কবিতাঃ কলিকালের সমসাময়িকতা

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি
লিখেছেন কাজী আফসিন শিরাজী [অতিথি] (তারিখ: শনি, ০৫/০৯/২০০৯ - ৭:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(বন্ধু আরেফ রিওনেনকে উৎসর্গ করে)

নগরতলী এক পাপ চক্রের ইকো সিস্টেম,
কর্পোরেট বাঘগুলো খেয়ে নিচ্ছে স্বপ্নের পোনাগুলো; পুষছে ক্ষুধার্ত কুকুর;
এ বড় আজব শহর তুষার। ভোগবাদীরা ঘুমায় কার্পাস তুলার বালিকা বালিশে,
আর ফ্যাসিবাদীরা সংসদে, টিভি খুললেই হাসাহাসি;
আমি দাঁতে দাঁত চেপে জমিয়ে রাখি সব হাসি। দেখিস-
একদিন আমিও পাখি ও আকাশের জান কাঁপিয়ে তুমুল হাসব,
হাসতে হাসতে মাথা ধরে যাবে, চোখে গলবে জলের গেলাস, তবুও হো হো…
তুষার, আমি একদিন পালিয়ে যাব এই শহর ছেড়ে। এক দৌড়ে।
আমি ছুটতেই থাকব এক প্রিয় নীল নক্ষত্রের পিছনে,
জিন্স প্যান্টের ঝুল-সুতাগুলো বলে দেবে আমি ঘুরেছি কতটা পথ;
বয়ঃসন্ধিতে জাঁকিয়া বসা জড়তা কাটিয়ে আমি চিৎকার করে বলে দেব-
আমি কোন যোগ্য মানুষ নই; যৌবন ও যৌনতার আগুনে
পোড়া এক বোহেমিয়ান ফিনিক্স আমি; অথবা টাট্টু ঘোড়া;
যুগে যুগে কত কত ঈশ্বর জন্মেছে ধ্যানের কুপিতে;
সবই বদলে যাবে; নতুন মতবাদ নিয়ে নেবে বিশ্বাসের মার্কেট শেয়ার;
কিছুই সত্যি নয়; কানামাছি আঁধারে যারে কাছে পাই তারেই ছুঁই;
কোথায় যাই! কারে গিয়ে বলি আমাকে লুকাও?
তুষার, আমি কলিকালের সমসাময়িকতায় জন্ম নিয়ে বড্ড ফেঁসে গেছি!!


মন্তব্য

স্পর্শ এর ছবি

তুষার, আমি কলিকালের সমসাময়িকতায় জন্ম নিয়ে বড্ড ফেঁসে গেছি!!

আমিও ফেঁসে গেছি মনে হয়।
কবিতা খুব ভালো লেগেছে। একটু কঠিন অবশ্য।

দাঁড়াও তোমার জন্য একটা কবিতা লিখি হাসি

শেষ পার্সীর শেষকৃত্য

মৌন-শিখরে এসে বসে আছি
মৃত্যুর অপেক্ষা ফুরিয়েছে সেই কবে
ফুরিয়েছে অগ্নি উপাসনার যজ্ঞ
শব বাহকরাও কেউ আর নেই।

শুধু, শেষ শকুনিটাই হয়তো বহুকাল
অপেক্ষায় ছিলো। শেষ শেষকৃত্যের।

হয়তো বৃদ্ধা হাড়ে শেষ শক্তিটুকু জমিয়ে
দিনরাত শুধু আমাকেই কামনা করেছে সে।
নগরীর অনন্ত কোলাহল ঢাকতে পারেনি সেই আকর্ষণ।
সময় আর বার্ধক্যে ভর করে একদিন
ঠিকই পৌছে গেছে তার ডাক
আমার কাছে। শত বছরের অগ্নি উপাসনা মিথ্যে করে
আমি তাই আজ মৌন-শিখরে।

যে আগুন নিভে যায় সে কি দিতে পারে অমরত্ব?

