জলপাই যুদ্ধের গল্প...

রায়হান আবীর এর ছবি
লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৮/১২/২০০৮ - ১:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উফফ!! মশাগুলা এত্তো জ্বালায় ক্যান? কামড়াবি কামড়া...কিন্তু কানের পাশে গান গাওয়ার দরকারটা কি? বিরক্তিতে নিজের পায়ে আশিমন ওজনের একটা থাপ্পড় কষালো তানভির...

সে এখন বসে আছে রসুলগঞ্জ বাজার থেকে দুই মাইল দূরে একটা ধানক্ষেতে...একটু আগে তারেক ভাই বললেন তাদের আরও একঘন্টা অপেক্ষা করতে হবে। একঘন্টা অনেক দীর্ঘ সময়। তানভির একটা সিগেরেট ধরিয়ে মাটিতে মাথা এলিয়ে দিলো। আজকের আকাশটা অনেক পরিষ্কার...কতো তারা জ্বলজ্বল করছে...মুহাম্মদ কাছে থাকলে ওর কাছে থেকে কয়েকটা তারার নাম জেনে নেয়া যেত...কিন্তু মুহাম্মদ নাই...তানভীর আকাশের দিকে তাকিয়ে তাই নিজেই তারার নামকরণ করতে থাকলো...তারাগুলোকে হয়তো আর কখনও দেখা হবে না...

অথচ আজ তার এখানে থাকার কথা ছিলনা...বুয়েট থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে খুব দ্রুত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে চাকরি পেয়ে যায় সে...প্রথম দিন অফিসে যাবার সময় তার সে কি উত্তেজনা...না জানি অফিসের মানুষগুলো কেমন হবে...তার সাথে কি খাইস্টামি করবে? সে তো খালি পড়ালেখা করেছে...কাজ কামের কিছুই জানে না এখনও...আচ্ছা সে যদি কাজ না পারে তাহলে কি তার বস তাকে বকা-ঝকা করবে...বকা খেলে তার আবার খুব মন খারাপ হয়ে যায়...

এইসব কথা ভাবতে ভাবতে হাসি পেয়ে গেল তানভিরের। না, অফিসের কেউ তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেনি...বরং সবাই এতো আপন করে নিয়েছিল যেন ও তাদের ছোট ভাই। মঞ্জুর ভাই কি কষ্ট করেই না তাকে সব কিছু দেখিয়ে দিতো...তারপর ধীরে ধীরে দুইটা বছর পার হয়ে গেল। তানভিরের ইচ্ছা ছিল পড়ালেখা করতে আমেরিকা যাবে। অফিসের কাজের চাপের মধ্যে থেকেও জিআরই তে ভালো নম্বর তুলে ফেললো...সে তখন হিসেব করছে কোন ভার্সিটিতে এপ্লাই করবে...ঠিক সেই সময়টাতেই জেনারেল আহ্‌মেদ সারাদেশে সামরিক শাসন জারীর হুকুম দিলেন...

তখন কোন পাত্তাই দিলো না সে...আখাইস্থা বাংগালীর জন্য এইটাই ঠিক আছে...খালি তো নিজেদের মধ্যে কামড়া কামড়ি। এখন বুঝ ঠ্যালা। তার ঠিক দুই সপ্তাহ পর তাদের অফিসের বস পরিবর্তন হয়ে গেল...সাদাসিদা ভালো মানুষ কবির ভাইয়ের বদলে দায়িত্ব নিলেন অবসর প্রাপ্ত কর্ণেল হোসামী হায়দার। দায়িত্ব নেবার পরদিন তিনি অফিসের সবাইকে নিয়ে কনফারেন্স করলেন। একঘন্টার কনফারেন্সে তিনি দুইশ শব্দ দ্বারা গঠিত ইংরেজী বাক্যগুলো দিয়ে যা বোঝালেন সেটার মূল বক্তব্য হলো, বিআরবি দূর্নীতিতে ছেয়ে গেছে...এখন থেকে সবাইকে নিজের কাজের জন্য তার কাছে সরাসরি জবাবদিহী করতে হবে...কাজে ফাঁকি দেওয়া চলবে না...লাব লাব লাব...

