বনফুল মুনমুনের মন খারাপের গল্পটি লিখে যেতে পারতেন

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: বুধ, ১৮/০২/২০০৯ - ১:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মেয়েটির মন খারাপ। গোমড়ামুখ করে ডেস্কে বসে আছে। অনেক কাজ তার হাতে। কিন্তু কিচ্ছুটি করতে ইচ্ছে করছে না। আগামীকাল লাঞ্চের আগেই এডুকেশন ফান্ডিং-এর ওপর রিপোর্ট জমা দিতে হবে। অনিচ্ছা নিয়েই তাই কাজ করে সে। ডেটা ইনপুট দেয়। একটা। দুইটা। তৃতীয়টায় এসে ভুল হয়ে যায়। সে আবার ইনপুট দেয়। ঠিকঠাক। কিন্তু শেষে গিয়ে দেখা যায়, কোথাও যেন কিছু একটা গরমিল হয়েছে। তখন এক্সেলের ঝাঁপি বন্ধ করে মেয়েটি উঠে পড়ে। ওয়াশরুমে গিয়ে চোখে পানির ঝাপটা দেয়। যেন চোখের কোনে জমে আছে মন খারাপের গল্প। পানির ঝাপটা দিলেই মুছে যাবে তা! মেয়েটির মন খারাপের লক্ষণ তবুও যায় না। ডেস্কে ফিরে সে এক কাপ ব্ল্যাক কফি বানায়। আয়েশ করে চুমুক দেয়। চুমুক দিতে দিতে ভাবে এইবার মন তুই ভালো হয়ে যা!

মন মেয়েটির কথা শোনে না। ফলে মন আরো খারাপ হয়। মেয়েটির কান্না পায়। অফিস বলে সে কাঁদতেও পারে না। বাসায় এমনটি হলে সে নির্ঘাত কেঁদে ফেলতো। এই যেমন সেদিন জিটকে কথা হচ্ছিল এরফানের সাথে। এরফান তার ভার্চুয়াল বন্ধু। ম্যালা দিনের চেনা। কি কথায় যেনো রেগে গিয়েছিল। মেয়েটি একটু মুডি। তাই সাথে সাথে সাইন আউট করেই হু হু করে কান্না। কেঁদে রাত পার করেছিল। কেঁদে রাত পার হোক, নির্ঘুম কাটুক। তবে মন হালকা হয়ে গেছিল তার। মেয়েটি ভাবলো, আজো কাঁদতে পারলে মন ভালো হতো হয়তো। কিন্তু অফিসে যদি এখন সে কেঁদে ফ্যালে, তাহলে সবাই কী ভাববে? এ অনুভূতি তাকে আরো মন খারাপের দিকে নিয়ে গেল।

মেয়েটি যেহেতু একটি অফিসে চাকরি করে, তাই বোঝায় যাচ্ছে সে একজন এডাল্ট মেয়ে। এরকম একজন মেয়ের মন খারাপ হলে আমরা কী-ইবা করতে পারি? পিচ্চি কেউ হলে না হয় চকলেট কিংবা আইসক্রিম দিয়ে ভুলিয়ে ঠাকুরমার ঝুলি থেকে রাক্ষস-খোক্ষসের গল্প বলে মন ভালো করা যেতো। কিন্তু এই মেয়েটির মন ভালো হবে কী করে! বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ওরফে বনফুল বেঁচে থাকলে হয়তো মেয়েটির মন খারাপ নিয়ে ‘সুলেখার ক্রন্দন’-এর মতো চমৎকার একটি গল্প ফেঁদে বসতে পারতেন। আর মেয়েটি গল্পটি পড়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি যেতো। মনও ভালো হয়ে যেতো হয়তো। কিন্তু এখন বনফুলকে কোথায় পাওয়া যাবে। ১৯৭৯ সালেই তো তিনি এই ধরাধাম ত্যাগ করেছেন।