সেই নিভে যাওয়া আগুনের কাছেই তাই শেষ প্রার্থনা-
আমারই যেন মৃত্যু হয় সঙ্গী শকুনীর আগে।

যেন সম্পন্ন হয় শেষ পার্সীর শেষ শেষকৃত্য।।

নির্ঘন্ট: মৌন-শিখর = http://en.wikipedia.org/wiki/Tower_of_Silence


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তোমার তো দেখি ব্যাপক পেতিভা। ইনস্ট্যান্ট কোবতে লিখে ফেলো। তা, বলো তো এবার আজ পর্যন্ত কতোগুলো মেয়ের জন্য এভাবে তাৎক্ষণিক কবিতা লিখেছ? চোখ টিপি

কবিতা সুন্দর হয়েছে দেঁতো হাসি

স্পর্শ এর ছবি

ইন্সটান্ট কফির মতো ইন্সটান্ট কবিতা লেখা শিখলাম তো গতকাল। লীলেন ভাইয়ের কাছে। দেঁতো হাসি

এতকাল তো পারতাম না মন খারাপ
এখন থেকে এই নতুন মারণাস্ত্র পুরোদমে ব্যবহার করব। চোখ টিপি নারী জাতি হুশিয়াআআআর! দেঁতো হাসি

এখন কও তোমার জন্য একটা লিখবো নাকি??


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

আমি আগে ডিস্টিং ডিস্টিং প্রেমের কবিতা লিখতাম। এস এম এস কইরা আমার বন্ধুগো পাঠাইতাম। কেউ কেউ নিজের কবিতা কইয়া বালিকাগো দিতো। আমি কুন বালিকারে দেই নাই। আফসুস। পুরানা প্রেম ভাতে বাড়ে। ঐ প্রেম বাদ। এখন আবার মিষ্টি প্রেমের দুষ্টু কবিতা লিখবার মঞ্চায়।

আবার লিখুম দেখি। দোয়া রাইখেন।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

চলুক চলুক

দুটো কবিতাই।
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

স্পর্শ এর ছবি

সুকান্ত ভট্টাচার্য একবার ছ্যাকা খেয়ে বড় দুঃখ নিয়ে তার কবি বন্ধু অরুণাচল বসুকে এক চিঠিতে লিখেছিলো:

...তবে এ থেকে আমার অনুভূতির কিছুটা উন্নতি সাধন হলো। কিন্তু এই ঘটনার পর আমি কোনও প্রেমের কবিতা লিখিনি, কারণ প্রেমে পড়ে কবিতা লেখা আমার কাছে ন্যক্কারজনক বলে মনে হয়।...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@ভিরু

তোমার প্রতিভা আছে জন্যই তো শিখতে পারলা। লীলেন ভাইয়ের মন্তব্য তো আমিও দেখসি, কিন্তু কিছু তো শিখতে পারিনি চোখ টিপি

ছেলেদের জন্য কোবতে লিখে নিজের পেতিভা নষ্ট কইরো না। তারচেয়ে বরং কোনো সুন্দরী ললনার জন্য লেখ দেঁতো হাসি

স্পর্শ এর ছবি

মেয়েরা ফাউল।

দাঁড়াও তোমার জন্য কবিতা লিখি। তোমার নিকের সাথে মিল রেখে। দেঁতো হাসি

বিউটি পার্লারের দ্বাররক্ষী

এখানে একদিন একটা স্কুল ছিলো,
একদিন ভোরের আলো ফুটতো, এই তো সামনের জারুল গাছে।

সে এক অন্য সময়।

জারুল গাছটা হারিয়েছে কবে, সেখানে শানবাধাই পার্কিং লটে
শোভাপায় জারুল রঙের আস্টন-মার্টিন।

সকালে গাছ ছেড়ে কিছু চড়ুইপাখি তখন কিচিমিচি করতে করতে
এইতো আমার এই দরজা দিয়েই, চলে যেতো স্বপ্না মিসের কাছে।

কেউ কেউ কিচিমিচি ভুলে বলে বসতো, ‘সুপ্রভাত আবুল ভাই’!

তখন, আমার চোখে সেই পাঁচ পাওয়ারের চশমা থাকতেও
জারুল গাছটা কেমন ঝাপসা হয়ে যেত।

আর এখন সন্ধ্যায় প্রায়ই কিছু মৎস কন্যা এসে ঢুকে পড়ে
এই দরজা দিয়েই। কাঁপা হাতে নব ঘুরিয়ে দরজা খুলি।
কিচিমিচি করেনা তারা। শুধু মাঝে মাঝে বলে,
‘গার্ডটা এত এজেড। চোখে দেখে তো ঠিক মতো?’

