা কারও খুব একটা নেই।
আটজন হতভাগ্যের জন্য চাইলে অনেক কিছু করতে পারত সৌদির বাংলাদেশ হাইকমিশন।

এদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকাকে ধিক্কার।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক
কে বলে তা বহুদুর
মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক,
মানুষেই সুরাসূর।।

কবি যথার্থই বলেছেন। তেমনই আমাদের মাঝেও ভালোমানুষ যে একেবারে নেই, তা কিন্ত না। তবে হয়তো ভালোমানুষগুলো নিরবে-নিভৃতে কাজ করে যায় বলে তাদের অবদানটা চোখে কম পড়ে। তবে মন্দটা চোখে বেশি পড়ার কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে লাভ আছে। এই যে মানুষ ওইসব মন্দলোকগুলোকে এড়িয়ে যেতে শেখে, ওদের থেকে সাবধান হতে শেখে, ইত্যাদি। আর সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছে মানুষ মন্দের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পারে। মন্দগুলো নিরবে-নিভৃতে অপকর্ম চালিয়ে যেতে থাকলে আমরা সেগুলো টের পেতাম না ফলে প্রতিবাদে মূখরও হতাম না।

সরকারী চাকরীতে নিষ্ঠার প্রশ্নটা অতীব নগ্ন। সবাই অযোগ্য একথা বলা যাবেনা কিন্তু একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে সবার নিষ্ঠা প্রয়োজন যেটার খুবই ঘাটতি দেখা যায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে এই নিষ্ঠাটার প্রয়োজন একটু বেশি কারণ বিদেশে মানুষ আত্মীয়-স্বজন বিবর্জিত একটা অবস্থায় বসবাস করে। বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষ পাওয়া কঠিন। এরা সক্রিয় হলে প্রবাসী বাংলাদেশীরা অনেক স্বচ্ছন্দে, নির্ভাবনায় কাজ করে আমাদের রেমিট্যান্স পাঠাতে পারে।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ উচ্ছলা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

cottton এর ছবি

mane apni bolte chacchen je ei bichar oboidho;jodi ei atjon khun kore take taholeo?apnar logic ta ki bolen dekhi?quran er law jene likhchen to?naki bolben 1400 bosor ager law out of order?

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কটন মহোদয়া/মহোদয়,

বাংলা লিখতে হলে এখানে 'অ'-এর উপর ক্লিক করুন। তারপর যেভাবে বাংলিশ টাইপ করেছেন ঠিক সেভাবেই ফোনেটিকে বাংলা টাইপ করে যান, দেখবেন অভ্যেস হয়ে যাবে।

আপনি আমার লেখার মেরিটে মন্তব্য করেননি, তাই উত্তর দিচ্ছিনা, দুঃখিত! দিলে শুধু শুধুই মন্তব্যের সুতো বেড়ে চলবে। লেখাটা ভালো করে আরেকবার পড়ুন এবং বিষয়ের মেরিটে মন্তব্য করুন।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

পাঠক এর ছবি

ভাই Cottton আপনার কমেন্টস পরে বুজলাম সরকারী আমলা হবার সকল যোগ্যতা আপনার আছে, (আমলা হতে হলে না বুজে কথা বলতে জানতে হয়, আপনি সেটা পারেন ) ও ভালো কথা কুরআন এর সুরা বাকারার ২য় আয়ত বলা আছে, "এই বাণী জ্ঞানী দের জন্য"; ভোদাই দের জন্য না! আল কুরআন এ হত্যার বদলে হত্যা বলা আসছে সত্য, কিন্থু কখন আর কি পরিস্থিতি তে সেটা বিবেচনা করার ক্ষমতা আল্লাহ মানুষ কে দিয়েছেন এই জন্য আল্লাহ রহমাতুল্লিলআলামিন

হালুপ্পা এর ছবি

ইসলামী মতে বিচার ঠিক আছে তবে ইসলামী আইনটা মানবিক ছিল না; কারন অনেক পূরাতন তো !! ম্যাঁও

বন্দনা কবীর এর ছবি

নিহত দারোয়ানের পরিবার এক কোটি টাকার রক্তমূলয় চেয়েছিল এই সংবাদটা কি বাংলাদেশ সরকার জানতো?

