আশরাফ সাহেবের একদিন

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি
লিখেছেন অতন্দ্র প্রহরী (তারিখ: বুধ, ২২/০৪/২০০৯ - ১:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

'ও আচ্ছা।'

চোখ বড় বড় করে পাশের সীটে বসা সহযাত্রী ছেলেটার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকেন আশরাফ সাহেব। দৃষ্টিতে অবিশ্বাসের ছাপ স্পষ্ট। নিখাঁদ বিস্ময়ে মুখটা গোল হয়ে গেছে। নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে যেন খুবই কষ্ট হচ্ছে তাঁর। ছেলেটার অবশ্য তাঁর দিকে মনোযোগ নেই। কথাটা বলেই হাতে ধরা মোটাসোটা বইটাতে সে ডুবে গেছে আবার। ছেলেটা আশরাফ সাহেবকে কষে একটা থাপ্পড় মারলেও তিনি হয়ত এতটা অবাক হতেন না, যতটা না হয়েছেন ওর অভিব্যক্তি ও নিরাসক্ত প্রত্যুত্তর দেখে। ভালোভাবে আরেকবার তাকালেন তিনি ছেলেটার দিকে। তেইশ কি চব্বিশ বছর বয়স হবে হয়ত ওর। চোখে ভারি পাওয়ারের মোটা ফ্রেমের চশমা। এক হাতে কোলের উপর ব্যাকপ্যাক আর বইটা ধরে রেখে আরেক হাতে বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছে। গত ঘন্টাখানেক সময়ে টুকটাক যা কথা বলার সব আশরাফ সাহেবই বলেছেন। ছেলেটা শুধু হুঁ-হা করে দু'এক কথায় জবাব দিয়ে গেছে। নিজে থেকে কৌতুহলী হয়ে কথা বলা তো দূরে থাকুক, তাঁর সব কথা ও ঠিকমত শুনেছে কি না, সেটাতেও আশরাফ সাহেবের এখন ঘোর সন্দেহ হচ্ছে।

বাস ততক্ষণে টাংগাইল পেরিয়ে যমুনা সেতুর কাছাকাছি। আশরাফ সাহেব বগুড়া যাবেন। সেখানে তাঁর গ্রামের বাড়িতে তাঁকে একটা সংবর্ধনা দেয়া হবে। খবরটা পেয়েছেন তিনি দু'দিন আগে। গ্রাম থেকে ইসহাক মোল্লা ফোন করে জানিয়েছিলেন অনুষ্ঠানের কথা। ইসহাক মোল্লা এবার চেয়ারম্যান ইলেকশনে নির্বাচিত হয়েছেন। আশেপাশের এলাকা জুড়ে তাঁর ব্যাপক প্রভাব-প্রতিপত্তি। সেই মানুষটার কাছ থেকে সরাসরি ফোন পেয়ে আশরাফ সাহেব একেবারে আক্ষরিক অর্থেই যেন গলে গিয়েছিলেন। ইসহাক মোল্লার কাছ থেকেই তিনি জানলেন অনুষ্ঠান নিয়ে বিরাট আয়োজনের কথা। প্রাইমারি স্কুলের মাঠটা পুরোটাই প্যান্ডেল টাঙিয়ে সাজানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গেছে। অনুষ্ঠান শেষে হালকা গানবাজনারও নাকি ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এলাকার কৃতি সন্তান হিসাবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তাকে বক্তব্য দিতে হবে জানার পর আশরাফ সাহেব গত রাতে অনেক খেটেখুটে সাড়ে চার পাতার একটা বক্তব্য লিখেছেন। সব মিলিয়ে এ নিয়ে তাঁর মধ্যে উৎসাহ উত্তেজনার কমতি নেই কোন।

