আকাশ বাড়িয়ে দাও

স্পর্শ এর ছবি
লিখেছেন স্পর্শ (তারিখ: সোম, ২৫/০২/২০১৩ - ৩:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আপনি হয়তো এই মাত্র ফিরলেন শাহবাগ থেকে। আপনার উচ্চারিত স্লোগান এখনো ধ্বনিত প্রতিধ্বনিত হচ্ছে লক্ষ কন্ঠে, শাহবাগে, সারা দেশ জুড়ে। টুইটারের মাধ্যমে আপনি হয়তো জানিয়ে দিচ্ছেন বিশ্ববাসীকে আমাদের প্রাণের দাবীর কথা। ফেসবুকে শেয়ার করছেন নিজের প্রত্যয়, আশা আর উৎকন্ঠার বাণী। অনলাইনে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন নাশকতার, খণ্ডণ করছেন প্রজন্মের এই আন্দোলন নিয়ে সকল অপপ্রচারের। কিংবা হয়তো, আপনি পারিবারিক বা পেশাগত দায়িত্বের চাপে উপস্থিত থাকতে পারছেন না শাহবাগে। কিন্তু মন পড়ে আছে সেখানে।

আপনাদের সবার প্রতিই আর একটুখানি অনুরোধ। পাশের মানুষটির সাথে কথা বলুন। যে রিকশায় চেপে আপনি চলেছেন শাহবাগের দিকে বা অফিস, ভার্সিটিতে, কথা বলুন সেই চালকের সাথে। শাহবাগ নিয়ে তার মতামত জানুন। এক সুযোগে জানিয়ে দিন সেখানে আসলেই কি হচ্ছে। নিজে থেকেই একটু আধটু কথা বলুন লোকাল বাসে পাশে বসা সহযাত্রীটির সাথে। সে হয়তো জ্যামের কারণে বিরক্ত। তাকে আপডেট করুন পরিবর্তিত পরিস্থিতির সম্পর্কে। মোবাইলে ফ্লেক্সি করার জন্য দাড়িয়ে আছেন, কথার ছলে জেনে নিন তাদের কথা, জানিয়ে দিন আমাদের কথা। মোড়ের দোকানে চা কিংবা সিগারেট কিনতে গিয়েও আড়ষ্ঠতা ভেঙ্গে একটুখানি সরব হোন। এরা সবাই আমাদেরই লোক। কিন্তু ধরে নেবেন না তাদেরকে বলার কিছু নেই।

না আমি বলছি না এগিয়ে গিয়ে একটা বক্তৃতা দিতে হবে। স্রেফ চলার পথে যে কজনের আশেপাশে আসার সুযোগ হয় তাদেরকে আপডেট করুণ। তাদের আলোচনায় হ্যাঁ/না মন্তব্য দিন। সুযোগ হলে অল্প কথায় বুঝিয়ে বলুন আপনার কথা। আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না কত আগ্রহ নিয়ে এই মানুষগুলো অপেক্ষা করে আছে আপনার কথা শোনার। শাহবাগ আন্দোলনের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংহতি জানিয়েছে দেশের আপামর জনসাধারণ। কিন্তু নিশ্চিত ভাবেই তাদের বেশিরভাগই জানে না, ফেসবুকে বা টুইটারে বা ব্লগে কী হচ্ছে। জীবন জিবিকার তাগিদে সুযোগ, সময় বা সামর্থ্য হয় না তাদের খবরের কাগজ পড়ার বা টিভি দেখার। চলতি পথে বা চা বিরতিতে লোকমুখে ভেসে আসা কথাগুলোই তাদের তথ্যের উৎস। এবং শত্রুরা তা জানে, তারা নানা রকম কানাঘুষা ছড়ায় এভাবেই। কিন্তু এই জনসাধারণই আমাদের মূল শক্তি। ফেসবুকের গলে পচে যাওয়া ছাগুদের জন্য যত বাক্য বা শ্রম ব্যয় হয় তার একাংশ ব্যয় করুন পাশের মানুষটির জন্য।

