হকশসা;া

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: সোম, ১৩/১১/২০০৬ - ৮:৩৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন শুরু হয়েছে বাংলাদেশে, ঈদের সময় সচিবালয়ের ব্যাস্ততা, বিভিন্ন নথি মুছে ফেলে অতীত মুছে ফেলানোর চেষ্টা, বিচারপতি হাসানের মহামুল্যবান অসম্মতির খেয়াল আসতে যেটুকু দ্্বিধা ছিলো তা কাটাতে 23 জনের প্রানহানী, বর্বরতার সমপ্রচার, পোষ্টার, সব মিলিয়ে অবস্থা গুরুতর ছিলো, তবে এই উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যেই প্রশ্নটা মাথায় ঘুরছে তা হলো এই বাংলাদেশ নিয়ে হঠাৎ আমেরিকার এত উদ্্বিগ্ন হওয়ার কারনটা কি?বীনাসিক্রি হাসিনার সাথে দেখা করতে গেলেন, ঠিক তার পরপরই গেলেন আমেরিকার রাষ্ট্রদুত বিউটেনিস, গিয়ে বললেন ইয়াজুদ্দিন সাহেবকে বাড়তি কিছু সময় দিতে নিরপেক্ষতা প্রমানের জন্য। সেইসময়টুকু শেষ হলো, আমাদের মাননিয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান, আজিজ সাহেবের মতো নির্বোধ এবং অআইনানুগ মানুষ নেই, তিনি প্রথমে হাইকোর্টের রায় মানতে অস্ব ীকার করলেন, এর পর আমাদের চার দলীয় ঐক্যজোট তাকে বাড়তি 2 জন অনুগত মানুষ দিয়ে সহায়তা করলেন, এবং এর পরে তাকে পদত্যাগের অনুরোধ জানানোর পর তিনি বেমালুম সেটাকে অস্ব ীকার করলেন, এবং এরই ধারাবাহিকতায় আবারও দেশজুড়ে অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে, বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখছি এই ঘটনাটা।ইয়াজুদ্দিন সাহেব বেশ কয়েক দিন আগে সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনি, নৌবাহিনির লোকজনের সাথে কথাবার্তা বলেছেন, অনুরোধ করেছিলেন তাদের প্রস্তুত থাকতে, যেকোনো মুহূর্তেই তাদের দেশের পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য প্রয়োজন হতে পারে বলে। কথাটা শুনে বেশ ভয় লেগেছিলো এমন না, বাংলাদেশের অবস্থা এখন এমন না যে হুট করে মিলিটারি শাসন শুরু হবে, তবে ঢাকাজুড়ে বিশেষ ঘোষনা দেওয়া হয়েছিলো কোনো রকম বিধ্বংসি অস্ত্র বহনের উপরে নিষেধাজ্ঞা ঘোষিত হয়েছিলো অবরোধের আগের দিন, 144 ধারা প্রকাশ্যে জারি করা হয় নি, হলে পরিস্থিতি বিরূপ হতো।চার দলীয় ঐকউজোটের বিবেচনা ভালো, তারা প্রথম 2 দিন কোনো বিরোধিতা করার চেষ্টা করেন নি, তাই অযথা রক্তপাতও ঘটে নি। তবে দেশে মিলিটারি নামছে এই আশংকা ছিলো সবারই, পরে রাতে 10।30 এ বিশেষ ঘোষনায় জানানো হয়েছে এখনও মিলিটারি নামানো হয় নি, এটা বিশেষ ব্যাবস্থা হবে আইন শৃংখলার এতটা অবনতি হয় নি যে মিলিটারি নামাতে হবে।এর ভেতরে মার্কিন সরকারের তৃতীয় শ্রেনীর একজন মন্ত্রি এসেছেন, সুর একই রকম, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রার্থনা জানানো, আমাদের বিদেশিপদলেহনের স্বভাবটা মজ্জাগত হয়ে যাচ্ছে, তাদের কোনো প্রতিনিধি আসলেই আমরা লয়াজ নাড়াতে নাড়াতে সেখানে উপস্থিত হই এবং আমাদের বিষয়ে তাদের মতামত জানতে চাই, আমাদের সাংবাদিকরাও এর ব্যাতিক্রম নয়, তাদেরও বৈদেশিক স্ব ীকৃতি লাগে, বিদেশিরা যদি বলে ভালো তাহলেই আমরা ভালো আছি, আমাদের দেশে সুশাসন চলছে এমন অন্ধত্ব আমার নিজেকে বাংলাদেশী হিসেবে লজ্জিত করে বারংবার। তাদের এই হঠাৎ উপচে পড়া আগ্রহ আমাদের বিষয়ে, আমাদের নির্বাচন নিয়ে তাদের এমন আগ্রহ, আমাদের গনতন্ত্র নিয়ে তাদের চিন্তার শেষ নাই, কার্যকারণ খুঁজছি।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।