আসিতেছে...কাউস্ট...(KAUST)

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: শুক্র, ০৭/১১/২০০৮ - ১১:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রথম শুনেছিলাম শহীদুল্লাহ্‌ স্যারের কাছ থেকে...

"তোমরা সবাই অ্যাপ্লাই করো...সৌদি আরবে নতুন একটা বিশ্ববিদ্যালয় চালু হচ্ছে...কিং আব্দুল্লাহ্‌ ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স এন্ড টেকনোলোজি। যারা চান্স পাবে তাদের জন্য একটা করে ল্যাপটপ ফ্রি...

সৌদি আরব...সবাই নাক শিটকায়...এই জায়গায় কে যাবে পড়তে...মানুষ শুনলে কি বলবে...

ভাই আপনার ছেলে তো ভালো ছাত্র ছিল। এখন কই আছে?

এইতো বিদেশে।

খুব ভালো...তা কোন দেশে...

জ্বী...সৌদি আরব...

ও আচ্ছা।

আমাদের ধারণা ছিল এখানে ক্রেডিট ট্রান্সফার করে যেতে হবে...ফুল ফ্রি পড়া যাবে...বিমান ভাড়া, থাকা-খাওয়া, চলাফেরা সহ অন্যান্য আরও খরচ বহন করবে ভার্সিটি...হিসেব কষে দেখা গেলো টাকার অংকটা বিশাল। তারা শুধু ছাত্র চায়।

আমরা তাও পাত্তা দেই না...সৌদি আরব বলে কথা...

গতকালকে নেট ঘেটে জানতে পারলাম আসল তথ্য...

২০০৯ সাল থেকে যাত্রা শুরু করবে এই রিসার্চ ইউনিভার্সিটি। ক্যাম্পাস জেদ্দা থেকে ৮০ কিমি দূরে। আয়তন ৯০০০ একর।

প্রতি অর্থবছরে ভার্সিটির অনুদান ধরা হয়েছে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এমআইটি (MIT) এর অনুদান ৯.৯৮ বিলিয়ন...অক্সফোর্ডের ৩.৮ বিলিয়ন। তাদের চেয়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে স্ট্যানফোর্ড। তাদের ১৭.২ বিলিয়ন। আর কেউ আছে কিনা জানি না...

এইবার পড়ালেখা। শুরুতে ভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট হবে পাঁচটি। মেকানিক্যাল, কম্পিউটার, কেমিক্যাল, ম্যাটেরিয়াল সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সিভিল। একাডেমিক কার্যক্রম চালানোর জন্য পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করা হয়েছে "ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে", "স্ট্যানফোর্ড", "ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস অ্যাট অস্টিন" এর সাথে। বার্কলে দেখবে মেকানিক্যাল, স্ট্যানফোর্ড কম্পু...আর টেক্সাস আলারা প্রাশাসনিক কাজ কাম।

ক্রেডিট ট্রান্সফারের কোন ব্যাপার নেই। এখন যারা আবেদন করবে তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃতরা নিজ নিজ ভার্সিটিতেই আন্ডার গ্রাজুয়েশন শেষ করবে। উপরি হিসেবে তাদের দেয়া হবে ল্যাপটপ, টিউশন ফিস, পকেট এলাউন্স। শর্ত একটাই আন্ডারগ্রাজুয়েশনের পর এমএস এর জন্য ওখানে যেতে হবে...

এতো কিছু জানার পর আমরা নড়েচড়ে বসি। অফারটা তো ভালই...

তখন জানা গেলো...এটা শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য নয়। প্রেসিডেন্ট হলেন সিঙ্গাপুরের এক ভদ্রলোক। ছাত্র বাছাই করবে অস্টিন। সারা দুনিয়া থেকে মাত্র ২৫০ জনকে... ছেলে কিংবা মেয়ে...এদের জন্য নিয়োজিত থাকবে প্রায় ২০,০০০ স্টাফ।

আমরা আবার পিছু হটি...নিজেকে স্বান্তণা দেই কি দরকার সৌদি যাওয়ার...এইতো বেশ আছি।

ভাবসাবে মনে হচ্ছে কয়েক বছরের মধ্যেই রিসার্চ ইউনিভার্সিটির ড়্যাংকিয়ে টপ টুয়েন্টিতে উঠে যাবে...

