ইতালিয়া ৯০

রেনেট এর ছবি
লিখেছেন রেনেট (তারিখ: শনি, ১০/০৪/২০১০ - ৫:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইতালি ৯০

শৈশবে ভালো লাগা জিনিসগুলোর প্রতি আলাদা টান থাকে সবারই। শৈশবে অনেক জিনিসই বোধহয় আমরা টেলিস্কোপের নিচে রেখে দেখি। কত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যাপারগুলো ও কত্তো বিশাল লাগে সেই ক্ষুদ্র শিশুটির মনে।

আমার মনে আছে, বাবাদের অফিসের ইঞ্জিনিয়ারকে কি শ্রদ্ধাভরেই না বাবা পরিচয় করিয়ে দিতেন, আর সেই ইঞ্জিনিয়ার মানুষটিকে প্রায়ই আমার কাছে মনে হত কি গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ! অথচ এখন আমারই কত বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার। কই, কাউকে তো এমন কোন স্পেশাল কিছু মনে হয় না! সময় সময়, ওরা যে পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, এটাই আমার মনে থাকে না! আলাদা গুরুত্ব দেয়া পরের ব্যাপার।

আমার মনে হয়, শৈশবের সেই মুগ্ধতার কারণেই ৯০ এর বিশ্বকাপ আমার হৃদয়ে আলাদা জায়গা দখল করে আছে। ৭-৮ বছরের বালক আমি। বড়রা যা নিয়ে আলাপ করে, তাই মুগ্ধ হয়ে শুনি। বড়দের আলাপের মাঝে থাকলে নিজেকে দারুন হোমড়া চোমড়া মনে হয়। এরই মধ্যে শুনি বিশ্বকাপ নিয়ে মহা তোলপাড় সবজায়গায়। একের অধিক বড় মানুষেরা একসাথে হলেই শুধু বিশ্বকাপ আর ম্যারাডোনা। আর রাত জেগে খেলা দেখা।

আমাকে অবশ্য রাত জেগে খেলা দেখার অনুমতি আদায় করে নিতে হয়েছে। আমি নাকি ছোট। আমার নাকি রাত জেগে খেলা দেখতে হবে না! বললেই হলো! বাসার সবাই হৈচৈ করে রাতে খেলা দেখবে, আর আমি লেপ মুড়ি দিয়ে ঘুমাবো? আমি কি এখনো ফিডারের দুদু খাই?

কাজেই আমাকে জোর করে ঘুমাতে পাঠালেও আমি ঘাপটি মেরে পড়ে থাকতাম। ঘুমাতে যাবার আগে সবাইকে পই পই করে বলে যেতাম খেলা শুরুর আগে ডেকে দিতে, কিন্তু কেউ ডেকে দিত না। তাই আমিই না ঘুমিয়ে অপেক্ষা করতাম কখন খেলা শুরু হয়, আর তখনই এক লাফে বিছানা থেকে উঠে যেতাম।

টিভি সেটের সামনে বসে যখন দেখতাম বিশ্বকাপের মিউজিক শুরু হয়েছে, একটা ফুটবল নিজে নিজে উড়ে উড়ে কিভাবে যেন বিভিন্ন জায়গা ঘুরে স্টেডিয়ামে যাচ্ছে...তখন মনে হত, এরচেয়ে দারুণ ব্যাপার আর হতেই পারে না। স্বপ্নালু চোখে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতাম টিভির দিকে। সত্যি বলতে কি, খেলার চেয়ে ওপেনিং মিউজিকটাই বেশি আকর্ষণ করত আমাকে। নিচে সেই ইন্ট্রোটি:

মাত্র আগের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার ভেল্কি দেখেছে সবাই। তাই দল-মত নির্বিশেষে সবার চোখ ম্যারাডোনার দিকে। আমি বরাবরই মা ঘেঁষা। আর মা ম্যারাডোনা বলতে অজ্ঞান। তাই আমিও হয়ে গেলাম আর্জেন্টিনার পাড় সমর্থক। কিন্তু প্রথম ম্যাচেই হোঁচট! কোথাকার কোন কালু প্লেয়ারগুলো ম্যারাডোনাকে মেরে কিছু বাকি রাখলো না, আর আর্জেন্টিনাও হেরে গেল। বাসায় বাবা, ছোটমামা এরা সবাই ব্রাজিলের সাপোর্টার। আমাকে আর মাকে সবাই খুব করে ক্ষেপাতে লাগলো। কিন্তু আমি ম্যারাডোনাকে ছাড়লেও মাকে ছাড়বো না। কাজেই হারুক আর জিতুক, ম্যারাডোনা জিন্দাবাদ!