আশরাফ সাহেব লেখক মানুষ। প্রায় বছর দুই-তিন হলো লেখালেখি করছেন। শুরুতে একটা এনজিওতে চাকরি করতেন, আর এর ফাঁকে ফাঁকেই টুকটাক ছড়া-কবিতা লেখার চেষ্টা চালাতেন। এর মাঝেই তাঁর লেখা একটা গল্প দুম করে একটা ট্যাবলয়েডে ছাপা হয়ে যায়। সদ্য বিবাহিত বন্ধুর বাসর রাতের বেকায়দা অভিজ্ঞতা নিয়ে গল্পটা লিখেছিলেন তিনি। ছাপা যে হবে সেটা তিনি কল্পনাতেও ভাবেননি। বন্ধুমহলে পল্টু, মানে ওই সদ্য বিবাহিত বন্ধুকে নিয়ে একটু হাসিতামাশা করাটাই ছিল গল্পটা লেখার মূল উদ্দেশ্য। তাই ছাপার হরফে নিজের নাম দেখে নিজেরই ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিল না তাঁর। অফিসের সবাইকে মিষ্টি খাইয়েছিলেন সেদিন তিনি। গল্পটা ফটোকপি করে সবাইকে এক কপি করে দিয়েওছিলেন। সেদিনই প্রথম তাঁর মনে হয় লেখালেখিটা তাঁকে দিয়ে হবে। এরপর সাহস করে সেই গল্পটাকেই একটা উপন্যাসে রূপ দেয়ার কাজে হাত দেন। চাকরিতে তখন আর তাঁর মন নেই একদমই। প্রায়ই অফিস কামাই দিতেন। মোটামুটি দিন পনেরোর প্রবল চেষ্টায় উপন্যাসটা দাঁড়িয়ে যায়। এরপর প্রায় মাস দুয়েক ছোটাছুটি করে, এক সহকর্মীর দুলাভাইয়ের সাহায্য নিয়ে সৌভাগ্যক্রমে অখ্যাত এক প্রকাশকও জুটিয়ে ফেলেন। লেখালেখি নিয়ে তাঁর তুমুল উৎসাহের শুরুটা আসলে ঠিক সেখান থেকেই। তারপর আর পেছন ফিরে তাকাননি কখনো। চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে পুরোদস্তুর লেখক বনে যান। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবের অনেকেই তখন তাঁকে মানা করেছিল, কিন্তু তখন তিনি নিজের প্রতিভায় পুরো অন্ধ হয়ে আছেন। কারো কথা গায়ে মাখার দরকারই মনে করেননি।

প্রথম তিনটা উপন্যাসের কাটতি আশানুরূপ না হলেও চতুর্থটা দিয়ে তিনি বেশ পরিচিতি পেয়ে যান। সেটা এতই ভাল ব্যবসা করে যে, যে প্রকাশকের কাছে আগে তাঁকে ধরনা দিতে হতো, সেই প্রকাশক নিজেই তাঁর বাসায় দেখা করতে চলে আসে দামী উপহারসহ। সেদিন ছিল আশরাফ সাহেবের জীবনে অন্যতম আনন্দের দিন। প্রকাশক চলে যাবার পর উপহারের প্যাকেটটা খুলে দেখেন অনেককিছুর সাথে সেখানে একটা বিদেশি মদের বোতল ছিল। তিনি আগে কখনো মদ ছুঁয়েও দেখেননি। তবে সেই রাতে বেশ আগ্রহ ও তৃপ্তির সাথেই চুমুক দিয়েছিলেন মদের গ্লাসে। যদিও গ্লাস না থাকায় পানি খাওয়ার মেলামাইনের গ্লাসেই মদ ঢেলে খেয়েছিলেন, তবুও নিজেকে খুব কেউকেটা মনে হচ্ছিল তখন তাঁর। মনে হচ্ছিল এক আধটু ড্রিঙ্ক না খেলে আবার কীসের লেখক!