জারুল রঙের আস্টন-মার্টিনটাও তখন ঝাপসা হয়ে যায়।

বেলী অথবা কামিনীর গন্ধে মেশা তাদের
আঁশটে ঘ্রাণটা বুঝতে পারি আমি।

ওরা তো জানে না। চোখে ঝাপসা দেখলেও,
আমি তাদের গন্ধ চিনে রাখি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ওরে খাইসে! তোমার তো দেখি 'হৃদয়াময়' রোগ হইসে। দেঁতো হাসি

একটা উত্তরাধুনিক কোবতের বই লিখে ফেলো খাইছে

স্পর্শ এর ছবি

ভাগ্যিস হিমুভাই এই শব্দটা আবিষ্কার করেছিলো। নাইলে এইটার কী নাম দিতাম! ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

চমৎকার কবিতা! আমার কবিতা তো ম্লান হয়ে গেল এই কবিতার কাছে।
অমরত্ব কে চায়? মরে গেলেই ভালো। এত গিয়ানজামের মধ্য বেশিদিন না থাকাই ভালো।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...

স্পর্শ এর ছবি

তুমি আবার কিছূ মনে করো না যেন। এমনি মজা করছি একটু।

বলোতো আরেকটা নামাই? দেঁতো হাসি
কবিতা লেখা ভারি মজা হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আহেম! পেতিভা বেয়ে বেয়ে পড়ছে দেখি... তো বলো, ক'জনের জন্যে এমনটা লিখলে? চোখ টিপি [কলেরার ছায়া পড়লো বোধহয়! ভুল বললাম?]

-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

স্পর্শ এর ছবি

আমার কাব্য-কলেরা হইসে। ইয়ে, মানে...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চমৎকার কবিতা। চলুক

'জাঁকিয়া' - সাধু ভাষায় ব্যবহার করলেন শব্দটা। ইচ্ছাকৃত?

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

সাধু নাকি? কী জানি। যা মনে আসে তাই লিখি। বাসে বসে লিখসি। তাই কিছুটা ছন্নছাড়া।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ইয়ে মানে... আমিই কনফিউজড। তবে মনে হয় 'জাঁকিয়ে' হবে। খাইছে

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ভাইয়া... চলুক ...

আমি কলিকালের সমসাময়িকতায় জন্ম নিয়ে বড্ড ফেঁসে গেছি!!
বড্ড ভালো লাগলো লাইনখানা!

-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

হুম। এই সব ঘোর অসময়।
বেঞ্জামিন বাটনের ঘড়ি দরকার আমার।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...

রূপসী-রাক্ষসী এর ছবি

ঘোড়ার লেজ সুন্দর!!
কবির কবিতাও সুন্দর!!
তাই মন্তব্য নিস্প্রয়োজন!!

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

মাথার উপর দিয়া গেল। কাব্য আড্ডায় আসার জন্য ধন্যবাদ।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এই কবিতাটা স্পর্শ-র জন্য দেঁতো হাসি

কবি ও তিনটি কুকুর

অথচ তার মনে হয়েছিল সে আর জীবনেও কলম ছোঁবে না।
নিজের অস্তিত্বের সাথে মৌনতার দ্বান্দ্বিক লড়াই?
হয়তোবা হবে তাই।
প্রতি রাতে কলমের বদলে
সে হাতে তুলে নিতো একটি বই। একটি জীবন। মুঠোভরা স্বপ্ন।
স্ট্রীটল্যাম্পের আলোয় যখন গাছের ছায়াগুলো
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়ে উঁকি দিতো তার খোলা জানালায়,
সে মুখ তুলে একবার চেয়ে আবার ডুবে যেতো বইয়ের পাতায়।
যেন কী ভীষণ নিরাবেগ। থমকে দেবে যেন সব অযাচিত অনুপ্রবেশ।
অপেক্ষার প্রহরগুলো তার কেটে যেত এভাবেই।
অস্পৃশ্য মগ্নতায়।

