অধিবিদ্যার চেয়ে রহস্যময় বিজ্ঞান নিজেই

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বুধ, ১২/০৪/২০০৬ - ৪:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এ পর্যায়ে এসে মনে হচ্ছে সম্ভব হবে না বিজ্ঞানীভিত্তিক আলোচনা, বিজ্ঞানীর সংখ্যা এত বেশী এবং প্রত্যেকেরই ক্ষুদ্্র ক্ষুদ্্র অবদান আছে বিজ্ঞানের এই পর্যায়ে আসার ক্ষেত্রে, তাই বোধ হয় বিষয় ভিত্তিক আলোচনা শুরু করার সময় হয়েছে, নিউটন, গ্যালিলিও, কোপার্নিকাস, কেপলার, টাইকোব্রাহে এবং নিউটনের সমসাময়িক আরও একজন যার অবদান উল্লেখ না করলেই নয় সেটা রবার্ট হুক, তিনি একাধারে উদ্ভাবক এবং তত্ত্বপ্রণেতা, তার সাথে নিউটনের অজ্ঞাতকারনে দন্দ্ব তৈরি হয়, দন্দ্বের কারনটা সম্ভবত রয়্যাল একাডেমীতে হাজিরা দেওয়া সংক্রান্ত। যাই হোক, রবার্ট হুক নিউটনেরআগেই মহাকর্ষ বল যে দূরত্বের ব্যাস্তানুপাতিক এটা অনুমান করেন এবং এ সংক্রান্ত একটা ভাবনা নিউটনকে চিঠিতে জানান, তার পর তিনি আলোর তরঙ্গ তত্ত্বপ্রদান করেন, নিউটন এ সময় প্রদান করেন আলোর কণা তত্ত্ব, এবং একটা পরীক্ষা করা হয় কোন তত্ত্ব সঠিক এটা নিরূপনকল্পে, সেটাতে প্রমানিত হয় আলোর তরঙ্গ ধর্ম বিদ্যমান, তবে নিউটন এর পরও অস্ব ীকার করেন তরঙ্গ তত্ত্ব, বিংহস শতাব্দ ীর শুরুতে আবার আলোর কণাতত্ত্বের সপক্ষে প্রমান পাওয়া যায়, এখন কার মত আলো যুগপত কনাধর্ম এবং তরঙ্গ ধর্ম ধারন করে। এইটুকুই থাক আপাতত, এর পর বিষয় ভিত্তিক অগ্রসরতা লেখা হবে।
আমি ভৌত বিজ্ঞানের ধারাবাহিক বিবর্তন লিখার চেষ্টা করবো, সব সময় সঠিক হবে এমন কোনো কথা নেই। আমি শুধু শুরু করছি বাংলা অনুবাদে এসব লেখার কাজ, অনেকেই করছেন হয়তো, তবে আমার নিজস্ব প্রাপ্তি হবে এই কাজে যে আমি একটা বিষয় বুঝতে পারবো কিভাবে তত্ত্বগুলো অধিবিদ্যা বা হাইপোথেটিক্যাল গ্রাউন্ড থেকে গায়ের আবর্জনা ঝেড়ে ফেলে নিপাট তত্ত্ব হয়ে উঠেছে। এর সাথে হয়তো এসবের প্রভাব মানুষের চেতনায় যুক্ত হতে পারে, তবে ওটা আমার নিজস্ব অভিমত।
যুক্ত হতে পারে বিভিন্ন বিজ্ঞানী ঠিক কি রকম অবদান রেখেছেন এই বিবর্তনে, তাদের নিয়ে যদি কোনো আকর্ষনীয় গল্প থাকে তাও জানানোর প্রয়াস থাকবে, নিজেই নিজেকে আনন্দ দেওয়া আর কি, আমি যেসব বিষয় ছুয়ে যাবো
