কবিতা — ২ : মেঘকাব্য

প্রেমিকটার কথা মনে করিয়ে দিয়ে নিজের কথা মনে হয়ে গেলো।

_____________________________________________
"যে কথায় কবিতা জন্মাতো সে-কথার শিরায় শিরায় বিষ, এক-একটা কথার ছোবলে কবিতার খাতা পুড়িয়ে দিস..."

প্রহরী ভাই আজকাল কবিতাও লেখেন... হুঁম, গতিক সুবিধার না !!
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

ঘটনা অতিশয় সন্দেহজনক, ঈদানিং আপনি সব লেখায় কোন না কোন ভাবে বালিকা প্রেমিকা এইসব হাজির করেন ঝাইড়া কাশেন

বাহ্ ! শেষে খুব জমে উঠলো।

বুঝেছি কে যেন তোমার হাত ফিরিয়ে দিয়েছে!

কবিতা ভালো লেগেছে। এত কম লেখ কেন?

ইদানীং প্রহরীর গদ্য পদ্য দুই ক্ষেত্রেই ঝাঁঝালো সব লেখা বের হচ্ছে, মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম-আগাগোড়া। তবে মনে একটা প্রশ্ন জাগল--
কবি প্রহরী না গদ্যের অতন্দ্র প্রহরী না অতিথি প্রহরী--শেষ পর্যন্ত কালের বিচারে কে টিকে যাবে?

হুম। ভাবগতিক সুবিধার ঠেকতেছে না- অতন্দ্র প্রহরী এত যত্ন কইরা সুন্দর সুন্দর কোবতে লিখতেছে। বালিকাবেশ নাকি?!

এখনই তো কবিতা লেখার সময়, পরে আর কবিতা বের হবেনা। কবিতা জোর করে লেখা যায়না, অটোমেটিক্যালি আসলেই হয় কবিতা। জোর করে লেখা গুলো কবিতা নয়।

আরে সব্বোনাশ !!!

বস, চমৎকার কবিতা হয়েছে (যদিও 'অভিমান' কে আমি একটু এগিয়ে রাখব)।
সবার কথা শুনে মনে হল, শিগগিরই আমরা কোন 'সুখবর' পেতে যাচ্ছি----!!
আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম বস----

এখন মনে প্রেম যার
কবিতা লেখার তার শ্রেষ্ঠ সময়
চলুক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

প্রহরীরা কবিতা লিখলে পাঠকদের কি বন্দুক হাতে পাহারা দিতে হবে? তাইলে তো মুশকিল!

ভাল্লাগ্লো সেইটা বলে গেলাম।

কবিতাটার শুরুর প্রবাহটা একেবারে শেষপর্যন্ত ধরে রাখে শব্দের মাঝে। এটা খুব চমৎকার লাগলো পড়তে গিয়ে!

আরো আসুক।

বালিকার উপমাটা চমৎকার হয়েছে। আমার প্রিয় একজন কবির এমন একটা লাইন আছেঃ

"রাত বারোটায় ঘড়ির কাটাগুলো স্তিমিত হয়ে আসে।
সঙ্গমের চেয়ে বারান্দায় দাঁড়াবার ইচ্ছেরা তীব্র হয়।"

আপনার লাইন দুটোও সেভাবে ভালো লেগে গেলো আমার।

ঊর্দ্ধমুখে > ঊর্ধ্বমুখে

চৌকোণা > চৌকোনা (কোণ, কিন্তু কোনা)

হঠাত্ লিখলে হঠাৎ-এর চে' সুখকর হয়, না? [আপনি তো এটা খেয়াল করা বা জানার কথা- ত লিখে হসন্ত দিলেই ছাপায় এখানে ত্ আসে।]

দেওয়া নিয়ে আমার একটু সমস্যা আছে। এটা তো আসোলে সাধু ভাষা। না? চলিত-তে তো দেয়া হওয়া উচিত। "প্রথমআলো" দেওয়া দেয়, কিন্তু আমার মনে হয় এটা ঠিক না। যেমন ক'রে কিনা পত্রিকায় ভালবাসা লিখলেও আপনি আমি মনে করি আসোলে লেখা উচিত ভালোবাসা।

উপরের এইগুলা ছিল আকামের জ্ঞানের কথা। আপনার বানান ভুল তেমন একটা থাকেই না, বরং মাঝেমধ্যে বেখেয়ালে আমারও হয় ওইরকম একআধটু। আপনাকে ধরি এইটুকু আজকাল, কারণ আপনি ওই পারফেকশনটা ওই পরিমাণই ভ্যালু করেন।

আরেকটা ফোড়ন বাকি আছে ছোট্ট- শুরুতেই তো বৃষ্টিরেণুদের ঘুম ভাঙার কথা দেখি। তারপরে আবার সেই ঘুম ভাঙার পরে বা ফলে বা ধারাবাহিকতায় অন্য যা যা হচ্ছে, তারও এক জায়গায় দেখলাম ওই ফলগুলোরই শেষের দিকের (অপেক্ষাকৃতভাবে দূরবর্তী) একটা ঘটনা আবার কারণ হয়ে দাঁড়ালো বৃষ্টিরেণুদের ঘুম ভাঙার! এটা কি আপনার বেখেয়াল, না কি ইচ্ছা করেই স্বপ্ন-জাগরণ-স্বপ্নের মতো একটা বহুস্তরা পৌনঃপুনিকতা
এখানে যোগ করলেন আপনার সচেতন ইচ্ছাতেই?- এটা একটু বলবেন প্লিজ।

যাক, শেষ কথা, হক কথা, এক কথা- কবিতা পড়তে ফাটাফাটি হয়েছে।
নামে কালিদাসীয় কিন্তু চলতে চলতে যথেষ্টই অতন্দ্রপ্রাহরিক!

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

খুব সুন্দর!!

"হামিদা আখতার"

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

লাইনগুলো উদ্ধৃত করলাম না আর... তবে খুব ভালো লাগলো, আরও অনেক কিছু বলার ছিলো, এখন ইচ্ছে করছেনা...

---------------------------------------------
আয়েশ করে আলসেমীতে ২৩ বছর পার, ভাল্লাগেনা আর!

আরে!!!

এইবার তাইলে কাব্যের ক্ষেতখামার পাহারা দেন।
......................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

এই তাইলে ঘটনা বস !!!!

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

বাহ্!
----------------------------------------
বাসে অনেক ঘুম জমে
ভিতরে ভুলে যাই শস্যের চমক
----------------------------------------
হা-তে এ-ক প্র-স্থ জো-ছ-না পা-ড়ে-র ঘ্রা-ণ