৯০ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনাকে যত না ফুটবল প্রতিভার জন্য মনে আছে, তারচেয়ে বেশি মনে আছে তার ধুম ধাম পড়ার জন্য। কেউ একজন তার পাশ দিয়ে হেঁটে গেলেই হলো। ম্যারাডোনা সাহেব পপাত ধরণিতল। আর পেনাল্টি বক্সের ভিতরে হলে তো কথাই নেই! পুরো বিশ্বকাপে কতবার যে 'ফাউল' 'ফাউল' আর 'পেনাল্টি' 'পেনাল্টি' বলে চেঁচিয়েছি, তার ইয়ত্তা নেই।

তবে সাপোর্টের বেশিরভাগই করতাম দেখাদেখি। মা ম্যারাডোনার ভক্ত, হলাম আর্জেন্টিনার সাপোর্টার। ব্রাজিলের খেলার দিন আমি আর মা মিলে শ্লোগান দিই-- ব্রাজিল, ফাজিল।

তবে এরমধ্যেও নিজের বিচারবুদ্ধিতে দুজন খেলোয়াড়কে আমার ভালো লেগে গেল। দুজনই আবার গোলকিপার। একজন আর্জেন্টিনার বদলি গোলরক্ষক গায়কোচিয়া, আরেকজন ইতালির জেঙ্গা। বেশিরভাগ মানুষ গোল হলে খুশি হয়, আর আমি মুগ্ধ হই এই গোলকিপারদের গোল না হতে দেয়ার দক্ষতা দেখে। বিশেষ করে গায়কোচিয়ার ট্রাইবেকার ঠেকানোতে এতই মুগ্ধ হয়েছিলাম, যে পাড়ার ফুটবলে এরপর থেকে গোলকিপার হতাম। আর এই কারনেই আর্জেন্টিনা-ইটালির সেমিফাইনাল ছিল আমার কাছে ভীষন শ্বাসরুদ্ধকর। নিচে সেই খেলার ট্রাইবেকারঃ

আর ফাইনালের কথা কি আর বলবো! আমার কাছে সেই রেফারীর পরিচয় 'ঘুষখোর' ছিল অনেক অনেক বছর ধরেই। ফাইনালে সেই পেনাল্টি, ম্যারাডোনার সেই কান্না, এরপর কাঁদতে কাঁদতে ঘুমাতে যাওয়া...২০ বছর পার হয়ে গেছে...এখনও আমি জার্মানিকে দুই চোখে দেখতে পারিনা। ফুটবল খেলা দেখে আমার কান্না সেই প্রথম, সেই শেষ।

এরপর গেল ৯৪, ৯৮, ০২, ০৬...কিন্তু কেন যেন সেই ছোটবেলার টানটা আর অনুভব করিনা। তাই বিশ্বকাপ এলেই মনে পড়ে সেই ৯০, মনে পড়ে ম্যারাডোনার সেই কান্নাভেজা চেহারা, আর মনে পড়ে কাঁদতে কাঁদতে ঘুমাতে যাওয়া সেই অভিমানী শিশুটির কথা, যে আজ কাঁদতেই ভুলে গেছে।


মন্তব্য

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ওরে দুষ্টু, এই পুরানো কষ্টে এভাবে খোঁচা দিলা, তোমারে কইষা মাইনাস