বলবিদ্যা- তড়িৎচুম্বকিয় তত্ত্ব, আলোক বিজ্ঞান, কোয়ান্টাম বলবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা, মহাকাশবিদ্যা, এবং এদের মিশ্রনে তৈরি হওয়া কিছু সংকর তত্ত্ব, এই তত্ত্বগুলো প্রায়োগিক জীবনে যে ভুমিকা রেখেছে তার বদৌলতে আমরা যন্ত্রযুগে প্রবেশ করেছি। এবং এসব বিষয়ের পরিধী এত ব্যাপক এখন এসব বিষয়ের ক্ষুদ্্র একটা অংশ জানার জন্য একজন মানুষের সমস্ত মেধা ক্ষয় হয়ে যায়।
তাই আমি যে অনেক গুঢ় তত্ত্বকথা বলে ফেলবো এমনটা আশংকা করা ঠিক হবে না, আমি শুদঃু সূচনা বলতে পারি, কিন্তু বিষয়গুলোর গভীরে যা আছে তা আমি জানাতে পারবো না, এমন কি এই মুহূর্তে লেখার সময়ও হয়তো নতউন কোনো ভাবনার প্রভাবে আমাদের জানার পরিধি বদলে যেতে পারে, বিজ্ঞান এখন এমন সব বিষয় নিয়ে চিন্তিত যার কোনো প্রায়োগিক দিক এখনও তৈরি হয় নি।
1950এর দিকে একটা তত্ত্ব দেওয়া হয়, কোয়ান্টাম ইলেকট্রোডিনামিক্স, জনক তিন জন, ফাইনম্যান, শ্রুইংগার, টোমানাগা। এটার সত্যতা পরিমাপ করা হয়, এখন সত্যতা মাপতে গিয়ে বিজ্ঞান কতদুর অগ্রসর হয়েছে এটা বলা যাক, এই তত্ত্বের সত্যতা প্রমানে যে পরীক্ষাগুলো করা হয়েছে তার নির্ভুলতার মান এমন-
যদি চাঁদ থেকে কারো অবস্থান নির্ণয় করা হয়, তবে তার অবস্থান মাপতে আমরা উপরের ঠোঁট ব্যাবহার করেছি না নীচের ঠোঁট ব্যাবহার করেছি এটা পর্যন্ত বলে দিতে পারবো। এখন আরও 10 থেকে 100 গুন দক্ষতা বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে, যার অর্থ আমরা এর পর যদি মাপার চেষ্টা করি তবে চাঁদ থেকে মাথার চুলের বেধ নির্নয় করার মতো নির্ভুলতা আশা করছি।
এমন নির্ভুল তত্ত্ব তত্ত্ব ীয় ভাবে রসায়ন এবং জীববিজ্ঞানের সবটুকু ব্যাখ্যা করতে পারে, তবে সামগ্রিক ভাবে গাণিতিক জটিলতার কারনে আমরা একটা মডেল ব্যাবহার করবো সবগুলো ক্ষেত্রে, আমাদের বুঝতে হবে বিষয় টা বিজ্ঞান এখন কোথায় পৌছেছে,
একটা পরমানু বা অনু 1 সেন্টিমিটারের 1 কোটি ভাগের 1 ভাগ হয়তো। এক ফোটা পানিতে প্রায় 1 000কোটি কোটি কোটি অনু থাকে, যদি আমরা কোয়ান্টাম তড়িৎ বলবিদ্যা ব্যাবহার করতে চাই তবে আমাদের প্রতিটা অনুর জন্য 2টা করে সমীকরনের সমাধান করতে হবে, এবং এর পর এদের পারস্পরিক প্রতিক্রিয়া জানার জন্য এর চেয়ে কয়েক হাজার গুন বেশী সমীকরনের সমাধান করতে হবে, তত্ত্ব ীয় ভাবে এটা কল্পনা করা সহজ কিন্তু এটার সমাধান সময়সাপেক্ষ বিষয়। আমরা পানিকে গড়িয়ে যেতে দেখি, সেই পানির গতিপথ কেমন হবে এটাও আমরা নির্নয় করতে পারি তত্ত্ব ীয় ভাবে তবে কেউ কি এটা জানার জন্য এতগুলো সমীকরণের সমাধান করতে আগ্রহী?