বাইশতলা ভবনের ১৫ তলার একটি এয়ার টাইট রুমে গিয়ে মেয়েটির মন ভালো করবে কে, তা আমরা জানি না। তবে আমাদের আড্ডায় মেয়েটির মন খারাপের বিষয়টি আসতেই পারে। অন্যান্য খেজুরে আলাপের মাঝে মেয়েটির মন খারাপের বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করতে আমাদের আপত্তি নেই। কী কারণে মেয়েটির মন খারাপ হতে পারে? ও হ্যাঁ, মেয়েটির নাম কিন্তু আমাদের এখনো জানা হয়নি। আসুন তার নামটা জেনে নিয়ে আমরা মেয়েটির মন খারাপের গল্পে চলে যাই।

মেয়েটির নাম ইয়াসমিন নিগার মুনমুন। বয়স? উহু, মেয়েদের বয়স জানতে নেই। তবে বলতে পারি সে তরুণী। আপনি যদি তার রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস জানতে চান, তাহলে বলি, এখনো তার নামের পাশে সিঙ্গেল স্ট্যাটাস শোভাবর্ধন করে যাচ্ছে। কি, বয়স সম্পর্কে কিছুটা আন্দাজ পাওয়া গেল। তবে আপনি এখন যদি উল্টাপাল্টা কিছু ভেবে বসেন তার দায়ভার আমার নয়, তা কিন্তু আগেই বলে রাখছি।

আচ্ছা, আপনি তো অনেককিছুই জেনে গেলেন, এবার কি আঁচ করতে পারছেন, কি কারণে মুনমুনের মন খারাপ? হতে পারে, এক বন্ধু তাকে দেয়া কথাটা রাখেনি, সে কারণে মন খারাপ। কয়েকদিন আগে তার বন্ধু তাকে জয় গোস্বামীর ‘পাগলী, তোর সঙ্গে’ বইটি কিনে দেবে বলে কথা দিয়েছিলো। কিন্তু কিনে দেয়নি। সে কারণে তার মন খারাপ হতে পারে। হতে পারে, সে অনেক আগ্রহ নিয়ে বসে ছিল বইটি পড়বে। বইয়ের পাগলী’র সঙ্গে নিজের পাগলামীটুকু মিলিয়ে দেখবে। অফিসের কাজের ফাঁকে তাই মনে হয়ে মুনমুন মন খারাপ করে বসে আছে।

অথবা হতে পারে, গতরাতে ভালো ঘুম হয়নি। স্লিপিং পিল ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু কেনা হয়নি। নির্ঘুম রাত কেটেছে তার। ফলে সকালে অফিসে এসে অবসাদ পেয়ে বসেছে তাকে, এ কারণে মন খারাপ।

মুনমুনের বই কেনার বেশ বাতিক আছে। মাসের বেতন পেয়েই আজিজে গিয়ে সে অনেক অনেক বই বগল দাবা করে বাসায় ফেরে। এখন যেহেতু বইমেলা চলছে। অনেক অনেক নতুন বই এসেছে। কিন্তু ইতিমধ্যে মাসের সব টাকাই সে বই কিনে ফেলেছে। এখন আরো বই কিনতে পারছে না বলে মন খারাপ।

কয়েকদিন আগে ভালোবাসা দিবস গেলো। মুনমুন মজা করেই ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে সাপ্তাহিক ২০০০-এ ভালোবাসার ফ্রি বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। সেখানে লিখেছিল: যখন সময় থমকে দাঁড়ায়, নিঃসঙ্গতা দু’হাত বাড়ায়... বুঝে নিও মন, নিঃশব্দ ক্ষণ, একজন তোমার ফোনের অপেক্ষায়। বিজ্ঞাপনটি ছাপাও হয়ে গেছে। কিন্তু ফোন আসেনি। মুনমুনের প্রিয়জনটি কি কারণে যে যোগাযোগ বন্ধ করেছে তা সে জানে না। সে অনেক ভেবে দেখেছে। কিন্তু কিছুতেই সে বুঝতে পারছে না। হঠাৎ দুপুরবেলা অফিসে সে কথাই হয়তো মনে পড়েছে।

