বাংলাদেশ দলের অলিম্পিক যাত্রা

রেনেট এর ছবি
লিখেছেন রেনেট (তারিখ: রবি, ১৩/০৭/২০০৮ - ১০:৪৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক
বাংলাদেশ দল অলিম্পিকে যাচ্ছে। বরাবরের মতই খেলোয়াড় ৫ জন আর কর্মকর্তা ১০ জন। সংবাদপত্রে নাকি এই নিয়ে ভীষণ হৈচৈ হচ্ছে। খেলোয়াড়ের চেয়ে কর্মকর্তার সংখ্যা বেশী কেন? বাংলাদেশ যেখানে এশিয়ান গেমসেই কিছু পায় না, সেখানে এত ঘটা করে অলিম্পিকে যাওয়ার কি দরকার...আরো কত কথা!

আরে বেকুব, তোরা পত্রিকাওয়ালারা এসবের কি বুঝিস? তোদের চাই রমরমা খবর। কোন তারকার গোপনে বিয়ে হল, অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী পত্রিকায় কি ভুল খবর ছাপা হল এগুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকবি তোরা।

তা, পত্রিকাওয়ালারা হাউকাউ করলেই যে অলিম্পিকে কর্মকর্তা যাবে না, বা খেলোয়াড় যাবে না, এতটা অরাজকতা দেশে এখনো হয় নাই। সারাবছর আমাদের খেলোয়াড়রা দৌড়াদৌড়ি, লম্ফ ঝম্ফ করে কি অলিম্পিকে না যাওয়ার জন্য?

সাংবাদিকদের বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট দল রওয়ানা হল চীনের উদ্দেশ্যে।

দুই
ওহ হো! দলের খেলোয়াড়দের সাথে তো এখন ও পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়নি। দেশের সেরা পুরুষ দৌড়বিদ মাসুম, সেরা মহিলা দৌড়বিদ আসমা, সেরা পুরুষ সাতারু রনি, মহিলা সাতারু ডালিয়া, আর সেরা শুট্যার হাসিব। আর কর্মকর্তাদের নাম...থাক...কর্মকর্তাদের নাম দিয়া কাম নাই।

মাসুম আর আসমা সারাক্ষণ দৌড়ের উপরেই আছে। তাদের বলে দেয়া হয়েছে, এখন থেকে হাঁটা যাবে না। সারাক্ষণ দৌড়াতে হবে। প্র্যাক্টিসের উপর সারাক্ষণ থাকলে তবেই না সাফল্য আসবে।

দেশে থাকার সময় এটা নিয়ে বেশি সমস্যা হয় নাই। কিন্তু চীনে এসে হচ্ছে। খাওয়া দাওয়ার পর মাসুম আর আসমা যখন দৌড়ে টয়লেটে যাচ্ছে, তখন আয়োজকরা নাখোশ হচ্ছে। তারা ভাবছে, খাবারের কোয়ালিটি ভালো হয় নাই। তাই দৌড়ে টয়লেটে যেতে হচ্ছে। তা, ওরা যা খুশি ভাবুক গিয়ে। ওদের মন রক্ষা করে চলতে বয়েই গেছে। আমাদের অভিনব পদ্ধতি সব তোদের কাছে ফাঁস করে দিই, আর তোরা সব সোনার মেডেল নিয়ে দাত কেলিয়ে হাস আরকি।

রনি আর ডালিয়ার উপরেও একই থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছিল...অর্থাত তাদের সারাক্ষন সুইমিং পুলে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, খালি খাওয়া, ঘুম আর টয়লেটে যাওয়া বাদে। রনি রাজি ও হয়েছিল, কিন্তু বেঁকে বসল ডালিয়া। সে মুখ বাঁকা করে কেঁদে কেটে বলল, " ওহ আল্লাহ! এটা কি বলেন? আমার এখনো বিয়ে হই নাই। সারাক্ষন পানির তলে থেকে কালো হয়ে গেলে আর আমার বিয়ে হবে ভেবেছেন?"

এই বলে ডালিয়া আরো বেশি করে ফেয়ার এন্ড লাভলী মাখতে শুরু করল। মেয়েদের নিয়ে হচ্ছে এই এক জ্বালা। মাথায় সারাক্ষণ বিয়ের চিন্তা। আরে, আমি ও তো বিয়ে করি নাই। আমি কি সারাক্ষণ বিয়ে বিয়ে করি? না ফেয়ার এন্ড লাভলী মাখি?

