লেবানন ইসু্য - নির্বোধমিলনমেলা

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৮/২০০৬ - ২:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

লেবাননের বিষয় নিয়ে সবাই বেশ উচ্চকিত, সবাই এি সুযোগে নিজের বিবেক ধুয়ে নিচ্ছে লেবাননের শিশুদের রক্ত দিয়ে, তাদের গলায় মানবিকতার সুর উঠে আসছে, দেখতে ভালোই লাগে, বাংলাদেশের পেপার পড়লে মনে হয় ইসরাইলের সৈন্যদের অন্য কোনো কাজ নেই তারা প্রতিদিন লেবাননের নিরিহ মানুষদের না মারলে ঠিকমতো আহারগ্রহন করতে পারে না, আবার এখানের সংবাদ দেখলে মনে হয় হেজবুল্লাহর মতো পাজী সংগঠন আর নেই।
নির্বোধের সংখ্যা আশংকাজনক হারে বেড়ে গেছে পৃথিবীতে, বাংলাদেশের নির্বোধ মানুষ আর এখানের নির্বোধ মানুষের ভেতরে তফাত খুব কম। বরং একটা সার্বজনীন ঐক্য আর প্রতিযোগিতা বিদ্যমান।
ইসরাইলের সাথে হেজবুল্লাহর সংঘাতের ভেতরের সূচনা কোথায়? হেজবুল্লাহ ইসরাইলের সীমান্ত অতিক্রম করে তাদের 8 জন সৈন্যকে হত্যা করলো আর 2 জনকে পণ হিসেবে ধরে এনে দাবি করলো তাদের সহমর্মি কিছু সাথীকে মুক্তি দিতে হবে, এর আগেও এই প্রক্রিয়ায় তারা সফল ছিলো, এবার ইসরাইল বরশী গিলে নাই, তারা নির্শত মুক্তি চেয়েছিলো, পরে আলোচনায় কাজ না হওয়ায় তারা 12 ঘন্টার নোটিশে যুদ্ধ শুরু করলো। হেজবুল্লাহর এই বোকামি থেকে লেবাননের সরকার নিজেকে নিরত রেখেছে, তারা হেজবুল্লাহর অপরাধের দায়ভার নিতে ইচ্ছুক নয়, তারা আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছে, সেটা হওয়ার আশু কোনো সম্ভবনা নেই, নেতৃত=ব ঠিক হয়েছে, ফ্রান্স মুক্ত বিবেকবান পৃথিবীর প্রতিনিধি হয়ে সেখানে যাবে, কিন্তু মূল ইসু্যগুলোর কোনো সুরাহা হয় নাই, এবং এটা কবে হবে এটারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
এর মাঝে অমানবিকতা চলতেই থাকবে, ইসরাইল আরও ব্যাপক আক্রমনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আক্রমনের জায়গা বাড়াবে ভাবছে, হেজবুল্লাহ প্রধানও তর্জন গর্জন করছে, আজকেও হেজবুল্লাহ 15 জন ইসরাইলি সৈন্য হত্যা করেছে লেবাননে, ইসরাইলও 40 জন হেজবুল্লাহ গেরিলাকে হত্যা করেছে।
গেরিলা যুদ্ধের সুবিধা হলো যোদ্ধা অনেক সময়ই নিরাপদে পার পেয়ে যেতে পারে, কিন্তু যেহেতু সাধারনের মধ্যে মিশে এই যুদ্ধ চলে তাই আগ্রাসনের হাতে নিরিহ মানুষের ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা বাড়ে গুনিতক হারে, তাই লেবাননে নিরিহ মানুষ মৃতু্যর হার আরও বাড়বে। হয়তো হেজবুল্লাহর ক্ষতি হবে না তেমন, তাদের হার্ড লাইনার সমর্থকেরা আরও উগ্র হবে, কিন্তু হেজবুল্লাহ লেবাননের রাজনৈতিক শক্তি এবং এদের সমর্থকের ভেতরে যেসব নিরিহ মানুষজন ছিলো সংঘাত যদি অব্যাহত থাকে তাহলে টাদের ভেতরে বিভাজন আসবে, কিছু হার্ড লাইনার হলেও বাকী সবাই হেজবুল্লাহকে সমর্থন করবে না ভবিষ্যতে।