আমরা অনেক রহস্যই যদি সময় দেই তাহলে সমাধান করতে পারি,
থিওরি ওফ প্রবাবিলিটি বলে একটা বিষয় আছে, সেটার বদৌলতে অনেকগুলো আপাত অসম্ভব কিন্তু বাস্তব সমস্যার কল্পনা এবং তার সমাধান সম্ভব হয়েছে।
এমন একটা তত্ত্ব সমান্তরাল মহাবিশ্বের, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহীনিতে এই বিষয়ের ব্যাবহার হচ্ছে, বলা হচ্ছে অসীম পরিমান সমান্তরাল মহাবিশ্ব থাকতে পারে প্রতিটার দশা আলাদা হবে, এটা যে কাউকে দার্শনিক বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে, হকিং এটা মেনে নিচ্ছেন না, কিংবা পক্ষান্তরে মেনে নিয়েও এটা বলছেন যে আমরা এই মহাবিশ্বে আছি এটা তৈরি হয়েছে এভাবেই যে এখানে মানুষএর উদ্ভব সম্ভব হয়েছে, হয়তো অন্য কোনো সমান্তরাল মহাবিশ্বে মানুষ সভ্যতার এই পর্যায় পর্যন্ত আসতে পারে নি, হয়তো অন্য কোনো এক মহাবিশ্বে মানুষ নামক প্রানীটা তৈরি হওয়ার আগেই বিবর্ত নবন্ধ হয়ে গেছে, অসংখ্য কল্পনা করা সম্ভব, কিন্তু এই বিশ্ব দাড়িয়ে আমরা শুধু কল্পনা করতে পারি এটার দশা আমরা নিয়ন্ত্রন করতে অক্ষম। এবং তিনি এবং তার সমমনা বিজ্ঞানীরা এটাকে এনথ্রোপলজিক্যাল থিওরি বলছেন, এবং বাকী সব বিজ্ঞানী এটা মেনে নিতে চাইছেন না, এমন কি হকিং নিজেও এটাতে অসস্তি বোধ করেন।
এমনই এক সম্ভবনা হচ্ছে। কোনো এক দিন খাঁ খাঁ গরমে দেখা গেলো পুকুরের পানি জমে বরফ হয়ে যচ্ছে, অধিভৌতিক বিষয়, কিন্তু সম্পুর্ন বাস্তব একটা সম্ভবনা, এটা ঘটার সম্ভবনা এত এত কম যে আমরা সাধারনত এই সম্ভবনাকে শুন্য ধরে নিয়েই জীবন কাটাতে পারি, কারন পৃথিবীতে যা ঘটে তা খুবই সাম্ভাব্য এখানে পুকুরের পানি বাষ্প হয়ে উবে যেতে পারে এটাই সাম্ভাব্য ফলাফল কিন্তু বিপরীত ঘটনা ঘটার সম্ভবনা থাকলেও সেটা ঘটতে না দেখাটাই নিশ্চয়তা দেয় না যে ভিন্ন কিছু ঘটবে না।হয়তো ঘটতে পারে, তখনও এই অধিভৌতিক ঘটনার একটা বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থাকবে,
মানুষ এই যে এত দুর বিজ্ঞানের তত্ত্ব দিয়ে পরিমাপ করে ফেললো কোথাও ইশ্বরের অস্তিত্বের প্রয়োজন হয় নি,
ল্যাপ্লাস বলে একজন বিজ্ঞানী ছিলেন তার একটা কথা ছিলো খুব মজার-

[ইংলিশ]"ঐড় িপধহ ঃযরং নব! ণড়ঁ সধফব ঃযব ংুংঃবস ড়ভ ঃযব ড়িৎষফ, ুড়ঁ বীঢ়ষধরহ ঃযব ষধংি ড়ভ ধষষ পৎবধঃরড়হ, নঁঃ রহ ধষষ ুড়ঁৎ নড়ড়শ ুড়ঁ ংঢ়বধশ হড়ঃ ড়হপব ড়ভ ঃযব বীরংঃবহপব ড়ভ এড়ফ!"
ঞযরং য়ঁবংঃরড়হ ধিং ধংশবফ নু ঘবঢ়ড়ষবড়হ 1
অহফ রহ ৎবঢ়ষু খধঢ়ষধপব ংধরফ
"[ঘড়, ঝরৎব,] ও যধফ হড় হববফ ড়ভ ঃযধঃ যুঢ়ড়ঃযবংরং."
খধমৎধহমব, ধষংড় ঢ়ৎবংবহঃ, ঃযবহ পড়সসবহঃবফ: "অয, নঁঃ ঃযধঃ রং ংঁপয ধ মড়ড়ফ যুঢ়ড়ঃযবংরং. ওঃ বীঢ়ষধরহং ংড় সধহু ঃযরহমং!"
ঞড় যিরপয খধঢ়ষধপব ৎবঢ়ষরবফ: "ওহফববফ, ঝরৎব, গড়হংরবঁৎ খধমৎধহমব যধং, রিঃয যরং ঁংঁধষ ংধমধপরঃু, ঢ়ঁঃ যরং ভরহমবৎ ড়হ ঃযব ঢ়ৎবপরংব ফরভভরপঁষঃু রিঃয ঃযব যুঢ়ড়ঃযবংরং: রঃ বীঢ়ষধরহং বাবৎুঃযরহম, নঁঃ ঢ়ৎবফরপঃং হড়ঃযরহম."
[/ইংলিশ]

বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য কিন্তু ভবিষ্যত বানী করতে পারা, ঘটনার ব্যাখ্যা করা বিজ্ঞানের একটা দিক হতে পারে তবে বিজ্ঞান পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া মেনে চলে, তাই প্রতিটা ঘটনার ভবিষ্যত ব্যাখ্যা করার ক্ষমতা থাকতে হয় বিজ্ঞানের।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।