হীরক রাজার দেশে ০৬

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: রবি, ২৯/০৪/২০০৭ - ৪:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপর সামরিক খবরদারি সমালোচিত হওয়ার পর যেভাবে সুশীল সমাজের দ্বারা নির্ধারিত নিষ্কলুষ বৃদ্ধ শিশু উপদেষ্টারা "তোমার সঙ্গে আড়ি আমার যাওÓ মনোভাব দেখাচ্ছেন তাতে কাষ্ঠ হাসি হাসতে পারি, তবে কোbI ভাবেই আমোদিত হতে পারছি না। তাদের শিï বলছি কারণ তারা নিজেদের কর্মকান্ডের পরিণতি সম্পর্কে অজ্ঞ, সেটা ইচ্ছাকৃত সামরিক শক্তির আস্ফালন হতে পারে কিংবা তাদের নির্বুদ্ধিতার স্মারক হতে পারে। তবে তাদের এই কাদায় পড়া ভঙ্গি আর ন্যুজ্ব মেরুদন্ড দেখে আমি বিরক্ত।

আত্ম সম্মান বোধ নামক চেতনাটা তাদের নেই। এই চেতনার সাথে অবশ্য সুশীল সমাজ পরিচিত না। মতাধরদের পদলেহন করতে করতে তাদের জিহ্বা মসৃন। সেখানে বিবেচনাহীন উক্তি জমে থাকে, মানসিক বিকলাঙ্গদের মতো অবোধ চাউনি আর এলেবেলে অভিযোগ আর অজুহাত আমাকে সন্তুষ্ট করতে পারছে না। এসব হাস্যকর অজুহাত শুনে অসহায়ত্বে ভুগি আমি। ভবিষ্যত চিন্তায় উদ্বিগ্ন হই।

ছাগলের শিং হাজার বার কামালেও সেখান দিয়ে হরিণের শিং বের হবে না, তেমনই নির্বোধ ছাউনি থেকে বুদ্ধিমান কেউ এসে দেশের হাল ধরবেন শক্ত হাতে আমার বিশ্বাস হয় না। সেনাবাহিনী রাজনৈতিক সংস্কার চায়- রাজনীতির সাথে সংশ্রবহীন একটা পেশাজীবি সংগঠন যখন রাজনীতিকে শোধন করতে চায় তখন উদ্বিগ্ন হওয়ার অনেক কারণই বর্তমান। তখন এ চাওয়ার পেছনের অনৈতিক রাজনৈতিক দুরভিসন্ধির সন্দেহটাই পাকাপোক্ত হয়।