আর হাসিব জানালো তার প্র্যাকটিসের উপর থাকার কোন দরকারই নাই। সে ৫ বছর ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে ক্যাডার ছিল। উঠতে বসতে গোলাগুলি করত। আজ পর্যন্ত কোন গুলি মিস হয় নাই। আর তার প্রতিভায় কারো যদি কোন সন্দেহ থাকে, তাহলে সেটা নাকি কর্মকর্তাদের উপর পরখ করে দেখাতে পারে, তার কোন আপত্তি নাই। এ কথা শুনে ১০ কর্মকর্তার মুখ শুকিয়ে গেল। তারা জোরে জোরে মাথা নাড়িয়ে জানিয়ে দিল, হাসিবের প্রতিভা নিয়ে তাদের কোন সন্দেহ নাই।

এই হল বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি।

তিন
অলিম্পিক ভিলেজে গিয়ে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা জানি দোস্ত হয়ে গেল। সারাক্ষন একসাথে ঘুরে, একসাথে খায়। অথচ দেশে থাকতে এরা কেউ কারো ছায়া মাড়াতো না। ২/১ দিন পরে অবশ্য বোঝা গেল, এটার কারণ ভাষা সমস্যা। বাংলা ভাষা পারে, এরকম এই তল্লাটে ওই ৫ জনই আছে। কাজেই, ইচ্ছা হলে খাও, না হলে উপোস থাকো।

এরা ৫ জনই অবশ্য কিছু ব্যাক্তিগত প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। অলিম্পিক নিয়ে ভাবতে এদের বয়েই গেছে! রনি আর মাসুম চীনে আসার আগে পাক্কা ২ মাস গোপনে ঢাকার এক চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে চাইনিজ রান্না করা শিখে এসেছে। এখানে পালিয়ে থেকে গেলে অন্তত কোন রেস্টুরেন্টে বাবুর্চির কাজ তো জোটাতে পারবে! হাসিব অবশ্য এসবের ধার ধারে না। ঢাকায় তার গডফাদাররা তার জন্য কাড়ি কাড়ি টাকা নিয়ে বসে আছে। আর আসমা আর ডালিয়া বলল, তাদের নাকি নাক বোঁচা চাইনিজ পুরুষ ভালো লাগে না। তারা চায় দেশে ফিরে গিয়ে ভালো দেখে এক দেশি ছেলেকে বিয়ে করতে।

রনি আর মাসুম ঠিক করল কালকে তারা যাবে ভিলেজের বাইরে হাওয়া বাতাস বুঝতে। কোথায় পালানো যায়, কিভাবে পালানো যায়, কোন চাইনিজে বাবুর্চি খুঁজছে ইত্যাদি যাচাই করতে। আর ডালিয়া আর আসমা যাবে বিউটি পার্লারে, আর হাসিব কোথাও যাবে না। তার এসব ভালো লাগে না। সে রুমে থেকে ঘুমাবে।

চার
রনি আর মাসুম পরিকল্পনা মোতাবেক পরের দিন বের হয়ে পড়লো। অচেনা জায়গা। কাউকে চিনে না, কোথায় যেতে হবে জানে না। নাক বোঁচা চিঙ্কু গুলো বাংলা পারে না। খালি চিং চাং চুং পারে। রনি সাথে করে ৩০ দিনে ইংলিশ শিখুন নামের একটা বই নিয়ে এসেছে, সেটা দেখে সে চিঙ্কুদের প্রশ্ন করছে, কিন্তু হয় রনি কি বলছে তা চিঙ্কুরা বুঝতে পারছে না, নাহয় চিঙ্কুরা কি বলছে রনি তা বুঝতে পারছে না। তারপর ও কোনভাবে তারা এক চাইনিজ রেষ্টুরেন্ট খুঁজে বের করল।

চাইনিজে ঢুকে রনি আর মাসুম স্যুপ আর নুডুলস অর্ডার দিল। খাবার এসে গেল কিছুক্ষণ পরেই। কিন্তু একি! চামচের কোন বালাই নাই! ২ টা করে কাঠি দিয়ে গেছে। এগুলা দিয়ে কি করবে? কান খোঁচাবে? আশে পাশের মানুষদের দিকে তাকিয়ে দেখে সবাই দুই কাঠি দুই হাতে ধরে কিভাবে কিভাবে যেন খাচ্ছে! ইশ!! অলিম্পিক ভিলেজ থেকে বুদ্ধি করে দুটা চামচ নিয়ে আসলে ও হত! আনেনি যখন আর কি করা!