মুনমুনের আজকে বেশ কিছু টাকার দরকার ছিল। টাকার দরকার থাকতেই পারে। সেটা নিয়ে সমস্যা না। এটিএম বুথে গিয়েছিলও তুলতে। অফিস থেকে বের হয়ে ১৪নং রোড পর্যন্ত হেঁটে সেখান থেকে রিক্সা নিয়ে ৫নং রোডের এইচএসবিসি’র এটিএম বুথে। কিন্তু কার্ড ইনপুট দিলেই মেসেজ আসে, ইউর কার্ড ইজ ফল্টি। এদিকে চেক বইটাও বাসায়। অফিসে এসে তাই মন খারাপ হওয়াটা বিচিত্র কিছু না।

মুনমুন বেশ কেরিয়ারিস্ট। চাকরির সব ধাপ একে একে পাড়ি দিয়ে সে এগিয়ে যেতে চায় দৃপ্ত পায়ে। এজন্য কিছুদিন হলো ভাবছে, ইউকে থেকে রুরাল ইকনমি'র ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নিবে। অ্যাপ্লিকেশনও করেছে কয়েকটি ইউনিতে। উত্তর এসেছে দুইটা থেকে। সামনের সামার সেমিস্টারে তাকে ভর্তি হতে হবে। কিন্তু স্পন্সরশিপ এখনো জোগার করা গেল না। এদিকে সময় দ্রুত চলে যাচ্ছে। কয়েকদিন ধরে স্পন্সরের চিন্তা তাকে বেশ ভাবাচ্ছে। এ কারণে মন খারাপ হতেই পারে।

মুনমুন ও তার বস অফিসে একই কিউবিক্যালে বসে। মুনমুন তাই তার মন খারাপের ভাবটি চোখে-মুখে থেকে লুকাতে চায়। কিন্তু পুরো মুখ জুড়ে লেগে আছে বিষাদের সমস্ত ছাপ। একরাশ বিষাদগ্রস্ততা নিয়েই সে ডেটা ইনপুট দেয়। আর মন ভালো করার উপায় নিয়ে ভাবে। ভাবে, জীবনানন্দ তার প্রিয় কবি। হয়তো জীবনানন্দ দাশের কবিতা আউড়ালে মন ভালো হবে। বস বসে আছে সামনে। তাই জোরে জোরে আবৃত্তি করতে পারে না। মনে মনে আউড়ায়-

ধানসিঁড়ি নদীর কিনারে আমি শুয়েছিলাম- পউষের রাতে
কোনোদিন আর জাগবো না জেনে
কোনোদিন জাগবো না আমি- কোনোদিন জাগবো না আর।

এমন সময় মুনমুনকে মেসেঞ্জারে নক করে নিলয়।
-কি খবর পাগলী
-মন ভালো না রে
-হুম! বিষাদ ছুঁয়েছে আজ মন ভালো নেই...
-মহাদেব সাহার কবিতা আমার ভালো লাগে
-আমারও। তা মন খারাপ ক্যানো
-অফিসে বসে তোর সাথে সারাদিন চ্যাট করার বিষয়টি বস লক্ষ করেছে। আর সেটা নিয়ে সাবধান করে দিয়েছে। কাজ ফাঁকি দিয়ে চ্যাট করার জন্য মৃদু বকাও দিয়েছে।

মুনমুনের কথা শুনে নিলয় মেসেঞ্জার থেকে সাইন আউট করে। মুনমুনের মন আরো খারাপ হয়ে যায়।


মন্তব্য

তীরন্দাজ এর ছবি

মেয়েটির মন খারাপ হলেও এই মনখাবাপের মাঝেই একটি মিষ্টতা লুকিয়ে আছে। তা মেয়েটির গুনে, না আপনার লেখার গুনে... বুঝতে পারছি না।

তবে ভালো লাগলো বেশ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

তীরুদা, লেখাটা হঠাৎ করে মাথায় এসেছিল। তারপর মনে হলো বনফুলের সুলেখার ক্রন্দন গল্পটি। সেটা মনে রেখেই একটানে লিখে ফেললাম। লেখা ক্যামন হয়েছে জানি না। তবে আরো ভালো হতে পারতো। এখন মনে হচ্ছে।

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

পান্থ , চলুক
আর বেশি কিছু বলার নাই।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আরো বেশি কিছু বলেন শিমুল ভাই। আমি কান পেতে আছি।

