দেশদ্্রোহী জিয়াউর রহমান ও নির্বাচন সংক্রান্ত ভাবনা

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বুধ, ২২/১১/২০০৬ - ৪:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজিজ সাহেব সামান্য এক দাবার ঘুটি এমন সন্দেহটা ছিলো আমার, আপাতত সংবাদ দেখে এমনটাই মনে হচ্ছে আমার, বেচারাকে সামনে রেখে নির্বাচন সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি করতে চেয়েছিলো বি এন পি এবং সেটাতে সফল তারা। এমন কৌশলে সফল হলেও আদতে এটাতে কাজ হবে বলে মনে হয় না। বি এন পি আজিজ ইসু্য থেকে সরে আসবে , এখন যেমন সংবিধান সম্মত যেকোনো সমাধান তারা মেনে নিতে প্রস্তুত তেমনটা আজিজ বুঝলো না কেনো। দলের সহায়তা পাওয়ার সম্ভবনা সব সময়ই কম ছিলো তার, এমন কি আমার এখন মনে হচ্ছে চার দলীয় জোটের পরিকল্পনায় আজিজ সাহেবের এই নিছক সৈনিকের ভূমিকাটা নিয়ে তারাও নিশ্চিত ছিলো, দাবার বড়েকে একটা পর্যায়ে গিয়ে বিসর্জন দিতে হয় এটাই খেলার নিয়ম। আজিজ সাহেবকে বিসর্জন দেওয়ার সময় হয়েছে।
আরও কয়েক দিন বি এন পি জলঘোলা করবে, আদতে আমার মনে হয় বি এন পির মূল লক্ষ্য এমন একটা সময়ে গিয়ে সহমত প্রকাশ করা যখন ভোটার তালিকা সংশোধনের কোনো সুযোগ থাকবে না। তখন অসস্তিকর একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সদ্যসমাপ্ত ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করতে হবে, সেটা বি এন পির লক্ষ্য অথবা 2001 সালের ভোটার তালিকা অনুযায়ি নির্বাচন করা সেক্ষেত্রে প্রায় 1 কোটি ভোটার বাদ চলে যাবে, বাস্তবতা এমনই যে হয় 1 কোটি ভোটার বেশী নিয়ে নির্বাচন করতে হবে অথবা 1 কোটি ভোটার কম নিয়ে। কি হয় সামনে এটা দেখার জন্য সবাই উৎসুক।

গতকাল সশস্ত্র বাহিনী দিবসে একই সাথে খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন, সাথে আমাদের অথর্ব প্রেসিডেন্ট, তিনি ঠিক মতো পড়তে পারেন না। তার লেখার ফন্ট বড় করে দেওয়ার কথা বলছিলাম, আমাকে একজন বললো,উনি বৃদ্ধ মানুষ, চোখের চশমায় বড় ফন্টও ঝাপসা লাগে, তারজন্য ব্লাক বোর্ডে লেখার ব্যাবস্থা করা হোক, স্কুলের ছেলেদের মতো তিনি সেখান থেকে পড়ে বক্তৃতা দিবেন।
তার বক্তৃতা লিখে দেওয়ার মানুষ আছে, তবে খালেদা জিয়ার কিংবা শেখ হাসিনার তাৎক্ষনিক মন্তব্য লিখে দেওয়ার মানুষ নেই মোটেও। তাই শেখ হাসিনার গতকালের উক্তিটা আমার শোভনীয় মনে হলো না। যার যার সাথে কথা বলা প্রয়োজন সবার সাথেই কথা হয়েছে, আসলে সবার সাথে কথা বলার প্রয়োজন নেই। খালেদা জিয়ার বক্তব্যও একই রকম, তারা সৈজন্যমূলক কোনো কথাও বলতে নারাজ, এমন সতীন ধাঁচের সম্পর্ক শুধুমাত্র ক্ষমতার লোভে দেখে লজ্জা লাগে। আমাদের নেতাদের ভেতরে সামান্য সৈজন্যতা বা সভ্যতা আশা করাও কি আমাদের জন্য নিষিদ্ধ?

তবে আরও ভালো লাগলে পড়ে আমাদের নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন বিষয়ে মামলা করার নিয়ম আছে, নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে সেইসব মালার নিষ্পত্তি হওয়ার কথাও আছে, তবে 300 জন সাংসদের ভেতরে যেই সামান্য কয়জনের বিরুদধে মামলা দায়ের করা হয় তার নিষ্পত্তি করতে ব্যার্থ হয় 5 বছরে নির্বাচন কমিশন।
সংবিধান অনুযায়ী আমাদের দেশের কোনো জেল খাটা আসামি জনগনের প্রার্থি হয়ে নির্বাচন করতে পারেন না। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করেন না এমন লোকও নির্বাচন করার অধিকার রাখেন না, কোনো চিহি্নত রাজাকারও জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ার অধিকার রাখেন না। দেলওয়ার হোসেন সাইদির বিরুদ্ধে 2 দফা মামলা হয়েছে নির্বাচন কমিশনে, 10 বছরে এর নিষ্পত্তি হয় নি, এমন মামলার আওতায় আছে মতিউর রহমান নিজামি, মুজাহিদি, কামরুজ্জামান। এইসব মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যদি আমাদের সিদ্ধান্ত জানানো হতো এদের নির্বাচন করার অধিকার নেই কোনো আমরা খুব সহজেই বুক ফুলিয়ে বলতে পারতাম কোনো দেশদ্্রোহী অপরাধিকে আমরা নির্বাচন করার সুযোগ দেই না। তবে আমাদের নষ্ট আমলাতন্ত্র আমাদের সে সুযোগ দিলো না এখনও। যদিও আমাদের আইনানুগত্য নিয়ে আমার প্রত্যাশার বেলুনটা তেমন স্ফিত নয় এর পরও আইনত যা বলা হবে সেটা মান্য হবে এমন নিশ্চয়তা না থাকলেও এটা আমাদের সভ্য জীবনের সান্তনা, আমাদের আশাবাদী করে তুলে কোনো এক দিন যখন আমরা সভ্য হয়ে উঠবো তখন আমরা এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে পারবো। কিন্তু এই মামলাগুলোর রায় দেওয়া হয় ন, সংসদের মেয়াদ শেষ হয়, মামলা খারিজ হয়ে যায়, এমনটা হবে কেনো। সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এইসব অসমাপ্ত মামলার রায় দিয়ে দেওয়া উচিত ছিলো।
আদালত সমপ্রতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ, জিয়াউর রহমানকে দেশদ্্রোহী ঘোষনা দিয়েছে। এমন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো লেখা চোখে পড়লো না। তাদের বিরুদ্ধে দেওয়া রায়ে যা বলা হয়েছিলো তা হলোতারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন না করে যা করেছেন তাকে দেশদ্্রোহিতা বলা যায়। এ জন্য তাদের সরকার গঠন অবৈধ্য, টাদের করা সবগুলো সাংবিধানিক সংস্কার অবৈধ্য, এই রায় কার্যকরি হয়ে গেলে জামায়াত শ যেকোনো মৌলবাদী ধর্মভিত্তিক দলগুলোর রাজনীতি অবৈধ্য হয়ে যাবে। আমি অধীর আগ্রহে এই রায়ের বাস্তবায়নের অপেক্ষা করছি। হয়তো আমার সাথে আরও অনেম মানুষই এই রায়ের বাস্তবায়নের জন্য প্রতীক্ষা করছেন।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।