নাহ, চাইনিজ খেতেও খুব একটা সুবিধার না...রনি বলল।
~ তা যা বলেছ রনি ভাই, চাইনিজ লোকগুলা শালার নামে চাইনিজ হলে কি হবে, চাইনিজ রান্না করতে পারে না। আমাদের ওস্তাদ কালাম ভাইয়ের রান্না একদিন খেলে বুঝত, চাইনিজ রান্না কাকে বলে!
~তোমার কথা ঠিকই, মাসুম। নুডুলসে মসলা কম হইছে, স্যুপ পাতলা হইছে...কিছুই হয় নাই। এই বাবুর্চিরা আমাদের ঢাকায় গেলে কোনদিন চাকরিই পাবে না।

রনি আর মাসুম চাইনিজ খেয়ে এতই হতাশ হল, ওরা আর চাকরির খোঁজই করল না!

পাঁচ
রনি আর মাসুম প্রত্যাশিত সময়ের অনেক আগেই ভিলেজে ফিরে এল। ওদের চেহারা খুবই হতাশাজনক। ডালিয়া, আসমা আর হাসিব জানতে চাইল কি ব্যাপার? থাকা, খাওয়া, চাকরির কোন ব্যবস্থা হয়েছে কিনা।

রনি বলল, আরে রাখো মিয়া তোমার চাকরি। চাইনিজ শালারা চাইনিজই রান্না করতে পারে না।
মাসুমও মাথা নেড়ে সায় দিল।
তারপর ওরা একে একে খুলে বলল আজ সারাদিনে কি কি হয়েছে।

চাইনিজের ঘটনা শেষ হলে রনি বলল, খারাপ খবর আরো আছে। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, চীনে নাকি বিয়ের পর একটার বেশি বাচ্চা নেয়া যায় না। ধর, আমি যদি পালিয়ে থেকেও যাই, কোন না কোন একদিন তো কোন এক চাইনিজ মেয়েকে বিয়ে করতেই হবে। বিয়ের পর খালি এক সন্তান নিতে পারবো এটা কেমন কথা! আমার সন্তান আমি নিবো, যত খুশি তত নিব। তাতে কার কি?
মাসুমও বলল, হ্যাঁ, চীন জায়গাটা বিয়েশাদী করার জন্য ভালো জায়গা না। বাচ্চা নিতে পারবে মোটে একটা, তাও সেই বাচ্চার নাক বোঁচা হবে। এর চেয়ে দেশে ফিরে গিয়ে পাশের বাসার সখিনাকে বিয়ে করা ও ভালো।

এসব ঘটনা শুনে বাকিরাও মুষড়ে পড়লো। ডালিয়া বলল, সবই আমাদের কপাল। নাহলে কি চীনে অলিম্পিকের সময় চান্স পাই? বিমলদা কি সুন্দর আমেরিকায় গিয়ে পালিয়ে গেল, এখন কত কত ডলার কামাচ্ছে, আর আমরা কিনা মরতে আসলাম চীনে!

সব আলাপ আলোচোনার পর ঠিক হল, এবার অলিম্পিক থেকে কেউ আর পালাবে না। সবাই দেশে ফিরে যাবে।

ছয়
অলিম্পিক শেষ হয়েছে। সবাই দেশে ফিরে এসেছে। পত্রিকায় বিস্ময় প্রকাশ করে খবর ছাপা হচ্ছে, যে, এবারই প্রথম অলিম্পিক থেকে কেউ পালায় নি।

শোনা গেছে ক্রীড়া উপদেষ্টা নাকি টিভিতে বিবৃতিও দিযেছেন এই বলে যে, "কোন রাজনৈতিক সরকারের আমলে যা কখনো সম্ভব হয়নি, বর্তমান অস্থায়ী সরকার সে সাফল্য অর্জন করে দেখিয়েছে।"