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

সাইফ তাহসিন এর ছবি

৯০ এর বিশ্বকাপের শেষের দিকে ছিল কুরবানীর ঈদ, আর ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়া একদম ধর্মের পর্যায়ে পড়ে, আর আনন্দও হয় অনেক, আমরা নাহয় খেলা ২-১ টা না দেখেও থাকতে পারি, কিন্তু আমার বাবা পারেন না একেবারেই, কি করবেন, তখন আমাদের গ্রামে বিদ্যুত সংযোগ ছিল না, তারপরেও বায়তুল মোকাররম ঘুরে আমার বাবা একটা ৬ ইঞ্চি টিভি কিনলেন যেটা ১২ ভোল্টের ব্যাটারীতে চলে, তারপর যথাসমইয়ে সেই সাদাকালো ৬" টিভি নিয়ে আমরা বাড়ি গেলাম, উত্তেজনায় টগবগ করছি সবাই, এবারের খেলা, অন্যান্য টিভির অনুষ্ঠান কিছুই বাদ যাবে না।

টিভির জন্যে বারো ভোল্টের ব্যাটারী যোগাড় করা হল, তারপর সেটা চার্জ করে না হল কাছের শহর থেকে, যাতে আমরা খেলা দেখতে পারি ঠিকমত। এদিকে পাড়াপড়সিরা এসেছে, এ বাড়িতে টিভি এসেছে শুনে। কিন্তু কপালের লিখন খণ্ডায় কে? ব্যাটারী চালানোর ১ ঘণ্টা পরেই দেখি ফুস! তারপর আর কি করা, গাড়ির বনেট খুলে গাড়ির ব্যাটারীতে সংযোগ দিয়ে আমরা হা করে সেই লাল বাক্সের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। ৫-৬ ফুট দূরে বসলে তো রাতের বেলা লাল বাক্সের লাল রঙ ও দেখা যায় না। কিছু হলে আমার ছোট চাচাকে জিজ্ঞেস করতাম, আর হইচই করে বাড়ি মাথায় তুলে ফেলতাম। বড়ই মধুর সেই স্মৃতিগুলো, খুব ভালো লাগল সব তোমার লেখাটা।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রেনেট এর ছবি

আমিও ফাইনাল গ্রামে মামাবাড়িতে গিয়ে দেখেছিলাম। আর্জেন্টিনা হারাতে মন খারাপ করায় পরেরদিন আমার হোমিওপ্যাথ ডাক্তার মামা আমার পছন্দের ঔষুধ খেতে দিয়েছিল হাসি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আহারে, হোমিওপ্যাথি, আমার নানুর একটা বাক্স আছিল, সেইখান থিকা চুরি কইরা ওষুধ খাইতাম, তারপর আবার মাঝে মাঝে গিয়ে বলতাম, পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, আরো কত কিছু চোখ টিপি

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রেনেট এর ছবি

হো হো হো
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আর্জেন্টিনারে এইবারও কুড়ি বছর আগের শিশুর মতো আন্ধাকুন্দা সাপোর্ট দিতে থাকেন, এনশাল্লা বহুবছর পরে আবার কান্দোনের সুযোগ পাইবেন। হাসি
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

সাইফ তাহসিন এর ছবি

যা অবস্থা আর্জেন্টিনার, তাতে মনে হয়না ২০০ বছরেও কান্দনের সুযোগ মিলব চোখ টিপি তবে, এগো নাটক করনের অভ্যাস কিনা, ব্যাপক বিনোদন

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রেনেট এর ছবি

হো হো হো

ফুটবলে আমার নির্দিষ্ট কোন জানের দল নেই। একেক বিশ্বকাপে একেক দল করি। এইবার স্পেন করবো চিন্তা কর্তেসি চিন্তিত
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

আমি যারেই সাপোর্ট করি, সেই হারে খাইছে

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

রেনেট এর ছবি

আগে বিশ্বকাপ জিতসে, এরকম কোন দল সাপোর্ট করবোনা বলে ঠিক করেছি। সেই হিসাবে স্পেন।

তবে আমার হিসাবে সেমিফাইনালের চারদল হবে

ব্রাজিল Vs. ইংল্যান্ড
স্পেন Vs. জার্মানী
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ধ্রুব বর্ণন এর ছবি

আপনার সাথে আমার ইতালিয়া ৯০ এর অনুভূতি ৯০ ভাগ মিলে গেল!