হেজবুল্লাহর গেরিলারা এবং হার্ড লাইনাররা অবশেষে নিরিহ ইসরাইলি জনগনকে বোমা মেরে হত্যা করবে, এটাও মানবিকতার লংঘন হবে।
হেজবুল্লাহ ভালোই বুদ্ধি বের করেছে, তারা প্রতিদিন দিনের প্রধান খবরের আগে একপশলা বোমাবৃষ্টি করে, খবরের কভারেজ আর হেজবুল্লাহ প্রধানের এই বিবৃতি সব মিলিয়ে আসলে শান্তির সম্ভবনা সুদুরে- হেজবুল্লাহর মানুষজন যদি বিষয়টাকে আরও সুন্দর করে সমাধানের চেষ্টা করতো তাহলে নিরিহ মানুষের উপকার হতো। তবে এ অবস্থায় আমাদের তথাকথিত বিবেকবান মানুষেরা নিজেদের বিবেকশুদ্ধির কোনো উপায় পেতো না। প্যালেস্টাইন লেবানন করে হেঁদিয়ে মরা নু্যজ্ব মুসলিম মেরুদন্ড টানটান মানবিক হয়ে উঠার এই সুবর্ন সুযোগটা পেতো না।
বাংলাদেশের পেপারের সমস্যা আছে, ওদের বানিজ্যিক চিন্তা করতে হয়, দেশের মানুষকে গেলানোর জন্য তারা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম খুঁড়ছে, তাই এই একপেশে সাংবাদিকতাও এমবেডেড জার্নালিজম।
রাজনীতিতে মানবিকতার কোনো স্থান নেই, এটা খুব হিসেবী বিষয়, রাজনীতির লক্ষ্য মানব কল্যান নয়, মানব নিয়ন্ত্রনের ভার গ্রহন-
আত্মরতি হলেও সমস্যা নেই কিন্তু সেই সম্ভোগের সুযোগটা আমার হাতেই থাকুক, অন্য কেউ সম্ভোগ করে যাবে এমন প্যাসিভ যৌন রূচি সবার নয়।
বাংলাদেশের চিরচারিত নিয়মে এই আগ্রাসনের প্রথম প্রতিবাদ করেছে বাসদ, খালেকুজ্জামান সাহেবের নতুন রাজনৈতিক লক্ষ্য সংসদিয় গনতন্ত্রের হাত ধরে সমাজতন্ত্র প্রবর্তন, তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নিয়ে কিছু বলতে পারবো এতটা শিক্ষিত হয়ে উঠি নি, তবে দান্দ্বিক বস্তুবাদের প্রায়োগিক বিষয়টা নিয়ে এক পার্টি হাজার ভাগে ভাগ হয়ে যাওয়ার ঘটনা দেখে এবং নতুন দল গঠনের সময় নেতাদের বক্তব্য দেখে মনে হয় বাংলাদেশের সমাজব্যাবস্থায় দ্্বান্দ্বিক বস্তুবাদের সফল প্রয়োগের উপরে সবাই বিশিষ্ট জ্ঞানী মানুষ, কেউ ভাবছে ইসলামী সমাজতন্ত্র ভালো কেউ ভাবছে গন আন্দোলন গড়ে তোলা ভালো, কেউ মানুষের ভেতরের সচেতনতা নিয়ে ঘাটছে, আমিও একটা আন্দোলন শুরু করতে পারতাম, প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ ও মার্ক্সবাদের প্রয়োগ নিয়ে- তবে চুল দাড়ি না পাকলে এখানে ভাত পাওয়া যাবে না,
