সেইসব লাল পিঁপড়া

পরিমিত, লক্ষ্যভেদী।

আরো কিছু আছে রে। চল তালিকা করি।

১) ছোট থাকলে ভয় পেলে একটা ছড়া বলতাম

ভুত আমার পুত পেত্নী আমার ঝি
রাম লক্ষণ বুকে আছে ভয় আমার কী?

পরে বোন শিখিয়ে দিল রাম লক্ষণ হিন্দুরা বলে। আমরা বলবো,

ভুত আমার পুত পেত্নী আমার ঝি
আল্লাহ রসুল বুকে আছে ভয় আমার কী?

পরে আরো মনে হলো বলে যাবনে।

দেবদ্যুতি

ব্লগার শব্দের অর্থটাই আসলে বদলে যাচ্ছে। কেউ কেউ বদলে দিতে চাচ্ছে আর আমরা তাতে নিয়মিত বাতাস দিয়ে যাচ্ছি।

ভাই, মাথা কালো পাছা লাল ঢাউস সাইজের আরেক কিসিমের যে পিপড়া আছে তার কথাতো বললেন না। উনারা মোনাফেক পিঁপড়া নামে পরিচিত

সহমত।

এতদিন পরে এই পিঁপড়া সাইজের লেখা? (বিন্দুতে সিন্ধু যদিও)

ছোটবেলায় আরও কত কিছু মাথায় ঢুকানো হয়েছে।
ভাত খাওয়ার সময় একটা ভাতও ফেলা যাবে না। প্রতিটা ফেলা ভাত নাকি কব্বরে সাপ হয়ে এসে কামড়াবে।
প্লেট হাত ধুয়ে সেই পানি খাইলে নাকি সর্বরোগ ভালো হয়।
টিকটিকি ডাকলে নাকি ঠিক তার আগে মূহুর্তে বলা কথা খাটি সত্য।

বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণ করতে অনেক অযথা ভয় মাথায় ঢুকানো হয়।
দুষ্টুমি করলে ছেলেধরা এসে ধরে নিয়ে যাবে।
জুজুবুড়ি এসে দুষ্টু বাচ্চাদের কচমচ করে খেয়ে ফেলবে।
এইসব আজাইরা ভয় দেখিয়ে বাচ্চাদের মানসিকতায় যথেষ্ট সমস্যা তৈরি করা হয়। এর চেয়ে ছেলেধরা বা যৌন নির্যাতন কারী নিয়ে সঠিক শিক্ষা দিলে কি হয়? সেটা বেশিরভাগ বাপ মা দেন না, কারণ তাহলে নিজেদের কাজ বাড়ে। বাচ্চাকে ভচকায় ফেলেও নিজেদের আরাম হইলে তাই সই।

আমাদের বাসার ছাদে মা কিছু তুলসী লাগিয়েছিলেন। একজন এসে বললেন-"এসব হিন্দুয়ানি গাছ লাগিয়েছ কেন?"

আমার ছোটভাই আমাকে দাদা বলে ডাকে। একজন আমার ওই ছোট্ট ভাইটিকে বলল, ভাইকে দাদা ডাক কেন? ওটা তো হিন্দুরা বলে।

ফাহমিদুল হান্নান রূপক

লিখাটাও পিঁপড়া সাইজের!