আমাদের অনেকের কাছেই এখন এক কোটি টাকা এক হাজার টাকার সনান। সেখানে সরকারের কাছে এই অর্থের মূল্য...!!! আমি বিভ্রান্ত! সামান্য কটা টাকা দিয়েও কি সরকার ৮টি প্রাণ বাঁচাতে পারলোনা?!!
নাহ, এই নিয়ে তবে আর কিছুই বলে কোনো লাভ নেই। ঘেন্না লাগছে কেবল।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এই খবরটা অনেক সন্দেহের জন্ম দেয়। তবে ওয়েবসাইটটা যদি খবরে সূত্র পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করতো তবে হয়তো সন্দেহটা আরও দৃঢ় হতো। সাধারণ সেন্সে বুঝি দুনিয়ায় টাকায় হয়না এমন কোনও জিনিস নেই। মিশরীয় মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সহায়তায় মিশরের সবথেকে বড় মুফতির মাধ্যমে যদি নিহতের পরিবারের কাছে রক্তঋণের টাকা পাঠিয়ে দিয়ে ক্ষমার আবেদন করা হতো, কাজ হলেও হতে পারতো। কিন্তু চেষ্টাটাইতো হলো না।

মন্তব্যের জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ বন্দনা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নিটোল. এর ছবি
রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

guest_writer এর ছবি

এদেশেতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া কিছুই হয়না। দেখেননা প্রত্যেক মন্ত্রীই বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে..........। হয়ত এবিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কোন নির্দেশ পাননি তাই........। আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীতো এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ নিয়ে খুবই ব্যস্ত। কোথাকার কোন হতচ্ছাড়ারা কোন অপরাধে কচুকাটা হল তা জানার সময় কই ! আপনারা আরেকবার তাঁকে ক্ষমতায় আনলে তখন নাহয় আপনাদের বিষয়ে ভাবা যাবে।

দীর্ঘকাল যাবত দেখছি, সরকারপ্রধানেরা জনগনের কথা মোটেই ভাবেননা। তাঁরা শুধু ভোট চান। আর মন্ত্রী, সাংসদ অথবা আমলারাও আমজনতাকে কখনই মানুষের মর্যাদা দেন নাই।

অত্যন্ত ক্ষোভ ও হতাশা থেকে মন্তব্যটা করলাম।

প্রৌঢ়ভাবনা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীত্ব করতে গেলে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন। ডা. দীপু মনি একজন এনজিওকর্মী এবং অকেশনাল আইনজীবি। তার পররাষ্ট মন্ত্রনালয়ের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রনালয় চালানোর অভিজ্ঞতা তো দূরের কথা, সাংসদ হিসেবেও তার অভিজ্ঞতা নতুন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সরকারী ওয়েবসাইটে তার সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত পড়ুতে এখানে ক্লিক করুন। তার সিভির শেষ অনুচ্ছেদ পড়ুন এবং দেখুন সরকারী ওয়েবসাইটে একজন মন্ত্রীর সিভির ছিরি-

অক্সব্রীজ শিক্ষায় শিক্ষিত বাংলাদেশের সুপ্রীম কোটের দুজন সিনিয়র এ্যাডভোকেটের মধ্যে অন্যতম জনাব তৌফিক নাওয়াজ ডা. দীপু মনির স্বামী। .................................. তিনি উপমহাদেশের দু‘হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত ধ্রুপদী সংগীতের উস হিসেবে পরিচিত ‘আলাপ‘এর একজন শিল্পী। তাঁদের রয়েছে দু‘সন্তান- পুত্র তওকীর রাশাদ নাওয়াজ (২০) ও কন্যা তানি দীপাভলি নাওয়াজ (১৫)। জনাব তৌফিক নাওয়াজ ও পুত্র তওকীর রাশাদ নাওয়াজ বাঁশীতে এবং কন্যা তানি দীপাভলী নাওয়াজ বেহালায় ‘আলাপ‘ বাজান।

এই সূত্র ধরে প্রশ্ন করা চলে যে ডা. দীপু মনি তাহলে কি বাজান? আর সরকারী পোর্টালের সিভিতে এইসব তথ্য দেওয়ার কি মানে আছে?