রেনেট এর ছবি

নেন আপনাকে একটা A+ দিলাম হো হো হো
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

তিথীডোর এর ছবি

>কত্তো
>অনুমতি
>ঘেঁষা
>দারুণ
>ধরণিতল

@সাইফ ভাই:
>চার্জ করে আনা হলো
>পাড়াপড়শী
>যথাসময়ে

--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

রেনেট এর ছবি

হেহে...ঠিক করে নিচ্ছি। ধন্যবাদ হাসি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সাইফ তাহসিন এর ছবি

ধন্যবাদ বানান ঠুলাপা চোখ টিপি
হলো আর 'হোল' এর বানান নিয়া সবসময় গ্যাঞ্জাম লেগে যায়, 'হোল' রাজশাহীতে গালি কিনা! তাই পাশ কাটাইতে গিয়া স্বরবর্ণ বাদ দিয়ে যাই।
চলুক
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

এস এম মাহবুব মুর্শেদ এর ছবি

হে হে, মজা লাগছে। তয় ব্রাজিলের উপরে কিছু নাই। খাইছে

====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির

রেনেট এর ছবি

ক্রিকেটে যেমন অনেকে অস্ট্রেলিয়া সাপোর্ট করেনা ওরা অতিমাত্রায় ভালো খেলে বলে, ফুটবলেও ব্রাজিল সেইরকম। অতিরিক্ত ভালো খেলে বলেই ওদের সাপোর্ট করতে ইচ্ছা করে না হাসি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

কাকুল কায়েশ এর ছবি

লেখাটা খুবই ভাল লাগল। অনেক পুরনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিল। আমার তো খুবই ইচ্ছা করছে আমার প্রথম দেখা বিশ্বকাপ মেক্সিকো'১৯৮৬ এর উপর ঠিক এরকম একটা লেখা লিখতে। (আপনার মত হয়ত এত মজা করে লিখতে পারব না, মনেও নাই অনেক কিছুই, কিন্তু চেষ্টা করব লিখতে)

২। যাই হোক, নব্বইয়ের বিশ্বকাপ সে তুলনায় বেশ ভালই মনে আছে। নব্বইয়ের নাম শুনলে প্রথমেই মনে পড়ে আর্জেন্টিনা-ক্যামেরুনের খেলার দিন ম্যারাডোনার মাঠে ঢুকার দৃশ্যটি। হাততালি কাঁধ দিয়ে যেভাবে বলটাকে নিয়ে খেলতে খেলতে মাঠে প্রবেশ করছিল, সেই দৃশ্য আজীবনের মত স্মৃতি্তে রয়ে গেছে।

৩। এই প্রথম ম্যাচটাই আমার মধ্যে বর্নবাদী মানসিকতা সৃষ্টি করার জন্য যথেষ্ট ছিল। 'কাউলা'দের প্রতি সেদিন থেকেই একটা তীব্র ঘৃ্না, বিদ্বেষ তৈ্রি করে দিয়েছিল। রেগে টং

৪। আর নব্বইয়ের সেই ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ম্যাচ! এত ভয় জীবনেও পাইসিলাম কিনা জানি না! সেই ছোট্ট বয়সের একটা বিস্ময় আমাকে আজো তাড়া করে বেড়ায় যে, কিভাবে ব্রাজিল ওই ম্যাচটা হারে? চিন্তিত

৫। আর হচ্ছে গয়কোচিয়া। মূল গোলকিপার পাম্পিডো যখন গ্রুপ পর্বের খেলায় ইনজুরড হল, সেটা যে আর্জেন্টিনার জন্য শাপে বর হয়ে যাবে কে বুঝতে পেরেছিল? কোয়ার্টার ফাইনালেও তো যুগোস্লাভিয়াকে টাইব্রেকারে হারালো এই গয়কোচিয়াই।
আফসোস একটাই, ফাইনালটা যদি কোনরকমে ট্রাইবেকার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যেত! পাষন্ড রেফারী সে সুযোগটাই দিল না! মন খারাপ

========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!