এরপর আরো কয়েকটা ব্যবসাসফল উপন্যাস বেরোয় তাঁর হাত দিয়ে। এই তো গত বইমেলাতেও তাঁর তিন তিনটে বই এসেছে। এর মধ্যে একটা তো পুরো মারদাঙ্গা হিট। তিনদিনের মধ্যেই দ্বিতীয় মুদ্রণ নামাতে হয়েছিল। বিশেষ করে উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল বইটা। তবে বিশেষ এক শ্রেনীর লেখক-পাঠক তুমুল নিন্দাজ্ঞাপন করে বইটার বিরূদ্ধে উঠেপড়ে প্রচারণা চালিয়েছিল। তাঁর সব উপন্যাসের কাহিনী নাকি একই ধাঁচের, চটুল ভাষায় রগরগে সব বর্ণনায় নাকি ঠাসা। এসব শুনলেই ধা করে রাগ চড়ে যায় তাঁর মাথায়। তিনি তাঁর সব বইতেই মূলত নারীদের প্রধান চরিত্র করে লিখেছেন। 'আজকাল আর কয়জন লেখকই বা করে এমনটা?', প্রশ্ন জাগে তাঁর মনে। এখন নারীর জীবন নিয়ে যেহেতু লেখেন তিনি, প্রসংগক্রমে তাই এক আধটু শরীরের কথা তো চলে আসবেই, এতে আশরাফ সাহেব দোষের কিছু দেখেন না। এটাকে বরং নিজের স্বকীয় লেখক সত্ত্বা হিসেবে ভাবতেই তিনি ভালোবাসেন। তারপরও এতগুলো ব্যবসাসফল বইয়ের লেখক হয়েও যখন তিনি নামকরা কোন প্রকাশনা বা লেখকদের কাছে ঠিক প্রাপ্য সম্মানটা পান না, তখন অবাক হয়ে ভাবেন, কী অদ্ভুত এক দেশ, সামান্য কিছুতেই ছি ছি রব শুরু হয়ে যায় চারদিকে। ভাবটা এমন যেন এসব ঘটনা বাস্তবে ঘটেই না। তাঁর ভীষণ আক্ষেপ যে এখনো আধুনিকমনস্ক হতে পারল না লোকজন। আর তিনি তো তাঁর প্রতিটা বইয়ের প্রচ্ছদে, এমনকি পত্রিকায় সেগুলোর বিজ্ঞাপনেও বড় বড় করে লিখে দিয়েছেন 'অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নিষিদ্ধ'। এতকিছুর পরেও যে তাঁর 'নিশি এবং তার গোপন প্রেমিকেরা' বইটা রমরমা ব্যবসা করেছে পুরো বইমেলা জুড়ে, এটাকেই তিনি নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দেয়ার সমতুল্য মনে করেছেন। মাসখানেক আগে এক পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে এসব কথা তিনি বলেছেনও। সাথে এও বলেছেন যে তিনি সম্পূর্ণ নিজ কৃতিত্বে তরুণ গোষ্ঠীর এক বিশাল অংশকে বইমুখো করতে সক্ষম হয়েছেন। সে কথা যখনই মনে পড়ে তাঁর, তখনই বেশ পরিতৃপ্তির একটা বোধ হয়, আপনমনেই ঠোঁটের কোণে প্রশান্তির হাসি ফুটে ওঠে।

পাশের সীটে বসা ছেলেটাকে সেসব কথাই বলছিলেন আশরাফ সাহেব। অথচ তার কোন ভ্রুক্ষেপই নেই! প্রথমে নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে নামটা বলার পরেও ছেলেটা যখন এমন ভাব করল যেন তাঁকে চিনতেই পারেনি, তখন সামান্য মনক্ষুন্ন হলেও এরপর বেশ আত্মবিশ্বাসের সাথেই বলেছিলেন, "আরে চিনলেন না, আমি আশরাফ আহমেদ। 'নিরস ছেলে', 'অসময়ে দরজায় কে?', 'নিশি এবং তার গোপন প্রেমিকেরা' বইগুলোর লেখক।" ভেবেছিলেন এরপর ছেলেটা চিনবে। কারণ ওর বয়সী ছেলেমেয়েরাই মূলত তার বইয়ের অন্যতম পাঠক। কিন্তু কী অবাক ব্যাপার! কোথায় সালাম দিয়ে তাঁর অটোগ্রাফ চাইবে, তা না, বেয়াদপ ছেলেটা কি না 'ও আচ্ছা' বলে বইয়ে মুখ গোজে! রোখ চেপে যায় আশরাফ সাহেবের। ভীষণ রাগ হয়। মনে হয়ে যেন ছেলেটাকে ধাক্কা দিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দেন! এসব বদ ছেলেদের খুব ভালো করেই চেনা আছে তাঁর। এরা গুনীর কদর বুঝবে কীভাবে! এরা তো দুই চারটা ইংরেজি বই পড়লেই মনে করে যেন খুব সাহিত্যবিশারদ হয়ে গেছে। বাইরে বাইরে একেবারে নিষ্পাপ ভালোমানুষের ভান ধরে থাকবে, অথচ গুলশান-বনানীর কোন অভিজাত রেস্টুরেন্টে ঢুকলেই এদের আসল চেহারাটা বেরিয়ে পড়ে। কে জানে সুযোগমতো ফাঁকা ফ্ল্যাট পেলে এরা না জানি কত কী... এরপর আর আশরাফ সাহেব ভাবতে পারেন না। কারণ হঠাৎ করেই তিনি তার চতুর্দশ উপন্যাসের প্লটটা পেয়ে যান।


মন্তব্য

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

প্রহরীদা, রাগ করবেন না...