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

হালুপ্পা এর ছবি

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ... সাইট-টি ভিজিট করলাম, অবাক হলাম

চরম উদাস এর ছবি

রাতদা, লেখাটি খুব ভালো লাগলো। চলুক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ উদাসদা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মানিক চন্দ্র দাস এর ছবি

গুল্লি লেখা ভাই।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ মানিকদা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কল্যাণF এর ছবি

এই লেখার সাথে পুরোপুরি একমত। আমি আমার জীবনে দেশের বাইরে মাত্র একটাই বাংলাদেশ হাইকমিশন দেখেছি, ওহহহহ...কিযে চমেতকার অভিজ্ঞতা লাভ করিয়াছি তা আর কহতব্য নয়। বিদেশের মাটিতে দেশের লোকগুলো যখন অমানুষের মত ট্রিট করে তখন আর কি? আর নিজের দেশেওতো দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়েই থাকতে হয়। তখনি দেশে বা দেশের বাইরে থাকা না থাকা সমান হয়ে যায়। সবচেয়ে সমস্যা হল কোন কিছুর প্রতিকার হচ্ছে না। প্রতিবাদ করতে গেলে আরো বিপদ হয়ে যাচ্ছে। এ এক অন্তহীন অসহনীয় জাঁতাকল। এত অসহায় লাগে মাঝেমাঝে, ধুর বাল, কিচ্ছু ভাল্লাগতেছে না আর রেগে টং রেগে টং রেগে টং

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সবচেয়ে সমস্যা হল কোন কিছুর প্রতিকার হচ্ছে না।

আমলাতন্ত্রকে বাপ-দাদার জমিদারীর পাইক-বরকন্দাজের মতো ব্যবহার করতে থাকলে প্রতিকার কোনওদিনই আসবে না। নিজে ঠিক থেকে যদি আমলাতন্ত্রকে তার করনীয় কাজটা সঠিকভাবে করতে বাধ্য করা যায় তবে প্রতিকার আসতে বাধ্য।

আপনাকে ধন্যবাদ কল্যাণFদা।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

মৃত্যুময় ঈষৎ এর ছবি

এবং এটিও আরেকটি ব্যর্থ মন্ত্রণালয়। মন খারাপ

কিচ্ছু ভালো লাগে না!!!!


_____________________
Give Her Freedom!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

হাল ছেড়োনা বন্ধু বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে ....................

ভালো না লাগলেও তো এসব নিয়েই আমাদের চলতে হবে ওলি!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তাপস শর্মা এর ছবি

ধিক্কারে একাকার হোক সভ্যতা। আর সমবেদনা জানালাম না, ভালোলাগেনা বলতে- নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি । নিজেকেই একটা পদাঘাত করে গেলাম, হায় যারা করেছেন তারাও তো পাঁচ ইন্দ্রিয়ের মানুষই বটে, অতএব আমার জাতভাই - নাম 'মানুষ' ।
এই পৃথিবী, এই তো মানুষ জঞ্জাল।

রাতঃস্মরণীয় দাদা এমন একটি পোষ্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ, শেষে বলে যাই ঃ কলম কথা বলুক, মুক্তির কথা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

কলম কথা বলুক, মুক্তির কথা।

চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ডুপ্লি ঘ্যাচাং

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সজল এর ছবি

দেশের শ্রমিকদের সাথে আমাদের এয়ারপোর্টের ইমিগ্রেশন পুলিশ থেকে শুরু করে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ব্যবহার দেখে শুনে বিবমিষা লাগে। ওই অমানুষদের জিজ্ঞাসা করা উচিত এদের বেতন কোথা হতে আসে সেটা জানে কিনা।

---
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মনে হয় এটা একান্তুই ক্ষোভের ব্যাপার। তারা ভালোমতোই জানে যে কাদের আয়ে তাদের বেতন হয়। কিন্তু কথা হচ্ছে তারা যখনই দেখে যে শিক্ষায়-দীক্ষায়, সামাজিক স্ট্যাটাসে অনেক নিচুতলার মানুষগুলোর আয়ে তাদের বেতন হয়, বুকের মধ্যে একটা ক্রোধ মাথাচাঁড়া দিয়ে ওঠে।

একবার আঞ্চলিক বাংলা ভাষায় এই কথাগুলো বলার কারণে ঢাকা বিমানবন্দরে এক প্রবাসী শ্রমিককে লাঞ্ছিত হতে হয়েছিলো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারাপ কোয়াস এর ছবি

