একজন আশরাফের কথা...

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: শনি, ১৫/১১/২০০৮ - ৬:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কিরে কি খবর? কেমন কাটলো ফার্স্ট টার্ম...
আর কইসনা...পাঙ্গা খাইতে খাইতে শেষ।
আরে মামু, বিএমএ তে গ্যাছো, পাঙ্গা খাবানা...এইটা কেমন কথা। তা খাইলি কেমন?

আশরাফ এক্কেবারে প্রথমদিন থেকে বর্ণনা শুরু করে।

দোস্ত জানস, প্রথম ছয়দিনের কথা আমার একদম মনে নাই।
ফাইজলামি করস? মনে থাকবো না ক্যান? মন কি মাথা থেকে হাঁটুতে তে রিপ্লেস করছোস নাকি?
আরে না। রাত নয়টার মধ্যে রিপোর্টিং ছিল। আমি সাতটার মধ্যেই ঢুকে গেলাম। সাথে সাথেই ব্যাগ মাথার উপর তুলে দিয়ে উঠবস করানো শুরু করলো। আমি ভাবছি মজাক করে। কিন্তু তারা যে মোটেই মজাক করছেনা সেইটা বুঝলাম দুই ঘন্টা পর। উঠবস করছি তো করছি...শেষ দিকে আর কোন ফিলিংস ছিলনা...যন্ত্রের মতো খালি উঠো আর বসো, উঠো আর বসো...

ছয়দিন পর বোধ উদয় হলো...খুব সম্ভবত জুমার সময় ১ ঘন্টা মসজিদে ঘুমানোর সুযোগ পেয়ে। নামাজের পর বাইরে বের হলাম। সিনিয়র ভাইয়ারা সবাইকে পাঞ্জাবী খুলে ফেলতে বললেন।
ক্যান?
ভাজি করার জন্য...
এইটা আবার কি?
আরে খালি গা করে বাস্কেটবল গ্রাউন্ডে শোয়ায় রাখে। তারপর পরোটার মতো উলট পালট করে...
দোস্ত সূর্য যে একটা আগুনের গোলা সেইটা বিএমএ তে যেয়ে টের পাইছি...
ধুর!! পানিশমেন্ট এর কথা বাদ দে...অন্য কিছু বল। তোদের ওখানে মজার কিছু ঘটেনা?

আশরাফ তারপর মজার ঘটনা বলা শুরু করে। সেই ঘটনাও কিভাবে কিভাবে যেন পানিসশমেন্টে গিয়ে শেষ হয়...

এরপর ছুটি ছাটায় ও্র সাথে দেখা করতাম...ওর বিএমএ এর কাহিনী শুনতাম...

অফিসার হয়ে ঢাকায় এসে আশরাফ ফোন দেয়...সাথে মাসুদ, ফিরোজ, আমিন, নাজমুল সবাই...অফিসার বন্ধুদের সাথে আমরা নন অফিসার (ব্লাডি সিভিলিয়ান) রাও যোগ দেই...রাতে বুয়েটে শাক-পাতা পার্টি হয়...সেই পার্টিতে আমি এক কোনায় ঝিম মেরে পড়ে থাকা আশরাফকে জিজ্ঞেস করি,

দোস্ত, তুই এখনও কবিতা লিখিস...
নারে!! আর্মির সাথে আসলে কবিতা যায়না...
কিন্তু এরশাদ তো লিখছে...
আরে ধুর!!!

আমি ওর মুখের দিকে তাকিয়ে পুরোনো আশরাফকে খুঁজে বেড়াই...

কি দুর্দান্ত কবিতাই না ও লিখতো...আমার নিজের ডাইরীতে ওর অনেক কবিতা লিখে রাখা আছে...প্রিয় কবি সুনীলের তো বই আছে...কিন্তু দ্বিতীয় প্রিয় কবি সেই আশরাফের তো কোন বই নাই...তাই লিখে রাখা...সময়ে অসময়ে সেগুলো পড়া...

শুধুই কি কবিতা...ওর সবচে বেস্ট ছিল ঈশপের গপ্পগুলা...রাতে একাডেমিতে আমরা যখন টাই- প্যান্ট পড়ে পড়া-লেখার চেষ্টা চালাতাম তখন ও শুরু করতো উপস্থিত ঈশপের গল্প...পাশের সেকশন থেকে পর্যন্ত পোলাপাইন চলে আসতো সেই গল্প শুনতে......

সেই সাহিত্যিক শয়তানটা গত দুইটা বছর কিছুই লিখে নাই...

আমার খালি চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে...ওই ব্যাটা মাইনুদ্দিন...আমাগো আশরাফ রে ফিরাই দে...