সেনাবাহিনী সরাসরি রাষ্ট্রমতা গ্রহন করতে চায় না, বিভিন্ন অনুরোধ অবজ্ঞা করে তারা কোনো ভাবেই সেনাশাসন কায়েম করতে চায় নি, তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে বলিষ্ঠ করতে চায়, তারা এ ল্য পুরণ হলে ব্যারাকে ফিরে যাবে। অর্থ্যাৎ তাদের মনের ভেতরে একটা কাঠামো নির্দিষ্ট করা আছে যেটা ঘটলে তাদের মনে হবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাজনৈতিক শোধনের বিষয়টা নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এমন মরিয়া হয়ে ওঠা হয়তো সেই সামরিক উত্তাপেই।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছাগলের তৃতীয় বাচ্চার মতো তৃতীয় শক্তি সামরিক তত্ত্বাবধানে পরিপুষ্ট হবে এমন ভাবনাটাই এখন সামরিক নির্বোধদের মাথায়। এমন কারণেই সাম্ভাব্য রাষ্ট্রমতার অংশীদার হতে পারবেন ভেবে অনেকেই সামরিক কতৃপরে বিরাগভাজন হতে অনিচ্ছুক। তারা এই দুর্নীতি বিরোধি অভিযানের তালিকায় উঠেন নি তার কারণ নিজস্ব সততার চেয়ে বেশী তারা কোনো লবিংয়ের জোরে সামরিক বাহিনীর গুড বুকে আছেন। এদের মতায়নের বিষয়টা বিবেচনা করেই সুশীল সমাজের গ্রহনযোগ্য মুখগুলোকে নিয়ে তৃতীয় শক্তিকে রাষ্ট্রমতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবে সেনাবাহিনী এমনটাই ভেবেছে এবং এখন ভাবছে।
এখনও তারা স্পষ্ট বলছেন রাজনৈতিক সংস্কারের প্রধান বাধা দুই নেত্রী, এই সংস্কার সাধনের জন্য দুই নেত্রীকে নির্বাসনে পাঠাতে হবে। আইন উপদেষ্টার প্রলাপ শুনলে তার কান বরাবর কষে একটা চপোটাঘাতের বাসনা থেকে নিজেকে সংযত করি, তবে সেটা সম্ভব হয় না সব সময়। তিনি বিভিন্ন সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং এবং সেনাবাহিনীর মুখ উজ্জ্বল করতে তাদের বেআইনী কাজগুলোকে শোভন ও আইনানুগ করে তোলার প্রানান্ত প্রচেষ্টা করছেন। গত ১ সপ্তাহে নির্বাসন বিষয়ক বানীগুচ্ছে প্রথমে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন , বলেছেন এই দুই নেত্রীকে নির্বাসনে পাঠানোর কোনো চাপ নেই সরকারের পক্ষ থেকে- সরকার এমন উদ্যোগ সম্পর্কে অবগত না- তারা করছেন না এমনটা-
পরবর্তীতে তার বক্তব্য ছিলো এই যে সরকার স্বীকার করে নিলো এবং প্রেসনোট দিলো এটা সরকারের সাহসীকতার পরিচায়ক, তার পর তার বক্তব্য হলো সকরার ভবছিলো রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য এই দুই নেত্রীকে নির্বাসনে পাঠানোর বিষয়টা ভালো একটা সিদ্ধান্ত হতে পারতো। এইবার তিনি বললেন, আসলে এই দুই নেত্রীকে নির্বাসনে পাঠানোর বিষয়ে অনুরোধ এসেছিলো রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেই। এবং তিনি বলেছেন কেউ বিদেশ থেকে ফিরে আসলে তার ফলাফলে তাকে আইনি জটিলতায় পড়তে হবে- এই সব পরোক্ষ হুমকি দেওয়া যে আসলে পরিস্থিতিকে আরও অশান্ত করে তুলবে এই বিষয়ে তিনি অবহিত নন- তিনি আদতেই শিশু- আমাদের সুশীল শিশুরাই তত্ত্বাবধান করছেন আমাদের।

ঘরোয়া রাজনীতি নিষিদ্ধ- দলীয় বেত্রীকে নির্বাসনে পাঠানোর আর রাজনৈতিক সংস্কারের বিধি বিধান নিয়ে আসা কিংবা সমালোচনাজাতীয় কর্মকান্ড এখন নিষিদ্ধ- সেখানে কিভাবে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বা একক নেতারা এমন অনুরোধ করতে পারেন সরকারের কাছে- এবং কোন বিবেচনায় সরকার টাদের কথা আমলে আনেন- যারা জরূরি আইন প্রণয়ন করেছেন তাদের কাছে আইন ভঙ্গ কারী একটা আব্দার নিয়ে হাজির হয়ে যাওয়া অর্বাচীনদের মন্ত্রনা শোনার বদলে তাদের এই ষন্ডামীর বদলে তাদের কারাদন্ড দেওয়ার নীতিতে বিশ্বাসী হওয়ার কথা ছিলো এই সরকারের। তবে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকার অন্য যেকোনো কিছুর চেয়ে রাজনীতিতে বেশী উৎসাহী। রাজনৈতিক সংস্কার করবেন তারা- এটাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। এসবের সাথে তাদের গৌন লক্ষ্য গণতন্ত্রের সড়ক তৈরি করা- বিভিন্ন প্রশাসনিক সংস্কার করা- এসব করার পর তারা নিতান্ত বাধ্য হয়েই নির্বাচন করবেন- তবে এই সময়েও তারা নিশ্চিত হতে চান যেনো তাদের আশীর্বাদপূষ্ট তৃতীয় শক্তিই আসতে পারে ক্ষমতায়- তারা বি এন পি- কিংবা লীগ সরকার চাইছেন না- চাইলেও তারা চাইছেন না এই দলগুলোর প্রধান হিসেবে থাকুক খালেদা বা হাসিনার কেউ- তার ছেলেরাও না তাদের মামাতো চাচাতো খালাতো ভাইয়েরাও না- তারা যদি এই দলগুলোকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে দেখেন তাহলে তারা কি করবেন?