তানভীর সৎ ছেলে। খুব প্রয়োজন না হলে অফিসও কামাই দেয় না সে...তাই কর্ণেল ব্যাটার কথাগুলার কোন গুরুত্ব নেই তার কাছে...কিন্তু সমস্যা হলো তার কয়েকদিন পর...তানভীর তার ডেস্কে কাজ করছিল। হঠাৎ কর্ণেল সাহেবের আগমন...

: আরে তানভীর সাহেব, হাউ আর য়ু?
: ফাইন...থ্যাঙ্কু স্যার।
: হোয়াই উর হেয়ার ইজ টু লং? ডোন্ট য়ু হ্যাব এনাফ মানি টু কাট উর হেয়ার।

বলেই খিক খিক করে হেসে উঠলেন তিনি...রাগে তানভিরের গা জ্বলে গেল। বুশরা বলেছিল বড় চুলে তাকে খুব সুন্দর লাগে...এখন কিনা এই ব্যাটার জন্য এতো সাধের চুল কেটে ফেলতে হবে...কখনোই না...

তানভীর চুল কাটলো না...এর থেকে প্রায়ই তার বড় সাহেবের ঘরে ডাক পড়তে থাকলো। কাজে মন নেই কেনো? আজকে স্যান্ডেল পড়ে এসেছেন কেন? এইটা অফিস...আপনার ইয়ার বাসা না বুঝলেন...

এই যন্ত্রণা একমাসও সইতে পারলোনা তানভীর। তীব্র ঘৃণায় চাকরী ছেড়ে দিল সে...সেনাশাসনের প্রতি ঘৃণা। কয়েকদিন পরেই তারেক ভাইয়ের সাথে দেখা...ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র...তারেক ভাইকে সে তার দুঃখের কথা শোনালো...

: বুঝাল মিয়া এইসব ঘৃণা ফৃণা করে কাজ হবেনা...ডাইরেক্ট একশনে নামতে হবে...দুই একটারে খতম করে মরতে পারলে তবেই না শান্তি...
: তারেক ভাই এমন যদি হয়, আমারে সাথে পাবেন...

.....................................................

ওই তানভীর উঠ। তারা দেখতে দেখতে কখন যে তানভিরের দুই চোখ লেগে এসেছিল আল্লাই জানে...তানভীর উঠে দাঁড়ালো...খুব ধীরে ধীরে রসুলগঞ্জ আর্মি ক্যাম্পের দিকে এগোতে শুরু করলো পাঁচ জন যুবক...তাদের কাছে অস্ত্র সস্ত্র তেমন নেই...দুইটা সিভি-৪৭, তার কাছে একটা পিস্তল আর মোট পাঁচটা গ্রেনেড...

ক্যাম্পে পনেরো থেকে বিশ জনের বেশী থাকার কথা না...তাদের প্ল্যান হলো গ্রেনেড চার্জ করে কেটে পড়া। তারেক ভাই তার রাইফেল দিয়ে ব্যাক-আপ দিবেন। খুব সহজ ১০ মিনিটের কাজ...

রাত তখন পৌনে একটা...সবাই জায়গা মতো পজিশন নিয়ে ফেলল। এখন শুধু তারেক ভাইয়ের সংকেতের জন্য অপেক্ষা...হঠাৎ করে দুই তলা বিল্ডিং থেকে তাদের দিকে আলো জ্বলে উঠলো..."ঐ কেরে"

শিশ দিয়ে তার মাথার উপর দিয়ে কয়েকটা গুলি উড়ে গেল...তানভীরের বুকে তখন হাতুড়ির বাড়ি পড়ছে...তারেক ভাইয়ের সংকেতের অপেক্ষা না করেই সে তার গ্রেনেড ছুড়ে দিল...ততক্ষণে ক্যাম্পে হই হই পড়ে গেছে...

তানভীর জানে আর বাঁচার সুযোগ নেই...কিন্তু মরার আগে অনন্ত একটাকে খুন করবে সে...বুকে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে এগোতে শুরু করলো সে...