গল্পের শেষটা ঠিক 'জুইত' হইলো না-- লেখকেরে আরো বাঁশ দেয়া যাইতো...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কী যে বলেন না! রাগ কেন করব! বরং অকপটে মতামত প্রকাশের জন্য অনেক ধন্যবাদ। সত্যিই। ব্লগে লেখার এই তো মজা। হাসি

লেখাটা শুরু করার পর শেষটা অন্যভাবে চিন্তা করসিলাম। কিন্তু লিখতে গিয়ে হঠাৎ করে এইরকম সমাপ্তি মাথায় চলে আসলো। আসলে ব্যাপার হইল কী, আমি গল্প লিখি না সাধারণত, কারণ লিখতে পারি না। তাই একটু নতুনত্ব চেষ্টা করে দেখলাম আর কি।

কিন্তু আপনি তো দেখি বিপদজনক মানুষ। অন্যরে বাঁশ দেয়া দেখে মজা পান! চোখ টিপি

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

আপনে কী চা খাইতে গেলেন নাকী?

অফটপিকঃ আজকের গরমদিনে আপনাকে গরম শুভেচ্ছা জন্মদিনের। ভেন্যু আর শিডিউলের ব্যাপারটা জানায়েন জলদি দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

চা কেন খাইতে যাব? নিচে কি 'চলবে' লেখা আছে? ইয়ে, মানে...

আপনে মিয়া দিন-তারিখ ঠিকমতো না জাইনাই বেশি গরম হইসিলেন। কিন্তু পরে আবার দাওয়াত কবুল করেন নাই। কতোই না কষ্ট পাইসিলাম মন খারাপ

মূলত পাঠক এর ছবি

আপনেও মশাই ঐ লেখকের মতো ফাঁকিবাজি করলেন, চমৎকার শুরু হইলেও কোনোমতে শেষ কইরা চা খাইতে দৌড় দিলেন নাকি ?

এইবার এইটারে উপন্যাস বানায়া ফালান। হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমি তো ভায়া গল্প লিখতে পারি না। তাই মনে হয় কোনরকমে কিছু একটা লিখেই দৌড় দিয়েছিলাম। মন খারাপ
তবে সত্যি বলছি, চা খেতে কিন্তু যাইনি চোখ টিপি

উপন্যাস! হা হা হা। আমি যদি 'মূলত পাঠক' হইতাম, তাহলে শুধু উপন্যাস না, এইটারে মহাকাব্যে রূপ দিতাম খাইছে

স্নিগ্ধা এর ছবি

আহারে লিখবে কি, ছেলেটার আজকাল বড়ই সময়াভাব! তার উপর শাহেনশাহ সিমনের মন্তব্য থেকে বুঝলাম আজকে একটা বিশেষ রকম 'বিশেষ' দিন - ভালু, ভালু চোখ টিপি

তবে লেখাটা কিন্তু খুবই ভালো হচ্ছিলো, সময় পেলে ঠিকমতো শেষ কোরো -

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আসলেই ইদানিং সময়াভাবে ভুগতেছি অনেক মন খারাপ

সময়মতো আর কী শেষ করব, মাথায় কিছু আসতে হবে তো। অবশ্য আমি কোন কিছু লিখে খুব তাড়াহুড়া করে কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পোস্ট করে দেই। এই গল্পটাও তাই। আপাতত এই অভ্যাসটা দূর করতে হবে। সময় নিয়ে দেখলে, পরে অনেক ভুল বের হয়। আর গল্পটা নিয়েও, আপনার কথামতো, কখনো সময় পেলে হয়ত আরেকবার বসব। হাসি

থ্যাংক্যু।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

কারণ হঠাৎ করেই তিনি তার চতুর্দশ উপন্যাসের প্লটটা পেয়ে যান

আপনি এই প্লটটি কীভাবে পেলেন, জানতে ইচ্ছে করছে খাইছে

এবার আপনার অনুরোধে আপনার লেখায় পয়েন্ট কামানোর মওকাটির সদ্ব্যবহার করছি। মাস্তানি মারতে আসলে হেব্বি মজা হো হো হো

এক নজরে যা পেলাম:

নিখাঁদ – নিখাদ
হুঁ-হা – হুঁ-হাঁ
কৌতুহলী – কৌতূহলী
শ্রেনীর – শ্রেণীর
বিরূদ্ধে – বিরুদ্ধে
ধা – ধাঁ
ভ্রুক্ষেপই – ভ্রূক্ষেপ
মনক্ষুন্ন – মনঃক্ষুণ্ণ
মুখ গোজে – মুখ গোঁজে
গুনীর - গুণীর

আরেকটা কথা। "নিজের স্বকীয় লেখক সত্ত্বা" – "স্ব" অর্থই তো নিজের, তাই নয় কি?