গড় রেটিং

(২ ভোট)

Trackback URL for this post:
http://www.sachalayatan.com/trackback/14825

লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৪:১৫)
উদ্ধৃতি | রায়হান আবীর এর ব্লগ | ৩৭টি মন্তব্য | পছন্দের পোস্টে যুক্ত | আপত্তি জানান | ২৪৫বার পঠিত

Views or opinions expressed in this post solely belong to the writer, রায়হান আবীর. Sachalayatan.com can not be held responsible.

১ | সংসারে এক সন্ন্যাসী | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৫:১৮

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍বিএমএ হচ্ছে সিভিলিয়ান মগজকে মাথা থেকে বের করে নিয়ে সামরিক মগজ দিয়ে প্রতিস্থাপন করে হাঁটুতে ঢুকিয়ে দেয়ার অপারেশন থিয়েটার।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
নিঃস্বার্থ বন্ধুত্ব দেবো। কিন্তু কী পাবো তার বদলে?

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৯:৩৭

বেশ দারুন একটা সংজ্ঞা হলো তো...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২ | ধুসর গোধূলি | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৫:৪৯

- মানু মিয়ার কারখানা!

তয় মানু মিয়ারে বইকা লাভ নাই। আপনের দুস্ত গেলো ক্যান ঐ কারখানায়?
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৯:৪০

বোধ করি আশে পাশের মানুষ গলা চিপা পাঠাইছে...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৩ | দ্রোহী | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৫:৫২

আমি আর্মিতে যাইতে চাইছিলাম।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য পরীক্ষা দেয়া হয়ে উঠে নাই।
কি মাঝি? ডরাইলা?

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৯:৪১

উদ্ধৃতি
আমি আর্মিতে যাইতে চাইছিলাম।

ছবিটা দেখে আমারো তাই মনে হচ্ছে।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

৩.১.১ | ধুসর গোধূলি | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ১৩:৪২

- ভুসমা সাইজের একটা পেট লইয়া হেয় যাইতে চাইছে আর্মিতে।
অই তোরা আমারে ধর!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩.১.১.১ | দ্রোহী | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ২৩:৫০

পেট দিয়া কি গুল্লি করমু নিকি? ঘাড়ে কি রাখা আছে খিয়াল কইরা....................খুব খিয়াল কইরা।
কি মাঝি? ডরাইলা?

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩.১.১.১.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ২৩:৫৭

এই সব মারামারি, কাটা-মাটি চলবোনা...খাড়ান FBI রে এখনই সব জানাইতাছি...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১০

৪ | রেনেট | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৬:৫৯

কবি আশরাফের জন্য খারাপ লাগছে।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১১

৪.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৯:৪৩

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১২

৪.২ | অতিথি লেখক [অতিথি] | বুধ, ২০০৮-০৫-২১ ১৩:০৫

কবি আশরাফ বলছি...আমার জন্য খারাপ লাগার জন্য আমারো খারাপ লাগছে।

আশরাফ

ashraf_7464@yahoo.com

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১৩
৫ | তারেক | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৭:২৭

ভাজি !!!
বেচারা... ভুতে কিলাইছিলো নাকি তারে?গেলো ক্যান?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৪

৫.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৯:৪৪

ক্যান আর যাবে...ভাজি হওনের সখ জাগছিল মনে হয়।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১৫

৬ | অতিথি লেখক [অতিথি] | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৮:৪০

*****************উলুম্বুশ******************
কেন যে এরা আর্মিতে যায়। আমার দেখা এক ছোট ভাই , কত করে মানা করলাম আর্মিতে যাইওনা। খুবই পোটেনশিয়াল ছিল। তাও গেল। হুদাই।
নিজেকে চিনতে পারাটা সেই বয়সে আসলেই কঠিন। আফসোস লাগে পরে

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১৬

৬.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ২৩:৪৬

আসলেই উলুম্বাশ ভাই...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১৭

৭ | অতিথি লেখক [অতিথি] | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ০৯:০৩

ইস ছেলেটার জন্য খারপ লাগছে!
ওর একটা কবিতাও দিয়ে দিতে এই ব্লগে!

আমার ঐ লাইনের ফ্রেণ্ড রাও দেখি শুধু পানিশ্মেন্ট এরকথা বলে !!
অবশ্য মুইনুদ্দিন কে গালি দিয়ে কি হবে!

সুন্দর লিখেছ।

----
স্পর্শ

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

১৮

৭.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ২৩:৪৯

উদ্ধৃতি
ওর একটা কবিতাও দিয়ে দিতে এই ব্লগে!