মার্কেজ, রবীন্দ্রনাথ, কুয়েলো, কালীদাস, মানিক, বিভূতিভূষণ।
একেকটি শব্দ তার কাছে একেকটি জীবন।
যে জীবন প্রতিজ্ঞা করে তার কাছে নতুন সূচনার।
যে জীবন পূরণ করে তার গহীনের খাঁ খাঁ শূন্যস্থান। অবিরত।
যে জীবন হাতছানি দেয় তাকে খোলস বদলাবার। মুখোশ খোলার।
পিছুটান। অথবা কৃত্রিমতার ছোবল।

তার ধারণা ছিল সে ফুরিয়ে গেছে।
এ পৃথিবীকে দেবার মতো তার কিছু নেই। অর্ধসত্য মানুষের মতো।
পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা সে উল্টিয়ে চলে নির্মম ক্ষিপ্রতায়।
বুকের মাঝে তার উদ্দাম হাহাকার। কয়েক লক্ষ ঝিঁঝিঁপোকার ডাক।
খোলা জানালায় খেলা করে তার গাছের ছায়া।
জ্বলজ্বলে চোখে দাঁড়িয়ে থাকে তিনটি কুকুর।
অসহায় দীর্ঘশ্বাসের সাথে তার ঝরে পড়ে বিন্দু বিন্দু মায়া।

বহুদিন পর সে কলম তুলে নেয় হাতে।
তৃষ্ণার্ত আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত হয় প্রতিটি দেয়াল।
চিৎকার করে ওঠে তিনটি কুকুর। আর চিৎকার করে ওঠে অশান্ত কবি।

স্পর্শ এর ছবি

ও মাই গড! ও মাই গড!!
তুমি মিয়া একটা পশুকবি। এই কবিতাটা একেবারে আমাকে স্পর্শ করে গেল যেন! কেমনে লিখে ফেললা!! হায় কমেন্টে তারা দেওয়ার সুযোগ নেই। সিরিয়াসলী তুমি কবিতা পোস্টাও না কেন??

তোমাকে কী দিতে পারি এই নিঃস্ব আমি? দাঁড়াও তবে দেই একটা কবিতাই। একটু রোমান্টিক
ঘরনার হাসি

সেকেলে সূর্যটা

সেকেলে সূর্যটা আমাদের খুব পোড়ায়
যদিও দহনটা খুব জরুরী।
এই দহনেই আমরা বাঁচি, হাসি, কাঁদি, আর স্বপ্ন দেখি।
কিন্তু রোদ্দুর আমরা ভালোবাসি না।
আমরা ভালোবাসি চাঁদ
আর চন্দ্রাবতী জোছনা।
সূর্যটাও চাঁদকে ভালোবাসে বোধ হয়
মহাকাশে চলে তাদের অবিরাম ছোঁয়াছুয়ি খেলা।

মাঝে মাঝে চাঁদটা গ্রহণ করে সূর্য কে
অথবা সূর্যটাই গ্রহণ করে চাঁদকে।

সে সঙ্গমে, আমরা পুলকিত হই।

-----*********------------

কিন্তু তুমি হালায় লাস্ট সিন এমুন কইরা লিখসো! অন্য অর্থ হইতাসে আমার মনে। হয় তোমার মনে ময়লা, না হয় শুধু আমার মনেই। ইয়ে, মানে...

যে যাই বলুক । কমেন্ট উইন্ডো তে কবিতা লেখার মজা আছে। দেঁতো হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। ধুর মিয়া, আমি তো স্রেফ মজা করে লিখলাম। তোমার দেখাদেখি। হাসি
'পশুকবি' তো উপাধি হওয়া উচিত তোমার। ক্যাম্নে যে ঘটাঘট লিখে ফেলো এইসব!