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

মুনমুনের কথা শুনে নিলয় মেসেঞ্জার থেকে সাইন আপ করে। মুনমুনের মন আরো খারাপ হয়ে যায়।

হুরো মিয়া, কেম্নে কি? এই জাতীয় কাকতাল ঠিক না। লোকে মন্দ বলবে! লিখা ভালৈছে কৈতাম, কিন্তু এইটা পড়ার পর কমু না!!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুম। তাহলে ভালো হয় নাই। মন খারাপ

মূর্তালা রামাত এর ছবি

লেখা ঝরঝরে। তবে শেষটা শুরুর মত হয়নি বলেই আমার মনে হচ্ছে। সামনের গল্পের অপেক্ষায় আছি।

মূর্তালা রামাত

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আমিও সামনের গল্পের অপেক্ষায় আছি।

কীর্তিনাশা এর ছবি

দারুন লিখেছেন পান্থ! চলুক

আরো লেখেন, অপেক্ষায় থাকলাম আমিও হাসি

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

খাইছে।
হুরো মিয়া, আপনার মতো আমার কাছে কী গল্পের ঝাঁপি আছে নাকি। তাড়াতাড়ি পোস্টান। নইলে খবর আছে কইলাম।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ভাবতেছি এইভাবে আপনার গল্প আর পড়বো না... পুস্তকাকারেই পড়বো... চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হৈ নজু ভাই। ব্যাপক শরম পাইছি।

রণদীপম বসু এর ছবি

এরপরেও কেন্ যে আমাদের পান্থকে সবাই নাবালক কয়, বুঝি না..!

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আমিও বুঝি না। নাহ্, একখান বিয়া কইরা প্রমাণ কইরা দিমু আমি নাবালক না, কী কন রণ'দা। ।

তারেক এর ছবি

মন খারাপ থাকা ভালো। মন ভালো থাকবে ক্যান হুদাই?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ, আমারো দুঃখবিলাস ভালো লাগে।

জেবতিক রাজিব হক এর ছবি

চমৎকার গল্প। ফিনিশিংটা আরো ভালো হতে পারতো।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আমিও বলি, ফিনিশিং চমৎকার হতে পারতো। তবে দেখতে হবে না কে লিখেছে। দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আজব তো, মন খারাপ হতে আবার কারণ লাগে নাকি! এমনি এমনিও তো হতে পারে। অনেকেরই তো হয়। আমারও। তবে গল্প খারাপ হয়নি, খুব ভাল লাগল।

শেষ লাইনটা মনে হয় বুঝিনি। "সাইন আপ" নাকি "সাইন আউট"?

অফটপিক: সাইফুল ভাই আপনাকে চ্যাট করার জন্য বকা দিয়েছে নাকি? চোখ টিপি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ, সাইন আউট-ই বলতে চেয়েছি। আমারো অকারণে হুদাই মন খারাপ হয়। জানি না কী কারণে হয়। তবে হয়, এই-ই জানি শুধু।
নাহ্, সাইফুল ভাই বকা দেয় নি। উনি বড়ো ভালো লোক। আমারে বহুত স্নেহ করে।
আমি চ্যাট-ম্যাট বুঝি না। তয় মাঝে-মধ্যে ফেসবুকে চ্যাটচুট করি।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হুমম, আন্দাজ করেছিলাম "সাইন আউট" হবে। তবে আমার কাছে এন্ডিং কিন্তু খারাপ লাগেনি।

কাল আপনাদের বিল্ডিংয়ে যেতে হয়েছিল কাজে। ২২ তলায়। ভেবেছিলাম সময় বাঁচলে দেখা করব, কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না। দেখি, পরের বার...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আপনাকে এখন থেকে দেখছি কথা খেলাপি বলে ডাকবো। কারণ কথা ছিল আপনি আমাদের বিল্ডিং-এ এলে অফিসে এসে এক কাপ চা খেয়ে যাবেন। কিন্তু কথা না রেখে কথা খেলাপি হয়ে গেলেন।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

নিজের নামের সাথে "খেলাপি" যুক্ত হওয়ায় বেশ আনন্দ লাগছে! ঋণখেলাপি তো আর হতে পারব না, না হয় কথাখেলাপিই হলাম দেঁতো হাসি