শেষ পর্যন্ত তানভীর কাউকে মারতে পেরেছিল কি না তা জানা যায়নি...কিন্তু তারা সবাই মারা যাবার পর ক্যাম্পের সামনে যখন লাশগুলো সাজিয়ে রাখা হলো তখন ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাফকাত এক লাশের মুখে হাসি দেখে থমকে দাঁড়ান...খুব কাছে যাবার পর ছেলেটাকে তার পরিচিত মনে হতে থাকে...কোথায় যেন দেখেছেন...ক্যাপ্টেনের তখন মনে পড়ে যায় তার কলেজ জীবনের কথা...এই ছেলেকে তিনি চিনেন...এই হাসি তিনি চিনেন...তার ফলোয়ার তানভীর...দুই জন একসাথে কতো সিগারেট খেয়েছেন চুরি করে...মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে যায় তার...কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিলেন তিনি...উঠে দাঁড়িয়ে লাশগুলোকে একসাথে কবর দেওয়ার হুকুম দিলেন...

ব্লাডি সিভিলিয়ানদের জন্য আবেগ োদার টাইম নাই তার...

বিঃদ্রঃ আমার ক্যাডেটের অনেক বন্ধুরা এখন সেনাবাহিনীতে রয়েছে। এরা আমার শুধু বন্ধু নয়, বাবা মার চাইতেও বড় কিছু...তাদের প্রতি আমার কোন রাগ নেই। থাকার প্রশ্নও ওঠেনা। কিন্তু ক্যাডেটে থাকার ফলে আর্মি এডমিনিস্ট্রেশন কি জিনিস সেইটা খুব ভালো মতো টের পেয়েছি। তারা যদি কোনদিন দেশের ক্ষমতা নেয় তাহলে কি হবে অন্য অনেকের মতো আমিও খুব ভালো করেই জানি...আর্মির মধ্যেও অনেক ভালো মানুষ আছেন, এক্কেবারে ফেরেস্তার মতো...তাদের প্রতিও আমার কোন ঘৃণা নেই।

এই গল্পের সব চরিত্র কাল্পনিক, ঘটনা কাল্পনিক, সব কিছুই কাল্পনিক...কোন কিছুর সাথে মিলে গেলে আমি দায়ী নই এক্কেবারেই...

গড় রেটিং

(০ ভোট)

Trackback URL for this post:
http://www.sachalayatan.com/trackback/15378

লিখেছেন রায়হান আবীর (তারিখ: শুক্র, ২০০৮-০৫-২৩ ২৩:১১)
উদ্ধৃতি | রায়হান আবীর এর ব্লগ | ১৪টি মন্তব্য | পছন্দের পোস্টে যুক্ত | আপত্তি জানান | ১৯৫বার পঠিত

Views or opinions expressed in this post solely belong to the writer, রায়হান আবীর. Sachalayatan.com can not be held responsible.

১ | অতিথি লেখক [অতিথি] | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ০০:০৯

খুব ভাল পোস্ট , লেখককে ধন্যবাদ ।

সবখানের সব 'ফেরেস্তার মত' ভালো একসাথে মিলে কিছু করে না কেন ? কারো কি মনে হয় না ভালো মানুষেরা অনেক দিন ধরে চুপ করে বসেই আছে । সব ভলো মানুষদেরও তো একটা দায়িত্ব আছে । এভাবে চুপ করে বসে বসে ভালো মানুষেরা দেখে সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । যতক্ষন পর্যন্ত না একেবারে একজন একজন করে ধরে ধরে মারা শুরু হয় ততদিন পর্যন্ত ভালো মানুষেরা চুপ করে বসে থাকে, আর না হয় বড়জোর বিরাট বিরাট আলোচনা করে বিচ্ছিন্ন দলে দলে । সব ভালো মানুষদেরকে কোনদিন একসাথে হতে দেখি না । কিন্তু খারাপ লোক আজীবন সব একদলে ।