লাস্টের সীনে তাইলে তোমার মনেই কু। আমি কোনো খারাপ কিছু ভাবিনি। তুমি বলার পর আরেকবার দেখলাম। আর খুব করে হাসলাম। মিয়া, তুমি খুব খ্রাপ দেঁতো হাসি

আর হ্যাঁ, কমেন্ট উইন্ডোতে কবিতা লেখার মজা আছে। আমারে এতো এতো কোবতে দিলা, এই গরীব আমি আর কীই বা দেই তোমাকে, এই নাও আরেকটা ফালতু কোবতেই দেই বরং খাইছে

শীতার্ত এক নিদ্রাহীনের গল্প

গেল শীতেও এতটা কাঁপুনি ছিল না
পুরনো ট্রাঙ্কের তলায় পড়ে হলদেটে বর্ণ ধারণ করছিল
সুফিয়ার লেপটা।
শুধু শেষ রাত্তিরে যখন বৃদ্ধ হাড়ে জানান দিতো নগ্ন শীত,
কোলের শিশুটাকে বুকে আগলে ধরে ওম নিতো সে।

এবারের শীত তীব্র।
প্রতি রাতেই জীর্ণ বেড়ার ফাঁকে ফাঁকে উত্তুরে হাওয়া গুঁজে দেয় তার নীলচে দাঁত।
উদাসীন অন্ধকার ঘুরে বেড়ায় অশুভ প্রেতাত্মার মতো।
মাটির কুপিবাতি গড়াগড়ি খায় চৌকাঠের শিয়রে।
ছিন্নতালি শাড়ির ভাঁজে হামাগুড়ি দিয়ে ঢোকে শীত আর ছায়া।

সুফিয়া তবুও নিশ্চল।
বর্ষার জল তার কোলকে করেছে খালি। বদলে ভরে দিয়েছে একরাশ শূন্যতায়।
তার খোলা চোখে হাহাকার জানান দেয় শুধু দুর্নিবার পিপাসায়।

পুরনো ট্রাঙ্কের তলায় শুয়ে লেপটা কেবল হলদেটেই হয়।
আর তাতে মিশে যায় পুরনো গন্ধ।
বছর ঘোরে।
শীতের প্রকোপ বাড়ে।
শুধু সুফিয়াকে স্পর্শ করে না কোনো শীতের দংশন।
তার মনে মেশে না কোনো বর্ষারাতের ঘ্রাণ।
সে জেগে থাকে।
তার কানে প্রতিধ্বনিত হয় শিশুর আর্তনাদ।
পলক ফেলে না সে। অপেক্ষায় জেগে থাকে তার খোলা দু'চোখ।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

আজ ইফতার করেছো কী দিয়ে, মিয়া? এইসব ক্যাম্নে বের হয়?

নমঃ নমঃ গুরু গুরু

----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

স্পর্শ এর ছবি

হায় অতন্দ্র প্রহরী! এই "শীতার্ত এক নিদ্রাহীনের গল্প" এর কাছে দাঁড়াতে পারে এমন কোনো কবিতাই যে আমার পক্ষে লেখা সম্ভব নয়। তবে এই কবিতা যে দ্রোহের জন্মদিলো আজ। এসো তার উদযাপন করি। এবারে লেখা দ্রোহের কবিতায়-

তবে তাই হোক

হে অতন্দ্র কবি, হে প্রহরী কবি
তবে তাই হোক, তবে তাই হোক
সুখপাপীদের নিদ্রা শেখাই চলো।

এসো ওদের ডুবতে শেখাই,
মরতে শেখাই, পুড়তে শেখাই
ভীমবিক্রম লড়তে শেখাই।

এসো ওদের হাঁটতে শেখাই
কাঁদতে শেখাই, বাঁচতে শেখাই
রক্তনদী গড়তে শেখাই।

হাজার দিনের বুভুক্ষু ভুখ
সুখপাপীরা সইতে শিখুক
সইতে শিখুক নীল বেদনা
সইতে শিখুক আজন্ম পাপ।

এবার ওদের বন্ধ চোখে
লাল সিসা দেই,
নষ্ট হৃদয় উপড়ে ছিড়ে
আগুন জ্বালাই, আগুন জ্বালাই।

সেই আগুনে আকাশ পোড়াই,
পাহাড় পোড়াই, বাতাস পোড়াই
স্বর্গ নরক পাতাল পোড়াই।

পুড়েই সবাই বিশুদ্ধ হোক,
শাসন শোষণ নিরুদ্ধ হোক।

তুচ্ছ হেলায় অস্ত বেলায় আকাশ রচি।
এবার চলো আবার জাগি।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