১.সৌদি শাসকগোষ্ঠী এবং (অধিকাংশ)বিত্তশালীদের মত ভণ্ড, নিষ্ঠুর চরিত্রের সমাহার সচরাচর দেখা যায় না। এ ব্যাপারে সৌদি ফেরত শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা রেকর্ড করে ইউটিউবে ছাড়া উচিত। আমাদের মত দরিদ্র দেশ থেকে শ্রমিক নাম দিয়ে আদম নিয়ে দাসপ্রথা পুরোদমে চালু রেখেছে। সৌদিরা সাদা চামড়ার পশ্চিমা দেশের লোক ছাড়া বাকিদের মানুষ হিসাবে গন্য করে না। 'ইসলাম' একটা চমৎকার পোশাকের মতই ওদের কাছে। সমস্ত অপকর্ম এর দায় এর উপর চাপিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে 'সুরা'র গ্লাসে চুমক মারার কৌশল অনেক আগেই আয়ত্ব করেছে এরা!
(উইক এণ্ডে বাহারাইন সেতু দিয়ে সৌদি থেকে গাড়ির মিছিল চলে বাহারাইনের পানশালার দিকে!)

২. এই কোয়ালিটির রাষ্ট্রদূতের মত যদি আরও কিছু মাল মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ পেয়ে থাকে তবে তারা এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে কি ধরনের 'সমঝোতা' করতে পারে তা অনুমান করা কষ্টকর না!

৩. মধ্যপ্রাচ্যে সহ অধিকাংশ দেশেই অদক্ষ শ্রমিকদেরই ভয়াবহ কষ্ট স্বীকার করে থাকতে হয়। এ ব্যাপারে দূতাবাসগুলা সাহয্যের হাত সবসময়ই রুগ্ন। এর বিপরীতে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতগণের এবং সে দেশের প্রতিক্রিয়া দেখলে মনে হওয়াই স্বাভাবিক যে প্রবাসীদের রেমিটেন্স ছাড়া অন্যকোন ব্যাপারে কোন মাধাব্যাথা নেই আমাদের দেশের সরকার এর।

৫. আমার মতে অধিকাংশ জনশক্তি রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠানই অসাধু। যতরকম ভাবে সম্ভব দেশের লোকদের ঠকিয়ে মুনাফা লোটাই এদর লক্ষ্য। সেই সাথে এদের 'এজেণ্ট'রা আরও বড় মা××××।

৬. জনগণকে সচেতন করে এ ব্যাপারে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের বিকল্প নেই।

লেখা ভাল লেগেছে তাজ ভাই।


love the life you live. live the life you love.

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ পল ভাই। প্রায় সব পয়েন্টেই একমত। সম্প্রতি আমাদের 'ত্রিরত্নের খ্যাপা' যা খেপেছে, তাতে আর নতুন খ্যাপা যোগ করতে হবেনা। এই ত্রিরত্নকে চিনেছেন তো? নীম্বাবু, চোদ্রীসাব এব ভূঁয়াসাব। নীমচন্দ্র ভৌমিক (নেপালে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত), নুরুল আলোম চোদ্রী (ওমানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত) এবং মজিবর রহমান ভূঁয়া (জাপানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত)।

৬. জনগণকে সচেতন করে এ ব্যাপারে সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের বিকল্প নেই।

ঠিক দ্বিমত না তবে এই একটা জায়গায় একটু সংশয় আছে। আমার ধারণা বাংলাদেশের সরকারে আসতে গেলে গণ্ডারজাতীয় কিছু একটা হতে হয়। মানে হচ্ছে, কাতুকুতু, চড়-থাপ্পড়, চাপ-ঠাপ, এসব কিছুই গায়ে লাগে না।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

একা পাখি এর ছবি

আসলেই তো আদম মরলে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের কি???
তাদের কাজ হল তিস্তা চুক্তি না হলে কিচু দিন পরে ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি করা........
মাসে মাসে নেগোশিয়েষনের নামে বিদেশে দলীয় সমর্থকদের পাঠানো........
যে শ্রমিকরা মারা গেছে তারা তো বাইচা গেছে......দুতাবাসের প্রটোকল থেকে!

----------------------
একা পাখি
(হায় সেলুকাস! কী বিচিত্র এই দেশ, তাই না!)

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ঠিক!

আপনাকে ধন্যবাদ পাখি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

সুলতান এর ছবি

লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল।
কবে আমরা আমাদের সরকার তথা প্রশাসন নিয়ে গর্ব করতে পারব?