তবে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ করেছে জামায়াত, ওদের আবার শুক্রবার ছাড়া মিছিলের জোশ আসে না, তাদের যেকোনো ইসু্যর মিছিলের জন্য দিনটা শুক্রবার হওয়া প্রয়োজন, যদি শনি বারে শুরু হয় ঘটনা এর পরও তারা প্রতিবাদ মিছিলটা করবে পরবর্তি কোনো এক শুক্রবার। তাদের ধর্মের বেচা কেনার জন্য এমন রগরগে ইসু্য আর নেই, মুসলিম ব্রাদারহুদ, বৈশ্বিক মুসলিম দউরাবস্থা নিয়ে তাদের যত মাথা ব্যাথা বিশ্বের অমুসলিম মানুষ নিয়ে তা নেই, কারন ঐ রাজনীতি তাদের মেনিফেস্টো ধারন করে না। 71এর অমানবিকতাও তাদের রাজনৈতিক মেনিফেষ্টো ধারন করতে পারে নাই, তবে বি এন পি আওয়ামী লীগ কেউই একটাবিবৃতি পর্যন্ত দেয় নাই। ভোটের সীজন শুরু হচ্ছে এখন সবাই ঝোলায় গুড় ভরতে ব্যাস্ত কেউ কোনো সুযোগ দিতে চাইছে না।
জামায়াতের রাজনীতিতে মুসলিম মানবাধিকার আছে, তারা অমুসলিমদের নিয়ে ভাববে না, তারা এসব নিয়ে একটা ফালতু শব্দও খরচ করতে নারাজ, বাঁশখালী তে পুড়িয়ে মারলেও কিছু বলবে না, আদিবাসী পল্লিতে গিয়ে গুলি করে বা পুড়িয়ে মারলেও তাদের পট্বতড় মুখ থেকে একটা আহ শব্দ উচ্চারিত হবে না, সে সব অকুলীন মানুষের বিষয় নিয়ে কথা বলে লাভ নেই,
আমাদের তথাকথিত মানবিক মানুষদেরও এসব নিয়ে মাথা ব্যাথা নেই, দেশের অমানবিকতা তাদের চোখে পড়বে না মককার হাজী হজ্ব পায় না আর আমাদের মানবিকতা এত উচ্চ স্তরে বিরজ করে যে শুধু পূর্ব মধ্যভাগে দৃষ্টি আটকে থাকে, সুদানে নাইজেরিয়ায় জর্জিয়ায় কোথাও দৃষ্টি পড়বে না। ওখানের ইসু্য তে মানবিকতা দেখালে কোনো জনপ্রিয়তা আসবে না, ওদের হাজারে লাখে মরে গেলেও কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি নেই।
বাসদও রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে মন্তব্য করবে না, ফ্রান্সের আগ্রাসন নিয়েও তার কোনো মাথা ব্যাথা নেই।
কারন বাংলাদেশের ভোটের রাজনীতিতে এইসব অমুসলিম দেশের ইসু্য কোনো পরিবর্তন আনবে না। অবশ্য যুক্তি দেওয়ার সময় তারা বড় গলায় অনেক দেশের উদাহরন টেনে আনতে পারেন, তারা শিক্ষিত বিবেচক বুঝনদার মানুষ,
তবে মানবিক মানুষের মানবিকতার মৃতু্য হয় প্রথাগত রাজনৈতিক চর্চার সাথে সাথে, যত বেশী সময় রাজনীতি সংশ্লিষ্ঠ থাকবে তত বেশী অমানবিক হয়ে উঠবে মানুষ। অবশেষে শান্তি কল্যানের শর্তের সময়ও রাজনৈতিক আনুগত্য বিবেচনায় চলে আসবে এবং একজন মানুষের মানবিকতার সফল মৃতু্য ঘটবে।
মানবিক মানুষেরা কোনো রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় পাত্তা পায় না, 10-12 জন মানুষ কোনো এক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ মানচিত্রে লাল নীল কলম দিয়ে কাটাকুটি খেলবে, এবং সেটাই সত্য বিবেচিত হবে, সাধারন মানুষের ইচ্ছা বা আগ্রহের প্রতিফলন সেখানে থাকবে এমনটা আশা করা ভূল।