এইবার বিলডা দ্যান চোখ টিপি

আজ আপনার জন্মদোষ? থুক্কু, জন্মদিন? অ্যাঁ

চারুকলার অলিগলিতে ঘোরাঘুরি কাঙ্ক্ষিত পরিণতি পাক।
ভালো থাকবেন। পাহারায় ফাঁকি দেবেন না খবরদার!

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আপনি এই প্লটটি কীভাবে পেলেন, জানতে ইচ্ছে করছে
রেটোরিক্যাল ধরে নিয়ে আর উত্তর দিলাম না এটার খাইছে

মাস্তানির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। এত্তো বানান ভুল করি! যেখানেই ভুল দেখবেন, এভাবে ধরিয়ে দিবেন কিন্তু হাসি

'নিজের স্বকীয় লেখক সত্ত্বা' - এখানে ভুলটা ইচ্ছাকৃত। 'এক আধটু ড্রিঙ্ক না খেলে আবার কীসের লেখক'-এর মতো। চেষ্টা করেছি এইসব কথাবার্তার মাধ্যমে লেখকের চিন্তাভাবনার ধরন বা তাঁর মানটা ফুটিয়ে তোলার।

যাই হোক, এতো মনোযোগ দিয়ে পাঠের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

রণদীপম বসু এর ছবি

প্রহরীর কি জন্মদিন নাকি আজকে...! সাংঘাতিক কথা !! তাহলে তো.....

-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’

স্নিগ্ধা এর ছবি

আমার মনে হয় না আজকে 'প্রহরী'র জন্মদিন, তবে প্রহরীর কাছে তার নিজের জন্মদিনের চাইতেও ইম্পর্ট্যান্ট যে জন্মদিন, আজকে বোধহয় সেটা - বুঝলেন কিছু? হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমি নিজেই কিছু বুঝলাম না, রণ'দা আর কী বুঝবেন! চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সাংঘাতিক কথা? চিন্তিত

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আজ এত বেশি গরম পড়সে! মন খারাপ

সবার অবগতির জন্য জানাই - আজ, ২২শে এপ্রিল, আমার জন্মদিন না। শাহেনশাহ ভাইয়ের ভুল তথ্যে আমরা যেন ফোকাস না হারাই এখানে, সেই মর্মে অনুরোধ জানাই খাইছে

স্নিগ্ধা এর ছবি

আজ এত বেশি গরম পড়সে!

গরম পড়সে তো কী হইসে??!! 'শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত' রেঁস্তোরায় নিয়ে যাও?

আর, আমি তো শুরু থেকেই বলতেসি, আজকে জন্মদিন, তবে প্রহরীর না দেঁতো হাসি

[অন্য প্রসঙ্গ বা একই প্রসঙ্গঃ তোমাকে কিন্তু একটা সংশয়িত প্রশ্ন করসিলাম, তুমি এখনও তার উত্তর দাও নাই, ব্যাদ্দপ রেগে টং ]

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে না না, এত বেশি গরম যে ঘুমাইতে পারতেসি না মন খারাপ
সকালে সাড়ে নয়টায় একটা জরুরি মিটিং, প্রায় দুই ঘন্টারও বেশি সময় চেষ্টা করতেসি ঘুমাইতে। কিন্তু...

আপনেও ভুল কইরা একটা মিশটেক করতেসেন। আজ কাহারোই জন্মদিন না। দেঁতো হাসি

[আমি সেই কবে থেকে ভাবতেসি সংশয়খানা দূর করব, কিন্তু প্রায় প্রতিদিন ওইটার আশপাশ দিয়া ঘুরে যাই, কিন্তু উত্তর দেয়া হচ্ছে না। মন খারাপ আমার সিরিয়াসলি মাইর খাওয়া উচিত। কালকের মধ্যে পেয়ে যাবেন আশা করি খাইছে তবে এইটুকু বলে আপাতত সংশয় দূর করি, মিশ্র অবস্থায় আছি, মানে আপনার দুইটা আন্দাজের দুইটাই আংশিক সঠিক :-D]

স্নিগ্ধা এর ছবি

হায় হায় হায়, বলো কী ??!!