গড় রেটিং

(১ ভোট)

Trackback URL for this post:
http://www.sachalayatan.com/trackback/14483

লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: সোম, ২০০৮-০৪-২১ ২০:০৩)
উদ্ধৃতি | রায়হান আবীর এর ব্লগ | ১৯টি মন্তব্য | পছন্দের পোস্টে যুক্ত | আপত্তি জানান | ৩২৬বার পঠিত

Views or opinions expressed in this post solely belong to the writer, রায়হান আবীর. Sachalayatan.com can not be held responsible.

১ | নজরুল ইসলাম | সোম, ২০০৮-০৪-২১ ২০:১১

পুরা বিদেশী

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২১ ২১:৫২

মেইন অফিস ওয়াশিংটনে...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২ | লুৎফুল আরেফীন | সোম, ২০০৮-০৪-২১ ২০:২৮

সৌদি আরব সংক্রান্ত আমাদের মনোভাবটা ভালোই বলেছেন। কথা সত্য।

কিং ফাহাদ নামের একটা ইউনি আছে ওখানে, সেটাও বেশ নাম করা শুনেছি।

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২১ ২১:৪৫

কিং ফাহাদ খুব নামকরা...

কিন্তু আমাদের এখানে সৌদি আরবে থাকে কিছু বাংগালী ছেলে আছে। যাদের কাছ থেকে শুনেছি লেখাপড়ার মান অতো ভালো নয় সৌদি ইউনিগুলোর। আর পড়ানোর মাধ্যম নাকি আরবী। তবে কাউস্ট এর কথা আলাদা। এরা যেই ভাবে তোড়জোড় শুরু করছে তাতে করে বিশাল একটা কিছু হয়ে যাবে মনে হয়।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৩ | সুবিনয় মুস্তফী | সোম, ২০০৮-০৪-২১ ২১:০৭

মোদ্দা কথা তেলের টাকা ফেলার জায়গা নাই। ৭০-এর দশকের তেল বুমের পরে গালফ আরবের রাজপুত্ররা খালি টাকা উড়াইতে ব্যস্ত ছিল - ভেগাস আর মোনাকোর ক্যাসিনো, বিলেতের রেসকোর্স, দামী দামী প্রমোদ-তরী আর টানা টানা লাক্সারী গাড়ি। (আরও সাইড ব্যবসা ছিল গরীব মুসলিম দেশে মাদ্রাসা বানায় গরীবের পোলাপানের ব্রেনওয়াশ করা, আর ওসামার মত লোকদের জিহাদের পয়সা যোগানো।)

এইবারের তেল বুমে সেই সব বাদেও কেন জানি এরা আরেটু সচতেন হইতেছে। দুবাই-এর দেখাদেখি আবুধাবি আর কাতার এখন ফাইন্যান্স আর বাণিজ্যের কেন্দ্র হইতে চায়। এমন কি সৌদিও আপাতদৃষ্টিতে জ্ঞান-বিজ্ঞানের পথে অগ্রসর। ভিতরের কাহিনী কি, শিওর না।

নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাম্প্রতিক দুইটা রিপোর্ট - বেশ ইন্টারেস্টিং

1. Saudi King Tries to Grow Modern Ideas in Desert

2. The Construction Site Called Saudi Arabia

এর মধ্যে দ্বিতীয় লিংকটা দেখার মতো। মরুর বুকে একটা না দুইটা না, ছয় ছয়টা নতুন শহর বানানোর প্ল্যান হইতেছে। এইসব প্রজেক্টে আমাদের জনশক্তির কাজ করারও প্রচুর পোটেনশিয়াল থাকবে বলে মনে করি - সেটা শিক্ষিত সিভিল বা মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে আমাদের স্বল্প-শিক্ষিত কন্সট্রাকশন শ্রমিক পর্যন্ত।
-------------------------
হাজার বছর ব্লগর ব্লগর

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩.১ | রায়হান আবীর | সোম, ২০০৮-০৪-২১ ২১:৩২

প্রথম কথাটি একশ ভাগ খাঁটি...

তবে বণিকদের খালি টাকাই আছে। বুদ্ধি শুদ্ধি নিয়ে আমার খানিকটা সংশয় আছে। আমাদের ভার্সিটিও তাদের তেলের টাকায় চলে। কি পরিমাণ টাকা যে আমাদের ভার্সিটির আছে তা আল্লাই জানে। তবে তাতে কামের কাম কিছু হয় নাই। ফ্যাকাল্টির অবস্থা খুব খারাপ। এইটা তাদের আরোপিত বিভিন্ন নিয়মের কারণেই হয়তো...