সব সময় আরও অনেক কিছুবিবেচনায় আনে রাষ্ট্র সিদ্ধান্ত গ্রহনের সময়। লেবানন থেকে সব দেশ নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিয়েছে, লেবাননে অনেক বেশী আন্তর্জাতিক বিনিয়োগও নেই, কোনো রকম স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠতা না থাকলে যেকোনো মানবিক বিপর্যয় দীর্ঘস্থায়ি হয়। কেউ এইসব গননার বাইরে থাকা মানুষ নিয়ে কথা বলতে চায় না। ইরাকের যুদ্ধ নিয়ে তাও অনেক কথা ব্যায় হয়েছে যার অধিকাংশই মূলত আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে মোড়লের ভূমিকাটা কারা বা কাদের হাতে যাওয়া ুচিত এই বিষয়ে বিভ্রম থেকে। আমেরিকার দাদাগিরি কেউ মানছে না, ব্লেয়ারের মনে হয়েছে আমেরিকার অন্ধ সমর্থন করলে কোনো না কোনো ভাবে লাভবান হওয়া যাবে। মোড়লের চাপরাশীরও একটা আলাদা দম্ভ থাকে। এই জায়গাটায় কোনো দ্্ব ীতিয় মেরু নেই এই সেকেন্ড পোল কোথায় হবে এবং কারা হবে এই হিসাবের ফলে ইরাকের যুদ্ধের বিরুদ্ধের গনমতের পক্ষে কিছু দেশ গিয়েছে, সাধারন মানুষের যুদ্ধ বিরোধি প্রবনতার প্রতি সম্মান বশত এ সিদ্ধান্ত এসেছে এমন নয়, রাজনীতির ইসু্য হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে এসেছে ইরাকের যুদ্ধ, স্পেনের রাজনৈতিক পালা বদল ঘটেছে।
তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মানুষেরা। তাদের কথা শোনার মানুষ নেই, যদিও আমার নিজের বিশ্বাস এইসব যুদ্ধবিরোধি র্যালী নিজের বিবেককে তুলসিপাতা দিয়ে ধুঁয়ে শীতল করার একটা ফন্দি মাত্র, কিংবা ভদ্্র বাংলায় যাকে বলে সহমর্মিতা দেখানো, ড্রইংরূমের টিভির সামনে পা নাচাতে নাচাতে বর্ন্যার্তদের জন্য নফল নামাজ পড়ার বিলাসিতা যেমন। নিজেকে মানবিক প্রমন করে পরবর্তি দিনের ভন্ডামির জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যাকে বলে।
ইরাকে যখন প্রথম যুদ্ধ হলো 91এ তখন আমার স্কুলের শেষ পর্যায়, সবাই ক্ষিপ্ত, আমেরিকা সাম্রাজ্যবাদী, হেন তেন, মুসলিমরা গলা ফাটিয়ে চেচাচ্ছে, আরে বাবা সাদ্দাম মিয়া আর ইরাক যখন কুয়েত দখল করলো তখন এই ইসলামী জোশ ছিলো কোথায় নাকি মুসলিম ভাইয়েরা অন্য একটা মুসলিম দেশ দখল করে ফেললে ওটা আগ্রাসন নয়, যেমন ভাবে রাশিয়া পোলান্ড দখল করে ফেললেও সেটা আগড়াসন নয়, বুলগেরিয়ার রাজনীতিতে কলকাঠি নাড়লেও ওটা কিছু না, সিরিয়া যেমন লেবাননের রাজনীতি কলকাঠি নাড়লে ওটা কোনো মতেই লেবাননের স্বাধিনতা আর সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত হানে না, কিন্তু ইসরাইলের সৈনিক মেরে ফেলার পর হিজবুল্লাহকে আক্রমন করতে আসাটা স্বাধিনতার উপর আক্রমন হয়ে যায়।