আমি নিতান্তই অর্বাচীন এক বালক । আমার চেয়ে দিন-দুনিয়া অনেক বেশি দেখেছেন এমন অনেকেই এখানে আছেন । সবাই অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু মন্তব্য করবেন আশা করছি ।

- এনকিদু

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান

২ | অতিথি লেখক [অতিথি] | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ০০:১৮

আপনি গল্প অনেক ভালো লিখেন। মাঝে মাঝে এরকম দুই একটা গল্প লিখলে তো ভালই হয়। আরও লিখেন।

-নিরিবিলি

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান

৩ | স্বপ্নাহত | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ০০:৩২

ভাগ্যিস আর্মিতে যাইনাই। তাইলে কয়েক ছটাক ঘৃণা আমার জন্যেও বরাদ্দ করতি...

গল্প ভাল লেগেছে। আরো নিয়মিত গল্প লেখ...

---------------------------

থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৪ | অতিথি লেখক [অতিথি] | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ০১:৩৩

গল্প ভাল - বলার অপেক্ষা রাখে না। লেখককে ধন্যবাদ।

আমার ছোট ভাইয়ের এক ক্লাসমেট কয়েক মাস আগে সেনাবাহিনীতে সুযোগ পেয়েছে। সেই ছেলেটার মত ভাল নরম মনের মানুষ নাকি খুব কম আছে। তো এই রকম মানুষ সেনাবাহিনীতে কিভাবে নিজেকে টিকিয়ে রাখবে এই ভেবে ছোট ভাই অবাক হয়।

ভাল আর খারাপের মিশেল সব জায়গাতেই। অনুপাতটা কি হিসেবে আছে, সেটাই দেখার বিষয়। পরিবেশ মানুষের চরিত্রকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করে। সেনাসদস্যদের আপাত-অমানবিক আচরণ হয়ত অতি কঠোর নিয়মকানুনের ফসল।

- ফেরারী ফেরদৌস

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান

৪.১ | সংসারে এক সন্ন্যাসী | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ০৪:১৭

উদ্ধৃতি
‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍... আপাত-অমানবিক আচরণ...

আপাত?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

৫ | অতিথি লেখক [অতিথি] | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ০৫:০৮

গল্পটা যতই কাল্পনিক হোক- বাস্তবতার নুন-ঝাল মাখানো। সামরিক বাহিনীর লোকেরা বেসামরিক ও সাধারণ মানুষদের নিচু শ্রেণীর মানুষ হিসেবেই গণ্য করে। আর তাই প্রশিক্ষণের সময় তারা এটাও শিখতে থাকে। একজন সামরিক সদস্য বাংলাদেশের যত্রতত্র এমনকি একজন সাধারণ গৃহস্থের রান্নাঘরেও ঢুকে পড়তে পারবে- কিন্তু ক্যান্টনমেন্টের সব রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ চলতে পারবে না।
তা ছাড়া,ক্যাডেট কলেজ বা মিলিটারি একাডেমির যে জুনিয়র-সিনিয়র প্রথা দীঘকাল ধরে চলে আসছে, তার ফলে জুনিয়রটি বেশিরভাগ সময়ই সিনিয়রদের নানাবিধ তাচ্ছিল্য, হেনস্থা ইত্যাদির শিকার হয়। ফলে পরবর্তীতে সে যখন অফিসার হয়, তখন কাউকে যেনতেন ভাবে হেনস্থা করতে পারলে খুশি হয়। জলীয় সামগ্রী যে নিচের দিকেই গড়ায়- আমরা সবাই জানি। গল্পের বর্ণনা ভঙ্গী সুন্দর! ধন্যবাদ।
-জুলিয়ান সিদ্দিকী

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান

৫.১ | আশরাফ (যাচাই করা হয়নি) | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ১৩:৩৯