দেখি কপিরাইট দিয়া দিতে রাজি হয় কি না?
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

১৯

৮ | পরিবর্তনশীল | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ১০:১৬

মাশাআল্লাহ!
আশরাফের দুই একটা কবিতা আমাগোরে দে। পড়ি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

২০

৮.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ২৩:৫৪

ওয়ালাইকুম...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২১

৯ | অতন্দ্র প্রহরী | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ১২:৩৭

হুমম, পরিবর্তনশীলের সাথে একমত। কিছু কবিতা ছাড়ো, একলা একলাই পড়বা, এইটা ঠিক না! তবে তোমার বন্ধুর জন্য যতটা খারাপ লাগছে, তারচে বেশি লাগছে তোমার জন্য!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২২

৯.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ২৩:৫১

আমার জন্য খারাপ লাগার কোন কারণ নাই। আগে খালি আশরাফের লেখা পড়তাম। এখন তো কতো আশরাফ এই সচলে আছে।
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২৩

১০ | অতিথি লেখক [অতিথি] | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ১২:৫০

দোস্ত সূর্য যে একটা আগুনের গোলা সেইটা বিএমএ তে যেয়ে টের পাইছি...
জটিল লাগলো লাইনটা।
ক্যাডেটের এক ছাত্রকে মাঝখানে কয়েক মাস পড়িয়েছি। ওর গল্পগুলিও সব এই ধরণের হয় - শাস্তিকেন্দ্রিক! তবে খুব শীঘ্রই তারা এগুলার সাথে অভ্যস্থ হয়ে যায়...

রিজভী

--------------------------------
কেউ যাহা জানে নাই- কোনো এক বাণী-
আমি বহে আনি;

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

২৪

১০.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ২৩:০০

হবেই তো...কারণ এখন তাদের যে শাস্তি দিতাসে একদিন সেও খাইছে। এখন শোধ তুলতাছে। যারে দিতাছে তারও সামনে শোধ তুলার দিন আসবে।

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২৫

১১ | আনোয়ার সাদাত শিমুল | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ১৪:৫৮

আশরাফ হয়তো কবিতা লিখে গোপন ডায়েরিতে -
আপনি জানেন না।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২৬

১১.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ২২:৫৭

ভাইরে আমি জানি...সে এখন মোটেও কবিতা লেখার মতো দু' নম্বরী কাজে সময় নষ্ট করেনা।

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২৭

১২ | নজরুল ইসলাম | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ১৬:২৫

ছোটবেলায় হেল কমান্ড পইড়া ভয়ঙ্কর লাগছিলো... এইরকম ট্রেনিং?!?
পরে আপন বন্ধুদেরকেও দেখছি... তারা বড় হয়া আর মানুষ হইতে পারে নাই... সেনা অফিসার হয়া গেছে...!!!
একসময় ভাবছিলাম কেন তারা এইরকম করে? সবগুলা কি অসুস্থ নাকি পাগল? পরে বুঝলাম আসলে তা না... তাগো সিস্টেমটাই এইরকম... মানসিক বিকৃতিটা তাগোর মগজে পোক্ত কইরা ঢুকায়ে দেয়... তা নইলে নাকি যুদ্ধকালে মাথা ঠান্ডা কইরা গুলি চালাইতে পারবো না... মানুষ হত্যার নীল নকশা করতে পারবো না... বিকৃতিটা তাই অন্তর্গত ব্যাপার হয়।

তবে তাগো যে একদমই ক্রিয়েটিভিটি থাকে না সেইটা কিন্তু সত্যি না... কবিতা লেখার চাইতে তারা শাস্তির নতুন নতুন আজগুবি ধরণ পয়দা করতে যাবতীয় ক্রিয়েটিভিটি খাটায়... তারা নিজেদের বাচ্চাদেরও আদর করে মানুষের মতো না... আর্মিগো মতো... আজিব...

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

২৮

১২.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ২২:৫৩

একই কথা আমি একটু অন্যভাবে বলি...

প্রত্যেক ক্যাডেট কলেজের দায়িত্বে থাকে একজন মেজর পদস্থ সামরিক অফিসার। কত উপায়ে যে মানসিক, দৈহিক টর্চার তারা করতো সেইটার ইয়েত্তা নাই। আমরা পেইন খালিতাম আর মনে মনে বলতাম, যদি আমি কখনো কোন কলেজে এডজুটেন্ট হয়ে যাই, তাহলে ক্যাডেটদের মেন্টাল টর্চার করবো না...রাতে হাউসে যেয়ে পেইন দিবোনা...কিন্তু এই শপথ ধুয়ে মুছে দিতে আর্মির সময় লাগে কয়েক বছর। আমি নিশ্চিত আমার কোন দোস্ত এডজুটেন্ট হলে খাইস্টামি কোন অংশে কম করবে না।

উদ্ধৃতি
তবে তাগো যে একদমই ক্রিয়েটিভিটি থাকে না সেইটা কিন্তু সত্যি না... কবিতা লেখার চাইতে তারা শাস্তির নতুন নতুন আজগুবি ধরণ পয়দা করতে যাবতীয় ক্রিয়েটিভিটি খাটায়... তারা নিজেদের বাচ্চাদেরও আদর করে মানুষের মতো না... আর্মিগো মতো... আজিব...