গত কিছুদিন শাহবাগ এবং বেশ কিছু মফস্বল এলাকায় গণ জাগরণ মঞ্চ দেখার সুযোগ হলো। সুযোগ হলো গ্রাম আর উপজেলা শহরের নানান শ্রেণীর মানুষের সঙ্গে কথা বলার। খুব বেশি না স্রেফ টুক-টাক কথা। তার কিছু নমুনা দিই-

১) (খুলনায় এক গাড়িচালক)
- শুনলাম ঢাকার শাহবাগে নাকি সরকার খিচুড়ি খাওয়ায়, ভার্সিটির হলের পোলাপাইন সব খিচুড়ি খাওয়ার জন্য বসে থাকে সেখানে?
-- শোনেন ভাই, শাহবাগের আন্দোলনে প্রায় দুই-আড়াই লাখ লোক আসে-যায়-বসে থাকে। এত লোকরে কি তিনবেলা খিচুড়ি খাওয়ানো সম্ভব?
- ঠিক কথা।
-- এইসব কথা যারা বলে তারা রাজাকারদের লোক।

২) (ঢাকায়) শুক্রবারের তান্ডবের পর, মোবাইলের ব্যাটারি কিনতে গেছি। বিক্রেতা আর কয়েকজন অলসভঙ্গিতে বসে আলাপ করছে।
- শাহবাগের পোলাপাইন জামাত-শিবিরের সাথে কি পারবে? ওরা একটা আদর্শের জন্য রাস্তায় নামে। জানের পরোয়া করে না।অন্য সব দলের পুলাপাইন তো নামে টাকার লোভে। কী বলেন ভাই?
বলে আমার দিকে তাকায় সে। বাকি দুই শ্রোতা মাথা নাড়ে, তারা উৎকন্ঠিত।
-- আন্দাজে কথা বলেন কেন? শাহবাগ গেছেন একবারো? ঐখানে যারা বসে থাকে, হাজার রকম নাশকতার আশংকা মাথায় নিয়েই থাকে। পুলিশ না থাকলেও থাকতো। এখনো সবকিছু শান্তিপূর্ণ। কিন্তু জামাত-শিবির বেশি তেড়িবেড়ি করলে এরাই দেখবেন ওদের টেংড়ি ভেঙ্গে দেবে। ৭১ এ যেমন দিসিলো। দেশের জন্য জানের পরোয়া এরাও করে না।
শুনে প্রশ্নকারী চুপ হয়ে যায়। বাকি দুই শ্রোতা এবারো মাথা নাড়ে। আশ্বস্ত ভঙ্গিতে।

৩) (নড়াইল, রূপগঞ্জ বাজার) প্রজেক্টরে যুদ্ধাপরাধীদের উপর তথ্যচিত্র দেখাচ্ছে। পাশ দিয়ে ভারী বোঝা ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে এক ভ্যান চালক। চোখাচোখি হতেই বললো,
- রাজাকারগুলোর আর বাঁচন নাই, তাই না ভাই?
-- না এইবার আর বাঁচন নাই।
সেই সন্ধ্যার মৃদু আলোতেই ঝমলে হাসিতে ভরে গেল তার মুখটা।