কিং আব্দুল্লাহ্‌ এর কাহিনী পুরা উড়াধূড়া। সৌদিকে জ্ঞান বিজ্ঞানে সারা দুনিয়ার সামনে তুলে ধরাটাই এর উদ্দেশ্য। দুনিয়াতে তো তারা তেলের বণিক ছাড়া আর কেউ নয়...এই পরিচয়ে আর কয়দিন...

সেকেন্ড লিঙ্কটা আসলেই ( )। আলীশান কান্ড...

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৪ | পরিবর্তনশীল | সোম, ২০০৮-০৪-২১ ২২:১০

আফসোস হইতাছে আফসোস!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

৫ | শিক্ষানবিস | সোম, ২০০৮-০৪-২১ ২২:১১

এ ধরণের উদ্যোগের দুইটা ইতিবাচক দিক আছে। দুটাই ভাল লেগেছে:
- বিনা শ্রমে পেয়ে যাওয়া এত টাকা একটা গঠনমূলক খাতে খরচ করা হচ্ছে। এ ধরণের গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় সমগ্র বিশ্বের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।
- ভার্সিটিটা সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তিতে হচ্ছে। এই জিনিসটা বর্তমানে খুবই দরকারি।

এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৬ | রাগিব | সোম, ২০০৮-০৪-২১ ২২:২৪

হার্ভার্ডের অনুদান সম্ভবত আমেরিকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি।

----------------
গণক মিস্তিরি
ভুট্টা ক্ষেত, আম্রিকা
http://www.ragibhasan.com

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১০

৭ | তানভীর | সোম, ২০০৮-০৪-২১ ২২:৫৭

মধ্যপ্রাচ্যে শিক্ষাবাণিজ্য এখন খুবই রমরমা। আমাদের টেক্সাস এএন্ডএম ইতিমধ্যে কাতারের এডুকেশন সিটিতে ব্রাঞ্চ খুলেছে। এডুকেশন সিটিতে আরো আসছে কার্নেগী মেলন, জর্জটাউনের মতো ইউনিভার্সিটি। শুনেছি হার্ভাড, এমআইটি এরাও আসবে সামনে। মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে সৌদি, কুয়েত, কাতার, ইউএই এসব দেশের স্টুডেন্টরা আমেরিকায় পড়ে নিজের টাকা খরচ করে বা সরকারের পয়সায়। আমি এখনো এসব দেশের কোন স্টুডেন্ট পাইনি যে ইউনিভার্সিটি স্কলারশীপ/এসিস্ট্যান্টশীপ নিয়ে পড়ছে। এই তেলের পয়সাওয়ালা ছাত্রদের কাছ থেকে আরো বেশী পয়সা হাতানোর জন্য আমেরিকার ইউনিগুলা এখন তাদের দেশে ভীড় জমিয়েছে। উদ্দেশ্য তোমাদের এত কষ্ট করে বিদেশে আসার দরকার কি, টাকা যখন দিচ্ছ আমরাই তোমাদের দেশে গিয়ে শিখিয়ে-পড়িয়ে আসব। তবে এতে করে এ অঞ্চলের শিক্ষা-ব্যবস্থা, গবেষণা ইত্যাদি আগের চেয়ে উন্নত হচ্ছে। এখন প্রায় প্রত্যেক ইউনিভার্সিটিতে ইউরোপ-আমেরিকা থেকে ফ্যাকাল্টি নেয়া হচ্ছে, কারিকুলাম করা হয়েছে সে স্ট্যান্ডার্ডে এবং ইন্সট্রাকশন ল্যাংগুয়েজ ইংরেজী। আমিও একখান থেকে একটা অফার পেয়েছি; মিডল ইস্ট যাব কিনা ভাবছি । কিন্তু গেলে দেশে ডায়লগগুলা ঠিক এই পোস্টের মতই হবে-
- আপনার ছেলে কি বিদেশেই আছে এখনো?
- জ্বি
- খুব ভালো। আম্রিকা তো ভালো জায়গা। ওখানেই আছে?
- জ্বি না, এখন আছে মিডল ইস্টে।
- ও আচ্ছা
- (মনে মনে - আম্রিকায় ভাত না পায়া ব্যাটা এখন মিডল ইস্ট গেছে )

=============
"আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম"