রেনেট এর ছবি

লিখে ফেলুন না! আমরা যারা ৮৬ বিশ্বকাপ দেখিনি, তারা আপনার লেখার মাধ্যমেই নাহয় ঘুরে আসবো খানিকটা।
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

কিংকর্তব্যবিমূঢ় এর ছবি

নাইনটিন নাইন্টির কিছুই মনে নাই ...তবে রাত জেগে খেলা দেখে ম্যারাডোনা ম্যারাডোনা করে চিল্লাইতাম বেশ মনে আছে দেঁতো হাসি

পরে ইউটিউবে ঘাটাঘাটি করে একটা অদ্ভূত জিনিস আবিষ্কার করলাম ... সব বিশ্বকাপের কিছু ট্রেডমার্ক গোল আছে, কিছু টান টান উত্তেজনাময় ম্যাচ আছে; ইটালিয়া নাইন্টির এমন কিচ্ছু নাই ... বিরাশি শুনলেই ব্রাজিলের গোল্ডেন জেনারেশন, ছিয়াশি শুনলেই ম্যারাডোনার গোল, চুরানব্বইয়ের রোমারিও-বেবেতোর সেলিব্রেশন কিংবা সাইদ ওয়াইরানের মাঝমাঠ থেকে টান দিয়ে হান্দায়ে দিয়ে আসা দেঁতো হাসি , আটানব্বইয়ের জিদানের টাকমাথার হেড আর ডেনিস বার্গক্যম্পের ব্রিলিয়ান্ট ফার্স্ট টাচ, দুইহাজারদুইয়ের রোনালদিনহোর ফ্রীকিক আর ইংলিশ মিডিয়ার কান্না, দুইহাজার ছয়ের আর্জেন্টিনার চব্বিশ পাসের গোল, কিছু না কিছু আছেই দেখানোর মত ...

ইটালিয়া নাইন্টিতে এমন কিছুই নাই বলতে গেলে; উল্লেখযোগ্য যা মাথায় আসে তা হচ্ছেঃ

১) আর্জেন্টিনারে ক্যামেরুনের মাইর ... এই ভিডিওটা দেখেন, ক্যানিজিয়া বেচারা একটা দৌড় দিসিলো বল নিয়া; তারে প্রথমে একজন মিস করলো, তারপর আরেকজন প্রায় ফেলে দিসিলো কিন্তু ক্যানিজিয়া প্রায় অলৌকিকভাবে সামলায়ে নিল, এরপর আরেকজন এসে ঠান্ডা মাথায় রাগবির মত ছুঁড়ে ফেলে দিল ...

ফুটবলের যে সবচে বড় চেঞ্জগুলি আসছে তার মাঝে একটা হচ্ছে, এখনকার দিনে আর এইরকম ফাউল করা যায় না ... ডিফেন্স আগের চেয়ে অনেক টাফ এবং ট্যাকটিকাল হয়ে গেছে, কিন্তু এইরকম ব্রুটালিটি অনেক কম ...

২) ক্লিন্সম্যানের ডাইভ; ডাইভ দেখসি কিন্তু এইরকম জবাইকরা মুর্গির মত অঙ্গভংগী করতে আর দেখি নাই দেঁতো হাসি

৩) ফাইনালে রুডি ফলারের ডাইভ, আর ব্রেহমার পেনাল্টি ... এইটার কথা সবাই জানে ...

পজিটিভ বলতে,

১) রজার মিলার সেলিব্রেশনঃ

২) ম্যারাডোনার এক মূহুর্তের ম্যাজিকে ব্রাজিলের সাথে ক্যানিজিয়ার গোলঃ

................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...

রেনেট এর ছবি

খাইসে...ভিড্যু ভিড্যুতে দেখা যায় সয়লাব দেঁতো হাসি

আমার কাছে বরং ২০০২ এর বিশ্বকাপটা খুব বোরিং লাগসে। জার্মানী পুরা ফাউ ফাউ স্রেফ ড্র এর কল্যানে ফাইনালে গেল গা...কোন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর সামনে পড়তে হয় নাই।

সেই তুলনায় ১৯৯৪ আর ৯৮ ভালো ছিল। আর ৯০...প্রথম বিশ্বকাপের স্মৃতি বইলা কথা হাসি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সাবিহ ওমর এর ছবি

আমার বাসায়ও গায়কোচিয়ার পোস্টকার্ড ছিল! বাসায় সবাই পাঁড় আর্জেন্টাইন হলেও আমার জার্মানি প্রেম তখন থেকেই শুরু। খেলার ডিটেল এত মনে নাই, শুধু মনে আছে, স্ক্রিনের দুই পাশে দুইটা ফ্ল্যাগস্ট্যান্ডের মত থাকত, যেগুলার উপরে ফ্ল্যাগ আর গোড়ায় স্কোর দেখাত...