৪) (গ্রামের বাড়ী, বাজারের চায়ের দোকান) আমাকে উদ্দেশ্য করে বলে একজন গ্রাম সম্পর্কের আত্মীয়।
-শুনসো নাকি কী কাণ্ড হইছে?
-- কি?
- আমাদের গ্রামের “অমুক মিয়া”। জামাট-শিবির করে। হঠাৎ কইরে আমারে জড়ায় ধরে হাউমাউ করে কান্না। কয়, জীবনে দোষত্রুটি যা করছি মাফ কইরে দিয়ো। তার নাকি জিহাদের ডাক এসে গেছে। সে শহরে যাচ্ছে, জিহাদ করবে। বউ পোলাপাইনের থেকেও শেষ বিদায় নেওয়া হয়ে গেছে। এরপর এই বাজারে এসে সবার কাছ থিকে বিদায় নিয়ে গেল। আমি কলাম, ধুর ব্যাটা কীসের জিহাদ। কোথারথে এইসব খবর পাও। সে কারু কথাই শুনলো না।
-- গ্রামের থেকে এরকম কয়জন গেছে?
- ঐ একজনই। আশেপাশের গ্রাম থেকেও দুয়েকজ্ন গেছে।
দোকানের বাকিরা আগ্রহভরে অপেক্ষা করছে আমি কি বলি শুনতে।
-- আপনারা কি জানেন, এই গতকালও পাকিস্থানে জিহাদ ওয়ালারা মসজিদে বোমা ফাটায়া ৮৬ জনরে মেরে ফেলছে? এইসব জিহাদ-জিহাদ বেশি করলে আমাদের দেশেও ঐ অবস্থা হবে। পৃথিবীর যেসব দেশেই মানুষ হুজুরদের ক্ষপ্পরে পড়ে জিহাদ করতে গেছে, আফগানস্থান, পাকিস্থান, সেইসব দেশের একটু খবর নিয়েন। পুরা দফা সারা! গ্রামে সবাই শান্তিতে আছেন। দেশটারে এরকমই থাকতে দেন। জিহাদ করে মানুষ মারার কাম কী?
- আমরা তো কেউ এইসবের মধ্যে নাই। “অমুক মুন্সী” (আরেকজন) কী করিছে জানো? তার জমি মোটে তিন কানি। গরীব মানুষ। সেই জমিটুক সব লিখে দিছে “তমুক বড় হুজুর রে”। আরেহ ঐ হুজুরের তো দুই তলা বাড়ি! এই গরিব মানুষটার জমি নিতে তার একটুও বাধলো না?
দোকানে এরপর সব ভন্ড হুজুরদের কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে। এক সময় আমি সেখান থেকে চলে আসি।

এমন টুকিটাকি নানান ঘটনা শুনে মনে হতে পারে। এ আর এমন কি। কিন্তু আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না। ভার্সিটিতে পড়া ছেলে-মেয়েদের কথা কত গুরুত্ব দিয়ে শোনে এ দেশের মানুষ। আমি নিজেই জীবনের অনেক বড় একটা সময় কাটিয়েছি মফস্বলে। কোনো প্রসঙ্গে ওখানে আসা ঢাকা ভার্সিটির এক ছেলে "এই" বলেছে। অনেক পরেও নিজেদের আলোচনায় গুরুত্ব সহকারে এমন রেফারেন্স দিতে শুনেছি মানুষকে। মেডিকেল ভার্সিটির বড়ভাইদের বলা কোনো কথাকে বেদ বাক্য মনে করেছি সে সময় নিজেও। জেনে রাখুন, স্রেফ কথা প্রসঙ্গে আপনার বলা দুয়েকটি কথাই একটা এলাকার লোকমুখে প্রচারিত হয়ে যেতে পারে খুব সহজেই। রচনা করতে পারে আপামর জনসাধারণের ধারণার ভিত্তিভূমি।