মন্তব্য

দৃশা এর ছবি

যে ১৫ জন যাইতাছে সেই ১৫ জন ফেরত আসলেই শোকর আলহামদুলিল্লাহ। আবার ভুলে ভালে কেউ যেন ওইখানে না থাইকা যায় (আমি কিন্তু কিছু মিন করি নাই ইমানে)। সবাই ফেরত আসছে এটাই বড় পাওয়া।

দৃশা

রেনেট এর ছবি

সেটাই। মায়ের ছেলে মায়ের কাছে ফিরে এসেছে।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

রায়হান আবীর এর ছবি

মজা পাইলাম। ক্রীড়া উপদেষ্টা কি হাটুঁ বাহিনীর কেউ? চোখ টিপি *****

---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল

রেনেট এর ছবি

ক্রীড়া উপদেষ্টা যে কে, কইতারিনা। বিপ্লব ভাইরে জিগাইতে হইব।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

কীর্তিনাশা এর ছবি

মজা করে লেখা পোস্টটা মজা নিয়েই পড়লাম।
---------------------------------
সোনার স্বপ্নের সাধ পৃথিবীতে কবে আর ঝরে !

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রেনেট এর ছবি

হাজার সমস্যার ভীড়ে কাউকে আনন্দ দিতে পারলে ভালো লাগে। পড়া ও কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- খেলোয়াড়ের বদলে কর্মকর্তাদের খেলায় নামিয়ে দিলেও ফলাফল একই থাকবে। অর্থাৎ হিটেই বাতিল। মূল খেলায় আর অংশগ্রহন করে বড় কথা বলা হবে না কখনোই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

রেনেট এর ছবি

আরে রাখেন আপনার অলিম্পিক। সাফ গেমসের ব্রোঞ্জ পাওয়া নিয়া টানাটানি!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

জুলিয়ান সিদ্দিকী এর ছবি

আশা করি সবাই ফিরা আসুক। তবে এইটাও আশা করি হোটেল থাইকা টাওয়েল, ন্যাপকিন, সাবান আর দোকান থাইক্যা জানি কিছু চুরি না করে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।

___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!

রেনেট এর ছবি

ধন্যবাদ জুলিয়ান ভাই। আমিও আশা করছি, এবার কেউ পালাবে না।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মুশফিকা মুমু এর ছবি

গড়াগড়ি দিয়া হাসি হাহাহাহাহা

নাহলে কি চীনে অলিম্পিকের সময় চান্স পাই?

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
এবারই প্রথম অলিম্পিক থেকে কেউ পালায় নি।

গড়াগড়ি দিয়া হাসি
মজার লিখসো
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

রেনেট এর ছবি

ধন্যবাদ মুমু।
তিনটা গড়াগড়ি হাসির ইমো মানে কি তিনবার হাসছো? চিন্তিত
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আলমগীর এর ছবি

রেনেট
লোকজন কিন্তু সত্য মনে করে বিভ্রান্ত হতে পারে, আগের মতো। ভাল লাগলো।

রেনেট এর ছবি

জনগন, ইহা ঘুম না আসা এক ক্লান্ত বালকের সময় পার করার অপচেষ্টা মাত্র। দয়া করে সত্য বলে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না।

ধন্যবাদ আলমগীর ভাই, পড়া ও কমেন্ট করার জন্য।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

‍‍‍‍‍‍‍‍‍‍খুবই মজার! চরম হাসলাম। মুমু স্টাইলে, মানে এইভাবে গড়াগড়ি দিয়া হাসি

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

রেনেট এর ছবি

হাসি ধন্যবাদ সন্ন্যাসী ভাই হাসি খাইছে
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

আকতার আহমেদ এর ছবি

এই আকালেও হাসলাম আপনার লেখা পড়ে । ধন্যবাদ রেনেট ।

রেনেট এর ছবি

এই আকালেও আমার এইসব হাবিজাবি লেখার পিছনে একটা ব্যাখ্যা আছে।
দুঃখ দূর্দশায় জর্জড়িত আমাদের কাধে আমি আরো দুঃখের বোঝা চাপিয়ে দিতে চাই না।
আমি শত দুঃখেও হাসতে চাই, হাসাতে চাই।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের বড় মাপের কর্তা জোবেরা রহমান লীনু... তার সাথে আমার ভালো খাতির আছে... ভাবতেছি তারে বলবো আমারেও দলে নেন... বাংলাদেশের সেরা এথলেট যে রেজাল্ট করবে আমিও তাই করবো... তাইলে আর তফাৎ কি? নাহ্... সকালেই ফোন করতে হবে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রেনেট এর ছবি