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- লেখকরে বাঁশ দেওয়ার তীব্র নেন্দা জ্ঞাপিত হৈলো। আমিও তথাকথিত একজন লেখক কীনা, তাই লেখকের পশ্চাতে বংশদণ্ড জুইতের মনে হয় না! মন খারাপ
বিডিআররে সহ যারা যারা এখনো আমার অটোগ্রাফ লন নাই তাগো বেকটিরে কইষ্যা মাইনাস।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। আপনারও কি আশরাফ সাহেবের মতো দুইএকটা বই আছে নাকি, বস? চোখ টিপি

দেন বস, আপনার অটোগ্রাফটা দেন এইবার। সময় গেলে হইবে না সাধন দেঁতো হাসি

সবজান্তা এর ছবি

বেশ একটা অণুগল্প ফ্লেভার আসছে। প্লটে আরেকটু ঘষা মাজা করলেই বেশ চমৎকার অণুগল্প হয়ে যাবে। আমার কিন্তু ভালোই লাগছে।

*****

শুভ জন্মদিন, আপনাকে না কিন্তু খাইছে


অলমিতি বিস্তারেণ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ। দেখি, সবাই যখন এত করে বলছেনই, পরে হয়ত কখনো সময় সুযোগ হলে গল্পটা নিয়ে আরেকবার বসতেও পারি, যদিও সম্ভাবনা কম খাইছে

রানা মেহের এর ছবি

আমার তো শেষসহই গল্পটা ভালো লাগলো হাসি

তবে পীড়া দিয়েছে দীর্ঘ ফ্ল্যাশব্যাক।
একেবারে এতো বর্ণনা না দিয়ে একটু বিরতি যদি দেয়া যেতো
বর্তমানে এসে অথবা অন্যভাবে
তাহলে একঘেয়ে লাগতো না
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

থ্যাংক্যু হাসি

হুমম, অন্যভাবে করা তো যেতই, কিন্তু আমি তা পারলে তো! মোটা মাথা থেকে এইটুকু নামাতেই যে কারবার হলো... গল্প লেখা আসলেই অনেক কঠিন মন খারাপ

তবে পরামর্শটা মাথায় থাকল...

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

এমন করেই অতন্দ্র প্রহরী একটি উপন্যাসের প্লট ঠিক করবে।
২০১০ এর বইমেলায় - আমি অটোগ্রাফ নিবো...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা।
শিমুল ভাই!! লইজ্জা লাগে

অনিকেত এর ছবি

বস, মনে হয় আমিও বাকী সকলের সাথে গলা মেলাব
শেষটা আরেক্টু--ইয়ে--করে দিলে মনে হয় বেশ 'ইয়ে' হত!

শুভেচ্ছা রইল।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। ইয়ে মানে কিয়ে হতো? খাইছে

যাই হোক, মতামত জানানোর জন্য অসম্ভব ভালো লাগল, অনিকেত'দা। ভালো থাকবেন হাসি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শেষটায় মজা পেলাম।
নিশি ও তার গোপন প্রেমিকরা বইটি পড়তে মঞ্চায়। বইটি কোন প্রকাশনী'র? আজিজে কি পাওয়া যাবে? দেঁতো হাসি
জনপ্রিয় লেখকদের নিতে একটা লেখা পড়েছিলাম আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের। গল্পে গল্পে সেই লেখাটার কথা মনে পড়ে গ্যালো।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

পড়তে মঞ্চাইলে ধুগোদার সাথে যোগাযোগ করেন। এইসব বই তো উনার লেখা :-‌D
আজিজে পাবেন, আকিজে পাবেন, সব জায়গায় পাবেন। হা হা হা।

থ্যাংক্যু পান্থ'দা হাসি

রায়হান আবীর এর ছবি

ভাল্লাগছে গল্প। আমার কাছেও একটা বিরাট ধান্ধা মানুষ ক্যাম্নে গল্প বা উপন্যাস লেখার থিম পায় ...

ডিটেইলিং চমৎকার। আপনারা লেখক মানুষ, আরও লিখেন আরও লিখেন ...

