বিবেচনা-

রাসেল এর ছবি
লিখেছেন রাসেল (তারিখ: বুধ, ১২/০৩/২০০৮ - ৬:১৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সঙ্গমেচ্ছা আপত্তিকর কিছু না- আমাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব যৌনকামনা আছে, আমরা বিভিন্ন আসনে সেসব সম্পাদনও করতে চাই- এ জায়গাটাতে আমার আপত্তির কোনো কারণ নেই- তবে প্রকাশভঙ্গির বিষয়টাকে বিবেচনায় আনছি-

ঘটনাটা এক বন্ধুর কাছে শুনলাম, শুনে অবশ্য আশ্চর্য হয়েছি- বিব্রত বোধ করেছি-
বাংলাদেশের নতুন উৎপাত তারকাকথন- বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়া স্টার তৈরির প্রচেষ্টা করছে না বরং জনপ্রিয় শিল্পি আর ব্যক্তিত্বদের ধরে এনে দুপুর বেলায় সরাসরি দর্শকের মুখোমুখি করে দেয়- একজন উপস্থাপিকা নাকি সুরে বিভিন্ন বয়ান দেন- আঁপু- ভাঁইয়া বলে কোঁকাতে থাকেন- এবং মাঝে মাঝে দর্শক ফোনে অংশগ্রহন করে- এমনই এক অনুষ্ঠান চলছিলো- উপস্থিত তারকা আঁখি আলমগীর-
আখি আলমগীর কেমন গায়িকা আমার জানা নেই- আমি তার গানের শ্রোতা না। তবে তার প্রতি আমার কোনো বিরুপ ভাবনা নেই এ মুহূর্তে-
সরাসরি ফোনালাপের সময় ফোন বাজলো- উপস্থাপিকা বললেন হ্যালো- বলেন-
আমি আঁখি আলমগীরের সাথে কথা বলতে চাই-
জ্বি ভাইয়া বলুন-
আমি আঁখি আলমগীরের সাথে কথা বলতে চাই-
আণখি আলমগীর এবার বললেন- জ্বি ভাইয়া বলেন-
আমি আঁখি আলমগীরের সাথে কথা বলতে চাই-
জ্বি বলুন-

আঁখি আলমগীর আপনার পুটকিতে এত গন্ধ কেনো?
তবুও আপনার পুটকি মারতে ইচ্ছা করে-
আমার আপত্তির জায়গাটা এখানেই- শ্রোতার এই কামনা থাকতেই পারে- তবে তা লাইভ টেলিকাস্ট হওয়া একটা অনুষ্ঠানে জানানোর প্রয়োজন কি? আর এরজন্য কি সামান্য সাবধানতা নেওয়া যেতো না-
তবে আশ্চর্য হলো এই মৌখিক ধর্ষণের শেষেও অনুষ্ঠানটা সম্প্রচারিত হয়েছে আরও ১৫ মিনিট-


মন্তব্য

রাকিব হাসনাত সুমন এর ছবি

বলেন কি ? ঘটনাটি কি আসলেই ঘটেছে ?

মাহবুব লীলেন এর ছবি

ফোন তো এখন ট্রেস করা যায়
আঁখি আলমগীরের উচিত তার নামে মামলা করা

আর টিভিওয়ালাদের উচিত এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। কারণ আঁখি তাদের গেস্ট ছিল

রাসেল এর ছবি

কি প্রতিক্রিয়া হইছে তা জানি না- ফোন ট্রেস করবার বুদ্ধিটা সবার মাথায় আসছে- তবে ফোন ট্রেস করে কি আর অপরাধী ধরা যায়- অনেক জায়গায় পয়সা দিয়ে ফোন করা যায়- এর বেশী তো যাওয়া যাবে না- মোবাইল হলে আরও সমস্যা-

-------------------------------------------------------
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

খুবই মর্মাহত হলাম; যদিও এরকম কিছু ঘটার আশঙ্কা আমার সবসময়ই ছিল।

এরকম ফরম্যাটে আরো অনুষ্ঠান হয় অন্যান্য চ্যানেলগুলোতে। সবারই সাবধান হওয়া উচিত।

৪ পা ওয়ালা পশু চেনা সহজ, সমস্যা হয় ২ পেয়েদের নিয়ে!