জি.এম.তানিম এর ছবি

অপ্র ও স্প, বিপ্লবী কবিতার জন্যে আপনাদের (বিপ্লব)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

স্পর্শ এর ছবি

বললাম একটা কবিতা দে! রেগে টং
লিখবো বলে বসে পড়লেই তো হয়। আমার মতো চিন্তা ভাবনা না করে যা আসে লিখে ফেল। সেইটাই প্রকৃষ্ট কবিতা। অবশ্য তুই প্রতিষ্ঠিত কবি। আমার ব-কবি তো আর না। তোর সময়-যত্ন এসব লাগবে। হলে তাই হোক। তবুও দে। হাসি


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

জি.এম.তানিম এর ছবি

না হয় তোদের মতো ভাল লিখতে পারি না, তাই বলে এইভাবে অপমান করবি? খুবই দুঃখ পেলাম। মন খারাপ দুঃখ পেয়ে কী আর করি, একটা কিছু লেখার চেষ্টাও করলাম।

ট্রাফিক লাইট

সব গাড়িকে থামতে হয়-
যানজটে অথবা ট্রাফিক লাইটে।
দিন কিংবা রাতে
রাজপথ হয়ে ওঠে ফুলের বাগান।
চারিদিক থেকে ফুলের মিছিল
ধেয়ে আসে আমাদের দিকে।
তুলে নেই খুশি মতো
নিয়ে আসি ঘরে-
প্রিয়জন তরে। কেবল বসন্ত নয়,
সারাটা বছর জুড়ে এই ফুলগুলো
আমাদের প্রেম, ভালোবাসা, দুঃখ, অভিমানে
তাদের নিজেদের দিয়েছে বিলিয়ে।
আমরা হয়তো তাই মাঝে মাঝে
সেই সব বর্ণিল ফুলগুলোর কথা মনে করি,
তাদের রূপ রস গন্ধ অনুভব করি।
কিন্তু অনুভব করি না...
বোঝার চেষ্টা করি না...
কিংবা বুঝেও না বোঝার ভান করি...
ফুলের মতো সেইসব শিশুদের কথা-
যারা সারা বছর আমাদের দিয়ে যায়
ফুলের যোগান।
সিগন্যালে সবুজ আলো এলে
চলে যায় একে একে সব গাড়ি;
সূর্যের আলো কিংবা সোডিয়ামের হলুদে
পড়ে থাকে অবিক্রিত ফুল
আর জীর্ণ ফুলশিশুরা-
কেবল সব দেখে মাথা নিচু করে থাকে
একাকী ট্রাফিক লাইট।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

কবিতা ভালো লাগলো। কিন্তু তোমাদের কী হলো? সবাই এতো দুঃখের ছড়াছড়ি লাগিয়ে দিলে কেন?

----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@ জিএমটি

কোবতে ভালু হইসে। তবে আমি ভিরুর সাথে একমত। আপনি তো এলিট গোছের মানুষ। আমাদের মতো মাথায় যা আসে, আবজাব তো আপনি লেখেন না। খাইছে

স্পর্শ এর ছবি

এইতো কবিতাটা দারুণ লাগলো!

"ভালো ছাড়া লিখবই না" এই ধরণের চিন্তা কিন্তু সৃষ্টিশীলতার প্রথম প্রতিবন্ধক। হাসি
সেজন্যই তোকে দিয়ে লেখাতে এইসব উস্কানিমূলক কথা বলি।
কিছু মনে নিস না। আজকাল এক বিপদে পড়েছি। কখন যে কে কোনটা মনে নিয়ে নেয় বুঝিনা। মন খারাপ


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

জি.এম.তানিম এর ছবি

অপ্র ও স্প, বিপ্লবী কবিতার জন্যে (বিপ্লব)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

জি.এম.তানিম এর ছবি

বেশ কিছু পয়েন্ট চোখে পড়েছে...

কুকুর নিয়ে কবিতা লেখায় প্রহরীকে পশুকবি বলার আমি নিন্দা জানাই... চোখ টিপি

তোমাকে কী দিতে পারি এই নিঃস্ব আমি? দাঁড়াও তবে দেই একটা কবিতাই। একটু রোমান্টিক
ঘরনার হাসি

ঘটনা পুরাই সন্দেহজনক...এর সাথে মিলে যাচ্ছে একটু আগে দেওয়া একটা মন্তব্য...