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

রায়হানের সাথে ৯৫% একমত।
আর বাকি ৫% এ বলতে হয় যে, এই গল্পের লেখক খানিকটা অস্থির এবং চন্চলমতি। দেঁতো হাসি
অবশ্য আজকের দিনটাতে তাকে ইসপিশাল ডিউটি দিতে হবে, সেটাও তাড়াহুড়ো করে গল্প শেষ করার একটা কারণ হতে পারে। চোখ টিপি

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

রায়হান আবীর এর ছবি

৫% কম একমত হওয়ার জন্য আপনারে কইষা মাইনাস দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

তোমার তো দেখি তারেক-সিনড্রোম (খালি মাইনাস আর মাইনাস) প্রকট! দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ভাইবেন না আপনারে ৯৫% ধন্যবাদ দিবো, পুরা ১০০%ই দিলাম হাসি

হ, লেখামাত্রই পোস্টায়া দেই, সময় নেয়া উচিত আরো। কবে যে এই অস্থিরতা আর চঞ্চলমতি ভাব দূর করতে পারব! মন খারাপ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার কাছেও এইটা বিরাট ধান্ধা মানুষ ক্যাম্নে সব গল্প বা উপন্যাসের থীম পায়!
ধন্যবাদ। আমি লেখক হইলে তুমি তো আমারও আগে লেখক খাইছে

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

ভালো হয়েছে প্রহরী। সত্যিই, বেশ ভালো।
আমার কিন্তু শেষটাও ভালো লাগলো।
পড়তে পড়তে অনেক কিছু মনে হ'লো-
আমার চার-পাঁচ বছর আগের একটা গল্প শুরু করা ছিল, শেষ এই জীবনে কবে হবে কে জানে! সেইটাতে ঠিক প্লট না হ'লেও উপপ্লট ছিল গল্পকথকের নিজেরই এলাকায় লেখক হিসেবে সম্বর্ধনা নিতে যাওয়া। তাই, আপনার গল্পে একটা ধাক্কা আমি খেলামই শুরুতেই। এটাও মনে হ'লো- হ্যাঁ, পিথিমীর আর জীবনের আরো বহুকিছুর মতে ওই গল্পটাও শেষ করা দরকার। মন খারাপ
তারপর- একদম "জনপ্রিয় লেখক কি অলেখক?" বিষয়টাও মাথায় কাজ করেছে আপনার ফ্ল্যাশব্যাক ডিটেইলিংয়ের মাঝামাঝি এসে। তবে, গল্পের ডিন্যামিক্স-টা স্লো হ'লেও বেশ রাইট-ট্র্যাকড এবং সিকুয়েন্সিয়ালি লজিক্যাল ব'লে মনে হয়েছে আমার। সেখানেই স্বস্তি পেয়েছি বেশি, আর এরই ঘাড়ে চ'ড়ে শেষ পর্যন্ত এসে আমার তো সফ্ট বাট স্মার্ট এন্ডিংটাও বেশ ভাল্লাগলো।
গুড জব মেইট।

তবে, এইবার একটা পেরেশ্নের জবাব দ্যান আমারে- কী পাইলেন আপ্নেরা! একটা জন্মদিনের ব্যাপার অ্যাম্নে ফ্যানাটিক্যালি প্যাচাইয়া দিলেন ক্যান্ পৃথিবীর সবাই মিলে?! মন খারাপ হায়রে, সত্য অত কঠিন ক্যানে?

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক অনেক ধন্যবাদ সাইফুল ভাই। তবে একটু বেশি প্রশংসা করে ফেললেন মনে হয়, আমার নিজেরই বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে খাইছে
তারপরেও আপনি যে সময় খরচ করে পড়লেন আর নিজস্ব মতামত প্রকাশ করলেন, সেটার জন্য অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

আপনার গল্পটাও শেষ করে ফেলেন। পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

সত্য সত্যিই কঠিন চোখ টিপি

রানা মেহের এর ছবি

কেউ আমাকে সাইফুল আকবর খানের মন্তব্যটা বঙ্গানুবাদ করে দিন মন খারাপ
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

মন খারাপ

০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

বঙ্গানুবাদের গুরুদায়িত্ব রানা মেহেরের উপর অর্পণ করা হলো দেঁতো হাসি

তীরন্দাজ এর ছবি

আমার কাছে গল্পটি ভালো লেগেছে খুব। শেষটাও (নতুন গল্পের প্লট খুঁজে পাওয়া) ভালো লোগেছে। চমকটা তো সেখানেই। আপনাকে অভিনন্দন!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অসম্ভব খুশি হলাম তীরুদা, আপনার মন্তব্য পেয়ে হাসি

হ্যাঁ, শেষে চমকটাই দিতে চেয়েছিলাম। কতটুকু কী হয়েছে জানি না। আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুব ভালো লাগল। অনেক ধন্যবাদ, ভাই। ভালো থাকবেন।

নিবিড় এর ছবি

আর কত রাতের বেলা একা একা গল্প লিখবেন খাইছে
সবাই চারুকলার ব্যাপার টা জানলো কেমনে অ্যাঁ তা চারুকলার আসল ব্যাপারটা কি প্রহরী ভাই চোখ টিপি
গল্প ভালো লাগছে চলুক