আসব দেখি আবার, হয়ত খুব তাড়াতাড়িই...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ, আইসেন। চা-পানি খেয়ে কথাখেলাপি'র অপবাদ মোচন করে যায়েন।

গৌতম এর ছবি

আমার মনে হয়, আপনি হয়তো তার মন ভালো রাখতে পারবেন।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ, গৌতম দা। ভালো বলেছেন। মুনমুনের মন ভালো, তার শুধু আজ প্রজাপতির মতো উড়তে ইচ্ছে করছে... এরকম শিরোনামের আরেকটা গল্প লিখলেই তো হয়। জানেননি তো, আমি আবার কী'না গল্প লিখিয়ে। দেঁতো হাসি
তবে বাস্তবে মুনমুনের মতো যদি কেউ থেকে থাকে, এবং তার মন যদি খারাপ হয়েই থাকে, তাহলে তার মন ভালো করার মতো ক্ষমতা আমার হাতে নেই গৌতম দা।

গৌতম এর ছবি

বাস্তবে মুনমুন তো অবশ্যই আছে, হয়তো আপনার সাথেও কথা হয়, হয়তো আমার সাথেও। তবে আপনার লেখা পড়ে মনে হয়, আপনি তার মন ভালো করে দিতে পারবেন। বেশি করে তার সাথে কথা বলুন। কিংবা তার কথাগুলো শুনুন। সেটুকুই বোধহয় যথেষ্ট।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুম! দেখছি গল্পের চরিত্র আপনার আশেপাশে ঘুরঘুর করছে। গৌতম দা, তার সেল নম্বরটা ব্যক্তিগত মেইলে পাঠিয়ে দেন, দেখি তার মন ভালো করতে পারি কী'না। দেঁতো হাসি

গৌতম এর ছবি

আমার তো ধারণা ছিলো আপনার কাছে নম্বর আছে। যা হোক, হয়তো একদিন নম্বর পাবেন তার কাছ থেকেই। সব মিলিয়ে দেখুন ভালো রাখতে পারেন কিনা।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভাই রে, আমারে দেখছি, মন ভালো করার ডাক্তার বানিয়ে দিলেন! চোখ টিপি
তয় বলি, এ কাজে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা নাই। দেঁতো হাসি তাই ভুল চিকিৎসার জন্য পান্থ'কে মোটেই দায়ী করা যাবে না। হাসি

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- কারো মন খারাপ করার জন্য আমারে ডাইকেন। গ্যারান্টী সহকারে মন খারাপ করার কনফার্মিটি দিতারি। দেঁতো হাসি
তবে মন ভালো করার মতো জটিল কায়দা আমার জানা নাই!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মন ভালো করার কায়দা আমারো জানা নাই বস। আসেন কোলাকলি করি।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ঘটনা জীবন থেকে নেয়া নাকি খাইছে কোন মেয়ের চাকরির বারোটা বাজাচ্ছেন পান্থ ভাই? এসব চ্যাট ফ্যাট বাদ দিয়ে ভাল হয়ে যান চোখ টিপি
গল্প ভাল লাগসে, বড় একটা অনুগল্পের মত লাগল হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কইছে আপনারে। কোনো মেয়ের জীবন থেকে নেয়া কী'না জানি না। তবে বাস্তবে এ ধরনের ঘটনা থাকলেও থাকতে পারে। চোখ টিপি
হ, আমি চ্যাট-ফ্যাটের বিদ্যায় বকলম। ইমোটিকন দিতারিনা। আমারে চ্যাট-ফ্যাট বাদ দিয়ে কই ভালো হইয়া যান। আর মানুষ পেলেন না। দেঁতো হাসি

তানবীরা এর ছবি

মেয়েদের বয়সের মতো, মেয়েদের মন খারাপের কারনও জানতে নেই ঃ-}

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ, ঈশ্বর-ই বুঝতে পারেননি মেয়েদের মন!

মর্ম এর ছবি

'মনের মুকুরে' জিনিসটা বেশ!

চোখের আড়ালে পরে থাকা কত সুন্দর সুন্দর লেখার সাথে ঠিক ঠিক দেখা হয়ে যাচ্ছে!!

~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।