তবে এই উপলক্ষে এই চার্চের নির্বোধদের ফালফাফালি দেখে মজা লাগছে।তারা বাইবেলের আয়াত তুলে তুলে দেখাচ্ছে ইসরাইলের উপর এই আঘাত আসাটা আসলে বাইবেলে লিখিত আছে, এই যুদ্ধই হয়তো বাইবেল বর্নিত সেই 7বছরের যুদ্ধের সূচনা।
যার আগেপ্রাকৃতিক দুর্বিপাক বৃদ্ধি পাবে, সমুদ্্র ফুঁসে উঠবে, খরা এবং দুর্ভিক্ষ থাকবে
এবং অবশেষে ইশ্বর টার কিছু প্রিয় বান্দাদের তুলে নিজের হেফাজতে রাখবেন, এই 7 বছর ব্যাপী যুদ্ধ শেষে যীশু স্বয়ং উর্ধাকাশ থেকে নীচে নেমে আসবেন এইসব শিষ্য সমেত এবং পৃথিবীতে 1000 বছরের সুখের দিন শুরু হবে অবশেষে কেয়ামত।
ইসরাইলের উপর কোনো আগ্রাসনের জবাব দিবেন ইশ্ব র নিজেই তিনিই এইসব খ্রিস্টানবিরোধিদের দমনের জন্য জঙ্গি ফেরেশতাকূল পাঠাবেন। এবং উপর থেকে অগি্ন বর্ষিত হবে, প্লেগ আর মহামারি ছড়িয়ে পড়বে আগ্রাসনকারীদের দেশে, এইভাবেই ইশ্বেরে বিধান পূর্ন হবে-
এই কথাগুলো দেশের নোয়াখালীর বিশিষ্ঠ কোনো ইমাম বললে আমরা তাকে নির্বোধ বলতে পারতাম কিন্তু সু্যট টাই পড়া সদাহাসিমুখ এইসব মানুষের মুখ থেকে শুনতে একটু অদ্ভুত লাগে, কেউ লুঙ্গির নীচে ল্যাজ লুকিয়ে রাখে কেউ টুপি দিয়ে কান লুকিয়ে রাখে কিন্তু 2 দলই সমান মাপের গর্দভ।
তবে এই সংঘাতের বিষয়ে আমার অভিমত হচ্ছে এইভাবে হামাস আর হেজবুল্লাহ রাজনৈতিক ক্ষতি হওয়া ছাড়া কোনো লাভ নেই, যুদ্ধ যত দীর্ঘস্থায়ী হবে ততই তাদের রাজনৈতিক ক্ষতির পরিমান বাড়বে।
যদিও আমি বুঝছি না ফাঁকা শহরে বোমাবাজি করে হেজবুল্লাহর লাভ হচ্ছে কি? হাইফা শহরে রঅধিবাসীরা সবাই মোটামুটি শহর ত্যাগ করেছে সেখানে আতশবাজী উৎসব দেখার জন্য কেউ বসে নেই। আর এই সব ক্ষুদ্্র আক্রমন অনেকটা নিয়ন্ত্রিত উস্কানির মতো, ইসরাইলের জনমত যুদ্ধের পক্ষে যাবে এমন ছোটো মাপের আক্রমনে, বড় মাপের বিবশ করা আক্রমন না হলে ইসরাইলের জনগন যুদ্ধকে সমর্থন করবে- আর ইসরাইলের সামরিক শক্তি এবং গোলাবারুদের পরিমান যা তাতে ইসরাইল অনেক দিন এই মাপের আক্রমন চালিয়ে যেতে পারবে, যেই দেশের 70% মানুষ অনিয়মিত যোদ্ধা তাদের সাথে সরাসরি সংঘাতে লিপ্ত হওয়া বেশ দাম্ভিকতাপূর্ন কাজ, তবে হেজবুল্লাহ প্রধানের এই সিদ্ধান্ত গ্রহনের ফলে আমার নিজের বিবেচনা হইলো হেজবুল্লাহ প্রধানের হিসেবে নিজেদের দেশের নিরীহ জনগনের চেয়ে তাদের সংগঠনের কতিপয় কর্মির মূল্য অনেক বেশী। তাই এতগুলো মানুষের রক্তের উপর দিয়ে হেঁটে হলেও তাকে সেই লক্ষ্যে গমন করতেই হবে।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।