রাজনৈতিক সুবিধাভোগীদের দিয়ে প্রশাসনের দলীয়করণ, নির্বাচন কমিশন সংস্কার এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমুহকে কলুষ মুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে তারা- এই লক্ষ্য পূরণে তারা নির্বাচন কমিশনকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পৃথক করবার উদ্যোগ নিয়েছে। জোট সরকারের অহেতুক ক্ষমতা দখলের মোহ আর নির্বাচনের কারচুপির অন্ধ ও বিবেচনাহীন প্রচেষ্টার ফলে এর আগের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতিনিধিরা কোনো ভাবেই সফল হয় নি- কিংবা জোট সরকারের প্রতিনিধিরা এমনটাই চেয়েছেন যেনো তারা ব্যর্থ হন- তবে এই প্রচেষ্টাজাত যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসলো তার ভাবভঙ্গিতে একনায়কতান্ত্রিক সামরিক উপাদান বেশী- তারা নির্ভুল ভোটর তালিকা তৈরির কাজটাকে কোনো ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ ভাবছে না- তারা ভোটার তালিকা তৈরির সাথে সাথে অন্যান্য সংস্কার কাজ চালিয়ে যেতে পারতো- অনায়াসেই পারতো তবে তারা এ বিষয়ে আগ্রহী না- তারা আগে তৃতীয় শক্তিকে সংগঠিত অবস্থায় দেখতে চায়- এই তৃতীয় শক্তি হওয়ার দাবীদার কেউ নেই বলেই তারা একটা রাজনৈতিক দল গঠনে সহযোগিতাও করতে আগ্রহি ছিলেন- অবেশেষে মইন সাহেব বলেছেন তিনি এই উদ্যোগ গ্রহন করছেন না সহসাই-
তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংবিধান নির্দিষ্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো উদ্যোগ দেখলাম না এখনও-

প্রশাসনিক কাঠামো রদবদলের ঘটনা নিয়মিতই ঘটছে- এই সচিবকে অন্য মন্ত্রনালয়ে বদলী করে দেওয়া এবং রাজনৈতিক বিবেচনাকে গ্রহন করা এসব ঘটনার বাইরে ছিলো না দূর্নীতি দমন কমিশন- বস্তুত দাতাদেশগোষ্ঠির চাপেই সরকার বাধ্য হয়েই বিকলাঙ্গ একটা কমিশন গঠন করেছিলো- তাদের অপসারণের জন্য রাষ্ট্রপতি তাদের চা চক্রে আমন্ত্রন জানিয়েছিলেন- এর পর এক অবসর প্রাপ্ত জলপাই বাবাকে তার প্রধান করা হয়েছে- তিনি আবার পদে আসীন হওয়ার পরপরই ব্যক্তিগত সফরে গেলেন পাকিস্তান- এবং এর তত্ত্বাবধানের জন্য যাকে নিয়োগ করা হলো তিনি আবার সক্রিয় জলপাই বাবা।

তবে এই দুদকও রাজনৈতিক সংস্কারের নিমিত্তে দূর্নীতিবাজদের কালোতালিকা তৈরি করে তাদের চিরতরে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে পাঠানোর বিষয়টাতে কোনো রকম সাফল্য পায় নি এখনও। তারা একজনের বিরুদ্ধেও চার্জশীট দাখিল করতে পারেন নি অদ্যাবধি- আজ নয় কাল- কাল নয় পরশু করে তারা সময় নিচ্ছেন- তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ গঠন করতে পারছেন না- তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ আছে দূর্নীতির এমনটাই বলা হয়েছিলো প্রথমে- পরে দেখা গেলো অনেককেই অহেতুক অভিযোগে আটক রাখা হয়েছে- তাদের জামিনের আবেদনও গৃহীত হয়েছে-
আমি বলছি না যেসব লোককে আটক করা হয়েছে তারা কেউই দূর্নীতিবাজ না- তারা অবশ্যই দূর্নীতিগ্রস্থ তবে তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রাথমিক ভাবে যতটা সহজে প্রমাণ করা সম্ভব হবে মনে হয়েছিলো- সেটা ঘটছে না-