তাজ ভাই, ধন্যবাদ সুন্দর লেখাটার জন্য।

-মানিক

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

গর্ব করার মতো তো অবশ্যই অনেক কিছু আছে কিন্তু অপকর্মের চাপায় পড়ে ভালো কাজগুলো দমবন্ধ হয়ে মরে। হতাশ হয়োনা মানিক। একটা সুন্দর দিনের স্বপ্ন তো দেখতেই হবে।

তোমাকে ধন্যবাদ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

রিশাদ_ময়ূখ এর ছবি

শেয়ার দিলাম। চলুক

মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এর ছবি

শেয়ার দিয়েছি চলুক

------------
'আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ঠিকাছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রিশাদ।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

আশফাক আহমেদ এর ছবি

চমৎকার তথ্যবহুল লেখার জন্য রাতঃদাকে ধন্যবাদ

-------------------------------------------------

ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আশফাক।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

একজন অভিভাবক এর ছবি

নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করছি আর
ইসলামের নামে সৌদিদের বর্বরতার প্রতি ঘৃণা

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

চলুক

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

জ্যাক। এর ছবি

বিদেশে বাংলাদেশি দুতাবাসের কর্মকর্তা দের আচরন দেখলে মনে হয়। তারা যে এত দূরে এসে বসবাস করছে, এক্রনেই ষোল কোটি বাঙালির ধন্য হওয়া উচিৎ। এবং সরকার তাদের রেখেছে শুধু মাত্র উপস্থিতি জানান দেবার জন্য, এবং মুষ্টিমেয় কিছু ব্যাক্তির স্বার্থ সংরক্ষন করে পকেট ভারী করার জন্য।

আমিও মনে করি সরকার সময়মত পদক্ষেপ নিলে এই হতভাগ্য শ্রমিকদের জীবন রপক্ষা করা সম্ভব হত।

চমৎকার একটা লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ নানা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

তোকে ধন্যবাদ জাকির, তোর সাথে দ্বিমত জানানোর কোনও উপায় নেই কারণ তুই এর বড় একজন ভুক্তভোগি। তোর মতো লেবার যারা বছরের পর বছর আত্মীয়-পরিজন ছেড়ে বিদেশে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দুটো পয়সা রোজগার করছিস, তাদের থেকে উনাদের স্বল্পকালীন বিদেশে বাস তো নিঃসন্দেহে জাতির জন্যে মহৎ কৃপা। উনারা এই কৃপাটুকু করে দেশ ও জাতিকে ধন্য করে দিয়েছেন। এজন্যে তোদের উচিৎ প্রত্যহ উনাদের পদচুম্বন করে আসা, মধ্যপদসহ।

হতভাগা আমরা, আমাদের সবগুলো সরকারই গণ্ডারতূল্য।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

অঅসাধারন এর ছবি

পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে নাকি বিসিএস এর ফলাফলে সবচেয়ে উপরে থাকা প্রার্থীরা যোগ দিয়ে থাকেন। বুদ্ধি বেশি থাকার কারনেই কিনা কে জানে, প্রবাসের দুর্বল জনগোষ্ঠীকে পাশ কাটিয়ে জীবন যাপনের সুন্দর একটা পদ্ধতি রাষ্ট্রদূত/পররাষ্ট্র সচিবরা আবিষ্কার করে ফেলেছেন। তাদের কাছে সেই শ্রেণীর প্রবাসীরাই গুরুত্বপূর্ণ, যারা দুর্ব্যবহার পেলে গোমর ফাঁস করে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন। বাকিদের কি হলো, এ নিয়ে মাথা ঘানানোর কোন অবকাশই নেই তাদের। দিন কেটে যায় পার্টি দিতে এবং অন্য দূতাবাসের পার্টিতে যোগ দিতে। এ এক নিশ্চিন্ত নিরাপদ নির্ভাবনাময় উপভোগ্য বিলাসী জীবনযাপন।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

মন্তব্যে একমত।

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্যে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

পথের ক্লান্তি এর ছবি

সবচেয়ে পীড়াদায়ক ব্যাপার হচ্ছে এই বর্বরোচিত ঘটনায় 'শরিয়া আইনের বিজয় হয়েছে' বলে কিছু অন্ধ আরবপ্রেমী বাংলাদেশির নারকীয় বিজয়োল্লাস। হেন উপায়ে হোক, নিজের দেশ, দেশের মানুষকে খাটো করে, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে; যেভাবেই হোক, প্রভু সৌদির মর্যদা সমুন্নত রাখা চাই!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