___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"

কনফুসিয়াস এর ছবি

শুনে একদমই ভালো লাগলো না। সত্যিই এরকম হয়েছিলো? লাইভ শো-তে আর কেউ যাবে বলে মনে হয় না এরকম শুনলে। খুব বাজে ব্যাপার।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হিমু এর ছবি

পুরো অনুষ্ঠানটাই শ্রোতার ভব্য আচরণের ওপর ভরসা করে দাঁড়িয়ে আছে। এখন যদি এরকম ঘটেই চলে, তাহলে অনুষ্ঠানের কাঠামোই পাল্টে ফেলতে হবে।

দেড়েল হায়দার হুসাইনকে এমন একটা অনুষ্ঠানে এক ভদ্রলোক অত্যন্ত তীব্র কিন্তু শালীন ভাষায় কঠোর ঝাড়ি দিয়েছিলেন তার "কী বলার কথা কী বলছি" গানের জন্য। হায়দার হুসাইন (যে কি না এখন অ্যাক্রোব্যাটিক্সসহ সশস্ত্রবাহিনীর বিভিন্ন শাখার স্তবগান গায়) বেশ স্পোর্টিংলি নিয়েছিলো এই সমালোচনাকে। দেখে মনে হয়েছিলো এ ধরনের অনুষ্ঠান আসলেই বেশ কার্যকর হতে পারে দর্শকের আয়নায় শিল্পীদের নিজের চেহারা দেখার ব্যাপারে। কিন্তু এরকম পায়ুকামিতার আব্দার জানানোর ব্যারাম ছড়িয়ে পড়লে দর্শকদের স্টুডিওতে ডেকে আনা ছাড়া উপায় থাকবে না।


হাঁটুপানির জলদস্যু

রাসেল এর ছবি

সেটাই অনুষ্ঠানগুলো শ্রোতা এবং দর্শকদের সুবিবেচনার উপরেই নির্ভরশীল- হয়তো এরপরে মনোযোগী হবে এইসব অঘটন এড়ানোর জন্য বাড়তি সতর্কতা গ্রহন করবে- তবে এখানে কিন্তু বেশ রসিয়ে মজাক হয়েছে-
আমি ঠিক জানি না এটা নিয়ন্ত্রন সম্ভব হতো কি না-
-------------------------------------------------------
বাংলায় হাগি, মুতি, বাঁচি

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

অতিথি লেখক এর ছবি

ভয়াবহ ব্যাপার-স্যাপার !! ইয়ে, মানে...

- খেকশিয়াল

ফারুক হাসান এর ছবি

ভয়াবহ বাজে ব্যাপার দেখছি!
----------------------------------------------
আমাকে নিঃশব্দে অনুসরণ করে একটা নদী-
সাথে নিয়ে একটা পাহাড় আর একটা নিঃসঙ্গ মেঘ।

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

অ্যাঁ

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

ইশতিয়াক রউফ এর ছবি

ছি ছি! সুপার বোলের বিখ্যাত ওয়ার্ড্রোব ম্যালফাংশনের পর থেকে লাইভ টিভিতে কিছুটা ডিলে রাখা হয়। কয়েক সেকেন্ডের এই ইচ্ছাকৃত বিলম্ব হয়তো এধরনের কু-দর্শকের দাপট কমাবে।

অতিথি লেখক এর ছবি

নিচতা প্রকাশের একটা সীমা থাকা দরকার... ছিঃ
একমাত্র অনুষ্ঠানে উপস্থিতরাই বলতে পারবেনম ঐ মুহুর্তটুকু কতটা কঠিন ছিল তাদের জন্য
কামনা করি এ ধরনের বিব্রত পরিস্থিতি কারো জন্য না আসুক.

কল্পনা আক্তার

...............................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

দ্রোহী এর ছবি
রাসেল এর ছবি

http://www.youtube.com/watch?v=lJYVJH1ITzc&feature=related

গা জ্বলানো মন্তব্যগুলো পড়ে এখনও আরও গা রি রি করছে। শালার মানুষ,এরা না কি সভ্য সমাজ গড়ে তুলবে একদিন

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

------------------------------------

আমি তো গণে নেই বিচ্ছিন্ন একা
সঙ্ঘে সমুহে নেই সঙ্ঘমিতা।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।