হায়রে ক্রিয়েটিভিটি। এইটার ভুক্তোভোগী তো আমি নিজেই
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

২৯

১৩ | শিক্ষানবিস | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ২০:০০

উদ্ধৃতি
দোস্ত সূর্য যে একটা আগুনের গোলা সেইটা বিএমএ তে যেয়ে টের পাইছি...

আশরাফের কবিত্ব যে এখনও যায় নাই এই লাইনটা তার প্রমাণ। আমার অন্তত তাই মনে হল। আশরাফরে বল আবার শুরু করতে। আমার বিশ্বাস আবারও উড়ায় দিবে।
উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩০

১৩.১ | রায়হান আবীর | শুক্র, ২০০৮-০৫-০২ ২২:৫৬

উদ্ধৃতি
আশরাফরে বল আবার শুরু করতে। আমার বিশ্বাস আবারও উড়ায় দিবে।

পোস্টা মূলত সেই নীক নকশার প্রথম ধাপ।

---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৩১

১৩.২ | অতিথি লেখক [অতিথি] | বুধ, ২০০৮-০৫-২১ ১৩:১২

ভাইজান আপনাদের মন্তব্য পড়ে মনে হচ্ছে আবার সেই দিনগুলোয় ফিরে যাবার চেষ্টা করা যায়। ভাবছি আবার লিখব। তবে নতুন কোন কবিতা নয় শুরুতে আগের লেখা গুলো পোস্ট করব। সাড়া পেলে ভাল লাগবে।

আশরাফ

ashraf_7464@yahoo.com

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

৩২

১৪ | অতিথি লেখক [অতিথি] | শনি, ২০০৮-০৫-০৩ ০৭:৩৯

কবি আশরাফকে ঝিমানি আশরাফ বানাইয়া দিল?আহারে...।
-নিরিবিলি

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান

৩৩

১৪.১ | ধুসর গোধূলি | শনি, ২০০৮-০৫-০৩ ০৮:৫১

- ঝিমানি = মুরগী না?
মুরগীই তো ব্যারাম হৈলে ঝিমায়।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩৪

১৫ | রায়হান আবীর | শনি, ২০০৮-০৫-০৩ ১৫:৪৪

পোস্টাতে আশরাফ একটা চরিত্র মাত্র। আমাদের ২৭ টা ছেলে যারা এখন আর্মিতে আছে তাদের সবাইকে উদ্দেশ্য করে লিখা। এদের সবাই হয়তো আশরাফের মতো কবি ছিলনা, কিন্তু অনেকেই অনেক কিছু ছিল। সব কিছু বাদ দিয়ে যদিও আজ তারা শুধু আর্মি...
---------------------------------
জ্ঞানীরা ভাবলেন খুব নাস্তানাবুদ করে ছাড়া গেছে...আআআহ...কি আরাম। বিশাল মাঠের একটি তৃণের সাথে লড়াই করে জিতে গেলেন।

ছোট্ট তৃণের জন্য অপরিসীম ঘৃণা।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | সম্পাদনা | reply | আপত্তি জানান

৩৫

১৬ | সুলতানা পারভীন শিমুল | শনি, ২০০৮-০৫-০৩ ১৬:০৩

ভালো লিখেছেন।
আশরাফের কবি জীবনের পুনরুথ্থান ঘটুক।
আমিন।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩৬

১৭ | আরিফ জেবতিক | রবি, ২০০৮-০৫-০৪ ০০:১৮

৩৩তম ব্যাচ বিএমএ থেকে আমরা ভাগ্যদোষে(!) সরে এলেও , আমার ঘনিষ্ট বন্ধু কলিন্স রয়ে যায় ।
সে সবসময় বলতো , " আর্মি থেকে আমিকে বাচাঁও " এটা নাকি তার স্লোগান । খুব সুন্দর গলা ছেড়ে গান গাইতে পারত , আর পারত খাইস্টা কৌতুক বলতে ।

" আর্মি থেকে আমিকে বাচাও " স্লোগানটি সে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছিল । অন্তত : ২০০২ সালের জুলাই'র শেষ সপ্তাহে কুমিল্লা ক্যান্টে স্টেনগান দিয়ে নিজের মাথায় গুলি করার আগ পর্যন্ত ।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | reply | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৩৭

১৭.১ | রায়হান আবীর | রবি, ২০০৮-০৫-০৪ ০০:৩১

ওপস্‌!!


মন্তব্য

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।