এই বিজয়োল্লাসে তারাই লিপ্ত হয়েছে যারা জানেনা যে ক্বোরানিক আইন এবং শরিয়া আইন এক বিষয় নয়। শরিয়া আইনের প্রবর্তন হয়েছিলো যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ক্বোরানিক আইনের সময়োপযোগী ব্যাখ্যা প্রণয়ন করার জন্যে এবং বৃহত্তর মানব কল্যানের জন্যে। কিন্তু শরিয়া আইনের ব্যাখ্যার বা বাস্তবায়নপ্রসূত কোন পরিনতির দায় ক্বোরানের নয়, শরিয়া আইনের প্রণেতার/প্রণেতাদের।

আপনি ঠিক ধরেছেন, অসংখ্য মানুষ আছে যারা রিয়াদে বৃষ্টি হলে ঢাকায় খটখটে রোদের মধ্যে ছাতা মেলে ধরে। এরা আসলে ইসলামপ্রেমী নয়, সৌদিপ্রেমী। সৌদি প্রভুদের উচ্ছিষ্ঠভোগি। এদের জন্যে ভালো হয় যদি সবগুলোকে ধরে সৌদি আরবে পাঠিয়ে দেওয়া যায়। ঘাড়ের উপর এগুলো গিয়ে পড়লে দেখা যাবে তখন সৌদি প্রভুদের এতো মোহাব্বাত কোথায় যায়।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

দুর্দান্ত এর ছবি

ঠিক আছে। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।
তবে সঔদি সরকার ইসলামের বাইরে গিয়ে কিছু করেনি।

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

তবে সঔদি সরকার ইসলামের বাইরে গিয়ে কিছু করেনি।

তাইলে আমরা আর হুদা চিল্লাচিল্লি করে লাভ কি? কাটা মাথারাও মুসলমান ছিলো, তাদের ওপর ইসলামের আইন প্রয়োগ করা হয়েছে! ৯০% মুসলমানের বাংলাদেশে অবিলম্বে সৌদি শরীয়াহ আইন (= ইসলামী আইন) চালু করা হোক!

নিহতদের পরিবারও মুসলমান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কাটা মাথাদের লাশ ফেরত না দেওয়া যেমন 'ইসলামী আইনে' জায়েজ না, তেমনি তাদের পরিবারের সমবেদনা পাওয়াও 'ইসলাম'-এ মনে হয় জায়েজ না। এই সমবেদনা নিতে গিয়ে তাদের মুসলমানিত্ব খারিজও হয়ে যেতে পারে!

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

উচ্ছলা এর ছবি

তবে সঔদি সরকার ইসলামের বাইরে গিয়ে কিছু করেনি।

আচ্ছা?!

প্রথমত, ঐ আটজনের বিচার প্রক্রিয়াটি ছিল অত্যন্ত ধোঁয়াটে। অভিযুক্তরা একজন আইনজীবি পাবার অধিকার রাখেন আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য । ট্রায়ালের এই ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যানডার্ড-এর ধার ধারেনি সৌদি সরকার।

দ্বিতীয়ত, বাঘা বাঘা খুনি, গনহত্যাকারীদেরকেও ভদ্রভাবে শান্তিপূর্ন প্রক্রিয়ায়, লোকচক্ষুর আড়ালে Execution Chamber-এ মূত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।

প্রকাশ্যে এক কোপে জল্লাদ অপরাধীর গলা কেটে ফেলবে- এ কথা কোরান শরীফে বলা আছে?...কোন্ সুরায়?...কোন্ আয়াতে?