এই জাতির জন্মের শত্রুদের নানান রকম নাশকতা বেড়েই চলেছে। সেই দিন হয় তো দূরে নয় সরাসরি মুখোমুখি হতে হবে এদের। নিরিবিলি কোনো ক্ষেতে মরিচের চারা লাগাচ্ছে যে কৃষক, কালিঝুলি মেখে গাড়ির নিচ থেকে উকি দিচ্ছে যে মোটর মেকানিক, টায়ারে পাম্প দিতে দিতে কপালের ঘাম মুছছে যে ভ্যানচালক, বর্ধিত জ্যামের কারণে মৃদু উষ্মা প্রকাশ করছে যে সিএনজি ওয়ালা, ভিনদেশী কোনো রাজকন্যার জন্য মৃত্যুঝুকি নিয়ে কাপড় বুনছে যে বোনটি এদের সবাইকে সঙ্গে নিয়েই মোকাবেলা করতে হবে সেই হায়েনাদের। না ওরা হয়তো টিভিতে দেখছে না আপনাকে, সকালে খবরের কাগজে পড়ছে না আপনার কথা, ওরা জানেই না ব্লগ বা ইন্টারনেট কী। দূর থেকে ভেসে আসা শ্লোগানে আলোড়িত হলেও, কানাঘুষায় ছড়ানো বিভ্রান্তি এসে দূর করছে না কেউ। কেউ জানিয়ে দিচ্ছে না প্রজন্ম চত্তরের সাম্প্রতিক আপডেট। কিন্তু, কত সহজেই এই মানুষগুলোর দিকে হাতটা বাড়িয়ে দেওয়া যায়। কত সহজেই বাড়িয়ে দেওয়া যায় আকাশটা!


মন্তব্য

ইয়াসির আরাফাত এর ছবি

স্পর্শ, খুব সুন্দর করে গুছিয়ে দরকারী কথাগুলো লিখেছেন। শহুরে গা বাঁচিয়ে চলা স্বভাব আমাদের অনেককেই সম্পূর্ণভাবে জনবিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর প্রতি আমাদের যে দায়বদ্ধতা আছে, সেটা অনেকের মাথাতেই থাকে না, আমি দেখেছি। এই লেখাটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

ব্যাঙের ছাতা এর ছবি

দারুন একটা ধারনা দিলেন। অফিসে আমি ইদানিং শাহবাগ নিয়ে কথা বলা কমিয়ে দিয়েছি, বিভিন্ন কারনেই। আপনার লেখাটি পড়ে আবার উদ্দীপনা অনুভব করছি। নতুন করে শুরু করবার।
ধন্যবাদ।

চরম উদাস এর ছবি

চলুক
কদিনের জন্য পাবনা গিয়ে আমারও বেশ কিছু অভিজ্ঞতা হল। আড়ষ্টতা ভেঙ্গে আমি খুব বেশী কথা বলতে পারিনি অবশ্য। বরং কান পেতে শোনার চেষ্টা করেছি হাটে বাজারে লোকজন কি বলে শাহাবাগ নিয়ে। শোনার পাশাপাশি আর বেশী বেশী করে কথা বলা উচিত সবার সাথে এই নিয়ে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

উদাস'দা পাবনা গেছিলেন কি করতে??? পরশু'র অবস্থা খুবই খারাপ ছিল তো ওখানে... ওঁয়া ওঁয়া

তানভীর ভাই, ঢাকায় বললে লোকে বুঝে (সবাই না) ... কিন্তু ঢাকার বাইরে অবস্থা খুবই খারাপ... (অবশ্য আমার স্যাম্পল স্পেস খুব ছোট+রাজাকার প্রধান এলাকা)

চরম উদাস এর ছবি

গেছিলাম আমার সিস্টেম সার্ভিসিং করাতে , সবাই বলল মেরামতের অযোগ্য খাইছে
জোকস এপার্ট, বেশ খারাপ অবস্থা ছিল পাবনায়। অনেক মারামারি হইছে।

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি

মজার জিনিস হইল পাবনায় পোড়ানর মত বেশি কিছু না পেয়ে কাদের মোল্লার যে প্রমান সাইজের কুশ-পুত্তলিকা ছিল সেইটা জামাত-শিবিরের ক্যাডাররাই জ্বালায় দিয়ে গেছে... সেমসাইড যে হইল সেই বুদ্ধিটাও ছাগ্লা গুলার মাথায় নাই... দেঁতো হাসি