ভাই আমি আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না, এই কারনে নয় যে আমি সেনাবাহিনীতে আছি। আমি বরং লেখক রায়হান আবীরের সাথে একমত। সেনাবাহীনিতেও ভাল লোক আছে। তবে সত্যি কথা হল ভাল কিছু করার সু্যোগ তারা সবসময় পায় না। বাইরে থেকে যাই মনে হোক না কেন এখানে একপা সামনে যেতে হলেও হেডকোয়াটার এ জানাতে হয়। আর যেহেতু তা যায় নানা চ্যানেল হয়ে তাই মাঝখানে খারাপ কেউ থাকলে...সব মাটি।

আশরাফ

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান

৫.১.১ | অতিথি লেখক [অতিথি] | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ১৪:৫৮

সহমত

- এনকিদু

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান

৬ | নুশেরা তাজরীন | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ০৭:৩১

আবীর, গল্প ভাল হয়েছে। "মাঠের" অভিজ্ঞতায় দেখেছি জলপাই না থাকলে ছড়ি ঘোরায় জননেতা। দুটোই এতো খারাপ যে তুলনামূলক বিচার চলেনা। আমরা শুধু স্বপ্নেই এদের বিনাশ দেখি, আর এরা প্রতিনিয়ত আমাদের লাশ পোঁতে।

এরা আমার শুধু বন্ধু নয়, বাবা মার চাইতেও বড় কিছু...
এটা পড়ে আপনার বাবা-মা তো বটেই, আপনার জন্যও দুঃখ হল।

এনকিদুর মন্তব্য ভাল লাগল।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান

১০

৭ | স্পর্শ | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ১০:৪৫

আমার কিছু ক্যাডেট বন্ধুদের কাছেও তাদের মনের এধরণের ইচ্ছার কথা শুনেছি। আসলে আর্মিকে তৈরিকরা হয় যুদ্ধের জন্য। তাদের দিয়ে সিভিল ওয়ার্ক করাতে গেলে এরকম হওয়া অস্বাভাবিক না।
সুন্দর লেখা। একটা 'ভার্চুয়াল পাঁচ তারা'
-----------------------------
এখনো নজরবন্দী!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১১

৮ | শিক্ষানবিস | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ১১:৫৯

খুব ভাল লেগেছে।
গল্প লেখা শুরু করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশাকরি চালিয়ে যাবি।

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১২

৯ | আশরাফ (যাচাই করা হয়নি) | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ১৩:৪৮

উপাদেয় গল্প। উপরের লেভেলের কথা জানিনা...তবে আমরাও চাইনা এভাবে দেশ চালাতে। এটা আসলে আমাদের কাজ না। তবে সত্যি যদি আমাদের দিয়ে কাজ করাতে চায় তবে আরও স্বাধীনতা দিতে হবে...কারন আমি এখানে থেকে বুঝেছি আমাদের কোন স্বাধীনতা নেই নিজ থেকে কিছু করার। যদিও বাইরে থেকে মনে হয় কত ক্ষমতা আমাদের...হায় স্বদেশ।
--------------------------------------------------------
"একটা গোপন কথা বলি শোন...আমি উম্মাদ নই"
আশরাফ

ashraf_7464@yahoo.com

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান

১৩

১০ | তীরন্দাজ | শনি, ২০০৮-০৫-২৪ ১৫:৪২

একেবারে মুক্তিযুদ্ধের গল্পের মতো লাগছে গল্পটি। এসব চুল কাটাকাটি পুরো অন্যায়। মানুষের মৌলিক স্বাধীনতায় হাত দেয়া যে আন্যায়, এটা এইসব জলপাইদের প্রাথমিক শিক্ষায় অন্তর্ভূক্ত করা দরকার।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!

উদ্ধৃতি | ঘ্যাচাং | জবাব | আপত্তি জানান | লেখককে মেসেজ

১৪

১১ | রায়হান আবীর | মঙ্গল, ২০০৮-০৫-২৭ ২২:৫৫

পোস্টা পরীক্ষার ঠিক আগের দিন দিয়েছিলাম, তাই কারও মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়নি। গল্পটি লিখে আমার অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়েছিল...যারা কষ্ট করে পড়েছেন তাদের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ...

---------------------------------


মন্তব্য

সায়েদ এর ছবি

Thumbs up bro.........

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।