অসভ্য, ইতর, বর্বরদের মত রাস্তাঘাটে বিচারের নামে রক্তের হোলিখেলা চালাতে হবে যুগের পর যুগ- এ রকম উদ্ভট-অসম্মানজনক-ন্যাক্কারজনক-বর্বর আইন বানাবার এবং কার্যকর করার নির্দেশ কোরানে দেয়া আছে নাকি?!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ দুর্দান্ত। আপনি আমার মূল লেখার উপর মন্তব্য না করে শেষ লাইনটার উপরে মন্তব্য করেছেন। আমি ইসলাম বা শরিয়াবিশেষজ্ঞ নই। তবে ধারনা করি যে ইসলামী আইনের দুই ধরণের বাস্তবায়ন আছে। এর একটা হচ্ছে ক্বোরানিক আইন এবং অন্যটা শরিয়া আইন। ক্বোরানিক আইন অবশ্যই 'কনস্ট্যান্ট' তবে আরবী ব্যাতিত অন্য ভাষায় এসে এর ভাবানুবাদ ভিন্ন হতে পারে। তবে তা কোনও অবস্থাতেই মূল আইনের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না। পক্ষান্তরে, শরিয়া আইন প্রণয়ন করে থাকেন মুফতিরা। তারা বিরাজমান প্রেক্ষাপটের সাথে সংগতি রেখে ক্বোরানিক আইনের ব্যাখ্যা তৈরী করেন। মনে রাখতে হবে যে শরিয়া একটা 'ভ্যারিয়েবল' জিনিস, ভিন্ন মুফতির ব্যাখ্যা ভিন্ন হতে পারে। এমনকি কোনও মুফতি যদি বিতর্কিত কোনও ফতোয়া জারী করে থাকে তার জন্যে ইসলাম বা ক্বোরানকে দোষী সাব্যাস্ত করা যুক্তিসংগত হবে না। বাংলাদেশে দেখেন প্রায়শই কিন্তু দেখা যায় যাদের ফতোয়া জারী করার বৈধতা নেই এমন সব লোকেরাই কিন্তু প্রতিনিয়ত ফতোয়া জারী করে চলছে এবং যার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ভূক্তভোগী হচ্ছে নারীরা এবং দরিদ্রেরা। এই ফতোয়াবাজের দল একটা গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় মগ্ন। এর জন্যে ইসলাম বা ক্বোরানকে দায়ী করা ঠিক হয়না।

৮ বাংলাদেশীর শিরোচ্ছেদের রায়ে ক্বোরানের রায়ের সাথে কিছু বিষয়ে গড়মিল দেখা যায়। বিস্তারিত আলাপ না করে একটা ব্লগের লিংক দিচ্ছি। এখানে লেখক মুহসিন আল জাবির এই অসামাঞ্জস্যের বিষয়ে কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।

ইসলামি শরিয়া বিধান বলে হত্যা: কাঁদছে বাংলাদেশ

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তারেক অণু এর ছবি

সৌদিদের বর্বরতার প্রতি ঘৃণা। লেখা খুব ঠাসবুনটের হয়েছে, কিন্তু মন খারাপ করা সব তথ্য। মন খারাপ

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি


সৌদিদের বর্বরতার প্রতি ঘৃণা।

চলুক

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তারেক।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী এর ছবি

আট বাংলাদেশির কথা মনে পড়লে কেবলই মন খারাপ হয়। এখনও মিডিয়া জানাতে পারলো না মিশরীয় ঠিক কীভাবে মারা গিয়েছিল। কী মিডিয়া, কী সরকার - সবাই দায় সারা ভাবে দেখলো বিষয়টা। সত্যিই আদম মরলে কার কী?

খুব সুন্দর এবং গোছানো লেখা। পাঁচ তারা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ নিয়াজ। আসলেই গোটা ব্যাপারটাই মধ্যেই আমাদের একটা দায়সারা ভাব দেখা গেলো। একটা বিষয়েরও স্বচ্ছ ব্যাখ্যা পেলাম না।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

tamanna nesa এর ছবি

আমার বাস্তব অভিজ্ঞতাও সুমধুর নয়। আমি যখন সেনেগালে ইমারজেন্সি ইভাকুয়েশনে ছিলাম, আমার পরিচিত দুই তিন জন বন্ধুর (যারা ঐ মন্ত্রনালয়ে কাজ করে) কাছ থেকে পরামরশ চেয়ে মেইল করেও উত্তর পাই নি।

পি,এসঃ বাঙলা ফন্টে দক্ষ নই বলে, অনেক কথাই না-ব লা রয়ে গেল।

তামান্না

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

ধন্যবাদ তামান্না আপা। আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপনার কো-দ্য-ভোয়াতে হাইবারনেশন এবং সেনেগালের ইমার্জেন্সি ইভাক্যুয়েশনের শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনাগুলো জানি। আপনি বন্ধুদের কাছ থেকে সহযোগিতা পাননি, তাহলে চিন্তা করেন যাদের বন্ধু নেই তাদের অবস্থাটা কি হয়!

আপনি একটু সময় করে লিখুন না ওইসব দিনগুলোর কথা!