মেয়েরা ফাউল।

এছাড়া...

মাঝে মাঝে চাঁদটা গ্রহণ করে সূর্য কে
অথবা সূর্যটাই গ্রহণ করে চাঁদকে।

যাক আমি আর কিছু বলতে চাই না... চোখ টিপি বুললে তো বুলবেন বুলছেন যে... তবে এমন নারীবিদ্বেষ নিয়েও স্পর্শ গন্ধ শুঁকে বেড়াচ্ছে কেন সেটা পরিস্কার না... ইয়ে, মানে...

(অপ্র ও স্প, দিলপে মাত লে ইয়ার!)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

শুধু কুকুরই চোখে পড়ল? এই যে কবিকে নিয়ে এত এত লাইন লিখলাম, সেগুলা চোখে পড়ল না? আপনিই তো দেখি বিশিষ্ট পশুপ্রেমী দেঁতো হাসি

আপনার মনে তো মিয়া বিলিয়ন বছরের ময়লা। জমজম কূপের পানি দিয়া গোসল করাইলেও পাকপবিত্র হবেন না খাইছে

দিক্কার! চোখ টিপি

জি.এম.তানিম এর ছবি

হাহ! আপনারা করতে পারবেন আর আমি বললেই দোষ... সত্যিই সেলুকাস... মন খারাপ
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

স্পর্শ এর ছবি

ভাই এইসব কী বলেন? কিছুই তো বুঝিনা। গদ্য বড় কঠিন লাগে আজকাল। পদ্যে বলেন।
এই ধর তোর জন্য তোর নিজের লালঘর নিয়ে কবিতা। গূড় অর্থ আছে কইলাম এইটার। দেঁতো হাসি

লাল ঘর

লাল ঘরে মাঝে মাঝে উঁকি দেয় নীল রোদ্দুর
নীলচে সমুদ্দুর।

তবু কেন যেন
লাল ঘরের মানুষটা রোদের ভাষা বোঝে না
সমুদ্রের মানে খোঁজে না।
ঘড়ঘড়ে কৃত্রিম হীমযন্ত্রে শ্বাস টানতে টানতে সে চোখ রাখে
কাঁচ ঘেরা জানালার শার্সি তে।

অপেক্ষায়-
ছলনাময়ী নীল জোছনার।
যার নাম, চন্দ্রিকা।

লালঘরের মানুষটা ভুলে যায়
সেই নীল রোদ্দুরেই ক্ষীণ অংশ
ঐ দাগিদুগি চন্দ্রবুড়িকে ছুঁয়ে এসে সাজে
নীল চন্দ্রিকা।

এভাবেই সে ঘরে জমাট বাঁধে অর্থহীন সময়

আর সে সময়ে অর্থ আরপের জন্যই বুঝি
লাল ঘরে বার বার উঁকি দেয় নীল রোদ্দুর
নীলচে সমুদ্দুর।


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

রায়হান আবীর এর ছবি

ছেলে ছেলে কবিতা চালাচালি হচ্ছে। ঘোর কলিকাল!! দেঁতো হাসি


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

জি.এম.তানিম এর ছবি

ইয়ে, মানে...
লালঘরের ব্যাপারটা বোঝা গেলেও নীল রোদ, জোছনার ঘটনাটা পরিস্কার না। আমার স্মৃতি যদি প্রতারণা না করে তবে নীল সম্পর্কিত ঘটনাগুলো তো তোর সাথেই ঘটেছে বলে জানি... চোখ টিপি (কবিতার অর্থ বের করার কোন ইচ্ছেই ছিল না... খালি গুড় অর্থ আছে বলে বের করতে চাইছি... কারণ আমি জানি যত গুড় তত মিস্টি...)

আমার রঙ তো এখন কেবল লাল আর সাদা...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

মিস্টি? ... ইয়ে, মানে...