রেনেট এর ছবি

আপ্নে মিয়া জার্মানীর সাপোর্টার। আপনার সাথে কথাই কমু না!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

আমার বিশ্বকাপ ফুটবল দেখার শুরু ১৯৮২ সাল থেকে। এই পর্যন্ত দেখা সাতটি বিশ্বকাপের মধ্যে আমার জীবনের সেরা বিশ্বকাপ ইতালিয়া '৯০। সেই বিশ্বকাপে আমরা ভাই-বোনেরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে গোটা টুর্নামেন্ট দেখেছি। এর মধ্যে ইতালী থেকে বিশাল পোস্টার এনে বাঁধানো পর্যন্ত আছে। নিজের পছন্দের টিমের দেখা সবচে' সেরা দলটির করুণ পরাজয়ে কষ্ট পেয়েছি। সেই কষ্টে আমার ছোট ভাই ঈদের দিন নতুন জামা পড়েনি, ঘর থেকে বের হয়নি। ঐ টুর্নামেন্টের সবচে' ফালতু দুই দলের (অন্য সময়ের কথা বলছিনা) ততোধিক ফালতু ফাইনাল দেখতে হয়েছে। স্লাভদের জীবনের শেষ সেরা খেলা দেখতে পেয়েছি। আফ্রিকানদের উত্থানের শুরু দেখতে পেয়েছি। সেলিব্রেটি খেলোয়ারদের নষ্টামী দেখতে পেয়েছি। মাতব্বর দেশদের চৌদ্দজন খেলোয়ার নিয়ে খেলতে দেখেছি। এমন আরো অনেক কিছু বলে শেষ করতে পারবোনা। হয়তো এবারের বিশ্বকাপ দেখার সুযোগ পাবো, আগামীতেও হয়তো এমন সুযোগ হবে তবু আমার মনে ইতালিয়া '৯০-ই সেরার আসনে থাকবে। ভিভা ইতালিয়া!!!

এমন পোস্টের জন্য রেনেটকে শুধু ধন্যবাদ দেয়া যথেষ্ঠ নয়। দেশে আসলে পরে রেনেটের জন্য শুকলালের কাচ্চি বিরিয়ানী বরাদ্দ থাকলো।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রেনেট এর ছবি

আপনার আন্তরিক মন্তব্য পড়ে আপ্লুত হলাম। ইতালিয়া ৯০ এ বুঁদ হওয়া লোকের সংখ্যা তাহলে দেখা যাচ্ছে কম নয়!

আপনার দল কোনটি ছিল? ইতালি? ব্রাজিল?
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নাশতারান এর ছবি

খেলাপ্রীতি নেই। কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবল দেখি। বিশেষত রাতে হলে। বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই আগ্রহটা কোন দিকে!
খেলার চেয়ে চারপাশে উৎসবের আমেজটা বেশি টানে আমাকে। খাইছে

৯৮ এর বিশ্বকাপে বাতিস্তুতার প্রেমে পড়েছিলাম। প্রেমে পড়ারই বয়স ওটা। লইজ্জা লাগে

৯০ এর বিশ্বকাপ খুবই নস্টালজিক আমার জন্য। ওটা নিয়ে কোন একসময় সবিস্তারে লিখবো।

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

রেনেট এর ছবি

আমি কোন খেলোয়াড়ের প্রেমে কখনও পড়িনি। তবে গ্যালারীর অনেক সুদর্শনা তরুণীর প্রেমে পড়েছি...বহুবার! চোখ টিপি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নাশতারান এর ছবি

আমি অবশ্য গ্যালারীর বসা সুদর্শনা কোন তরুণীর প্রেমে পড়ি নাই কখনো চোখ টিপি

_____________________

আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

৯০র বিশ্বকাপেই ব্রাজিলের গ্যালারীতে এক তরুণী উদলা হয়ে গেছিলো। আহা, সেই স্মৃতি এখনো চোখে লেগে আছে... চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রেনেট এর ছবি

হেহে ৯৯ এর ক্রিকেট বিশ্বকাপেও এক ইংলিশ তরুনী এই কাম করসিলো দেঁতো হাসি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ, সেই সিন মিস করছিলাম। সেই আফসুস এখনো অন্তরে বিরাজ করে দীর্ঘশ্বাস হয়ে চোখ টিপি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