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১১

৭.১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-২২ ০০:৫১

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১২

৭.২ | দিগন্ত | বুধ, ২০০৮-০৪-২৩ ০২:৩৬

উদ্ধৃতি
মধ্যপ্রাচ্যে শিক্ষাবাণিজ্য এখন খুবই রমরমা।

- এটাই মোদ্দা কথা।

হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৩

৮ | ফারুক হাসান | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-২২ ০১:২৬

আমাদের এখানেও (ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিংগাপুরে, NUS) KAUST নিয়ে বেশ কথা হচ্ছে। NUS এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রফেসর শি চুন ফং এই বছরের শেষেই KAUSTএ প্রেসিডেন্ট হিসেবে যোগ দিচ্ছে। আমরা প্রায়ই আন্দাজ করতে চেষ্ঠা করি, কত মিলিয়ন ডলারের অফার পেয়েই না সে মিডিল ইস্টে যাচ্ছে!
কদিন আগেই প্রফেসর শি সৌদি আরবের MIT ক্লাবে ভাষণ দিয়ে আসলেন। সেটা এখন NUS এর ওয়েবে ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে।
KAUST গবেষণার জন্য প্রচুর ফান্ডও বিতরণ করে চলছে বলে মনে হচ্ছে। সেদিন আমার সুপারভাইজার একটা প্রপোজাল লিখতে বললেন KAUST এর সাথে জয়েন্ট প্রজেক্টের জন্য। টাকার এমনিতেই কোনো অভাব নেই। তারওপর মনে হলো, সৌদিআরবের তেল-গ্যাস কোম্পানিগুলোর সাথে KAUST ভালোই খাতির জমিয়েছে, কেমিকৌশলে গবেষণার প্রচুর প্রজেক্ট আসছে কোম্পানিগুলো থেকে।
তানভীর ভাই যেমন বলেছেন, শুধু সৌদি আরবই নয়, বাহরাইন, আরব আমিরাত, কাতার- এই সব দেশগুলোও এখন পড়াশোনা আর গবেষণায় টাকা ঢালতে শুরু করেছে। কাতারের ব্যাপারে আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা আছে। একটা সিরিজও লিখেছিলাম যেখানে সেখানকার ইউনিভার্সিটিগুলের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছি। দেখে শুনে মনে হয়েছে, মিডিল ইস্টে শিক্ষাভত্তিক রুটি রুজির একটা সম্ভাবনা ভালোই তৈরি হচ্ছে।
কোলাবরেশনগুলো যেহেতু নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেই হচ্ছে, মধ্যপ্রাচ্যের এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষা আর গবেষণার মান ভালোই হবে আশা করা যায়। তবে বাংলাদেশ থেকে কি পরিমাণ ছাত্র নিকট ভবিষ্যতে এইসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যেতে পারবে, সেটা এই মুহুর্তে বলা কঠিন।
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৪

৮.১ | দিগন্ত | বুধ, ২০০৮-০৪-২৩ ০২:৩৯

ভাল, এসব জায়গায় পড়িয়ে টাকা ইনকাম করার একটা রাস্তা তৈরী হচ্ছে। আশাকরি ওরা ওদের দেশীয় প্রফেসরদের এখনই নেবে না চট করে। আর ইউরোপ/আমেরিকার প্রফেসররা আসবে না। তার মানে এশিয়ানদের সুযোগ - খেপ খেলে টাকা রোজগার করার।

হাতি ঘোড়া গেল তল, মশা বলে কত জল।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৫

৯ | সৌরভ | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-২২ ০৬:৪১

তেল!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৬
১০ | তারেক | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-২২ ০৯:৩৯

শুনেছি এটার ব্যাপারে।
সেদিন একটা ইউনিভার্সিটির বাস এসেছিল আমাদের এখানে... নাম হল আম্বান! (AmBan University) আমি ভাবলাম America না হয়ে Humburg হলে আরো ভালো হত
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৭

১১ | আনোয়ার সাদাত শিমুল | মঙ্গল, ২০০৮-০৪-২২ ১৪:৫৯

আচ্ছা ।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৮

১২ | অতিথি লেখক [অতিথি] | শুক্র, ২০০৮-০৪-২৫ ১০:০৭

আগ্রহ বোধ করছি!!
তথ্যটা সেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

--------
স্পর্শ

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১৯

১৩ | অতিথি লেখক [অতিথি] | সোম, ২০০৮-০৪-২৮ ০২:৫৮

ভাল তো চলে যান সৌদি কয়দিন আর বাঁচবেন বলেন...?
-নিরিবিলি

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান


মন্তব্য

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

কাউস্ট যাইতে ইচ্ছা করতাছে তো !
তয় আমার পড়াশুনার লাইন এইগুলার কোনোটাই না।

--------------------------------------------------------

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।