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

যা লেখার এখনই লিখে নেই, তখন তো আর গল্প লেখা হবে না চোখ টিপি

চারুকলার আসল ব্যাপার কী? পুলারে এমন মাইর দেব না! রেগে টং

ভাল্লাগসে? আমারও শুনে ভাল্লাগল। থেংক্যু হাসি

তানবীরা এর ছবি

পাঁচ তারা। প্রহরী এ্যমেচার লেখা শেষ করে দিয়ে এখন প্রফেশনাল লিখছে। অভিনন্দন,
সত্যিই সত্যিই সে বড় হয়ে গেছে

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

রায়হান আবীর এর ছবি

বড় নয় তাতাপু, বলুন বুড়া চোখ টিপি

নিবিড় এর ছবি

রায়হান পোলাটা খুব খ্রাপ রেগে টং বিয়ে করলেই কি কেও বুড়া হয় চোখ টিপি তার উপর যদি এমন চারজন শালী থাকে দেঁতো হাসি


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

এই তো একমাত্র তুমিই বুঝলা আসল ব্যাপারটা। ভাবতেসি তোমারে একটা শালী দিয়াই দেব কি না... চোখ টিপি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

@রায়হান
হ, দেখতে দেখতে বুড়াই হয়া গেলাম। চুলে পাক ধরসে, হাঁটতেও কষ্ট লাগে, চামড়ায় ভাজ পড়সে... মন খারাপ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

ওরে খাইছে! এইটা আসলেই বান্ধায়া রাখার মতো একটা কমেন্ট। খুবই খুশি হইলাম। যদিও বিশ্বাস হইতেছে না দেঁতো হাসি

বড় হইতে ভালু লাগে না মন খারাপ

গৌতম এর ছবি

কাছাকাছি ধরনের আরেকটা গল্প পড়তে পারেন এখানে
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

লিংকটার জন্য অনেক ধন্যবাদ গৌতম'দা।
ভালো থাকবেন হাসি

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

আশরাফ সাহেবের বইগুলা পড়তে মঞ্চায়। আছে নাকি প্রহরীর বুকশেলফে? পইড়া আবার ফেরত দিয়া দিমু ঈমানে কইলাম! আর ভিতর থিকা পৃষ্ঠাও কাইট্যা রাখুম না অঙ্গীকার করলাম! চোখ টিপি
কী, দিবা নাকি ভাই বইগুলা?
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হা হা হা। আপনে মিয়া! হো হো হো

ছেলেটা বিপথে চলে যাচ্ছে, আর এদিকে চিন্তায় চিন্তায় রক্তচাপ বাড়তেসে চোখ টিপি

ভালু বুদ্ধি দেই, আমারে আশরাফ সাহেবের বইগুলা গিফট করেন। আপনারে মাগনা পড়তে দেব খাইছে

তাহসিন আহমেদ গালিব এর ছবি

চমৎকার লিখেছেন প্রহরী ভাই!!

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ, তাহসিন। বেশ ক'দিন হলো আপনাকে দেখা যাচ্ছে না যে! ভালো আছেন আশা করি।

আনিস মাহমুদ এর ছবি

লেখা ভাল হয়েছে। শেষটাও। নাম পরিবর্তন করে বিডিআর কি পেশাদার লেখক হচ্ছে নাকি?

.......................................................................................
Simply joking around...

.......................................................................................
Simply joking around...

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আরে আনিস ভাই যে! গরীব ব্লগারের বাড়িতে পা দিসেন, আসেন বসেন চা খান দেঁতো হাসি

বিডিআর আর লেখক! তাও আবার পেশাদার! নাহ, কুনো সম্ভাবনাই নাই! খাইছে

অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন, ভাই।

দ্রোহী এর ছবি

শিরোনামে "আশরাফ" শব্দটি দেখেই ভয় খেলাম! আর আগাতে পারলাম না। ঘটনা আর খুলে বললাম না। দেঁতো হাসি

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

কিছুই বুঝতার্লাম্না। মন খারাপ

ও মেম্বর ভাই, আপনার জাকাজা পরিষদের দোহাই লাগে, একটু পরিষ্কার কইরা বলেন বিষয়টা। চান তো শিরোনাম বদলায়া আপনার নাম দিয়া দেই (দ্রোহী সাহেবের একদিন) দেঁতো হাসি

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।