কষ্ট করে আর আপনাকে নেয়ার কি দরকার? চীনে বসবাসরত প্রবাসী
বাঙালি কেউ অলিম্পিকে অংশ নিলেও তো একই রেজাল্ট হবে।
খামাখা আপনারে প্লেন ভাড়া দিয়ে নেয়ার কাম কি?
এখন থেকে এরকম করা যায়...যেবার যে দেশে অলিম্পিক, সেবার সে দেশে বসবাসকারী বাঙালি অলিম্পিকে অংশ নিবে।
মামলা খতম।
জোবেরা রহমান লীনুকে ফোন করে এই বুদ্ধিটা দিতে পারেন!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

মজার! আপনে রম্যগল্প আরো লেখেন না সময় কইরা!
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

রেনেট এর ছবি

ধন্যবাদ মৃদুল ভাই! আপনাদের মত দুর্দান্ত ছড়া যদি লিখতে পারতাম!
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নিঝুম এর ছবি

চরম!!!
--------------------------------------------------------
... বাড়িতে বউ ছেলেমেয়ের গালি খাবেন, 'কীসের মুক্তিযোদ্ধা তুমি, কী দিয়েছ আমাদের'? তিনি তখন আবারো বাড়ির বাইরে যাবেন, আবারো কান পাতবেন, মা জননী কি ডাক দিল?

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

রেনেট এর ছবি

তোর লেখা ঘৃণা গল্পটি আমার খুবই পছন্দের। আজ, এরকম একটি সময়ে আবারও সেরকম আরেকটি গল্প পড়তে খুব ইচ্ছা করছে।
লিখবি নাকি?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

হাহাহা। দারুন হয়েছে গল্পটা। তবে সত্যি বলতে কি, আপনার এই ধরণের গল্পগুলো পড়তে গেলে কেন যেন সেই প্রথম ক্রিকেট ম্যাচের গল্পটার কথা মনে পড়ে যায়। আর ওই গল্পটা এতটাই অসাধারণ মজার ছিল যে ওইটার ছায়া থেকে আর বাকিগুলোকে আলাদা করতে পারি না। এটা আমারই মনে হয় দোষ। তবে আপনার গল্পগুলো পড়ে আসলেই আনন্দ পাই। নেক্সট কি লিখবেন ঠিক করে লিখে ফেলেন। আমরা আরো একটু আনন্দ পাই খাইছে

রেনেট এর ছবি

বি ডি আর ভাই, আপনার কথাগুলো কিন্তু আমারও কথা। প্রথম গল্পটি আমারও খুব প্রিয়। শুধু খেলা বিষয়ক গল্পের মধ্যে না, আমার লেখা সবকিছুর মধ্যেই ওই লেখাটা একটা বিশেষ স্থান দখল করে আছে।
জানি, হয়তো ওই গল্পের মত আরেকটি গল্প লিখতে পারবো না, তারপরও লিখে যাই।
আপনার নতুন লেখা পাচ্ছি না অনেক দিন...ব্যাপার কি?
পড়া ও মন্তব্য করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

রেনেট ভাইজান, তোমার পুরান লেখাগুলা পড়া শুরু করলাম, কিন্তু আগাইতে পারতেসি না। একটা পড়তেই আমার ... .... .....
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি
গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি গড়াগড়ি দিয়া হাসি

এই অবস্থা হয়, পরেরটা পড়ার আগে আবার ধাতস্থ হইতে হয়

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রেনেট এর ছবি

আপনি যে হারে আমার পুরানো লেখাগুলোতে একদিন গোলাগুলি, একদিন গড়াগড়ি খাচ্ছেন, আমি তো ভয়ানক লজ্জা পাচ্ছি।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখা দিয়া থুইস মিয়া এমন সব, জান খারাপ হয়ে যায় হাসতে হাসতে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।