অঃ টঃ নেক্সট বার আইলে জানায়েন ... ভিয়াইপি কেবিন বুক দিমুনে খাইছে

অতিথি লেখক এর ছবি

এখন আসলে এই চর্চাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ! সংগ্রামের চালিকাশক্তির মধ্যে একটি হলো এই জনসচেতনতা সৃষ্টি, ঘরে-বাইরে-সবখানে।

শিমুল কবিরিয়া
shimulkibria.sachalayton

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কী অসম্ভব দারুণ একটা পোস্ট! বিশেষ করে শেষ প্যারাটা খুব ছুঁয়ে গেল। এভাবেই সর্বস্তরে সচেতনতা জাগিয়ে তুলতে হবে।

দীপ্ত এর ছবি

আশেপাশে সন্দেহগ্রস্ত মানুষের কমতি নেই। আন্দোলন নিয়ে ইতস্তত করা মানুষ যখন নিজের চারপাশেই দেখেছি তখন থেকেই চেষ্টা করেছি প্রমাণ হিসেবে ভাল লেখা, ছবি, ভিডিও, প্রমাণ এসব সংগ্রহে রাখার যাতে প্রয়োজনের সময় প্রমাণ সহ দেখাতে পারি।
সমস্যা হল এই বিষয় নিয়ে কেউ যখন বিরোধিতা করে বা আপসমুখী কথাবার্তা বলে, তখন আমিও যুক্তিটুক্তি ভুলে আবেগ দিয়ে কথা বলতে থাকি। তাই যেসব খানে বিতর্ক করার চেষ্টা করেছি, বুঝিয়ে সুজিয়ে লাইনে আনতে পেরেছি বলে মনে হয় না। নিজের পক্ষ থেকে ধৈর্যের সংকট একটা সমস্যা, অপরপক্ষের বোঝার অক্ষমতা আরেকটা সমস্যা। চেষ্টা থাকবে আরেকটু ধৈর্য দিয়ে বে-লাইনের মানুষকে লাইনে আনার।
চমৎকার লেখার জন্য ধন্যবাদ।

ব্যঙের ছাতা এর ছবি

আমারও একই সমস্যা। কিছুক্ষন ঠান্ডা মাথায় বোঝানোর চেষ্টা করার পর যখন বুঝি যাকে বলছি, তার ব্রেইন ইতোমধ্যে ওয়াশড হয়ে গেছে, বোঝানোর ধৈর্য হারিয়ে ফেলি। মন খারাপ

নীড় সন্ধানী এর ছবি

চলুক
প্রতিনিয়ত এই কাজই করে যাচ্ছি। এটা সবারই করে যাওয়া উচিত। অভিজ্ঞতায় দেখলাম সবচেয়ে বড় সমস্যা করছে মধ্যপন্থী শিক্ষিত লোকজন। এরা নিরপেক্ষতার নামে মাহমুদুরের প্রশ্নমালা ছুড়ে দিতে পছন্দ করছে শাহবাগ আন্দোলনের প্রতি। জামাত শিবিরের হাত শক্ত করেছে এই চেতনাহীন 'নিরপেক্ষ'(!) লোকগুলোই।

‍‌-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?

তানিম এহসান এর ছবি

চলুক

একই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। না জেনে, না বুঝে, শাহবাগে না যেয়ে অবলীলায় কটূক্তি করছে, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে মানুষ! সবচাইতে বেশি ছড়াচ্ছে পুঁথিগত ভাবে শিক্ষিত লোকজন।

অতিথি লেখক এর ছবি

অতীতের ইতিহাসের দিকে দেখলে দেখতে পাওয়া যায় গণ মানুষের কোন আন্দোলনই বিফলে যায় নই। শাহবাগ ছাপিয়ে সারা দেশে যে গণ জোয়ার বইছে সেটিও ব্যার্থ হবে না।

সুরথ সরকার।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।