সুশীল সমাজের অগ্রসর অংশ হিসেবে পরিচিত সাংবাদিকেরা এসব লোকের বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ তুলেছিলো দৈনিকের পাতায়- তাদের কাছে প্রমাণ থাকলে তারা কেনো দুদককে সহযোগিতা করছে না এ কাজে? নাকি তারাও হলুদ সাংবাদিকটায় অভ্যস্ত ছিলেন, পছন্দ হয় নি বলেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন-
একটা মাত্র সাফল্য এই সরকারের তারা পাচার হওয়া ৪০ মিলিয়ন ডলার ফেরত এনেছেন- এ কাজে তারা দূর্নীতিবাজদের বাধ্য করতে পেরেছেন -এই অর্থ পাচারের অভিযোগেই তাদের কারাগারে প্রেরন করা ভিন্ন অন্য কোনো সুযোগ কি আদৌ আসবে দুদকের কাছে?

জামিন ও অন্যান্য বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর হাইকোর্টের অবস্থানের ভিন্নতা এখন স্পষ্ট হয়েছে- তবে হাইকোর্ট তাদের নির্ধারিত সীমানায় যতটুকু আইনানুগ থাকা সম্ভব থাকছে- বেলাইনে চলছে তত্ত্ববধায়ক সরকার-

দুদক নিয়মিত গণমাধ্যমে বিজ্ঞতি দিচ্ছে- আপনার এলকায় দুদক কতৃক ঘোষিত কোনো সন্ত্রাসী, দূর্নীতিবাজ থাকলে তার তথ্য জানান- তবে আমি জানি না কাউকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করার কোনো এখতিয়াকর দূর্নীতিদমন কমিশনের আছে।
আমি এও বিশ্বাস করি না যে বিদ্যুত খাত থেকে গত ৫ বছরে ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে- হিসাবটা ১৫০০ কোটি থেকে ২০০০ কোটির ভেতরেই থাকবে বলে আমার ধারণা- বাজেট বরাদ্দেও মনে হয় প্রতিবছর ৪০০০ কোটি টাকা দেওয়া হয় নি বিদ্যুত খাতকে- তবে অপনুয়ম- অব্যাবস্থাপনার প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে- এখনও পড়ছে- উৎপাদনমুখী শিল্পগুলোতে বিদ্যুত সরবরাহ ব্যহত হচ্ছে- তাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না- তারা নিজস্ব ব্যবস্থায় বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারলে ভালো তবে অনেক উৎপাদকেরই এই বিদ্যুত উৎপাদন খাতে বরাদ্দ করার মতো উদ্বৃত্ব অর্থ নেই- এইসব প্রতিষ্ঠানকে বিদ্যুত উৎপাদনের জন্য সহযোগিতা দেওয়ার একটা পরিকল্পনা নেওয়া উচিত সরকারের- তারা যদি আগামী ২ বছর ক্ষমতায় থাকেনই তাদের জরুরী ভিত্তিতে এইসব উৎপাদন খাতে বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে নয়তো এসব ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাবে- এবং এ কারণে তাদের গ্রহনযোগ্যতা আরও কমবে- এমনিতেই শ্রমজীবিদের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে সরকারের প্রতিটা পদক্ষেপ এবং তারা মধ্যম সারির এবং উঁচু সারির ব্যবসায়ীদের সুবিধা দেখতে গিয়ে এদের রীতিমতো অবহেলা করছেন- এই অসন্তোষ এড়াতে হলেও বিদ্যুত খাতে ভর্তুকি দিয়ে হলেও তাদের উৎপাদন নিশ্চিত করা এবং শ্রমিকদের অহেতুক বিদ্যুতের জন্য অপেক্ষা করে তাদের মূল্যবান শ্রমঘন্টা নষ্ট করা এবং তাদের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টির প্রক্রিয়াটা বন্ধ করতে হবে।

সামরিক খরবদারির প্রভাব থেকে মুক্ত হওয়ার মতো সাহস অর্জন করতে পারবেন না তারা এটা এখন প্রমাণিত তাই অন্যযেসব পন্থায় তারা আরো মানবিক হয়ে উঠতে পারবেন সেসব প্রচেষ্টা গ্রহনই সঠিক সিদ্ধান্ত হতে পারে- অহেতুক আস্ফালন আর উলম্ফনের কোনো প্রয়োজন নেই তাদের- শিশুর মতো অনবগত ভাবে তাদের কাজের পরিনতি বিবেচনা না করে কাজ করে যাওয়া আর তাদের সমর্থন টিকিয়ে রাখার দুরাশা তারা করতে পারেন না।


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।