দিগন্ত এর ছবি

আমার দেখা সবথেকে খারাপ বিশ্বকাপ ১৯৯০ এ - ফিফাও কনফার্ম করবে, ম্যাচপিছু গোলের সংখ্যা সবথেকে কম। আর্জেন্টিনা তো ৫টা গোল করে রানার্স, ডিফেন্স লাইনের কল্যাণে। সালভাতোর সিলাচি শুধু ফাঁকা গোলে বল ঠেলে সর্বোচ্চ গোলদাতা।

আপসেট বলতে ব্রাজিল অসংখ্য চান্স মিস করে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে গিয়েছিল - এটা মনে পড়ে। আর ইংল্যান্ড খুব ভাগ্যক্রমে ক্যামেরুনকে কোয়ার্টারে হারিয়েছিল। ক্যামেরুন ম্যাচের শেষ দশ মিনিটও ঠিকঠাক ডিফেন্স করার চেষ্টা করল না। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য আমার আলাদা সমর্থন থাকেই প্রতিবার - ওইবারেই আমি খুব একটা খালিহাতে ফিরিনি হাসি . ..

আয়ারল্যান্ডের লং বল গেম আমাকে খুব প্রভাবিত করেছিল মনে আছে। পাড়ার ম্যাচে কিছু শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সফলভাবে প্রয়োগও করেছি। ববি চার্লটনের এই দশ জনের ডিফেন্স করে একজনকে বল বাড়িয়ে যাও নীতি শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কার্যকর। আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে জেঙ্গার একটা সেভ মনে রাখার মত।

টুর্ণামেন্টের সেরা ম্যাচ জার্মানি-হল্যান্ড। এই দুটো টিমই বেস্ট ছিল টুর্নামেন্টে। গ্রুপ লিগে হল্যান্ড বাজে খেলার খেসারতে জার্মানীর সামনে।

সেরা গোল বাজ্জিওর -

তবে ফাইনালে পেনাল্টিটা যে ঠিক সিদ্ধান্ত সেটা নিয়ে আমি স্কুলে বন্ধুদের সাথে প্রচুর তর্ক করেছিলাম। কনস্পিরেসী থিয়োরীর সাথে ওটাই আমার প্রথম পরিচয়।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।


পথের দেবতা প্রসন্ন হাসিয়া বলেন, মূর্খ বালক, পথ তো আমার শেষ হয়নি তোমাদের গ্রামের বাঁশের বনে । পথ আমার চলে গেছে সামনে, সামনে, শুধুই সামনে...।

ষষ্ঠ পাণ্ডব এর ছবি

১. ক্যামেরুনের বিপক্ষে জয়সূচক ডেভিড প্লাটের গোলটা অফসাইড ছিল।
২. হল্যান্ড-জার্মানী খেলায় জার্মানী নোংরা ট্রিক্স করে ফোলারকে কোরবানী দিয়ে রাইকার্ডকে খতম করে। ফোলারকে হারিয়ে জার্মানীর কোন ক্ষতিই হয়নি, তবে রাইকার্ডকে হারিয়ে হল্যান্ড পথে বসে। (ঠিক বললামতো?)
৩. কলাম্বিয়ার হোসে রেনে হিগুইতার কথা কেউ বলছেননা কেন? গোলকিপার যে এমন হতে পারে সেটা সেই প্রথম দেখিয়েছে। হোসে লুই চিলাভার্টরা তার দেখানো পথে হেঁটেছে কেবল।
৪. ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা খেলায় গ্যালারীতে একটা ঘটনা ঘটেছিল। বা-টে-ভিতে এমন দৃশ্য দেখার কথা কখনো ভাবতেও পারিনি।



তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।


তোমার সঞ্চয়
দিনান্তে নিশান্তে শুধু পথপ্রান্তে ফেলে যেতে হয়।

রেনেট এর ছবি

গোলসংখ্যার দিক থেকে পিছনে থাকলেও প্রতি ম্যাচে ম্যারাডোনাকে লাইভ দেখা, জীবনের প্রথম বিশ্বকাপ, পরিবারের সবাই মিলে রাত বিরাতে হৈ হৈ...এগুলো একেবারে, যাকে বলে কিনা প্রাইসলেস হাসি
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