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

পাঠক এর ছবি

কখনও বিসিএস পরীক্ষা দেবনা, কখনও কোন সরকারী চাকরীর জন্য দরখাস্ত করবনা এমন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম অল্প বয়সে একটা ছোট্ট ঘটনার জের ধরে। কোলকাতা ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন অসুস্থ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষিকা গীতালি রহমান। চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে বনগাঁ লোকাল ট্রেনে তাঁর ব্যাগ চুরি যায় যাতে তাঁর টাকাপয়সা ছাড়াও ছিল গুরুত্বপূর্ণ পাসপোর্টটি। বিদেশ বিভুঁইয়ে অর্থহীন অসুস্থ মধ্যবয়সী এই মহিলা তাঁর কিশোর ছেলেকে নিয়ে প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশায় দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্ক সার্কাস( স্ট্রীটও হতে পারে) এর বাংলাদেশ দূতাবাসে। কিন্তু বিধি বাম। সাহায্য তো দূরের কথা, উলটো পাসপোর্ট হারানোর দায়ে ভদ্রমহিলাকে কটু ভাষায় অপমান করা থেকে শুরু করে যাবতীয় হেনস্থা করতে বাদ রাখেনি তাঁরই স্বদেশী কিছু মানুষ যাদের চাকরীই হল বিদেশ বিভুঁইয়ে ঝামেলায় পড়া দেশীয় লোকগুলোকে একটু সহায়তা প্রদান করা( তাদের অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজও আছে মানি)। সহায় সম্বলহীন মহিলাটি অতঃপর দুসপ্তাহ এক প্রতিবেশীর আত্মীয়ের বাসায় থেকে ছোট্ট ছেলেটিকে নিয়ে নিয়মিত কোলকাতার রাস্তায় ছুটোছুটি করেছেন এবং কয়েক হাজার রুপি ঘুষ বাবদ একটা অনুমতিপত্র যোগাড় করেন যেই অনুমতিপত্র দেওয়াটা তাদের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে। মায়ের এমন সীমাহীন দূর্ভোগ, তাও নিজ দেশীয় সরকারী কিছু প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তাদের হাতে এবং অবহেলার কারণে, দেখে কিশোরটির মনে সরকারী চাকুরে বিশেষ করে পররাষ্ট্রে দূতাবাসে কর্মরত মানুষগুলোর উপর একটা প্রচন্ড ঘৃণা জন্মে গিয়েছিল যার কারণে সেই অল্প বয়সেই সে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকারী চাকরীর জন্য সে কোনদিন একটা লাইনও মুখস্থ করবেনা।

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

শুনে খুবই খারাপ লাগছে।

ধন্যবাদ আপনাকে পাঠক।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

তানিম এহসান এর ছবি

এতদিন কোথায় ছিলেন!!

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

বিলেতে।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

ত্রিমাত্রিক কবি এর ছবি

রাতঃদা, সৌদিদের বর্বরতার ঘৃণা জানানোর আগে চলেন ঘৃণা জানাই এদেশীয় সৌদদের। এরা সৌদের অসাধারণ বিচার ব্যবস্থা আর ন্যায়বিচারে মুগ্ধ। এরা জানেনা বা জেনেও মানতে চায়না এসব বিচার ওদের প্রিন্সদের জন্যে নয়, ওদের দেখানো ইসলামি আইন কেবল আমাদের দরিদ্র শ্রমিকদের জন্য। কিন্তু একটা লোক দেশের সব জমিজমা বিক্রি করে সৌদি, মালয়শিয়ায় ডাকাতি করতে যায় না, চুরি করতে যায় না, খুন করতে যায় না। এগুলা করতে চাইলে তারা তো বাংলাদেশেই করতে পারত। কেন তাদের করতে হচ্ছে, সে খোঁজ কে রাখবে? কেন এসব শ্রমিক ওখানে গিয়ে কাজ পাচ্ছে না, পেটের দায়ে তাকে চুরি কেন করতে হচ্ছে, এর বিচার কে করবে? সেসবের তদন্ত কি সৌদি সরকার করবে?

বর্বর সৌদদের চেয়ে আমার অনেক বেশী ঘেন্না হয় এদেশীও সৌদদের।

_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

আপনার মন্তেব্যের সাথে একমত জানানো ছাড়া আর কিছুই বলার নেই। মন খারাপ

ধন্যবাদ আপনাকে কবি।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।