[ইয়ে মানে! নীলের কাহিনিটা কী? ভিরুকে পঁচানোর সংবরণ বড় কঠিন! খাইছে ]

---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

তুমি দুষ্টু লোক হলেও কবিতাগুলো ভালু লিখছো! মাজেজা বুঝিনাই...তবে ভালু লাগলো! খাইছে [তুমি নিশ্ছয়ই খুশি...তোমার কবিতা বুঝিনাই...খুশি হও! :P]

---------------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

> কুকুর পয়েন্টে... চলুক

> ব্যাপারটা সন্দেহজনকতো বটেই! ওরিয়েন্টেশনের একী হাল?

> ইয়ে মানে জিএমটি... নারীবিদ্বেষ নাহয় বুঝলাম... তুমি কি অন্য কিছু বুঝোনা? ইয়ে, মানে...

----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সর্বোনাশ অপ্র! কবিতা পড়ে আমি ছিরিকাস তব্দা খাইসি! তবেরে বদ লোক... আর যদি কোনওদিন ভাব নিয়েছো যে তুমি পঁচা লেখক, তাইলে কসম খোদার, তোমার খবর আছে!

কবিতা চাই আরও আরও আরও! চলুক

-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এইসব আবজাব বলে আমাকে লজ্জায় ফেলার তেবরো নেন্দা জানাই।
'পচা লেখক' হওয়ার জন্য আবার ভাব নিতে হয় নাকি? চোখ টিপি

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

সর্বোনাশ অপ্র! কবিতা পড়ে আমি ছিরিকাস তব্দা খাইসি! তবেরে বদ লোক... আর যদি কোনওদিন ভাব নিয়েছো যে তুমি পঁচা লেখক, তাইলে কসম খোদার, তোমার খবর আছে!

কবিতা চাই আরও আরও আরও! চলুক

-----------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

এখানে তো পুরা কবিয়ালের ছড়াছড়ি! চলুক

জি.এম.তানিম এর ছবি

তোমার কবিতা আমার ভীষণ প্রিয়। আমার কবিতা লেখার যে ব্যর্থ প্রয়াস তা এমন কিছু লেখা পড়ার পরে ছেড়ে দিতে ইচ্ছে করে। হাসি
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

কাজী আফসিন শিরাজী এর ছবি

কী যে বলেন তানিম ভাই! আমিতো আপনার কবিতার আদি ভক্ত।
____________________
যদিওবা মানুষ আমি কেন পাখির মত বাঁচি...

তীরন্দাজ এর ছবি

বাহ! দারুন মনোগ্রাহী কবিতা চলাচল! সুন্দরম! আপনারা প্রত্যেকেই সত্যিকারের কবি!

**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অনিকেত এর ছবি

একসাথে যেন অযুত নিযুত কবিতার বিষ্ফোরণ ঘটল----
দারুণ, দারুণ-----

মনটাই ভাল করে দিলে হে কবির দল----

মাভৈঃ

মামুন হক এর ছবি

প্রিয় পোস্টে অ্যাড করলাম।
অসাধারণ সব কবিতা উঠে এসেছে মানুষরূপী সব কবিদের হাত দিয়ে!!

অতিথি লেখক এর ছবি

ওয়াও!!! এযে ভরপুর কবিতাঙ্গণ। সবগুলো কবিতাই ভীষণ ভাল লাগলো।

নৈশী।

অতিথি লেখক এর ছবি

আলোচনায় অনেক 'কাব্য' এর প্রকাশ ঘটল।
Joss...!
অসংখ্য ধন্যবাদ সবাইকে।

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন

তানিম এহসান এর ছবি

আরে! এতো দেখি কবিতার লড়াই, বন্ধ হয়ে গেলো কেন!! সবাইকি টায়াড হযে গেছিলেন নাকিরে ভাই!

কবিতাগুলো পড়ে অনাবিল একটা আনন্দ পেলাম, বহুদিন পর একই জায়গায়, একই পত্রপাঠে এতগুলো কবিতা, বেসামাল একটা তৃপ্তিতে মন ভরে উঠলো। আপনার জলমহল পড়েই আপনার পুরনো লিখাগুলো দেখছিলাম, এর মাঝে এই লিখাটিতে অসাধারন ব্যানজনা ঘটেছে বহুকিছুর। সাধুবাদ সবাইকে!!

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।