শেখ নজরুল এর ছবি

ব্রাজিল বনাম আর্জেন্টিনা
শেখ নজরুল

শেখ নজরুল

রেনেট এর ছবি

হ! তাও আবার দ্বিতীয় রাউন্ডেই!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

আহারে ৯০ এর বিশ্বকাপ!
রাত ৩টার খেলা দেখে একটু ঘুমিয়ে নিয়ে সকাল ৭টার ট্রেনে ভার্সিটি যাওয়া।
ক্লাশে ব্রাজিলের ফ্যানদের পোষ্টার টাঙ্গানো নিয়ে আমরা যারা আর্জেন্টিনার ফ্যান তাদের অসন্তোষ।
স্যার ও ব্রাজিলের সাপোর্টার হওয়ায় শেষ পর্যন্ত পড়া বাদ দিয়ে খেলা নিয়ে পুরো পিরিয়ড পার করে দেওয়া ।
ক্লাশের এ্যাসাইনমেন্ট এর টপিকেও বিশ্বকাপ, তার স্পন্সর সব ঢুকে যাওয়া।
সব একসাথে মনে পড়ে গেল।
ভাল লাগল রেনেট।

রেনেট এর ছবি

ধন্যবাদ আপু হাসি আমি তখন ক্লাশ টুতে!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার মেমোরি দুব্বল। '৯০ এর স্মৃতি সেভাবে মনে নাই কিছু। মন খারাপ

রেনেট এর ছবি

কঙ্কী! গ্যালারীর দুয়েকটা মেয়েকেও মনে নাই! অ্যাঁ
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমার তো ভাই গোল্ডফিশ মেমোরি! গতকাল কোন মেয়েরে দেখসি, তাই মনে থাকে না। আর এ তো কয়েক যুগ আগের কথা কইতেসেন ইয়ে, মানে...

কীর্তিনাশা এর ছবি

আমারো প্রথম বিশ্বকাপ ১৯৯০-এরটা। তবে তখন থেকেই আমি ব্রাজিল।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

রেনেট এর ছবি

আমি ৯৪ এ ম্যারাডোনা নিষিদ্ধ, এবং অতঃপর আর্জেন্টিনা বাদ হওয়ার পর ব্রাজিল করসিলাম!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

আমার বিশ্বকাপ স্মৃতি ৯৪ থেকে আবছা আবছা...।
তবে ভিডিওগুলা দেইখে সেইরাম মজা নিলাম...

_________________________________________

সেরিওজা

রেনেট এর ছবি

৯৪ এ শুরু করসিলাম আর্জেন্টিনা হইয়া, শেষ করসিলাম ব্রাজিল হইয়া!
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

৯০র বিশ্বকাপের মতো এতো আয়োজন করে খেলা আর জীবনে দেখি নাই। একেবারে পারিবারিক উৎসব ছিলো। বাড়িতে চাকুরে একমাত্র আব্বা। তায় আবার পত্রিকার চাকরী। ফলে সকালে অফিসে যাওনের তাড়া নাই। দুপুরে যায়া আসতো মাঝরাতে।
ফলে ভোর পর্যন্ত খেলা দেখা। সারারাতব্যাপী উৎসব। কেতলি ভর্তি গরম চা আসছে তো আসছেই। আর মুড়ি মাখানী... আর চিৎকার চিল্লানো। না বুঝেই চিল্লাইতাম।

আমি ব্রাজিলের ফ্যান। আদি অকৃত্রিম।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রেনেট এর ছবি

হ...সেটাই...ঐ বয়সে খেলা দেখার চেয়ে খেলা দেখার আয়োজনটাই বেশি আনন্দের ছিলো। রাত বিরাতে খেলা দেখার মজাই সেরম! আর ঐ যুগে এখনকার মত এত কারেন্টও মনে হয় যাইতো না মন খারাপ

এখন যেইভাবে ২ ঘন্টা করে কারেন্ট যায়...খেলা শুরু হইলে কারেন্ট গেলে আর খেলা দেখতে হইবো না মন খারাপ
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।